Tuesday, September 29, 2015

ইরানের দুই বছরের বিস্ময় বালক

ইরানের দুই বছরের  বিস্ময় বালক

ইরানের বাবল শহরের আরাত হোসেনের বয়স মাত্র দুই বছর। এই বয়সে শিশুরা  ঠিকমতো কথাই বলতে পারে না।সেখানে আরাত শারীরিক অসম্ভব কসরত দেখিয়ে রীতিমতো বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন।
বয়সের তুলনায় তার শারিরীক কসরত অবাক করার মতো । ইরানের মাজানদারান প্রদেশের বাবল শহরে বাস করেন আরাতের পরিবার। ডিগবাজি, ইটের দেয়াল বেয়ে ওপরে ওঠা কিংবা দুই হাত মাটিতে ভর দিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে রাখা সহ নানা কসরত দেখাতে বেশ পারদর্শী আরাত। কঠিন সব ব্যায়ামের কৌশল দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই শিশু। ইতোমধ্যে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকেও ডাক এসেছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি চ্যানেলে দেখিয়েছেন তার শারীরিক কসরত।পেয়ে গেছে তারকা খ্যাতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দুই বছরের আরাতের ফলোয়াড় সংখ্যা ১৯ হাজারের কোটায়। ছেলের এই বিস্ময়জনক কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অবাক বাবা মোহাম্মদ ও মা ফাতেমা। ছেলেকে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি বলে তারা জানান। বলেন, খেলার ছলেই নয় মাস বয়সে আরাতের মধ্যে ব্যায়ামের আগ্রহ তৈরি হয়। এর পর প্রতিদিন প্রায় ২০ মিনিট ব্যায়াম করতে শুরু করে সে।

বাবা মোহাম্মদ বলেন, একদিন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পর ছেলে তার দুই হাতের আঙুল মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে এবং পা মাটি থেকে ওপরে ভাসিয়ে রাখে। সেদিন প্রথম আমি আরাতের শক্তি ও সক্ষমতা বুঝতে পারি।
শিশু আরাতের প্রিয় খেলাতে পরিণত হয়েছে শরীরচর্চা। সে সাধারণত একটানা ১০ মিনিটের মতো ব্যায়াম করতে পারে। তার প্রিয় খেলা হলো পেছন দিক থেকে ডিগবাজি দেওয়া।
বাসার সব জায়গায়ই শরীরচর্চা করছে আরাত। খাট, চেয়ার, টেবিলে বসে কিংবা টেলিভিশন ও বাসার চৌকাঠে উঠে দেখাতে থাকে ছোট্ট শরীরের কসরত। বাবার আসা খেলাধুলায় একদিন অপ্রতিরোধ্য হবে আরাত।

No comments:

Post a Comment

Tuesday, September 29, 2015

ইরানের দুই বছরের বিস্ময় বালক

ইরানের দুই বছরের  বিস্ময় বালক

ইরানের বাবল শহরের আরাত হোসেনের বয়স মাত্র দুই বছর। এই বয়সে শিশুরা  ঠিকমতো কথাই বলতে পারে না।সেখানে আরাত শারীরিক অসম্ভব কসরত দেখিয়ে রীতিমতো বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন।
বয়সের তুলনায় তার শারিরীক কসরত অবাক করার মতো । ইরানের মাজানদারান প্রদেশের বাবল শহরে বাস করেন আরাতের পরিবার। ডিগবাজি, ইটের দেয়াল বেয়ে ওপরে ওঠা কিংবা দুই হাত মাটিতে ভর দিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে রাখা সহ নানা কসরত দেখাতে বেশ পারদর্শী আরাত। কঠিন সব ব্যায়ামের কৌশল দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই শিশু। ইতোমধ্যে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকেও ডাক এসেছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি চ্যানেলে দেখিয়েছেন তার শারীরিক কসরত।পেয়ে গেছে তারকা খ্যাতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দুই বছরের আরাতের ফলোয়াড় সংখ্যা ১৯ হাজারের কোটায়। ছেলের এই বিস্ময়জনক কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অবাক বাবা মোহাম্মদ ও মা ফাতেমা। ছেলেকে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি বলে তারা জানান। বলেন, খেলার ছলেই নয় মাস বয়সে আরাতের মধ্যে ব্যায়ামের আগ্রহ তৈরি হয়। এর পর প্রতিদিন প্রায় ২০ মিনিট ব্যায়াম করতে শুরু করে সে।

বাবা মোহাম্মদ বলেন, একদিন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পর ছেলে তার দুই হাতের আঙুল মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে এবং পা মাটি থেকে ওপরে ভাসিয়ে রাখে। সেদিন প্রথম আমি আরাতের শক্তি ও সক্ষমতা বুঝতে পারি।
শিশু আরাতের প্রিয় খেলাতে পরিণত হয়েছে শরীরচর্চা। সে সাধারণত একটানা ১০ মিনিটের মতো ব্যায়াম করতে পারে। তার প্রিয় খেলা হলো পেছন দিক থেকে ডিগবাজি দেওয়া।
বাসার সব জায়গায়ই শরীরচর্চা করছে আরাত। খাট, চেয়ার, টেবিলে বসে কিংবা টেলিভিশন ও বাসার চৌকাঠে উঠে দেখাতে থাকে ছোট্ট শরীরের কসরত। বাবার আসা খেলাধুলায় একদিন অপ্রতিরোধ্য হবে আরাত।

No comments:

Post a Comment