Thursday, September 24, 2015

২১ মাইল হেঁটে অফিস করেন তিনি!

২১ মাইল হেঁটে অফিস করেন তিনি!
সেদিন যুক্ত রাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে।
গাড়ীতে হিটার চালিয়ে গাড়ি চেপে বরফ ভেঙে বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে
 লোকজন দেখতে পায় মোটা জ্যাকেট আর কান ঢাকা টুপিতে নিজেকে মুড়ে
 হনহনিয়ে হেঁটে চলেছেনএক প্রৌঢ়। রোজই তিনি এপথে হাঁটেন তিনি।
তবে সেটা স্বাস্থ রক্ষার হাঁটা নয়।  শীত,
গ্রীষ্ম বা বর্ষা সব ঋতুতেই তাকে হাঁটতে দেখা যায়।
উনার নাম হলো জেমর্স রবার্টসন।
রবার্টসনের এই হাঁটার পেছনে একটা কাহিনী আছে ।
 কিাহিনীটা জেনে সবাই চমকে উঠেছেন।
তিনি প্রতিদিন হাঁটেন এক বা দু’মাইল নয়,
 জীবনধারণের নিমিত্ত প্রতিদিন  তাঁকে গড়ে ২১ মাইল পথ হেঁটে অফিস অফিস করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের বাসিন্দা জেমস রবার্টসনের  একমাত্র মন্ত্র জীবনে এগিয়ে চলা।
তাঁর বয়স ৫৪ বছরের চেয়ে বেশী ।
 মধ্যবয়সী এই লোককে সপ্তাহে পাঁচ দিনে প্রতিদিন  ২১ মাইল (৩৩ কিলোমিটার )
পথ হেঁটে অফিস করতে হয়।। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনও কিছুই তাঁ অফিস করার
অদম্য মানসিকতাকে বিঘ্ন করতে বা দমাতে পারেনি ।
২০০৫ সালে তার গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায়।
নতুন গাড়ি কিনার  টাকা ছিল না তাঁ কাছে।
 কিন্তু পেটের দায় যে অস্বীকার করা যায় না।
তাই পায়ের ভরসাতেই হেঁটে অফিস করেন জেমস।
ডেট্রয়েট থেকে রচেস্টার হিলসের  এলাকায় তাঁর অফিস,
 সেখানে  কোন বাস বা ট্রেন যায় না।
অফিস যাবার  শেষ সাত মাইল
 (১১ কিলোমিটার ) হেঁটেই পার করতে হয় তাঁকে।
 ফেরার সময় পুরো ১৩ মাইল (২০ কিলোমিটার) পথ হেঁটে ফিরেন।
অফিস কামাই করার স্বভাব  নেই তাঁর।
 তুষারঝড়ে আমেরিকার উত্তর-পূর্বাংশ বরফে ঢেকে যায়
 তখনও পায়ে স্নো বুট পরে নির্দিষ্ট সময়েই অফিসে করেছেন তিনি।

তিনি বলেন ,সেই ছোটবেলায় বাবার কাছে শিখেছিলেন,
 কঠিন সময় চিরকাল থাকে না
কিন্তু চিরকাল রয়ে যান কঠিন ধাতের মানুষরা।
 জেমসের কথা জানাজানি হওয়ার পর
 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে।
জেমস যাতে একটা গাড়ি চেপে একটু ভালোভাবে অফিস যাতায়াত করতে পারেন
 তার জন্য শুরু হয়েছে চাদা তোলা।
 এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ডলার চাঁদা উঠেছে।
জেমসের কর্তব্যপরায়ণতাকে সম্মান জানাতে যারা চাদা দিয়েছেন তাদের বক্তব্য
‘এই অর্থ দিয়ে তিনি গাড়ি কিনুন।’
অবশ্য যাকে নিয়ে এত কিছু হচ্ছে সেই জেমস এসব শুনে হতবাক হয়েছেন।
 সূত্র: ইন্টারনেট



No comments:

Post a Comment

Thursday, September 24, 2015

২১ মাইল হেঁটে অফিস করেন তিনি!

২১ মাইল হেঁটে অফিস করেন তিনি!
সেদিন যুক্ত রাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে।
গাড়ীতে হিটার চালিয়ে গাড়ি চেপে বরফ ভেঙে বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে
 লোকজন দেখতে পায় মোটা জ্যাকেট আর কান ঢাকা টুপিতে নিজেকে মুড়ে
 হনহনিয়ে হেঁটে চলেছেনএক প্রৌঢ়। রোজই তিনি এপথে হাঁটেন তিনি।
তবে সেটা স্বাস্থ রক্ষার হাঁটা নয়।  শীত,
গ্রীষ্ম বা বর্ষা সব ঋতুতেই তাকে হাঁটতে দেখা যায়।
উনার নাম হলো জেমর্স রবার্টসন।
রবার্টসনের এই হাঁটার পেছনে একটা কাহিনী আছে ।
 কিাহিনীটা জেনে সবাই চমকে উঠেছেন।
তিনি প্রতিদিন হাঁটেন এক বা দু’মাইল নয়,
 জীবনধারণের নিমিত্ত প্রতিদিন  তাঁকে গড়ে ২১ মাইল পথ হেঁটে অফিস অফিস করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের বাসিন্দা জেমস রবার্টসনের  একমাত্র মন্ত্র জীবনে এগিয়ে চলা।
তাঁর বয়স ৫৪ বছরের চেয়ে বেশী ।
 মধ্যবয়সী এই লোককে সপ্তাহে পাঁচ দিনে প্রতিদিন  ২১ মাইল (৩৩ কিলোমিটার )
পথ হেঁটে অফিস করতে হয়।। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনও কিছুই তাঁ অফিস করার
অদম্য মানসিকতাকে বিঘ্ন করতে বা দমাতে পারেনি ।
২০০৫ সালে তার গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায়।
নতুন গাড়ি কিনার  টাকা ছিল না তাঁ কাছে।
 কিন্তু পেটের দায় যে অস্বীকার করা যায় না।
তাই পায়ের ভরসাতেই হেঁটে অফিস করেন জেমস।
ডেট্রয়েট থেকে রচেস্টার হিলসের  এলাকায় তাঁর অফিস,
 সেখানে  কোন বাস বা ট্রেন যায় না।
অফিস যাবার  শেষ সাত মাইল
 (১১ কিলোমিটার ) হেঁটেই পার করতে হয় তাঁকে।
 ফেরার সময় পুরো ১৩ মাইল (২০ কিলোমিটার) পথ হেঁটে ফিরেন।
অফিস কামাই করার স্বভাব  নেই তাঁর।
 তুষারঝড়ে আমেরিকার উত্তর-পূর্বাংশ বরফে ঢেকে যায়
 তখনও পায়ে স্নো বুট পরে নির্দিষ্ট সময়েই অফিসে করেছেন তিনি।

তিনি বলেন ,সেই ছোটবেলায় বাবার কাছে শিখেছিলেন,
 কঠিন সময় চিরকাল থাকে না
কিন্তু চিরকাল রয়ে যান কঠিন ধাতের মানুষরা।
 জেমসের কথা জানাজানি হওয়ার পর
 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে।
জেমস যাতে একটা গাড়ি চেপে একটু ভালোভাবে অফিস যাতায়াত করতে পারেন
 তার জন্য শুরু হয়েছে চাদা তোলা।
 এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ডলার চাঁদা উঠেছে।
জেমসের কর্তব্যপরায়ণতাকে সম্মান জানাতে যারা চাদা দিয়েছেন তাদের বক্তব্য
‘এই অর্থ দিয়ে তিনি গাড়ি কিনুন।’
অবশ্য যাকে নিয়ে এত কিছু হচ্ছে সেই জেমস এসব শুনে হতবাক হয়েছেন।
 সূত্র: ইন্টারনেট



No comments:

Post a Comment