Saturday, October 8, 2016

কীভাবে আপনার ব্লগে ফেসবুক ফ্যানপেজ লাইক বাটন যুক্ত করবেন (সচিত্র)

আমার মত  ব্লগে হয়তো অনেকে নতুন।নতুন যারা তার অনেকে হয়ত জাননে না ব্লগে কীভাবে ফেসবুক ফ্যানপেজ লাইক বাটন যুক্ত করতে হয়। আমি এই সমস্যা নিয়ে বার বার চেষ্টা করে , গুগোল সার্চ করে পরে সফলতা পেয়েছি। প্রায় অধিকাংশ টেকনোলজি প্রিয় ব্যক্তিরা  জানন না কীভাবে  আপনার ব্লগে ফেসবুক ফ্যানপেজ লাইক বাটন যুক্ত করতে হয়। আমার এই পোষ্টটি সে সমস্ত নতুনদের জন্য প্রয়োজন হতে পারে,যারা  নতুন ব্লগিং শুরু করছেনে ।
বিস্তারিতভাবে সহজে বুঝানোর সুবিধার্থে চিত্র সহ  দেখানো হয়েছে।
আশা করি সহজেই আপনার ব্লগে ফেসবুক ফ্যানপেজ লাইক বাটন যুক্ত করতে পারবেন।
প্রথমে এখানে ক্লিক করুন   ।নিম্নের পেইজটি অপেন হবে ।
 এখান থেকে Page Plugin এ ক্লিক করুন।নিম্নের পেইজটি অপেন হবে ।
এখানে  Facebook Page URL বক্সে আপনার ব্লগের URL দিন।যেমন ধরুন আমার ফেসবুক Page এর URL দিলাম https://web.facebook.com/Bangladesh-Photography-4U-1600181930279396/।অন্যান্য অপশন Tabs , Width, Height ইত্যাদি ইচ্ছে মতো নির্ধারিত করে দেয়া যায় অথবা অপরিবর্তিত রাখা যাবে। এরপর Get Code  এ ক্লিক করুন।

নতুন একটা উইন্ডো অপেন হবে।
 IFRAME এ  ক্লিক করুন।যে কোডটা দেখাবে ঐটা কপি করুন।
এবার আপনার সাইটের Dashboard এ প্রবেশ করুন। Layout এ ক্লিক করুন। Add A Gazet এ ক্লিক করুন । নতুন একপি উইন্ডো ওপেন হবে। ওখানে অনক ফাংশন থাকবে। আপনি HTML/JavaScript টায় ক্লিক করবেন।

 Title ঘরে লিখুন Our facebook page বা ফাঁকা ও রাখতে পারেন। আর Content ঘরে ঐ কপি করা কোডটি পেষ্ট করুন।সংরক্ষণে ক্লিক করুণ ।ব্লগ দেখুন ।
 দেখবেন অটো রিলোড নিয়ে আপনার সাইটে আপনার সেটকৃত ফেসবুক ফ্যান পেজের লাইক বাটন যুক্ত হয়েছে।
একইভাবে আপনি ইচ্ছা করলে শেয়ার, সেন্ড  ইত্যাদি বাটন ও যুক্ত করতে পারবেন।

Tuesday, September 13, 2016

ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক !!

ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক !!

কারো ঈদের চাঁদ হাসে 
পাশে গাছের মরা ডাল
কারো বাড়ি জলে ভাসে
গঙ্গার জল হলো যে কাল ।
কারো ঈদের চাঁদ হাসে 
জিলহজ্জ্ব মাসের দশ তারিখে
গরীবের ঈদ আনন্দ মাংসেরতালাসে
কারো ঈদ আনন্দের বৈষম্যের আবেশে ।
ঈদের আনন্দ আর কি রয় ?
বয়লারে পুড়ে প্রিয়জন কয়লা হয় ?
যাত্রা বিড়ম্ভনায় মরে কেউ ট্রেনের ছাদে,
দায়ি জন ব্যস্ত থাকেন কথার অবকাশে।
ঈদের আনন্দ তার কি হয় ?
যানজটে ষাড় মরে হায়
লোকসানী যাতনা কেমনে সয় ?
দু:খী হৃদয় স্তব্দ হয়!
গরু কিনা লক্ষ টাকায়
বড় লোকির দম্ভ বেজায়
কারো ঈদ মাংস খাওয়ায়
কোরবানি হয় ঘুষের টাকায়

ঈদের দিনে ভিক্ষাবৃত্তি
বড় জনের সৌজন্য প্রীতি
এতেই বাড়ে তার খ্যাতি ?
ইহাই কি ধনী গরীবের সম্প্রীতি ?

কারো ঈদ বোনাসে হয়
কোটি টাকার পার্সেন্টিজ
ঈদের খরচ লক্ষ টাকায়
নইলে থাকে কি প্রেষ্টিজ ?

কারো ফাইল লটকে রাখে
তেল চোরার খোয়াড়ে !
দূর্বিসহ জীবন নষ্ট
লাভের কসরত হয় পাপিষ্ঠ !

অতপরেও আনন্দ মোদের কাম্য !
কথার মালায় হয় শান্তির সাম্য ?
জীবন প্রাণ সুন্দর হোক
ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক !!



Saturday, September 3, 2016

বিনামূল্যে বাংলা বই পড়তে ৫টি দারুণ ওয়েবসাইট

বিনামূল্যে বাংলা বই পড়তে ৫টি দারুণ ওয়েবসাইট
কাগজের বইয়ের সময় কি ফুরিয়ে আসছে ক্রমশ! না, একটি তরতাজা বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে উল্টিয়ে পড়া আর নতুন বইয়ের ঘ্রাণ এর আবেদন কখনোই ফুরাবে না। তবে ই-বুক বা পিডিএফ ফরমেটের বইয়ের চাহিদাও বেড়েছে। বই রাখা নিয়ে ঝামেলা যেমন নেই তেমন মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা পিসিতে বসে পড়ে ফেলা যায় সহজেই। একটা মেমোরি কার্ডে রাখা যায় হাজার হাজার বই। যারা ই-বুক, পিডিএফ ফরমেটে বই পড়তে ভালোবাসেন। সেইসব বইয়ের পোকাদের জন্য দিচ্ছি ফ্রি-বইয়ের খোঁজ। ঘুরে আসুন অনলাইন বইয়ের জগৎ থেকে। ডাউনলোড করে নিন প্রিয় বই, প্রয়োজনীয় বই। আর সমৃদ্ধ করুন জ্ঞানের পরিধি।


২০০৯ সালে প্রথম চালু হলেও টেকনিক্যাল কারণে খুব একটা বেশি বই আপলোড হয়নি । ২০১১ সালে পুনরায় নতুন আঙ্গিকে শুরু হয় বইয়ের দোকান। বইয়ের দোকানের উঠানে গিয়ে দাঁড়ালে উপন্যাস, কবিতা, গল্প, সমালোচনা, নাটক, নন-ফিকশন প্রভৃতি বইয়ের দরজাগুলো দেখাবে। দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলেই অজস্র বই। ফ্রি ডাউনলোড করে করতে পারবেন বইগুলো। আর ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো বইয়ের দোকান ই-বইমেলার আয়োজন করেছিলো।
এই সাইটে ফ্রি বই থাকলেও সব বই ফ্রিতে পাওয়া যায় না। প্রতি বছরের জন্য ২৪.৯৯ ডলার ফি দিয়ে প্রিমিয়াম সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রিমিয়াম সদস্যদের বই ডাউনলোডের সুযোগ-সুবিধা একটু বেশিই।
তলস্তয়, দস্তোয়ভস্কি, নিকোলাই অস্ত্রভস্কি, আর্কিদি গাইদার কিংবা ম্যাক্সিম গোর্কি সহ আর আর রুশ লেখকদের বইয়ের অনুবাদ পাবেন এই সাইটে। রুশ উপকথা বা কিশোর সাহিত্যের দুষ্প্রাপ্য বইগুলোও ইলেকট্রনিক ফরমেটে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

বাংলা ইন্টারনেট বইয়ের পাশাপাশি লেখকদেরও সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল যুক্ত করা রয়েছে। ফলে শুধু বই-ই না, লেখক সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় তথ্য আপনি পেতে পারেন বাংলা ইন্টারনেট থেকে।
দেড় হাজারের মতো বই রয়েছে এই সাইটে। লেখক অনুসারে সাজানো বইগুলো থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এ ছাড়া আছে বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পত্রিকা।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন প্রয়োজনীয় বাংলা বই। তবে একটা বইয়ের পেছনে লেখকের যেমন মেধা ও শ্রমের বিনিয়োগ থাকে তেমন প্রকাশকের থাকে অর্থের বিনিয়োগ। তাই অবশ্যই বই কিনে পড়া উচিত।

কর্টেসী -প্রিয়কম

Thursday, August 25, 2016

আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে

আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দুজনে
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।।
ঝাউবনে হাওয়াগুলো খেলছে
সাঁওতালি মেয়েগুলো চলছে
লাল লাল শাড়ীগুলো উড়ছে
তার সাথে মন মোর দুলছে।
ঐ দুর আকাশের প্রান্তে
সাত রঙা মেঘ গুলো উড়ছে।।
এই বুঝি বয়ে গেল সন্ধ্যা
ভেবে যায় কি জানি কি মনটা
পাখিগুলো নীড়ে ফিরে চলছে
গানে গানে কি যে কথা বলছে
ভাবি শুধু এখানেই থাকবো
ফিরে যেতে মন নাহি চাইছে।।
·  শিল্পীঃ হ্যাপী আখন্দ
·  অ্যালবামঃ ঘুড্ডি
·  গীতিকারঃ এস. এম. হেদায়েত


Friday, July 29, 2016

প্লা‌ষ্টিক বোত‌ল জনস্বাস্থের জন্য কতটা নিরাপদ ? নি‌চের ত্রিকোণ চিহ্নের অর্থ জানেন ? ক্ষ‌তি না চাই‌লে জে‌নে নিন ।

প্লা‌ষ্টিক বোত‌ল জনস্বাস্থের জন্য কতটা নিরাপদ ? নি‌চের ত্রিকোণ চিহ্নের অর্থ জানেন ? ক্ষ‌তি না চাই‌লে জে‌নে নিন ।

আমরা প্রতিনিয়‌ত বিভিন্ন খাবার প্লা‌ষ্টি‌কের পা‌ত্রে রে‌খে দেই অথবা খাই। একটু লক্ষ কর‌লে দেখ‌বেন অনেক বোত‌লের নি‌চে এক‌টি তিন কোনা বি‌শিষ্ট সাং‌কে‌তিক চিহ্ন থাকে। প্লা‌ষ্টি‌কের বোত‌লের তলায় ত্রিকোণ চিহ্নটা কখনও খেয়াল করেছেন, জানেন কি এর অর্থ?
ঘরে বাইরে এখন প্লাস্টিকের পেট বোতলের ছড়াছড়ি। খাবার রাখা থেকে পানি রাখা— সবকিছুতেই এই প্লাস্টিক বোতল। কিন্তু, কখনও আমরা কেউ খেয়াল করি না প্লাস্টিকের বোতলের গায়ে থাকা চিহ্নগুলিকে।

পড়ে গেলে চট করে ফেটে যায় না। বোতল পরিষ্কার করাও সহজ। ব্যবহারের এমন সোজা-সাপটা সুবিধায় প্লাস্টিকের বোতলের চল বাড়তে বাড়তে এখন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্লাস্টিক কি?
“প্লাস্টিক” শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ “প্লাস্টিকস” থেকে যার অর্থ স্বচ্ছন্দে যে কোন আঁকার দেয়া যায় এমন কিছু। ১৮৪৫ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার পার্কস নাইট্রো-সেলুলোজ, প্লাস্টিসাইজার ও অন্য দ্রাবক পদার্থের মিশ্রণে তৈরি করেন আজকের এই প্লাস্টিক। প্লাস্টিক মূলত কার্বন যৌগের একটি চলমান শিকলের জটিল গঠন যার মূল উপাদানে রয়েছে কার্বনের সাথে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং সালফারের জটিল রাসায়নিক বন্ধন। এই প্লাস্টিক তার প্রতুলতা, সহজলভ্যতা, তুলনামূলক ব্যয়সাশ্রয়ী এবং পরিবহন, ভঙ্গুরতা সহনশীল সহ আরও অনেক কারণে প্রচলিত অন্যান্য সকল উপাদান টপকে আজকের বহুল ব্যবহৃত উপাদানের স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

প্লাস্টিকের প্রকারভেদ
আমাদের চারপাশে আমরা নানান রকম প্লাস্টিক দেখতে পাই। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্রেলিক্স, পলিসটার, সিলিকন, পলিউইরেথিন, হ্যালোজেনেটেড প্লাস্টিক ইত্যাদি। মূলত প্লাস্টিকের মূল প্রকারভেদ হয় দুটি বিভাগেঃ থার্মোপ্লাস্টিক (যে প্লাস্টিক একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তার আকৃতি পরিবর্তন করে এবং শীতল হয়ে সেই আকারের কঠিন আকৃতি ধারন করে) এবং থার্মোসেটিং প্লাস্টিক (এটা মূলত পেট্রো ক্যামিক্যাল যা ২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা তার উপরে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নির্দিষ্ট রূপে প্লাস্টিক যৌগ গঠন করে)।
 ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক
আমাদের চারিপাশের দৃশ্যমান প্লাস্টিক পণ্যের সবগুলোই কিন্তু পেট্রোলিয়াম বা প্রাকৃতিক গ্যাস হতে সৃষ্ট। তাই বলে সকল প্লাস্টিক সমগোত্রীয়? আপনার পানীয় বোতল আর গাড়ির টায়ার? আসলে না, মূল গঠন উপাদান কার্বন যৌগ হলেও বিস্তর ফারাক রয়েছে উপরোক্ত দুটি পণ্যে। আজকের দিনে “ফুড গ্রেড প্লাস্টিক” শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশী পরিচিত, তাই না? আসলে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক কি? ফুড গ্রেড প্লাস্টিক মূলত এইচডিপিই (উচ্চ ঘনত্বের পলি ইথিলিন) যা দীর্ঘ সময়ব্যাপী ১১০ ডিগ্রী তাপমাত্রা পর্যন্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম। আরেক ধরণের ফুড গ্রেড প্লাস্টিক আছে যার নামের সাথে আমরা অধিক পরিচিত, তা হল পেট (পিইটি), পলি ইথিলিন টেরিফেলেট, সাধারন পানীয় যে বোতলে থাকে। এই পেট প্লাস্টিক হল বহুল ব্যবহৃত প্লাস্টিক যা খাদ্য সংরক্ষন এবং পরিবেশনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কিন্তু, আমারা না বুঝেই দিনের পর দিন এই সব প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে থাকি। অনেকে তো বাচ্চার দুধ ভর্তি প্লাস্টিকের ফিডিং বোতলটাই গরম করে বসেন। প্লাস্টিক বোতলের এমন যথেচ্ছ ব্যবহার আদপেও কি স্বাস্থ্যকর? এ বিষয়ে বাছ-বিচার আমরা করি না। তাই প্লাস্টিক বোতলের তলায় থাকা ত্রিকোণ চিহ্নের মানেটা বুঝে নিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে নিমেষে।

Plastic Bottle Symbols
ত্রিকোণ চিহ্ন— এটা আসলে প্লাস্টিক বোতলের চারিত্রিক ইনডেক্স। এই চিহ্নটা থাকলে বোঝা যায় বোতলটি বিধিসম্মতভাবে তৈরি। কিন্তু, বোতলটা ব্যবহারের কতটা নির্ভরযোগ্য বা কী ধরনের জিনিস তাতে রাখা যাবে, তা ত্রিকোণ চিহ্নের মধ্যে থাকা সংখ্যা দ্বারা বোঝা যায়।
১. ত্রিকোণের মাঝে ১ সংখ্যা থাকলে— এর মানে বোতলটি একবারই মাত্র ব্যবহার করা যাবে এবং বোতলটিতে পলিথিলিন টেরেপথ্যালেট প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধরনের বোতল বহুব্যবহারে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষ‌তিকারক।পানির বোতলে এ ধরণের প্লাষ্টিক ব্যবহার করা হয়।

২. ত্রিকোণের মধ্যে ২ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক বোতলে ঘন পলিথিন ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট রাখার ক্ষেত্রে এই ধরনের বোতল ব্যবহার হয়।
এটি  HDPE (হাই ডেনসিটি পলিইথিলিন) :
 তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ২৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট

৩. ত্রিকোণের মধ্যে ৩ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের বোতল বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এই বোতল তৈরি হয় ‘পোলিভিনিল ক্লোরাইড’ বা ‘পিভিসি’ থেকে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ‘পিনাট বাটার’ রাখতে এই বোতল ব্যবহার করা হয়।

৪. ত্রিকোণের মধ্যে ৪ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক বহু ব্যবহারের উপযোগী। বিশেষ করে, প্লাস্টিকের প্যাকেটে এই চিহ্ন প্রচুর দেখা যায়। খুব দামি বোতলে এই চিহ্ন থাকে।
 ইহা LDPE (লো ডেনসিটি পলিইথিলিন)
তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ১৭৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট।
 ৫. ত্রিকোণের মধ্যে ৫ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক একদম নিরাপদ এবং ব্যবহারের যোগ্য। আইক্রিম কাপ বা সিরাপের বোতল অথবা খাবারের কন্টেনারে এই ধরনের চিহ্ন দেখা যায়।
এটি Polyporpelene (পলি প্রোপেলিন)
 তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ২৭৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট।

৬. ত্রিকোণের মধ্যে ৬ অথবা ৭ সংখ্যা থাকলে— প্লাস্টিকের রেড কার্ড বলা হয় একে। এই ধরনের প্লাস্টিক মারাত্মক রকমের ক্ষতিকারক। কারণ এই ধরনের প্লাস্টিক তৈরি হয় পলিস্টিরিন এবং পলিকার্বনেট বিসপেনল-এ। এটা মানুষের মধ্যে হরমোন সমস্যা তৈরি করে। ক্রমাগত এই ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ায়।

Tuesday, July 26, 2016

ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার ৫ উপায়



ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার উপায়
ফেসবুককে যতটা পছন্দ করেন তার চেয়েও বেশি সময় কাটানো হয় এখানে কিন্তু অধিকাংশ ব্যবহারকারীরাই এর সেটিংস সম্পর্কে বেশি ধারণা রাখেন না ফলে তাদের প্রোফাইলগুলো অনিরাপদ থেকে যায় এখানে ফেসবুকে সর্বোচ্চ নিরাপদ করতে নিন বিশেষ কিছু পরামর্শ

. লগ ইন অ্যালার্ট ব্যবহার করুন : কেউ যদি আপনার ফেসবুক আইডিতে লগ ইন করার চেষ্টা করেন, তবে আপনাকে জানান দেবে ফেসবুক। এর জন্য ফেসবুকে লগ ইন করে Settings মেনুতে যান। Security তে ক্লিক করে login Alerts এ গিয়ে এডিট করুন। Get notifications এবংText login alerts to  ইমেইল লগ ইন অ্যালার্ট চালু করুন। এটি সেভ করুন। কেউ আপনার অগোচরে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চাইলে তার তথ্য দেবে ফেসবুক। প্রতিবারই লগইন করলে অ্যালার্ট পাবেন। ছাড়া নির্দিষ্ট যন্ত্র থেকে লগইন করার বিষয়টিও ঠিক করে রাখতে পারবেন। নতুন কোনো ব্রাউজার থেকে নতুন যন্ত্রের লগইন করার সময় ফেসবুক এটাকে মনে রাখবে কিনা তা জানতে চাইবে। করতে চাইলে সেব ব্রাউজার করতে হবে

. রিকোয়েস্ট লগইন অ্যাপ্রোভালস : নিজের অ্যাকাউন্টে কিভাবে লগইন করবেন তাও নজরদারি করে ফেসবুক। কয়েকটি পদক্ষেপ নিলেই আগের অব্যবহৃত কোনো যন্ত্র থেকে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টেল লগইন করলে তা দেখবে ফেসবুক। Security সেটিংস- গিয়েরিকোয়ার সিকিউরিটি কোড টু অ্যাকসেস মাই অ্যাকাউন্ট ফ্রম আননোন ব্রাউজারসলেখা বক্সে ক্লিক করুন। একটি সিকিউরিটি কোড পাওয়ার জন্য লিখিত নির্দেশনা অনসরণ করুন এবং পাসওয়ার্ড পুনরায় দিন। রিকোয়েস্টটি নিশ্চিতকরণের পর একটি বক্স পপ আপ হবে যাতে প্রক্রিয়াটি সম্পন্নের বিষয়ে তথ্য দেওয়া থাকবে। এখানেনো থ্যাঙ্কস, রিকোয়ার কোড রাইট অ্যাওয়েলেখা বক্সে ক্লিক করতে হবে

. বাড়তি কোড হাতে রাখুন : লগইন অ্যাপ্রোভালস চালু করলে নতুন স্থান থেকে লগ করার সময় নিরাপত্তা কোড চাইবে। এটা টেক্সটের মাধ্যমে বা কোড ডেনারেটর শাখা থেকে তা উদ্ধার করতে হবে। যদি ফোন বা ট্যাবে প্রবেশ করতে না পারেন, তারপরও লগইন করতে কোড লাগবে আপনার। এর জন্য ফেসবুক ১০টি এলোমেলো কোড দেবে আপনাকে। এসব কোডের যে তালিকা দেখাবে তা প্রিন্ট করে রেখে দিন

. কোথায় লগইন এবং লগ আউট করেছিলেন তা খেয়াল রাখুন : যদি অন্য কোনো যন্ত্র থেকে ফেসবুকে প্রবেশ করেন এবং লগ আউট করতে ভুলে যান, তবে যে কেউ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারেন। নিজের ব্রাউজার থেকে ফেসবুক সিকিউরিটি সেটিংস-হোয়ার ইউ আর লগড ইন’- যান। আপনার সাম্প্রতিক লগইন তালিকাটি দেখুন
যদি কারো জন্য ফোন ইমেইলে অ্যাকসেস না পান তবে সিকিউরিটি কোডের দরকার নেই। ফেসবুকের কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে লগইন কোড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি দুজন দুজনের বিশ্বস্ত হয়ে থাকেন, তবে দারুণ মিলবে। লিগেসি কন্ট্যাক্টস পৃথক বিষয়। কারো অবর্তমানে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দেখাশোনা করতে বৈধ অনুমতি লাগবে। লিগেসি কন্ট্যাক্টটি টাইমলাইনে পিন করে রাখা যাবে। এতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট বা প্রোফাইলের ছবি আপডেট হয়ে যাবে। এমনকি একটি সময়ের পর অ্যাকাউন্টটি মুছেও ফেলা যাবে। এসব কাজ সিকিউরিটি সেটিংস-এর ট্রাস্টেড কন্ট্যাক্টস অ্যান্ড লিগেসি কন্ট্যাক্টস-এর অধীনে সম্পন্ন করা সম্ভব 

Saturday, October 8, 2016

কীভাবে আপনার ব্লগে ফেসবুক ফ্যানপেজ লাইক বাটন যুক্ত করবেন (সচিত্র)

আমার মত  ব্লগে হয়তো অনেকে নতুন।নতুন যারা তার অনেকে হয়ত জাননে না ব্লগে কীভাবে ফেসবুক ফ্যানপেজ লাইক বাটন যুক্ত করতে হয়। আমি এই সমস্যা নিয়ে বার বার চেষ্টা করে , গুগোল সার্চ করে পরে সফলতা পেয়েছি। প্রায় অধিকাংশ টেকনোলজি প্রিয় ব্যক্তিরা  জানন না কীভাবে  আপনার ব্লগে ফেসবুক ফ্যানপেজ লাইক বাটন যুক্ত করতে হয়। আমার এই পোষ্টটি সে সমস্ত নতুনদের জন্য প্রয়োজন হতে পারে,যারা  নতুন ব্লগিং শুরু করছেনে ।
বিস্তারিতভাবে সহজে বুঝানোর সুবিধার্থে চিত্র সহ  দেখানো হয়েছে।
আশা করি সহজেই আপনার ব্লগে ফেসবুক ফ্যানপেজ লাইক বাটন যুক্ত করতে পারবেন।
প্রথমে এখানে ক্লিক করুন   ।নিম্নের পেইজটি অপেন হবে ।
 এখান থেকে Page Plugin এ ক্লিক করুন।নিম্নের পেইজটি অপেন হবে ।
এখানে  Facebook Page URL বক্সে আপনার ব্লগের URL দিন।যেমন ধরুন আমার ফেসবুক Page এর URL দিলাম https://web.facebook.com/Bangladesh-Photography-4U-1600181930279396/।অন্যান্য অপশন Tabs , Width, Height ইত্যাদি ইচ্ছে মতো নির্ধারিত করে দেয়া যায় অথবা অপরিবর্তিত রাখা যাবে। এরপর Get Code  এ ক্লিক করুন।

নতুন একটা উইন্ডো অপেন হবে।
 IFRAME এ  ক্লিক করুন।যে কোডটা দেখাবে ঐটা কপি করুন।
এবার আপনার সাইটের Dashboard এ প্রবেশ করুন। Layout এ ক্লিক করুন। Add A Gazet এ ক্লিক করুন । নতুন একপি উইন্ডো ওপেন হবে। ওখানে অনক ফাংশন থাকবে। আপনি HTML/JavaScript টায় ক্লিক করবেন।

 Title ঘরে লিখুন Our facebook page বা ফাঁকা ও রাখতে পারেন। আর Content ঘরে ঐ কপি করা কোডটি পেষ্ট করুন।সংরক্ষণে ক্লিক করুণ ।ব্লগ দেখুন ।
 দেখবেন অটো রিলোড নিয়ে আপনার সাইটে আপনার সেটকৃত ফেসবুক ফ্যান পেজের লাইক বাটন যুক্ত হয়েছে।
একইভাবে আপনি ইচ্ছা করলে শেয়ার, সেন্ড  ইত্যাদি বাটন ও যুক্ত করতে পারবেন।

Tuesday, September 13, 2016

ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক !!

ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক !!

কারো ঈদের চাঁদ হাসে 
পাশে গাছের মরা ডাল
কারো বাড়ি জলে ভাসে
গঙ্গার জল হলো যে কাল ।
কারো ঈদের চাঁদ হাসে 
জিলহজ্জ্ব মাসের দশ তারিখে
গরীবের ঈদ আনন্দ মাংসেরতালাসে
কারো ঈদ আনন্দের বৈষম্যের আবেশে ।
ঈদের আনন্দ আর কি রয় ?
বয়লারে পুড়ে প্রিয়জন কয়লা হয় ?
যাত্রা বিড়ম্ভনায় মরে কেউ ট্রেনের ছাদে,
দায়ি জন ব্যস্ত থাকেন কথার অবকাশে।
ঈদের আনন্দ তার কি হয় ?
যানজটে ষাড় মরে হায়
লোকসানী যাতনা কেমনে সয় ?
দু:খী হৃদয় স্তব্দ হয়!
গরু কিনা লক্ষ টাকায়
বড় লোকির দম্ভ বেজায়
কারো ঈদ মাংস খাওয়ায়
কোরবানি হয় ঘুষের টাকায়

ঈদের দিনে ভিক্ষাবৃত্তি
বড় জনের সৌজন্য প্রীতি
এতেই বাড়ে তার খ্যাতি ?
ইহাই কি ধনী গরীবের সম্প্রীতি ?

কারো ঈদ বোনাসে হয়
কোটি টাকার পার্সেন্টিজ
ঈদের খরচ লক্ষ টাকায়
নইলে থাকে কি প্রেষ্টিজ ?

কারো ফাইল লটকে রাখে
তেল চোরার খোয়াড়ে !
দূর্বিসহ জীবন নষ্ট
লাভের কসরত হয় পাপিষ্ঠ !

অতপরেও আনন্দ মোদের কাম্য !
কথার মালায় হয় শান্তির সাম্য ?
জীবন প্রাণ সুন্দর হোক
ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক !!



Saturday, September 3, 2016

বিনামূল্যে বাংলা বই পড়তে ৫টি দারুণ ওয়েবসাইট

বিনামূল্যে বাংলা বই পড়তে ৫টি দারুণ ওয়েবসাইট
কাগজের বইয়ের সময় কি ফুরিয়ে আসছে ক্রমশ! না, একটি তরতাজা বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে উল্টিয়ে পড়া আর নতুন বইয়ের ঘ্রাণ এর আবেদন কখনোই ফুরাবে না। তবে ই-বুক বা পিডিএফ ফরমেটের বইয়ের চাহিদাও বেড়েছে। বই রাখা নিয়ে ঝামেলা যেমন নেই তেমন মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা পিসিতে বসে পড়ে ফেলা যায় সহজেই। একটা মেমোরি কার্ডে রাখা যায় হাজার হাজার বই। যারা ই-বুক, পিডিএফ ফরমেটে বই পড়তে ভালোবাসেন। সেইসব বইয়ের পোকাদের জন্য দিচ্ছি ফ্রি-বইয়ের খোঁজ। ঘুরে আসুন অনলাইন বইয়ের জগৎ থেকে। ডাউনলোড করে নিন প্রিয় বই, প্রয়োজনীয় বই। আর সমৃদ্ধ করুন জ্ঞানের পরিধি।


২০০৯ সালে প্রথম চালু হলেও টেকনিক্যাল কারণে খুব একটা বেশি বই আপলোড হয়নি । ২০১১ সালে পুনরায় নতুন আঙ্গিকে শুরু হয় বইয়ের দোকান। বইয়ের দোকানের উঠানে গিয়ে দাঁড়ালে উপন্যাস, কবিতা, গল্প, সমালোচনা, নাটক, নন-ফিকশন প্রভৃতি বইয়ের দরজাগুলো দেখাবে। দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলেই অজস্র বই। ফ্রি ডাউনলোড করে করতে পারবেন বইগুলো। আর ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো বইয়ের দোকান ই-বইমেলার আয়োজন করেছিলো।
এই সাইটে ফ্রি বই থাকলেও সব বই ফ্রিতে পাওয়া যায় না। প্রতি বছরের জন্য ২৪.৯৯ ডলার ফি দিয়ে প্রিমিয়াম সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রিমিয়াম সদস্যদের বই ডাউনলোডের সুযোগ-সুবিধা একটু বেশিই।
তলস্তয়, দস্তোয়ভস্কি, নিকোলাই অস্ত্রভস্কি, আর্কিদি গাইদার কিংবা ম্যাক্সিম গোর্কি সহ আর আর রুশ লেখকদের বইয়ের অনুবাদ পাবেন এই সাইটে। রুশ উপকথা বা কিশোর সাহিত্যের দুষ্প্রাপ্য বইগুলোও ইলেকট্রনিক ফরমেটে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

বাংলা ইন্টারনেট বইয়ের পাশাপাশি লেখকদেরও সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল যুক্ত করা রয়েছে। ফলে শুধু বই-ই না, লেখক সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় তথ্য আপনি পেতে পারেন বাংলা ইন্টারনেট থেকে।
দেড় হাজারের মতো বই রয়েছে এই সাইটে। লেখক অনুসারে সাজানো বইগুলো থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এ ছাড়া আছে বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পত্রিকা।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন প্রয়োজনীয় বাংলা বই। তবে একটা বইয়ের পেছনে লেখকের যেমন মেধা ও শ্রমের বিনিয়োগ থাকে তেমন প্রকাশকের থাকে অর্থের বিনিয়োগ। তাই অবশ্যই বই কিনে পড়া উচিত।

কর্টেসী -প্রিয়কম

Thursday, August 25, 2016

আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে

আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দুজনে
চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।।
ঝাউবনে হাওয়াগুলো খেলছে
সাঁওতালি মেয়েগুলো চলছে
লাল লাল শাড়ীগুলো উড়ছে
তার সাথে মন মোর দুলছে।
ঐ দুর আকাশের প্রান্তে
সাত রঙা মেঘ গুলো উড়ছে।।
এই বুঝি বয়ে গেল সন্ধ্যা
ভেবে যায় কি জানি কি মনটা
পাখিগুলো নীড়ে ফিরে চলছে
গানে গানে কি যে কথা বলছে
ভাবি শুধু এখানেই থাকবো
ফিরে যেতে মন নাহি চাইছে।।
·  শিল্পীঃ হ্যাপী আখন্দ
·  অ্যালবামঃ ঘুড্ডি
·  গীতিকারঃ এস. এম. হেদায়েত


Friday, July 29, 2016

প্লা‌ষ্টিক বোত‌ল জনস্বাস্থের জন্য কতটা নিরাপদ ? নি‌চের ত্রিকোণ চিহ্নের অর্থ জানেন ? ক্ষ‌তি না চাই‌লে জে‌নে নিন ।

প্লা‌ষ্টিক বোত‌ল জনস্বাস্থের জন্য কতটা নিরাপদ ? নি‌চের ত্রিকোণ চিহ্নের অর্থ জানেন ? ক্ষ‌তি না চাই‌লে জে‌নে নিন ।

আমরা প্রতিনিয়‌ত বিভিন্ন খাবার প্লা‌ষ্টি‌কের পা‌ত্রে রে‌খে দেই অথবা খাই। একটু লক্ষ কর‌লে দেখ‌বেন অনেক বোত‌লের নি‌চে এক‌টি তিন কোনা বি‌শিষ্ট সাং‌কে‌তিক চিহ্ন থাকে। প্লা‌ষ্টি‌কের বোত‌লের তলায় ত্রিকোণ চিহ্নটা কখনও খেয়াল করেছেন, জানেন কি এর অর্থ?
ঘরে বাইরে এখন প্লাস্টিকের পেট বোতলের ছড়াছড়ি। খাবার রাখা থেকে পানি রাখা— সবকিছুতেই এই প্লাস্টিক বোতল। কিন্তু, কখনও আমরা কেউ খেয়াল করি না প্লাস্টিকের বোতলের গায়ে থাকা চিহ্নগুলিকে।

পড়ে গেলে চট করে ফেটে যায় না। বোতল পরিষ্কার করাও সহজ। ব্যবহারের এমন সোজা-সাপটা সুবিধায় প্লাস্টিকের বোতলের চল বাড়তে বাড়তে এখন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্লাস্টিক কি?
“প্লাস্টিক” শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ “প্লাস্টিকস” থেকে যার অর্থ স্বচ্ছন্দে যে কোন আঁকার দেয়া যায় এমন কিছু। ১৮৪৫ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার পার্কস নাইট্রো-সেলুলোজ, প্লাস্টিসাইজার ও অন্য দ্রাবক পদার্থের মিশ্রণে তৈরি করেন আজকের এই প্লাস্টিক। প্লাস্টিক মূলত কার্বন যৌগের একটি চলমান শিকলের জটিল গঠন যার মূল উপাদানে রয়েছে কার্বনের সাথে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং সালফারের জটিল রাসায়নিক বন্ধন। এই প্লাস্টিক তার প্রতুলতা, সহজলভ্যতা, তুলনামূলক ব্যয়সাশ্রয়ী এবং পরিবহন, ভঙ্গুরতা সহনশীল সহ আরও অনেক কারণে প্রচলিত অন্যান্য সকল উপাদান টপকে আজকের বহুল ব্যবহৃত উপাদানের স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

প্লাস্টিকের প্রকারভেদ
আমাদের চারপাশে আমরা নানান রকম প্লাস্টিক দেখতে পাই। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্রেলিক্স, পলিসটার, সিলিকন, পলিউইরেথিন, হ্যালোজেনেটেড প্লাস্টিক ইত্যাদি। মূলত প্লাস্টিকের মূল প্রকারভেদ হয় দুটি বিভাগেঃ থার্মোপ্লাস্টিক (যে প্লাস্টিক একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তার আকৃতি পরিবর্তন করে এবং শীতল হয়ে সেই আকারের কঠিন আকৃতি ধারন করে) এবং থার্মোসেটিং প্লাস্টিক (এটা মূলত পেট্রো ক্যামিক্যাল যা ২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা তার উপরে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নির্দিষ্ট রূপে প্লাস্টিক যৌগ গঠন করে)।
 ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক
আমাদের চারিপাশের দৃশ্যমান প্লাস্টিক পণ্যের সবগুলোই কিন্তু পেট্রোলিয়াম বা প্রাকৃতিক গ্যাস হতে সৃষ্ট। তাই বলে সকল প্লাস্টিক সমগোত্রীয়? আপনার পানীয় বোতল আর গাড়ির টায়ার? আসলে না, মূল গঠন উপাদান কার্বন যৌগ হলেও বিস্তর ফারাক রয়েছে উপরোক্ত দুটি পণ্যে। আজকের দিনে “ফুড গ্রেড প্লাস্টিক” শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশী পরিচিত, তাই না? আসলে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক কি? ফুড গ্রেড প্লাস্টিক মূলত এইচডিপিই (উচ্চ ঘনত্বের পলি ইথিলিন) যা দীর্ঘ সময়ব্যাপী ১১০ ডিগ্রী তাপমাত্রা পর্যন্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম। আরেক ধরণের ফুড গ্রেড প্লাস্টিক আছে যার নামের সাথে আমরা অধিক পরিচিত, তা হল পেট (পিইটি), পলি ইথিলিন টেরিফেলেট, সাধারন পানীয় যে বোতলে থাকে। এই পেট প্লাস্টিক হল বহুল ব্যবহৃত প্লাস্টিক যা খাদ্য সংরক্ষন এবং পরিবেশনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কিন্তু, আমারা না বুঝেই দিনের পর দিন এই সব প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে থাকি। অনেকে তো বাচ্চার দুধ ভর্তি প্লাস্টিকের ফিডিং বোতলটাই গরম করে বসেন। প্লাস্টিক বোতলের এমন যথেচ্ছ ব্যবহার আদপেও কি স্বাস্থ্যকর? এ বিষয়ে বাছ-বিচার আমরা করি না। তাই প্লাস্টিক বোতলের তলায় থাকা ত্রিকোণ চিহ্নের মানেটা বুঝে নিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে নিমেষে।

Plastic Bottle Symbols
ত্রিকোণ চিহ্ন— এটা আসলে প্লাস্টিক বোতলের চারিত্রিক ইনডেক্স। এই চিহ্নটা থাকলে বোঝা যায় বোতলটি বিধিসম্মতভাবে তৈরি। কিন্তু, বোতলটা ব্যবহারের কতটা নির্ভরযোগ্য বা কী ধরনের জিনিস তাতে রাখা যাবে, তা ত্রিকোণ চিহ্নের মধ্যে থাকা সংখ্যা দ্বারা বোঝা যায়।
১. ত্রিকোণের মাঝে ১ সংখ্যা থাকলে— এর মানে বোতলটি একবারই মাত্র ব্যবহার করা যাবে এবং বোতলটিতে পলিথিলিন টেরেপথ্যালেট প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধরনের বোতল বহুব্যবহারে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষ‌তিকারক।পানির বোতলে এ ধরণের প্লাষ্টিক ব্যবহার করা হয়।

২. ত্রিকোণের মধ্যে ২ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক বোতলে ঘন পলিথিন ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট রাখার ক্ষেত্রে এই ধরনের বোতল ব্যবহার হয়।
এটি  HDPE (হাই ডেনসিটি পলিইথিলিন) :
 তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ২৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট

৩. ত্রিকোণের মধ্যে ৩ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের বোতল বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এই বোতল তৈরি হয় ‘পোলিভিনিল ক্লোরাইড’ বা ‘পিভিসি’ থেকে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ‘পিনাট বাটার’ রাখতে এই বোতল ব্যবহার করা হয়।

৪. ত্রিকোণের মধ্যে ৪ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক বহু ব্যবহারের উপযোগী। বিশেষ করে, প্লাস্টিকের প্যাকেটে এই চিহ্ন প্রচুর দেখা যায়। খুব দামি বোতলে এই চিহ্ন থাকে।
 ইহা LDPE (লো ডেনসিটি পলিইথিলিন)
তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ১৭৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট।
 ৫. ত্রিকোণের মধ্যে ৫ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক একদম নিরাপদ এবং ব্যবহারের যোগ্য। আইক্রিম কাপ বা সিরাপের বোতল অথবা খাবারের কন্টেনারে এই ধরনের চিহ্ন দেখা যায়।
এটি Polyporpelene (পলি প্রোপেলিন)
 তাপমাত্রা সহনশীলতা সীমা ২৭৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট।

৬. ত্রিকোণের মধ্যে ৬ অথবা ৭ সংখ্যা থাকলে— প্লাস্টিকের রেড কার্ড বলা হয় একে। এই ধরনের প্লাস্টিক মারাত্মক রকমের ক্ষতিকারক। কারণ এই ধরনের প্লাস্টিক তৈরি হয় পলিস্টিরিন এবং পলিকার্বনেট বিসপেনল-এ। এটা মানুষের মধ্যে হরমোন সমস্যা তৈরি করে। ক্রমাগত এই ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ায়।

Tuesday, July 26, 2016

ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার ৫ উপায়



ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার উপায়
ফেসবুককে যতটা পছন্দ করেন তার চেয়েও বেশি সময় কাটানো হয় এখানে কিন্তু অধিকাংশ ব্যবহারকারীরাই এর সেটিংস সম্পর্কে বেশি ধারণা রাখেন না ফলে তাদের প্রোফাইলগুলো অনিরাপদ থেকে যায় এখানে ফেসবুকে সর্বোচ্চ নিরাপদ করতে নিন বিশেষ কিছু পরামর্শ

. লগ ইন অ্যালার্ট ব্যবহার করুন : কেউ যদি আপনার ফেসবুক আইডিতে লগ ইন করার চেষ্টা করেন, তবে আপনাকে জানান দেবে ফেসবুক। এর জন্য ফেসবুকে লগ ইন করে Settings মেনুতে যান। Security তে ক্লিক করে login Alerts এ গিয়ে এডিট করুন। Get notifications এবংText login alerts to  ইমেইল লগ ইন অ্যালার্ট চালু করুন। এটি সেভ করুন। কেউ আপনার অগোচরে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চাইলে তার তথ্য দেবে ফেসবুক। প্রতিবারই লগইন করলে অ্যালার্ট পাবেন। ছাড়া নির্দিষ্ট যন্ত্র থেকে লগইন করার বিষয়টিও ঠিক করে রাখতে পারবেন। নতুন কোনো ব্রাউজার থেকে নতুন যন্ত্রের লগইন করার সময় ফেসবুক এটাকে মনে রাখবে কিনা তা জানতে চাইবে। করতে চাইলে সেব ব্রাউজার করতে হবে

. রিকোয়েস্ট লগইন অ্যাপ্রোভালস : নিজের অ্যাকাউন্টে কিভাবে লগইন করবেন তাও নজরদারি করে ফেসবুক। কয়েকটি পদক্ষেপ নিলেই আগের অব্যবহৃত কোনো যন্ত্র থেকে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টেল লগইন করলে তা দেখবে ফেসবুক। Security সেটিংস- গিয়েরিকোয়ার সিকিউরিটি কোড টু অ্যাকসেস মাই অ্যাকাউন্ট ফ্রম আননোন ব্রাউজারসলেখা বক্সে ক্লিক করুন। একটি সিকিউরিটি কোড পাওয়ার জন্য লিখিত নির্দেশনা অনসরণ করুন এবং পাসওয়ার্ড পুনরায় দিন। রিকোয়েস্টটি নিশ্চিতকরণের পর একটি বক্স পপ আপ হবে যাতে প্রক্রিয়াটি সম্পন্নের বিষয়ে তথ্য দেওয়া থাকবে। এখানেনো থ্যাঙ্কস, রিকোয়ার কোড রাইট অ্যাওয়েলেখা বক্সে ক্লিক করতে হবে

. বাড়তি কোড হাতে রাখুন : লগইন অ্যাপ্রোভালস চালু করলে নতুন স্থান থেকে লগ করার সময় নিরাপত্তা কোড চাইবে। এটা টেক্সটের মাধ্যমে বা কোড ডেনারেটর শাখা থেকে তা উদ্ধার করতে হবে। যদি ফোন বা ট্যাবে প্রবেশ করতে না পারেন, তারপরও লগইন করতে কোড লাগবে আপনার। এর জন্য ফেসবুক ১০টি এলোমেলো কোড দেবে আপনাকে। এসব কোডের যে তালিকা দেখাবে তা প্রিন্ট করে রেখে দিন

. কোথায় লগইন এবং লগ আউট করেছিলেন তা খেয়াল রাখুন : যদি অন্য কোনো যন্ত্র থেকে ফেসবুকে প্রবেশ করেন এবং লগ আউট করতে ভুলে যান, তবে যে কেউ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারেন। নিজের ব্রাউজার থেকে ফেসবুক সিকিউরিটি সেটিংস-হোয়ার ইউ আর লগড ইন’- যান। আপনার সাম্প্রতিক লগইন তালিকাটি দেখুন
যদি কারো জন্য ফোন ইমেইলে অ্যাকসেস না পান তবে সিকিউরিটি কোডের দরকার নেই। ফেসবুকের কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে লগইন কোড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি দুজন দুজনের বিশ্বস্ত হয়ে থাকেন, তবে দারুণ মিলবে। লিগেসি কন্ট্যাক্টস পৃথক বিষয়। কারো অবর্তমানে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দেখাশোনা করতে বৈধ অনুমতি লাগবে। লিগেসি কন্ট্যাক্টটি টাইমলাইনে পিন করে রাখা যাবে। এতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট বা প্রোফাইলের ছবি আপডেট হয়ে যাবে। এমনকি একটি সময়ের পর অ্যাকাউন্টটি মুছেও ফেলা যাবে। এসব কাজ সিকিউরিটি সেটিংস-এর ট্রাস্টেড কন্ট্যাক্টস অ্যান্ড লিগেসি কন্ট্যাক্টস-এর অধীনে সম্পন্ন করা সম্ভব