Showing posts with label বিজ্ঞান কল্পকাহিনী-Science Fiction. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান কল্পকাহিনী-Science Fiction. Show all posts

Thursday, October 15, 2015

একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ

একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ

 (বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী)

খাজা আলী অামজাদ মাহবুব

       আজকে যে কম্পিউটারটা সারাতে নিয়ে এলেন সেটার সি পি ইউ স্লটটা ছিল এলোমেলো।জিজ্ঞেস করে জানা গেল সি পি ইউ স্লট পরিস্কার করতে গিয়ে এমন হয়েছে ।যার জন্য কম্পিউটার চলছে না ।রিষ্টার্ট হয়ে যাচ্ছে বার বার।অবাক কান্ড সি পি ইউ স্লট কেউ ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে !অদ্ভূত ব্যাপার!

        এখন এই অতি সুক্ষ সি পি ইউ স্লট কিভাবে ঠিক করা যায় তা নিয়ে ভাবনায় পড়লেন স্যামসেদ।
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন বেশ কিছু পিন এলোমেলো হয়ে গেছে আর কিছু পিনের প্রান্ত উপড়ে উপরে চলে এসেছে ।যা ম্যানুয়ালী রিপ্লেজ করা সম্ভবপর নয়।
কি করা যায় ভাবতে গিয়ে মনে পড়লো।
ন্যানো টেকলজির পিঁপড়ে দিয়ে সম্ভব কিনা চিন্তা করে দেখলেন তিনি।
 দেখা যাক চেষ্টা করে।ভাবলেন স্যামসেদ।

      পিঁপড়ে গুলো তার বন্ধু রাব্বী উপহার হিসাবে দিয়েছিল গত সপ্তাহে।সিদ্ধান্ত  মোতাবেক কাজে নেমে পড়লেন স্যামসেদ।দশটি পিঁপড়া।অবিকল সত্যিকার পিঁপড়ের মতো।এগুলো পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ করা হয় একটি বিশেষ বেগুনী রংয়ের লেজার রশ্মির রিমোট টর্চ দিয়ে।পিঁপড়া গুলো বের করলেন বিশেষ বোতল থেকে।চকটকে স্টিল আর সোলার উপাদান দিয়ে তৈরী পিঁপড়া গুলোর রং কালো।সচল হলো বিভিন্ন রংয়ের আলো বের হয় এদের শরীর থেকে।একেক রংয়ের একেক অর্থ।ঝক ঝকে সাদা টাইলস মেঝেতে রাখলেন পিঁপড়ে গুলো ।লেজার টর্চের একটি নাচের প্রোগ্রাম সেট করে সবুজ বোতাম টিপে পিঁপড়ে গুলোর উপড় বেগুনী লেজার রশ্মি ফেললেন।যেনো হঠাত করে ঘুমন্ত পিঁপড়ে গুলো জেগে উঠলো ,নানার রং পল্টিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নাচতে নাচতে হেলে দূলে ছন্দময় ভাবে চলতে লাগলো।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে পিঁপড়ের নাচ দেখতে থাকলেন স্যামসেদ ।যেনো তিনি একটি পিঁপড়ে হয়ে পিঁপড়াদের সাথেই নাচছেন।নাচের সাথে অজানা কোন মোহময় সূরও শুনা যাচ্ছে পিঁপড়া দলটি থেকে।বড় শ্রুতিমধুর সে সূর।মনোরম দৃশ্য ।আবেশে শ্রান্তিময় ঘুম পেয়ে যায়।নাচটা বড় ফানি ও বেশ মজার ।তার মধ্যে একটি পিঁপড়া যেনো নাচে দক্ষ ,মনে হলো অন্যগুলো সেটাকেই অনুস্মরণ করছে।লিডার পিঁপড়া,মনে মনে নাম দিলেন স্যামসেদ।হঠাত মনে হলো যেনো আসল পিঁপড়ে দল বেঁধে নাচছে পিঁপড়ের দলে তিনিও একজন।বড়ই অদ্ভুদ অনুভূতি!কিছু সময় পর কালো পিঁপড়ে গুলো সবুজ হয়ে গেলো অর্থাত তাদের প্রতি নির্দেশিত প্রোগ্রামটি সফল ভাবে শেষ করেছে পিঁপড়ের দল ।অটোমেটিক বোতলে চলে আসলো পিঁপড়ে গুলো ।সেকানেই পড়ে রইলো যেনো মৃত কতোগুলো পিঁপড়ে সুন্দর এত বোতলে পড়ে রয়েছে।

       টর্চটি খুললেন স্যামসাদ।ভিতরের মেমোরি কার্ডটা বের করলেন।মেমোরি রিডারে ডুকিয়ে কম্পিউটারে অপেন করলেন।দেখতে পেলেন সেখানে নতুন কোন ভিডিও প্রোগ্রাম ইনষ্টল করার স্পেস নেই ।দুটি প্রগ্রাম কাট পেষ্ট করে কম্পিউটারে রাখলেন।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভিডিও প্রোগ্রামের ফর্মেট বের করলেন।এইচ টি এম এল এবং ফ্লাশ এর সংমিশ্রণে তৈরী নতুন আবিষ্কৃত  ভিডিও ফর্মেট।এই ফর্মেটের ভিডিও ফর্মেটের বিশেষত্ব হলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ প্রয়োগ করা যায়।হাই রেজোলেশনের ক্যামেরা দিয়ে সি পি ইউ স্লটের উপড় উজ্বল ফলাস লাইট ফেলে  ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দুটি ভিডিও করলেন।প্রথমটি হলো একটি ভাল মাদার বোর্ডের সি পি ইউ এর ভিডিও আর দ্বিতীয়টি এই এলো মেলো হয়ে যাওয়া নষ্ট সি পি ইউ এর ভিডিও ।ভিডিও দুটি টর্চের প্রোগ্রাম ফর্মেটের অনুসারে রূপান্তরিত করলেন স্যামসেদ।
দুটি ভিডিওর সংযোগ স্থলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকোড লেখলেন- “যদি প্রথম ভিডিও সঠিক হয়;তবে দ্বিতীয় ভিডিও সঠিক নয়।অর্থাত প্রথসটি ভাল দ্বিতীয়টি নষ্ট।অতএব,দ্বিতীয়টি মেরামত করে প্রথমটির মতো ভাল করতে হবে।” এবার ভিডিও প্রোগ্রামটি মেমোরি কার্ডে কপি পেষ্ট করলেন।মেমেরী কার্ডটি কার্ড রিডার হতে বের করে এনে টর্চে সেট করলেন।
              পিঁপড়ে গুলোকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সি পি ইউ স্লটে রাখলেন।টর্চে নতুন ইনষ্টলকৃত প্রোগ্রামটি সেট করে পিঁপড়ে গুলোর উপর বেগুনী রেজার রশ্মি ফেললেন।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে দেখতে পেলেন পিঁপড়ে গুলো সি পি ইউ স্লট মেরামতের কাজে লেগে পড়েছে।সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।পিঁপড়েদের সাধারণত নয় গুন বেশী শক্তি থাকে ,এই রোবোট পিঁপড়ে গুলোর যেনো আঠারো গুনের চেয়ে বেশী শক্তি!কিছুক্ষন পর দশটি পিঁপড়ে  বোতলে ফিরে আসলো্।এদের মধ্যে সাতটি পিঁপড়ে সবুজ,অর্থাত এদের কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।দুটি পিঁপড়ে হলুদ,এদের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে।আর একটি পিঁপড়ে লাল,অর্থাত পিঁপড়েটি কাজটি সফল ভাবে করতে পারেনি।স্যামসাদ পূনরায় আগের মতো নির্দেশ দিলেন ।এবার নয়টি পিঁপড়ে সবুজ একটি পিঁপড়ে লাল ।মাদার বের্ডের সমস্যাটা কোথায় ?তিনি মাদার বোর্ডটিকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে  দেখতে পেলেন সবকিছু ঠিক আছে,শুধু একটি পিনের একটি পায়ের অংশ এ্ক বা দুই মাইক্রো মিলিমিটার ফাঁকা যা মাদার বোর্ডে সংযুক্ত হয়নি।হয়তো পিনের সে অংশটা ভেংগে আলাদা হয়ে গেছে।তাই পিঁপড়েটা মেরামত করতে সক্ষম হচ্ছে না।সেটা এতো সুক্ষ কাজ যে ম্যানুয়ালী করা অসম্ভব।

  রোবোট পিঁপড়েদের আবার নির্দেশ দেয় হলো ।এবার একটি অদ্ভুদ ঘটনার সম্মুখিন হয়ে স্যামসাদ হতবাক হয়ে গেলেন।দেখলেন দুইবার ব্যর্থ লাল সিগনালের পিঁপড়াটা তার শরীরের একটি পায়ের ধাতব অংশ গলিয়ে পিনের ফাঁকা স্থানটি ভরাট করে দিয়ে পিনটিকে মেইন বোর্ডের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছে।এর ফলে মেইনবোর্ডটি মেরামত হয়ে গেলেও পিঁপড়েটি পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। অন্য পিঁপড়ে গুলো ধরাধরি করে পঙ্গু পিঁপড়েটিকে নিয়ে এসেছে।এবার দশটি পিঁপড়েই সবুজ।
      স্যামসাদ আরো হতভম্ভ হয়ে গেলেন এই আবিষ্কার করে যে,পঙ্গু পিপড়েটাই দলনেতা।যে সবচেয়ে কঠিন কাজটার দায়িত্ব নিয়েছিল এবং দেহের অংশ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও কাজটি ব্যর্থ হতে দেয়নি।কোম্পানী বলেছে এই রোবোট পিঁপড়ে গুলো ইন্টেলিজেন্ট।কিন্তু এগুলো যে এতোটা ইন্টেলিজেন্ট ভাবতেই পারছেন না স্যামসাদ ।পিঁপড়ে গুলোর নির্মাতা কম্পানীও কি এমনিটি ভাবতে পেরেছিল!?মনে হয় না!

            এখন পিঁপড়ে গুলো আগের মতো নাচে না ।দল নেতা নাচতে পারে না।দলনেতার নাচ অনুস্মরণ করতে পারে না পিঁপড়ে গুলো।দল নেতাকে ঘিরে লাফাতে থাকে ।যেনো তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে,তার কাছে জানতে চাইছে নাচের নির্দেশনা ।

        পিঁপড়ে নেতা যেনো শিখেয়ে দিল –‘নেতাদের আত্ম ত্যাগেই কর্মের সত্যিকারের সফলতা।’
Showing posts with label বিজ্ঞান কল্পকাহিনী-Science Fiction. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান কল্পকাহিনী-Science Fiction. Show all posts

Thursday, October 15, 2015

একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ

একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ

 (বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী)

খাজা আলী অামজাদ মাহবুব

       আজকে যে কম্পিউটারটা সারাতে নিয়ে এলেন সেটার সি পি ইউ স্লটটা ছিল এলোমেলো।জিজ্ঞেস করে জানা গেল সি পি ইউ স্লট পরিস্কার করতে গিয়ে এমন হয়েছে ।যার জন্য কম্পিউটার চলছে না ।রিষ্টার্ট হয়ে যাচ্ছে বার বার।অবাক কান্ড সি পি ইউ স্লট কেউ ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে !অদ্ভূত ব্যাপার!

        এখন এই অতি সুক্ষ সি পি ইউ স্লট কিভাবে ঠিক করা যায় তা নিয়ে ভাবনায় পড়লেন স্যামসেদ।
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন বেশ কিছু পিন এলোমেলো হয়ে গেছে আর কিছু পিনের প্রান্ত উপড়ে উপরে চলে এসেছে ।যা ম্যানুয়ালী রিপ্লেজ করা সম্ভবপর নয়।
কি করা যায় ভাবতে গিয়ে মনে পড়লো।
ন্যানো টেকলজির পিঁপড়ে দিয়ে সম্ভব কিনা চিন্তা করে দেখলেন তিনি।
 দেখা যাক চেষ্টা করে।ভাবলেন স্যামসেদ।

      পিঁপড়ে গুলো তার বন্ধু রাব্বী উপহার হিসাবে দিয়েছিল গত সপ্তাহে।সিদ্ধান্ত  মোতাবেক কাজে নেমে পড়লেন স্যামসেদ।দশটি পিঁপড়া।অবিকল সত্যিকার পিঁপড়ের মতো।এগুলো পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ করা হয় একটি বিশেষ বেগুনী রংয়ের লেজার রশ্মির রিমোট টর্চ দিয়ে।পিঁপড়া গুলো বের করলেন বিশেষ বোতল থেকে।চকটকে স্টিল আর সোলার উপাদান দিয়ে তৈরী পিঁপড়া গুলোর রং কালো।সচল হলো বিভিন্ন রংয়ের আলো বের হয় এদের শরীর থেকে।একেক রংয়ের একেক অর্থ।ঝক ঝকে সাদা টাইলস মেঝেতে রাখলেন পিঁপড়ে গুলো ।লেজার টর্চের একটি নাচের প্রোগ্রাম সেট করে সবুজ বোতাম টিপে পিঁপড়ে গুলোর উপড় বেগুনী লেজার রশ্মি ফেললেন।যেনো হঠাত করে ঘুমন্ত পিঁপড়ে গুলো জেগে উঠলো ,নানার রং পল্টিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নাচতে নাচতে হেলে দূলে ছন্দময় ভাবে চলতে লাগলো।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে পিঁপড়ের নাচ দেখতে থাকলেন স্যামসেদ ।যেনো তিনি একটি পিঁপড়ে হয়ে পিঁপড়াদের সাথেই নাচছেন।নাচের সাথে অজানা কোন মোহময় সূরও শুনা যাচ্ছে পিঁপড়া দলটি থেকে।বড় শ্রুতিমধুর সে সূর।মনোরম দৃশ্য ।আবেশে শ্রান্তিময় ঘুম পেয়ে যায়।নাচটা বড় ফানি ও বেশ মজার ।তার মধ্যে একটি পিঁপড়া যেনো নাচে দক্ষ ,মনে হলো অন্যগুলো সেটাকেই অনুস্মরণ করছে।লিডার পিঁপড়া,মনে মনে নাম দিলেন স্যামসেদ।হঠাত মনে হলো যেনো আসল পিঁপড়ে দল বেঁধে নাচছে পিঁপড়ের দলে তিনিও একজন।বড়ই অদ্ভুদ অনুভূতি!কিছু সময় পর কালো পিঁপড়ে গুলো সবুজ হয়ে গেলো অর্থাত তাদের প্রতি নির্দেশিত প্রোগ্রামটি সফল ভাবে শেষ করেছে পিঁপড়ের দল ।অটোমেটিক বোতলে চলে আসলো পিঁপড়ে গুলো ।সেকানেই পড়ে রইলো যেনো মৃত কতোগুলো পিঁপড়ে সুন্দর এত বোতলে পড়ে রয়েছে।

       টর্চটি খুললেন স্যামসাদ।ভিতরের মেমোরি কার্ডটা বের করলেন।মেমোরি রিডারে ডুকিয়ে কম্পিউটারে অপেন করলেন।দেখতে পেলেন সেখানে নতুন কোন ভিডিও প্রোগ্রাম ইনষ্টল করার স্পেস নেই ।দুটি প্রগ্রাম কাট পেষ্ট করে কম্পিউটারে রাখলেন।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভিডিও প্রোগ্রামের ফর্মেট বের করলেন।এইচ টি এম এল এবং ফ্লাশ এর সংমিশ্রণে তৈরী নতুন আবিষ্কৃত  ভিডিও ফর্মেট।এই ফর্মেটের ভিডিও ফর্মেটের বিশেষত্ব হলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ প্রয়োগ করা যায়।হাই রেজোলেশনের ক্যামেরা দিয়ে সি পি ইউ স্লটের উপড় উজ্বল ফলাস লাইট ফেলে  ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দুটি ভিডিও করলেন।প্রথমটি হলো একটি ভাল মাদার বোর্ডের সি পি ইউ এর ভিডিও আর দ্বিতীয়টি এই এলো মেলো হয়ে যাওয়া নষ্ট সি পি ইউ এর ভিডিও ।ভিডিও দুটি টর্চের প্রোগ্রাম ফর্মেটের অনুসারে রূপান্তরিত করলেন স্যামসেদ।
দুটি ভিডিওর সংযোগ স্থলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকোড লেখলেন- “যদি প্রথম ভিডিও সঠিক হয়;তবে দ্বিতীয় ভিডিও সঠিক নয়।অর্থাত প্রথসটি ভাল দ্বিতীয়টি নষ্ট।অতএব,দ্বিতীয়টি মেরামত করে প্রথমটির মতো ভাল করতে হবে।” এবার ভিডিও প্রোগ্রামটি মেমোরি কার্ডে কপি পেষ্ট করলেন।মেমেরী কার্ডটি কার্ড রিডার হতে বের করে এনে টর্চে সেট করলেন।
              পিঁপড়ে গুলোকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সি পি ইউ স্লটে রাখলেন।টর্চে নতুন ইনষ্টলকৃত প্রোগ্রামটি সেট করে পিঁপড়ে গুলোর উপর বেগুনী রেজার রশ্মি ফেললেন।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে দেখতে পেলেন পিঁপড়ে গুলো সি পি ইউ স্লট মেরামতের কাজে লেগে পড়েছে।সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।পিঁপড়েদের সাধারণত নয় গুন বেশী শক্তি থাকে ,এই রোবোট পিঁপড়ে গুলোর যেনো আঠারো গুনের চেয়ে বেশী শক্তি!কিছুক্ষন পর দশটি পিঁপড়ে  বোতলে ফিরে আসলো্।এদের মধ্যে সাতটি পিঁপড়ে সবুজ,অর্থাত এদের কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।দুটি পিঁপড়ে হলুদ,এদের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে।আর একটি পিঁপড়ে লাল,অর্থাত পিঁপড়েটি কাজটি সফল ভাবে করতে পারেনি।স্যামসাদ পূনরায় আগের মতো নির্দেশ দিলেন ।এবার নয়টি পিঁপড়ে সবুজ একটি পিঁপড়ে লাল ।মাদার বের্ডের সমস্যাটা কোথায় ?তিনি মাদার বোর্ডটিকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে  দেখতে পেলেন সবকিছু ঠিক আছে,শুধু একটি পিনের একটি পায়ের অংশ এ্ক বা দুই মাইক্রো মিলিমিটার ফাঁকা যা মাদার বোর্ডে সংযুক্ত হয়নি।হয়তো পিনের সে অংশটা ভেংগে আলাদা হয়ে গেছে।তাই পিঁপড়েটা মেরামত করতে সক্ষম হচ্ছে না।সেটা এতো সুক্ষ কাজ যে ম্যানুয়ালী করা অসম্ভব।

  রোবোট পিঁপড়েদের আবার নির্দেশ দেয় হলো ।এবার একটি অদ্ভুদ ঘটনার সম্মুখিন হয়ে স্যামসাদ হতবাক হয়ে গেলেন।দেখলেন দুইবার ব্যর্থ লাল সিগনালের পিঁপড়াটা তার শরীরের একটি পায়ের ধাতব অংশ গলিয়ে পিনের ফাঁকা স্থানটি ভরাট করে দিয়ে পিনটিকে মেইন বোর্ডের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছে।এর ফলে মেইনবোর্ডটি মেরামত হয়ে গেলেও পিঁপড়েটি পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। অন্য পিঁপড়ে গুলো ধরাধরি করে পঙ্গু পিঁপড়েটিকে নিয়ে এসেছে।এবার দশটি পিঁপড়েই সবুজ।
      স্যামসাদ আরো হতভম্ভ হয়ে গেলেন এই আবিষ্কার করে যে,পঙ্গু পিপড়েটাই দলনেতা।যে সবচেয়ে কঠিন কাজটার দায়িত্ব নিয়েছিল এবং দেহের অংশ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও কাজটি ব্যর্থ হতে দেয়নি।কোম্পানী বলেছে এই রোবোট পিঁপড়ে গুলো ইন্টেলিজেন্ট।কিন্তু এগুলো যে এতোটা ইন্টেলিজেন্ট ভাবতেই পারছেন না স্যামসাদ ।পিঁপড়ে গুলোর নির্মাতা কম্পানীও কি এমনিটি ভাবতে পেরেছিল!?মনে হয় না!

            এখন পিঁপড়ে গুলো আগের মতো নাচে না ।দল নেতা নাচতে পারে না।দলনেতার নাচ অনুস্মরণ করতে পারে না পিঁপড়ে গুলো।দল নেতাকে ঘিরে লাফাতে থাকে ।যেনো তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে,তার কাছে জানতে চাইছে নাচের নির্দেশনা ।

        পিঁপড়ে নেতা যেনো শিখেয়ে দিল –‘নেতাদের আত্ম ত্যাগেই কর্মের সত্যিকারের সফলতা।’