Showing posts with label সংগৃহীত লেখাগুলো. Show all posts
Showing posts with label সংগৃহীত লেখাগুলো. Show all posts

Tuesday, January 12, 2016

যে ছয়টি ভুলের জন্য সাইবার ক্রাইমের শিকার হন অনেকেই

যে ছয়টি ভুলের জন্য সাইবার ক্রাইমের শিকার হন অনেকেই

সাইবার ক্রাইমের শিকার বেশিরভাগ মানুষ। অনেক সময় সাইবার ক্রিমিনালদের হাত থেকে রেহাই পান না খোদ রক্ষকও। এমন ঘটনাও দুর্লভ নয় দেশে। সব থেকে বড় কথা হল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণও যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু জানেন কি অনেক সময় আমাদের নিজেদের ভুলের জন্যই আমরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে থাকি? তবে এবার এক ঝলকে দেখে নিন কি কি ভুল করে আমরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে পড়ি...

১. সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বন্ধুত্ব বাড়ানো
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে বন্ধু বাড়ানোর একটা প্রবণতা সকলের মধ্যে দেখা যায়। এমনকি অপরিচিত ব্যক্তিকে নিজের প্রোফাইলে স্থান দিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেক অনেকে। এই অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত খুঁটিনাটিও শেয়ার করে ফেলেন অনেকেই। যার ফলেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হন তাঁরা।

২. অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করে
বন্ধুদের পাঠানো কোনও পরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করা। যেমন ধরুন, আপনার প্রোফাইলে আপনার বন্ধুর কাছ থেকে একটি অপরিচিত লিঙ্ক এসেছে। বন্ধুকে জিজ্ঞেস না করেই আপনি সেই লিঙ্কটিতে ক্লিক করলেন। এরপর দেখলেন আপনার প্রোফাইল হ্যাক হয়ে গিয়েছে। তাই অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করার আগে দুবার ভাবুন।

৩. ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি জানানো
অনেক সময় বন্ধু বাড়ানোর চক্করে অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি নিজের প্রোফাইলে দিয়ে দেন। এমনকি মেল আইডি সহ ফোন নম্বরও। এই বিবরণগুলি শেয়ার করে সাইবার ক্রিমিনালদের কাজ কিছুটা সহজই করে দেন অনেকেই।

৪. প্রাইভেসি সেটিং-কে গুরুত্ব না দেওয়া
নিজের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে দেওয়া প্রাইভেসি সেটিং-এর গুরুত্ব অনেকেই দেন না। তাই যে কোনও ব্যক্তির পক্ষেই প্রাইভেসি সেটিং দেখতে পাওয়া খুব সহজ হয়ে যায়। তাই প্রাইভেসি সেটিং-কে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এমনকি নিজের ফটো যাতে অন্যকেউ ডাউনলোড করতে না পারে, তার জন্য ফটোতেই প্রাইভেসি লক করে দেওয়া উচিত।

৫. একই পাসওয়ার্ডের ব্যবহার
জিমেল, ফোন, ফেসবুক, ট্যুইটার, কম্পিউটারের লক সবেতেই একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা কখনওই উচিত নয়। বিভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং দরকার হলে প্রতি মাসে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। না হলে কিন্তু সাইবার ক্রিমিনালদের কাজ কিন্তু অনেক সহজ হয়ে যাবে।

৬. সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার না করা
ফোন, কম্পিউটার এমনকি ট্যাবেতেও সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত। সিকিউরিটি সফটওয়ার ব্যবহার না করলে আপনার গ্যজেটগুলি নিশ্চিত থাকবে না।

সূত্র- ওয়ান নিউজ

Friday, October 9, 2015

Solution of cancer in the body of the elephant! ক্যান্সার রোগের সমাধান হাতির দেহে !


Solution of cancer in the body of the elephant!

 Cancer does not agree elephants.
But the organism has more cells.
  It is a surprise to scientists, forest elephants and the people they do not like the health care system.
  But they are not cancer.
Now, scientists think,
  There is no way to prevent cancer in the body of the elephant.
  They are at the start of the study.
Scientists have already begun to take the research forward.
  American University's pediatric oncologist Dr. iutaha. Joshua Shiphman the cell has been compared to an elephant with human cells.
  It has been shown that these huge creatures cancer cells copy genes are additional 20.
  The genes that repair damaged cells.
Sensing the presence of such material, even if it causes cancer cells to kill the potential of this gene. However, the excess of the p53 genes in cancer has made the elephant can not force it.
  The strong role of the cancer away.
The researchers said,
  For larger animals, cancer is seen to be very low.
  The small size of the spread of cancer in humans or animals, and more.
The p53 genes are more powerful because of the presence of cancer.
  After the birth of his body, the fullness of the p53 genes do not have a special reason.
In this syndrome, Lee-Phramoni. The cancer may increase the chance of an attack.
Shiphman and his fellow researchers examined,
What kind of elephant in the cells react to radiation.
 The reactions of human cells was tested.
All cells that are likely to be affected by the disease, they destroy themselves.
 This is twice the rate of human cells and cells of an elephant waiting.
 Because human cells do not contain this feature happen by selecting the cell and bind to cancer grain.

Source: Fox News

Thursday, October 8, 2015

কালনী নদীতে নৌকা বাইচ Derai,boat race on the river Kalni part-1


নৌকা বাইচ  বাইচ শব্দটি ফারসি যার অর্থ বাজি বা খেলা। নৌকার দাঁড় টানার কসরত ও নৌকা চালনার কৌশল দ্বারা জয়লাভের উদ্দেশ্যে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় দূরত্ব হয় ৬৫০ মিটার। প্রতিটি নৌকায় ৭, ২৫, ৫০ বা ১০০ জন মাঝি বা বৈঠাচালক থাকতে পারে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বাইচ প্রচলিত আছে স্মরণাতীত কাল থেকে।
 বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নদ-নদীর উপস্থিতি প্রবল এবং নৌকা বাইচ এদেশের লোকালয় ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ফসল। নৌ-শিল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় বন্দর ও বাজার গড়ে ওঠে, গড়ে ওঠে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নৌকারিগর ও নৌ-শিল্পী। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নৌকার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। ঢাকা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ ইত্যাদি এলাকায় বাইচের জন্য ব্যবহূত হয় সাধারণত কোশা ধরনের নৌকা। এর গঠন সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট হয়। এর সামনের ও পিছনের অংশ একেবারে সোজা। এটি দেশিয় শাল, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি গাছের কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। টাঙ্গাইল ও পাবনা জেলায় নৌকা বাইচে সরু ও লম্বা দ্রুতগতিসম্পন্ন ছিপ জাতীয় নৌকা ব্যবহূত হয়। এর গঠনও সাধারণত সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট, তবে এর পিছনের দিকটা নদীর পানি থেকে প্রায় ৫ ফুট উঁচু ও সামনের দিকটা পানির সাথে মিলানো থাকে। এর সামনের ও পিছনের মাথায় চুমকির দ্বারা বিভিন্ন রকমের কারুকার্য করা হয়। এটিও শাল, গর্জন, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আজমিরিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে বাইচের জন্য সারেঙ্গি নৌকা ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট লম্বা হয় এবং এর প্রস্থ একটু বেশি (৫ থেকে ৬ ফুট) হয়ে থাকে। এগুলির সামনের ও পিছনের দিকটা হাঁসের মুখের মতো চ্যাপ্টা এবং পানি থেকে ২-৩ ফুট উঁচু থাকে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলার নিম্নাঞ্চল ও সন্দ্বীপে বাইচের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় সাম্পান। এটির গঠন জাহাজের মতো। ঢাকা ও ফরিদপুরে ব্যবহূত হয় গয়না নৌকা। এগুলির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ ফুট এবং মাঝখানটা ৮-৯ ফুট প্রশস্ত। গয়না নৌকার সামনের দিক পানি থেকে ৩ ফুট উঁচু এবং পিছনের দিক ৪-৫ ফুট উঁচু।
মুসলিম যুগের নবাব-বাদশাহগণ নৌকা বাইচের আয়োজন করতেন। অনেক নবাব বা বাদশাহদের জল বা নৌ বাহিনীর দ্বারা নৌকা বাইচ উৎসবের গোড়াপত্তন হয়। পূর্ববঙ্গের ভাটি অঞ্চলে প্রশাসনিক অন্যতম উপায় ছিল নৌশক্তি। বাংলার বারো ভুঁইয়ারা নৌবলে বলিয়ান হয়ে মুগলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। মগ ও হার্মাদ জলদস্যুদের দমন করতেও নৌশক্তি ব্যবহূত হয়েছে। এদের রণবহরে দীর্ঘ আকৃতির ‘ছিপ’ নৌকা থাকত। বর্তমান যুগে সাধারণ নৌকাকেন্দ্রিক ঐ রকম নৌবিহার বা নৌবাহিনী না থাকলেও নৌশক্তির প্রতিযোগিতামূলক আনন্দোৎসব আজও নৌকা বাইচ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে বিরাজমান।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নৌকা বাইচ বিভিন্ন নামে পরিচিত। ড্রাগন বোট রেস, সোয়ান বোট রেস, রোয়িং বোট রেস, কেনীয় ও কাইয়াক বোট রেস ইত্যাদি নামে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের নৌকা বাইচ সাধারণত ভাদ্র-আশ্বিন মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এক সুরে নৌকার প্রতিযোগীরা গান গায় এবং এসব গানের কথায় থাকে প্রায়শ আল্লাহ বা ঈশ্বর ও প্রকৃতির কাছে সাহস সংগ্রহের আবেদন। নৌকার গতি অনুসারে অনেকে নৌকার সুন্দর সুন্দর নাম রাখেন, যেমন ঝড়ের পাখি, পঙ্খিরাজ, সাইমুন, তুফান মেল, ময়ূরপঙ্খি, অগ্রদূত, দীপরাজ, সোনার তরী ইত্যাদি।
নৌকায় ওঠার আগে সবাই পাক-পবিত্র হয়ে একই রঙের রুমাল মাথায় বেঁধে গায়ে গেঞ্জি পরে নেন। দাঁড়িয়ে বৈঠা চালানোর মাঝিরা থাকেন পিছনে, মধ্যে থাকেন নৌকার নির্দেশক। ঢোল-করতাল নিয়ে বাদক আর গায়েনরা নৌকার মধ্যে বসে তালে তালে মাঝিদের উৎসাহ যোগান।
বাংলাদেশে নৌকা বাইচের সংগঠন ও উন্নয়নের জন্য ১৯৭৪ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশন। এই ফেডারেশন সনাতন নৌকা বাইচ ও রোয়িং-এর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এই ফেডারেশন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রোয়িং ফেডারেশনের সদস্য। দেশিয় নৌকা বাইচকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছরই অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, এছাড়াও ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্টেসী-  এস.এম মাহফুজুর রহমান
বাংলাপিডিয়া

Wednesday, October 7, 2015

খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত হচ্ছে

খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত করছে মানুষদের

                    শ্রমিক সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল বলছে, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক ‘নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত’ কাজের মাধ্যমে চাকরিজীবী বা শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
                    শ্রমিকদের কাজের জন্য যেসব ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে অনেকেই তা পায়না।
                     সংগঠনটি বলছে, এর মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে। আর এই প্রবণতা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বাড়ছে।
                     ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের রায় রমেশচন্দ্র বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বঞ্চনার ঘটনা ঘটছে । অনেকে বারো বছর, চৌদ্দ বছর, পনেরো বছর ধরে এভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু স্থায়ী হচ্ছেন না। ফলে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
                   তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রমিকের আইনানুগ নিয়োগপত্র, চাকরির স্থায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা, গ্রাচুইটি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া দরকার। কিন্তু মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে বিশ্বব্যাপী খণ্ডকালীন বা আউট সোর্সিং এর নামে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে।’
মূলত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে মালিক পক্ষ কিংবা নিয়োগদাতাদের লাভ করার মানসিকতাই এর কারণ বলে তিনি জানান।
                    বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেক্টরেই চুক্তিভিত্তিক কিংবা খণ্ডকালীন নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এই কাজগুলোকে Precarious work বা নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ বলা হয়ে থাকে।
এই ‘নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ’ বন্ধের দাবিতে আজ একটি কর্মসূচি পালন করছে ইন্ডাস্ট্রিঅল।

সূত্র: বিবিসি

Saturday, October 3, 2015

প্রেমের সময় বয়স

প্রেমের সময় বয়স

জীবনে সবাই কারো না কারো প্রেমে পড়েন। অনেকের ভাগ্যে এমনও হয়, কাউকে দারুণ ভালোবেসেও তাকে বোঝাতেই পারেন না মনের কথা। কাউকে পছন্দ হয়ে গেলে তার মনোযোগ কেড়ে নেওয়াটা জরুরি হয়ে ওঠে। প্রেম নিবেদনকে তৃপ্তিদায়ক ও সর্বাধিক উপভোগ্য করতে হলে আবেগের প্রদর্শন ও সুযোগের সদ্ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. কেলি তার গবেষণায় বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা অর্পণ সফল করতে হলে সময়জ্ঞানটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
গবেষনায় প্রকাশ পেয়েছে, মানবদেহ পরিচালিত হয় ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ দ্বারা। সূর্যের আলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে আমাদের দেহ এই ছন্দ মেনে চলে। ঘুম এবং যৌনতার সঠিক সময় বের করতে পারলে উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক তৃপ্তি মিলতে পারে। বয়সের সঙ্গেও সার্কাডিয়ান রিদম বদলাতে থাকে। এসব বিষয়ের সঠিক সমন্বয় করতে হয়। বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, বয়সের সঙ্গে প্রেম নিবেদনের সঠিক সময়ের কথা।
.বিশের কোঠায় যাদের বয়স, দিনের যেকোনো সময় তাদের দেহ যৌন চাহিদা অনুভব করতে পারে। ড. কেলি বলেন, এ বয়সীরা যেকোনো সময় সঙ্গী-সঙ্গিনীর সাথে অন্তরঙ্গ হতে পারেন। এ বয়সীরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাত ১টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ায় সর্বাধিক উপকার পাবেন।
.ত্রিশের কোঠা প্রেম ও সেক্স করার স্বর্ণসময়। সূর্যের আলো দেহে টেসস্টোটেরন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। এ বয়সীদের দেহঘড়ি তাদের সকালে জাগিয়ে তোলে। তাদের রাত ৮টার দিকে ডিনার সেরে ফেলা ভালো। মধ্যরাত তাদের বিছানায় যাওয়ার সেরা সময়।
.চল্লিশের কোঠায় যারা আছেন, তাদের জন্যে প্রেম নিবেদনের সেরা সময় রাত ১০টা ২০ মিনিট। গোটা দিন পেরিয়ে এ সময়টাতেই দেহে সর্বাধিক পরিমাণ অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে দেহ অনেক শান্ত ও স্থিত হয়ে আসে। মধ্যরাতের আগেই তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে পারে। ঘুম থেকে ওঠার আদর্শ সময় হবে সকাল ৭টা ৫০ মিনিট।
.পঞ্চাশের কোঠায় বিকেলেই সেক্স সবচেয়ে উপভোগ্য হতে পারে। সকালের ব্যস্ত সময় শুরু হওয়ার জন্যে এ বয়সীদের রাত সাড়ে ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত।
.ষাট বছরে যারা পা রেখেছেন তাদের জন্যে রাত ৮টা উত্তেজনাকর মুহূর্ত হতে পারে। এ বয়সে রাত ১০টার দিকে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এটি ঘুমকে গভীর করে। তাই তাদের সাড়ে ৬টার দিকে ডিনারের কাজ সেরে ফেলা উত্তম।
.সত্তর বছর বয়সে সেক্স মানুষকে তৃপ্তিদায়ক ঘুম ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে পারে। এ বয়সীরা ঘুমের মাঝে বার বার জেগে যেতে পারেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিছানায় গা এলিয়ে দিতে হবে। এদের সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাস্তা করা উচিত। দুপুর শুরু হতেই লাঞ্চ করাটা স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো।

- এ ওয়ান নিউজ

Sunday, September 20, 2015

সেক্স ভিডিও (Sex Video)

 সেক্স ভিডিও (Sex Video)

Sex Video সমাজের মূল্য বোধকে ধ্বংশ করেপ্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংশ করে অশান্তি সৃষ্টি করার ডিজিটাল Virus বলে অভিহিত করা যায় Sex Video কে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সেক্স ভিডিও(Sex Video) শেয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে আরসেক্সুয়াল ব্ল্যাকমেলিংয়নতুন সমস্যা ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর গোটা দেশে ধরনের অপরাধে ৭৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ধৃতদের মধ্যে ১৮-৩০ বছরের তরুণ তরুণীদের সংখ্যাই সব থেকে বেশি
 সাড়ে চারশো জনেরও বেশি যুবক ইন্টারনেটে অশালীন ছবি, ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন ক্রিয়ার সেক্স ভিডিও (Sex Video)ধারণ করে এবং তা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ মনোস্তাত্ত্বিকদের আশঙ্কা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ সামনে না আসার জন্যই এই প্রবণতা আরও বাড়ছে। সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা আবার বলছেন, অভিযোগ করলেও তা লঘু ভাবে দেখার প্রশাসনিক শিথিলতাও এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে
 বিভিন্ন ওয়েবসাইট, টরেন্ট লিঙ্ক, ওয়েব সেক্সটিং সাইট (ওয়েবক্যামের মাধ্যমে সেক্স ভিডিও(Sex Video) শেয়ার করার সাইট)- এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো হোমমেড পর্ন। অর্থাত্কোনও অভিনয় ছাড়াই, গোপন ক্যামেরা অথবা পারস্পরিক বোঝা পড়ার মাধ্যমে যৌনক্রিয়ার দৃশ্য বা ছবি তুলে রাখা
 সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ইন্টারনেটে যত তথ্য আছে, তার মধ্যে ৬০-৭০ শতাংশই হলো পর্নোগ্রাফি অথবা সেমি-পর্নোগ্রাফি সেক্স ভিডিও(Sex Video) প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ধরনের সেক্স-চক্র চালানো বা এমন ব্ল্যাকমেলিং যে শহর, রাজ্যের অলি গলিতে ইন্টারনেটের হাত ধরে ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে, তা মেনে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এই মতামতের সঙ্গে অনেকাংশেই সহমত পুলিশের বড় কর্তারাও।
সেক্স ভিডিও (Sex Video) মূল্যবোধ নষ্ট করে সমাজে ক্ষতের সৃষ্টি করছে ।
 তথ্য সূত্র - ওয়েব সাইড

Wednesday, August 26, 2015

গরীব মানুষও মানুষ

পৃথিবীটা যদি শুধু ধণাঢ্যদের আবাসভূমি হত তবে নিশ্চিত করে বলা যায়, ধরণীটা এত সুন্দরভাবে সাজানো থাকত না ধণীরা অর্থের বিনিময়ে নিজেদেরকে পরিপাটি করিয়ে রাখতে পারে কিন্তু নিজেদের স্বক্ষমতায় পরিপাটি হওয়ার ক্ষমতা বা যোগ্যতা তাদের নেই । বরং অন্য গরীব মানুষদের অক্লান্ত শ্রমের বিনিময়ে তাদের আরাম আয়েশের পারিপাশ্বিক সৗন্দর্য্য গড়ে উঠে ; বর্তমান বিশ্বের ধণীদের বিলাসী জীবন-যাপনে গরীবদের অবদান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত।  একজন বিত্তশালীর  সকাল থেকে শুরু করে ঘুমুতে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এমনকি ঘুমের সময়টাতেও সেবক-সেবিকার সাহায্য লাগে ধণের মাপকাঠিতে ধণাঢ্যদেরও আবার রকমফের আছে উচ্চ বিত্ত, মধ্য বিত্ত আবার কেউ উচ্চ-মধ্য বিত্তের সহ আরও কত কি স্রষ্টাও তার সৃষ্টিতে এমন বৈচিত্র্য দিয়েছেন যাতে মানুষের দ্বারাই মানুষ তার আরাম আয়েশের বিলাশী জীবনের পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারে মাত্র থেকে ১০ শতাংশ মানুষের জন্য পৃথিবীর অবশিষ্ট জনগোষ্ঠী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলছে কেননা জন্মগতভাবেই এমনভাবে সম্পদের বন্টন নির্ধারণ করা হয়েছে যার গন্ডী ছাপিয়ে নবযাত্রার সূচনা করা আদৌ সম্ভব হচ্ছে না বা সম্পদের বৈষম্য  বিদ্যমান থাকছে
এই সম্পদের বৈষম্যের কারণে বিত্তশালীরা আজ প্রভূর ভূমিকায় আর গরীবরা হয়ে যাচ্ছে তাদের গোলাম।বিত্তশালীদের বংশধরেরা উত্তরাধিকারী সূত্রেই পদবী বিত্তের মালিক হচ্ছে অন্যদিকে গরীবের সন্তান জন্ম নিয়েই বিত্তশালী প্রভূদের সেবা যত্ন করার জন্য সহজাত মানষিকতার প্রভাবিত বলয়ের মধ্যে বড় হতে হচ্ছে । সৃষ্টি হচ্ছে নতুন প্রভূ ভৃত্যের সম্পর্ক ।বিলাতি ধনীক শ্রেনী বৃটিশরা দেশ ছেড়ে যাবার সময় তাদের শুভ বুদ্ধির উদয়ের কারণে জমিদারী উচ্ছেদ করার আইন করে জমিদারী উচ্ছেদ করেছেলেন,প্রভূ ভৃত্যের ব্যবধানটা কমিয়ে আনার জন্য ।কিন্তু তা করেও শেষ রক্ষা হয়নি এই নব্য বিত্তশালীদের হাতে গরীবরা আজ গোরাম সম বন্ধী।যাহা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিকে প্রতিবন্ধী করে রাখার নামান্তর।পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের আইন থাকা সত্বেও,সংবিধানে সমান অধিকারের কথা বলা হলেও, ধনীর স্বার্থের অনুকূলে চলছে বাংলাদেশ ।স্বাধীনতার ৪৪ বছর ধরে সেই বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলের মতো বিত্তশালীর পক্ষে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান গুলো অনুকূলে কাজ করে যায় নিরবধি। আর গরীবের ভাগ্য জোটে অযথা হয়রানী ও বঞ্চনা।রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে যুগ-যুগান্তর ধরে এমনভাবে ক্ষমতাধর ধনীদের অনুকূলে জী হুজুর মার্কা করা হয়েছে ।এখন  এই অশুভ অদৃশ্য শৃঙ্খল হতে গরীবদের মুক্ত হবার পথ রুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে ।কারণ পূর্বের দরিদ্র জনগণকে পড়িয়ে দেয়া শৃঙ্খলা থেকে বের হওয়ার পথ বর্তমানের ধনী ক্ষমতাবানেরা নতুন শৃঙ্খলিত শ্রেণী বিন্যাসের বৈসম্য সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থে সচেতন ভাবেই কাজ করেন,যেখানে গরীবের স্বার্থ স্বভাবজাত ভাবে অবহেলিত। তবুও কিছু ধনী বা ক্ষমতাবানের ব্যাতিক্রম উদাহরণ দেখলে আমরা খুশী হই,কিন্তু তা প্রয়োজনের তোলানায় অতি সামান্য অথবা সে ব্যতিক্রমের আড়ালে পরোক্ষ স্বাথের বিষয় টি লোকিয়ে থাকে।যেমন দান করা এমন একিটি বিষয় ডান হাত দান করলে বাম হাত যেনো জানতে না পারে ।কিন্তু ধনীদের দান গ্রহণ করতে গিয়ে গরীবদের প্রাণ যায় এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে ।ধনীরা কি তার দানটি গরীবদের ঘরে পৌঁছে দিতে পারে না । তা কিন্তু করা হয় না ।কারণ ধনীর প্রয়োজন লোকদের কাছে নিজেকে জাহির করা অথবা জনপ্রতিনিধি হবার জন্য এরকম দানের আয়োজন ।এতে মানুষের প্রাণ গেলেও ধনীদের মনে কোন বিকার লক্ষ করা যায় না।
স্রষ্টা মানুষের মধ্যে এমন কতগুলো মানদন্ড নির্ধারণ করে দিয়েছেন।যাতে প্রমাণ হয় মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।এখন এই মানুষকে যদি গরীব হওয়ার কারণে তাকে তার প্রাপ্য সহজাত জীবন ধারনের অধিকার হতে বঞ্চিত করা হয় ,এজন্য গরীব আখ্যায়িত করে তাকে অবহেলা করা হয় ,তবে সেমানুষ সবচেয়ে অপরাধী আর এসমস্ত অপরাধীর কারণে দেশ হয় অভিশপ্ত যা পশ্চদপদতার নামান্তর।যা কোন মতেই কাম্য হতে পারে না এবং আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যারা মানুষের সম-মর্যাদার বৈষম্যের বিরোদ্ধে স্লোগান তুলে জনগণের মাঝে সাড়া ফেলেছিল পরে তারা কথা রাখেনি তাদের স্বার্থের কাছে নীতিবাক্য গুলো বাস্তবায়ন হয়নি বরং বানের জলের মতো ভেসে গিয়েছে  বিত্তশালীদের সীমানায় যেমন অর্থহীনের প্রবেশ নিষেধ তেমনি অর্থহীনদেরকে বৃত্তশালীরা মানুষ বলে বিবেচনা না করার মানসিকতাও দিন দিন বাড়ছে আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথিবীতে হয়ত দাস প্রথা পূণরায় ফিরে আসার সম্ভাবনা কখনও দেখা যাবে না, কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাস প্রথার সমতুল্য কিংবা আরও জঘন্য কিছু ঘৃণ্য প্রথার অনুশীলন করা হচ্ছে সমাজে মানুষ যদিও দিন দিন সভ্যতার নাগাল পেতে ছুঁটছে তবুও বর্বরতা থেকে খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে বলে প্রতীয়মান  হচ্ছে না
গত শতাব্দীতে সাম্য দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম মানুষের মধ্যে সৃষ্ট কৃত্রিম বিভেদ দেখে বলেছিলেন,
 দেখিনু সেদিন রেলে,
 কুলি লে এক বাবু সা তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে !
 চোখ ফেটে এল জল,
এমনি রে জগৎ জুড়িয়া মার খাবে কি দুর্বল’ ?
তখনকার কবির অভিব্যক্তির সাথে বর্তমান বাস্তবতার খুব বেশি পার্থক্য হয়েছে বলে মনে হয় না শুধু স্থান কাল পাত্রের বদল হয়েছে মাত্র।আজো জনগণের প্রত্যাশিত দিন বদল হয়নি। দিনে দিনে মানুষের মধ্যে সম্পদের পার্থক্য যেমন বেড়েছে তেমনি বাড়ছে অমানবিকতা দূরত্ব কমার লক্ষণ অনুপস্থিত কারণ মানুষের মানবিক গুনাবলী ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে এবং এরা যেন যান্ত্রিক যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে ,যেখানে মানবতা বলতে কিছু থাকছে না সর্বব্যাপী এখন কেবল ধণ আহরণ সঞ্চয়ের প্রতিযোগিতা চলছে যার ধণ আছে সে সমাজ রাষ্ট্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মর্যাদা পাচ্ছে  রাষ্ট্রের সুবিধা গুলো আপনাতেই অনুকূলে থাকছে এক্ষেত্রে ধণবানের পেশা কিংবা নীতি-নৈতিকতা কোন বাধার সৃষ্টি করছে না তাইতো কিছুটা বাস্তববাদীরা সাহস করেই উচ্চারণ করেছে, টাকাই দ্বীতিয় ঈশ্বর ধনীদের একটাই লক্ষ্য টাকা চাই, অঢেল টাকা টাকা আয়ের এই প্রতিযোগীতায় গরীবরা আরো গরীব হচ্ছে।হচ্ছে বৈষম্যের শিকার ।
সম্মান ব্যক্তির নয় বরং পোশাকের-
ফার্সী ভাষার বিখ্যাত কবি শেখ সাদী রচিত বিখ্যাত গল্পটি হয়ত আমরা সকলেই জানি যেখানে অর্ন্তনিহিত গুণ নয় বাহ্যিক পোষাককে মূল্যায়ন করা হয়েছিল বর্তমানের বাস্তবতাও সেই গল্পের মতো, ব্যতিক্রম নয়
 ইসলাম ধর্মে মানুষের মধ্যে সাম্য ভ্রাতৃত্বের কথা দৃঢ়ভাবে ঘোষিত হয়েছে ইসলামের প্রাথমিক যুগে মানুষে মানুষে সাম্যতা ভ্রাতৃত্বের নজিড় স্থাপিত হয়েছিল ইসলামের সে বৈশিষ্ট্য দেখে দলে দলে মানুষ ইসলামের ছায়া তলে আশ্রয় নিয়েছিল
ভালো কাজ/নিয়ম নীতি পৃথিবীতে দীর্ঘস্থায়ী থাকে না,কারণ মানুষের মনোবৃদ্ধি হলো নতুন বিচিত্র কোন কিছু অন্বেষণ করা,যদি তা নিষিদ্ধ ক্ষতিকারক হলেও তাতে মানুষ আকর্ষিত হয়।যেমন করে আদম হাওয়া বেহেস্তের সকল সুযোগ সুবিথা পাওয়া সত্ত্বেও গন্ধম ফলের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলেন মানবতার মুক্তির দুত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রচারিত ইসলামের বয়স মাত্র কয়েকশত বছর পার হতে না হতেই, ইবলিশ চরিত্রের বৈশিষ্ট্য  মানুষের চরিত্রে স্থান পেতে চলেছে।মানুষের মনে ভোগের প্রবৃত্তির  জাগ্রত পশুত্ব ধর্মীয় মূল্যবোধ বিবেককে ঘুম পড়িয়ে রাখতে সদা জাগ্রত যখন মানুষ মানুষকে অর্থের মানদন্ডে সম্মান দেখায়, তখন মানষ শুধু কষ্টের নদীকে আমন্ত্রন জানায়।আর এই ভেবে আত্মতৃপ্তি পায় যে,আমি অমুকের চেয়ে ভাল আছি ।আসলে কেউ ভালতে নেই।
ক্ষেত্রে বিশেষে যার অর্থ আছে তার কাছে গিয়ে সম্বলহীনকে মাথানত করাতে বাধ্য করা হয় এবং সে অর্থহীনকে তাঁর প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা হয় বা তাকে সামান্য সম্মানটুকুও প্রদান করা হয় না সম্বলহীনের সাথে সম্পদশালীর আচার-ব্যবহার দেখলে যেন মনে হয় চতুষ্পদ পশুর সাথে তার রাখালীয় আচরণ করছে বিত্ত হলেই মানুষ ভূলে যায় তার সব দায়িত্ব ,মানবতাবোধ ও সমাজের প্রতিদায়িত্ব অর্থের অহংবোধ তার মনকে চঞ্চল করে প্রকৃত মানবতা হতে তার মনকে রুদ্ধ করে ফেলে। তখন আর গরীব অসহায় মানুষদেরকে মানুষ বলেই মূল্যায়িত করতে তার মন সায় দেয়না।বরং গরীবদের তার মুখাপেক্ষী বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে দেয় । অথচ এই অসহায় গরীব মানুষগুলোই তাকে মহান পূরুষ বলে মনে করে।
মেথর, কুলি, মজুর, ঠেলাওয়ালা, রিকসাওয়ালা, তাঁতী, কামার, কুমোর, জেলে, মুচি, নাপিত, ধোঁপা, মিস্ত্রী, গৃহ-পরিচারিক, ড্রাইভার, হেলপার কিংবা সমজাতীয় পেশাজীবিদের সম্মান দিয়ে কতটুকু কথা বলা হয় ? সামাজিকভাবে এদের সম্মান কতটুকু ,ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার কতোটুকু পায় তারা? কোন স্বার্থে কিংবা কার স্বার্থে এদের জন্য সমাজে সংকীর্ণ সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে ? আদিম বর্বর যুগে দাস-দাসীদের সাথে যেরূপ আচরণ করা হত ;তার চেয়ে খুব ভালো আচরণ কি এই সভ্য যুগে এদের সাথে করা হচ্ছে ? মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় তারা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব যোগ্যতা পেশাগত কারণে ক্ষণিকের জন্য কিছুটা পার্থক্য মেনে নেয়া যেতে পারে কিন্তু সে পার্থক্যকে স্থায়ী রূপ দেয়ার মানসিকতা হীন মানুষের পরিচায়ক নয় কি

প্রাচীন যুগের মহামতি দার্শনিক প্লেটো তার কল্পিত কল্যান রাষ্ট্রে সকল মানুষকে সম-মর্যাদা প্রদানের পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু তখন তা বাস্তবায়ণ সম্ভব হয়নি আজও হয়ত তা সম্ভব হবে না কিন্তু যতটুকু দরকার ততটুকু পরিবর্তন করার বাস্তবিক প্রচেষ্টা থাকা জরুরী সে পরিবর্তন আমাদেরকেই আনতে হবে এজন্য দরকার মানবিক গুনাবলির বিকাশের জন্য সঠিক চিন্তা ধারার অন্বেষণ যে সত্য অন্বেষণে ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সাম্য-ভ্রাতৃত্ব পূণঃপ্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে যেখানে রাজা-প্রজায় কোন ভেদাভেদ থাকবে না সবার প্রথম পরিচয় হবে মানুষ তারপর দরকার মানুষের মতো ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার দেয়া । শুধু সচেতনতার মানবিক আচরনের চর্চার মাধ্যমে পরিবর্তন আনা সম্ভব প্রত্যেক ব্যক্তি প্রচেষ্টাতেই মানুষদের নব-দিগন্তের উম্মোচন হওয়া বাঞ্চনীয় কবির মত আমরাও যেন বলতে পারি,
আসিতেছে শুভ দিন,
 দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা
 শুধিতে হইবে ঋণ

তথ্যসূত্র: রাজু আহমেদের ব্লগ হতে সম্পাদিত ।


Showing posts with label সংগৃহীত লেখাগুলো. Show all posts
Showing posts with label সংগৃহীত লেখাগুলো. Show all posts

Tuesday, January 12, 2016

যে ছয়টি ভুলের জন্য সাইবার ক্রাইমের শিকার হন অনেকেই

যে ছয়টি ভুলের জন্য সাইবার ক্রাইমের শিকার হন অনেকেই

সাইবার ক্রাইমের শিকার বেশিরভাগ মানুষ। অনেক সময় সাইবার ক্রিমিনালদের হাত থেকে রেহাই পান না খোদ রক্ষকও। এমন ঘটনাও দুর্লভ নয় দেশে। সব থেকে বড় কথা হল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণও যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু জানেন কি অনেক সময় আমাদের নিজেদের ভুলের জন্যই আমরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে থাকি? তবে এবার এক ঝলকে দেখে নিন কি কি ভুল করে আমরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে পড়ি...

১. সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বন্ধুত্ব বাড়ানো
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে বন্ধু বাড়ানোর একটা প্রবণতা সকলের মধ্যে দেখা যায়। এমনকি অপরিচিত ব্যক্তিকে নিজের প্রোফাইলে স্থান দিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেক অনেকে। এই অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত খুঁটিনাটিও শেয়ার করে ফেলেন অনেকেই। যার ফলেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হন তাঁরা।

২. অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করে
বন্ধুদের পাঠানো কোনও পরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করা। যেমন ধরুন, আপনার প্রোফাইলে আপনার বন্ধুর কাছ থেকে একটি অপরিচিত লিঙ্ক এসেছে। বন্ধুকে জিজ্ঞেস না করেই আপনি সেই লিঙ্কটিতে ক্লিক করলেন। এরপর দেখলেন আপনার প্রোফাইল হ্যাক হয়ে গিয়েছে। তাই অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করার আগে দুবার ভাবুন।

৩. ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি জানানো
অনেক সময় বন্ধু বাড়ানোর চক্করে অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি নিজের প্রোফাইলে দিয়ে দেন। এমনকি মেল আইডি সহ ফোন নম্বরও। এই বিবরণগুলি শেয়ার করে সাইবার ক্রিমিনালদের কাজ কিছুটা সহজই করে দেন অনেকেই।

৪. প্রাইভেসি সেটিং-কে গুরুত্ব না দেওয়া
নিজের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে দেওয়া প্রাইভেসি সেটিং-এর গুরুত্ব অনেকেই দেন না। তাই যে কোনও ব্যক্তির পক্ষেই প্রাইভেসি সেটিং দেখতে পাওয়া খুব সহজ হয়ে যায়। তাই প্রাইভেসি সেটিং-কে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এমনকি নিজের ফটো যাতে অন্যকেউ ডাউনলোড করতে না পারে, তার জন্য ফটোতেই প্রাইভেসি লক করে দেওয়া উচিত।

৫. একই পাসওয়ার্ডের ব্যবহার
জিমেল, ফোন, ফেসবুক, ট্যুইটার, কম্পিউটারের লক সবেতেই একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা কখনওই উচিত নয়। বিভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং দরকার হলে প্রতি মাসে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। না হলে কিন্তু সাইবার ক্রিমিনালদের কাজ কিন্তু অনেক সহজ হয়ে যাবে।

৬. সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার না করা
ফোন, কম্পিউটার এমনকি ট্যাবেতেও সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত। সিকিউরিটি সফটওয়ার ব্যবহার না করলে আপনার গ্যজেটগুলি নিশ্চিত থাকবে না।

সূত্র- ওয়ান নিউজ

Friday, October 9, 2015

Solution of cancer in the body of the elephant! ক্যান্সার রোগের সমাধান হাতির দেহে !


Solution of cancer in the body of the elephant!

 Cancer does not agree elephants.
But the organism has more cells.
  It is a surprise to scientists, forest elephants and the people they do not like the health care system.
  But they are not cancer.
Now, scientists think,
  There is no way to prevent cancer in the body of the elephant.
  They are at the start of the study.
Scientists have already begun to take the research forward.
  American University's pediatric oncologist Dr. iutaha. Joshua Shiphman the cell has been compared to an elephant with human cells.
  It has been shown that these huge creatures cancer cells copy genes are additional 20.
  The genes that repair damaged cells.
Sensing the presence of such material, even if it causes cancer cells to kill the potential of this gene. However, the excess of the p53 genes in cancer has made the elephant can not force it.
  The strong role of the cancer away.
The researchers said,
  For larger animals, cancer is seen to be very low.
  The small size of the spread of cancer in humans or animals, and more.
The p53 genes are more powerful because of the presence of cancer.
  After the birth of his body, the fullness of the p53 genes do not have a special reason.
In this syndrome, Lee-Phramoni. The cancer may increase the chance of an attack.
Shiphman and his fellow researchers examined,
What kind of elephant in the cells react to radiation.
 The reactions of human cells was tested.
All cells that are likely to be affected by the disease, they destroy themselves.
 This is twice the rate of human cells and cells of an elephant waiting.
 Because human cells do not contain this feature happen by selecting the cell and bind to cancer grain.

Source: Fox News

Thursday, October 8, 2015

কালনী নদীতে নৌকা বাইচ Derai,boat race on the river Kalni part-1


নৌকা বাইচ  বাইচ শব্দটি ফারসি যার অর্থ বাজি বা খেলা। নৌকার দাঁড় টানার কসরত ও নৌকা চালনার কৌশল দ্বারা জয়লাভের উদ্দেশ্যে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় দূরত্ব হয় ৬৫০ মিটার। প্রতিটি নৌকায় ৭, ২৫, ৫০ বা ১০০ জন মাঝি বা বৈঠাচালক থাকতে পারে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বাইচ প্রচলিত আছে স্মরণাতীত কাল থেকে।
 বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নদ-নদীর উপস্থিতি প্রবল এবং নৌকা বাইচ এদেশের লোকালয় ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ফসল। নৌ-শিল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় বন্দর ও বাজার গড়ে ওঠে, গড়ে ওঠে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নৌকারিগর ও নৌ-শিল্পী। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নৌকার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। ঢাকা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ ইত্যাদি এলাকায় বাইচের জন্য ব্যবহূত হয় সাধারণত কোশা ধরনের নৌকা। এর গঠন সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট হয়। এর সামনের ও পিছনের অংশ একেবারে সোজা। এটি দেশিয় শাল, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি গাছের কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। টাঙ্গাইল ও পাবনা জেলায় নৌকা বাইচে সরু ও লম্বা দ্রুতগতিসম্পন্ন ছিপ জাতীয় নৌকা ব্যবহূত হয়। এর গঠনও সাধারণত সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট, তবে এর পিছনের দিকটা নদীর পানি থেকে প্রায় ৫ ফুট উঁচু ও সামনের দিকটা পানির সাথে মিলানো থাকে। এর সামনের ও পিছনের মাথায় চুমকির দ্বারা বিভিন্ন রকমের কারুকার্য করা হয়। এটিও শাল, গর্জন, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আজমিরিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে বাইচের জন্য সারেঙ্গি নৌকা ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট লম্বা হয় এবং এর প্রস্থ একটু বেশি (৫ থেকে ৬ ফুট) হয়ে থাকে। এগুলির সামনের ও পিছনের দিকটা হাঁসের মুখের মতো চ্যাপ্টা এবং পানি থেকে ২-৩ ফুট উঁচু থাকে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলার নিম্নাঞ্চল ও সন্দ্বীপে বাইচের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় সাম্পান। এটির গঠন জাহাজের মতো। ঢাকা ও ফরিদপুরে ব্যবহূত হয় গয়না নৌকা। এগুলির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ ফুট এবং মাঝখানটা ৮-৯ ফুট প্রশস্ত। গয়না নৌকার সামনের দিক পানি থেকে ৩ ফুট উঁচু এবং পিছনের দিক ৪-৫ ফুট উঁচু।
মুসলিম যুগের নবাব-বাদশাহগণ নৌকা বাইচের আয়োজন করতেন। অনেক নবাব বা বাদশাহদের জল বা নৌ বাহিনীর দ্বারা নৌকা বাইচ উৎসবের গোড়াপত্তন হয়। পূর্ববঙ্গের ভাটি অঞ্চলে প্রশাসনিক অন্যতম উপায় ছিল নৌশক্তি। বাংলার বারো ভুঁইয়ারা নৌবলে বলিয়ান হয়ে মুগলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। মগ ও হার্মাদ জলদস্যুদের দমন করতেও নৌশক্তি ব্যবহূত হয়েছে। এদের রণবহরে দীর্ঘ আকৃতির ‘ছিপ’ নৌকা থাকত। বর্তমান যুগে সাধারণ নৌকাকেন্দ্রিক ঐ রকম নৌবিহার বা নৌবাহিনী না থাকলেও নৌশক্তির প্রতিযোগিতামূলক আনন্দোৎসব আজও নৌকা বাইচ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে বিরাজমান।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নৌকা বাইচ বিভিন্ন নামে পরিচিত। ড্রাগন বোট রেস, সোয়ান বোট রেস, রোয়িং বোট রেস, কেনীয় ও কাইয়াক বোট রেস ইত্যাদি নামে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের নৌকা বাইচ সাধারণত ভাদ্র-আশ্বিন মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এক সুরে নৌকার প্রতিযোগীরা গান গায় এবং এসব গানের কথায় থাকে প্রায়শ আল্লাহ বা ঈশ্বর ও প্রকৃতির কাছে সাহস সংগ্রহের আবেদন। নৌকার গতি অনুসারে অনেকে নৌকার সুন্দর সুন্দর নাম রাখেন, যেমন ঝড়ের পাখি, পঙ্খিরাজ, সাইমুন, তুফান মেল, ময়ূরপঙ্খি, অগ্রদূত, দীপরাজ, সোনার তরী ইত্যাদি।
নৌকায় ওঠার আগে সবাই পাক-পবিত্র হয়ে একই রঙের রুমাল মাথায় বেঁধে গায়ে গেঞ্জি পরে নেন। দাঁড়িয়ে বৈঠা চালানোর মাঝিরা থাকেন পিছনে, মধ্যে থাকেন নৌকার নির্দেশক। ঢোল-করতাল নিয়ে বাদক আর গায়েনরা নৌকার মধ্যে বসে তালে তালে মাঝিদের উৎসাহ যোগান।
বাংলাদেশে নৌকা বাইচের সংগঠন ও উন্নয়নের জন্য ১৯৭৪ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশন। এই ফেডারেশন সনাতন নৌকা বাইচ ও রোয়িং-এর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এই ফেডারেশন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রোয়িং ফেডারেশনের সদস্য। দেশিয় নৌকা বাইচকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছরই অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, এছাড়াও ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্টেসী-  এস.এম মাহফুজুর রহমান
বাংলাপিডিয়া

Wednesday, October 7, 2015

খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত হচ্ছে

খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত করছে মানুষদের

                    শ্রমিক সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল বলছে, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক ‘নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত’ কাজের মাধ্যমে চাকরিজীবী বা শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
                    শ্রমিকদের কাজের জন্য যেসব ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে অনেকেই তা পায়না।
                     সংগঠনটি বলছে, এর মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে। আর এই প্রবণতা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বাড়ছে।
                     ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের রায় রমেশচন্দ্র বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বঞ্চনার ঘটনা ঘটছে । অনেকে বারো বছর, চৌদ্দ বছর, পনেরো বছর ধরে এভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু স্থায়ী হচ্ছেন না। ফলে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
                   তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রমিকের আইনানুগ নিয়োগপত্র, চাকরির স্থায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা, গ্রাচুইটি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া দরকার। কিন্তু মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে বিশ্বব্যাপী খণ্ডকালীন বা আউট সোর্সিং এর নামে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে।’
মূলত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে মালিক পক্ষ কিংবা নিয়োগদাতাদের লাভ করার মানসিকতাই এর কারণ বলে তিনি জানান।
                    বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেক্টরেই চুক্তিভিত্তিক কিংবা খণ্ডকালীন নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এই কাজগুলোকে Precarious work বা নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ বলা হয়ে থাকে।
এই ‘নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ’ বন্ধের দাবিতে আজ একটি কর্মসূচি পালন করছে ইন্ডাস্ট্রিঅল।

সূত্র: বিবিসি

Saturday, October 3, 2015

প্রেমের সময় বয়স

প্রেমের সময় বয়স

জীবনে সবাই কারো না কারো প্রেমে পড়েন। অনেকের ভাগ্যে এমনও হয়, কাউকে দারুণ ভালোবেসেও তাকে বোঝাতেই পারেন না মনের কথা। কাউকে পছন্দ হয়ে গেলে তার মনোযোগ কেড়ে নেওয়াটা জরুরি হয়ে ওঠে। প্রেম নিবেদনকে তৃপ্তিদায়ক ও সর্বাধিক উপভোগ্য করতে হলে আবেগের প্রদর্শন ও সুযোগের সদ্ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. কেলি তার গবেষণায় বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা অর্পণ সফল করতে হলে সময়জ্ঞানটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
গবেষনায় প্রকাশ পেয়েছে, মানবদেহ পরিচালিত হয় ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ দ্বারা। সূর্যের আলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে আমাদের দেহ এই ছন্দ মেনে চলে। ঘুম এবং যৌনতার সঠিক সময় বের করতে পারলে উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক তৃপ্তি মিলতে পারে। বয়সের সঙ্গেও সার্কাডিয়ান রিদম বদলাতে থাকে। এসব বিষয়ের সঠিক সমন্বয় করতে হয়। বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, বয়সের সঙ্গে প্রেম নিবেদনের সঠিক সময়ের কথা।
.বিশের কোঠায় যাদের বয়স, দিনের যেকোনো সময় তাদের দেহ যৌন চাহিদা অনুভব করতে পারে। ড. কেলি বলেন, এ বয়সীরা যেকোনো সময় সঙ্গী-সঙ্গিনীর সাথে অন্তরঙ্গ হতে পারেন। এ বয়সীরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাত ১টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ায় সর্বাধিক উপকার পাবেন।
.ত্রিশের কোঠা প্রেম ও সেক্স করার স্বর্ণসময়। সূর্যের আলো দেহে টেসস্টোটেরন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। এ বয়সীদের দেহঘড়ি তাদের সকালে জাগিয়ে তোলে। তাদের রাত ৮টার দিকে ডিনার সেরে ফেলা ভালো। মধ্যরাত তাদের বিছানায় যাওয়ার সেরা সময়।
.চল্লিশের কোঠায় যারা আছেন, তাদের জন্যে প্রেম নিবেদনের সেরা সময় রাত ১০টা ২০ মিনিট। গোটা দিন পেরিয়ে এ সময়টাতেই দেহে সর্বাধিক পরিমাণ অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে দেহ অনেক শান্ত ও স্থিত হয়ে আসে। মধ্যরাতের আগেই তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে পারে। ঘুম থেকে ওঠার আদর্শ সময় হবে সকাল ৭টা ৫০ মিনিট।
.পঞ্চাশের কোঠায় বিকেলেই সেক্স সবচেয়ে উপভোগ্য হতে পারে। সকালের ব্যস্ত সময় শুরু হওয়ার জন্যে এ বয়সীদের রাত সাড়ে ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত।
.ষাট বছরে যারা পা রেখেছেন তাদের জন্যে রাত ৮টা উত্তেজনাকর মুহূর্ত হতে পারে। এ বয়সে রাত ১০টার দিকে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এটি ঘুমকে গভীর করে। তাই তাদের সাড়ে ৬টার দিকে ডিনারের কাজ সেরে ফেলা উত্তম।
.সত্তর বছর বয়সে সেক্স মানুষকে তৃপ্তিদায়ক ঘুম ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে পারে। এ বয়সীরা ঘুমের মাঝে বার বার জেগে যেতে পারেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিছানায় গা এলিয়ে দিতে হবে। এদের সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাস্তা করা উচিত। দুপুর শুরু হতেই লাঞ্চ করাটা স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো।

- এ ওয়ান নিউজ

Sunday, September 20, 2015

সেক্স ভিডিও (Sex Video)

 সেক্স ভিডিও (Sex Video)

Sex Video সমাজের মূল্য বোধকে ধ্বংশ করেপ্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংশ করে অশান্তি সৃষ্টি করার ডিজিটাল Virus বলে অভিহিত করা যায় Sex Video কে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সেক্স ভিডিও(Sex Video) শেয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে আরসেক্সুয়াল ব্ল্যাকমেলিংয়নতুন সমস্যা ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর গোটা দেশে ধরনের অপরাধে ৭৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ধৃতদের মধ্যে ১৮-৩০ বছরের তরুণ তরুণীদের সংখ্যাই সব থেকে বেশি
 সাড়ে চারশো জনেরও বেশি যুবক ইন্টারনেটে অশালীন ছবি, ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন ক্রিয়ার সেক্স ভিডিও (Sex Video)ধারণ করে এবং তা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ মনোস্তাত্ত্বিকদের আশঙ্কা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ সামনে না আসার জন্যই এই প্রবণতা আরও বাড়ছে। সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা আবার বলছেন, অভিযোগ করলেও তা লঘু ভাবে দেখার প্রশাসনিক শিথিলতাও এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে
 বিভিন্ন ওয়েবসাইট, টরেন্ট লিঙ্ক, ওয়েব সেক্সটিং সাইট (ওয়েবক্যামের মাধ্যমে সেক্স ভিডিও(Sex Video) শেয়ার করার সাইট)- এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো হোমমেড পর্ন। অর্থাত্কোনও অভিনয় ছাড়াই, গোপন ক্যামেরা অথবা পারস্পরিক বোঝা পড়ার মাধ্যমে যৌনক্রিয়ার দৃশ্য বা ছবি তুলে রাখা
 সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ইন্টারনেটে যত তথ্য আছে, তার মধ্যে ৬০-৭০ শতাংশই হলো পর্নোগ্রাফি অথবা সেমি-পর্নোগ্রাফি সেক্স ভিডিও(Sex Video) প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ধরনের সেক্স-চক্র চালানো বা এমন ব্ল্যাকমেলিং যে শহর, রাজ্যের অলি গলিতে ইন্টারনেটের হাত ধরে ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে, তা মেনে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এই মতামতের সঙ্গে অনেকাংশেই সহমত পুলিশের বড় কর্তারাও।
সেক্স ভিডিও (Sex Video) মূল্যবোধ নষ্ট করে সমাজে ক্ষতের সৃষ্টি করছে ।
 তথ্য সূত্র - ওয়েব সাইড

Wednesday, August 26, 2015

গরীব মানুষও মানুষ

পৃথিবীটা যদি শুধু ধণাঢ্যদের আবাসভূমি হত তবে নিশ্চিত করে বলা যায়, ধরণীটা এত সুন্দরভাবে সাজানো থাকত না ধণীরা অর্থের বিনিময়ে নিজেদেরকে পরিপাটি করিয়ে রাখতে পারে কিন্তু নিজেদের স্বক্ষমতায় পরিপাটি হওয়ার ক্ষমতা বা যোগ্যতা তাদের নেই । বরং অন্য গরীব মানুষদের অক্লান্ত শ্রমের বিনিময়ে তাদের আরাম আয়েশের পারিপাশ্বিক সৗন্দর্য্য গড়ে উঠে ; বর্তমান বিশ্বের ধণীদের বিলাসী জীবন-যাপনে গরীবদের অবদান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত।  একজন বিত্তশালীর  সকাল থেকে শুরু করে ঘুমুতে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এমনকি ঘুমের সময়টাতেও সেবক-সেবিকার সাহায্য লাগে ধণের মাপকাঠিতে ধণাঢ্যদেরও আবার রকমফের আছে উচ্চ বিত্ত, মধ্য বিত্ত আবার কেউ উচ্চ-মধ্য বিত্তের সহ আরও কত কি স্রষ্টাও তার সৃষ্টিতে এমন বৈচিত্র্য দিয়েছেন যাতে মানুষের দ্বারাই মানুষ তার আরাম আয়েশের বিলাশী জীবনের পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারে মাত্র থেকে ১০ শতাংশ মানুষের জন্য পৃথিবীর অবশিষ্ট জনগোষ্ঠী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলছে কেননা জন্মগতভাবেই এমনভাবে সম্পদের বন্টন নির্ধারণ করা হয়েছে যার গন্ডী ছাপিয়ে নবযাত্রার সূচনা করা আদৌ সম্ভব হচ্ছে না বা সম্পদের বৈষম্য  বিদ্যমান থাকছে
এই সম্পদের বৈষম্যের কারণে বিত্তশালীরা আজ প্রভূর ভূমিকায় আর গরীবরা হয়ে যাচ্ছে তাদের গোলাম।বিত্তশালীদের বংশধরেরা উত্তরাধিকারী সূত্রেই পদবী বিত্তের মালিক হচ্ছে অন্যদিকে গরীবের সন্তান জন্ম নিয়েই বিত্তশালী প্রভূদের সেবা যত্ন করার জন্য সহজাত মানষিকতার প্রভাবিত বলয়ের মধ্যে বড় হতে হচ্ছে । সৃষ্টি হচ্ছে নতুন প্রভূ ভৃত্যের সম্পর্ক ।বিলাতি ধনীক শ্রেনী বৃটিশরা দেশ ছেড়ে যাবার সময় তাদের শুভ বুদ্ধির উদয়ের কারণে জমিদারী উচ্ছেদ করার আইন করে জমিদারী উচ্ছেদ করেছেলেন,প্রভূ ভৃত্যের ব্যবধানটা কমিয়ে আনার জন্য ।কিন্তু তা করেও শেষ রক্ষা হয়নি এই নব্য বিত্তশালীদের হাতে গরীবরা আজ গোরাম সম বন্ধী।যাহা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিকে প্রতিবন্ধী করে রাখার নামান্তর।পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের আইন থাকা সত্বেও,সংবিধানে সমান অধিকারের কথা বলা হলেও, ধনীর স্বার্থের অনুকূলে চলছে বাংলাদেশ ।স্বাধীনতার ৪৪ বছর ধরে সেই বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলের মতো বিত্তশালীর পক্ষে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান গুলো অনুকূলে কাজ করে যায় নিরবধি। আর গরীবের ভাগ্য জোটে অযথা হয়রানী ও বঞ্চনা।রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে যুগ-যুগান্তর ধরে এমনভাবে ক্ষমতাধর ধনীদের অনুকূলে জী হুজুর মার্কা করা হয়েছে ।এখন  এই অশুভ অদৃশ্য শৃঙ্খল হতে গরীবদের মুক্ত হবার পথ রুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে ।কারণ পূর্বের দরিদ্র জনগণকে পড়িয়ে দেয়া শৃঙ্খলা থেকে বের হওয়ার পথ বর্তমানের ধনী ক্ষমতাবানেরা নতুন শৃঙ্খলিত শ্রেণী বিন্যাসের বৈসম্য সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থে সচেতন ভাবেই কাজ করেন,যেখানে গরীবের স্বার্থ স্বভাবজাত ভাবে অবহেলিত। তবুও কিছু ধনী বা ক্ষমতাবানের ব্যাতিক্রম উদাহরণ দেখলে আমরা খুশী হই,কিন্তু তা প্রয়োজনের তোলানায় অতি সামান্য অথবা সে ব্যতিক্রমের আড়ালে পরোক্ষ স্বাথের বিষয় টি লোকিয়ে থাকে।যেমন দান করা এমন একিটি বিষয় ডান হাত দান করলে বাম হাত যেনো জানতে না পারে ।কিন্তু ধনীদের দান গ্রহণ করতে গিয়ে গরীবদের প্রাণ যায় এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে ।ধনীরা কি তার দানটি গরীবদের ঘরে পৌঁছে দিতে পারে না । তা কিন্তু করা হয় না ।কারণ ধনীর প্রয়োজন লোকদের কাছে নিজেকে জাহির করা অথবা জনপ্রতিনিধি হবার জন্য এরকম দানের আয়োজন ।এতে মানুষের প্রাণ গেলেও ধনীদের মনে কোন বিকার লক্ষ করা যায় না।
স্রষ্টা মানুষের মধ্যে এমন কতগুলো মানদন্ড নির্ধারণ করে দিয়েছেন।যাতে প্রমাণ হয় মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।এখন এই মানুষকে যদি গরীব হওয়ার কারণে তাকে তার প্রাপ্য সহজাত জীবন ধারনের অধিকার হতে বঞ্চিত করা হয় ,এজন্য গরীব আখ্যায়িত করে তাকে অবহেলা করা হয় ,তবে সেমানুষ সবচেয়ে অপরাধী আর এসমস্ত অপরাধীর কারণে দেশ হয় অভিশপ্ত যা পশ্চদপদতার নামান্তর।যা কোন মতেই কাম্য হতে পারে না এবং আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যারা মানুষের সম-মর্যাদার বৈষম্যের বিরোদ্ধে স্লোগান তুলে জনগণের মাঝে সাড়া ফেলেছিল পরে তারা কথা রাখেনি তাদের স্বার্থের কাছে নীতিবাক্য গুলো বাস্তবায়ন হয়নি বরং বানের জলের মতো ভেসে গিয়েছে  বিত্তশালীদের সীমানায় যেমন অর্থহীনের প্রবেশ নিষেধ তেমনি অর্থহীনদেরকে বৃত্তশালীরা মানুষ বলে বিবেচনা না করার মানসিকতাও দিন দিন বাড়ছে আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথিবীতে হয়ত দাস প্রথা পূণরায় ফিরে আসার সম্ভাবনা কখনও দেখা যাবে না, কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাস প্রথার সমতুল্য কিংবা আরও জঘন্য কিছু ঘৃণ্য প্রথার অনুশীলন করা হচ্ছে সমাজে মানুষ যদিও দিন দিন সভ্যতার নাগাল পেতে ছুঁটছে তবুও বর্বরতা থেকে খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে বলে প্রতীয়মান  হচ্ছে না
গত শতাব্দীতে সাম্য দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম মানুষের মধ্যে সৃষ্ট কৃত্রিম বিভেদ দেখে বলেছিলেন,
 দেখিনু সেদিন রেলে,
 কুলি লে এক বাবু সা তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে !
 চোখ ফেটে এল জল,
এমনি রে জগৎ জুড়িয়া মার খাবে কি দুর্বল’ ?
তখনকার কবির অভিব্যক্তির সাথে বর্তমান বাস্তবতার খুব বেশি পার্থক্য হয়েছে বলে মনে হয় না শুধু স্থান কাল পাত্রের বদল হয়েছে মাত্র।আজো জনগণের প্রত্যাশিত দিন বদল হয়নি। দিনে দিনে মানুষের মধ্যে সম্পদের পার্থক্য যেমন বেড়েছে তেমনি বাড়ছে অমানবিকতা দূরত্ব কমার লক্ষণ অনুপস্থিত কারণ মানুষের মানবিক গুনাবলী ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে এবং এরা যেন যান্ত্রিক যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে ,যেখানে মানবতা বলতে কিছু থাকছে না সর্বব্যাপী এখন কেবল ধণ আহরণ সঞ্চয়ের প্রতিযোগিতা চলছে যার ধণ আছে সে সমাজ রাষ্ট্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মর্যাদা পাচ্ছে  রাষ্ট্রের সুবিধা গুলো আপনাতেই অনুকূলে থাকছে এক্ষেত্রে ধণবানের পেশা কিংবা নীতি-নৈতিকতা কোন বাধার সৃষ্টি করছে না তাইতো কিছুটা বাস্তববাদীরা সাহস করেই উচ্চারণ করেছে, টাকাই দ্বীতিয় ঈশ্বর ধনীদের একটাই লক্ষ্য টাকা চাই, অঢেল টাকা টাকা আয়ের এই প্রতিযোগীতায় গরীবরা আরো গরীব হচ্ছে।হচ্ছে বৈষম্যের শিকার ।
সম্মান ব্যক্তির নয় বরং পোশাকের-
ফার্সী ভাষার বিখ্যাত কবি শেখ সাদী রচিত বিখ্যাত গল্পটি হয়ত আমরা সকলেই জানি যেখানে অর্ন্তনিহিত গুণ নয় বাহ্যিক পোষাককে মূল্যায়ন করা হয়েছিল বর্তমানের বাস্তবতাও সেই গল্পের মতো, ব্যতিক্রম নয়
 ইসলাম ধর্মে মানুষের মধ্যে সাম্য ভ্রাতৃত্বের কথা দৃঢ়ভাবে ঘোষিত হয়েছে ইসলামের প্রাথমিক যুগে মানুষে মানুষে সাম্যতা ভ্রাতৃত্বের নজিড় স্থাপিত হয়েছিল ইসলামের সে বৈশিষ্ট্য দেখে দলে দলে মানুষ ইসলামের ছায়া তলে আশ্রয় নিয়েছিল
ভালো কাজ/নিয়ম নীতি পৃথিবীতে দীর্ঘস্থায়ী থাকে না,কারণ মানুষের মনোবৃদ্ধি হলো নতুন বিচিত্র কোন কিছু অন্বেষণ করা,যদি তা নিষিদ্ধ ক্ষতিকারক হলেও তাতে মানুষ আকর্ষিত হয়।যেমন করে আদম হাওয়া বেহেস্তের সকল সুযোগ সুবিথা পাওয়া সত্ত্বেও গন্ধম ফলের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলেন মানবতার মুক্তির দুত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রচারিত ইসলামের বয়স মাত্র কয়েকশত বছর পার হতে না হতেই, ইবলিশ চরিত্রের বৈশিষ্ট্য  মানুষের চরিত্রে স্থান পেতে চলেছে।মানুষের মনে ভোগের প্রবৃত্তির  জাগ্রত পশুত্ব ধর্মীয় মূল্যবোধ বিবেককে ঘুম পড়িয়ে রাখতে সদা জাগ্রত যখন মানুষ মানুষকে অর্থের মানদন্ডে সম্মান দেখায়, তখন মানষ শুধু কষ্টের নদীকে আমন্ত্রন জানায়।আর এই ভেবে আত্মতৃপ্তি পায় যে,আমি অমুকের চেয়ে ভাল আছি ।আসলে কেউ ভালতে নেই।
ক্ষেত্রে বিশেষে যার অর্থ আছে তার কাছে গিয়ে সম্বলহীনকে মাথানত করাতে বাধ্য করা হয় এবং সে অর্থহীনকে তাঁর প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা হয় বা তাকে সামান্য সম্মানটুকুও প্রদান করা হয় না সম্বলহীনের সাথে সম্পদশালীর আচার-ব্যবহার দেখলে যেন মনে হয় চতুষ্পদ পশুর সাথে তার রাখালীয় আচরণ করছে বিত্ত হলেই মানুষ ভূলে যায় তার সব দায়িত্ব ,মানবতাবোধ ও সমাজের প্রতিদায়িত্ব অর্থের অহংবোধ তার মনকে চঞ্চল করে প্রকৃত মানবতা হতে তার মনকে রুদ্ধ করে ফেলে। তখন আর গরীব অসহায় মানুষদেরকে মানুষ বলেই মূল্যায়িত করতে তার মন সায় দেয়না।বরং গরীবদের তার মুখাপেক্ষী বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে দেয় । অথচ এই অসহায় গরীব মানুষগুলোই তাকে মহান পূরুষ বলে মনে করে।
মেথর, কুলি, মজুর, ঠেলাওয়ালা, রিকসাওয়ালা, তাঁতী, কামার, কুমোর, জেলে, মুচি, নাপিত, ধোঁপা, মিস্ত্রী, গৃহ-পরিচারিক, ড্রাইভার, হেলপার কিংবা সমজাতীয় পেশাজীবিদের সম্মান দিয়ে কতটুকু কথা বলা হয় ? সামাজিকভাবে এদের সম্মান কতটুকু ,ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার কতোটুকু পায় তারা? কোন স্বার্থে কিংবা কার স্বার্থে এদের জন্য সমাজে সংকীর্ণ সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে ? আদিম বর্বর যুগে দাস-দাসীদের সাথে যেরূপ আচরণ করা হত ;তার চেয়ে খুব ভালো আচরণ কি এই সভ্য যুগে এদের সাথে করা হচ্ছে ? মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় তারা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব যোগ্যতা পেশাগত কারণে ক্ষণিকের জন্য কিছুটা পার্থক্য মেনে নেয়া যেতে পারে কিন্তু সে পার্থক্যকে স্থায়ী রূপ দেয়ার মানসিকতা হীন মানুষের পরিচায়ক নয় কি

প্রাচীন যুগের মহামতি দার্শনিক প্লেটো তার কল্পিত কল্যান রাষ্ট্রে সকল মানুষকে সম-মর্যাদা প্রদানের পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু তখন তা বাস্তবায়ণ সম্ভব হয়নি আজও হয়ত তা সম্ভব হবে না কিন্তু যতটুকু দরকার ততটুকু পরিবর্তন করার বাস্তবিক প্রচেষ্টা থাকা জরুরী সে পরিবর্তন আমাদেরকেই আনতে হবে এজন্য দরকার মানবিক গুনাবলির বিকাশের জন্য সঠিক চিন্তা ধারার অন্বেষণ যে সত্য অন্বেষণে ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সাম্য-ভ্রাতৃত্ব পূণঃপ্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে যেখানে রাজা-প্রজায় কোন ভেদাভেদ থাকবে না সবার প্রথম পরিচয় হবে মানুষ তারপর দরকার মানুষের মতো ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার দেয়া । শুধু সচেতনতার মানবিক আচরনের চর্চার মাধ্যমে পরিবর্তন আনা সম্ভব প্রত্যেক ব্যক্তি প্রচেষ্টাতেই মানুষদের নব-দিগন্তের উম্মোচন হওয়া বাঞ্চনীয় কবির মত আমরাও যেন বলতে পারি,
আসিতেছে শুভ দিন,
 দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা
 শুধিতে হইবে ঋণ

তথ্যসূত্র: রাজু আহমেদের ব্লগ হতে সম্পাদিত ।