Thursday, December 3, 2015

নিরাপদ আবাস: গ্রাম না শহর ?

নিরাপদ আবাস: গ্রাম না শহর ?

প্রাথমিক শিক্ষা আর্জনের আমরা পড়তাম, কয়েকটি বাড়ী নিয়ে একটি পাঁড়া হয়। আর কয়েকটি পাড়া নিয়ে একটি গ্রাম হয় ।আগে একটি মৌজার নামে একটি গ্রম হলেও ।বর্তমানে গ্রাম গু্লো নতুন নামে বাড়ছে।যেমন-আদি নাম চান্দপুর হলেও বর্তমানে কৃষি জমির উপর বাড়ন্ত জনসংখ্যার ঘর বাড়ি হচ্চে এবং নতুন গ্রাম হিসাবে উত্তর চান্দপুর ,দক্ষিণ চান্দপুর  ইত্যাদি নামে গ্রামের সংখ্যা বাড়ছে।বাংরাদেশের অধিকাংশ শিশুদের লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় গ্রামে।
সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তিত হয় মানুরেষর জীবন ধারাবাহিকতা।
মানুষদের পার করতে হয় শিশু, কৈশোর, যৌবন কাল।শিক্ষাজীবনে গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় পেরিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে। গ্রামের শিক্ষাজীবন শেষ করে জীবনের লক্ষ অনুযায়ী নিজেদের আরাধ্য বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ভর্তি হতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।বংলাদেশের গ্রামে কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সকল বিশ্ববিদ্যারয় গুলো শহরে অবস্থিত।তাই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য শহরে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন সুযোগ নেই।শুধু শিক্ষা অর্জন নয় ,সকল উন্নত জীবনের ব্যবস্থা শহর কেন্দ্রীক।

তাই সকলের আকাঙ্খা থাকে শহরে একখন্ড জাম কেনার।
কিন্তু শহরের জমির দাম অধ্যাধিক হওয়ায়,সে জমি ক্রয় করার ক্ষমতা অনেকের সাধ্যির বাহিরে।তাইড কেউ কেউ শহর তলীতে জমি কিনছেন।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় -কিছুদিন আগে আমার এক পরিচিত সিলেটের শহরতলিতে এক টুকরো জমি কিনেছেন প্রায় ২০ লাখ টাকা দিয়ে। তার জন্মস্থান সিলেটের সুনামগঞ্জে।তার বাড়ি জেলা সদর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দিরাই উপজেলায়। সেখানে তাদের সুন্দর সুপরিসর  একটি গ্রামের বাড়ি আছে। কিন্তু শহরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব খাড়াপ ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এমতাবস্থায় প্রতিদিন শহরে এসে শিক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, আর জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য উপজেলা বা জেলা সদরে যাওয়া দুরূহ ব্যাপার।উল্লেখ করা যেতে পারে উপজেলার চিকিৎসা সেবার মান যথেষ্ঠ উন্নত নয় এবং উপযুক্ত ডাক্তারের অভাব রয়েছে।  আর তাই সে প্রবাসের কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে সিলেটের শহর তলীতে এক টুকরো জমি কিনেছেন। এখন ভাবছেন জমির ওপর বাড়ি বানানোর অর্থ কোথায় পাবেন! শুধুমাত্র বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে কষ্টে অর্জিত এই টাকা দিয়ে শহরে জমি না কিনে গ্রামে থেকেই শহরে গিয়ে আধুনিক নাগরিক সুবিধা নেয়া যেতো । কষ্টে অর্জত টাকাটা অবদান রাখতে পারতো বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্য কোনো খাতে।
পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের মানুষ শহর থেকে একটু দূরে গ্রামে নিরিবিলিতে বসবাস করতে ভালোবাসেন।যেমন নিউইয়র্ক শহরে মানুষ ২০০ কিলোমিটার দূরে বাস করেও প্রতিদিন অফিস শেষে বাড়ি ফিরতে পারে। উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার জন্যই সেটা সম্ভব হয়।কিন্তু বাংলাদেশে ২৫ কিলোমিটার দূরে থেকেও প্রতিদিন অফিস শেষে বাড়ি ফেরা সম্ভব নয়।যেমন- সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলা হতে শাল্লা উপজেলার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার হলেও প্রতিদিন অফিস শেষে বাড়ি সফেরা সম্ভব নয়।তবুও বাংলাদেশ একটু একটু করে উন্নতি লাভ করছ।কিন্তু তা আজকের বিশ্বায়নের অনুপাতে যথেষ্ঠ নয়।

তাই মানুস শহরমূখী হওয়ার কারণে অধিক জনসংখ্যার ভারে বাংলাদেশের শহরগুলো মানুষদের বসবাসের
অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে।এমতাবন্থায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সহ মানুষদের উন্নত সুযোগ সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন।অন্যথায় বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নতি অর্জন করা সম্ভবপর হবে না।

No comments:

Post a Comment

Thursday, December 3, 2015

নিরাপদ আবাস: গ্রাম না শহর ?

নিরাপদ আবাস: গ্রাম না শহর ?

প্রাথমিক শিক্ষা আর্জনের আমরা পড়তাম, কয়েকটি বাড়ী নিয়ে একটি পাঁড়া হয়। আর কয়েকটি পাড়া নিয়ে একটি গ্রাম হয় ।আগে একটি মৌজার নামে একটি গ্রম হলেও ।বর্তমানে গ্রাম গু্লো নতুন নামে বাড়ছে।যেমন-আদি নাম চান্দপুর হলেও বর্তমানে কৃষি জমির উপর বাড়ন্ত জনসংখ্যার ঘর বাড়ি হচ্চে এবং নতুন গ্রাম হিসাবে উত্তর চান্দপুর ,দক্ষিণ চান্দপুর  ইত্যাদি নামে গ্রামের সংখ্যা বাড়ছে।বাংরাদেশের অধিকাংশ শিশুদের লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় গ্রামে।
সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তিত হয় মানুরেষর জীবন ধারাবাহিকতা।
মানুষদের পার করতে হয় শিশু, কৈশোর, যৌবন কাল।শিক্ষাজীবনে গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় পেরিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে। গ্রামের শিক্ষাজীবন শেষ করে জীবনের লক্ষ অনুযায়ী নিজেদের আরাধ্য বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ভর্তি হতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।বংলাদেশের গ্রামে কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সকল বিশ্ববিদ্যারয় গুলো শহরে অবস্থিত।তাই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য শহরে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন সুযোগ নেই।শুধু শিক্ষা অর্জন নয় ,সকল উন্নত জীবনের ব্যবস্থা শহর কেন্দ্রীক।

তাই সকলের আকাঙ্খা থাকে শহরে একখন্ড জাম কেনার।
কিন্তু শহরের জমির দাম অধ্যাধিক হওয়ায়,সে জমি ক্রয় করার ক্ষমতা অনেকের সাধ্যির বাহিরে।তাইড কেউ কেউ শহর তলীতে জমি কিনছেন।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় -কিছুদিন আগে আমার এক পরিচিত সিলেটের শহরতলিতে এক টুকরো জমি কিনেছেন প্রায় ২০ লাখ টাকা দিয়ে। তার জন্মস্থান সিলেটের সুনামগঞ্জে।তার বাড়ি জেলা সদর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দিরাই উপজেলায়। সেখানে তাদের সুন্দর সুপরিসর  একটি গ্রামের বাড়ি আছে। কিন্তু শহরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব খাড়াপ ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এমতাবস্থায় প্রতিদিন শহরে এসে শিক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, আর জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য উপজেলা বা জেলা সদরে যাওয়া দুরূহ ব্যাপার।উল্লেখ করা যেতে পারে উপজেলার চিকিৎসা সেবার মান যথেষ্ঠ উন্নত নয় এবং উপযুক্ত ডাক্তারের অভাব রয়েছে।  আর তাই সে প্রবাসের কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে সিলেটের শহর তলীতে এক টুকরো জমি কিনেছেন। এখন ভাবছেন জমির ওপর বাড়ি বানানোর অর্থ কোথায় পাবেন! শুধুমাত্র বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে কষ্টে অর্জিত এই টাকা দিয়ে শহরে জমি না কিনে গ্রামে থেকেই শহরে গিয়ে আধুনিক নাগরিক সুবিধা নেয়া যেতো । কষ্টে অর্জত টাকাটা অবদান রাখতে পারতো বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্য কোনো খাতে।
পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের মানুষ শহর থেকে একটু দূরে গ্রামে নিরিবিলিতে বসবাস করতে ভালোবাসেন।যেমন নিউইয়র্ক শহরে মানুষ ২০০ কিলোমিটার দূরে বাস করেও প্রতিদিন অফিস শেষে বাড়ি ফিরতে পারে। উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার জন্যই সেটা সম্ভব হয়।কিন্তু বাংলাদেশে ২৫ কিলোমিটার দূরে থেকেও প্রতিদিন অফিস শেষে বাড়ি ফেরা সম্ভব নয়।যেমন- সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলা হতে শাল্লা উপজেলার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার হলেও প্রতিদিন অফিস শেষে বাড়ি সফেরা সম্ভব নয়।তবুও বাংলাদেশ একটু একটু করে উন্নতি লাভ করছ।কিন্তু তা আজকের বিশ্বায়নের অনুপাতে যথেষ্ঠ নয়।

তাই মানুস শহরমূখী হওয়ার কারণে অধিক জনসংখ্যার ভারে বাংলাদেশের শহরগুলো মানুষদের বসবাসের
অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে।এমতাবন্থায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সহ মানুষদের উন্নত সুযোগ সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন।অন্যথায় বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নতি অর্জন করা সম্ভবপর হবে না।

No comments:

Post a Comment