Tuesday, October 6, 2015

মহানগরী খানছা -ইবনে বতুতার রোমঞ্চকর অভিযান

ইবনে বতুতার  রোমঞ্চকর অভিযান

মহানগরী খানছা

চীনের কালান থেকে চৌদ্দ দিন পর জয়তুনে ফিরে আসলাম।শুনলাম খানের ফরমান এসে পৌঁছেছে ।ফরমানে আমাদেরকে রাজকীয় মেহমান হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং নদী পথে বা সড়ক পথে যেখান দিয়ে খুশী খানবালিপে যেতে পারব।চীনের বিখ্যাত আবেহায়াত নদী পথেই যাব ঠিক করলাম।
আমাদের যাত্রার জন্য খানের পক্ষ থেকে রাজকীয় নৌকা সজ্জিত করা হলো।প্রয়োজনীয় লোকজনও সাখে দেয়া হলো ।শাহী মেহমান হিসাবে আমরা যাত্রা করলাম এবং দশ দিন পর গাঞ্জালফু নামে এক শহরে এসে পৌঁছলাম।শহরটি বেশ বড় এবং চারটি দূর্গ দ্বারা বেষ্টীত।
গাঞ্জালফুতে পনেরো দিন থেকে আবার আমরা রওয়ানা হলাম এবং নদীপথে চার দিন পর‘বাইওয়াম কুতলু’পৌঁছলাম এরং সেখান থেকে আরোও সতেরো দিন পর খানচা হ্যাংচৌ শহরে এসে পৌঁছলাম।
দুনিয়াতে যতো শহর দেখেছি তার মধ্যে সবচেয়ে বড় শহর হলো এই খানচা হ্যাংচৌ শহর।শহরটি ঘুরে আসতে তিনি দিন লাগে।চীনের অন্যান্য শহরের মতো এখানেও ঘরবাড়ীর সাথে বাগ-বাগিচা রয়েছে।আসলে ছয়টি উপশহর মিলে খানছা মহানগরী গড়ে উঠেছে ।প্রতিটি উপশহর আলাদা আলাদা দূর্গদ্বারা বেষ্টিত।
শহরে পৌঁছে দেখলাম ওখানকার কাজী ফখরদ্দীন ও শেখুল ইসলাম সহকারে খানছার বিশিষ্ট ব্যক্তি ওসমান বিন আরফান মিশরীয় বংশের সন্তানদের নিয়ে ঢোল তবলা ও বাঁশি  বাঁজিয়ে সাদা নিশান উড়িয়ে এসে আমাদের স্বাগত জানালেন।শহরের আমীরও স্বাগত জানালেন।শহরের আমীরও আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে দলবল নিয়ে এলেন।
খানছার ছয়টি উপশহরই আবার একটি বড় দূর্গ দ্বারা ঘেরা।প্রথম উপশহরে প্রহরীরা বসবাস করে।কাজীর কাছে শুনলাম এই প্রহরীদের সংখ্যা প্রায় বারো হাজার।এখানে পৌঁছতে আমাদের রাত হয়ে যায়।তাই প্রহরীদের অধিনায়কের বাড়ীতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
পরদিন আমরা  দ্বিতীয় শহরে গেলাম।এখানকার ইহুদী দরজা দিয়ে এই উপশহরে প্রবেশ করলাম।এই শহরে ইহুদী খিষ্টান সূর্যপূজারী তুর্কীরা বসবাস করে।রাতে এখানকার আমীরের বাড়ীতে আমরা মেহমান হলাম।পরদিন তৃতীয় উপশহরে ডুকলাম।এটি মুসলমানদের এলাকা।এখানে অনেক বাজার ও কয়েকটি মসজিদও রয়েছে।আমরা যখন প্রবেশ করি তখন মোয়াজ্জিনরা যোহরের আযান দিচ্ছিল।এই শহরের  মিশরীয় খানদানের ওসমান নামের এক লোকের বাড়ীতে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হলো।এখানে পনেরো দিন ছিলাম।প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন বাড়ীতে দাওয়াত করা হয়েছে ।এখানে থাকতেই প্রতিদিন ঘোড়ায় চড়ে আমি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছি।।

No comments:

Post a Comment

Tuesday, October 6, 2015

মহানগরী খানছা -ইবনে বতুতার রোমঞ্চকর অভিযান

ইবনে বতুতার  রোমঞ্চকর অভিযান

মহানগরী খানছা

চীনের কালান থেকে চৌদ্দ দিন পর জয়তুনে ফিরে আসলাম।শুনলাম খানের ফরমান এসে পৌঁছেছে ।ফরমানে আমাদেরকে রাজকীয় মেহমান হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং নদী পথে বা সড়ক পথে যেখান দিয়ে খুশী খানবালিপে যেতে পারব।চীনের বিখ্যাত আবেহায়াত নদী পথেই যাব ঠিক করলাম।
আমাদের যাত্রার জন্য খানের পক্ষ থেকে রাজকীয় নৌকা সজ্জিত করা হলো।প্রয়োজনীয় লোকজনও সাখে দেয়া হলো ।শাহী মেহমান হিসাবে আমরা যাত্রা করলাম এবং দশ দিন পর গাঞ্জালফু নামে এক শহরে এসে পৌঁছলাম।শহরটি বেশ বড় এবং চারটি দূর্গ দ্বারা বেষ্টীত।
গাঞ্জালফুতে পনেরো দিন থেকে আবার আমরা রওয়ানা হলাম এবং নদীপথে চার দিন পর‘বাইওয়াম কুতলু’পৌঁছলাম এরং সেখান থেকে আরোও সতেরো দিন পর খানচা হ্যাংচৌ শহরে এসে পৌঁছলাম।
দুনিয়াতে যতো শহর দেখেছি তার মধ্যে সবচেয়ে বড় শহর হলো এই খানচা হ্যাংচৌ শহর।শহরটি ঘুরে আসতে তিনি দিন লাগে।চীনের অন্যান্য শহরের মতো এখানেও ঘরবাড়ীর সাথে বাগ-বাগিচা রয়েছে।আসলে ছয়টি উপশহর মিলে খানছা মহানগরী গড়ে উঠেছে ।প্রতিটি উপশহর আলাদা আলাদা দূর্গদ্বারা বেষ্টিত।
শহরে পৌঁছে দেখলাম ওখানকার কাজী ফখরদ্দীন ও শেখুল ইসলাম সহকারে খানছার বিশিষ্ট ব্যক্তি ওসমান বিন আরফান মিশরীয় বংশের সন্তানদের নিয়ে ঢোল তবলা ও বাঁশি  বাঁজিয়ে সাদা নিশান উড়িয়ে এসে আমাদের স্বাগত জানালেন।শহরের আমীরও স্বাগত জানালেন।শহরের আমীরও আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে দলবল নিয়ে এলেন।
খানছার ছয়টি উপশহরই আবার একটি বড় দূর্গ দ্বারা ঘেরা।প্রথম উপশহরে প্রহরীরা বসবাস করে।কাজীর কাছে শুনলাম এই প্রহরীদের সংখ্যা প্রায় বারো হাজার।এখানে পৌঁছতে আমাদের রাত হয়ে যায়।তাই প্রহরীদের অধিনায়কের বাড়ীতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
পরদিন আমরা  দ্বিতীয় শহরে গেলাম।এখানকার ইহুদী দরজা দিয়ে এই উপশহরে প্রবেশ করলাম।এই শহরে ইহুদী খিষ্টান সূর্যপূজারী তুর্কীরা বসবাস করে।রাতে এখানকার আমীরের বাড়ীতে আমরা মেহমান হলাম।পরদিন তৃতীয় উপশহরে ডুকলাম।এটি মুসলমানদের এলাকা।এখানে অনেক বাজার ও কয়েকটি মসজিদও রয়েছে।আমরা যখন প্রবেশ করি তখন মোয়াজ্জিনরা যোহরের আযান দিচ্ছিল।এই শহরের  মিশরীয় খানদানের ওসমান নামের এক লোকের বাড়ীতে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হলো।এখানে পনেরো দিন ছিলাম।প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন বাড়ীতে দাওয়াত করা হয়েছে ।এখানে থাকতেই প্রতিদিন ঘোড়ায় চড়ে আমি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছি।।

No comments:

Post a Comment