Wednesday, September 30, 2015

তোমার লাগিয়া রে সদাই প্রাণ আমার কান্দে রে

তোমার লাগিয়া রে
সদাই প্রাণ আমার কান্দে বন্ধুরে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
নিদয় নিঠুর রে বন্ধু
তুই তো কূল নাসা।
(আমায়) ফাঁকি দিয়ে ফেলে গেলি রে বন্ধু।
না পুড়াইলি আশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
আগে যদি জানতাম রে বন্ধু
তোর বাড়ি নৈরাশা।
(ও তুই) না জেনে পীড়িতের রীতি রে বন্ধু।
ঘটাইলি দুর্দশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
হৃদয় চিড়িয়া রে দিতাম হৃদয়তে বাসা।
(আমি) তোমায় দেখে স্বাধ মিটাইতাম রে বন্ধু।
খেলতাম প্রেমের পাশা রে বন্ধু
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।

শিল্পীঃ আব্দুল আলীম ,নীনা হামিদ ও রিমি
সুরকারঃ পাওয়া যায় নি
গীতিকারঃকানাই লাল সেন
পল্লীগীতি
Your stick Ray
My soul is always bandhure kande
Kalia Ray soul friend ..
Ray nidaya nithura friend
You are NASA shore.
(Me) out of the stall friend Ray m.
Do not expect a friend Ray puraili
Kalia Ray soul friend ..
Before you knew rays friend
Gloominess your home.
(And you) have not ridden friend Ray genre.
Ray ghataili teen friend
Kalia Ray soul friend ..
Ray heart would hrdayate trip home.
(I) at you mitaitama sbadha friend Ray.
Love played dice rays friend
Kalia Ray soul friend ..

Silpih Abdul Alim, nina Hamid and Rimi
Surakarah found
Gitikarahkanai red Sen
Folk song

Invitation Jasim Uddin- পল্লী কবি পল্লী কবি জসীমউদ্দীন এর কবিতা ‘নিমন্ত্রণ’

Invitation

Jasim Uddin
 
Can you brother - with my will, our small village,

Flourished in the shade of the trees on the forest op apathetic;

I felt sorry for Maya jarajari

More gehakhani are ornaments,

Bukete mother, sister and feet, dear brother, chaya,

Can you brother - with my will, our small village,

Small gamokhani small river runs through admire side,

Black water near his eye majiyache whoever crow;

Boat tied to the brink of the water

Let the news sprawl;

Binasuti wreath gathiche nitui side with citizens;

Right away aniche tatera two curved trap.

You can be my brother, the small village that Kajol,

Let's banana forest intimately; Taya has shut it.

Headphones accelerates pathway sutaya

Pathikere aniche far away,

Forest air, shade, shall hold Taya,

Bukakhani give his full understanding, compassion and mercy!

You can be my brother - the soft grass of the plate

Cambana aim adharakhanite layo niralate table.

Telakuca - Trailer neck, sleeves

Take a lump filled bucolic fringe,

Hethaya aye, you're feeling wild birds,

You see your body rankhani their legs.

If you go into our village, I'm with

He went to the other side of the river with a boat pier.

The field is called to shepherd

Do you give in to the Teleport

Kuriiya continually build our buildings caught in the daytime,

Forget the fake city truly build our city.

If you go - there you see in pea vine,

Beans and lima beans - hands down there with baraile up.

If he is to you - all kuraye

Poraye poraye straw fire,

And as gemdho eat - farmers called invitation,

Bilaiba it up and laughed and laughed, the two up.

If you go - kuraye water lilies, very - very large,

A person who has seen the build wreath,

Karen will not, if you want

Well, it does not give it,

Malatire you lay down, but he's tough,

Paraba evil guys and take by force;

Even going back to the house, the mother wants to bakite,

Some of the seed so that the plan can be happy with him!

Red aloyane up dungcake

Will be bound by the

If you want to get up or not getting a gift from his mind,

I will tell - will bring many Taya kalike matarera spinach.

Get up very early to be doing, suyyi Before,

Karen kabi do not belong to anybody words dekhis feet
Can you brother - with my will, our small village,

Flourished in the shade of the trees on the forest op apathetic;

are involved in tender compassion
My body is full of love

The love of a mother, sister and brother's affection

Can you brother - with my will, our small village,

The small village- small river runs through admire side,

Black water has her beautiful eyes like a crow;
Boat tied to the brink of the water

Let the news sprawl;

There is constant communication with citizens beyond;
There are two main indiscriminate hanging banyan tree

Will you come to my brother, the small beautiful village,


Let's banana forest intimately; There are so shut up.

For small bucolic road traffic

Pedestrians pass away,

Breeze forest, trees, shadow, hold that,

His heart will be filled with thought, compassion and mercy!
You can be my brother - the soft grass of the plate

The aim scratched isolation kiss lip.

Telakuca - Trailer neck, sleeves

Take a lump filled bucolic fringe,

Here you're in love with the wild birds,
See you dressed them in your skin color.
If you go into our village, I'm with

He went to the other side of the river with a boat pier.

The field is called to shepherd

Do you give in to the Teleport

Stoning build our building up throughout the day,

Forget the fake city truly build our city.

If you go - there you see in pea vine,

Beans and lima beans - Ever Increasing hands full down there.
If he is to you - are all gathering

The straw fire burn,

And eat the bacon - called farmers invitation,
We are happy to give it up handfuls of the two.
If you - to collect water lilies, very - very large,

A person who has seen the build wreath,

Karen will not, if you want

Well, it does not give it,

You lay down the pearl, but tough,

And laying the evil guys can take by force;
If you go back home in the evening, if the mother wants to give orders to,
Some of the seed so that the plan can be happy with him!

Red church will gather dungcake

Will be bound by the

If you want to get up or not getting a gift from his mind,

I'll talk to - tomorrow, he will bring a lot of pea plants.
Will wake up very early, before the sun rises,
Do not tell anyone, not one word of warning, leg raises

Rail road full of small bass

Danakine fish to wriggle;

Is given in the middle of the water before stopping the build of mud
Before anyone will know all the fish we caught.
At noon, some mud, and the fish,

I will come back home to sew clothes.

O face - Ray Burns Mother monkey.

Slang - cuddle with mom guilt,

How long will I hear my mother's backside .Give brother;

Would you brother, our village, where lush green trees.

Would you brother, our small village with my Iggy.

Dark forest - the forest-op has given the illusion of compassion.

Flourished in the shade of the trees in the forest

Oh my childhood hiding!

Today, the - I'll get all out,

Would you brother, our little guy with my Iggy.

Will take you back in our self-lid dense forest
Abide not hiding out, the man did not say nothing

Go pick a flower of the field,

Will not be able to recognize the way;

Would asleep in bed when the body is lazy evening,

I have to find the village, call out your name.

Tuesday, September 29, 2015

ইরানের দুই বছরের বিস্ময় বালক

ইরানের দুই বছরের  বিস্ময় বালক

ইরানের বাবল শহরের আরাত হোসেনের বয়স মাত্র দুই বছর। এই বয়সে শিশুরা  ঠিকমতো কথাই বলতে পারে না।সেখানে আরাত শারীরিক অসম্ভব কসরত দেখিয়ে রীতিমতো বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন।
বয়সের তুলনায় তার শারিরীক কসরত অবাক করার মতো । ইরানের মাজানদারান প্রদেশের বাবল শহরে বাস করেন আরাতের পরিবার। ডিগবাজি, ইটের দেয়াল বেয়ে ওপরে ওঠা কিংবা দুই হাত মাটিতে ভর দিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে রাখা সহ নানা কসরত দেখাতে বেশ পারদর্শী আরাত। কঠিন সব ব্যায়ামের কৌশল দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই শিশু। ইতোমধ্যে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকেও ডাক এসেছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি চ্যানেলে দেখিয়েছেন তার শারীরিক কসরত।পেয়ে গেছে তারকা খ্যাতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দুই বছরের আরাতের ফলোয়াড় সংখ্যা ১৯ হাজারের কোটায়। ছেলের এই বিস্ময়জনক কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অবাক বাবা মোহাম্মদ ও মা ফাতেমা। ছেলেকে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি বলে তারা জানান। বলেন, খেলার ছলেই নয় মাস বয়সে আরাতের মধ্যে ব্যায়ামের আগ্রহ তৈরি হয়। এর পর প্রতিদিন প্রায় ২০ মিনিট ব্যায়াম করতে শুরু করে সে।

বাবা মোহাম্মদ বলেন, একদিন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পর ছেলে তার দুই হাতের আঙুল মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে এবং পা মাটি থেকে ওপরে ভাসিয়ে রাখে। সেদিন প্রথম আমি আরাতের শক্তি ও সক্ষমতা বুঝতে পারি।
শিশু আরাতের প্রিয় খেলাতে পরিণত হয়েছে শরীরচর্চা। সে সাধারণত একটানা ১০ মিনিটের মতো ব্যায়াম করতে পারে। তার প্রিয় খেলা হলো পেছন দিক থেকে ডিগবাজি দেওয়া।
বাসার সব জায়গায়ই শরীরচর্চা করছে আরাত। খাট, চেয়ার, টেবিলে বসে কিংবা টেলিভিশন ও বাসার চৌকাঠে উঠে দেখাতে থাকে ছোট্ট শরীরের কসরত। বাবার আসা খেলাধুলায় একদিন অপ্রতিরোধ্য হবে আরাত।

Floating Restaurant Surma River Cruise, Sylhet, Bangladesh

There is also a launch floating in the river. The launch night becomes colored. The scenic view of the large-scale launch attracted the attention of everyone. It is a floating restaurant.
There Restaurant 250 people sitting together in a room, conference room, VIP room and six modern bathrooms and air conditioning systems are the two Bed room. River cruise in Sylhet, the restaurant has introduced an institution. Restaurant name 'Surma River Cruise.

The three-storey restaurant is on the ground under water. This business class restaurant. This includes more than 50 people, seminar facilities dining together. The name of the second-floor Riverview. 120 people will be able to sit down together to breakfast. The top floor has been given the name of 'Open Sky'. The floor is open air seating as well as the family cabin.
Every day at 4pm, 7pm and night at 8 pm will leave from Camdanighata Surma restaurant. Surma River and a half hours at the same place again roam the passengers will be let down. Fare is Rs 699 to 299 Depending on class. Passengers with tickets free and fast food. The fast-food restaurant as they desired, and they were able to buy Indian-Bengali and Chinese food. Birthday, floating restaurant on-marriage ceremony social events will be available for rent.

 সুরমা নদীতে ভাসমান একটি লঞ্চ ।রাতের আধাঁরে মোহনীয়  রঙ্গিন হয়ে উঠে।
আলোক মালার মনোরম দৃশ্য সবার মনোযোগ আকৃষ্ট করে । লঞ্চটি  একটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট।

লঞ্চটিতে আছে কনফারেন্স রুম, ভিআইপি রুমে একসাথে ২৫০ জন মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে এই লঞ্চে ।
ছয়টি আধুনিক বাথরুম এবং এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেম ।দুটি বেড রুম আছে এই ভাসমান রেঁস্তোরায়.
এর  নাম সিলেট রিভার ক্রুজ।রেস্টুরেন্ট এর নাম 'সুরমা নদী ক্রুজ।

তিন তলা ভাসমান রেঁস্তোরার নিচের তলা থাকে পানির তলে ।
এখানে ৫০  জনেরও বেশি লোক একসঙ্গে ডাইনিং করার সুবিধা আছে ।আছে  সেমিনার করার সুবিধা ।
 দ্বিতীয় তলার নাম রিভারভিউ । ১২০ জন মানুষের ব্রেকফাস্ট একসঙ্গে করার ব্যবস্থা রয়েছে ।
 উপরের তলায় 'খোলা আকাশ' । খোলা বাতাসে আসনবিন্যাস সেইসাথে পরিবারিক কেবিনের ব্যবস্থা আছে ।

বিকাল 8 টা সন্ধ্যা ৭ টা এবং রাত ৮টায় প্রতিদিন ,সুরমা রেঁস্তোরা নদীতে ভেসে চলতে থাকে ।
 ভাড়া২৯৯ টাকা হতে ৬৯৯ টাকা। টিকিটের সাথে ফ্রি ফাস্ট ফুড দেয়া হয়।
 অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পছন্দ মতো ভারতীয় বাঙালি এবং চীনা খাদ্য কিনে খাওয়া যায়।
 জন্মদিন,  বিয়ের অনুষ্ঠান ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য লঞ্চটি ভাড়া নেয়া যায় ।

মামার বাড়ি ,জসীম উদ্দিন


মামার বাড়ি
জসীম উদ্দিন


আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা,
ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।
মামার বাড়ি পদ্মপুকুর
গলায় গলায় জল,
এপার হতে ওপার গিয়ে
নাচে ঢেউয়ের দল।
দিনে সেথায় ঘুমিয়ে থাকে
লাল শালুকের ফুল,
রাতের বেলা চাঁদের সনে
হেসে না পায় কূল।
আম-কাঁঠালের বনের ধারে
মামা-বাড়ির ঘর,
আকাশ হতে জোছনা-কুসুম
ঝরে মাথার ‘পর।
রাতের বেলা জোনাক জ্বলে
বাঁশ-বাগানের ছায়,
শিমুল গাছের শাখায় বসে
ভোরের পাখি গায়।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের শাখায় উঠি
রঙিন করি মুখ।
কাঁদি-ভরা খেজুর গাছে
পাকা খেজুর দোলে
ছেলেমেয়ে, আয় ছুটে যাই
মামার দেশে চলে।

ঈদুল আজহা গায়ে আতরের সুগন্ধ পাক পবিত্র ! আর বাতাসে ভেসে আসে দুর্গন্ধ নাপাক অপবিত্র!

ঈদুল আজহা গায়ে আতরের সুগন্ধ  পাক পবিত্র !আর বাতাসে ভেসে আসে দুর্গন্ধ নাপাক অপবিত্র!

ঈদুল আজহা ।
একটি পবিত্র দিন,আনন্দের দিন।এই পবিত্রতা দেহ মন থেকে ছড়িয়ে পরে আকাশে বাতাসে,সৃষ্টি কতর্দার দরবারে ।সকালে ঘুম থেকে উঠেই পরম পবিত্র সত্তার স্মরণে পবিত্রতা দিয়ে শুরু হয় ।গোসল করে পাক পবিত্র হয়ে ।পাক পবিত্র কাপড় পরিধান করা।পবিত্র সুগন্ধী আতর লাগিয়ে ঈদগাহ বা মসজিদে গিয়ে পবিত্রতার সাথে নামাজ আদায় করা হয় ।এই পবিত্র ঈদের দিনে মানুসের দেহ মন আকাশ বাতাস সবকিছু নির্মল হয়ে উঠে।মোসলমানরা অাল্লাহর নামে পশু কোরবানী করেন ।
তারপর সেই পশুর কিছু অংশ বিলিয়ে দেয়া হয় গরীবদের মাঝে।ধনীদের আঙ্গিনা হতে গোস্ত চলে যায় গরীবদের রান্না ঘরে।আল্লাহর অপার মহিমার অংশীদার হন গরীবরা।
রান্না করে তৃপ্তির সাথে আহার করেন সকল মোসলমানেরা।হাজার শুকুর গুজার করেন আল্লাহর ।

কিন্তু কোরবানী দেয়া পশুর রক্ত উচ্ছিষ্ট মাংস ঠিক মতো মাটিতে পুঁতে না রাখার করণে ছড়িয়ে পরে দুর্গদ্ধ্ ।আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পরে অপবিত্রতা ।সে দুর্গন্ধের অপবিত্রতা কোরবানী দেয়া ধনী লোকের আঙ্গিনা হতে ছড়িয়ে পরে গরীবদের আঙ্গিনা পর্যন্ত।পথে ঘাটে রাস্তায় ছড়িয়ে পরে।অসুস্থ করে তোলে মানুষের মন।আর  বাযূ দোষনের দূগন্ধের অপবিত্রতায় বসবাস করে মানুষ ।নিমিশেই পবিত্র কোরবানীর আনন্দ রুপান্তরিত হয় অসুস্থ দুর্গন্ধে ।শুধু মাত্র কিছু সংখ্যক মানুষের সামান্য সচেতনতা অভাব ও দায়িত্বশীলতার অবহেলার কারণে।

সুগন্ধ পবিত্রতার অংশ,পরম নেকী অর্জনের সহায়ক।
দুর্গন্ধ অপবিত্রতার অংশ।দুর্গন্ধের অপর নাম পাপ ।
কিছু ধনী ব্যক্তি অনেক টাকা খরচ করে সুন্দর বাড়ী বানিয়েছেন ।
দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায় !
কিন্তু সে সুন্দর বাড়ী হতে ভেসে আসছে দূর্গন্ধ।
তখন বাড়ীটাকে ভাল লাগে না।বাড়ী ওয়ারার প্রতি বিরূপ ধারণা জন্মে।
মনে হয় সুন্দর বাড়ী হতে দূগন্ধের পাপী আত্মারা বের হয়ে আসছে।
সুগন্ধের বাতাসেরা ফরিয়াদ জানাতে চলে গেছে সৃষ্টিকর্তার কাছে।
পশু কোরবানী ম্লান করে দেয় দুগন্ধ ভরে যাওয়া বাতাস।
তাই কোরবানীর রক্ত উচ্ছিষ্ট হাড় মাংস এমন ভাবে মাটিতে পুঁতে ফেলা উাচত।যাতে দূগন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশকে অবিত্র করে না ফেলে।আর  এই রকম অপবিত্রতার জন্য নিজেদের মর্যদা যেনো ক্ষুন্ন না হয়ে যায়।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অনুশীলন করুন ।তাতেই বুদ্ধি পেতে পারে মানুষ ও সমাজের মর্যদা।অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয় ।আর প্রমানীত হয় সেমাজের মানুষ যথেষ্ট উন্নত নয়।
অন্য সমাজের মানুষ তাঁদের সম্পর্কে ভালো ধারণা নাও করতে পারে।
কাজেই উন্নত মানুষের পরিচয় দিতে পরিবেশ রাখুন নির্মল।
কারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই ঈমানের অঙ্গ ।

করনীয়-
১.কোরবানির  পশু জবেহ শেষে তার রক্ত ও  উচ্ছিষ্ট মাংস হাড়  অপসারণ করা।
২.কোরবানীর স্থানটিতে প্রয়োজনীয় পানি ঢেলে ভাল করে ধৌত করা ।
৩.পশুর রক্ত ও  উচ্ছিষ্ট মাংস হাড় মাটিতে গর্ত করে চাপা দেয়া।
৪.গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক, যেমন—ফাম-৩০ ইত্যাদি দেওয়া ।
যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় ।
৫. শিয়াল/কুকুর মাটি খুঁড়ে রক্ত ছড়াতে বা খেতে না পারে সেজন্য গর্তটি ভালমতো বন্ধ করে দেয়া।
৬.মাটিচাপার ওপরে কিছু মোটা তুষ ছিটিয়ে দিলে শেয়াল বা কুকুর মাটি গর্ত করে ময়লা তুলতে পারবে না।

করনীয় গুলো না করলে কি হতে পারে :-

১.পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে,
২.চর্মজাতীয় রোগ উৎপত্তি হয়ে মানবদেহে বা পশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে।
৩.কিছু ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি হয়ে খাদ্যের সঙ্গে মিশে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
৪.সমাজ উন্নত সমাজ বলে পরিচিতি লাভ করবে না।


দুগন্ধ ছড়িয়ে  আপনি ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিতি অর্জন করতে পারবেন না।
মোসলমান পরিচিতি হিসাবে অপর ধর্মের লোকদের কাছে বিরুপ ধারনা সৃষ্টি  হতে পারে।
সমাজও হবে অস্বাস্থ্যকর ।
যার জন্য সমাজের বাসিন্দা হিসাবে আপনি দায় এড়াতে পারেন না।
যা কোন মতেই কাম্য হতে পারে না।

অতএব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাথুন।
অশেষ সোয়াবের ভাগীদার হোন ।

Monday, September 28, 2015

Bangladesh - George Harrison

My friend came to me, with sadness in his eyes
He told me that he wanted help
Before his country dies
Although I couldn’t feel the pain, I knew I had to try
Now I’m asking all of you
To help us save some lives
Bangla Desh, Bangla Desh
Where so many people are dying fast
And it sure looks like a mess
I’ve never seen such distress
Now won’t you lend your hand and understand
Relieve the people of Bangla Desh
Bangla Desh, Bangla Desh
Such a great disaster – I don’t understand
But it sure looks like a mess
I’ve never known such distress
Now please don’t turn away, I want to hear you say
Relieve the people of Bangla Desh
Relieve Bangla Desh
Bangla Desh, Bangla Desh
Now it may seem so far from where we all are
It’s something we can’t neglect
It’s something I can’t neglect
Now won’t you give some bread to get the starving fed
We’ve got to relieve Bangla Desh
Relieve the people of Bangla Desh
We’ve got to relieve Bangla Desh
Relieve the people of Bangla Desh


Sunday, September 27, 2015

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এর চাঁদ

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এর চাঁদ
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা।যাকে বলে  সুপারমুন।আজকে দেখা দিয়েছে  অতিকায় চাঁদের। 
পৃথিবীতে ৩০ বছর পর  বিরল এই ঘটনা ঘটে। সে চাঁদের একটা ছবি রাত ৯.৩০ মিনিটে তোললাম।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫৯.৩০ মিনিটেতোলা
এর রং হবে রক্তলাল।চাঁদ যখন তার স্বাভাবিক অক্ষ থেকে কিছুটা সরে এসে পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে তখন আকাশে সুপারমুন দেখা যায়।
 এই  চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪%বেশি উজ্জ্বল ও বড় । ত
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪১ থেকে রাত ৯টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত  এই চাঁদ স্থায়ী ছিল ।
আজকে চন্দ্র গ্রহণও !
উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আটলান্টিক মহাসাগর, গ্রিনল্যান্ড, ইউরোপ, আফ্রিকা, ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে
এই উত্তেজনাকর চন্দ্রগ্রহণ অবলোকন করা যাবে।
পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এই ঘটনা দেখা যাবে না।
বাংলাদেশসহ এশিয়ার দর্শকরা চাঁদের এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে বঞ্চিত হবেন।
এসময় পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ ঢেকে দেবে চাঁদের আকাশকে।
প্রাকৃতিক বিস্ময়কর ও বিরল ৭২ মিনিটের এই ঘটনা উপভোগ করতে যারা ব্যর্থ হবেন,
তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।


২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এর চাঁদের এই অনন্য ঘটনা আবার দেখতে পাবেন ২০৩৩ সালে ।
 এর আগে এরকম দৈত্যাকায় রক্তিম পূর্ণ-চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮২ সালে।
গত একশো বছরে মাত্র পাঁচ বার এই সুযোগ পাওয়া গিয়েছিলো ।
 নাসার ওয়বসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত খবর প্রকাশ হয়েছে।
 এই বিরল ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে নাসার পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে ।
 নাসা টিভি লাইভ সম্প্রচার করবে।
প্রতি মাসেই চাঁদ তাঁর উপবৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে করতে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে।
 কিন্ত, পূর্ণ-চাঁদ হয়ে পৃথিবীর কাছে আসা নি:সন্দেহে বিরল ঘটনা।

প্রার্থণা -তুলি দুই হাত করি মোনাজাত -সুফিয়া কামাল

কুলি-মজুর- কাজী নজরুল ইসলাম

কুলি-মজুর- কাজী নজরুল ইসলাম

দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি ক’রে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে,
বাবু সা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।
বেতন দিয়াছ?-চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল!
কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল্?
রাজপথে তব চলিছে মোটর, সাগরে জাহাজ চলে,
রেলপথে চলে বাষ্প-শকট, দেশ ছেয়ে গেল কলে,
বল ত এসব কাহাদের দান! তোমার অট্টালিকা
কার খুনে রাঙা?-ঠুলি খুলে দেখ, প্রতি হঁটে আছে লিখা।
তুমি জান না ক’, কিন- পথের প্রতি ধূলিকণা জানে,
ঐ পথ, ঐ জাহাজ, শকট, অট্টালিকার মানে!
আসিতেছে শুভদিন,
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ!
হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,
পাহাড়-কাটা সে পথের দু’পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,
তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,
তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি;
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান,
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!
তুমি শুয়ে র’বে তেতালার পরে আমরা রহিব নীচে,
অথচ তোমারে দেবতা বলিব, সে ভরসা আজ মিছে!
সিক্ত যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা-রসে
এই ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে!
তারি পদরজ অঞ্জলি করি’ মাথায় লইব তুলি’,
সকলের সাথে পথে চলি’ যার পায়ে লাগিয়াছে ধূলি!
আজ নিখিলের বেদনা -আর্ত পীড়িতের মাখি’ খুন,
লালে লাল হ’য়ে উদিছে নবীন প্রভাতের নবারুণ!
আজ হৃদয়ের জমা-ধরা যত কবাট ভাঙিয়া দাও,
রং-করা ঐ চামড়ার যত আবরণ খুলে নাও!
আকাশের আজ যত বায়ু আছে হইয়া জমাট নীল,
মাতামাতি ক’রে ঢুকুক্ এ বুকে, খুলে দাও যত খিল!
সকল আকাশ ভাঙিয়া পড়-ক আমাদের এই  ঘরে,
মোদের মাথায় চন্দ্র সূর্য তারারা পড়-ক ঝ’রে।
সকল কালের  সকল দেশের সকল মানুষ আসি’
এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শোনো এক মিলনের বাঁশী।
একজনে দিলে ব্যথা-
সমান হইয়া বাজে সে বেদনা সকলের বুকে হেথা।
একের  অসম্মান
নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান!
মহা-মানবের মহা-বেদনার আজি মহা-উত্থান,
উর্ধ্বে হাসিছে ভগবান, নীচে কাঁপিতেছে শয়তান!

Saturday, September 26, 2015

I Wish you joy peace & love -Princess Hema

I Wish you joy peace & love -Princess Hema

কফোঁটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি ভালবাসবে

কফোঁটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি ভালবাসবে
                                         কফোঁটা চোখের জল ফেলেছ
                                         যে তুমি ভালবাসবে?
                                         পথের কাঁটায় পায় রক্ত না ঝড়ালে
                                         কী করে এখানে তুমি আসবে!
                                         কটা রাত কাটিয়েছ জেগে স্বপ্নের মিথ্যে আবেগে?
                                         কী এমন দুখকে সয়েছ যে তুমি এত সহজেই হাসবে!
                                         হাজার কাজের ভীড়ে
                                         সময় তো হয়নি তোমার
                                         শোননি তো কান পেতে
                                         অস্ফুট কোন কথা তার
                                         আজ কেন হাহাকার কর?
                                         সে কথায় ইতিহাস গড়
                                         কী সুখ জলাঞ্জলি দিয়েছ
                                         যে তুমি সুখের সাগরে ভাসবে!
                                         পথের কাঁটায় পায় রক্ত না ঝড়ালে
                                         কী করে এখানে তুমি আসবে!
                                         কফোঁটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি ভালবাসবে?
                                     
                                         শিল্পীঃ মান্না দে
                                         সুরকারঃ ড নচিকেতা ঘোষ
                                         গীতিকারঃ পুলক বন্দোপাধ্যায়


Love comes from heaven and goes to heaven

 ছবি-Ali Ammar

The custard apple tree parrots আতা গাছে তোতা পাখি

The custard apple tree parrots
Pomegranate tree, beehive
Still so much to say
  The bride is not talking

Friday, September 25, 2015

Rare total eclipse lunar eclipse on September 27

Rare total eclipse lunar eclipse on September 27

The more light, the moon, the greater will dive in the dark! The full moon happens.
In the last 30 years, the moon, and the earth did not come to much.
 The moon on September 27, so we'll see as much swagger,
So bright it could be seen in the last three decades.
Lunar eclipse will be that day.
Picture by-Rosana Oviedo ROS

Total eclipse lunar eclipse on September 27.
 Moon-Sun 'overwhelms' taking is done on a regular basis.
According to NASA, but the 1-day moon in the sky, we see that,
 The 'Super Moon', we get a chance to see very low.
The same day, the "Super Moon" will be the "total eclipse, lunar,
Of rare events.
Which happened in the last 30 years.
After the eclipse shadow 'hide' the brightness of the moon will come out pretty remarkable.
 A 30 percent increase in the brightness of the moon.
The moon will be almost 14 percent larger.

Only five times in the past ten years, we got the chance.
 1910, 1928, 1946, and 198 in 1964.
 This opportunity will be again in 2033 after 18 years.

Why does the moon come to us all the time, so much swagger?

Because its satellites circling the earth like an egg on Murray.
The moon goes around-comes around to us.
Never goes away.
Most of us will be on September 23.

The only regret,
 Bangladesh will not be able to see this rare event!
 Can be seen in North America, Europe, Africa, West Asia.

If you do not mind

If you do not mind

khaja ali amjad mahbub

If you do not mind, I want to live with the protection!
If you do not mind, would have to say!
If you do not mind, like the freedom of mass media!
If you do not mind, like the right to vote!
If you do not mind, like the government!
If you do not mind, road safety!
If you do not mind, would like to study!
If you do not mind, like the campus secure environment!
If you do not mind, would end economic discrimination!
If you do not mind, would like to end discrimination in government employees!
If you do not mind, would like to improve the health service!
If you do not mind, and the end of harassment of public service offices construction!
If you do not mind, laboring to the right of the people!
If you do not mind, like employment!
If you do not mind, like a healthy environment!
If you do not mind, like congestion-free city!
If you do not mind, would let the black law!
If you do not mind, like unemployment!
If you do not mind, people-friendly police want!
If you do not mind, public services like administration!
If you do not mind, people want justice-defense!
If you do not mind, like democracy!


যদি কিছু মনে না করেন
যদি কিছু মনে না করেন,বাঁচার মতো বাঁচতে চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,কথা বলার অধিকার চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,গণ মাধ্যমের স্বাধীনতা চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,ভোটের অধিকার চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,জনগণের সরকার চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,নিরাপদ সড়ক চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,উচ্চ শিক্ষার সুযোগ চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,শিক্ষাঙ্গনের নিরাপদ পরিবেশ চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,সরকারী কর্মচারীদের বেতন বৈষম্যের অবসান চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,উন্নত স্বাস্থ্য সেবা চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,সরকারী সেবা মূলক অফিসের হয়রানীর অবসান চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,খেটে খাওয়া মানুষদের ন্যায্য অধিকার চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,কর্মসংস্থান চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,যানজট মুক্ত শহর চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,কালো আইন বাতিল চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,বেকার ভাতা চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,জন বান্ধব পুলিশ চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,জন সেবামূলক প্রশাসন চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,মানুষ বাঁচানের ন্যায় বিচার চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,গণতন্ত্র চাই!

 



Thursday, September 24, 2015

২১ মাইল হেঁটে অফিস করেন তিনি!

২১ মাইল হেঁটে অফিস করেন তিনি!
সেদিন যুক্ত রাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে।
গাড়ীতে হিটার চালিয়ে গাড়ি চেপে বরফ ভেঙে বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে
 লোকজন দেখতে পায় মোটা জ্যাকেট আর কান ঢাকা টুপিতে নিজেকে মুড়ে
 হনহনিয়ে হেঁটে চলেছেনএক প্রৌঢ়। রোজই তিনি এপথে হাঁটেন তিনি।
তবে সেটা স্বাস্থ রক্ষার হাঁটা নয়।  শীত,
গ্রীষ্ম বা বর্ষা সব ঋতুতেই তাকে হাঁটতে দেখা যায়।
উনার নাম হলো জেমর্স রবার্টসন।
রবার্টসনের এই হাঁটার পেছনে একটা কাহিনী আছে ।
 কিাহিনীটা জেনে সবাই চমকে উঠেছেন।
তিনি প্রতিদিন হাঁটেন এক বা দু’মাইল নয়,
 জীবনধারণের নিমিত্ত প্রতিদিন  তাঁকে গড়ে ২১ মাইল পথ হেঁটে অফিস অফিস করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের বাসিন্দা জেমস রবার্টসনের  একমাত্র মন্ত্র জীবনে এগিয়ে চলা।
তাঁর বয়স ৫৪ বছরের চেয়ে বেশী ।
 মধ্যবয়সী এই লোককে সপ্তাহে পাঁচ দিনে প্রতিদিন  ২১ মাইল (৩৩ কিলোমিটার )
পথ হেঁটে অফিস করতে হয়।। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনও কিছুই তাঁ অফিস করার
অদম্য মানসিকতাকে বিঘ্ন করতে বা দমাতে পারেনি ।
২০০৫ সালে তার গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায়।
নতুন গাড়ি কিনার  টাকা ছিল না তাঁ কাছে।
 কিন্তু পেটের দায় যে অস্বীকার করা যায় না।
তাই পায়ের ভরসাতেই হেঁটে অফিস করেন জেমস।
ডেট্রয়েট থেকে রচেস্টার হিলসের  এলাকায় তাঁর অফিস,
 সেখানে  কোন বাস বা ট্রেন যায় না।
অফিস যাবার  শেষ সাত মাইল
 (১১ কিলোমিটার ) হেঁটেই পার করতে হয় তাঁকে।
 ফেরার সময় পুরো ১৩ মাইল (২০ কিলোমিটার) পথ হেঁটে ফিরেন।
অফিস কামাই করার স্বভাব  নেই তাঁর।
 তুষারঝড়ে আমেরিকার উত্তর-পূর্বাংশ বরফে ঢেকে যায়
 তখনও পায়ে স্নো বুট পরে নির্দিষ্ট সময়েই অফিসে করেছেন তিনি।

তিনি বলেন ,সেই ছোটবেলায় বাবার কাছে শিখেছিলেন,
 কঠিন সময় চিরকাল থাকে না
কিন্তু চিরকাল রয়ে যান কঠিন ধাতের মানুষরা।
 জেমসের কথা জানাজানি হওয়ার পর
 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে।
জেমস যাতে একটা গাড়ি চেপে একটু ভালোভাবে অফিস যাতায়াত করতে পারেন
 তার জন্য শুরু হয়েছে চাদা তোলা।
 এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ডলার চাঁদা উঠেছে।
জেমসের কর্তব্যপরায়ণতাকে সম্মান জানাতে যারা চাদা দিয়েছেন তাদের বক্তব্য
‘এই অর্থ দিয়ে তিনি গাড়ি কিনুন।’
অবশ্য যাকে নিয়ে এত কিছু হচ্ছে সেই জেমস এসব শুনে হতবাক হয়েছেন।
 সূত্র: ইন্টারনেট



মছব্বির চৌধুরীর জীবনের প্রয়োজনীয়তা

মছব্বির চৌধুরীর জীবনের প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশে এখন গ্রীষ্মকালে ভীষন গরম পরে।
মুরব্বীরা বলেন  আগে এমন গরম ছিল না।
বিজ্ঞানীরা বলেন উন্নত বিশ্বে কলকারখানার সৃষ্ট কার্বন ডাই অক্সাইডের অধিকত্বে গ্রীন হাউস এফেক্টের কারনে পৃথিবীর আকাশের ওজন স্তর ধংশ হয়ে যাচ্ছে।ওজন স্তরে ফাটল ধরেছে।সে ফাটল গলে সূর্যের আলোর আতি বেগুনী রশ্মি সহ অন্যান্য ক্ষতিকারক রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে চলে আসছে ওজন স্তরে ফাটল ধরায় ছাঁকনি হিসাবে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি গুলো আটকাতে পারছে না । পৃথিবীর ছাঁকনী ওজন স্তর ।তাপমাত্রা বাড়ছে ।অনাকাঙ্খিত টর্নেডো সাইক্লোন হচ্ছে ।মারা যা্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ ।মিলিয়ন বিলিয়ন সম্পদ নষ্ট হচ্ছে ।বলা হচ্ছে এই বাড়ন্ত তাপমাত্রার জন্য উত্তর মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে,বাড়ছে সমূদ্র পৃষ্টের উচ্চতা !ফলে সমুদ্র পৃষ্টতল সমউচ্চতার দেশ বাংলাদেশ মালদ্বীপ এসমস্ত দেশ তলিয়ে যেতে পারে সাগরের লোনা জলে।
আজকের রোদের তেজটা যেনো একটু বেশী ।গরমটা অসহনীয়।
এরকম অসহনীয় গরমের মধ্যে মছব্বির চৌধুরী ছাতি মাথায় বাজারের দিকে হেঁঠে যাচ্ছিলেন আর এই গরমের কথাই ভাবছিলেন।
গরমে তাঁকে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত দেখাচ্ছিল।
এমন সময় একটি সুন্দর গাড়ী উনার পাশ দিয়ে কিছু ধূলা ধূয়া উড়িয়ে ভোস্ করে চলে গেল ।
তিনি চেয়ে  দেখলেন গাড়ীটির কাঁচ নামানো ।
নিশ্চই গাড়ীটিতে ইয়ার কন্ডিশন আছে ।ভাবলেন তিনি।
আজকাল শহরের বড় বড় বিপনী বিতান গুলোতে ইয়ার কন্ডিশন সিষ্টেম  থাকে।কী শীতল শীতল আরাম দায়ক ব্যবস্থা !ভাবলেন মছব্বির চৌধুরী।ছেলে বেলার সেই পুকুর পাড়ের আমবাগনের সমীরণও আরাম দায়ক ছিল।যেখানে তিনি স্কুল ছুটির দিনে গরমের সময় বর্ষায় পুকুরের বাড়ন্ত পানিতে  প্রায়ইশ ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেন ।তখন প্রচুর মাছ ধরা পরতো কই, শিং ,মাগুর ,পুঁটি কতো কি!তাঁর মনে হলো ইয়ার কন্ডিশনের শীতলতার তুলনায় ছেলেবেলার সেই পুকুর পাড়ের  পরিবেশ অধিক মনোহর ও আরাম দায়ক ছিল।ইয়ারকন্ডিশনের বাতাসে যান্ত্রিক গন্ধ থাকে ।আর আম বাগানের বাতাশে অনেক না জানা সুঘ্রাণ ছিল।আর মুকুলের সুগন্ধ মনকে মাতোয়ারা করে দিতো্ ।
একসময় বেঁচে থাকার প্রয়োজনের তাগিদে তাঁদের একান্নভূক্ত পরিবার ভেংগে গেল।বাপ চাচারা জমি জমা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিলেন।সকলের ব্যবহারের সুবিধার্থে পুকুর আর আম বাগান ভাগ হলো না।এজমালি রয়ে গেল ।এজমালি আমবাগান প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কেটে সাফ হয়ে গেল ।সেখানে আজ স্থান হয়েছে বাড়ন্ত জমিদার বংশধরদের বসত বাড়ী।হাড়িয়ে গেল  সুখস্মৃতি।হাড়িয়ে গেল আম বাগান আর হাড়িয়ে গেল সেই মন মাতানো গাঁ জুড়ানো শীতল সমীরণ।
এখন চারি দিকে ঘর বাড়ী সরু সরু চলাচলের রাস্তা ।সে রাস্তায় দুজন পাশাপাশি চলাচলে মুস্কিল । যেনো দম ফেলা দায়।মছব্বির চৌধুরী নিজের অজান্তে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।ভাবলেন শৈশব সুখ স্মৃতির সবকিছু হাড়িয়ে যায় কেন ?
শৈশবের স্মৃতিময় খেলা ধূলা আজ বিলুপ্তির পথে ।আজ আর খেলতে দেখা যায় নাদাড়িয়াবাঁধাগোল্লা ছুট বউচোর মতো শৈশবের সেই মন মাতানো খেলাগু ।ছেলেপুলে গুলো খোরা ধূলা ছেড়ে ব্যস্ত মোবাইল ফেসবুক নিয়ে ।খেলা ধূলা সামাজিকতা আজ বন্ধী হতে চলেছে মোবাইলের ছোট্ট ফ্রেমে !বিমর্ষ হয়ে ভাবলেন মছব্বির চৈাধুরী ।
জমি জিরেত বিক্রী করতে করতে শেষ হয়ে গেছে।জমিগুলো অধিকাংশ কিনে নিয়েছে একদা যারা তাঁদের বাড়ীতে কামলা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।তাদের মধ্যে একজন রহিম মিয়ার পূত্র গনি মিয়া্ ।তার বাজারে বাজে মালের বিরাট ব্যবসা ।আর আছে একটি বড় ট্রাক দুটি মাহিন্দ্র ট্রাকটর ।আছে কয়েকটি পাওয়ার টিলার ।
গরু গাভী আগে প্রতি গৃহ্থের ঘরে ঘরে শোভা পেতো ।গৃহস্থ ঘরের আঙ্গিনার শোভা বর্ধন করতো খড়ের বড় বড় গাদা বা লাছি।বেশী বড় লাছিতে প্রমাণ হতো জমিদার তালুকদারের চিহ্ন। এখন তেমন আর দেখা যায় না।গরু চড়ানোর জায়গাও বিলুপ্ত হতে চলেছে ।ভূমিহীনদের সরকারী খাস জমি বন্দোবস্তের নামে অধিকাংশ চলে গেছে গণি মিয়াদের মতো লোকদের দখলে।একদা গরীব রহিম মিয়ার পূত্র গণি মিয়া আজ অনেক টাকার মালিক।গ্রামে গঞ্জে এখন বলদ দিয়ে চাষাবাদ করা উঠে গেছে।কাকভোরে শুনা যায় না চাষিদের হেই হেই হট হট মধুর সূরের চাষার বলদদের পরিচালনার  কন্ঠ।তার বদলে বাতাসে ভেসে আসে পাউয়ার টিলারের একগেয়ে বিরামহীন শব্দ।এলাকার গৃহস্থরা গণি মিয়ার পাওয়ার টিলার ভাড়া নিয়ে জমি চাষ করেন।অন্যদের মতো মছব্বির চৌধুরীও নিজের জমি চাষ করার জন্য গনি মিয়ার পাওয়ার টিলা ভাড়া নেন।গণি মিয়া লোকটা খাড়াপ না ।যথেষ্ট অমায়িক বাপের মতো মান্য চিহ্ন আছে তার স্বভাবে।তার এরূপ স্বভাবের জন্য জন্য মছব্বির চৌধুরী গণি মিয়াকে পছন্দ করেন।
কী যেনো ভাবছিলেন ।স্মরণ করতে চেষ্ট করলেন মছব্বির চৌধুরী ।হাঁ গাড়ী ! তাঁরও এমন একটি গাড়ী থাকতে পারতো।
বৃটিশদের জমিদারী উচ্ছেদ আইনের কারণে আজ তাঁদের মতো অভিজাতদের পতন হয়েছে।তাঁর বাবার আমল হতে আর্থিক সংস্থানের বিষয়াদি কমতে শুরু করে।অর্থাভাবে তাঁদের বিলাসিতাকে ক্রমশ সংকোচিত করে ফেলেছিল।কিন্তু তা বলা বা প্রকাশ করা যেতো না আভিজাত্যের কারণে।বলতে না পারা এ আরেক অন্য ধরণের কষ্ট।তবু বাবা আভিজাত্য ছাড়েননি।আকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন মনে প্রাণে।তিনিও বাবার তথা পারিবারিক ঐতিয্য ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন ।কাউকে বুঝতে দেননি অভাব অনাটনের কথা।বাবার মুখে শুনেছেন কোন এক জমিদার বংশের ব্যক্তি জমা জমি বিক্রী করে নি:শ্ব হয়ে গিয়েছিলেন।তিনি জীবন ধারণের জন্য তাঁর সাবেক প্রজাদের যারা জমিদারী উচ্ছেদ আইনের কারণে সচ্ছল হয়ে গিয়েছিল তাদের কাছে ঘোড়ায় চরে ভিক্ষা করতেন।এমনি ছিল জমিদারী বংশের জ্ঞাতাভিমান।
 লোকে বলে জমিদাররা অত্যাচারী ছিল।অত্যাচারিত মানুষের অভিশাপে জমিদারদের পতন হয়েছে।কিন্তু লোকে এটা জানে না ইংরেজদের খাজনা তোলার জন্যই জমিদারদের অত্যাচারী হতে হতো।না হলে জমিদারী লাটে উঠবে যে।জনগণ অত্যাচারিত হলো ।লাভ হলো ইংরেজদের ।বৃটিশরা  আজও  ধনী ।দেশের মানুষ গরীব হলো ,নি:শ্ব হলো।দোষ হলো দেশীয় জমিদারদের ।কিন্তু ইংরেজরা কেন দোষী হলো না।কারণ ইংরেজরা ছিল পরদেশী।এদেশ ছিল তাদের লাভের স্থান,ব্যবসা করে ধনী হবার উপলক্ষ।জমিদার শ্রেণী ইংরেজরাই তৈরী করে তাঁদের সুবিধার জন্য।দেশের ধনী জমিদাররা ইংরেজদের সহযোগী হিসাবে অত্যাচারী হয়ে উঠে!তাই ইংরেজদের যেনো কোন দোষ না থাকে সেজন্য আইন করে উচ্ছেদ করে যায় তাঁদেরই তৈরী করা জমিদারদের।আজো সেই ইংরেজ পদ্ধতির শাসনের আইনের পথেই দেশ চলছে ।তাহলে জমিদারদের কি দোষ ছিল ?ইংরেজদের সেই চাপিয়ে দেয়া আইনে আজকের দেশে শান্তি সমৃদ্ধি হবে কি করে ?তিনি ভেবে পান না।এক পর্যায়ে ভাবনার হাল ছেড়ে দেন।
এই বিষয়ে সন্দেহের দানা ক্রমশ গড়াগড়ি দেয় মছব্বির চৌধুরীর মনে।মনে পড়ে যায় এক বাংলাদেশীয় বৃটিশ এমবাসেডর বলেছিলেন,
“-বৃটিশদের ডাষ্ট বিনে ফেলে দেয়া আইনে চলছে বাংলাদেশ ।”
বাংলাদেশে জমিদারদের সৃষ্টি করে ধ্বংশ করেছে বৃটিশরা আবার নিজ দেশে রাজতন্ত্র।জমিদারী আর রাজতন্দ্র কি সমার্থক নয় ?বৃটিশরা রানীর শাসন ও রাণীকে শ্রদ্ধা করে সেই আদ্যিকাল হতে ।এই পর্যায়ে এসে মছব্বির চৌধুরী চিন্তা খেই হাড়িয়ে ফেলেন।উনি উপলদ্ধি করলেন যে,আজকাল তাঁর সবকিছু মনে থাকে না।আগেরটা পরে :পরেরটা আগে চলে আসে ।উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত তথ্য মনে করতে পারেন না ।সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যায়।কোথায় গাড়ী নিয়ে ভাবছিলেন ।তা নয়,এক লহমায় মনের ভাবনা কোথা থেকে কোথায় চলে যায় !এ কথা ভেবে তিনি দিশা পান না।আজকাল মনটা অদ্ভুদ খেয়ালী আচরণ করছে ।বয়স বাড়ছে।বয়স বাড়লে সবারই কি এমন হয়।নাকি শুধু উনারই এমন হচ্ছে ।ভেবে কূল কিনারা পান না তিনি।যেমন শৈশবে বাড়ীর পাশে নদীটির কথা ভেবে কূল কিনারা পেতেন না তিনি।
নদীটি আসলো কোথা থেকে
  কোথায় চলে যায়
 কচুরীপানা ভেসে ভেসে কোথায় চলে যায়?
নদীর শেষ কোথায়?
বাবা ইয়াছির চৌধুরীকে প্রশ্ন করে জানতে পেরেছিলেন নদী সাগরে গিয়ে শেষ হয় ।
-সাগর কতো দূরে বাবা ?
 -সাগর অনেক অনেক দূরে ।সাগর অনেক বড় বাছা।বড় হলে জানতে পারবে!
স্নেহের পূত্রের ব্যাকুল প্রশ্নমালার উত্তরে বলতেন বাবা ইয়াছির চৌধুরী ।ইয়াছির চৌধুরী বেঁচে ছিলেন ৯৮ বছর ।মৃত্যুর শেষ সময় পর্যন্ত হাঁটতে পারতেন লাঠিতে ভর দিয়ে চোখেও ভাল দেখতে পারতেন ।বা অনেক গল্প করতেন ।বাবা নদীর কথা বলতেন।গল্পগুলো ছিল বেশীর ভাগ মাছ বিষয়ক ।যেমন নদীর মাছ গুলো বিশাল ছিল ।আর খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।জেলেরা  প্রচুর মাছ ধরতো,বড় মাছ গুলো নিয়ে আসতো জমিদার বাড়ীতে বেশী দাম পাবে বলে।তাঁর বাবা শরফুদ্দীন চৌধুরীর নির্দেশও ছিলো সেরকমই।শরফুদ্দীন চৌধুরীকে ভীষন ভয় ও সমীহ করতো এলাকার মানুষ। দাদা শরফুদ্দীন চৌধুরীকে ভীষণ ভয় পেতেন মছব্বির চৌধুরীও।যেনো রূপকথার আজব কোনো বুড়ো  কুজোঁ হয়ে লাটিতে ভর দিয়ে জীবন্ত চলা ফেরা করছেন।মোটা উত্তল লেন্সের চশমা পড়তেন তিনি।চশমার ভিতর চোখ গুলো দেখা যেতো বড়ো বড়ো দৈত্যের চোখের মতো।তাই দেখে ভয় পেতেন মছব্বির চৌধুরী ।আর লাঠি আর কুজোঁ হয়ে চলার অবয়ব আরো ভীতির কারণ হতো মছব্বির চৌধুরী কাছে।গরমের দিন পুকুরে নেমে ই্ছে মতো ঘন্টার পর ঘন্টা দাপাদাপি করতেন।এজন্য জ্বরে পরে ভূগতেও হতো কিছুদিন। কারো কথা শুনতেন না তিনি ।কিন্তু দাদা এসে একটু ধমক দিলে ভয়ে উঠে পরতেন,কোন টু শব্দ না করে।কারণ দাদাকে তিনি ভীষণ ভয় পেতেন।আর দাদীকে ভীষণ ভালবাসতেন মজার মজার গল্প বলার জন্য।
বাবা ইয়াছির চৌধুরী নদী ও মাছের গল্প শুনে তিনি ভাবতেন,বড় হয়ে বাবাকে অনেক বড় বড় মাছ খাওয়াবেন ।স্কুল মাষ্টারীর চাকুরীর প্রথম মাসের বেতন দিয়ে বড় একটি রুই মাছ আনিয়েছিলেন বিল থেকে।একদম তাঁজা মাছ।আর নিয়েছিলেন মিষ্টি ।কারণ বাবা মাছ মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন।মায়ের হাতের রান্নায় মাছটির স্বা হয়েছিল অমৃত ।মায়ের হাতের অসাধারণ রান্নর স্বাদ  আজো মনে হয় তাঁর ।কিন্তু সেদিন বাবা খাবার পর বলেছিলেন মাছটি খেতে সুস্বাধু হলেও ;সেই ছেলেবেলার নদীর মাছের মতো সুস্বাদু নয়।তা শুনে মছব্বির চৌধুরী ভাবতেন বাবার ছেলেবেলার খাওয়া মাছ নিশ্চই অতিশয় সুস্বাদু ছিল।
মাছদের মধ্যে ইলিশ মাছ মছব্বির চৌধুরীর অতি প্রিয় একটি মাছ।ছেলেবেলায় যে ইলিশ মাছ খেয়েছেন তার স্বাধ ও গন্ধ এখনো মনে পরে।এখনকার ইলিশে সেই স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া যায় না।যদিও রকিবের আম্মার রান্নার হাত ভালো।কারণ এখন মাছে দেয়া হয় ফর্মালিন ! স্বাদ কোথায় থাকবে ?
ছেলে রকিব চৌধুরী ।লন্ডন প্রবাসী।ইন্টার মিডিয়েট পাশের পর বিয়ে দিয়েছিলেন লন্ডনী ফ্যামিলীতে।বিয়েতে তিনি রাজী ছিলেন না।তাঁর ইচ্ছা ছিল, ছেলে পড়া লেখা করে ম্যাজিষ্ট্রেট, জেলা কালেক্টর হবেন ।জেলা কালেক্টরের অনেক ক্ষমতা।আরেকটি  কারণ মেয়ের পরিবারের পূর্ব পূরুষ একদা লন্ডনী ভাউচারে  গিয়ে ধনী হবার আগে মাটির জিনিস পত্র কলসি,মটকা সানকি ইত্যাদি নৌকায় ভরে গ্রামে গঞ্জে ফেরী করে বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করতো ।কিন্তু মেয়ের ছেলে দেখে পছন্দ হয়েছে ।এজন্য ঘটকও পাঠিয়েছেন ।মেয়ের পক্ষ হতে ঘটকালী ।কি কলিকাল ।মেয়ে পক্ষের বাবা মা এসে বুঝালেন,মেয়েকে বিয়ে দেবার জন্য আত্মীয় স্বজনের পক্ষ হতে বিস্তর চাপ আসছে।তাঁদের ছেলে কোন অংশে কম?সকলে লন্ডনী মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যত জীবন দেখতে চায়।কিন্তু মেয়ের কাউকে পছন্দ নয়্ বিয়ে করতে রাজী নয়।জর করে বিয়ে দিলে,লন্ডনে গিয়ে ডিভোর্স হয়ে যেতে পারে ।এতে মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।বাপ মা হিসাবে তারা এমনোক তারা তা কখনো চান না।মেয়ের পছন্দ তাঁর ছেলেকে্।আলাপ চারিতায় জানতে পারলেন এঁরা তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় হন।স্ত্রীও সায় দিলেন।অগত্যা রাজী হতে হলো মছব্বির চৌধুরীকে ।
সেই ছেলে ইংরেজ দেশে গিয়ে সংসারের খরচের টাকা পাঠাচ্ছেন।তার ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছে।যে ইংরেজদের জন্য তাঁর বংশের উত্থান পতন!বড়ই অদ্ভুদ এই দুনিয়া!ভাবলেন মছব্বির চৌধুরী ।
মেয়েটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।সরকারী দলের দুগ্রুপ ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।একজন ছাত্র মারা গেছে । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনিদৃষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ্ ঘোষনা করেছেন ।তিনি সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকেন,কখন কি হয়ে যায় !সায়মা সবসময় বাবাকে চিন্তা না করার জন্য বলে।কিন্তু সন্তানের জন্য বাবা মায়ের চিন্তার কি শেষ হয় !মেয়ে আসছে বাড়ীতে।আদরের মেয়ের জন্য ভাল মন্দ খাওয়ার ব্যবস্থার  জন্য তিনি বাজারে যাচ্ছেন।রকিবকে ম্যাজিষ্ট্রেট করতে পারেন নি।সায়মা এখন একমাত্র ভরসা।সায়মা চৌধুরী লেখাপড়ায় খুব মেধাবী।সে ম্যাজিষ্টে হতে পারবে এ ব্যাপারে মছব্বির চৌধুরী নিশ্চিত । কিন্তু তিনি আজকাল শুনতে পান বি সি এস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় ।চাকুরী পেতে হলে মন্ত্রী এমপির সুপারিশ লাগে।এই ভাবনায় এসে তাঁর মনে খটকা লাগে।এমন খটকার জটিলতা  থেকে তাঁর মন বের হতে পারে না।তিনি হতাশ হন।

শিশু মছব্বির চৌধুরীর এর কাছে কামলা আব্দুল ভাই ছিল পছন্দের লোক ।আব্দুল ভাইকে একদিন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-‘দাদা এমন কুঁজো হয়ে চলেন কেন ?’
আব্দুল উত্তরে বললেন, -‘তিনার বাতাশ লাগছে।’
-‘কি বাতাশ ?’
-‘দেঁওয়ের বাতাশ।হেই বাতাশ লাগার কারনে তিনি কুঁজো হয়ে গেছেন।’
বলেছিলেন আব্দুল।
-‘দেঁও কি ?’
-‘দেঁও খুব খাড়াপ ,গাঁয়ে খুব শক্তি দেঁওয়ের ।মানুষকে কাতুকুতু দেয় ,এমনকি মেরেও ফেলতে পারে।’
বলেছিলেন কামলা আব্দুল ভাই।
সেদিন আব্দুল ভাইয়ের কথা শুনে দাদার ব্যাপারে ভয়ের মাত্রাটা আরো বেড়ে গিয়েছিল।
যখন তিনি আরেকটু বড় হয়ে কিশোর বয়সে উপনীত হলেন তখন থেকে দাদাকে আর ভয় লাগতো না। বরং দাদা হয়ে উঠেছিলেন  একজন পূরানো দিনের গল্পবলা প্রিয় বুড়ো । বন্ধু জন।সে সময় দাদা আপন হয়ে গেলেন আর বাবাকে ভয় পেতে থাকলেন।বাবা পড়াশুনার খবর নিতেন,উপদেশ দিতেন,যদিও বাবার উপদেশগুলো ভাল লাগতো না ,চলা ফেরায় কোন ব্যত্যয় ঘটলে বাবা কৈফিয়ত চাইতেন।অনেক সময় তাঁর কৈফিয়তের সদোত্তর দেয় সম্ভব হতো না।মনে হতো বাবা তার স্বাধীন ভাবে চলাফেরায় অযথা হস্তক্ষেপ করছেন।কিন্তু বাবার উপদেশগুলো ফেলে দেয়া যেতো না।এ কারণে বাবাকে ভয় পেতেন ।পরে যখন মাষ্টারীর চাকরী পেয়ে  নিজের পায়ে দাড়িয়ে যান ,তখন বাবা প্রিয়জন হয়ে যান,উনাকে ভয় পাবার কিছু থাকে না।কেন বাবা শাসন করতেন বা তিনি বাবাকে বয় পেতেন সেগুলোর উত্তর পেয়ে যান তখন।দাদা বলেছিলেন তাঁর কোমড়ে বাতের ব্যাঁথার সমস্যার কারণে কুঁজো হয়ে চলতে হয়।
কিন্তু তিনি আজও আব্দুল ভাইয়ের বলা বাতাস লাগা বিষয়টি মিমাংসা করতে পারেননি।
কারণ গ্রামের কিছু মানুষের কাছে আজো বাতাস লাগা বিষয়টি বিশ্বাসের স্থান দখল করে আছে।এ রহস্য হয়তো ভেদ করা যাবে না।

 জমিদারদের বিশ্বাস ছিল তাঁদের জমিদারী বংশপরস্পরায় চলতে থাকবে।
এক কালে তাঁর পূর্ব পূরুষেরা প্রতাবশালী জমিদার ছিলেন।সম্পদের কোন অভাব ছিল না।যদি বৃটিশরা আইন করে জমিদারী উচ্ছেদ না করতো তাহলে তিনিও হয়তো আজ উত্তরাধিকারী সূত্রে বিরাট ধনী হতেন।এমন একটি গাড়ী তিনি কিনতে পারতেন অনায়াশে।ভাবলেন মুছব্বির চৌধুরী।গণি মিয়ার  কি গাড়ী কিনার সামর্থ্য আছে?থাকতেও পারে । কিন্তু গণি মিয়া গাড়ী কিনবে না ।সে খুব পরশ্রমী লোক।তার আরো টাকার প্রয়োজন,বিলাসিতা করার মানষিকতা গণি মিয়ার নেই।তিনি কল্পনা করে দেখলেন গণি মিয়া গাড়ী করে এসে আদাবের সাথে বলছে,
-সালামালাইকুম,চৌধূরী সাব !হেঁটে যাচ্ছেন যে!আসেন আমার গাড়ীতে উঠেন,আপনাকে পৌঁছে দেই।
নাহ্ !গণি মিয়াকে গাড়ীতে মোটেই মানাচ্ছে না।ভাবলেন তিনি।
কিন্তু এমন একটি গাড়ী কিনার টাকা তাঁর কাছে নেই।
একজন অবসর প্রাপ্ত প্রাইমারী স্কুল শিক্ষকের অতো টাকা থাকবে কি করে !
লটারীতে টাকা পেলে হয়তো একটি গাড়ী কিনা যেতো।
গাড়ী কিনলে আবার চালানোর জন্য ড্রাইভার প্রয়োজন।
দিতে হবে মাসোহাড়া বেতন !তেল মবিল আরো কতো কি
একটু আগের চলে যাওয়া গাড়ীটার মালিক নিশ্চই ধনী লোক।ধনী লোকেরা গাড়ী কিনে শুধু আরাম আয়েশ বিলাসিতার জন্য?তা হয়তো নয় ।
ব্যবসায়ী মাত্র ধনী লোক ।ধনী লোকেদের ব্যবসার জন্য এখানে সেখানে যেতে হয় এজন্য সময় বাঁচানোর গাড়ী প্রয়োজন।আর বড় চাকুরীর কর্মকর্তাদের গাড়ী প্রয়োজন ।মূল্যবান সময় বাঁচানোর জন্য।
কিন্তু তাঁর কি গাড়ীর প্রয়োজন আছে? ভাবলেন মুছাব্বির চৌধুরী ।
কোথায় যেনো পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোন এক চাকুরে বেশ কিছু কিলোমিটার পায়ে হেঁটে প্রতিদিন অফিস করতেন ।যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে পায়ে হেঁটে অফিস করা বিষয়টি একটি অবাক করা ঘটনা।ভদ্রলোকের গাড়ী কিনার টাকা ছিল  না।আরেক ভারতীয় স্কুল মাষ্টার কয়েক কিলোমিটার সাঁতরিয়ে ছাত্রদের পড়াতে আসতেন স্কুলে।নাহ্! সে তোলনায় তিনি ভালই আছেনে!
এদিকে রিক্সা তেমন একটা চলে না ।তাই আজকের গরমে একটু কষ্ট বেশী হচ্ছে মুছব্বির চৌধুরীর ।তাছাড়া ডায়বেটিশ হার্টের সমস্যা আছে মছব্বির চৌধুরীর ।তাই হাঁটা প্রয়োজন।শরীরটা হলো বাইসাইকেলের মতো ।সব সময় তেল মবিল দিয়ে চালু রাথতে হয় ।ফেলে রাখলে জং ধরে অকেজো হয়ে পরতে পারে।ভাবলেন তিনি।ভারতীয় স্কুল মাষ্টার অথবা যুক্তরাষ্ট্রের ভদ্রলোকের  কথা ভেবে তিনি শান্তনা পেলেন।কারণ তাঁরা কখনো বলেননি তাঁদের কষ্ট হচ্ছে বরং তাঁরা যেনো এরূপ জীবন উপভোগ করছেন।
আসলে তাঁর গাড়ীর প্রয়োজন নেই বলেই গাড়ী নেই ।
এমন যুক্তির কথা ভেবে তাঁর বিষন্ন মনটা খুশী হয়ে উঠলো ।
ঘটনাটা ঘটলো ঠিক সে সময়!
পিছন থেকে গণি মিয়ার ট্রাক্টরের ষ্টিল বডির কোনা মছব্বির চৌধুরীর মেরুদন্ডে সজোরে আঘাত করলো। তিনি পিঠে প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে ছিটকে পড়লেন কার্লভার্টের কার্নিশে।ভীষণ জোরে মাথা ঠুকে গেল কার্লভার্টের কার্নিশে।তারপর হাত পা ছড়িয়ে পরলেন স্বল্প পানির নিচের খালটিতে ।ঘটনার আকশ্মিকতায় গণি মিয়া হতভম্ব হয়ে গেলেন ।কয়েকদিন যাবত ট্রাক্টরটিতে ব্রেক কাজ করছিল না ব্রেক সারাতেই বাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন ট্রাক্টরটিকে।চারিদিকে একটা হৈই চৈই রব শুনা গেল ।মছব্বির চৌধুরী চিত হয়ে নি:সাড় দেহে হাত পা ছড়িয়ে পরে রয়েছেন অল্প পানির খালে ।তিনি হৈই চৈই শুনতে পাচ্ছিলেন ।শুরুতে তীব্র ব্যথার অনুভূতি পেলেও এখন তিনি ব্যাথার অনুভূতি পাচ্ছিলেন না বরং শরীরটা হালকা হালকা আরাম দায়ক লাগছিল।নীল আকাশে একটি চীলকে বৃত্তাকারে উড়তে দেখতে পাচ্ছিলেন।চিলটি যেনো অনন্তকাল ধরে উড়ছে। দেখতে ভাল লাগছিল।হঠা করে তিনি উপলদ্ধি করলেনদুনিয়া কিছুই নাস্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজন সমস্তই দুনিয়ার মায়া।তিনি এখন সে মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত!গাড়ীর যেমন প্রয়োজন নেই বলে ছিল না ,বলে মনটা খুশী হয়েছিল।তেমনি এখন পৃথিবীর কোন কিছুই প্রয়োজন নেই মানে করে ভাল লাগার অনুভূতি হল।তিনি অপার এক ভাল লাগার ঘোরে আচ্ছন্ন হলেন।পৃথিবীর যাবতীয় প্রয়োজনহীনতা তাঁকে অজানা এক প্রচন্ড সুখ বোধে আচ্ছন্ন করলো ।তিনি আকাশের উড়ন্ত চিলটিকে একই ভাবে বার বার উড়তে দেখতে পেলেন।
মছব্বির চৌধুরী এলাকার মানী লোক,  সবাই ধরাধরি করে গণি মিয়ার ট্রাক্টরে তোলে হাসপাতালে নিয়ে আসলেন।ডাক্তার আসলেন।এখন মছব্বির চৌধুরীর চোখে উড়ন্ত চিলের বদলে হাসপাতালের সাদা ছাদ ।সেখানে দু একটি মাকড়সার জাল দেখতে পেলেন।শিকার ধরার জন্য ,বেচেঁ থাকার জন্য কী প্রানন্ত প্রচেষ্টা মাকড়সাদের!আগে কখনো এভাবে দেখতে পাননি কেন ? তাদের কথা এভাবে ভাবতে পারেননি কেন ?তিনি কি অন্য জগতে চলে এসেছেন।যেখানে চিন্তা ভাবনা অন্য রকম ?
তিনি শুনতে পেলেন ডাক্তার যেনো অনেক দূর থেকে বলছেন 
“–ইনি এক্সিডেন্টের সংগে সংগেই মারা গেছেন।?”
উপস্থিত জনেরা ইন্না লিল্লাহ পড়লেন ।
একজন এগিয়ে এসে হাত বুলিয়ে মছব্বির চৌধুরীর খোলা চোখ দুটোর চোখের পাতা ঢেকে দিলেন। মছব্বির চৌধুরী অন্দকার দেখলেনঅন্ধকারের পর্দায় সাড়া জীবনের ঘটনাগুলো ছায়াছবির মতো ভেসে উঠলো ।দাদা দাদী বাবা মা স্ত্রী সন্তান স্কুলের ছাত্র ছাত্রী বিভিন্ন লোকজন।তিনি অবাক আনন্দিত হলেন এই ভেবে তাঁর জীবনে কতো ঘটনাই না ঘটেছে,যেগুলো তিনি জানতেন না,তিনি ফেলে যাওয়া জীবনের ছায়াছবিতে মগ্ন হলেন।ক্রমশ লোকজনের কথাবার্তার ধ্বনী ধীরে ধীরে দূরে চলে যেতে লাগলো
 কে যেন একজন বললেন “ লোকটা অনেক ভালো ছিলেন!”
এক সময় তিনি চীরদিনের জন্য প্রশান্তির ঘুমে তলিয়ে গেলেন।

Wednesday, September 30, 2015

তোমার লাগিয়া রে সদাই প্রাণ আমার কান্দে রে

তোমার লাগিয়া রে
সদাই প্রাণ আমার কান্দে বন্ধুরে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
নিদয় নিঠুর রে বন্ধু
তুই তো কূল নাসা।
(আমায়) ফাঁকি দিয়ে ফেলে গেলি রে বন্ধু।
না পুড়াইলি আশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
আগে যদি জানতাম রে বন্ধু
তোর বাড়ি নৈরাশা।
(ও তুই) না জেনে পীড়িতের রীতি রে বন্ধু।
ঘটাইলি দুর্দশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
হৃদয় চিড়িয়া রে দিতাম হৃদয়তে বাসা।
(আমি) তোমায় দেখে স্বাধ মিটাইতাম রে বন্ধু।
খেলতাম প্রেমের পাশা রে বন্ধু
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।

শিল্পীঃ আব্দুল আলীম ,নীনা হামিদ ও রিমি
সুরকারঃ পাওয়া যায় নি
গীতিকারঃকানাই লাল সেন
পল্লীগীতি
Your stick Ray
My soul is always bandhure kande
Kalia Ray soul friend ..
Ray nidaya nithura friend
You are NASA shore.
(Me) out of the stall friend Ray m.
Do not expect a friend Ray puraili
Kalia Ray soul friend ..
Before you knew rays friend
Gloominess your home.
(And you) have not ridden friend Ray genre.
Ray ghataili teen friend
Kalia Ray soul friend ..
Ray heart would hrdayate trip home.
(I) at you mitaitama sbadha friend Ray.
Love played dice rays friend
Kalia Ray soul friend ..

Silpih Abdul Alim, nina Hamid and Rimi
Surakarah found
Gitikarahkanai red Sen
Folk song

Invitation Jasim Uddin- পল্লী কবি পল্লী কবি জসীমউদ্দীন এর কবিতা ‘নিমন্ত্রণ’

Invitation

Jasim Uddin
 
Can you brother - with my will, our small village,

Flourished in the shade of the trees on the forest op apathetic;

I felt sorry for Maya jarajari

More gehakhani are ornaments,

Bukete mother, sister and feet, dear brother, chaya,

Can you brother - with my will, our small village,

Small gamokhani small river runs through admire side,

Black water near his eye majiyache whoever crow;

Boat tied to the brink of the water

Let the news sprawl;

Binasuti wreath gathiche nitui side with citizens;

Right away aniche tatera two curved trap.

You can be my brother, the small village that Kajol,

Let's banana forest intimately; Taya has shut it.

Headphones accelerates pathway sutaya

Pathikere aniche far away,

Forest air, shade, shall hold Taya,

Bukakhani give his full understanding, compassion and mercy!

You can be my brother - the soft grass of the plate

Cambana aim adharakhanite layo niralate table.

Telakuca - Trailer neck, sleeves

Take a lump filled bucolic fringe,

Hethaya aye, you're feeling wild birds,

You see your body rankhani their legs.

If you go into our village, I'm with

He went to the other side of the river with a boat pier.

The field is called to shepherd

Do you give in to the Teleport

Kuriiya continually build our buildings caught in the daytime,

Forget the fake city truly build our city.

If you go - there you see in pea vine,

Beans and lima beans - hands down there with baraile up.

If he is to you - all kuraye

Poraye poraye straw fire,

And as gemdho eat - farmers called invitation,

Bilaiba it up and laughed and laughed, the two up.

If you go - kuraye water lilies, very - very large,

A person who has seen the build wreath,

Karen will not, if you want

Well, it does not give it,

Malatire you lay down, but he's tough,

Paraba evil guys and take by force;

Even going back to the house, the mother wants to bakite,

Some of the seed so that the plan can be happy with him!

Red aloyane up dungcake

Will be bound by the

If you want to get up or not getting a gift from his mind,

I will tell - will bring many Taya kalike matarera spinach.

Get up very early to be doing, suyyi Before,

Karen kabi do not belong to anybody words dekhis feet
Can you brother - with my will, our small village,

Flourished in the shade of the trees on the forest op apathetic;

are involved in tender compassion
My body is full of love

The love of a mother, sister and brother's affection

Can you brother - with my will, our small village,

The small village- small river runs through admire side,

Black water has her beautiful eyes like a crow;
Boat tied to the brink of the water

Let the news sprawl;

There is constant communication with citizens beyond;
There are two main indiscriminate hanging banyan tree

Will you come to my brother, the small beautiful village,


Let's banana forest intimately; There are so shut up.

For small bucolic road traffic

Pedestrians pass away,

Breeze forest, trees, shadow, hold that,

His heart will be filled with thought, compassion and mercy!
You can be my brother - the soft grass of the plate

The aim scratched isolation kiss lip.

Telakuca - Trailer neck, sleeves

Take a lump filled bucolic fringe,

Here you're in love with the wild birds,
See you dressed them in your skin color.
If you go into our village, I'm with

He went to the other side of the river with a boat pier.

The field is called to shepherd

Do you give in to the Teleport

Stoning build our building up throughout the day,

Forget the fake city truly build our city.

If you go - there you see in pea vine,

Beans and lima beans - Ever Increasing hands full down there.
If he is to you - are all gathering

The straw fire burn,

And eat the bacon - called farmers invitation,
We are happy to give it up handfuls of the two.
If you - to collect water lilies, very - very large,

A person who has seen the build wreath,

Karen will not, if you want

Well, it does not give it,

You lay down the pearl, but tough,

And laying the evil guys can take by force;
If you go back home in the evening, if the mother wants to give orders to,
Some of the seed so that the plan can be happy with him!

Red church will gather dungcake

Will be bound by the

If you want to get up or not getting a gift from his mind,

I'll talk to - tomorrow, he will bring a lot of pea plants.
Will wake up very early, before the sun rises,
Do not tell anyone, not one word of warning, leg raises

Rail road full of small bass

Danakine fish to wriggle;

Is given in the middle of the water before stopping the build of mud
Before anyone will know all the fish we caught.
At noon, some mud, and the fish,

I will come back home to sew clothes.

O face - Ray Burns Mother monkey.

Slang - cuddle with mom guilt,

How long will I hear my mother's backside .Give brother;

Would you brother, our village, where lush green trees.

Would you brother, our small village with my Iggy.

Dark forest - the forest-op has given the illusion of compassion.

Flourished in the shade of the trees in the forest

Oh my childhood hiding!

Today, the - I'll get all out,

Would you brother, our little guy with my Iggy.

Will take you back in our self-lid dense forest
Abide not hiding out, the man did not say nothing

Go pick a flower of the field,

Will not be able to recognize the way;

Would asleep in bed when the body is lazy evening,

I have to find the village, call out your name.

Tuesday, September 29, 2015

ইরানের দুই বছরের বিস্ময় বালক

ইরানের দুই বছরের  বিস্ময় বালক

ইরানের বাবল শহরের আরাত হোসেনের বয়স মাত্র দুই বছর। এই বয়সে শিশুরা  ঠিকমতো কথাই বলতে পারে না।সেখানে আরাত শারীরিক অসম্ভব কসরত দেখিয়ে রীতিমতো বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন।
বয়সের তুলনায় তার শারিরীক কসরত অবাক করার মতো । ইরানের মাজানদারান প্রদেশের বাবল শহরে বাস করেন আরাতের পরিবার। ডিগবাজি, ইটের দেয়াল বেয়ে ওপরে ওঠা কিংবা দুই হাত মাটিতে ভর দিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে রাখা সহ নানা কসরত দেখাতে বেশ পারদর্শী আরাত। কঠিন সব ব্যায়ামের কৌশল দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই শিশু। ইতোমধ্যে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকেও ডাক এসেছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি চ্যানেলে দেখিয়েছেন তার শারীরিক কসরত।পেয়ে গেছে তারকা খ্যাতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দুই বছরের আরাতের ফলোয়াড় সংখ্যা ১৯ হাজারের কোটায়। ছেলের এই বিস্ময়জনক কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অবাক বাবা মোহাম্মদ ও মা ফাতেমা। ছেলেকে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি বলে তারা জানান। বলেন, খেলার ছলেই নয় মাস বয়সে আরাতের মধ্যে ব্যায়ামের আগ্রহ তৈরি হয়। এর পর প্রতিদিন প্রায় ২০ মিনিট ব্যায়াম করতে শুরু করে সে।

বাবা মোহাম্মদ বলেন, একদিন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পর ছেলে তার দুই হাতের আঙুল মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে এবং পা মাটি থেকে ওপরে ভাসিয়ে রাখে। সেদিন প্রথম আমি আরাতের শক্তি ও সক্ষমতা বুঝতে পারি।
শিশু আরাতের প্রিয় খেলাতে পরিণত হয়েছে শরীরচর্চা। সে সাধারণত একটানা ১০ মিনিটের মতো ব্যায়াম করতে পারে। তার প্রিয় খেলা হলো পেছন দিক থেকে ডিগবাজি দেওয়া।
বাসার সব জায়গায়ই শরীরচর্চা করছে আরাত। খাট, চেয়ার, টেবিলে বসে কিংবা টেলিভিশন ও বাসার চৌকাঠে উঠে দেখাতে থাকে ছোট্ট শরীরের কসরত। বাবার আসা খেলাধুলায় একদিন অপ্রতিরোধ্য হবে আরাত।

Floating Restaurant Surma River Cruise, Sylhet, Bangladesh

There is also a launch floating in the river. The launch night becomes colored. The scenic view of the large-scale launch attracted the attention of everyone. It is a floating restaurant.
There Restaurant 250 people sitting together in a room, conference room, VIP room and six modern bathrooms and air conditioning systems are the two Bed room. River cruise in Sylhet, the restaurant has introduced an institution. Restaurant name 'Surma River Cruise.

The three-storey restaurant is on the ground under water. This business class restaurant. This includes more than 50 people, seminar facilities dining together. The name of the second-floor Riverview. 120 people will be able to sit down together to breakfast. The top floor has been given the name of 'Open Sky'. The floor is open air seating as well as the family cabin.
Every day at 4pm, 7pm and night at 8 pm will leave from Camdanighata Surma restaurant. Surma River and a half hours at the same place again roam the passengers will be let down. Fare is Rs 699 to 299 Depending on class. Passengers with tickets free and fast food. The fast-food restaurant as they desired, and they were able to buy Indian-Bengali and Chinese food. Birthday, floating restaurant on-marriage ceremony social events will be available for rent.

 সুরমা নদীতে ভাসমান একটি লঞ্চ ।রাতের আধাঁরে মোহনীয়  রঙ্গিন হয়ে উঠে।
আলোক মালার মনোরম দৃশ্য সবার মনোযোগ আকৃষ্ট করে । লঞ্চটি  একটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট।

লঞ্চটিতে আছে কনফারেন্স রুম, ভিআইপি রুমে একসাথে ২৫০ জন মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে এই লঞ্চে ।
ছয়টি আধুনিক বাথরুম এবং এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেম ।দুটি বেড রুম আছে এই ভাসমান রেঁস্তোরায়.
এর  নাম সিলেট রিভার ক্রুজ।রেস্টুরেন্ট এর নাম 'সুরমা নদী ক্রুজ।

তিন তলা ভাসমান রেঁস্তোরার নিচের তলা থাকে পানির তলে ।
এখানে ৫০  জনেরও বেশি লোক একসঙ্গে ডাইনিং করার সুবিধা আছে ।আছে  সেমিনার করার সুবিধা ।
 দ্বিতীয় তলার নাম রিভারভিউ । ১২০ জন মানুষের ব্রেকফাস্ট একসঙ্গে করার ব্যবস্থা রয়েছে ।
 উপরের তলায় 'খোলা আকাশ' । খোলা বাতাসে আসনবিন্যাস সেইসাথে পরিবারিক কেবিনের ব্যবস্থা আছে ।

বিকাল 8 টা সন্ধ্যা ৭ টা এবং রাত ৮টায় প্রতিদিন ,সুরমা রেঁস্তোরা নদীতে ভেসে চলতে থাকে ।
 ভাড়া২৯৯ টাকা হতে ৬৯৯ টাকা। টিকিটের সাথে ফ্রি ফাস্ট ফুড দেয়া হয়।
 অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পছন্দ মতো ভারতীয় বাঙালি এবং চীনা খাদ্য কিনে খাওয়া যায়।
 জন্মদিন,  বিয়ের অনুষ্ঠান ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য লঞ্চটি ভাড়া নেয়া যায় ।

মামার বাড়ি ,জসীম উদ্দিন


মামার বাড়ি
জসীম উদ্দিন


আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা,
ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।
মামার বাড়ি পদ্মপুকুর
গলায় গলায় জল,
এপার হতে ওপার গিয়ে
নাচে ঢেউয়ের দল।
দিনে সেথায় ঘুমিয়ে থাকে
লাল শালুকের ফুল,
রাতের বেলা চাঁদের সনে
হেসে না পায় কূল।
আম-কাঁঠালের বনের ধারে
মামা-বাড়ির ঘর,
আকাশ হতে জোছনা-কুসুম
ঝরে মাথার ‘পর।
রাতের বেলা জোনাক জ্বলে
বাঁশ-বাগানের ছায়,
শিমুল গাছের শাখায় বসে
ভোরের পাখি গায়।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের শাখায় উঠি
রঙিন করি মুখ।
কাঁদি-ভরা খেজুর গাছে
পাকা খেজুর দোলে
ছেলেমেয়ে, আয় ছুটে যাই
মামার দেশে চলে।

ঈদুল আজহা গায়ে আতরের সুগন্ধ পাক পবিত্র ! আর বাতাসে ভেসে আসে দুর্গন্ধ নাপাক অপবিত্র!

ঈদুল আজহা গায়ে আতরের সুগন্ধ  পাক পবিত্র !আর বাতাসে ভেসে আসে দুর্গন্ধ নাপাক অপবিত্র!

ঈদুল আজহা ।
একটি পবিত্র দিন,আনন্দের দিন।এই পবিত্রতা দেহ মন থেকে ছড়িয়ে পরে আকাশে বাতাসে,সৃষ্টি কতর্দার দরবারে ।সকালে ঘুম থেকে উঠেই পরম পবিত্র সত্তার স্মরণে পবিত্রতা দিয়ে শুরু হয় ।গোসল করে পাক পবিত্র হয়ে ।পাক পবিত্র কাপড় পরিধান করা।পবিত্র সুগন্ধী আতর লাগিয়ে ঈদগাহ বা মসজিদে গিয়ে পবিত্রতার সাথে নামাজ আদায় করা হয় ।এই পবিত্র ঈদের দিনে মানুসের দেহ মন আকাশ বাতাস সবকিছু নির্মল হয়ে উঠে।মোসলমানরা অাল্লাহর নামে পশু কোরবানী করেন ।
তারপর সেই পশুর কিছু অংশ বিলিয়ে দেয়া হয় গরীবদের মাঝে।ধনীদের আঙ্গিনা হতে গোস্ত চলে যায় গরীবদের রান্না ঘরে।আল্লাহর অপার মহিমার অংশীদার হন গরীবরা।
রান্না করে তৃপ্তির সাথে আহার করেন সকল মোসলমানেরা।হাজার শুকুর গুজার করেন আল্লাহর ।

কিন্তু কোরবানী দেয়া পশুর রক্ত উচ্ছিষ্ট মাংস ঠিক মতো মাটিতে পুঁতে না রাখার করণে ছড়িয়ে পরে দুর্গদ্ধ্ ।আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পরে অপবিত্রতা ।সে দুর্গন্ধের অপবিত্রতা কোরবানী দেয়া ধনী লোকের আঙ্গিনা হতে ছড়িয়ে পরে গরীবদের আঙ্গিনা পর্যন্ত।পথে ঘাটে রাস্তায় ছড়িয়ে পরে।অসুস্থ করে তোলে মানুষের মন।আর  বাযূ দোষনের দূগন্ধের অপবিত্রতায় বসবাস করে মানুষ ।নিমিশেই পবিত্র কোরবানীর আনন্দ রুপান্তরিত হয় অসুস্থ দুর্গন্ধে ।শুধু মাত্র কিছু সংখ্যক মানুষের সামান্য সচেতনতা অভাব ও দায়িত্বশীলতার অবহেলার কারণে।

সুগন্ধ পবিত্রতার অংশ,পরম নেকী অর্জনের সহায়ক।
দুর্গন্ধ অপবিত্রতার অংশ।দুর্গন্ধের অপর নাম পাপ ।
কিছু ধনী ব্যক্তি অনেক টাকা খরচ করে সুন্দর বাড়ী বানিয়েছেন ।
দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায় !
কিন্তু সে সুন্দর বাড়ী হতে ভেসে আসছে দূর্গন্ধ।
তখন বাড়ীটাকে ভাল লাগে না।বাড়ী ওয়ারার প্রতি বিরূপ ধারণা জন্মে।
মনে হয় সুন্দর বাড়ী হতে দূগন্ধের পাপী আত্মারা বের হয়ে আসছে।
সুগন্ধের বাতাসেরা ফরিয়াদ জানাতে চলে গেছে সৃষ্টিকর্তার কাছে।
পশু কোরবানী ম্লান করে দেয় দুগন্ধ ভরে যাওয়া বাতাস।
তাই কোরবানীর রক্ত উচ্ছিষ্ট হাড় মাংস এমন ভাবে মাটিতে পুঁতে ফেলা উাচত।যাতে দূগন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশকে অবিত্র করে না ফেলে।আর  এই রকম অপবিত্রতার জন্য নিজেদের মর্যদা যেনো ক্ষুন্ন না হয়ে যায়।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অনুশীলন করুন ।তাতেই বুদ্ধি পেতে পারে মানুষ ও সমাজের মর্যদা।অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয় ।আর প্রমানীত হয় সেমাজের মানুষ যথেষ্ট উন্নত নয়।
অন্য সমাজের মানুষ তাঁদের সম্পর্কে ভালো ধারণা নাও করতে পারে।
কাজেই উন্নত মানুষের পরিচয় দিতে পরিবেশ রাখুন নির্মল।
কারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই ঈমানের অঙ্গ ।

করনীয়-
১.কোরবানির  পশু জবেহ শেষে তার রক্ত ও  উচ্ছিষ্ট মাংস হাড়  অপসারণ করা।
২.কোরবানীর স্থানটিতে প্রয়োজনীয় পানি ঢেলে ভাল করে ধৌত করা ।
৩.পশুর রক্ত ও  উচ্ছিষ্ট মাংস হাড় মাটিতে গর্ত করে চাপা দেয়া।
৪.গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক, যেমন—ফাম-৩০ ইত্যাদি দেওয়া ।
যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় ।
৫. শিয়াল/কুকুর মাটি খুঁড়ে রক্ত ছড়াতে বা খেতে না পারে সেজন্য গর্তটি ভালমতো বন্ধ করে দেয়া।
৬.মাটিচাপার ওপরে কিছু মোটা তুষ ছিটিয়ে দিলে শেয়াল বা কুকুর মাটি গর্ত করে ময়লা তুলতে পারবে না।

করনীয় গুলো না করলে কি হতে পারে :-

১.পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে,
২.চর্মজাতীয় রোগ উৎপত্তি হয়ে মানবদেহে বা পশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে।
৩.কিছু ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি হয়ে খাদ্যের সঙ্গে মিশে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
৪.সমাজ উন্নত সমাজ বলে পরিচিতি লাভ করবে না।


দুগন্ধ ছড়িয়ে  আপনি ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিতি অর্জন করতে পারবেন না।
মোসলমান পরিচিতি হিসাবে অপর ধর্মের লোকদের কাছে বিরুপ ধারনা সৃষ্টি  হতে পারে।
সমাজও হবে অস্বাস্থ্যকর ।
যার জন্য সমাজের বাসিন্দা হিসাবে আপনি দায় এড়াতে পারেন না।
যা কোন মতেই কাম্য হতে পারে না।

অতএব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাথুন।
অশেষ সোয়াবের ভাগীদার হোন ।

Monday, September 28, 2015

Bangladesh - George Harrison

My friend came to me, with sadness in his eyes
He told me that he wanted help
Before his country dies
Although I couldn’t feel the pain, I knew I had to try
Now I’m asking all of you
To help us save some lives
Bangla Desh, Bangla Desh
Where so many people are dying fast
And it sure looks like a mess
I’ve never seen such distress
Now won’t you lend your hand and understand
Relieve the people of Bangla Desh
Bangla Desh, Bangla Desh
Such a great disaster – I don’t understand
But it sure looks like a mess
I’ve never known such distress
Now please don’t turn away, I want to hear you say
Relieve the people of Bangla Desh
Relieve Bangla Desh
Bangla Desh, Bangla Desh
Now it may seem so far from where we all are
It’s something we can’t neglect
It’s something I can’t neglect
Now won’t you give some bread to get the starving fed
We’ve got to relieve Bangla Desh
Relieve the people of Bangla Desh
We’ve got to relieve Bangla Desh
Relieve the people of Bangla Desh


Sunday, September 27, 2015

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এর চাঁদ

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এর চাঁদ
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা।যাকে বলে  সুপারমুন।আজকে দেখা দিয়েছে  অতিকায় চাঁদের। 
পৃথিবীতে ৩০ বছর পর  বিরল এই ঘটনা ঘটে। সে চাঁদের একটা ছবি রাত ৯.৩০ মিনিটে তোললাম।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫৯.৩০ মিনিটেতোলা
এর রং হবে রক্তলাল।চাঁদ যখন তার স্বাভাবিক অক্ষ থেকে কিছুটা সরে এসে পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে তখন আকাশে সুপারমুন দেখা যায়।
 এই  চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪%বেশি উজ্জ্বল ও বড় । ত
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪১ থেকে রাত ৯টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত  এই চাঁদ স্থায়ী ছিল ।
আজকে চন্দ্র গ্রহণও !
উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আটলান্টিক মহাসাগর, গ্রিনল্যান্ড, ইউরোপ, আফ্রিকা, ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে
এই উত্তেজনাকর চন্দ্রগ্রহণ অবলোকন করা যাবে।
পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এই ঘটনা দেখা যাবে না।
বাংলাদেশসহ এশিয়ার দর্শকরা চাঁদের এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে বঞ্চিত হবেন।
এসময় পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ ঢেকে দেবে চাঁদের আকাশকে।
প্রাকৃতিক বিস্ময়কর ও বিরল ৭২ মিনিটের এই ঘটনা উপভোগ করতে যারা ব্যর্থ হবেন,
তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।


২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এর চাঁদের এই অনন্য ঘটনা আবার দেখতে পাবেন ২০৩৩ সালে ।
 এর আগে এরকম দৈত্যাকায় রক্তিম পূর্ণ-চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮২ সালে।
গত একশো বছরে মাত্র পাঁচ বার এই সুযোগ পাওয়া গিয়েছিলো ।
 নাসার ওয়বসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত খবর প্রকাশ হয়েছে।
 এই বিরল ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে নাসার পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে ।
 নাসা টিভি লাইভ সম্প্রচার করবে।
প্রতি মাসেই চাঁদ তাঁর উপবৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে করতে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে।
 কিন্ত, পূর্ণ-চাঁদ হয়ে পৃথিবীর কাছে আসা নি:সন্দেহে বিরল ঘটনা।

প্রার্থণা -তুলি দুই হাত করি মোনাজাত -সুফিয়া কামাল

কুলি-মজুর- কাজী নজরুল ইসলাম

কুলি-মজুর- কাজী নজরুল ইসলাম

দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি ক’রে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?
যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে,
বাবু সা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।
বেতন দিয়াছ?-চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল!
কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল্?
রাজপথে তব চলিছে মোটর, সাগরে জাহাজ চলে,
রেলপথে চলে বাষ্প-শকট, দেশ ছেয়ে গেল কলে,
বল ত এসব কাহাদের দান! তোমার অট্টালিকা
কার খুনে রাঙা?-ঠুলি খুলে দেখ, প্রতি হঁটে আছে লিখা।
তুমি জান না ক’, কিন- পথের প্রতি ধূলিকণা জানে,
ঐ পথ, ঐ জাহাজ, শকট, অট্টালিকার মানে!
আসিতেছে শুভদিন,
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ!
হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,
পাহাড়-কাটা সে পথের দু’পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,
তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,
তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি;
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান,
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!
তুমি শুয়ে র’বে তেতালার পরে আমরা রহিব নীচে,
অথচ তোমারে দেবতা বলিব, সে ভরসা আজ মিছে!
সিক্ত যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা-রসে
এই ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে!
তারি পদরজ অঞ্জলি করি’ মাথায় লইব তুলি’,
সকলের সাথে পথে চলি’ যার পায়ে লাগিয়াছে ধূলি!
আজ নিখিলের বেদনা -আর্ত পীড়িতের মাখি’ খুন,
লালে লাল হ’য়ে উদিছে নবীন প্রভাতের নবারুণ!
আজ হৃদয়ের জমা-ধরা যত কবাট ভাঙিয়া দাও,
রং-করা ঐ চামড়ার যত আবরণ খুলে নাও!
আকাশের আজ যত বায়ু আছে হইয়া জমাট নীল,
মাতামাতি ক’রে ঢুকুক্ এ বুকে, খুলে দাও যত খিল!
সকল আকাশ ভাঙিয়া পড়-ক আমাদের এই  ঘরে,
মোদের মাথায় চন্দ্র সূর্য তারারা পড়-ক ঝ’রে।
সকল কালের  সকল দেশের সকল মানুষ আসি’
এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শোনো এক মিলনের বাঁশী।
একজনে দিলে ব্যথা-
সমান হইয়া বাজে সে বেদনা সকলের বুকে হেথা।
একের  অসম্মান
নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান!
মহা-মানবের মহা-বেদনার আজি মহা-উত্থান,
উর্ধ্বে হাসিছে ভগবান, নীচে কাঁপিতেছে শয়তান!

Saturday, September 26, 2015

I Wish you joy peace & love -Princess Hema

I Wish you joy peace & love -Princess Hema

কফোঁটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি ভালবাসবে

কফোঁটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি ভালবাসবে
                                         কফোঁটা চোখের জল ফেলেছ
                                         যে তুমি ভালবাসবে?
                                         পথের কাঁটায় পায় রক্ত না ঝড়ালে
                                         কী করে এখানে তুমি আসবে!
                                         কটা রাত কাটিয়েছ জেগে স্বপ্নের মিথ্যে আবেগে?
                                         কী এমন দুখকে সয়েছ যে তুমি এত সহজেই হাসবে!
                                         হাজার কাজের ভীড়ে
                                         সময় তো হয়নি তোমার
                                         শোননি তো কান পেতে
                                         অস্ফুট কোন কথা তার
                                         আজ কেন হাহাকার কর?
                                         সে কথায় ইতিহাস গড়
                                         কী সুখ জলাঞ্জলি দিয়েছ
                                         যে তুমি সুখের সাগরে ভাসবে!
                                         পথের কাঁটায় পায় রক্ত না ঝড়ালে
                                         কী করে এখানে তুমি আসবে!
                                         কফোঁটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি ভালবাসবে?
                                     
                                         শিল্পীঃ মান্না দে
                                         সুরকারঃ ড নচিকেতা ঘোষ
                                         গীতিকারঃ পুলক বন্দোপাধ্যায়


Love comes from heaven and goes to heaven

 ছবি-Ali Ammar

The custard apple tree parrots আতা গাছে তোতা পাখি

The custard apple tree parrots
Pomegranate tree, beehive
Still so much to say
  The bride is not talking

Friday, September 25, 2015

Rare total eclipse lunar eclipse on September 27

Rare total eclipse lunar eclipse on September 27

The more light, the moon, the greater will dive in the dark! The full moon happens.
In the last 30 years, the moon, and the earth did not come to much.
 The moon on September 27, so we'll see as much swagger,
So bright it could be seen in the last three decades.
Lunar eclipse will be that day.
Picture by-Rosana Oviedo ROS

Total eclipse lunar eclipse on September 27.
 Moon-Sun 'overwhelms' taking is done on a regular basis.
According to NASA, but the 1-day moon in the sky, we see that,
 The 'Super Moon', we get a chance to see very low.
The same day, the "Super Moon" will be the "total eclipse, lunar,
Of rare events.
Which happened in the last 30 years.
After the eclipse shadow 'hide' the brightness of the moon will come out pretty remarkable.
 A 30 percent increase in the brightness of the moon.
The moon will be almost 14 percent larger.

Only five times in the past ten years, we got the chance.
 1910, 1928, 1946, and 198 in 1964.
 This opportunity will be again in 2033 after 18 years.

Why does the moon come to us all the time, so much swagger?

Because its satellites circling the earth like an egg on Murray.
The moon goes around-comes around to us.
Never goes away.
Most of us will be on September 23.

The only regret,
 Bangladesh will not be able to see this rare event!
 Can be seen in North America, Europe, Africa, West Asia.

If you do not mind

If you do not mind

khaja ali amjad mahbub

If you do not mind, I want to live with the protection!
If you do not mind, would have to say!
If you do not mind, like the freedom of mass media!
If you do not mind, like the right to vote!
If you do not mind, like the government!
If you do not mind, road safety!
If you do not mind, would like to study!
If you do not mind, like the campus secure environment!
If you do not mind, would end economic discrimination!
If you do not mind, would like to end discrimination in government employees!
If you do not mind, would like to improve the health service!
If you do not mind, and the end of harassment of public service offices construction!
If you do not mind, laboring to the right of the people!
If you do not mind, like employment!
If you do not mind, like a healthy environment!
If you do not mind, like congestion-free city!
If you do not mind, would let the black law!
If you do not mind, like unemployment!
If you do not mind, people-friendly police want!
If you do not mind, public services like administration!
If you do not mind, people want justice-defense!
If you do not mind, like democracy!


যদি কিছু মনে না করেন
যদি কিছু মনে না করেন,বাঁচার মতো বাঁচতে চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,কথা বলার অধিকার চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,গণ মাধ্যমের স্বাধীনতা চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,ভোটের অধিকার চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,জনগণের সরকার চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,নিরাপদ সড়ক চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,উচ্চ শিক্ষার সুযোগ চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,শিক্ষাঙ্গনের নিরাপদ পরিবেশ চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,সরকারী কর্মচারীদের বেতন বৈষম্যের অবসান চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,উন্নত স্বাস্থ্য সেবা চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,সরকারী সেবা মূলক অফিসের হয়রানীর অবসান চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,খেটে খাওয়া মানুষদের ন্যায্য অধিকার চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,কর্মসংস্থান চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,যানজট মুক্ত শহর চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,কালো আইন বাতিল চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,বেকার ভাতা চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,জন বান্ধব পুলিশ চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,জন সেবামূলক প্রশাসন চাই !
যদি কিছু মনে না করেন,মানুষ বাঁচানের ন্যায় বিচার চাই!
যদি কিছু মনে না করেন,গণতন্ত্র চাই!

 



Thursday, September 24, 2015

২১ মাইল হেঁটে অফিস করেন তিনি!

২১ মাইল হেঁটে অফিস করেন তিনি!
সেদিন যুক্ত রাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে।
গাড়ীতে হিটার চালিয়ে গাড়ি চেপে বরফ ভেঙে বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে
 লোকজন দেখতে পায় মোটা জ্যাকেট আর কান ঢাকা টুপিতে নিজেকে মুড়ে
 হনহনিয়ে হেঁটে চলেছেনএক প্রৌঢ়। রোজই তিনি এপথে হাঁটেন তিনি।
তবে সেটা স্বাস্থ রক্ষার হাঁটা নয়।  শীত,
গ্রীষ্ম বা বর্ষা সব ঋতুতেই তাকে হাঁটতে দেখা যায়।
উনার নাম হলো জেমর্স রবার্টসন।
রবার্টসনের এই হাঁটার পেছনে একটা কাহিনী আছে ।
 কিাহিনীটা জেনে সবাই চমকে উঠেছেন।
তিনি প্রতিদিন হাঁটেন এক বা দু’মাইল নয়,
 জীবনধারণের নিমিত্ত প্রতিদিন  তাঁকে গড়ে ২১ মাইল পথ হেঁটে অফিস অফিস করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটের বাসিন্দা জেমস রবার্টসনের  একমাত্র মন্ত্র জীবনে এগিয়ে চলা।
তাঁর বয়স ৫৪ বছরের চেয়ে বেশী ।
 মধ্যবয়সী এই লোককে সপ্তাহে পাঁচ দিনে প্রতিদিন  ২১ মাইল (৩৩ কিলোমিটার )
পথ হেঁটে অফিস করতে হয়।। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনও কিছুই তাঁ অফিস করার
অদম্য মানসিকতাকে বিঘ্ন করতে বা দমাতে পারেনি ।
২০০৫ সালে তার গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায়।
নতুন গাড়ি কিনার  টাকা ছিল না তাঁ কাছে।
 কিন্তু পেটের দায় যে অস্বীকার করা যায় না।
তাই পায়ের ভরসাতেই হেঁটে অফিস করেন জেমস।
ডেট্রয়েট থেকে রচেস্টার হিলসের  এলাকায় তাঁর অফিস,
 সেখানে  কোন বাস বা ট্রেন যায় না।
অফিস যাবার  শেষ সাত মাইল
 (১১ কিলোমিটার ) হেঁটেই পার করতে হয় তাঁকে।
 ফেরার সময় পুরো ১৩ মাইল (২০ কিলোমিটার) পথ হেঁটে ফিরেন।
অফিস কামাই করার স্বভাব  নেই তাঁর।
 তুষারঝড়ে আমেরিকার উত্তর-পূর্বাংশ বরফে ঢেকে যায়
 তখনও পায়ে স্নো বুট পরে নির্দিষ্ট সময়েই অফিসে করেছেন তিনি।

তিনি বলেন ,সেই ছোটবেলায় বাবার কাছে শিখেছিলেন,
 কঠিন সময় চিরকাল থাকে না
কিন্তু চিরকাল রয়ে যান কঠিন ধাতের মানুষরা।
 জেমসের কথা জানাজানি হওয়ার পর
 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে।
জেমস যাতে একটা গাড়ি চেপে একটু ভালোভাবে অফিস যাতায়াত করতে পারেন
 তার জন্য শুরু হয়েছে চাদা তোলা।
 এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ডলার চাঁদা উঠেছে।
জেমসের কর্তব্যপরায়ণতাকে সম্মান জানাতে যারা চাদা দিয়েছেন তাদের বক্তব্য
‘এই অর্থ দিয়ে তিনি গাড়ি কিনুন।’
অবশ্য যাকে নিয়ে এত কিছু হচ্ছে সেই জেমস এসব শুনে হতবাক হয়েছেন।
 সূত্র: ইন্টারনেট



মছব্বির চৌধুরীর জীবনের প্রয়োজনীয়তা

মছব্বির চৌধুরীর জীবনের প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশে এখন গ্রীষ্মকালে ভীষন গরম পরে।
মুরব্বীরা বলেন  আগে এমন গরম ছিল না।
বিজ্ঞানীরা বলেন উন্নত বিশ্বে কলকারখানার সৃষ্ট কার্বন ডাই অক্সাইডের অধিকত্বে গ্রীন হাউস এফেক্টের কারনে পৃথিবীর আকাশের ওজন স্তর ধংশ হয়ে যাচ্ছে।ওজন স্তরে ফাটল ধরেছে।সে ফাটল গলে সূর্যের আলোর আতি বেগুনী রশ্মি সহ অন্যান্য ক্ষতিকারক রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে চলে আসছে ওজন স্তরে ফাটল ধরায় ছাঁকনি হিসাবে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি গুলো আটকাতে পারছে না । পৃথিবীর ছাঁকনী ওজন স্তর ।তাপমাত্রা বাড়ছে ।অনাকাঙ্খিত টর্নেডো সাইক্লোন হচ্ছে ।মারা যা্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ ।মিলিয়ন বিলিয়ন সম্পদ নষ্ট হচ্ছে ।বলা হচ্ছে এই বাড়ন্ত তাপমাত্রার জন্য উত্তর মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে,বাড়ছে সমূদ্র পৃষ্টের উচ্চতা !ফলে সমুদ্র পৃষ্টতল সমউচ্চতার দেশ বাংলাদেশ মালদ্বীপ এসমস্ত দেশ তলিয়ে যেতে পারে সাগরের লোনা জলে।
আজকের রোদের তেজটা যেনো একটু বেশী ।গরমটা অসহনীয়।
এরকম অসহনীয় গরমের মধ্যে মছব্বির চৌধুরী ছাতি মাথায় বাজারের দিকে হেঁঠে যাচ্ছিলেন আর এই গরমের কথাই ভাবছিলেন।
গরমে তাঁকে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত দেখাচ্ছিল।
এমন সময় একটি সুন্দর গাড়ী উনার পাশ দিয়ে কিছু ধূলা ধূয়া উড়িয়ে ভোস্ করে চলে গেল ।
তিনি চেয়ে  দেখলেন গাড়ীটির কাঁচ নামানো ।
নিশ্চই গাড়ীটিতে ইয়ার কন্ডিশন আছে ।ভাবলেন তিনি।
আজকাল শহরের বড় বড় বিপনী বিতান গুলোতে ইয়ার কন্ডিশন সিষ্টেম  থাকে।কী শীতল শীতল আরাম দায়ক ব্যবস্থা !ভাবলেন মছব্বির চৌধুরী।ছেলে বেলার সেই পুকুর পাড়ের আমবাগনের সমীরণও আরাম দায়ক ছিল।যেখানে তিনি স্কুল ছুটির দিনে গরমের সময় বর্ষায় পুকুরের বাড়ন্ত পানিতে  প্রায়ইশ ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেন ।তখন প্রচুর মাছ ধরা পরতো কই, শিং ,মাগুর ,পুঁটি কতো কি!তাঁর মনে হলো ইয়ার কন্ডিশনের শীতলতার তুলনায় ছেলেবেলার সেই পুকুর পাড়ের  পরিবেশ অধিক মনোহর ও আরাম দায়ক ছিল।ইয়ারকন্ডিশনের বাতাসে যান্ত্রিক গন্ধ থাকে ।আর আম বাগানের বাতাশে অনেক না জানা সুঘ্রাণ ছিল।আর মুকুলের সুগন্ধ মনকে মাতোয়ারা করে দিতো্ ।
একসময় বেঁচে থাকার প্রয়োজনের তাগিদে তাঁদের একান্নভূক্ত পরিবার ভেংগে গেল।বাপ চাচারা জমি জমা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিলেন।সকলের ব্যবহারের সুবিধার্থে পুকুর আর আম বাগান ভাগ হলো না।এজমালি রয়ে গেল ।এজমালি আমবাগান প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কেটে সাফ হয়ে গেল ।সেখানে আজ স্থান হয়েছে বাড়ন্ত জমিদার বংশধরদের বসত বাড়ী।হাড়িয়ে গেল  সুখস্মৃতি।হাড়িয়ে গেল আম বাগান আর হাড়িয়ে গেল সেই মন মাতানো গাঁ জুড়ানো শীতল সমীরণ।
এখন চারি দিকে ঘর বাড়ী সরু সরু চলাচলের রাস্তা ।সে রাস্তায় দুজন পাশাপাশি চলাচলে মুস্কিল । যেনো দম ফেলা দায়।মছব্বির চৌধুরী নিজের অজান্তে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।ভাবলেন শৈশব সুখ স্মৃতির সবকিছু হাড়িয়ে যায় কেন ?
শৈশবের স্মৃতিময় খেলা ধূলা আজ বিলুপ্তির পথে ।আজ আর খেলতে দেখা যায় নাদাড়িয়াবাঁধাগোল্লা ছুট বউচোর মতো শৈশবের সেই মন মাতানো খেলাগু ।ছেলেপুলে গুলো খোরা ধূলা ছেড়ে ব্যস্ত মোবাইল ফেসবুক নিয়ে ।খেলা ধূলা সামাজিকতা আজ বন্ধী হতে চলেছে মোবাইলের ছোট্ট ফ্রেমে !বিমর্ষ হয়ে ভাবলেন মছব্বির চৈাধুরী ।
জমি জিরেত বিক্রী করতে করতে শেষ হয়ে গেছে।জমিগুলো অধিকাংশ কিনে নিয়েছে একদা যারা তাঁদের বাড়ীতে কামলা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।তাদের মধ্যে একজন রহিম মিয়ার পূত্র গনি মিয়া্ ।তার বাজারে বাজে মালের বিরাট ব্যবসা ।আর আছে একটি বড় ট্রাক দুটি মাহিন্দ্র ট্রাকটর ।আছে কয়েকটি পাওয়ার টিলার ।
গরু গাভী আগে প্রতি গৃহ্থের ঘরে ঘরে শোভা পেতো ।গৃহস্থ ঘরের আঙ্গিনার শোভা বর্ধন করতো খড়ের বড় বড় গাদা বা লাছি।বেশী বড় লাছিতে প্রমাণ হতো জমিদার তালুকদারের চিহ্ন। এখন তেমন আর দেখা যায় না।গরু চড়ানোর জায়গাও বিলুপ্ত হতে চলেছে ।ভূমিহীনদের সরকারী খাস জমি বন্দোবস্তের নামে অধিকাংশ চলে গেছে গণি মিয়াদের মতো লোকদের দখলে।একদা গরীব রহিম মিয়ার পূত্র গণি মিয়া আজ অনেক টাকার মালিক।গ্রামে গঞ্জে এখন বলদ দিয়ে চাষাবাদ করা উঠে গেছে।কাকভোরে শুনা যায় না চাষিদের হেই হেই হট হট মধুর সূরের চাষার বলদদের পরিচালনার  কন্ঠ।তার বদলে বাতাসে ভেসে আসে পাউয়ার টিলারের একগেয়ে বিরামহীন শব্দ।এলাকার গৃহস্থরা গণি মিয়ার পাওয়ার টিলার ভাড়া নিয়ে জমি চাষ করেন।অন্যদের মতো মছব্বির চৌধুরীও নিজের জমি চাষ করার জন্য গনি মিয়ার পাওয়ার টিলা ভাড়া নেন।গণি মিয়া লোকটা খাড়াপ না ।যথেষ্ট অমায়িক বাপের মতো মান্য চিহ্ন আছে তার স্বভাবে।তার এরূপ স্বভাবের জন্য জন্য মছব্বির চৌধুরী গণি মিয়াকে পছন্দ করেন।
কী যেনো ভাবছিলেন ।স্মরণ করতে চেষ্ট করলেন মছব্বির চৌধুরী ।হাঁ গাড়ী ! তাঁরও এমন একটি গাড়ী থাকতে পারতো।
বৃটিশদের জমিদারী উচ্ছেদ আইনের কারণে আজ তাঁদের মতো অভিজাতদের পতন হয়েছে।তাঁর বাবার আমল হতে আর্থিক সংস্থানের বিষয়াদি কমতে শুরু করে।অর্থাভাবে তাঁদের বিলাসিতাকে ক্রমশ সংকোচিত করে ফেলেছিল।কিন্তু তা বলা বা প্রকাশ করা যেতো না আভিজাত্যের কারণে।বলতে না পারা এ আরেক অন্য ধরণের কষ্ট।তবু বাবা আভিজাত্য ছাড়েননি।আকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন মনে প্রাণে।তিনিও বাবার তথা পারিবারিক ঐতিয্য ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন ।কাউকে বুঝতে দেননি অভাব অনাটনের কথা।বাবার মুখে শুনেছেন কোন এক জমিদার বংশের ব্যক্তি জমা জমি বিক্রী করে নি:শ্ব হয়ে গিয়েছিলেন।তিনি জীবন ধারণের জন্য তাঁর সাবেক প্রজাদের যারা জমিদারী উচ্ছেদ আইনের কারণে সচ্ছল হয়ে গিয়েছিল তাদের কাছে ঘোড়ায় চরে ভিক্ষা করতেন।এমনি ছিল জমিদারী বংশের জ্ঞাতাভিমান।
 লোকে বলে জমিদাররা অত্যাচারী ছিল।অত্যাচারিত মানুষের অভিশাপে জমিদারদের পতন হয়েছে।কিন্তু লোকে এটা জানে না ইংরেজদের খাজনা তোলার জন্যই জমিদারদের অত্যাচারী হতে হতো।না হলে জমিদারী লাটে উঠবে যে।জনগণ অত্যাচারিত হলো ।লাভ হলো ইংরেজদের ।বৃটিশরা  আজও  ধনী ।দেশের মানুষ গরীব হলো ,নি:শ্ব হলো।দোষ হলো দেশীয় জমিদারদের ।কিন্তু ইংরেজরা কেন দোষী হলো না।কারণ ইংরেজরা ছিল পরদেশী।এদেশ ছিল তাদের লাভের স্থান,ব্যবসা করে ধনী হবার উপলক্ষ।জমিদার শ্রেণী ইংরেজরাই তৈরী করে তাঁদের সুবিধার জন্য।দেশের ধনী জমিদাররা ইংরেজদের সহযোগী হিসাবে অত্যাচারী হয়ে উঠে!তাই ইংরেজদের যেনো কোন দোষ না থাকে সেজন্য আইন করে উচ্ছেদ করে যায় তাঁদেরই তৈরী করা জমিদারদের।আজো সেই ইংরেজ পদ্ধতির শাসনের আইনের পথেই দেশ চলছে ।তাহলে জমিদারদের কি দোষ ছিল ?ইংরেজদের সেই চাপিয়ে দেয়া আইনে আজকের দেশে শান্তি সমৃদ্ধি হবে কি করে ?তিনি ভেবে পান না।এক পর্যায়ে ভাবনার হাল ছেড়ে দেন।
এই বিষয়ে সন্দেহের দানা ক্রমশ গড়াগড়ি দেয় মছব্বির চৌধুরীর মনে।মনে পড়ে যায় এক বাংলাদেশীয় বৃটিশ এমবাসেডর বলেছিলেন,
“-বৃটিশদের ডাষ্ট বিনে ফেলে দেয়া আইনে চলছে বাংলাদেশ ।”
বাংলাদেশে জমিদারদের সৃষ্টি করে ধ্বংশ করেছে বৃটিশরা আবার নিজ দেশে রাজতন্ত্র।জমিদারী আর রাজতন্দ্র কি সমার্থক নয় ?বৃটিশরা রানীর শাসন ও রাণীকে শ্রদ্ধা করে সেই আদ্যিকাল হতে ।এই পর্যায়ে এসে মছব্বির চৌধুরী চিন্তা খেই হাড়িয়ে ফেলেন।উনি উপলদ্ধি করলেন যে,আজকাল তাঁর সবকিছু মনে থাকে না।আগেরটা পরে :পরেরটা আগে চলে আসে ।উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত তথ্য মনে করতে পারেন না ।সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যায়।কোথায় গাড়ী নিয়ে ভাবছিলেন ।তা নয়,এক লহমায় মনের ভাবনা কোথা থেকে কোথায় চলে যায় !এ কথা ভেবে তিনি দিশা পান না।আজকাল মনটা অদ্ভুদ খেয়ালী আচরণ করছে ।বয়স বাড়ছে।বয়স বাড়লে সবারই কি এমন হয়।নাকি শুধু উনারই এমন হচ্ছে ।ভেবে কূল কিনারা পান না তিনি।যেমন শৈশবে বাড়ীর পাশে নদীটির কথা ভেবে কূল কিনারা পেতেন না তিনি।
নদীটি আসলো কোথা থেকে
  কোথায় চলে যায়
 কচুরীপানা ভেসে ভেসে কোথায় চলে যায়?
নদীর শেষ কোথায়?
বাবা ইয়াছির চৌধুরীকে প্রশ্ন করে জানতে পেরেছিলেন নদী সাগরে গিয়ে শেষ হয় ।
-সাগর কতো দূরে বাবা ?
 -সাগর অনেক অনেক দূরে ।সাগর অনেক বড় বাছা।বড় হলে জানতে পারবে!
স্নেহের পূত্রের ব্যাকুল প্রশ্নমালার উত্তরে বলতেন বাবা ইয়াছির চৌধুরী ।ইয়াছির চৌধুরী বেঁচে ছিলেন ৯৮ বছর ।মৃত্যুর শেষ সময় পর্যন্ত হাঁটতে পারতেন লাঠিতে ভর দিয়ে চোখেও ভাল দেখতে পারতেন ।বা অনেক গল্প করতেন ।বাবা নদীর কথা বলতেন।গল্পগুলো ছিল বেশীর ভাগ মাছ বিষয়ক ।যেমন নদীর মাছ গুলো বিশাল ছিল ।আর খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।জেলেরা  প্রচুর মাছ ধরতো,বড় মাছ গুলো নিয়ে আসতো জমিদার বাড়ীতে বেশী দাম পাবে বলে।তাঁর বাবা শরফুদ্দীন চৌধুরীর নির্দেশও ছিলো সেরকমই।শরফুদ্দীন চৌধুরীকে ভীষন ভয় ও সমীহ করতো এলাকার মানুষ। দাদা শরফুদ্দীন চৌধুরীকে ভীষণ ভয় পেতেন মছব্বির চৌধুরীও।যেনো রূপকথার আজব কোনো বুড়ো  কুজোঁ হয়ে লাটিতে ভর দিয়ে জীবন্ত চলা ফেরা করছেন।মোটা উত্তল লেন্সের চশমা পড়তেন তিনি।চশমার ভিতর চোখ গুলো দেখা যেতো বড়ো বড়ো দৈত্যের চোখের মতো।তাই দেখে ভয় পেতেন মছব্বির চৌধুরী ।আর লাঠি আর কুজোঁ হয়ে চলার অবয়ব আরো ভীতির কারণ হতো মছব্বির চৌধুরী কাছে।গরমের দিন পুকুরে নেমে ই্ছে মতো ঘন্টার পর ঘন্টা দাপাদাপি করতেন।এজন্য জ্বরে পরে ভূগতেও হতো কিছুদিন। কারো কথা শুনতেন না তিনি ।কিন্তু দাদা এসে একটু ধমক দিলে ভয়ে উঠে পরতেন,কোন টু শব্দ না করে।কারণ দাদাকে তিনি ভীষণ ভয় পেতেন।আর দাদীকে ভীষণ ভালবাসতেন মজার মজার গল্প বলার জন্য।
বাবা ইয়াছির চৌধুরী নদী ও মাছের গল্প শুনে তিনি ভাবতেন,বড় হয়ে বাবাকে অনেক বড় বড় মাছ খাওয়াবেন ।স্কুল মাষ্টারীর চাকুরীর প্রথম মাসের বেতন দিয়ে বড় একটি রুই মাছ আনিয়েছিলেন বিল থেকে।একদম তাঁজা মাছ।আর নিয়েছিলেন মিষ্টি ।কারণ বাবা মাছ মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন।মায়ের হাতের রান্নায় মাছটির স্বা হয়েছিল অমৃত ।মায়ের হাতের অসাধারণ রান্নর স্বাদ  আজো মনে হয় তাঁর ।কিন্তু সেদিন বাবা খাবার পর বলেছিলেন মাছটি খেতে সুস্বাধু হলেও ;সেই ছেলেবেলার নদীর মাছের মতো সুস্বাদু নয়।তা শুনে মছব্বির চৌধুরী ভাবতেন বাবার ছেলেবেলার খাওয়া মাছ নিশ্চই অতিশয় সুস্বাদু ছিল।
মাছদের মধ্যে ইলিশ মাছ মছব্বির চৌধুরীর অতি প্রিয় একটি মাছ।ছেলেবেলায় যে ইলিশ মাছ খেয়েছেন তার স্বাধ ও গন্ধ এখনো মনে পরে।এখনকার ইলিশে সেই স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া যায় না।যদিও রকিবের আম্মার রান্নার হাত ভালো।কারণ এখন মাছে দেয়া হয় ফর্মালিন ! স্বাদ কোথায় থাকবে ?
ছেলে রকিব চৌধুরী ।লন্ডন প্রবাসী।ইন্টার মিডিয়েট পাশের পর বিয়ে দিয়েছিলেন লন্ডনী ফ্যামিলীতে।বিয়েতে তিনি রাজী ছিলেন না।তাঁর ইচ্ছা ছিল, ছেলে পড়া লেখা করে ম্যাজিষ্ট্রেট, জেলা কালেক্টর হবেন ।জেলা কালেক্টরের অনেক ক্ষমতা।আরেকটি  কারণ মেয়ের পরিবারের পূর্ব পূরুষ একদা লন্ডনী ভাউচারে  গিয়ে ধনী হবার আগে মাটির জিনিস পত্র কলসি,মটকা সানকি ইত্যাদি নৌকায় ভরে গ্রামে গঞ্জে ফেরী করে বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করতো ।কিন্তু মেয়ের ছেলে দেখে পছন্দ হয়েছে ।এজন্য ঘটকও পাঠিয়েছেন ।মেয়ের পক্ষ হতে ঘটকালী ।কি কলিকাল ।মেয়ে পক্ষের বাবা মা এসে বুঝালেন,মেয়েকে বিয়ে দেবার জন্য আত্মীয় স্বজনের পক্ষ হতে বিস্তর চাপ আসছে।তাঁদের ছেলে কোন অংশে কম?সকলে লন্ডনী মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যত জীবন দেখতে চায়।কিন্তু মেয়ের কাউকে পছন্দ নয়্ বিয়ে করতে রাজী নয়।জর করে বিয়ে দিলে,লন্ডনে গিয়ে ডিভোর্স হয়ে যেতে পারে ।এতে মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।বাপ মা হিসাবে তারা এমনোক তারা তা কখনো চান না।মেয়ের পছন্দ তাঁর ছেলেকে্।আলাপ চারিতায় জানতে পারলেন এঁরা তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় হন।স্ত্রীও সায় দিলেন।অগত্যা রাজী হতে হলো মছব্বির চৌধুরীকে ।
সেই ছেলে ইংরেজ দেশে গিয়ে সংসারের খরচের টাকা পাঠাচ্ছেন।তার ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছে।যে ইংরেজদের জন্য তাঁর বংশের উত্থান পতন!বড়ই অদ্ভুদ এই দুনিয়া!ভাবলেন মছব্বির চৌধুরী ।
মেয়েটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।সরকারী দলের দুগ্রুপ ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।একজন ছাত্র মারা গেছে । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনিদৃষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ্ ঘোষনা করেছেন ।তিনি সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকেন,কখন কি হয়ে যায় !সায়মা সবসময় বাবাকে চিন্তা না করার জন্য বলে।কিন্তু সন্তানের জন্য বাবা মায়ের চিন্তার কি শেষ হয় !মেয়ে আসছে বাড়ীতে।আদরের মেয়ের জন্য ভাল মন্দ খাওয়ার ব্যবস্থার  জন্য তিনি বাজারে যাচ্ছেন।রকিবকে ম্যাজিষ্ট্রেট করতে পারেন নি।সায়মা এখন একমাত্র ভরসা।সায়মা চৌধুরী লেখাপড়ায় খুব মেধাবী।সে ম্যাজিষ্টে হতে পারবে এ ব্যাপারে মছব্বির চৌধুরী নিশ্চিত । কিন্তু তিনি আজকাল শুনতে পান বি সি এস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় ।চাকুরী পেতে হলে মন্ত্রী এমপির সুপারিশ লাগে।এই ভাবনায় এসে তাঁর মনে খটকা লাগে।এমন খটকার জটিলতা  থেকে তাঁর মন বের হতে পারে না।তিনি হতাশ হন।

শিশু মছব্বির চৌধুরীর এর কাছে কামলা আব্দুল ভাই ছিল পছন্দের লোক ।আব্দুল ভাইকে একদিন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-‘দাদা এমন কুঁজো হয়ে চলেন কেন ?’
আব্দুল উত্তরে বললেন, -‘তিনার বাতাশ লাগছে।’
-‘কি বাতাশ ?’
-‘দেঁওয়ের বাতাশ।হেই বাতাশ লাগার কারনে তিনি কুঁজো হয়ে গেছেন।’
বলেছিলেন আব্দুল।
-‘দেঁও কি ?’
-‘দেঁও খুব খাড়াপ ,গাঁয়ে খুব শক্তি দেঁওয়ের ।মানুষকে কাতুকুতু দেয় ,এমনকি মেরেও ফেলতে পারে।’
বলেছিলেন কামলা আব্দুল ভাই।
সেদিন আব্দুল ভাইয়ের কথা শুনে দাদার ব্যাপারে ভয়ের মাত্রাটা আরো বেড়ে গিয়েছিল।
যখন তিনি আরেকটু বড় হয়ে কিশোর বয়সে উপনীত হলেন তখন থেকে দাদাকে আর ভয় লাগতো না। বরং দাদা হয়ে উঠেছিলেন  একজন পূরানো দিনের গল্পবলা প্রিয় বুড়ো । বন্ধু জন।সে সময় দাদা আপন হয়ে গেলেন আর বাবাকে ভয় পেতে থাকলেন।বাবা পড়াশুনার খবর নিতেন,উপদেশ দিতেন,যদিও বাবার উপদেশগুলো ভাল লাগতো না ,চলা ফেরায় কোন ব্যত্যয় ঘটলে বাবা কৈফিয়ত চাইতেন।অনেক সময় তাঁর কৈফিয়তের সদোত্তর দেয় সম্ভব হতো না।মনে হতো বাবা তার স্বাধীন ভাবে চলাফেরায় অযথা হস্তক্ষেপ করছেন।কিন্তু বাবার উপদেশগুলো ফেলে দেয়া যেতো না।এ কারণে বাবাকে ভয় পেতেন ।পরে যখন মাষ্টারীর চাকরী পেয়ে  নিজের পায়ে দাড়িয়ে যান ,তখন বাবা প্রিয়জন হয়ে যান,উনাকে ভয় পাবার কিছু থাকে না।কেন বাবা শাসন করতেন বা তিনি বাবাকে বয় পেতেন সেগুলোর উত্তর পেয়ে যান তখন।দাদা বলেছিলেন তাঁর কোমড়ে বাতের ব্যাঁথার সমস্যার কারণে কুঁজো হয়ে চলতে হয়।
কিন্তু তিনি আজও আব্দুল ভাইয়ের বলা বাতাস লাগা বিষয়টি মিমাংসা করতে পারেননি।
কারণ গ্রামের কিছু মানুষের কাছে আজো বাতাস লাগা বিষয়টি বিশ্বাসের স্থান দখল করে আছে।এ রহস্য হয়তো ভেদ করা যাবে না।

 জমিদারদের বিশ্বাস ছিল তাঁদের জমিদারী বংশপরস্পরায় চলতে থাকবে।
এক কালে তাঁর পূর্ব পূরুষেরা প্রতাবশালী জমিদার ছিলেন।সম্পদের কোন অভাব ছিল না।যদি বৃটিশরা আইন করে জমিদারী উচ্ছেদ না করতো তাহলে তিনিও হয়তো আজ উত্তরাধিকারী সূত্রে বিরাট ধনী হতেন।এমন একটি গাড়ী তিনি কিনতে পারতেন অনায়াশে।ভাবলেন মুছব্বির চৌধুরী।গণি মিয়ার  কি গাড়ী কিনার সামর্থ্য আছে?থাকতেও পারে । কিন্তু গণি মিয়া গাড়ী কিনবে না ।সে খুব পরশ্রমী লোক।তার আরো টাকার প্রয়োজন,বিলাসিতা করার মানষিকতা গণি মিয়ার নেই।তিনি কল্পনা করে দেখলেন গণি মিয়া গাড়ী করে এসে আদাবের সাথে বলছে,
-সালামালাইকুম,চৌধূরী সাব !হেঁটে যাচ্ছেন যে!আসেন আমার গাড়ীতে উঠেন,আপনাকে পৌঁছে দেই।
নাহ্ !গণি মিয়াকে গাড়ীতে মোটেই মানাচ্ছে না।ভাবলেন তিনি।
কিন্তু এমন একটি গাড়ী কিনার টাকা তাঁর কাছে নেই।
একজন অবসর প্রাপ্ত প্রাইমারী স্কুল শিক্ষকের অতো টাকা থাকবে কি করে !
লটারীতে টাকা পেলে হয়তো একটি গাড়ী কিনা যেতো।
গাড়ী কিনলে আবার চালানোর জন্য ড্রাইভার প্রয়োজন।
দিতে হবে মাসোহাড়া বেতন !তেল মবিল আরো কতো কি
একটু আগের চলে যাওয়া গাড়ীটার মালিক নিশ্চই ধনী লোক।ধনী লোকেরা গাড়ী কিনে শুধু আরাম আয়েশ বিলাসিতার জন্য?তা হয়তো নয় ।
ব্যবসায়ী মাত্র ধনী লোক ।ধনী লোকেদের ব্যবসার জন্য এখানে সেখানে যেতে হয় এজন্য সময় বাঁচানোর গাড়ী প্রয়োজন।আর বড় চাকুরীর কর্মকর্তাদের গাড়ী প্রয়োজন ।মূল্যবান সময় বাঁচানোর জন্য।
কিন্তু তাঁর কি গাড়ীর প্রয়োজন আছে? ভাবলেন মুছাব্বির চৌধুরী ।
কোথায় যেনো পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোন এক চাকুরে বেশ কিছু কিলোমিটার পায়ে হেঁটে প্রতিদিন অফিস করতেন ।যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে পায়ে হেঁটে অফিস করা বিষয়টি একটি অবাক করা ঘটনা।ভদ্রলোকের গাড়ী কিনার টাকা ছিল  না।আরেক ভারতীয় স্কুল মাষ্টার কয়েক কিলোমিটার সাঁতরিয়ে ছাত্রদের পড়াতে আসতেন স্কুলে।নাহ্! সে তোলনায় তিনি ভালই আছেনে!
এদিকে রিক্সা তেমন একটা চলে না ।তাই আজকের গরমে একটু কষ্ট বেশী হচ্ছে মুছব্বির চৌধুরীর ।তাছাড়া ডায়বেটিশ হার্টের সমস্যা আছে মছব্বির চৌধুরীর ।তাই হাঁটা প্রয়োজন।শরীরটা হলো বাইসাইকেলের মতো ।সব সময় তেল মবিল দিয়ে চালু রাথতে হয় ।ফেলে রাখলে জং ধরে অকেজো হয়ে পরতে পারে।ভাবলেন তিনি।ভারতীয় স্কুল মাষ্টার অথবা যুক্তরাষ্ট্রের ভদ্রলোকের  কথা ভেবে তিনি শান্তনা পেলেন।কারণ তাঁরা কখনো বলেননি তাঁদের কষ্ট হচ্ছে বরং তাঁরা যেনো এরূপ জীবন উপভোগ করছেন।
আসলে তাঁর গাড়ীর প্রয়োজন নেই বলেই গাড়ী নেই ।
এমন যুক্তির কথা ভেবে তাঁর বিষন্ন মনটা খুশী হয়ে উঠলো ।
ঘটনাটা ঘটলো ঠিক সে সময়!
পিছন থেকে গণি মিয়ার ট্রাক্টরের ষ্টিল বডির কোনা মছব্বির চৌধুরীর মেরুদন্ডে সজোরে আঘাত করলো। তিনি পিঠে প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে ছিটকে পড়লেন কার্লভার্টের কার্নিশে।ভীষণ জোরে মাথা ঠুকে গেল কার্লভার্টের কার্নিশে।তারপর হাত পা ছড়িয়ে পরলেন স্বল্প পানির নিচের খালটিতে ।ঘটনার আকশ্মিকতায় গণি মিয়া হতভম্ব হয়ে গেলেন ।কয়েকদিন যাবত ট্রাক্টরটিতে ব্রেক কাজ করছিল না ব্রেক সারাতেই বাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন ট্রাক্টরটিকে।চারিদিকে একটা হৈই চৈই রব শুনা গেল ।মছব্বির চৌধুরী চিত হয়ে নি:সাড় দেহে হাত পা ছড়িয়ে পরে রয়েছেন অল্প পানির খালে ।তিনি হৈই চৈই শুনতে পাচ্ছিলেন ।শুরুতে তীব্র ব্যথার অনুভূতি পেলেও এখন তিনি ব্যাথার অনুভূতি পাচ্ছিলেন না বরং শরীরটা হালকা হালকা আরাম দায়ক লাগছিল।নীল আকাশে একটি চীলকে বৃত্তাকারে উড়তে দেখতে পাচ্ছিলেন।চিলটি যেনো অনন্তকাল ধরে উড়ছে। দেখতে ভাল লাগছিল।হঠা করে তিনি উপলদ্ধি করলেনদুনিয়া কিছুই নাস্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজন সমস্তই দুনিয়ার মায়া।তিনি এখন সে মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত!গাড়ীর যেমন প্রয়োজন নেই বলে ছিল না ,বলে মনটা খুশী হয়েছিল।তেমনি এখন পৃথিবীর কোন কিছুই প্রয়োজন নেই মানে করে ভাল লাগার অনুভূতি হল।তিনি অপার এক ভাল লাগার ঘোরে আচ্ছন্ন হলেন।পৃথিবীর যাবতীয় প্রয়োজনহীনতা তাঁকে অজানা এক প্রচন্ড সুখ বোধে আচ্ছন্ন করলো ।তিনি আকাশের উড়ন্ত চিলটিকে একই ভাবে বার বার উড়তে দেখতে পেলেন।
মছব্বির চৌধুরী এলাকার মানী লোক,  সবাই ধরাধরি করে গণি মিয়ার ট্রাক্টরে তোলে হাসপাতালে নিয়ে আসলেন।ডাক্তার আসলেন।এখন মছব্বির চৌধুরীর চোখে উড়ন্ত চিলের বদলে হাসপাতালের সাদা ছাদ ।সেখানে দু একটি মাকড়সার জাল দেখতে পেলেন।শিকার ধরার জন্য ,বেচেঁ থাকার জন্য কী প্রানন্ত প্রচেষ্টা মাকড়সাদের!আগে কখনো এভাবে দেখতে পাননি কেন ? তাদের কথা এভাবে ভাবতে পারেননি কেন ?তিনি কি অন্য জগতে চলে এসেছেন।যেখানে চিন্তা ভাবনা অন্য রকম ?
তিনি শুনতে পেলেন ডাক্তার যেনো অনেক দূর থেকে বলছেন 
“–ইনি এক্সিডেন্টের সংগে সংগেই মারা গেছেন।?”
উপস্থিত জনেরা ইন্না লিল্লাহ পড়লেন ।
একজন এগিয়ে এসে হাত বুলিয়ে মছব্বির চৌধুরীর খোলা চোখ দুটোর চোখের পাতা ঢেকে দিলেন। মছব্বির চৌধুরী অন্দকার দেখলেনঅন্ধকারের পর্দায় সাড়া জীবনের ঘটনাগুলো ছায়াছবির মতো ভেসে উঠলো ।দাদা দাদী বাবা মা স্ত্রী সন্তান স্কুলের ছাত্র ছাত্রী বিভিন্ন লোকজন।তিনি অবাক আনন্দিত হলেন এই ভেবে তাঁর জীবনে কতো ঘটনাই না ঘটেছে,যেগুলো তিনি জানতেন না,তিনি ফেলে যাওয়া জীবনের ছায়াছবিতে মগ্ন হলেন।ক্রমশ লোকজনের কথাবার্তার ধ্বনী ধীরে ধীরে দূরে চলে যেতে লাগলো
 কে যেন একজন বললেন “ লোকটা অনেক ভালো ছিলেন!”
এক সময় তিনি চীরদিনের জন্য প্রশান্তির ঘুমে তলিয়ে গেলেন।