বাংলাদেশের
সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা একটি পশ্চাদপদ জনপদ ।
এখানে যেনো সকল উন্নয়ন মুখ থুবরে পড়ে আছে।
রাস্তা ব্রীজের কাজ বছরের পর বছর চলে যায়, শেষ হয় না।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় জনগণের ভোগান্তি জীবনভর,যেনো কপালের লিখন।
এই উপজেলায় শুষ্ক মৌসুমে এক মাত্র বাহন মোটর সাইকেল ।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরেকটি যানবাহন আছে, স্থানীয়রা যাকে বলে চ্যাঙগাড়ী ।
বর্ষাকালে শাল্লার সমস্ত রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়;
তখন জনগণের চলাচলের একমাত্র বাহন হয় নৌকা ।
নৌকা গুলোতে আবার আরাম দায়ক ভ্রমণের কোন ব্যবস্থা নেই ।
নৌকায় হাঁটুমুড়ে বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।
যাদের হাঁটুমুড়ে বসে থাকার অভ্যাস নাই ,দীর্ঘ সময় হাঁটুমুড়ে বসে থাকার কারণে প্রায় সময় তাদের পায়ের স্নায়ূ অবশ হয়ে যায়।
সে আরেক যন্ত্রনা দায়ক কষ্টকর অভিজ্ঞতা!
এ যেন টাকা দিয়ে যাতায়াত নয়,হাজতে বসে থাকা।
কোন কোন সময় বর্ষা ও শুক্ষ মৌশুমের সন্ধিক্ষনে খানিকটা পথ হেঁটে,খানিকটা পথ নৌকায় ও খানিকটা পথ মটর সাইকেলে যেতে হয় ।
এ যেন,আধুনিক যুগের এক প্রাগঐতিহাসিক যোগাযোগের মিশ্র ব্যবস্থা!দিন যায় ,মাস যায় ,বছর যায় জনগনের ভোগান্তির পালা শেষ হয় না।
শাল্লা উপজেলা পশ্চাদপদ ও প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় সরকারী চাকুরেগণের মধ্যে দুই একজন বাদে অধিকাংশ সেখানে পোষ্টিং নিতে আগ্রহী নহেন।এ উপজেলা বাংলাদেশের চাকুরেদের জন্য শাস্তি মূলক বদলীর উপজেলা বলে পরিচিত।জনশ্রুতি রয়েছে এখানে যাদের চাকুরীর পদায়ন করা হয়, তাদের অধিকাংশদের শাস্তি মূলক হিসাবে পদায়ন করা হয়।
অতীতে এদেশে বৃটিশদের (১৭৫৭-১৯৪৭ সাল)কোন ব্যক্তির কারণে শাসন ও শোষণ কার্যে বাধা সৃষ্টি হলে সে ব্যক্তিকে আন্দামান দ্বীপপূঞ্জে দ্বীপান্তর করা হতো।
বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারী চকুরেদের প্রতি কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ্ট হলে শাল্লার মতো উপজেলায় অথবা অপর আরেকটি জেলা বান্দরবন বদলী করা হয়।বান্দরবন বাংলাদেশের একটি পার্বত্য জেলা।জেলাটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাহাড়ী জঙ্গলময়।সেখানকার মশার কামড় যন্ত্রনাদায়ক এবং ম্যালেরিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ।বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কল্যানে বা অবদানে বান্দরবন জেলায় অনেক রাস্তা হয়েছে।যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।বান্দরবনকে এখন প্রত্যন্ত অঞ্চল বলা যায় না।
শাল্লা উপজেলায় অতি প্রচীন কালের বাঁশের সাকো দেখতে পাবেন।সেই সাঁকো দিয়ে আপনাকে চলাচল করতে হবে।।
প্রাগঐতিহাসিক যুগের এই বাঁশের সাকো গুলি যেন পার্শ্বে নির্মানাধীন ব্রীজ গুলোকে উপহাস করে।প্রাত্যহিক দিনের
যদিও শুস্ক মৌশুমে রাস্তা ও ব্রীজ বানানোর আয়োজন চলে।কিন্তু সেগুলো শুরু হলেও অনেক বছর সময় চলে যায়, কাজ আর শেষ হয় না ।
শাল্লায় দিগন্ত পর্যন্ত ফসলের মাঠ,নীল পানির বিশাল বিল ,ছবির মতো সুন্দর গ্রামগুলো দেখতে খুব সুন্দর।কিন্তু মানুষের দারিদ্রতা দেখলে মন খাড়াপ হয়ে যায়।
এখানে যেনো সকল উন্নয়ন মুখ থুবরে পড়ে আছে।
রাস্তা ব্রীজের কাজ বছরের পর বছর চলে যায়, শেষ হয় না।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় জনগণের ভোগান্তি জীবনভর,যেনো কপালের লিখন।
শাল্লা হতে ২০/২২ কিলোমিটারকিলোমিটার দূরত্ব দিরাই উপজেলায় আসতে শুষ্ক মেশুমে
খরচ হয় ২১০ হতে ২৫০ টাকা।সময় লাগে দুই ঘন্টা ।
আর
বর্ষা মৌশুমে খরচ হয় ১২০ টাকা ।
শাল্লা হতে মিলন বাজার ১০/১১
কিলোমিটার মোটর সাইকেল ভাড়া জন প্রতি ১০০-১৫০ টাকা ।নৌকা ভাড়া ৬০ টাকা ।মিলন বাজার
হতে দিরাই ১০/১২ কিলোমিটার বেবী ট্যাক্সি ভাড়া ৬০ টাকা।
অথচ দিরাই হতে জেলা সদর সুনামগঞ্জ দ্বিগুন দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার
৫০ টাকায় এক ঘন্টায় যাওয়া যায়।
এই উপজেলায় শুষ্ক মৌসুমে এক মাত্র বাহন মোটর সাইকেল ।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরেকটি যানবাহন আছে, স্থানীয়রা যাকে বলে চ্যাঙগাড়ী ।
বর্ষাকালে শাল্লার সমস্ত রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়;
তখন জনগণের চলাচলের একমাত্র বাহন হয় নৌকা ।
চ্যাঙগাড়ী |
নৌকা গুলোতে আবার আরাম দায়ক ভ্রমণের কোন ব্যবস্থা নেই ।
নৌকায় হাঁটুমুড়ে বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।
যাদের হাঁটুমুড়ে বসে থাকার অভ্যাস নাই ,দীর্ঘ সময় হাঁটুমুড়ে বসে থাকার কারণে প্রায় সময় তাদের পায়ের স্নায়ূ অবশ হয়ে যায়।
সে আরেক যন্ত্রনা দায়ক কষ্টকর অভিজ্ঞতা!
এ যেন টাকা দিয়ে যাতায়াত নয়,হাজতে বসে থাকা।
কোন কোন সময় বর্ষা ও শুক্ষ মৌশুমের সন্ধিক্ষনে খানিকটা পথ হেঁটে,খানিকটা পথ নৌকায় ও খানিকটা পথ মটর সাইকেলে যেতে হয় ।
এ যেন,আধুনিক যুগের এক প্রাগঐতিহাসিক যোগাযোগের মিশ্র ব্যবস্থা!দিন যায় ,মাস যায় ,বছর যায় জনগনের ভোগান্তির পালা শেষ হয় না।
শাল্লা উপজেলা পশ্চাদপদ ও প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় সরকারী চাকুরেগণের মধ্যে দুই একজন বাদে অধিকাংশ সেখানে পোষ্টিং নিতে আগ্রহী নহেন।এ উপজেলা বাংলাদেশের চাকুরেদের জন্য শাস্তি মূলক বদলীর উপজেলা বলে পরিচিত।জনশ্রুতি রয়েছে এখানে যাদের চাকুরীর পদায়ন করা হয়, তাদের অধিকাংশদের শাস্তি মূলক হিসাবে পদায়ন করা হয়।
অতীতে এদেশে বৃটিশদের (১৭৫৭-১৯৪৭ সাল)কোন ব্যক্তির কারণে শাসন ও শোষণ কার্যে বাধা সৃষ্টি হলে সে ব্যক্তিকে আন্দামান দ্বীপপূঞ্জে দ্বীপান্তর করা হতো।
বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারী চকুরেদের প্রতি কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ্ট হলে শাল্লার মতো উপজেলায় অথবা অপর আরেকটি জেলা বান্দরবন বদলী করা হয়।বান্দরবন বাংলাদেশের একটি পার্বত্য জেলা।জেলাটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাহাড়ী জঙ্গলময়।সেখানকার মশার কামড় যন্ত্রনাদায়ক এবং ম্যালেরিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ।বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কল্যানে বা অবদানে বান্দরবন জেলায় অনেক রাস্তা হয়েছে।যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।বান্দরবনকে এখন প্রত্যন্ত অঞ্চল বলা যায় না।
শাল্লা উপজেলায় অতি প্রচীন কালের বাঁশের সাকো দেখতে পাবেন।সেই সাঁকো দিয়ে আপনাকে চলাচল করতে হবে।।
প্রাগঐতিহাসিক যুগের এই বাঁশের সাকো গুলি যেন পার্শ্বে নির্মানাধীন ব্রীজ গুলোকে উপহাস করে।প্রাত্যহিক দিনের
প্রয়োজনে বাঁশের তৈরী সাঁকো দিয়ে লোকজন প্রত্যন্ত গ্রাম হতে উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন।
যদিও শুস্ক মৌশুমে রাস্তা ও ব্রীজ বানানোর আয়োজন চলে।কিন্তু সেগুলো শুরু হলেও অনেক বছর সময় চলে যায়, কাজ আর শেষ হয় না ।
শাল্লা উপজেলায়
বেলা দেড়টা দুইটার আগে খবরের কাগজ পাওয়া যায় না ।উপজেলা সদরে বিদ্যুত সবসময় থাকে না
।প্রায় সবগুলো গ্রামে বিদ্যুত সংযোগ নেই। গ্যাস! সেতো আকাশকুসুম কল্পনার বিষয়।
শাল্লায় দিগন্ত পর্যন্ত ফসলের মাঠ,নীল পানির বিশাল বিল ,ছবির মতো সুন্দর গ্রামগুলো দেখতে খুব সুন্দর।কিন্তু মানুষের দারিদ্রতা দেখলে মন খাড়াপ হয়ে যায়।
শাল্লার অধিকাংশ মানুষ সহজ সরল প্রাণবন্ত মিশুক।মানুষজনের আন্তরিকতা
মুগ্ধ করার মতো।কিছু মানুষ তাদের বৈষয়িক বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত কর্ম তত্পরতায় থাকার কারণে
বাংলাদেশের অন্যন্য এলাকার মতো জমির বিরোধ দেখা দেয়,কিছু কিছু বিরোধ জনপ্রতিনিধির
মধ্যস্থতায় সিষ্পত্তি হয়।
শাল্লা একটি
পল্লী নীরব এলাকা ।যাদের কোলাহল ভাল লাগে না।তাদের শাল্লা ভাল লাগতে পারে।
No comments:
Post a Comment