If you do not mind, I want to live with the protection! If you do not mind,would have to say ! If you do not mind, like the freedom of mass media ! If you do not mind, like the right to vote!
If you do not mind, like the government ! If you do not mind, road safety!
If you do not mind, would like to study!
Showing posts with label Animal trees পশু পাখি গাছ পালা. Show all posts
Showing posts with label Animal trees পশু পাখি গাছ পালা. Show all posts
Climbed a tree to collect nut Of nut trees, vertical and long stems to the ground. Nut tree is very difficult to climb. Legs tied to a tree to climb. Arms, legs, chest, skin grazes slipped while climbing can be. This is likely to rise during discretion. The boy is climbing up the tree in order to collect the nut.
For the swim across the river, the cows eat grass. The grass on the bank of the river there, The bank has a lot of grass here Cows eat grass on the bank of the river for a morning swim in the river crossing. Go home to eat grass all day to swim again in the afternoon. In this way every day, the cows eat grass to swim across the river goes back to the afternoon.
Swan poetry! One.
"Greenish grass field filled with red flowers,
Two swans swim in the pond,
Together land back, wing flaps,
I would very much love the two eyes,
Suddenly the rain comes, the mind is filled,
Red is the pinnacle of the Black Forest in love. " Two.
Swan loved one has breast meat hunters,
Swan chest fur was in love with one photographer,
Swan nothing I did not love,
I'm just wandering water them once a key twice,
The back side of the window at night to drink only think-
Swans looking eyes,
Swan not go, do not stand in front of him,
The Cayman Swan brother, you never see what ego ??
Many rural areas of the country are seen as the Swan home.
Swan rearing costs low and without disturbance.
Delicious and large goose egg.
Swan meat market demand.
To meet the needs of the family, as well as keeping food swan generate additional income.
Goose farming in a simple and economical dwelling house.
The wife and children of a small capital to establish and manage small-scale farms can swan.
Swan Story A. Swan the story of farmers.
No one could have any one farmer in a swan golden egg.
But the farmers did not anticipate greedy wife.
All egg farmers greedy wife wanted to get together.
Belly laugh together, hoping to cut off all egg farmers.
No eggs were found in the stomach of the duck.
Cutting poultry died of stomach.
Farmer's wife lays waste the weaver. B. Imprisoned and independent
Swan happier than the thought of a crow.
So she went to Swan brother happier than thou art.
The cuckoo, but I'm not happy Swan said.
Crow went to the cuckoo.
But he was not happy cuckoo happier than the Parrot,
Because the world's most beautiful parrots me cuckoo said.
Crow came into the court of the tear,
Tia said the cuckoo bird is the peacock of its most beautiful and happy.
Crow went door peacock.
You are the most beautiful bird peacock feather crow brother said.
You are so happy birds in the world.
But the poor peacock beautiful that I have no doubt wept,
But I am unhappy than you.
I was imprisoned and you are free.
Swan serving people
Swan became close very easily with everything in his surroundings and
Thanks to the unfamiliarity of the word that,
People, Animals, animals are seen only alert
And catcall-catcall around the side of the sound that makes everyone approached.
There is a lot of excitement that prevailed at the time of the attack.
Chinese swan in Swan watch the most efficient.
Let them live in the man's home Always gray swan bird.
বাবুই পাখিরে ডাকি,বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থাকি কর,শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ ,বৃষ্টি,ঝড়ে।”
বাবুই হাসিয়া কহে,“সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই,তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক.তবু ভাই,পরের ও বাসা
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর,খাসা।”
কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী স্বাধীনতার সুখ ছড়াটির নায়ক গ্রামবাংলার এই নিপুণ বাসা তৈরির কারিগর বাবুই পাখি ।
আগের মতো বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা আজ আর চোখে পড়ে না।দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যেত বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এই শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের কারিগর বাবুই পাখি ও তার বাসা। খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কচিপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু তালগাছে চমৎকার বাসা তৈরি করতো বাবুই পাখিরা। সে বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়ে বাতাসে টিকে থাকে তাদের বাসা। বাবুই পাখি শক্তবুননের এ বাসা টেনেও ছেঁড়া কঠিন। বাবুই একধারে শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতিচ্ছবি। এরা এক বাসা থেকে আরেক বাসায় যায় পছন্দের সঙ্গী খুঁজতে। সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সাথী বানানোর জন্য কত কিছুই না করে পূরুণ বাবুই। পুরুষ বাবুই স্ত্রী বাবুইকে নিজের প্রতি আকর্ষণ করার জন্য খাল-বিল ও ডোবায় গোসল সেরে ফুর্তিতে নেচে নেচে বেড়ায় গাছের ডালে ডালে। এরপর উঁচু তালগাছ, নারিকেল বা সুপারি গাছের ডালে বাসা তৈরির কাজ শুরু করে।
বাসা তৈরির অর্ধেক কাজ হলে কাঙ্ক্ষিত স্ত্রী বাবুইকে ডেকে সেই বাসা দেখায়। বাসা পছন্দ হলেই কেবল সম্পর্ক গড়ে। স্ত্রী বাবুই পাখির বাসা পছন্দ হলে বাকিটা শেষ করতে পুরুষ বাবুইয়ের সময় লাগে চার দিন। কেননা তখন পুরুষ বাবুই মহাআনন্দে বিরামহীন কাজ করে। স্ত্রী বাবুই পাখির প্রেরণা পেয়ে পুরুষ বাবুই খুবই শিল্পসম্মত নিপুণভাবে বাসা তৈরি করে। স্ত্রী বাবুই ডিম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরুষ বাবুই খুঁজতে থাকে আরেক সঙ্গীকে। পুরুষ বাবুই এক মৌসুমে ছয়টি পর্যন্ত বাসা তৈরি করতে পারে। অর্থাৎ এরা ঘর সংসার করতে পারে ছয় সঙ্গীর সঙ্গে, তাতে স্ত্রী বাবুইয়ের না নেই। স্ত্রী বাবুই ডিমে তা দেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ফোটে। আর তিন সপ্তাহ পর বাবুই বাচ্চা ছেড়ে উড়ে যায়।
বাবুই পাখির বাসা উল্টানো কলসীর মত দেখতে। বাসা বানাবার জন্য বাবুই খুব পরিশ্রম করে। ঠোঁট দিয় ঘাসের আস্তরণ সারায়। যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে(পালিশ করে) গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা হয়। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ হয়। রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়।
Flowering trees loudspeakers
I am living in sunamganj district in Bangladesh.
People there say that this flower jiul trees flowers.
Flowers are pink and purple wool to see.
See Flowers such as loudspeakers.
That is why I am call loudspeaker flowers.
Children with this flower s made a play loudspeaker or Mike does.
Children recite poetry and sing into the microphone on the game,
Sometimes call Halo Halo.
loudspeakers flower trees are thin and tall.
Trees can grow very quickly and are
Fast growth.
Mike flower stems into small pieces when it is grown up and buried.
Their own people from the flood of rain water of time to Home Soil protect the land of with the loudspeakers flowers trees planted.
During late autumn, cut because the RAM from the poisonous snakes living in mice.
Cut the dried plant is used as cooking fires.
loudspeakers flowers plant vegetables in the garden is fenced.
loudspeakers plant fence to plant the trees, he was born again.
People in low land areas, water flooded the plant to be quite beneficial in protecting the soil foundation.
The flower's very nice to see.
দোয়েল প্যাসেরিফরম অর্থাৎ চড়াই বর্গের অন্তর্গত একটি পাখি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis। ইংরেজিতে এটি Oriental magpie-robin নামে পরিচিত। উল্লেখ্য যে, এই পাখির বাংলা নামটির সঙ্গে ফরাসী ও ওলন্দাজ নামের মিল আছে। ফরাসী ভাষায় একে বলা হয় Shama dayal এবং ওলন্দাজ ভাষায় একে বলা হয় Dayallijster। এটি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বত্রই দোয়েল দেখা যায়।
এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের জনবসতির আশেপাশে দেখতে পাওয়া অনেক ছোট পাখীদের মধ্যে দোয়েল অন্যতম। অস্থির এই পাখীরা সর্বদা গাছের ডালে বা মাটিতে লাফিয়ে বেড়ায় খাবারের খোঁজে। নানা রকম সুরে ডাকাডাকির জন্য দোয়েল সুপরিচিত। কীট পতঙ্গ, ছোট ছোট শুঁও পোকা এদের প্রধান খাদ্য। কখনো কখনো সন্ধ্যার আগে আগে এরা খাবারের খোঁজে বের হয়। পুরুষ দোয়েল স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য মিষ্টি সুরে ডাকাডাকি করে।
নাতিশীতোষ্ণ দক্ষিণ এশিয়ায় মূলত: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও ফিলিপাইনে এদের পাওয়া যায়। সাধারণThe national birdতThe national bird কাঠসমৃদ্ধ বন, চাষাবাদকৃত জমির আশেপাশে ও জনবসতিতে মানুষের কাছাকাছি এদের দেখতে পাওয়া যায়।
দোয়েল আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটার বা ৭ - ৮ ইঞ্চি লম্বা। এর লম্বা লেজ আছে যা অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে। পুরুষ দোয়েলের শরীরের উপরিভাগ ও গলার নিচে কালো রঙের, পেট সাদা। ডানার দুই পাশে সাদা রঙের প্যাচ আছে। স্ত্রী দোয়েলের উপরিভাগ ও গলার নিচে ছাই-রঙা হয়। পেটের অংশ পুরুষ দোয়েলের মত উজ্জ্বল নয়, বরং কিছুটা ফিকে সাদা।
দক্ষিণ এশিয়ায় দোয়েলের প্রজননকাল মার্চ থেকে জুলাই; আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জানুয়ারি থেকে জুলাই। প্রজনন সময় পুরুষ দোয়েলের শরীরের রঙ উজ্জ্বলতর হয়। গাছের ডালে বসে স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য হরেকরকম সুরে ডাকাডাকি করে। ডিম দেয়ার এক সপ্তাহ আগে এরা গাছের কোটরে বা ছাদের কার্ণিশে বাসা বানায়। সাধারণত ৪/৫টি ডিম দেয়। ডিমের রং ফিকে নীলচে-সবুজ, তার উপর বাদামী ছোপ থাকে। স্ত্রী দোয়েল ডিমে তা দেয়; ৮ থেকে ১৪ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। প্রজননকালে পুরুষ দোয়েল আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তখন বাসার আশেপাশে অন্য পাখিদের আসতে দেয়না।
২.ব্লু গোল্ড ম্যাকাও
Macauis theworld's
most valuablespecies ofendangeredbirds
বাংলাদেশেরছোটপাখিগুলোরমধ্যেঅন্যতমহচ্ছেমোটুসী।এদেশে১১ধরনেরমৌটুসিপাখিদেখাযায়।আকারআকৃতিতেখুবইছোট।সাধারনতফুলেরমধুখেBangladesh is one of the smaller birds motusiয়েথাকে।স্ত্রীপাখিরগায়েররঙফ্যাকাসেহয়।মৌটুসি mauṭusi ফুলেরমধুপানকারীলম্বাঠোঁটবিশিষ্ট Bangladesh is one of the smaller
birds motusiছোটোরঙিনপাখিবিশেষ, ইংরেজিতে sunbird বলেপরিচিত।ওজনে৫গ্রামথেকেসর্বোচ্য৪৫গ্রামপর্যন্তহয়েথাকেঅনেটাহামিংবার্ডেরমত।প্রজনেরসময়পুরুষমৌটুসীস্ত্রীমৌটুসীকেআকৃষ্টকরারজন্যবিভিন্নধরনেরঅংগভংগীমাকরেথাকে।অষ্ট্রেলিয়া, এশিয়া, ওআফ্রিকারবিভিন্নদেশেএইপাখিরঅবাদবিচরন।মৌটুসীরাসাধারনতফুলেরমধুরপাশাপাশিমাকড়সাকেসাচ্ছন্দেশিকারকরেথাকে।তারনিজেদেরঘরযত্নসহকারেখড়কূটোদিয়েখুপরীরমতকরেতৈরীথাকে।এইপাখিসমুদ্রপৃষ্ঠথেকেসর্বোচ্য৪৯০মিটারপর্যন্তউপরেউড়তেসক্ষম।
How niceto see theswarms offliesacross the skyJalalJalalikaitara of Bangladesh
জালালী
কবুতর গত ৭০০ বছর ধরে বাংলা-ভারতীয় অঞ্চলের মানুষ এবং এ অঞ্চলে আসা পর্যটকদের নিকট
এক ঐতিহ্যবাহী এবং পবিত্র কবুতরের নাম। বাংলাদেশের প্রায় ২০ প্রজাতির কবুতরের
মধ্যে খ্যাতি এবং পরিচিতির দিক থেকে এর অবস্থান শীর্ষে। সম্ভবতঃ এটিই পৃথিবীর
একমাত্র কবুতর যার সাথে একটি সুন্দর ইতিহাস জড়িয়ে আছে। আসুন জেনে নিই অলৌকিকতার
মহিমায় ভাস্বর সেই ইতিহাস। ইয়েমেনের
বিখ্যাত সূফী দরবেশ ওলীকুল শিরোমণি কুতুবুল আকতাব হযরত শাহজালাল মুজাররদইয়েমেনী(রঃ) (১১৯৭-১৩৪৭ খ্রিঃ) যখন ইসলাম প্রচার করতে সুদূর ইয়েমেন থেকে ১৩০১
খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ভারতের দিল্লীতে পৌঁছান, তখন দিল্লীর বিখ্যাত ওলী-আল্লাহ
হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া (রঃ) (১২৩৮-১৩২৫ খ্রিঃ) তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয়
পেয়ে তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান এবং বিদায়ের সময় হযরত শাহ জালাল (রঃ)-এর হাতে
উপহার হিসেবে নীল এবং কালো রংয়ের এক জোড়া কবুতর তুলে দেন। এর ঠিক দুই বছর পর
অর্থাৎ ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে শাহ জালাল (রঃ) যখন ৩৬০ জন সফরসঙ্গী নিয়ে শ্রীহট্ট জয়
করতে বাংলায় আসেন, তখন কবুতর দুটোকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। আর বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার
মধ্য দিয়ে শ্রীহট্ট জয় করে জয়ের প্রতীকস্বরূপ কবুতর দুটোকে উড়িয়ে দেন।সেই থেকে
কবুতরগুলো (এবং এদের পরবর্তী বংশধররা) পরিচিতি পায় ‘জালালী কবুতর’ নামে। তবে
সিলেটে আঞ্চলিকভাবে এরা ‘জালালী কইতর’ নামেই পরিচিত। সিলেটে কবুতরকে ‘কইতর’ বলা
হয়। জালালী
কবুতরের ইংরেজি নাম রক পিজিয়ন (Rock Pigeon)। বৈজ্ঞানিক নাম কোলাম্বা লিভিয়া
(Columba livia)। এর অর্থ নীলভে-ধূসর পায়রা। কেননা, জালালী কবুতর সাধারণত
নীলচে-ধূসর বর্ণের হয় যেমনটি ছবিতে আপনারা দেখছেন। এরা গড় আয়ু ৫-১০ বছর। জালালী
কবুতরের সংখ্যা কত তা আজও জানা না গেলেও এই কবুতর শুমারির উদ্যোগ শীঘ্রই নেয়া হবে
বলে জানিয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন প্রাধিকার।
বাংলাদেশের বন্য প্রাণী আইনে (১৯৮৪) এরা সংরক্ষিত প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত। অনেকে অবশ্য
এই প্রজাতিটিকে গোলা পায়রা বলে ভুল করেন। তবে পাখি বিশেষজ্ঞদের নিকট গোলা পায়রা
অন্য প্রজাতি ও বৈশিষ্ট্যের বলে পরিচিত। আর একই রকম দেখতে লাল রংয়ের পায়রাও জালালী
কবুতর হিসেবে গণ্য নয়। বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে একই প্রজাতির অনেক কবুতরের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা গেলেও এই
কবুতরগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এদেরকে উড়িয়ে দেয়া হলেও এরা হযরত শাহ জালাল
(রঃ)-এর দরগাহ (ইন্তেকালের পূর্বে যেখান থেকে তিনি ইসলাম প্রচার করতেন) ছেড়ে চলে
যায় নি। সিলেটের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড অ্যানিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের
প্রভাষক ডঃ নয়ন ভৌমিকের ছয় মাস ব্যাপী গবেষণায় দেখা গেছে, গত ৭০০ বছর যাবৎ এরা
দরগাহ প্রাঙ্গনেই রয়ে গেছে। এরা স্বেচ্ছায় দরগাহ ছেড়ে যত দূরেই উড়ে যাক না কেন
আবার সেখানেই ফিরে আসে। তবে সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেসকল জালালী
কবুতর পাওয়া যায়, সেগুলো মূলতঃ পরবর্তীতে সিলেট থেকে লোকজন কর্তৃক স্থানান্তরিত
হয়েছে। আরও জানা গেছে, এই প্রজাতির কবুতরের আদি নিবাস দিল্লী। পরবর্তীতে পাওয়া যেত
কেবল দিল্লী আর সিলেটে। তবে এখন বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের আরেকটি
বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এরা নিজস্ব প্রজাতির সঙ্গী ছাড়া অন্য আর কোনো কবুতর
প্রজাতির সাথে মিলিত হয় না। তারপরও বিশেষ সতর্কতা নেয়া হয়েছে দরগাহ প্রাঙ্গনে,
বিশেষভাবে সাইনবোর্ডে লিখিত আছে যেন কেউ অন্য প্রজাতির পায়রা এখানে এনে ছেড়ে না
দেয়। আছে স্থানীয় লোকজনের কড়া নজরদারি। এ প্রসঙ্গে
একটি কাহিনী উল্লেখ করা যায়। হযরত শাহ জালাল (রঃ)-এর ভাগ্নে হযরত শাহ পরাণ (রঃ) ছিলেন
উপরে উল্লেখিত সেই ৩৬০ আউলিয়ার একজন। হযরত শাহ পরাণ (রঃ) কবুতর খেতে খুবই পছন্দ
করতেন। তিনি প্রতিদিন একটি করে কবুতর খেতেন যার মধ্যে জালালী কবুতরও থাকত। তবে
খাওয়ার পর তিনি পালকগুলো ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখতেন। একদিন জালালী কবুতরের সংখ্যা
কম দেখে খাদেমেদের জিজ্ঞাসা করলে তারা হযরত শাহ জালাল (রঃ)কে আসল ঘটনা খুলে বলেন।
এটা জানার পর হযরত শাহ জালাল (রঃ) কিছুটা রাগান্বিত হলে হযরত শাহ পরাণ (রঃ) মামাকে
বললেন, "আমি আপনার কবুতরগুলো ফেরত দিচ্ছি।" এরপর সেই রেখে দেওয়া
পালকগুলোকে আকাশে উড়িয়ে বললেন, "যাও ! আল্লাহর হুকুমে শাহজালালের দরবারে
পৌঁছে যাও।" সাথে সাথে পালকগুলি জালালী কবুতর হয়ে তার মামার দরবারে এসে হাজির
হল। সুবহান আল্লাহ ! শান্তির
প্রতীক জালালী পায়রা যেমন স্থান করে নিয়েছে মানুষের হৃদয়ে, তেমনি কবি-গীতিকারদের
রচনায়। এ পর্যন্ত জালালী কবুতর নিয়ে রচিত গানের সংখ্যা কম নয়; রচিত হয়েছে
পল্লীগীতি, ভাটিয়ালী, ভক্তিমূলক গান। এর মধ্যে কিছু গান কুড়িয়েছে সুনাম, গেঁথে
রয়েছে মানুষের মনে। তেমনই কয়েকটি গান হচ্ছেঃ এক. হবিগঞ্জের
জালালী কইতর সুনামগঞ্জের কুড়া সুরমা নদীর
গাংচিল আমি শূন্যে দিলাম উড়া শূন্যে
দিলাম উড়া রে ভাই যাইতে চান্দের চর ডানা
ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কইলকাত্তার উপর, তোমরা আমায়
চিননি… তোমরা আমায় চিননি তোমরা আমায়
চিননি… ডানা
ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কইলকাত্তার উপর। হাওরের পানি
নাইরে হেথায় নাইরে তাজা মাছ বিলের বুকে
ডানা মেইলা নাইরে হিজল গাছ বন্ধু নাইরে
তাজা মাছ । তবু নিদহারা
নগরের পথে রাইতের দুপুরে মরমিয়া
ভাটিয়ালী আমার গালায় ঝরে । এই সুরে
আছেরে বন্ধু অশত্থ বটের ছায়া এই সুরে
বিছাইয়াদেরে শীতল পাটির মায়া গো বন্ধু
অশত্থ বটের ছায়া । এইনা সুরের
পালের দোলায় খুশির হাওয়া বয় এই সুরের
দৌলতে আমি জগৎ করলাম জয় । হবিগঞ্জের
জালালী কইতর সুনামগঞ্জের কুড়া সুরমা নদীর
গাংচিল আমি শূন্যে দিলাম উড়া শূন্যে
দিলাম উড়া রে ভাই যাইতে চান্দের চর ডানা
ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কইলকাত্তার উপর, তোমরা আমায়
চিননি… তোমরা আমায় চিননি তোমরা আমায়
চিননি… ডানা
ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কইলকাত্তার উপর। (গীতিকার
হেমাঙ্গ বিশ্বাস) দুই. "বন্ধুর
ও বাড়ির জালালী কবুতর আমার ও
বাড়ি আসে রে।" তিন. "ঝাঁকে
উড়ে আকাশজুড়ে দেখতে কি
সুন্দর জালালের
জালালী কইতর।" একসময়
জালালী কবুতর দেখা যেত সিলেটের বিভিন্ন বাড়ির ছাদে ও আঙ্গিনায়, বাজারে, চালের
আরতে। কারো কারো বাড়ীতে বাসাও বাঁধতো ডিম পাড়ত বাচ্চা হতো। এমনকি সিলেট শহরে
অবস্থিত ঐতিহাসিক কিন ব্রিজেরও শোভা বর্ধন করত এই জালালী কবুতর। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে
চলা জালালী কবুতরে ছেঁয়ে যাওয়া সিলেটের আকাশ ছিল এক নান্দনিক দৃশ্য। তবে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর সংখ্যা দিন-দিন কমে যাচ্ছে। এখন আর আগের মত দেখা যায় না। কারণ,
অনেকে ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে না খেলেও কিছু মানুষ এগুলো ধরে নিয়ে গিয়ে খেয়ে ফেলছে
কিংবা বিক্রি করে, অথবা বিভিন্ন স্থানে পাচার করে দেয়। শুধুমাত্র
হযরত শাহ জালাল (রঃ) এবং শাহ পরাণ (রঃ)-এর পুণ্য স্মৃতি রক্ষার্থেই নয়, বরং
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং সিলেট অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে জালালী
কবুতর সংরক্ষন করা এবং এ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা এখন সময়ের দাবী।
৯।ময়ূর
Excellentandinteresting colorsof birdsPeafowl
Phasianidae
গোত্রের বড়, চমৎকার ও আকর্ষণীয় রঙের প্রজাতির পাখি। এ উপমহাদেশের নীল ময়ূর
বা Indian Peafowl নামে পরিচিত Pavo cristatus সহজেই মানুষের সাহচর্যে বাস করতে
অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ দেশের স্থানীয় পাখি হলেও এ ময়ূর ইউরোপের সব পার্কেই দেখা
যায়। সবুজ ময়ূর, P. muticus দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় অন্যতম বিপন্ন এক
পাখি। ১৯৩৬ সালে জে. পি চ্যাপিন মধ্য আফ্রিকার জায়ারের নিরক্ষীয় মৌসুমি বনাঞ্চল
থেকে প্রথম কঙ্গোময়ূর (Congo Peafowl) বর্ণনা করেন। ময়ূরজাতীয় সব পাখির নিবাস
এশিয়ায় হলেও এ ময়ূর কিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আফ্রিকায় বসবাস শুরু করেছে তা এখনও
রহস্যময়।ইংরেজিতে পুরুষ ময়ূরকে Peacock এবং স্ত্রী ময়ূরকে Peahen বলা হলেও
উভয়েই সাধারণভাবে Peafowl নামে পরিচিত। পুরুষ ময়ূরের মাথায় থাকে একটি মুকুট,
মাথার দুপাশ সাদাটে, পালকবিহীন। ময়ূরের পালক অসাধারণ উজ্জ্বল, ধাতব আভাযুক্ত সবুজ
ও নীল রঙের। লেজের উপরিভাগের পালকগুলি অতিশয় লম্বা; পেখম মেললে এর দের্ঘ্য হয় এক
মিটারের বেশি। তামাটে-সবুজ ও নীল রঙের সংমিশ্রণে সজ্জিত চওড়া পালকে অলঙ্কৃত থাকে
রঙিন চোখের মতো বড় বড় ফোটা দাগ। স্ত্রী ও পুরুষের প্রণয় লীলার সময় মেলানো
পেখমের আন্দোলন অতি বৈশিষ্ট্যময়। খাঁচায়
বদ্ধ ময়ূর এমনিতেও অনেক সময় পেখম মেলে, সম্ভবত তা মানুষজনকে দেখাবার জন্য। লেজের
পালকসহ পুরুষ ময়ূরের দৈর্ঘ্য হতে পারে ২-২.২৫ মিটার, স্ত্রী পাখি লম্বায়
হয় প্রায় ৮৬ সেমি। স্ত্রী ময়ূরেরও মাথায় মুকুট থাকে, তবে পেখম মেলার মতো লেজে
উজ্জ্বল লম্বা পালক নেই। এদের মাথা ও ঘাড় হালকা বাদামি, দেহের উপরের অংশ বাদামি।
ঘাড়ের নিচের অংশ নীল রঙের নয়, উজ্জ্বল সবুজ। পেট সাদা, কিছুটা হলুদ আভাযুক্ত।
অপরিণত বয়সের পুরুষ দেখতে অনেকটা পরিণত বয়সের স্ত্রী ময়ূরের মতো, তবে পালক
বহুলাংশে লালচে-ধূসর। প্রজনন মৌসুমে পুরুষ ময়ূর বিশেষ ধরনের কর্কশ সুরে ডাকে।
পুরুষ ময়ূর বহুগামী, প্রতিটি পুরুষ চার-পাঁচটি স্ত্রী পাখি একসঙ্গে নিজের অধিকারে
রাখতে চায়। সাধারণত জানুয়ারি-এপ্রিল এদের প্রজনন কাল, তবে জুলাই থেকে
সেপ্টেম্বরেও এদের প্রজনন ঘটে। স্ত্রী ময়ূর সাধারণত ফোটা দাগবিশিষ্ট ৪-৬টি ডিম
পাড়ে। বাচ্চা ফুটতে সময় লাগে ২৬-২৮ দিন। আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর পূর্বেও গাজীপুর
এলাকার বনে ময়ূর বাস করতো বলে জানা যায়। আশঙ্কা করা হয় এখন এ দেশ থেকে ময়ূর
বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সাধারণ
ময়ূরের আরেক জ্ঞাতি সবুজ ময়ূর, P. muticus বাস করে সিলেট এলাকার বনে। এর আকার
India peafowl-এর মতোই। এদের পুরুষ ময়ূর বহুলাংশে সবুজ রঙের; মাথার মুকুট খাঁড়া,
পাখার মতো ছড়ানো নয়। স্ত্রী ও পুরুষ দেখতে কমবেশি একই রকম। এদের স্বভাব-প্রকৃতি
ও প্রজনন আচরণ P. cristatus-এর প্রায় অনুরূপ। হিন্দু
পুরাণ-শাস্ত্রে ময়ূরকে এক পবিত্র পাখি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৬৩ সালে
ময়ূরকে ভারতের জাতীয় পাখি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এক সময় সাজ-সজ্জা ও
অলঙ্করণের কাজে প্রচুর পরিমাণ ময়ূরের পালক এ উপমহাদেশ থেকে বিদেশে রপ্তানি করা
হতো। রোম এবং পরবর্তীতে মধ্যযুগে ইউরোপের কয়েকটি দেশে মাংসের জন্য ময়ূর
প্রতিপালন করা হতো।
লম্বা
লেজবিশিস্ট রঙিন এ পাখিটির অন্য নাম দ্য চায়নিজ ফিজন্ট। এ জাতের পাখিদের মধ্যে
গোল্ডেন ফিজন্ট আলাদা হয়েছে সোনালি রঙ ধারণের কারণে। বাজিগর এই পাখির মূল আবাস
চীনের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা হলেও ইংল্যান্ডের কিছু কিছু জায়গায় এদের দেখা যায়।
এদের পুরুষ প্রজাতির পাখিগুলোর ডানা ও পালকের মাধ্যমে গাঢ় কমলা রঙ ছড়ানোর এক
অদ্ভুত ক্ষমতা আছে- যা দেখে মুগ্ধ হতে হয়। তখন আরও সুন্দর দেখায় এদের কালো হলুদ
চোখগুলো। এদের মাথা থেকে ঘাড় বেয়ে পিঠের ওপর যেন নেমে গেছে রঙবেরঙের ঢেউ।
১১.দ্য
কুয়েটসল
Thetropicaljungleandthe mountainsof Central Americakuyetasalapairtiedthebirdslive
মধ্য
আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জঙ্গল ও পাহাড়ে এই পাখিরা জুটি বেঁধে বাস করে। এদের খাবার
হচ্ছে পাতা, ফল, টিকটিকি ও অন্যান্য ছোট কীট। তবে
দুঃখজনক হলেও সত্য, এই প্রজাতির পাখিরা গুয়েতেমালাসহ কিছু দেশে বিপদাপন্ন অবস্থায়
বাস করছে। লাল-নীল-সবুজের অপূর্ব সমারোহ ঘটেছে তার শরীরে।
১২.দ্য
হুপো
TheAfro-Asian hupocolorfulwings,thebirdsare usually seenin some regions
আফ্রো-এশিয়ার
কিছু অঞ্চলে রঙিন ডানার এই পাখিদের সাধারণত দেখা যায়। এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে- এরা তাদের পালকগুলো মাথার ওপর এমন করে সাজিয়ে রাখতে পারে, যেটিকে মুকুটের
মতো মনে হয়।
লাতিন শব্দ ‘ইউপুপা’ থেকে এদের নাম হয়েছে ‘দ্য হুপো’। এদের সূঁচালো ঠোঁটটিও যেন
মায়াবী।
১৩.দ্য
বার্ডস অব প্যারাডাইস
Some ofthesebirdscan be seenin thedeepforests ofNew Guinea
নিউগিনির
কিছু অঞ্চলের গহীন অরণ্যে এই পাখিদের দেখা যায়। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও মোলাক্কাসের
পূর্ব সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায়ও এদের বসবাস রয়েছে। সাধারণত
এরাও জোড়া ছাড়া বসবাস করে না। মেরুন আর হলুদের মিশ্রণ রয়েছে এদের লম্বাটে পালকে।
Climbed a tree to collect nut Of nut trees, vertical and long stems to the ground. Nut tree is very difficult to climb. Legs tied to a tree to climb. Arms, legs, chest, skin grazes slipped while climbing can be. This is likely to rise during discretion. The boy is climbing up the tree in order to collect the nut.
For the swim across the river, the cows eat grass. The grass on the bank of the river there, The bank has a lot of grass here Cows eat grass on the bank of the river for a morning swim in the river crossing. Go home to eat grass all day to swim again in the afternoon. In this way every day, the cows eat grass to swim across the river goes back to the afternoon.
Swan poetry! One.
"Greenish grass field filled with red flowers,
Two swans swim in the pond,
Together land back, wing flaps,
I would very much love the two eyes,
Suddenly the rain comes, the mind is filled,
Red is the pinnacle of the Black Forest in love. " Two.
Swan loved one has breast meat hunters,
Swan chest fur was in love with one photographer,
Swan nothing I did not love,
I'm just wandering water them once a key twice,
The back side of the window at night to drink only think-
Swans looking eyes,
Swan not go, do not stand in front of him,
The Cayman Swan brother, you never see what ego ??
Many rural areas of the country are seen as the Swan home.
Swan rearing costs low and without disturbance.
Delicious and large goose egg.
Swan meat market demand.
To meet the needs of the family, as well as keeping food swan generate additional income.
Goose farming in a simple and economical dwelling house.
The wife and children of a small capital to establish and manage small-scale farms can swan.
Swan Story A. Swan the story of farmers.
No one could have any one farmer in a swan golden egg.
But the farmers did not anticipate greedy wife.
All egg farmers greedy wife wanted to get together.
Belly laugh together, hoping to cut off all egg farmers.
No eggs were found in the stomach of the duck.
Cutting poultry died of stomach.
Farmer's wife lays waste the weaver. B. Imprisoned and independent
Swan happier than the thought of a crow.
So she went to Swan brother happier than thou art.
The cuckoo, but I'm not happy Swan said.
Crow went to the cuckoo.
But he was not happy cuckoo happier than the Parrot,
Because the world's most beautiful parrots me cuckoo said.
Crow came into the court of the tear,
Tia said the cuckoo bird is the peacock of its most beautiful and happy.
Crow went door peacock.
You are the most beautiful bird peacock feather crow brother said.
You are so happy birds in the world.
But the poor peacock beautiful that I have no doubt wept,
But I am unhappy than you.
I was imprisoned and you are free.
Swan serving people
Swan became close very easily with everything in his surroundings and
Thanks to the unfamiliarity of the word that,
People, Animals, animals are seen only alert
And catcall-catcall around the side of the sound that makes everyone approached.
There is a lot of excitement that prevailed at the time of the attack.
Chinese swan in Swan watch the most efficient.
Let them live in the man's home Always gray swan bird.
বাবুই পাখিরে ডাকি,বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থাকি কর,শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ ,বৃষ্টি,ঝড়ে।”
বাবুই হাসিয়া কহে,“সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই,তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক.তবু ভাই,পরের ও বাসা
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর,খাসা।”
কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী স্বাধীনতার সুখ ছড়াটির নায়ক গ্রামবাংলার এই নিপুণ বাসা তৈরির কারিগর বাবুই পাখি ।
আগের মতো বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা আজ আর চোখে পড়ে না।দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যেত বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এই শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের কারিগর বাবুই পাখি ও তার বাসা। খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কচিপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু তালগাছে চমৎকার বাসা তৈরি করতো বাবুই পাখিরা। সে বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়ে বাতাসে টিকে থাকে তাদের বাসা। বাবুই পাখি শক্তবুননের এ বাসা টেনেও ছেঁড়া কঠিন। বাবুই একধারে শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতিচ্ছবি। এরা এক বাসা থেকে আরেক বাসায় যায় পছন্দের সঙ্গী খুঁজতে। সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সাথী বানানোর জন্য কত কিছুই না করে পূরুণ বাবুই। পুরুষ বাবুই স্ত্রী বাবুইকে নিজের প্রতি আকর্ষণ করার জন্য খাল-বিল ও ডোবায় গোসল সেরে ফুর্তিতে নেচে নেচে বেড়ায় গাছের ডালে ডালে। এরপর উঁচু তালগাছ, নারিকেল বা সুপারি গাছের ডালে বাসা তৈরির কাজ শুরু করে।
বাসা তৈরির অর্ধেক কাজ হলে কাঙ্ক্ষিত স্ত্রী বাবুইকে ডেকে সেই বাসা দেখায়। বাসা পছন্দ হলেই কেবল সম্পর্ক গড়ে। স্ত্রী বাবুই পাখির বাসা পছন্দ হলে বাকিটা শেষ করতে পুরুষ বাবুইয়ের সময় লাগে চার দিন। কেননা তখন পুরুষ বাবুই মহাআনন্দে বিরামহীন কাজ করে। স্ত্রী বাবুই পাখির প্রেরণা পেয়ে পুরুষ বাবুই খুবই শিল্পসম্মত নিপুণভাবে বাসা তৈরি করে। স্ত্রী বাবুই ডিম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরুষ বাবুই খুঁজতে থাকে আরেক সঙ্গীকে। পুরুষ বাবুই এক মৌসুমে ছয়টি পর্যন্ত বাসা তৈরি করতে পারে। অর্থাৎ এরা ঘর সংসার করতে পারে ছয় সঙ্গীর সঙ্গে, তাতে স্ত্রী বাবুইয়ের না নেই। স্ত্রী বাবুই ডিমে তা দেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ফোটে। আর তিন সপ্তাহ পর বাবুই বাচ্চা ছেড়ে উড়ে যায়।
বাবুই পাখির বাসা উল্টানো কলসীর মত দেখতে। বাসা বানাবার জন্য বাবুই খুব পরিশ্রম করে। ঠোঁট দিয় ঘাসের আস্তরণ সারায়। যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে(পালিশ করে) গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা হয়। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ হয়। রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়।
Flowering trees loudspeakers
I am living in sunamganj district in Bangladesh.
People there say that this flower jiul trees flowers.
Flowers are pink and purple wool to see.
See Flowers such as loudspeakers.
That is why I am call loudspeaker flowers.
Children with this flower s made a play loudspeaker or Mike does.
Children recite poetry and sing into the microphone on the game,
Sometimes call Halo Halo.
loudspeakers flower trees are thin and tall.
Trees can grow very quickly and are
Fast growth.
Mike flower stems into small pieces when it is grown up and buried.
Their own people from the flood of rain water of time to Home Soil protect the land of with the loudspeakers flowers trees planted.
During late autumn, cut because the RAM from the poisonous snakes living in mice.
Cut the dried plant is used as cooking fires.
loudspeakers flowers plant vegetables in the garden is fenced.
loudspeakers plant fence to plant the trees, he was born again.
People in low land areas, water flooded the plant to be quite beneficial in protecting the soil foundation.
The flower's very nice to see.
দোয়েল প্যাসেরিফরম অর্থাৎ চড়াই বর্গের অন্তর্গত একটি পাখি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis। ইংরেজিতে এটি Oriental magpie-robin নামে পরিচিত। উল্লেখ্য যে, এই পাখির বাংলা নামটির সঙ্গে ফরাসী ও ওলন্দাজ নামের মিল আছে। ফরাসী ভাষায় একে বলা হয় Shama dayal এবং ওলন্দাজ ভাষায় একে বলা হয় Dayallijster। এটি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বত্রই দোয়েল দেখা যায়।
এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের জনবসতির আশেপাশে দেখতে পাওয়া অনেক ছোট পাখীদের মধ্যে দোয়েল অন্যতম। অস্থির এই পাখীরা সর্বদা গাছের ডালে বা মাটিতে লাফিয়ে বেড়ায় খাবারের খোঁজে। নানা রকম সুরে ডাকাডাকির জন্য দোয়েল সুপরিচিত। কীট পতঙ্গ, ছোট ছোট শুঁও পোকা এদের প্রধান খাদ্য। কখনো কখনো সন্ধ্যার আগে আগে এরা খাবারের খোঁজে বের হয়। পুরুষ দোয়েল স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য মিষ্টি সুরে ডাকাডাকি করে।
নাতিশীতোষ্ণ দক্ষিণ এশিয়ায় মূলত: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও ফিলিপাইনে এদের পাওয়া যায়। সাধারণThe national birdতThe national bird কাঠসমৃদ্ধ বন, চাষাবাদকৃত জমির আশেপাশে ও জনবসতিতে মানুষের কাছাকাছি এদের দেখতে পাওয়া যায়।
দোয়েল আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটার বা ৭ - ৮ ইঞ্চি লম্বা। এর লম্বা লেজ আছে যা অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে। পুরুষ দোয়েলের শরীরের উপরিভাগ ও গলার নিচে কালো রঙের, পেট সাদা। ডানার দুই পাশে সাদা রঙের প্যাচ আছে। স্ত্রী দোয়েলের উপরিভাগ ও গলার নিচে ছাই-রঙা হয়। পেটের অংশ পুরুষ দোয়েলের মত উজ্জ্বল নয়, বরং কিছুটা ফিকে সাদা।
দক্ষিণ এশিয়ায় দোয়েলের প্রজননকাল মার্চ থেকে জুলাই; আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জানুয়ারি থেকে জুলাই। প্রজনন সময় পুরুষ দোয়েলের শরীরের রঙ উজ্জ্বলতর হয়। গাছের ডালে বসে স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য হরেকরকম সুরে ডাকাডাকি করে। ডিম দেয়ার এক সপ্তাহ আগে এরা গাছের কোটরে বা ছাদের কার্ণিশে বাসা বানায়। সাধারণত ৪/৫টি ডিম দেয়। ডিমের রং ফিকে নীলচে-সবুজ, তার উপর বাদামী ছোপ থাকে। স্ত্রী দোয়েল ডিমে তা দেয়; ৮ থেকে ১৪ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। প্রজননকালে পুরুষ দোয়েল আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তখন বাসার আশেপাশে অন্য পাখিদের আসতে দেয়না।
২.ব্লু গোল্ড ম্যাকাও
Macauis theworld's
most valuablespecies ofendangeredbirds
বাংলাদেশেরছোটপাখিগুলোরমধ্যেঅন্যতমহচ্ছেমোটুসী।এদেশে১১ধরনেরমৌটুসিপাখিদেখাযায়।আকারআকৃতিতেখুবইছোট।সাধারনতফুলেরমধুখেBangladesh is one of the smaller birds motusiয়েথাকে।স্ত্রীপাখিরগায়েররঙফ্যাকাসেহয়।মৌটুসি mauṭusi ফুলেরমধুপানকারীলম্বাঠোঁটবিশিষ্ট Bangladesh is one of the smaller
birds motusiছোটোরঙিনপাখিবিশেষ, ইংরেজিতে sunbird বলেপরিচিত।ওজনে৫গ্রামথেকেসর্বোচ্য৪৫গ্রামপর্যন্তহয়েথাকেঅনেটাহামিংবার্ডেরমত।প্রজনেরসময়পুরুষমৌটুসীস্ত্রীমৌটুসীকেআকৃষ্টকরারজন্যবিভিন্নধরনেরঅংগভংগীমাকরেথাকে।অষ্ট্রেলিয়া, এশিয়া, ওআফ্রিকারবিভিন্নদেশেএইপাখিরঅবাদবিচরন।মৌটুসীরাসাধারনতফুলেরমধুরপাশাপাশিমাকড়সাকেসাচ্ছন্দেশিকারকরেথাকে।তারনিজেদেরঘরযত্নসহকারেখড়কূটোদিয়েখুপরীরমতকরেতৈরীথাকে।এইপাখিসমুদ্রপৃষ্ঠথেকেসর্বোচ্য৪৯০মিটারপর্যন্তউপরেউড়তেসক্ষম।
How niceto see theswarms offliesacross the skyJalalJalalikaitara of Bangladesh
জালালী
কবুতর গত ৭০০ বছর ধরে বাংলা-ভারতীয় অঞ্চলের মানুষ এবং এ অঞ্চলে আসা পর্যটকদের নিকট
এক ঐতিহ্যবাহী এবং পবিত্র কবুতরের নাম। বাংলাদেশের প্রায় ২০ প্রজাতির কবুতরের
মধ্যে খ্যাতি এবং পরিচিতির দিক থেকে এর অবস্থান শীর্ষে। সম্ভবতঃ এটিই পৃথিবীর
একমাত্র কবুতর যার সাথে একটি সুন্দর ইতিহাস জড়িয়ে আছে। আসুন জেনে নিই অলৌকিকতার
মহিমায় ভাস্বর সেই ইতিহাস। ইয়েমেনের
বিখ্যাত সূফী দরবেশ ওলীকুল শিরোমণি কুতুবুল আকতাব হযরত শাহজালাল মুজাররদইয়েমেনী(রঃ) (১১৯৭-১৩৪৭ খ্রিঃ) যখন ইসলাম প্রচার করতে সুদূর ইয়েমেন থেকে ১৩০১
খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ভারতের দিল্লীতে পৌঁছান, তখন দিল্লীর বিখ্যাত ওলী-আল্লাহ
হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া (রঃ) (১২৩৮-১৩২৫ খ্রিঃ) তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয়
পেয়ে তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান এবং বিদায়ের সময় হযরত শাহ জালাল (রঃ)-এর হাতে
উপহার হিসেবে নীল এবং কালো রংয়ের এক জোড়া কবুতর তুলে দেন। এর ঠিক দুই বছর পর
অর্থাৎ ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে শাহ জালাল (রঃ) যখন ৩৬০ জন সফরসঙ্গী নিয়ে শ্রীহট্ট জয়
করতে বাংলায় আসেন, তখন কবুতর দুটোকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। আর বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার
মধ্য দিয়ে শ্রীহট্ট জয় করে জয়ের প্রতীকস্বরূপ কবুতর দুটোকে উড়িয়ে দেন।সেই থেকে
কবুতরগুলো (এবং এদের পরবর্তী বংশধররা) পরিচিতি পায় ‘জালালী কবুতর’ নামে। তবে
সিলেটে আঞ্চলিকভাবে এরা ‘জালালী কইতর’ নামেই পরিচিত। সিলেটে কবুতরকে ‘কইতর’ বলা
হয়। জালালী
কবুতরের ইংরেজি নাম রক পিজিয়ন (Rock Pigeon)। বৈজ্ঞানিক নাম কোলাম্বা লিভিয়া
(Columba livia)। এর অর্থ নীলভে-ধূসর পায়রা। কেননা, জালালী কবুতর সাধারণত
নীলচে-ধূসর বর্ণের হয় যেমনটি ছবিতে আপনারা দেখছেন। এরা গড় আয়ু ৫-১০ বছর। জালালী
কবুতরের সংখ্যা কত তা আজও জানা না গেলেও এই কবুতর শুমারির উদ্যোগ শীঘ্রই নেয়া হবে
বলে জানিয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন প্রাধিকার।
বাংলাদেশের বন্য প্রাণী আইনে (১৯৮৪) এরা সংরক্ষিত প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত। অনেকে অবশ্য
এই প্রজাতিটিকে গোলা পায়রা বলে ভুল করেন। তবে পাখি বিশেষজ্ঞদের নিকট গোলা পায়রা
অন্য প্রজাতি ও বৈশিষ্ট্যের বলে পরিচিত। আর একই রকম দেখতে লাল রংয়ের পায়রাও জালালী
কবুতর হিসেবে গণ্য নয়। বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে একই প্রজাতির অনেক কবুতরের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা গেলেও এই
কবুতরগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এদেরকে উড়িয়ে দেয়া হলেও এরা হযরত শাহ জালাল
(রঃ)-এর দরগাহ (ইন্তেকালের পূর্বে যেখান থেকে তিনি ইসলাম প্রচার করতেন) ছেড়ে চলে
যায় নি। সিলেটের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড অ্যানিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের
প্রভাষক ডঃ নয়ন ভৌমিকের ছয় মাস ব্যাপী গবেষণায় দেখা গেছে, গত ৭০০ বছর যাবৎ এরা
দরগাহ প্রাঙ্গনেই রয়ে গেছে। এরা স্বেচ্ছায় দরগাহ ছেড়ে যত দূরেই উড়ে যাক না কেন
আবার সেখানেই ফিরে আসে। তবে সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেসকল জালালী
কবুতর পাওয়া যায়, সেগুলো মূলতঃ পরবর্তীতে সিলেট থেকে লোকজন কর্তৃক স্থানান্তরিত
হয়েছে। আরও জানা গেছে, এই প্রজাতির কবুতরের আদি নিবাস দিল্লী। পরবর্তীতে পাওয়া যেত
কেবল দিল্লী আর সিলেটে। তবে এখন বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের আরেকটি
বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এরা নিজস্ব প্রজাতির সঙ্গী ছাড়া অন্য আর কোনো কবুতর
প্রজাতির সাথে মিলিত হয় না। তারপরও বিশেষ সতর্কতা নেয়া হয়েছে দরগাহ প্রাঙ্গনে,
বিশেষভাবে সাইনবোর্ডে লিখিত আছে যেন কেউ অন্য প্রজাতির পায়রা এখানে এনে ছেড়ে না
দেয়। আছে স্থানীয় লোকজনের কড়া নজরদারি। এ প্রসঙ্গে
একটি কাহিনী উল্লেখ করা যায়। হযরত শাহ জালাল (রঃ)-এর ভাগ্নে হযরত শাহ পরাণ (রঃ) ছিলেন
উপরে উল্লেখিত সেই ৩৬০ আউলিয়ার একজন। হযরত শাহ পরাণ (রঃ) কবুতর খেতে খুবই পছন্দ
করতেন। তিনি প্রতিদিন একটি করে কবুতর খেতেন যার মধ্যে জালালী কবুতরও থাকত। তবে
খাওয়ার পর তিনি পালকগুলো ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখতেন। একদিন জালালী কবুতরের সংখ্যা
কম দেখে খাদেমেদের জিজ্ঞাসা করলে তারা হযরত শাহ জালাল (রঃ)কে আসল ঘটনা খুলে বলেন।
এটা জানার পর হযরত শাহ জালাল (রঃ) কিছুটা রাগান্বিত হলে হযরত শাহ পরাণ (রঃ) মামাকে
বললেন, "আমি আপনার কবুতরগুলো ফেরত দিচ্ছি।" এরপর সেই রেখে দেওয়া
পালকগুলোকে আকাশে উড়িয়ে বললেন, "যাও ! আল্লাহর হুকুমে শাহজালালের দরবারে
পৌঁছে যাও।" সাথে সাথে পালকগুলি জালালী কবুতর হয়ে তার মামার দরবারে এসে হাজির
হল। সুবহান আল্লাহ ! শান্তির
প্রতীক জালালী পায়রা যেমন স্থান করে নিয়েছে মানুষের হৃদয়ে, তেমনি কবি-গীতিকারদের
রচনায়। এ পর্যন্ত জালালী কবুতর নিয়ে রচিত গানের সংখ্যা কম নয়; রচিত হয়েছে
পল্লীগীতি, ভাটিয়ালী, ভক্তিমূলক গান। এর মধ্যে কিছু গান কুড়িয়েছে সুনাম, গেঁথে
রয়েছে মানুষের মনে। তেমনই কয়েকটি গান হচ্ছেঃ এক. হবিগঞ্জের
জালালী কইতর সুনামগঞ্জের কুড়া সুরমা নদীর
গাংচিল আমি শূন্যে দিলাম উড়া শূন্যে
দিলাম উড়া রে ভাই যাইতে চান্দের চর ডানা
ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কইলকাত্তার উপর, তোমরা আমায়
চিননি… তোমরা আমায় চিননি তোমরা আমায়
চিননি… ডানা
ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কইলকাত্তার উপর। হাওরের পানি
নাইরে হেথায় নাইরে তাজা মাছ বিলের বুকে
ডানা মেইলা নাইরে হিজল গাছ বন্ধু নাইরে
তাজা মাছ । তবু নিদহারা
নগরের পথে রাইতের দুপুরে মরমিয়া
ভাটিয়ালী আমার গালায় ঝরে । এই সুরে
আছেরে বন্ধু অশত্থ বটের ছায়া এই সুরে
বিছাইয়াদেরে শীতল পাটির মায়া গো বন্ধু
অশত্থ বটের ছায়া । এইনা সুরের
পালের দোলায় খুশির হাওয়া বয় এই সুরের
দৌলতে আমি জগৎ করলাম জয় । হবিগঞ্জের
জালালী কইতর সুনামগঞ্জের কুড়া সুরমা নদীর
গাংচিল আমি শূন্যে দিলাম উড়া শূন্যে
দিলাম উড়া রে ভাই যাইতে চান্দের চর ডানা
ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কইলকাত্তার উপর, তোমরা আমায়
চিননি… তোমরা আমায় চিননি তোমরা আমায়
চিননি… ডানা
ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কইলকাত্তার উপর। (গীতিকার
হেমাঙ্গ বিশ্বাস) দুই. "বন্ধুর
ও বাড়ির জালালী কবুতর আমার ও
বাড়ি আসে রে।" তিন. "ঝাঁকে
উড়ে আকাশজুড়ে দেখতে কি
সুন্দর জালালের
জালালী কইতর।" একসময়
জালালী কবুতর দেখা যেত সিলেটের বিভিন্ন বাড়ির ছাদে ও আঙ্গিনায়, বাজারে, চালের
আরতে। কারো কারো বাড়ীতে বাসাও বাঁধতো ডিম পাড়ত বাচ্চা হতো। এমনকি সিলেট শহরে
অবস্থিত ঐতিহাসিক কিন ব্রিজেরও শোভা বর্ধন করত এই জালালী কবুতর। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে
চলা জালালী কবুতরে ছেঁয়ে যাওয়া সিলেটের আকাশ ছিল এক নান্দনিক দৃশ্য। তবে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর সংখ্যা দিন-দিন কমে যাচ্ছে। এখন আর আগের মত দেখা যায় না। কারণ,
অনেকে ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে না খেলেও কিছু মানুষ এগুলো ধরে নিয়ে গিয়ে খেয়ে ফেলছে
কিংবা বিক্রি করে, অথবা বিভিন্ন স্থানে পাচার করে দেয়। শুধুমাত্র
হযরত শাহ জালাল (রঃ) এবং শাহ পরাণ (রঃ)-এর পুণ্য স্মৃতি রক্ষার্থেই নয়, বরং
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং সিলেট অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে জালালী
কবুতর সংরক্ষন করা এবং এ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা এখন সময়ের দাবী।
৯।ময়ূর
Excellentandinteresting colorsof birdsPeafowl
Phasianidae
গোত্রের বড়, চমৎকার ও আকর্ষণীয় রঙের প্রজাতির পাখি। এ উপমহাদেশের নীল ময়ূর
বা Indian Peafowl নামে পরিচিত Pavo cristatus সহজেই মানুষের সাহচর্যে বাস করতে
অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ দেশের স্থানীয় পাখি হলেও এ ময়ূর ইউরোপের সব পার্কেই দেখা
যায়। সবুজ ময়ূর, P. muticus দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় অন্যতম বিপন্ন এক
পাখি। ১৯৩৬ সালে জে. পি চ্যাপিন মধ্য আফ্রিকার জায়ারের নিরক্ষীয় মৌসুমি বনাঞ্চল
থেকে প্রথম কঙ্গোময়ূর (Congo Peafowl) বর্ণনা করেন। ময়ূরজাতীয় সব পাখির নিবাস
এশিয়ায় হলেও এ ময়ূর কিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আফ্রিকায় বসবাস শুরু করেছে তা এখনও
রহস্যময়।ইংরেজিতে পুরুষ ময়ূরকে Peacock এবং স্ত্রী ময়ূরকে Peahen বলা হলেও
উভয়েই সাধারণভাবে Peafowl নামে পরিচিত। পুরুষ ময়ূরের মাথায় থাকে একটি মুকুট,
মাথার দুপাশ সাদাটে, পালকবিহীন। ময়ূরের পালক অসাধারণ উজ্জ্বল, ধাতব আভাযুক্ত সবুজ
ও নীল রঙের। লেজের উপরিভাগের পালকগুলি অতিশয় লম্বা; পেখম মেললে এর দের্ঘ্য হয় এক
মিটারের বেশি। তামাটে-সবুজ ও নীল রঙের সংমিশ্রণে সজ্জিত চওড়া পালকে অলঙ্কৃত থাকে
রঙিন চোখের মতো বড় বড় ফোটা দাগ। স্ত্রী ও পুরুষের প্রণয় লীলার সময় মেলানো
পেখমের আন্দোলন অতি বৈশিষ্ট্যময়। খাঁচায়
বদ্ধ ময়ূর এমনিতেও অনেক সময় পেখম মেলে, সম্ভবত তা মানুষজনকে দেখাবার জন্য। লেজের
পালকসহ পুরুষ ময়ূরের দৈর্ঘ্য হতে পারে ২-২.২৫ মিটার, স্ত্রী পাখি লম্বায়
হয় প্রায় ৮৬ সেমি। স্ত্রী ময়ূরেরও মাথায় মুকুট থাকে, তবে পেখম মেলার মতো লেজে
উজ্জ্বল লম্বা পালক নেই। এদের মাথা ও ঘাড় হালকা বাদামি, দেহের উপরের অংশ বাদামি।
ঘাড়ের নিচের অংশ নীল রঙের নয়, উজ্জ্বল সবুজ। পেট সাদা, কিছুটা হলুদ আভাযুক্ত।
অপরিণত বয়সের পুরুষ দেখতে অনেকটা পরিণত বয়সের স্ত্রী ময়ূরের মতো, তবে পালক
বহুলাংশে লালচে-ধূসর। প্রজনন মৌসুমে পুরুষ ময়ূর বিশেষ ধরনের কর্কশ সুরে ডাকে।
পুরুষ ময়ূর বহুগামী, প্রতিটি পুরুষ চার-পাঁচটি স্ত্রী পাখি একসঙ্গে নিজের অধিকারে
রাখতে চায়। সাধারণত জানুয়ারি-এপ্রিল এদের প্রজনন কাল, তবে জুলাই থেকে
সেপ্টেম্বরেও এদের প্রজনন ঘটে। স্ত্রী ময়ূর সাধারণত ফোটা দাগবিশিষ্ট ৪-৬টি ডিম
পাড়ে। বাচ্চা ফুটতে সময় লাগে ২৬-২৮ দিন। আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর পূর্বেও গাজীপুর
এলাকার বনে ময়ূর বাস করতো বলে জানা যায়। আশঙ্কা করা হয় এখন এ দেশ থেকে ময়ূর
বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সাধারণ
ময়ূরের আরেক জ্ঞাতি সবুজ ময়ূর, P. muticus বাস করে সিলেট এলাকার বনে। এর আকার
India peafowl-এর মতোই। এদের পুরুষ ময়ূর বহুলাংশে সবুজ রঙের; মাথার মুকুট খাঁড়া,
পাখার মতো ছড়ানো নয়। স্ত্রী ও পুরুষ দেখতে কমবেশি একই রকম। এদের স্বভাব-প্রকৃতি
ও প্রজনন আচরণ P. cristatus-এর প্রায় অনুরূপ। হিন্দু
পুরাণ-শাস্ত্রে ময়ূরকে এক পবিত্র পাখি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৬৩ সালে
ময়ূরকে ভারতের জাতীয় পাখি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এক সময় সাজ-সজ্জা ও
অলঙ্করণের কাজে প্রচুর পরিমাণ ময়ূরের পালক এ উপমহাদেশ থেকে বিদেশে রপ্তানি করা
হতো। রোম এবং পরবর্তীতে মধ্যযুগে ইউরোপের কয়েকটি দেশে মাংসের জন্য ময়ূর
প্রতিপালন করা হতো।
লম্বা
লেজবিশিস্ট রঙিন এ পাখিটির অন্য নাম দ্য চায়নিজ ফিজন্ট। এ জাতের পাখিদের মধ্যে
গোল্ডেন ফিজন্ট আলাদা হয়েছে সোনালি রঙ ধারণের কারণে। বাজিগর এই পাখির মূল আবাস
চীনের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা হলেও ইংল্যান্ডের কিছু কিছু জায়গায় এদের দেখা যায়।
এদের পুরুষ প্রজাতির পাখিগুলোর ডানা ও পালকের মাধ্যমে গাঢ় কমলা রঙ ছড়ানোর এক
অদ্ভুত ক্ষমতা আছে- যা দেখে মুগ্ধ হতে হয়। তখন আরও সুন্দর দেখায় এদের কালো হলুদ
চোখগুলো। এদের মাথা থেকে ঘাড় বেয়ে পিঠের ওপর যেন নেমে গেছে রঙবেরঙের ঢেউ।
১১.দ্য
কুয়েটসল
Thetropicaljungleandthe mountainsof Central Americakuyetasalapairtiedthebirdslive
মধ্য
আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জঙ্গল ও পাহাড়ে এই পাখিরা জুটি বেঁধে বাস করে। এদের খাবার
হচ্ছে পাতা, ফল, টিকটিকি ও অন্যান্য ছোট কীট। তবে
দুঃখজনক হলেও সত্য, এই প্রজাতির পাখিরা গুয়েতেমালাসহ কিছু দেশে বিপদাপন্ন অবস্থায়
বাস করছে। লাল-নীল-সবুজের অপূর্ব সমারোহ ঘটেছে তার শরীরে।
১২.দ্য
হুপো
TheAfro-Asian hupocolorfulwings,thebirdsare usually seenin some regions
আফ্রো-এশিয়ার
কিছু অঞ্চলে রঙিন ডানার এই পাখিদের সাধারণত দেখা যায়। এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে- এরা তাদের পালকগুলো মাথার ওপর এমন করে সাজিয়ে রাখতে পারে, যেটিকে মুকুটের
মতো মনে হয়।
লাতিন শব্দ ‘ইউপুপা’ থেকে এদের নাম হয়েছে ‘দ্য হুপো’। এদের সূঁচালো ঠোঁটটিও যেন
মায়াবী।
১৩.দ্য
বার্ডস অব প্যারাডাইস
Some ofthesebirdscan be seenin thedeepforests ofNew Guinea
নিউগিনির
কিছু অঞ্চলের গহীন অরণ্যে এই পাখিদের দেখা যায়। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও মোলাক্কাসের
পূর্ব সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায়ও এদের বসবাস রয়েছে। সাধারণত
এরাও জোড়া ছাড়া বসবাস করে না। মেরুন আর হলুদের মিশ্রণ রয়েছে এদের লম্বাটে পালকে।