Showing posts with label Education system of Bangladesh - বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা. Show all posts
Showing posts with label Education system of Bangladesh - বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা. Show all posts

Thursday, July 27, 2017

চীর বৈষম্যের বাংলাদেশ, শিক্ষা , স্রষ্টা ও দেবতারা


চীর বৈষম্যের বাংলাদেশ, শিক্ষা , স্রষ্টা ও দেবতারা

দেবতারা বাংলাদেশেীদের ফরিয়াদ  শুনে শুনে চরম বিরক্ত ।দেবতারা ফরিয়াদগুলো বিশ্লেষণ করে জানতে পারলেন,সকল ফরিয়াদের মূলে রয়েছে বৈষম্য ।দেশটির বৈষম্যের শিকার জনগণকে বাঁচানোর জন্য স্বাধীন করে দেয়া হয়েছিল ।কিন্তু সেই বৈষম্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে ।বেড়েছে ফরিয়াদের পরিমান।ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে এর প্রতিকারের প্রার্থণায় দেবতারা স্রষ্টার স্মরানাপন্ন হলেন ।এদিকে স্রষ্ট্রার অনেক বয়স হয়েছে,আজকাল দৈনন্দিন কাজগুলি ঠিকভাবে করতে পারেন না।তালগুল পাকিয়ে ফেলেন।নি:সঙ্গ স্রষ্টা দেবতাদের কাছে পেলে বাচলের মতো বকতে থাকেন।দেবতাদের জনগুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আসা হয়,সেটি না করে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় অবতারণা করে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন স্রষ্টা ।তাই দেবতারা পারতপক্ষে স্রষ্টার দ্বার মাড়ান না।কিন্তু বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিরক্তিতে উপায়হীন দেবতাদের স্রষ্টার নিকট আসতেই হলো ।শুরুতেই স্রষ্টা বাংলাদেশ প্রসংগে না গিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আলোক পাত করলেন ।
স্রষ্টা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি সম্পর্কে দেবতাদের বোঝাচ্ছিলেন যে সব কিছুই তিনি ভারসাম্য রক্ষা করে তৈরি করেছেন বৈষম্য করেননি করো সাথে
 দেবতাদের বোঝাতে স্রষ্টা উদাহরণ দেন, যেমন প্রতি ১০টি হরিণের জন্য আমি একটি সিংহ সৃষ্টি করেছি
 আমি আমেরিকা বানিয়েছি, তাদের সম্পদ-ঐশ্বর্য দিয়েছি, কিন্তু নিরাপত্তার জন্য তাদের সর্বদা উদ্বিগ্ন করে রেখেছি
আফ্রিকায় অনিন্দ্যসুন্দর প্রকৃতি দিলেও তাদের গতিবিধি সীমিত করে দিয়েছি, সব জায়গায় তারা যেতে পারে না
নেপালকে এভারেস্ট দিয়েছি, কিন্তু সমুদ্র থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত রেখেছি
দেবতাদের কাছে বাংলাদেশ একটি সুন্দর পছন্দনীয় দেশ,স্রষ্টার কাছেও।এ অবস্থায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এক দেবতা দাঁড়িয়ে স্রষ্টার কাছে জানতে চান, আপনার সৃষ্ট সেরা দেশ কোনটি ?
স্রষ্টা নিঃসংকোচে জবাব দেন, অবশ্যই বাংলাদেশ আমার সেরা সৃষ্টি
 যেদিকেই তাকাবে, সেদিকেই প্রাণজুড়ানো সবুজের সমারোহ
 এখানকার মানুষগুলো খুবই ভালোধর্ম ভীরু ।
 অত্যন্ত নরম প্রকৃতির হৃদয় তাদের
আবার বিরতিহীন চলল বাংলাদেশ সম্পর্কে স্রষ্টার লেকচার…
কিন্তু আপনি যে বললেন, সব কিছুই ভারসাম্য বৈষম্যহীন ভাবে  রক্ষা করে তৈরি করেছেন, দেবতা আবারও প্রশ্ন করেন স্রষ্টাকে
স্রষ্টা মৃদু হেসে জবাব দেন, বাংলাদেশেও ও ভারসাম্য রক্ষার কোনো ব্যত্যয় করা হয়নি
 একটু লক্ষ্য করলেই দেখবে, ভারসাম্য রক্ষার জন্য তাদের কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছি
 শিক্ষার নিম্নমানের কারণে বাংলাদেশে চাকরির জন্য বিদেশিদের ভাড়া করে আনতে হয় বাংলাদেশে নিয়োগের বিজ্ঞাপন ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশে প্রকাশ করতে হয়
বাংলাদেশের মেধাবীরা পড়ে শুধু একটি চাকুরীর জন্য,দক্ষতার জন্য নয়।
 দক্ষতার অভাবের কারণে একদিকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে পুষতে হয় বিদেশিদের,
 আর অন্যদিকে চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় বিদেশের মাটিতে
  অবস্থার পরিবর্তন না হলে ভবিষ্যতে সরকার চালানোর জন্যও দক্ষ জনবল পেতে বিদেশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে….
স্রষ্টা্র লেকচার চলতেই থাকল…
দেবতারা হতাশ বিরক্ত !বাংলাদেশীদের বৈষম্য ?স্রষ্টার সমাধান কই ? নাই !!
দেবতারা দেখলেন স্রষ্টা বাংলাদেশী মানুষদের বৈষম্য জনিত অত্যাচরের ফরিয়াদের বিষয়ে কিছুই বলছেন না। অগত্যা তারা আরো বিরক্ত হলেন ।দেবতাদের স্রষ্টার মুখের উপর কথা বলা বা প্রতিবাদ করার নিয়ম নেই ।তারা তো আর জামাত বি এন পি করেন না।যদি স্রষ্টার কথার প্রতিবাদ করা হয় ।তা হলে স্রষ্টা দেবতাদের উপর বিরক্ত হয়ে ,দেবালয়ে অসুরদের ক্ষমতায়ন করতে পারেন ।যা দেবতাদের জন্য কোনমতেই সুখকর হবে না ।এই অবস্থায় দেবতারা বাংলাদেশীয়দের ফরিয়াদ জনিত বিরক্তির কোন সমাধান না পেয়ে আরো বিরক্ত হতে থাকলেন।যা অভিশাপ হয়ে সাধারণ বাংলাদেশীদের উপর বর্ষিত হতে থাকলো ।আর স্রষ্টার এইরুপ খাম খেয়ালীর কারণে বাংলাদেশে সুবিধাবাদীদের ভোগ বিলাসের বিপরীতে বৈষম্যের শৃঙ্খল বাড়তেই থাকলো।দেবতারা সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশীদের কোন ফরিয়াদ শুনবেন না,স্রষ্টার লেকচারও আর শুনতে চান না।অতএব দেবতারা কানে তুলা দিলেন।

Thursday, November 26, 2015

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

 বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

একথা সত্য যে শিক্ষা একটি জাতির মেরুদন্ড।শিক্ষা ছাড়া জাতি চলতে পারে না। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি অসম্ভব।মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:)বলেছেন, “জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদূর চীন দেশে  যেতে হলেও যাও।”
কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যুগপোযোগী নয়।বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও বাস্তব উপযোগী শিক্ষা অর্জনের সিলেবাস অনেক ক্ষেত্রে অনুপস্থিত।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর এখানে এক চেটিয়া দোষ দেয়া যায় না।
আসলে আমাদের শিক্ষার মান সার্বিকভাবে বিশ্ব মানের সাথে উন্নত হচ্ছে না। একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন কিছু শিক্ষা অর্জন করতে পারে না যা দেশ ও সমাজের দূর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বা দূর ভবিষ্যতের উন্নত দেশের কথা বলবে।
এ্ প্রসংগে চীনের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে

চীনের স্টুডেন্টরা আমাদের মতো পড়াশুনা করে, তাদেরও আমাদের মতো আন্তর্জাতিক মানের বই আছে, কিন্তু তাদের সেই পাঠ্য বই যেটা স্কুলে পড়ানো হবে সেটা কেউ বাসায় নিয়ে যেতে পারবে না। তাদের সবার জন্য স্কুলেই পার্সোনাল ডেস্ক আছে, যার ভেতর তাদের সকল বই খাতা যা পড়াশুনার জন্য দরকার ওখানে থাকবে, শিক্ষক ছাত্রকে বুঝাবেন, ছাত্র তা বুঝে নিবেন। ক্লাসে কিছু মৌখিক পরীক্ষা বা ছাত্ররা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আলোচনা করবেন বিস্তারিত বুঝার জন্য সবার মধ্যে আরোচনা হয় , সেখান থেকে জানা বা বোঝার উপর শিক্ষক ছাত্রকে মৌখিক প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মার্ক দিবেন,
ক্লাস শেষে ছাত্র বাড়ি চলে যাবেন স্কুলের বই ছাড়া, বাড়ি যেয়ে সে তাঁর পছন্দ মতো বই পড়বেন, তাঁর পছন্দের যেকোনো কাজ করবেন, খেলবেন এবং শিখবেন। ঠিক পরবর্তী দিন একই ভাবে স্কুলে এসে স্কুলের শিক্ষক যা পড়াবেন সেটাই তাদের বুঝে ওখানেই উত্তর দিতে হবে, শিক্ষক সাথে সাথে ছাত্র মুল্যায়ন করবেন। বাড়ি নিজেদের ইচ্ছামতো পড়াশুনা বা প্রাক্টিক্যাল কাজ শেখা বা খেলাধুলা করা ছাড়া কোন কাজ নেই।বর্তমানে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় চীনে এখন বইয়ের ল্যাপটপ ক্লাসে ব্যবহার করেন?
আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থাও যদি এমন হতো তাহলে আমাদের ঘরে ঘরে আজ বিজ্ঞানী থাকতো, লেখক থাকতো, বিশ্বমানের ইঞ্জিনিয়ার থাকতো, কৃষিবিদ থাকতো, পরিচালক থাকতো, উদ্যোক্তা থাকতো। কিন্তু আমরা কি তাঁর কিছু পেয়েছি?
তাই স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে এমন কোন বৈজ্ঞানিক জন্ম নেননি যিনি বিশ্ব ব্যাপি সমাদৃত।কারণ বাংলাদেশের চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্বমানের দক্ষ প্রফেশনাল জন্ম হওয়া সম্ভব না, কারণ আমাদের সেকেলে শুধু মুখস্ত করা শিক্ষা ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় ছাত্ররা মন খুলে কিছু শিখতে পারেন না নিজের মতো করে কিছু জানতেও পারেন না। শুধু ক্লাস, ক্লাস, ক্লাস অনুশীলন মুখস্ত আর এক্সাম, সার্টিফিকেট পরীক্ষা ভাল রেজাল্টের তাগিদ! এতে সৃজনশীল নতুন কিছু করার মানষিকতা অংকুড়েই নষ্ট হয়ে যায় অধিকাংশ ছাত্রের।
কারণ সৃষ্টি করতে গেলে সৃষ্টির রহস্য জানতে হয় নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হয় প্রত্যেক কাজে। যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দিতে পারে না। তাই এখন আর নতুন ভালো লেখকও জন্ম নেন না, বিজ্ঞানী তো দূরের কথা!

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রধান সমস্যা ও সমাধানের উপায় 

প্র্যাকটিক্যাল, লজিক্যাল, টেকনিক্যাল ও সাইন্টিফিক শিক্ষা
আমাদের দেশে মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর চলছে। টেকনিক্যাল ও লজিক্যাল বিদ্যার কোন স্থান নেই শিক্ষা ব্যবস্থায়। পাঠ্যসুচীকে এমন ভাবে প্রণয়ন করা হয় যে, গদবাধা মুখস্ত না করলে কোন ভাবেই ভাল ফলাফল করা সম্ভব নয়। অপর দিকে সারা  বিশ্ব এখন মুখস্ত বিদ্যার উপর চলে না। বিশ্ব এগিয়ে চলছে সাইন্টিফিক এবং যৌক্তিক বিদ্যা নির্ভর করে। বিশ্বে আজ এসব বিষয়ে যারা অগ্রগামী ব্রেইন যাদের শার্প তাদেরই জয় জয়কার। যেমন সফটওয়্যার খাতে লজিক্যাল সেন্স ছাড়া কোন ভাবেই উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে প্র্যাকটিক্যাল, লজিক্যাল , টেকনিক্যাল ও সাইনটিফিক বিকাশের উল্লেখ যোগ্য কোন সুযোগ নাই। শুধু আছে মুখস্ত বিদ্যার বিকাশের সুযোগ । সেজন্য অকালেই ঝড়ে পরছে দেশের মেধাবী ছাত্ররা। তাই প্রয়োজন পাঠসুচিকে প্র্যাকটিক্যাল , লজিক্যাল , টেকনিক্যাল ও সাইনটিফিক বিষয়ে অধিকতর জোরদার করা উচিৎ।কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরীতে লজিক্যাল বিষয়টি প্রয়োগ করা হয়।অন্যগুলো প্র্যাকটিক্যাল,টেকনিক্যাল ও সাইনটিফিক বিসয়গুলো বর্তমান বিশ্বে অত্যাবশ্যকীয়।
Showing posts with label Education system of Bangladesh - বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা. Show all posts
Showing posts with label Education system of Bangladesh - বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা. Show all posts

Thursday, July 27, 2017

চীর বৈষম্যের বাংলাদেশ, শিক্ষা , স্রষ্টা ও দেবতারা


চীর বৈষম্যের বাংলাদেশ, শিক্ষা , স্রষ্টা ও দেবতারা

দেবতারা বাংলাদেশেীদের ফরিয়াদ  শুনে শুনে চরম বিরক্ত ।দেবতারা ফরিয়াদগুলো বিশ্লেষণ করে জানতে পারলেন,সকল ফরিয়াদের মূলে রয়েছে বৈষম্য ।দেশটির বৈষম্যের শিকার জনগণকে বাঁচানোর জন্য স্বাধীন করে দেয়া হয়েছিল ।কিন্তু সেই বৈষম্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে ।বেড়েছে ফরিয়াদের পরিমান।ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে এর প্রতিকারের প্রার্থণায় দেবতারা স্রষ্টার স্মরানাপন্ন হলেন ।এদিকে স্রষ্ট্রার অনেক বয়স হয়েছে,আজকাল দৈনন্দিন কাজগুলি ঠিকভাবে করতে পারেন না।তালগুল পাকিয়ে ফেলেন।নি:সঙ্গ স্রষ্টা দেবতাদের কাছে পেলে বাচলের মতো বকতে থাকেন।দেবতাদের জনগুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আসা হয়,সেটি না করে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় অবতারণা করে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন স্রষ্টা ।তাই দেবতারা পারতপক্ষে স্রষ্টার দ্বার মাড়ান না।কিন্তু বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিরক্তিতে উপায়হীন দেবতাদের স্রষ্টার নিকট আসতেই হলো ।শুরুতেই স্রষ্টা বাংলাদেশ প্রসংগে না গিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আলোক পাত করলেন ।
স্রষ্টা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি সম্পর্কে দেবতাদের বোঝাচ্ছিলেন যে সব কিছুই তিনি ভারসাম্য রক্ষা করে তৈরি করেছেন বৈষম্য করেননি করো সাথে
 দেবতাদের বোঝাতে স্রষ্টা উদাহরণ দেন, যেমন প্রতি ১০টি হরিণের জন্য আমি একটি সিংহ সৃষ্টি করেছি
 আমি আমেরিকা বানিয়েছি, তাদের সম্পদ-ঐশ্বর্য দিয়েছি, কিন্তু নিরাপত্তার জন্য তাদের সর্বদা উদ্বিগ্ন করে রেখেছি
আফ্রিকায় অনিন্দ্যসুন্দর প্রকৃতি দিলেও তাদের গতিবিধি সীমিত করে দিয়েছি, সব জায়গায় তারা যেতে পারে না
নেপালকে এভারেস্ট দিয়েছি, কিন্তু সমুদ্র থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত রেখেছি
দেবতাদের কাছে বাংলাদেশ একটি সুন্দর পছন্দনীয় দেশ,স্রষ্টার কাছেও।এ অবস্থায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এক দেবতা দাঁড়িয়ে স্রষ্টার কাছে জানতে চান, আপনার সৃষ্ট সেরা দেশ কোনটি ?
স্রষ্টা নিঃসংকোচে জবাব দেন, অবশ্যই বাংলাদেশ আমার সেরা সৃষ্টি
 যেদিকেই তাকাবে, সেদিকেই প্রাণজুড়ানো সবুজের সমারোহ
 এখানকার মানুষগুলো খুবই ভালোধর্ম ভীরু ।
 অত্যন্ত নরম প্রকৃতির হৃদয় তাদের
আবার বিরতিহীন চলল বাংলাদেশ সম্পর্কে স্রষ্টার লেকচার…
কিন্তু আপনি যে বললেন, সব কিছুই ভারসাম্য বৈষম্যহীন ভাবে  রক্ষা করে তৈরি করেছেন, দেবতা আবারও প্রশ্ন করেন স্রষ্টাকে
স্রষ্টা মৃদু হেসে জবাব দেন, বাংলাদেশেও ও ভারসাম্য রক্ষার কোনো ব্যত্যয় করা হয়নি
 একটু লক্ষ্য করলেই দেখবে, ভারসাম্য রক্ষার জন্য তাদের কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছি
 শিক্ষার নিম্নমানের কারণে বাংলাদেশে চাকরির জন্য বিদেশিদের ভাড়া করে আনতে হয় বাংলাদেশে নিয়োগের বিজ্ঞাপন ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশে প্রকাশ করতে হয়
বাংলাদেশের মেধাবীরা পড়ে শুধু একটি চাকুরীর জন্য,দক্ষতার জন্য নয়।
 দক্ষতার অভাবের কারণে একদিকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে পুষতে হয় বিদেশিদের,
 আর অন্যদিকে চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় বিদেশের মাটিতে
  অবস্থার পরিবর্তন না হলে ভবিষ্যতে সরকার চালানোর জন্যও দক্ষ জনবল পেতে বিদেশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে….
স্রষ্টা্র লেকচার চলতেই থাকল…
দেবতারা হতাশ বিরক্ত !বাংলাদেশীদের বৈষম্য ?স্রষ্টার সমাধান কই ? নাই !!
দেবতারা দেখলেন স্রষ্টা বাংলাদেশী মানুষদের বৈষম্য জনিত অত্যাচরের ফরিয়াদের বিষয়ে কিছুই বলছেন না। অগত্যা তারা আরো বিরক্ত হলেন ।দেবতাদের স্রষ্টার মুখের উপর কথা বলা বা প্রতিবাদ করার নিয়ম নেই ।তারা তো আর জামাত বি এন পি করেন না।যদি স্রষ্টার কথার প্রতিবাদ করা হয় ।তা হলে স্রষ্টা দেবতাদের উপর বিরক্ত হয়ে ,দেবালয়ে অসুরদের ক্ষমতায়ন করতে পারেন ।যা দেবতাদের জন্য কোনমতেই সুখকর হবে না ।এই অবস্থায় দেবতারা বাংলাদেশীয়দের ফরিয়াদ জনিত বিরক্তির কোন সমাধান না পেয়ে আরো বিরক্ত হতে থাকলেন।যা অভিশাপ হয়ে সাধারণ বাংলাদেশীদের উপর বর্ষিত হতে থাকলো ।আর স্রষ্টার এইরুপ খাম খেয়ালীর কারণে বাংলাদেশে সুবিধাবাদীদের ভোগ বিলাসের বিপরীতে বৈষম্যের শৃঙ্খল বাড়তেই থাকলো।দেবতারা সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশীদের কোন ফরিয়াদ শুনবেন না,স্রষ্টার লেকচারও আর শুনতে চান না।অতএব দেবতারা কানে তুলা দিলেন।

Thursday, November 26, 2015

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

 বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

একথা সত্য যে শিক্ষা একটি জাতির মেরুদন্ড।শিক্ষা ছাড়া জাতি চলতে পারে না। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি অসম্ভব।মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:)বলেছেন, “জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদূর চীন দেশে  যেতে হলেও যাও।”
কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যুগপোযোগী নয়।বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও বাস্তব উপযোগী শিক্ষা অর্জনের সিলেবাস অনেক ক্ষেত্রে অনুপস্থিত।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর এখানে এক চেটিয়া দোষ দেয়া যায় না।
আসলে আমাদের শিক্ষার মান সার্বিকভাবে বিশ্ব মানের সাথে উন্নত হচ্ছে না। একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন কিছু শিক্ষা অর্জন করতে পারে না যা দেশ ও সমাজের দূর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বা দূর ভবিষ্যতের উন্নত দেশের কথা বলবে।
এ্ প্রসংগে চীনের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে

চীনের স্টুডেন্টরা আমাদের মতো পড়াশুনা করে, তাদেরও আমাদের মতো আন্তর্জাতিক মানের বই আছে, কিন্তু তাদের সেই পাঠ্য বই যেটা স্কুলে পড়ানো হবে সেটা কেউ বাসায় নিয়ে যেতে পারবে না। তাদের সবার জন্য স্কুলেই পার্সোনাল ডেস্ক আছে, যার ভেতর তাদের সকল বই খাতা যা পড়াশুনার জন্য দরকার ওখানে থাকবে, শিক্ষক ছাত্রকে বুঝাবেন, ছাত্র তা বুঝে নিবেন। ক্লাসে কিছু মৌখিক পরীক্ষা বা ছাত্ররা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আলোচনা করবেন বিস্তারিত বুঝার জন্য সবার মধ্যে আরোচনা হয় , সেখান থেকে জানা বা বোঝার উপর শিক্ষক ছাত্রকে মৌখিক প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মার্ক দিবেন,
ক্লাস শেষে ছাত্র বাড়ি চলে যাবেন স্কুলের বই ছাড়া, বাড়ি যেয়ে সে তাঁর পছন্দ মতো বই পড়বেন, তাঁর পছন্দের যেকোনো কাজ করবেন, খেলবেন এবং শিখবেন। ঠিক পরবর্তী দিন একই ভাবে স্কুলে এসে স্কুলের শিক্ষক যা পড়াবেন সেটাই তাদের বুঝে ওখানেই উত্তর দিতে হবে, শিক্ষক সাথে সাথে ছাত্র মুল্যায়ন করবেন। বাড়ি নিজেদের ইচ্ছামতো পড়াশুনা বা প্রাক্টিক্যাল কাজ শেখা বা খেলাধুলা করা ছাড়া কোন কাজ নেই।বর্তমানে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় চীনে এখন বইয়ের ল্যাপটপ ক্লাসে ব্যবহার করেন?
আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থাও যদি এমন হতো তাহলে আমাদের ঘরে ঘরে আজ বিজ্ঞানী থাকতো, লেখক থাকতো, বিশ্বমানের ইঞ্জিনিয়ার থাকতো, কৃষিবিদ থাকতো, পরিচালক থাকতো, উদ্যোক্তা থাকতো। কিন্তু আমরা কি তাঁর কিছু পেয়েছি?
তাই স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে এমন কোন বৈজ্ঞানিক জন্ম নেননি যিনি বিশ্ব ব্যাপি সমাদৃত।কারণ বাংলাদেশের চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্বমানের দক্ষ প্রফেশনাল জন্ম হওয়া সম্ভব না, কারণ আমাদের সেকেলে শুধু মুখস্ত করা শিক্ষা ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় ছাত্ররা মন খুলে কিছু শিখতে পারেন না নিজের মতো করে কিছু জানতেও পারেন না। শুধু ক্লাস, ক্লাস, ক্লাস অনুশীলন মুখস্ত আর এক্সাম, সার্টিফিকেট পরীক্ষা ভাল রেজাল্টের তাগিদ! এতে সৃজনশীল নতুন কিছু করার মানষিকতা অংকুড়েই নষ্ট হয়ে যায় অধিকাংশ ছাত্রের।
কারণ সৃষ্টি করতে গেলে সৃষ্টির রহস্য জানতে হয় নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হয় প্রত্যেক কাজে। যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দিতে পারে না। তাই এখন আর নতুন ভালো লেখকও জন্ম নেন না, বিজ্ঞানী তো দূরের কথা!

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রধান সমস্যা ও সমাধানের উপায় 

প্র্যাকটিক্যাল, লজিক্যাল, টেকনিক্যাল ও সাইন্টিফিক শিক্ষা
আমাদের দেশে মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর চলছে। টেকনিক্যাল ও লজিক্যাল বিদ্যার কোন স্থান নেই শিক্ষা ব্যবস্থায়। পাঠ্যসুচীকে এমন ভাবে প্রণয়ন করা হয় যে, গদবাধা মুখস্ত না করলে কোন ভাবেই ভাল ফলাফল করা সম্ভব নয়। অপর দিকে সারা  বিশ্ব এখন মুখস্ত বিদ্যার উপর চলে না। বিশ্ব এগিয়ে চলছে সাইন্টিফিক এবং যৌক্তিক বিদ্যা নির্ভর করে। বিশ্বে আজ এসব বিষয়ে যারা অগ্রগামী ব্রেইন যাদের শার্প তাদেরই জয় জয়কার। যেমন সফটওয়্যার খাতে লজিক্যাল সেন্স ছাড়া কোন ভাবেই উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে প্র্যাকটিক্যাল, লজিক্যাল , টেকনিক্যাল ও সাইনটিফিক বিকাশের উল্লেখ যোগ্য কোন সুযোগ নাই। শুধু আছে মুখস্ত বিদ্যার বিকাশের সুযোগ । সেজন্য অকালেই ঝড়ে পরছে দেশের মেধাবী ছাত্ররা। তাই প্রয়োজন পাঠসুচিকে প্র্যাকটিক্যাল , লজিক্যাল , টেকনিক্যাল ও সাইনটিফিক বিষয়ে অধিকতর জোরদার করা উচিৎ।কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরীতে লজিক্যাল বিষয়টি প্রয়োগ করা হয়।অন্যগুলো প্র্যাকটিক্যাল,টেকনিক্যাল ও সাইনটিফিক বিসয়গুলো বর্তমান বিশ্বে অত্যাবশ্যকীয়।