Thursday, August 20, 2015

জীবনানন্দ দাশের ভালোবাসার কবিতা



















বনলতা সেন

- জীবনানন্দ দাশ


হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল-সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয়-সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরও দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর
হাল ভেঙ্গে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'
পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মত
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পান্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে - সব নদী - ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন

লোকেন বোসের জর্নাল

 - জীবনানন্দ দাশ
 
সুজাতাকে ভালোবাসাতাম আমি -
এখন কি ভালোবাসি?
সেটা অবসরে ভাববার কথা,
অবসর তবু নেই;
তবু একদিন হেমন্ত এলে অবকাশ পাওয়া যাবে;
এখন শেল্‌ফে চার্বাক ফ্রয়েড প্লেটো পাভলভ ভাবে
সুজাতাকে আমি ভালোবাসি কিনা।

পুরোনো চিঠির ফাইল কিছু আছে:
সুজাতা লিখেছে আমার কাছে,
বারো তেরো কুড়ি বছর আগের সে-সব কথা;
ফাইল নাড়া কী যে মিহি কেরানির কাজ;
নাড়বো না আমি,
নেড়ে কার কী সে লাভ;
মনে হয় যেন অমিতা সেনের সাথে সুবলের ভাব,
সুবলেরই শুধু? অবশ্য আমি
তাকে মানে -এই অমি তা বলছি যাকে -
কিন্তু কথাটা থাক;
কিন্তু তবুও-
আজকে হৃদয় পথিক নয় তো আর,
নারী যদি মৃগতৃষ্ণার মতো - তবে
এখন কী করে মন ক্যারাভান হবে।

প্রৌঢ় হৃদয়, তুমি
সেই সব মৃগতৃষ্ণিকাতালে ঈষৎ সিমুমে

 হয়তো কখনো বৈতাল মরুভূমি,
হৃদয়, হৃদয় তুমি!
তারপর তুমি নিজের ভিতরে এসে তবু চুপে
মরীচিকা জয় করেছ বিনয়ী যে ভীষণ নামরূপেে -
সেখানে বালির সৎ নীরবতা ধু ধু
প্রেম নয় তবু প্রেমেরই মতন শুধু।

অমিতা সেনকে সুবল কি ভালোবাসে?
অমিতা নিজে কি তাকে?
অবসরমতো কথা ভাবা যাবে,
ঢের অবসর চাই;
দূর ব্রহ্মাণ্ডকে তিলে টেনে এনে সমাহিত হওয়া চাই;
এখুনি টেনিসে যেতে হবে তবু,
ফিরে এসে রাতে ক্লবে;
কখন সময় হবে।

হেমন্তে ঘাসে নীল ফুল ফোটে -
হৃদয় কেন যে কাঁপে,
“ভালোবাসতাম” - স্মৃতি - অঙ্গার - পাপে
তর্কিত কেন রয়েছে বর্তমান।
সে-ও কি আমায় -সুজাতা আমায় ভালোবেসে ফেলেছিল।
আজও ভালোবাসে না কি?
ইলেক্‌ট্রনেরা নিজ দোষগুণে বলয়িত হয়ে রবে;
কোনো অন্তিম ক্ষালিত আকাশে এর উত্তর হবে?

সুজাতা এখন ভুবনেশ্বরে;
অমিতা কি মিহিজামে?
বহুদিন থেকে ঠিকানা না জেনে ভালোই হয়েছে-সবই।
ঘাসের ভিতরে নীল শাদা ফুল ফোটে হেমন্তরাগে;
সময়ের এই স্থির এক দিক,
তবু স্থিরতর নয়;
প্রতিটি দিনের নতুন জীবাণু আবার স্থাপিত হয়। 


 আমাকে একটি কথা দাও

 - জীবনানন্দ দাশ

আমাকে একটি কথা দাও যা আকাশের মতো
সহজ মহৎ বিশাল,
গভীর; - সমস্ত ক্লান্ত হতাহত গৃহবলিভুকদের রক্তে
মলিন ইতিহাসের অন্তর ধুয়ে চেনা হাতের মতন,
আমি যাকে আবহমান কাল ভালোবেসে এসেছি সেই নারীর।
সেই রাত্রির নক্ষত্রালোকিত নিবিড় বাতাসের মতো:
সেই দিনের - আলোর অন্তহীন এঞ্জিন চঞ্চল ডানার মতন
সেই উজ্জ্বল পাখিনীর - পাখির সমস্ত পিপাসাকে যে
অগ্নির মতো প্রদীপ্ত দেখে অন্তিম শরীরিণী মোমের মতন।


 নির্জন স্বাক্ষর

  - জীবনানন্দ দাশ
 

তুমি তো জানো না কিছু - না জানিলে,
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে;
যখন ঝরিয়া যাবো হেমন্তের ঝড়ে -
পথের পাতার মতো তুমিও তখন
আমার বুকের 'পরে শুয়ে রবে?
অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
সেদিন তোমার!
তোমার এ জীবনের ধার
ক্ষ'য়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের 'পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই;
শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে?
আমি ঝ'রে যাবো - তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধ'রে সেদিন পৃথিবীর 'পরে,
- আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।


 কুড়ি বছর পরে

   - জীবনানন্দ দাশ

আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি।
আবার বছর কুড়ি পরে–
হয়তো ধানের ছড়ার পাশে কার্তিকের মাসে–
তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে–তখন হলুদ নদী
নরম নরম হয় শর কাশ হোগলায়–মাঠের ভিতরে।

অথবা নাইকো ধান ক্ষেতে আর;
ব্যস্ততা নাইকো আর,
হাঁসের নীড়ের থেকে খড়
পাখির নীরের থেকে খড় ছড়াতেছে;
মনিয়ার ঘরে রাত, শীত, আর শিশিরের জল।

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার–
তখন হঠাৎ যদি মেঠো পথে পাই আমি তোমারে আবার।

হয়তো এসেছে চাঁদ মাঝরাতে একরাশ পাতার পিছনে
সরু সরু কালো কালো ডালপালা মুখে নিয়ে তার,
শিরীষের অথবা জামের,
ঝাউয়ের–আমের;
কুড়ি বছরের পরে তখন তোমারে নাই মনে!

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার–
তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার-আমার!

তখন হয়তো মাঠে হামাগুড়ি দিয়ে পেঁচা নামে–
বাবলার গলির অন্ধকারে
অশথের জানালার ফাঁকে
কোথায় লুকায় আপনাকে।
চোখের পাতার মতো নেমে চুপি কোথায় চিলের ডানা থামে–

সোনালি সোনালি চিল–শিশির শিকার করে নিয়ে গেছে তারে–
কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে।


যাত্রী

   - জীবনানন্দ দাশ

 মনে হয় প্রাণ এক দূর স্বচ্ছ সাগরের কূলে
জন্ম নিয়েছিলো কবে;
পিছে মৃত্যুহীন জন্মহীন চিহ্নহীন
কুয়াশার যে ইঙ্গিত ছিলো --
সেই সব ধীরে ধীরে ভুলে গিয়ে অন্য এক মানে
পেয়েছিলো এখানে ভূমিষ্ঠ হয়ে -- আলো জল আকাশের টানে;
কেন যেন কাকে ভালোবেসে!




তবু 


   - জীবনানন্দ দাশ

সে অনেক রাজনীতি রুগ্ন নীতি মারী
মন্বন্তর যুদ্ধ ঋণ সময়ের থেকে
উঠে এসে এই পৃথিবীর পথে আড়াই হাজার
বছরে বয়সী আমি;
বুদ্ধকে স্বচক্ষে মহানির্বাণের আশ্চর্য শান্তিতে
চলে যেতে দেখে - তবু - অবিরল অশান্তির দীপ্তি ভিক্ষা ক’রে
এখানে তোমার কাছে দাঁড়ায়ে রয়েছি;
আজ ভোরে বাংলার তেরোশো চুয়ান্ন সাল এই
কোথাও নদীর জলে নিজেকে গণনা করে নিতে ভুলে গিয়ে
আগামী লোকের দিকে অগ্রসর হয়ে যায়; আমি
তবুও নিজেকে রোধ করে আজ থেমে যেতে চাই
তোমার জ্যোতির কাছে; আড়াই হাজার
বছর তা হলে আজ এইখানেই শেষ হয়ে গেছে।

নদীর জলের পথে মাছরাঙা ডানা বাড়াতেই
আলো ঠিকরায়ে গেছে -যারা পথে চলে যায় তাদের হৃদয়ে;
সৃষ্টির প্রথম আলোর কাছে; আহা,
অন্তিম আভার কাছে; জীবনের যতিহীন প্রগতিশীলতা
নিখিলের স্মরণীয় সত্য বলে প্রমাণিত হয়ে গেছে; দেখ
পাখি চলে, তারা চলে, সূর্য মেঘে জ্বলে যায়, আমি
তবুও মধ্যম পথে দাঁড়ায়ে রয়েছি -তুমি দাঁড়াতে বলো নি।
আমাকে দেখ নি তুমি; দেখাবার মতো
অপব্যয়ী কল্পনার ইন্দ্রত্বের আসনে আমাকে
বসালে চকিত হয়ে দেখে যেতে যদি -তবু, সে আসনে আমি
যুগে যুগে সাময়িক শত্রুদের বসিয়েছি, নারি,
ভালোবেসে ধ্বংস হয়ে গ্যাছে তারা সব।
এ রকম অন্তহীন পটভূমিকায় - প্রেমে -
নতুন ঈশ্বরদের বারবার লুপ্ত হতে দেখে
আমারও হৃদয় থেকে তরুণতা হারিয়ে গিয়েছে;
অথচ নবীন তুমি।
নারি, তুমি সকালের জল উজ্জ্বলতা ছাড়া পৃথিবীর কোন নদীকেই
বিকেলে অপর ঢেউয়ে খরশান হতে
দিতে ভুলে গিয়েছিলে; রাতের প্রখর জলে নিয়তির দিকে
বহে যেতে দিতে মনে ছিলো কি তোমার?
এখনও কি মনে নেই?

আজ এই পৃথিবীর অন্ধকারে মানুষের হৃদয়ে বিশ্বাস
কেবলই শিথিল হয়ে যায়; তবু তুমি
সেই শিথিলতা নও, জানি, তবু ইতিহাসরীতিপ্রতিভার
মুখোমুখি আবছায়া দেয়ালের মতো নীল আকাশের দিকে
উর্ধ্বে উঠে যেতে চেয়ে তুমি
আমাদের দেশে কোনো তুমি বিশ্বাসের দীর্ঘ তরু নও।

তবু
কী যে উদয়ের সাগরের প্রতিবিম্ব জ্বলে ওঠে রোদ!
উদয় সমাপ্ত হয়ে গেছে নাকি সে অনেক আগে?
কোথাও বাতাস নেই, তবু
মর্মরিত হয়ে ওঠে উদয়ের সমুদ্রের পারে।
কোনো পাখি
কালের ফোকরে আজ নেই, তবু, নব সৃষ্টিমরালের মতো কলস্বরে
কেন কথা বলি; কোনো নারী
নেই, তবু আকাশহংসীর কণ্ঠে ভোরের সাগর উতরোল।


অন্য প্রেমিককে

 - জীবনানন্দ দাশ

মাছরাঙা চ'লে গেছে - আজ নয় কবেকার কথা;
তারপর বারবার ফিরে এসে দৃশ্যে উজ্জল।
দিতে চেয়ে মানুষের অবহেলা উপেক্ষায় হ'য়ে গেছে ক্ষয়;
বেদনা পেয়েছে তবু মানুষের নিজেরও হৃদয়
প্রকৃতির অনির্বচনীয় সব চিহ্ন থেকে দু' চোখ ফিরিয়ে;
বুদ্ধি আর লালসার সাধনাকে সব চেয়ে বড় ভেবে নিয়ে।

মাছরাঙা চ'লে গেছে --আজ নয় কবেকার কথা;
তারপর বারবার ফিরে এসে ডানাপালকের উজ্জলতা
ক্ষয় ক'রে তারপর হয়ে গেছে ক্ষয়।
মাছরাঙা মানুষের মতো সূর্য নয়?
কাজ করে কথা ব'লে চিন্তা করে চলেছে মানব;
যদিও সে শ্রেষ্ঠ চিন্তা সারাদিন চিন্তানাশা সাগরের জলে
ডুবে গিয়ে নিঃশব্দতা ছাড়া আর অন্য কিছু বলে?


 সে

  - জীবনানন্দ দাশ

আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে;
বলেছিলো: 'এ নদীর জল
তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল:
সব ক্লান্তি রক্তের থেকে
স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি;
এই নদী তুমি।'

'এর নাম ধানসিঁড়ি বুঝি?'
মাছরাঙাদের বললাম;
গভীর মেয়েটি এসে দিয়েছিলো নাম।
আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি;
জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে
কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।

সময়ের অবিরল শাদা আর কালো
বনানীর বুক থেকে এসে
মাছ আর মন আর মাছরাঙাদের ভালোবেসে
ঢের আগে নারী এক - তবু চোখ ঝলসানো আলো
ভালোবেসে ষোলো আনা নাগরিক যদি
না হয়ে বরং হতো ধানসিঁড়ি নদী।


 সূর্য নক্ষত্র নারী

   - জীবনানন্দ দাশ

তোমার নিকট থেকে সর্বদাই বিদায়ের কথা ছিল
সব চেয়ে আগে; জানি আমি।
সে দিনও তোমার সাথে মুখ-চেনা হয় নাই।
তুমি যে এ পৃথিবীতে রয়ে গেছ
আমাকে বলে নি কেউ।
কোথাও জলকে ঘিরে পৃথিবীর অফুরান জল
রয়ে গেছে -
যে যার নিজের কাজে আছে, এই অনুভবে চ’লে
শিয়রে নিয়ত স্ফীত সূর্যকে চেনে তারা;
আকাশের সপ্রতিভ নক্ষত্রকে চিনে উদীচীর
কোনো জল কী করে অপর জল চিনে নেবে অন্য নির্ঝরের?
তবুও জীবন ছুঁয়ে গেলে তুমি;
আমার চোখের থেকে নিমেষনিহত
সূর্যকে সরায়ে দিয়ে।

স’রে যেত; তবুও আয়ুর দিন ফুরোবার আগে
নব নব সূর্যকে নারীর বদলে
ছেড়ে দেয়? কেন দেব? সকল প্রতীতি উৎসবের
চেয়ে তবু বড় স্থিরতর প্রিয় তুমি; - নিঃসূর্য নির্জন
করে দিতে এলে।
মিলন ও বিদায়ের প্রয়োজনে আমি যদি মিলিত হতাম
তোমার উৎসের সাথে, তবে আমি অন্য সব প্রেমিকের মতো
বিরাট পৃথিবী আর সুবিশাল সময়কে সেবা করে আত্মস্থ হতাম।
তুমি তা জানো না, তবু, আমি জানি, একবার তোমাকে দেখেছি—
পিছনের পটভূমিকায় সময়ের
শেষনাগ ছিল, নেই -বিজ্ঞানের ক্লান্ত নক্ষত্রেরা
নিভে যায় -মানুষ অপরিজ্ঞাত সে অমায়; তবুও তাদের একজন
গভীর মানুষী কেন নিজেকে চেনায়!
আহা, তাকে অন্ধকার অনন্তের মতো আমি জেনে নিয়ে, তবু,
অল্পায়ু রঙিন রৌদ্রে মানবের ইতিহাসে কে না জেনে কোথায় চলেছি!

দুই
চারি দিকে সৃজনের অন্ধকার রয়ে গেছে, নারি,
অবতীর্ণ শরীরের অনুভূতি ছাড়া আরো ভালো
কোথাও দ্বিতীয় সূর্য নেই, যা জ্বালালে
তোমার শরীর সব আলোকিত করে দিয়ে স্পষ্ট করে দেবে কোনো কালে
শরীরে যা রয়ে গেছে।
এইসব ঐশী কাল ভেঙে ফেলে দিয়ে
নতুন সময় গ’ড়ে নিজেকে না গ’ড়ে তবু তুমি
ব্রহ্মাণ্ডের অন্ধকারে একবার জন্মাবার হেতু
অনুভব করেছিল -
জন্ম-জন্মান্তরের মৃত স্মরণের সাঁকো
তোমার হৃদয় স্পর্শ করে ব’লে আজ
আমাকে ইশারাপাত করে গেলে তারই; -
অপার কালের স্রোত না পেলে কী ক’রে তবু, নারি,
তুচ্ছ, খণ্ড, অল্প সময়ের স্বত্ব কাটায়ে অঋনী তোমাকে কাছে পাবে -
তোমার নিবিড় নিজ চোখ এসে নিজের বিষয় নিয়ে যাবে?
সময়ের কক্ষ থেকে দূর কক্ষে চাবি
খুলে ফেলে তুমি অন্য সব মেয়েদের
আত্মঅন্তরঙ্গতার দান
দেখায়ে অনঙ্ককাল ভেঙে গেলে পরে,
যে দেশে নক্ষত্র নেই—কোথাও সময় নেই আর -
আমারও হৃদয় নেই বিভা -
দেখাবে নিজের হাতে -অবশেষে -কী মকরকেতনে প্রতিভা।

তিন

তুমি আছ জেনে আমি অন্ধকার ভালো ভেবে যে অতীত আর
যেই শীত ক্লান্তিহীন কাটায়েছিলাম,
তাই শুধু কাটায়েছি।
কাটায়ে জেনেছি এই-ই শূন্য,তবু হৃদয়ের কাছে ছিল অন্য-কোনো নাম।
অন্তহীন অপেক্ষার চেয়ে তবে ভালো
দ্বীপাতীত লক্ষ্যে অবিরাম চলে যাওয়া।
শোককে স্বীকার ক’রে অবশেষে তবে
নিমেষের শরীরের উজ্জ্বলায় অনন্তের জ্ঞানপাপ মুছে দিতে হবে।
আজ এই ধ্বংসমত্ত অন্ধকার ভেদ ক’রে বিদ্যুতের মতো
তুমি যে শরীর নিয়ে রয়ে গেছ, সেই কথা সময়ের মনে
জানাবার আধার কি একজন পুরুষের নির্জন শরীরে
একটি পালক শুধু -হৃদয়বিহীন সব অপার আলোকবর্ষ আলোকবর্ষ ঘিরে?
অধঃপতিত এই অসময়ে কে-বা সেই উপচার পুরুষমানুষ?—
ভাবি আমি—জানি আমি, তবু
সে কথা আমাকে জানাবার
হৃদয় আমার নেই -
যে-কোনো প্রেমিক আজ এখন আমার
দেহের প্রতিভূ হয়ে নিজের নারীকে নিয়ে পৃথিবীর পথে
একটি মুহূর্তে যদি আমার অনন্ত হয় মহিলার জ্যোতিষ্কজগতে। 


 অবরোধ

   - জীবনানন্দ দাশ
  
বহুদিন আমার এ হৃদয়কে অবরোধ ক’রে রয়ে গেছে;
হেমন্তের স্তব্ধতায় পুনরায় করে অধিকার ।
কোথায় বিদেশে যেন
এক তিল অধিক প্রবীণ এক নীলিমার পারে
তাহাকে দেখিনি আমি ভালো ক’রে -তবু মহিলার
মনন-নিবিড় প্রাণ কখন আমার চোখঠারে
চোখ রেখে ব’লে গিয়েছিল :
‘সময়ের গ্রন্থি সনাতন, তবু সময়ও তা বেঁধে দিতে পারে?’

বিবর্ণ জড়িত এক ঘর;
কী ক’রে প্রাসাদ তাকে বলি আমি?
অনেক ফাটল নোনা আরসোলা কৃকলাস দেয়ালের ՚পর
ফ্রেমের ভিতরে ছবি খেয়ে ফেলে অনুরাধাপুর -ইলোরার;
মাতিসের -সেজানের - পিকাসোর;
অথবা কিসের ছবি? কিসের ছবির হাড়গোড়?

কেবল আধেক ছায়া -
ছায়ায় আশ্চর্য সব বৃত্তের পরিধি রয়ে গেছে ।
কেউ দেখে -কেউ তাহা দেখে নাকো -আমি দেখি নাই।
তবু তার অবলঙ কালো টেবিলের পাশে আধাআধি চাঁদনীর রাতে
‍মনে পড়ে আমিও বসেছি একদিন ।
কোথাকার মহিলা সে? কবেকার? -ভারতী নর্ডিক গ্রিক মুশ্লিম মার্কিন?
অথবা সময় তাকে শনাক্ত করে না আর;
সর্বদাই তাকে ঘিরে আধো-অন্ধকার;
চেয়ে থাকি -তবুও সে পৃথিবীর ভাষা ছেড়ে পরিভাষাহীন।
মনে পড়ে সেখানে উঠোনে এক দেবদারু গাছ ছিল।
তারপর সূর্যালোকে ফিরে এসে মনে হয় এইসব দেবদারু নয়।
সেই খানে তম্বুরার শব্দ ছিল ।
পৃথিবীতে দুন্দুভি বেজে ওঠে -বেজে ওঠে; সুর তান লয়
গান আছে পৃথিবীতে জানি, তবু গানের হৃদয় নেই।
একদিন রাত্রি এসে সকলের ঘুমের ভিতরে
আমাকে একাকী জেনে ডেকে নিল―অন্য এক ব্যবহারে
মাইলটাক দূরে পুরোপুরি।
সবি আছে -খুব কাছে; গোলকধাঁধার পথে ঘুরি
তবুও অনন্ত মাইল তারপর -কোথাও কিছুই নেই ব’লে।
অনেক আগের কথা এইসব -এই
সময় বৃত্তের মতো গোল ভেবে চুরুটের আস্ফোটে জানুহীন, মলিন সমাজ
সেই দিকে অগ্রসর হয় রোজ -একদিন সেই দেশ পাবে ।
সেই নারী নেই আর ভুলে তারা শতাব্দীর অন্ধকার ব্যসনে ফুরাবে ।



নির্জন স্বাক্ষর

  - জীবনানন্দ দাশ

 তুমি তা জান না কিছু, না জানিলে -
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক'রে!
যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তের ঝড়ে,
পথের পাতার মতো তুমিও তখন
আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে?
অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
সেদিন তোমার!
তোমার এ জীবনের ধার
ক্ষয়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই! -
শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে!
আমি ঝরে যাব, তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধরে সেইদিন পৃথিবীর ’পরে -
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে!
রয়েছি সবুজ মাঠে - ঘাসে -
আকাশ ছড়ায়ে আছে নীল হয়ে আকাশে-আকাশে;
জীবনের রঙ তবু ফলানো কি হয়
এইসব ছুঁয়ে ছেনে!—সে এক বিস্ময়
পৃথিবীতে নাই তাহা - আকাশেও নাই তার স্থল -
চেনে নাই তারে অই সমুদ্রের জল!
রাতে রাতে হেঁটে হেঁটে নক্ষত্রের সনে
তারে আমি পাই নাই; কোনো এক মানুষীর মনে!
কোনো এক মানুষের তরে যে জিনিস বেঁচে থাকে হৃদয়ের গভীর গহ্বরে!
নক্ষত্রের চেয়ে আরো নিঃশব্দ আসনে
কোনো এক মানুষের তরে এক মানুষীর মনে!
একবার কথা ক’য়ে দেশ আর দিকের দেবতা
বোবা হয়ে পড়ে থাকে - ভুলে যায় কথা!
যে-আগুন উঠেছিল তাদের চোখের তলে জ্ব’লে
নিভে যায় - ডুবে যায় - তারা যায় স্খ’লে -
নতুন আকাঙ্খা আসে—চলে আসে নতুন সময়—
পুরানো সে নক্ষত্রের দিন শেষ হয়,
নতুনেরা আসিতেছে ব’লে! -
আমার বুকের থেকে তবুও কি পড়িয়াছে স্খলে
কোনো এক মানুষীর তরে
যেই প্রেম জ্বালায়েছি পুরোহিত হয়ে তার বুকের উপরে!
আমি সেই পুরোহিত -সেই পুরোহিত!—
যে নক্ষত্র মরে যায়, তাহার বুকের শীত
লাগিতেছে আমার শরীরে -
যেই তারা জেগে আছে, তার দিকে ফিরে
তুমি আছো জেগে -
যে আকাশ জ্বলিতেছে, তার মতো মনের আবেগে
জেগে আছো -জানিয়াছো তুমি এক নিশ্চয়তা - হয়েছো নিশ্চয়!
হয়ে যায় আকাশের তলে কত আলো -কত আগুনের ক্ষয়;
কতবার বর্তমান হয়ে গেছে ব্যথিত অতীত -
তবুও তোমার বুকে লাগে নাই শীত
যে নক্ষত্র ঝরে যায় তার! যে পৃথিবী জেগে আছে, তার ঘাস -আকাশ তোমার!
জীবনের স্বাদ লয়ে জেগে আছো—তবুও মৃত্যুর ব্যথা দিতে
পার তুমি; তোমার আকাশে তুমি উষ্ণ হয়ে আছো, তবু -
বাহিরের আকাশের শীতে
নক্ষত্রের হইতেছে ক্ষয়,
নক্ষত্রের মতন হৃদয়
পড়িতেছে ঝ’রে -
ক্লান্ত হয়ে -শিশিরের মতো শব্দ ক’রে!
জাননাকো তুমি তার স্বাদ,
তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অবাধ,
জীবন অগাধ!
হেমন্তের ঝড়ে আমি ঝরিব যখন -
পথের পাতার মতো তুমিও তখন
আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে? - অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
সেদিন তোমার!
তোমার আকাশ - আলো - জীবনের ধার
ক্ষয়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই! শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে!
আমি চলে যাবো - তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধরে সেই দিন পৃথিবীর ’পরে;—
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক'রে!


সিন্ধুসারস

   - জীবনানন্দ দাশ

 দু-এক মুহূর্ত শুধু রৌদ্রের সিন্ধুর কোলে তুমি আর আমি
হে সিন্ধুসারস,
মালাবার পাহাড়ের কোল ছেড়ে অতি দূর তরঙ্গের জানালায় নামি
নাচিতেছ টারান্‌টেলা - রহস্যের ; আমি এই সমুদ্রের পারে চুপে থামি
চেয়ে দেখি বরফের মতো শাদা রৌদ্র, সবুজ ঘাসের মত প্রাণ
শৈলের গহ্বর থেকে অন্ধকার তরঙ্গেরে করিছে আহ্বান।

জানো কি অনেক যুগ চলে গেছে ? মরে গেছে অনেক নৃপতি ?
অনেক সোনার ধান ঝরে গেছে জানো না কি ? অনেক গহন ক্ষতি

আমাদের ক্লান্ত করে দিয়ে - হারায়েছি আনন্দের গতি;
ইচ্ছা, চিন্তা, স্বপ্ন, ব্যথা, ভবিষ্যৎ, বর্তমান, এই বর্তমান
হৃদয়ে বিরস গান গাহিতেছে আমাদের—বেদনার আমরা সন্তান?
জানি পাখি, শাদা পাখি, মালাবার ফেনার সন্তান,
তুমি পিছে চাহো নাকো, তোমার অতীত নেই, স্মৃতি নেই,
বুকে নেই আকীর্ণ ধূসর
পাণ্ডুলিপি; পৃথিবীর পাখিদের মতো নেই শীতরাতে
ব্যথা আর কুয়াশার ঘর।
যে রক্ত ঝরেছে তারে স্বপ্নে বেঁধে কল্পনার নিঃসঙ্গ প্রভাত
নেই তব; নেই নিন্মভুমি- নেই আনন্দের অন্তরালে
প্রশ্ন আর চিন্তার আঘাত।
স্বপ্ন তুমি দেখ নি তো - পৃথিবীর সব পথ সব সিন্ধু ছেড়ে দিয়ে একা
বিপরীত দ্বীপে দূরে মায়াবীর আরশিতে হয় শুধু দেখা
রূপসীর সাথে এক ; সন্ধ্যার নদির ঢেউয়ে আসন্ন গল্পের মতো রেখা
প্রাণে তার - ম্লান চুল, চোখ তার হিজল বনের মতো কালো ;
একবার স্বপ্নে তারে দেখে ফেলে পৃথিবীর সব স্পষ্ট আলো
নিভে গেছে; যেখানে সোনার মধু ফুরায়েছে, করে না বুনন
মাছি আর ; হলুদ পাতার গন্ধে ভরে ওঠে অবিচল শালিকের মন
মেঘের দুপুর ভাসে - সোনালি চিলের বুক হয় উন্মন
মেঘের দুপুরে, আহা, ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে;
সেখানে আকাশে কেউ নেই আর, নেই আর পৃথিবীর ঘাসে।

তুমি সেই নিস্তব্ধতা চেনো নাকো; অথবা রক্তের পথে
পৃথিবীর ধূলির ভিতরে
জানো নাকো আজও কাঞ্চী বিদিশার মুখশ্রী মাছির মতো ঝরে;
সৌন্দর্য রাখিছে হাত অন্ধকার ক্ষুধার বিবরে;
গভীর নিলাভতম ইচ্ছা চেষ্টা মানুষের - ইন্দ্রধনু ধরিবার ক্লান্ত আয়োজন
হেমন্তের কুয়াশায় ফুরাতেছে অল্পপ্রাণ দিনের মতন।

এই সব জানোনাকো প্রবালপঞ্জর ঘিরে ডানার উল্লাসে;
রৌদ্রে ঝিলমিল করে শাদা ডানা, শাদা ফেনা-শিশুদের পাশে
হেলিওট্রোপের মতো দুপুরের অসীম আকাশে!
ঝিকমিক করে রৌদ্রে বরফের মতো শাদা ডানা,
যদিও এ পৃথিবীর স্বপ্ন চিন্তা সব তার অচেনা অজানা।

চঞ্চল শরের নীড়ে কবে তুমি - জন্ম তুমি নিয়েছিলে কবে,
বিষণ্ণ পৃথিবী ছেড়ে দলে দলে নেমেছিলে সবে
আরব সমুদ্রে, আর চীনের সাগরে -দূর ভারতের সিন্ধুর উৎসবে।
শীতার্ত এ পৃথিবীর আমরণ চেষ্টা ক্লান্তি বিহ্বলতা ছিঁড়ে
নেমেছিলে কবে নীল সমুদ্রের নীড়ে।

ধানের রসের গল্প পৃথিবীর - পৃথিবীর নরম অঘ্রান
পৃথিবীর শঙ্খমালা নারী সেই—আর তার প্রেমিকের ম্লান
নিঃসঙ্গ মুখের রুপ, বিশুস্ক তৃণের মতো প্রাণ,
জানিবে না, কোনোদিন জানিবে না ; কলরব ক’রে উড়ে যায়
শত স্নিগ্ধ সূর্য ওরা শাশ্বত সূর্যের তিব্রতায়।

Tuesday, August 18, 2015

ইউটিলিটি সফটওয়্যার Winutilities


আপনার কম্পিউটার এর জন্য অতি দরকারি ইউটিলিটি সফটওয়্যার Winutilities.



ভিডিওতে দেখুন কিভাবে ব্যবহার করতে হয় ।



 Winutilities প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহঃ 


১.খুব দ্রুততার সাথে কম্পিউটারে কাজ করে
২.যে জান্ক ফাইল গুলো কম্পিউটারের পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয় সেগুলোকে সহজেই মুছে   দিতে পারে
২.উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি স্কেন করে ও ভুল রেজিস্ট্রি মুছে পিসির গতি বৃদ্ধি করে
৩.ডাটা বা ফাইলকে সুরিক্ষিত রাখা যায়,চুরির হাত হতে রক্ষা করা যায়
৪.যে কোন উইন্ডোজ.exe ফাইলকে পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রোটেক্টেড করা যায়
৫. হার্ডডিস্ক ram সহ সকল মেমোরি ইউনিটকে অপটিমাইজ করা যায়
৬.ডুপ্লিকেট ফাইল খুজে বের করে ডিলিট করে ডিস্ক স্পেস বাড়ানো যায়
৭.কম্পিউটারে ইনস্টল থাকা যে কোন প্রোগ্রাম আনইষ্টল করা  করা যায়যেগুলা অনেক সময় ন্ট্রোল প্যানেলের আনইষ্টলারের সাহায্যে করা যায় না
এক নজরে হার্ডওয়্যারের বিস্তারিত জানা যায় ও চেক করা যায়
,গুরোত্বপূর্ণ উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি ব্যাকাপ এবং রিস্টোর করা যায়
১০.কম্পিউটার লগ-অফ, হাইবারনেটের, শাট-ডাউন অথবা স্ট্যান্ডবাই জন্য শিডিউল টাইম সেট করা যায়





Monday, August 17, 2015

পানিকে পানযোগ্য করার বই আবিষ্কার !


পানিকে পানযোগ্য করার বই আবিষ্কার

পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তার জন্য একজন রসায়নবিদ ও একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের যৌথ প্রয়াসে তৈরি করা হয়েছে একটি পানযোগ্য বই। এর প্রতিটি পাতায় রয়েছে সিলভার ন্যানোপার্টিকল বা রুপার অতি ক্ষুদ্র কণার আবরণ, যা দূষিত পানি থেকে সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে। এটি খুব সাশ্রয়ী।স্কুলগামী শিশুদের কথা ভাবার সময় আমরা কল্পনায় দেখতে পাই, তারা খাবারের বাক্স বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা দূষিত পানি নিয়ে যাচ্ছে, এমন কথা আমরা নিশ্চয়ই ভাবতে চাই না। কিন্তু ঘানার টোলন ও কুমবুঙ্গু জেলায় সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপারটাই ঘটছে, জানালেন ইদ্রিস আবদুল আজিজ বোয়ার। তিনি দেশটিতে ওয়াটারইজলাইফ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। ইদ্রিস আরও বলেন, ওই দুই জেলার প্রতি ১০টি শিশুর আটজনই স্কুলে দূষিত পানি পান করে। ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। তৃষ্ণা মেটাতেই তারা দূষিত পানি পান করে। স্বাস্থে্যর কী ক্ষতি হবে, তা ভাবার অবকাশ কোথায়!

Sunday, August 16, 2015

৫০০ বছরের পূরানো মোঘল সম্রাট আকবরের আমলের স্বর্ণখচিত আল কোরআন উদ্ধার !



প্রায় ৫০০ বছর আগের স্বর্ণখচিত কোরআন পাওয়া গেছে করেছে ভারতের মহীশুরে। এই খণ্ডটিতে মোট ৬০৪টি পৃষ্ঠা রয়েছে। যার সবগুলো পৃষ্ঠাই স্বর্ণখচিত। ধারণা করা হচ্ছে, পবিত্র কোরআনের খণ্ডটি মোঘল সম্রাট আকবরের আমলের। সে হিসেবে প্রায় ৫০০ বছর বয়স হবে এই গ্রন্থের। 
     ভারতের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শেখ আলী বলেন, পবিত্র কোরআনের কপিটি তুর্কি জাদুঘরে সংরক্ষিত কোরআনের প্রাচীন কপিটির চেয়েও পুরোনো। তাঁর মতে, ১০৫০ সাল থেকে ১৬০৫ সালের মধ্যে এটি লেখা হয়েছিল। গ্রন্থটি সম্ভবত তুরস্ক কিংবা আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মহীশূরের পুলিশ কর্মকর্তা অভিনব খারে জানান, ‘চোরাকারবারিদের একটি দল প্রাচীন এই গ্রন্থটি পাঁচ কোটি রুপির বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করছিল। তারা দাবি করছিল, কোরআনটি সম্রাট আকবরের। এর সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।ওই চক্রটির মূল হোতার নাম সনাথ। তার কাছেই কোরআনের স্বর্ণখচিত কপিটি ছিল। তার নেতৃত্বে দুর্বৃত্ত দলটি সম্ভাব্য ক্রেতাদের মোবাইলে এই গ্রন্থের ছবি দেখিয়ে তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারা বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে।

Saturday, August 15, 2015

ছোট গল্প “বউ ভাগ্য''



ছোট প্রাণ ছোট ব্যাথা,
ছোট ছোট দুঃখ কথা,
নিতান্তই সহজ সরল।
সহস্র বিস্রিত রাশি,
প্রত্যহ যেতেছে ভাসি,
তার- দু-চারটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা,
ঘটনার ঘনঘটা,
নাহি তত্ব, নাহি উপদেশ।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে,
সাঙ্গ করি মনে হবে,
শেষ হইয়াও হইল-না শেষ।।
…………
বউ ভাগ্য !
...............
মি: আরিয়ান মন্ত্রনালয়ের গুরুত্বপূর্ন সেকশনের দায়িত্বে ছিলেন তার বেতন ছাড়াও উপরি আয় ভাল ছিল। সমাজে কেতা দূরস্ত ভাবে চলা ফেরায় তার কোন সমস্যা হতো না।একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে মি: আরিয়ান মিস মিথিলাকে দেখতে পান।মিস মিথিলা দেখতে খুব সুন্দরী,স্মার্ট, লাস্যময়ী ,মিস মিথিলাকে দেখে মি: আরিয়ান মুগ্ধ হয়ে গেলেন।অনুষ্ঠানে মিস মিথিলা ছিল সকলের মধ্যমণি, তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন সবাই তার রূপের প্রশংসা করছিলেন।তাকে দেখতে অভিজাত শ্রেনীর ললনা বলে মনে হচ্ছিল
মি: আরিয়ান সুন্দরী মিথিলাকে বিয়ের অভিপ্রায় প্রকাশ করলেন।সবাই বললো মি: আরিয়ানের সাথে মিস মিথিলার বিয়ে হলে,সুন্দর মানাবে, তারা সুখী হবেন।
মহা ধূমধামের সাথে মি: আরিয়ানের সাথে মিস মিখিলার বিয়ে হয়ে গেল।বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক নামীদামী লোকজন উপস্থিত ছিলেন সবাই মিথিলার রূপের প্রশংসা করলেন।আমন্ত্রীত গণ্যমান্য অতিথিগণ মি: আরিয়ানের বউ ভাগ্যের তারিফ করলেন

Friday, August 14, 2015

Adsense The People!

Adsense The People!

Introducing the service!
Pride is the root for demise!
The onslaught of passion!
 Possible attempts!

Wednesday, August 12, 2015

Adsense:  Adsense for Livelihood  !Everything leads to theF...

Adsense:  Adsense for Livelihood  !Everything leads to theF...:   Adsense for Livelihood  ! Everything leads to the Formalin leads vegetables Money Leads People come up with the money before the ma...

Monday, August 10, 2015

I was silly to you?

I was silly to you?

I was silly to you?
 So the wise
With regard to fool us into poverty
He was wealthy and wise!
Knowledge is a sinner!?
He does not touch the real sense?
He did not earn happiness, suffering,
He found happiness in heaven earn sins.
The other sinners!
As soon as this poor sinner?
He is rich, powerful and influential,
And some want to beg his mercy !!
Not for happiness,
For our survival.
Where is happiness?
There is no happiness ..
Therefore, there is no person of happiness ..
I am happy because we are going to be found
And he went to look for happiness
Every tyrant in his own country
Oppressor and oppressed,
The oppression of the tyrant
The state will become a tyrant?
So happiness outside ..
Mad ...
Because
  All happy to live with the happiness of the people.

Saturday, August 8, 2015

Adsense



Adsense is the cock fight !

Friday, August 7, 2015

Adsense


Elephant foot poor house !
 গরীবের বাড়ী হাতীর পা!

The name of the white poison milk!

                  The name of the white poison milk! 

Three of our diet, "white poison 'there.
 These include:
Salt,
 Refined sugar
Flour.
The fourth is the name of the poison milk is very nutritious as well.
However, milk is not authentic,
This kind of material is mixed in the milk market,
Of course, the milk-white poison.
Knowing or not knowing a lot of adulterated milk harmful components are mixed.
Mixed with adulterated man have no idea about the loss of life.
 Initially, the buyer can not detect adulteration.
During the large-scale adulteration of milk containers are depicted in the commercial.
 This process reduces the amount of milk and cream are removed.
 The buyer may not understand it, for it is mixed with water.
 Taste, density and viscosity to maintain a more mixed
Formalin,

  Urea,

  Starch,

neutralizar

Chloride,

  skimmed milk powder,

  Sucrose, glucose / dextrose and

  hydrogen peroxide.
Milk producing country in the world is an Indian.
Most of the marketing of adulterated milk.
  Mix the milk detergent harmful to health.
  The market for detergents has been found in the milk of 8 percent.
  Other widely used in the adulteration of the material
Urea,
Starch,
  Glucose and
  Formalin.
All samples were collected in 1791 from the Indian market adulterated samples were found.
Such material can impair the body's various organs.
  Milk may be the cause of death from cancer.
Milk nutritious food.
  But if it is adulterated undoubtedly be characterized as a white poison.
 
-Internet

Adsense(শুভ বিবাহ )




শুভ বিবাহ !
আনন্দের বিবাহ !!
-:আগের জমানা :-
বাপ ঘটক লাগাইয়া ছেড়ির বালা  বিয়ার সম্মন্ধ খুঁজিতে পেরেশান !

ছেড়ি একদা অভিমানে কাইন্দা চোখ ফুলাইয়া বাপ মায়েরে 

কইতো তোমরা আমারে করতে চাও পর !?


Thursday, August 6, 2015

পাগলী !



পাগলী !

আমার দেখা যতোগুলা পাগলী দেখলাম
সবগুলাকে দেখলাম সারাদিন ঘোরে বেড়াচ্ছে
মুখে আবোতাবোল বলছে
যাকে ইচ্ছা তাকে গালিগালাজ করছে
এখানে সেখানে ছুটে যাচ্ছে দোড়ে যাচ্ছে
এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে শহরে গঞ্জে চলে যাচ্ছে..
আশ্চর্যের বিষয় ক্লান্তি ব্যাপারটা এদের মধ্যে অনুপস্থিত পরিলক্ষিত হয়
এদের কোন দায়িত্বশীল চিন্তা নেই বলেই কি ক্লান্তি হীন চলাফেরা ?

প্রশ্ন রইলো যে..
পাগলীরা এতো চঞ্চল আর ক্লান্তিহীন হয় কিভাবে ?

 Madwoman  !

I had seen the madwoman yatogulaThroughout the day I walk down the sabagulakeAccording to the abotabolaWhom are abuseDore is rushing here and thereIn cities and towns away from one village to another ..Strangely missing in the fatigue phenomenon is observed.Because they do not have to worry any responsible shabby movement fatigue?

The question that remains ..Pagalira so restless and tireless, how?




Adsense



অন লাইনে আয়ের উপলক্ষ হলো গুগল এড সেন্স ।
এই এড সেন্স  মাধ্যমে আয় করা যায় ভালো ব্লগ লেখতে পারলে ।
আবার  দেশের নামকরা ব্লগাররা হতাহতের শিকার হচ্ছেন !

ব্লগ লেখতে গেলে লেখা কপি/পেষ্ট করা যাবে না !
ইউনিক লেখা হতে হবে !
এই ইউনিক লেখার জন্য ই কি তারা ধর্মকে বিশেষ করে ইসলাম কে বেচে নিয়েছেন?
অথবা ইসলামবিরোধী ব্লগ লিখায় পশ্চিমারা বেশী পছন্দ করেন ?
কিন্তু তারা ভুলে যান কেন দেশে একটা সমাজ আছে পরিবেশ আছে !
এই সমাজ এই দেশে তাদের ব্লগের লেখা গুলো গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে !
তবুও এমন মর্মান্তিক হত্যা কেন ?
দেশে আইনের শাসন নেই বলে ?





Wednesday, August 5, 2015

নৌকা ভ্রমন



নদী মাতৃক বাংলাদেশে নৌকা ভ্রমন অরামদায়ক।যদিও এতে সময় বেশী ব্যয় হয় । নৌকা ভ্রমন আরাম দায়ক হলেও শতভাগ নিরাপদ নয় । সহসা ঝড় মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় ।যা হৃদয় বিদারক ঘটনার জন্ম দেয়।

The river boat tour comfortable  . time to spend more than maternal. Although it is not a safe comfortable boat tour. .which Heart-rending human life takes a sudden storm which led to the incident.

Tuesday, August 4, 2015

এই সাইটটি এডসেন্স সম্পর্কীত



এই সাইটটি  এডসেন্স সম্পর্কীত ।
সাইটটি প্রতিদিন আপগ্রেট হবে।
সাইটটি এডসেন্স এর টিপস ও ট্রিকস সম্পর্কীত হবে।

Thursday, August 20, 2015

জীবনানন্দ দাশের ভালোবাসার কবিতা



















বনলতা সেন

- জীবনানন্দ দাশ


হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল-সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয়-সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরও দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর
হাল ভেঙ্গে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'
পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মত
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পান্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে - সব নদী - ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন

লোকেন বোসের জর্নাল

 - জীবনানন্দ দাশ
 
সুজাতাকে ভালোবাসাতাম আমি -
এখন কি ভালোবাসি?
সেটা অবসরে ভাববার কথা,
অবসর তবু নেই;
তবু একদিন হেমন্ত এলে অবকাশ পাওয়া যাবে;
এখন শেল্‌ফে চার্বাক ফ্রয়েড প্লেটো পাভলভ ভাবে
সুজাতাকে আমি ভালোবাসি কিনা।

পুরোনো চিঠির ফাইল কিছু আছে:
সুজাতা লিখেছে আমার কাছে,
বারো তেরো কুড়ি বছর আগের সে-সব কথা;
ফাইল নাড়া কী যে মিহি কেরানির কাজ;
নাড়বো না আমি,
নেড়ে কার কী সে লাভ;
মনে হয় যেন অমিতা সেনের সাথে সুবলের ভাব,
সুবলেরই শুধু? অবশ্য আমি
তাকে মানে -এই অমি তা বলছি যাকে -
কিন্তু কথাটা থাক;
কিন্তু তবুও-
আজকে হৃদয় পথিক নয় তো আর,
নারী যদি মৃগতৃষ্ণার মতো - তবে
এখন কী করে মন ক্যারাভান হবে।

প্রৌঢ় হৃদয়, তুমি
সেই সব মৃগতৃষ্ণিকাতালে ঈষৎ সিমুমে

 হয়তো কখনো বৈতাল মরুভূমি,
হৃদয়, হৃদয় তুমি!
তারপর তুমি নিজের ভিতরে এসে তবু চুপে
মরীচিকা জয় করেছ বিনয়ী যে ভীষণ নামরূপেে -
সেখানে বালির সৎ নীরবতা ধু ধু
প্রেম নয় তবু প্রেমেরই মতন শুধু।

অমিতা সেনকে সুবল কি ভালোবাসে?
অমিতা নিজে কি তাকে?
অবসরমতো কথা ভাবা যাবে,
ঢের অবসর চাই;
দূর ব্রহ্মাণ্ডকে তিলে টেনে এনে সমাহিত হওয়া চাই;
এখুনি টেনিসে যেতে হবে তবু,
ফিরে এসে রাতে ক্লবে;
কখন সময় হবে।

হেমন্তে ঘাসে নীল ফুল ফোটে -
হৃদয় কেন যে কাঁপে,
“ভালোবাসতাম” - স্মৃতি - অঙ্গার - পাপে
তর্কিত কেন রয়েছে বর্তমান।
সে-ও কি আমায় -সুজাতা আমায় ভালোবেসে ফেলেছিল।
আজও ভালোবাসে না কি?
ইলেক্‌ট্রনেরা নিজ দোষগুণে বলয়িত হয়ে রবে;
কোনো অন্তিম ক্ষালিত আকাশে এর উত্তর হবে?

সুজাতা এখন ভুবনেশ্বরে;
অমিতা কি মিহিজামে?
বহুদিন থেকে ঠিকানা না জেনে ভালোই হয়েছে-সবই।
ঘাসের ভিতরে নীল শাদা ফুল ফোটে হেমন্তরাগে;
সময়ের এই স্থির এক দিক,
তবু স্থিরতর নয়;
প্রতিটি দিনের নতুন জীবাণু আবার স্থাপিত হয়। 


 আমাকে একটি কথা দাও

 - জীবনানন্দ দাশ

আমাকে একটি কথা দাও যা আকাশের মতো
সহজ মহৎ বিশাল,
গভীর; - সমস্ত ক্লান্ত হতাহত গৃহবলিভুকদের রক্তে
মলিন ইতিহাসের অন্তর ধুয়ে চেনা হাতের মতন,
আমি যাকে আবহমান কাল ভালোবেসে এসেছি সেই নারীর।
সেই রাত্রির নক্ষত্রালোকিত নিবিড় বাতাসের মতো:
সেই দিনের - আলোর অন্তহীন এঞ্জিন চঞ্চল ডানার মতন
সেই উজ্জ্বল পাখিনীর - পাখির সমস্ত পিপাসাকে যে
অগ্নির মতো প্রদীপ্ত দেখে অন্তিম শরীরিণী মোমের মতন।


 নির্জন স্বাক্ষর

  - জীবনানন্দ দাশ
 

তুমি তো জানো না কিছু - না জানিলে,
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে;
যখন ঝরিয়া যাবো হেমন্তের ঝড়ে -
পথের পাতার মতো তুমিও তখন
আমার বুকের 'পরে শুয়ে রবে?
অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
সেদিন তোমার!
তোমার এ জীবনের ধার
ক্ষ'য়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের 'পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই;
শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে?
আমি ঝ'রে যাবো - তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধ'রে সেদিন পৃথিবীর 'পরে,
- আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।


 কুড়ি বছর পরে

   - জীবনানন্দ দাশ

আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি।
আবার বছর কুড়ি পরে–
হয়তো ধানের ছড়ার পাশে কার্তিকের মাসে–
তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে–তখন হলুদ নদী
নরম নরম হয় শর কাশ হোগলায়–মাঠের ভিতরে।

অথবা নাইকো ধান ক্ষেতে আর;
ব্যস্ততা নাইকো আর,
হাঁসের নীড়ের থেকে খড়
পাখির নীরের থেকে খড় ছড়াতেছে;
মনিয়ার ঘরে রাত, শীত, আর শিশিরের জল।

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার–
তখন হঠাৎ যদি মেঠো পথে পাই আমি তোমারে আবার।

হয়তো এসেছে চাঁদ মাঝরাতে একরাশ পাতার পিছনে
সরু সরু কালো কালো ডালপালা মুখে নিয়ে তার,
শিরীষের অথবা জামের,
ঝাউয়ের–আমের;
কুড়ি বছরের পরে তখন তোমারে নাই মনে!

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার–
তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার-আমার!

তখন হয়তো মাঠে হামাগুড়ি দিয়ে পেঁচা নামে–
বাবলার গলির অন্ধকারে
অশথের জানালার ফাঁকে
কোথায় লুকায় আপনাকে।
চোখের পাতার মতো নেমে চুপি কোথায় চিলের ডানা থামে–

সোনালি সোনালি চিল–শিশির শিকার করে নিয়ে গেছে তারে–
কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে।


যাত্রী

   - জীবনানন্দ দাশ

 মনে হয় প্রাণ এক দূর স্বচ্ছ সাগরের কূলে
জন্ম নিয়েছিলো কবে;
পিছে মৃত্যুহীন জন্মহীন চিহ্নহীন
কুয়াশার যে ইঙ্গিত ছিলো --
সেই সব ধীরে ধীরে ভুলে গিয়ে অন্য এক মানে
পেয়েছিলো এখানে ভূমিষ্ঠ হয়ে -- আলো জল আকাশের টানে;
কেন যেন কাকে ভালোবেসে!




তবু 


   - জীবনানন্দ দাশ

সে অনেক রাজনীতি রুগ্ন নীতি মারী
মন্বন্তর যুদ্ধ ঋণ সময়ের থেকে
উঠে এসে এই পৃথিবীর পথে আড়াই হাজার
বছরে বয়সী আমি;
বুদ্ধকে স্বচক্ষে মহানির্বাণের আশ্চর্য শান্তিতে
চলে যেতে দেখে - তবু - অবিরল অশান্তির দীপ্তি ভিক্ষা ক’রে
এখানে তোমার কাছে দাঁড়ায়ে রয়েছি;
আজ ভোরে বাংলার তেরোশো চুয়ান্ন সাল এই
কোথাও নদীর জলে নিজেকে গণনা করে নিতে ভুলে গিয়ে
আগামী লোকের দিকে অগ্রসর হয়ে যায়; আমি
তবুও নিজেকে রোধ করে আজ থেমে যেতে চাই
তোমার জ্যোতির কাছে; আড়াই হাজার
বছর তা হলে আজ এইখানেই শেষ হয়ে গেছে।

নদীর জলের পথে মাছরাঙা ডানা বাড়াতেই
আলো ঠিকরায়ে গেছে -যারা পথে চলে যায় তাদের হৃদয়ে;
সৃষ্টির প্রথম আলোর কাছে; আহা,
অন্তিম আভার কাছে; জীবনের যতিহীন প্রগতিশীলতা
নিখিলের স্মরণীয় সত্য বলে প্রমাণিত হয়ে গেছে; দেখ
পাখি চলে, তারা চলে, সূর্য মেঘে জ্বলে যায়, আমি
তবুও মধ্যম পথে দাঁড়ায়ে রয়েছি -তুমি দাঁড়াতে বলো নি।
আমাকে দেখ নি তুমি; দেখাবার মতো
অপব্যয়ী কল্পনার ইন্দ্রত্বের আসনে আমাকে
বসালে চকিত হয়ে দেখে যেতে যদি -তবু, সে আসনে আমি
যুগে যুগে সাময়িক শত্রুদের বসিয়েছি, নারি,
ভালোবেসে ধ্বংস হয়ে গ্যাছে তারা সব।
এ রকম অন্তহীন পটভূমিকায় - প্রেমে -
নতুন ঈশ্বরদের বারবার লুপ্ত হতে দেখে
আমারও হৃদয় থেকে তরুণতা হারিয়ে গিয়েছে;
অথচ নবীন তুমি।
নারি, তুমি সকালের জল উজ্জ্বলতা ছাড়া পৃথিবীর কোন নদীকেই
বিকেলে অপর ঢেউয়ে খরশান হতে
দিতে ভুলে গিয়েছিলে; রাতের প্রখর জলে নিয়তির দিকে
বহে যেতে দিতে মনে ছিলো কি তোমার?
এখনও কি মনে নেই?

আজ এই পৃথিবীর অন্ধকারে মানুষের হৃদয়ে বিশ্বাস
কেবলই শিথিল হয়ে যায়; তবু তুমি
সেই শিথিলতা নও, জানি, তবু ইতিহাসরীতিপ্রতিভার
মুখোমুখি আবছায়া দেয়ালের মতো নীল আকাশের দিকে
উর্ধ্বে উঠে যেতে চেয়ে তুমি
আমাদের দেশে কোনো তুমি বিশ্বাসের দীর্ঘ তরু নও।

তবু
কী যে উদয়ের সাগরের প্রতিবিম্ব জ্বলে ওঠে রোদ!
উদয় সমাপ্ত হয়ে গেছে নাকি সে অনেক আগে?
কোথাও বাতাস নেই, তবু
মর্মরিত হয়ে ওঠে উদয়ের সমুদ্রের পারে।
কোনো পাখি
কালের ফোকরে আজ নেই, তবু, নব সৃষ্টিমরালের মতো কলস্বরে
কেন কথা বলি; কোনো নারী
নেই, তবু আকাশহংসীর কণ্ঠে ভোরের সাগর উতরোল।


অন্য প্রেমিককে

 - জীবনানন্দ দাশ

মাছরাঙা চ'লে গেছে - আজ নয় কবেকার কথা;
তারপর বারবার ফিরে এসে দৃশ্যে উজ্জল।
দিতে চেয়ে মানুষের অবহেলা উপেক্ষায় হ'য়ে গেছে ক্ষয়;
বেদনা পেয়েছে তবু মানুষের নিজেরও হৃদয়
প্রকৃতির অনির্বচনীয় সব চিহ্ন থেকে দু' চোখ ফিরিয়ে;
বুদ্ধি আর লালসার সাধনাকে সব চেয়ে বড় ভেবে নিয়ে।

মাছরাঙা চ'লে গেছে --আজ নয় কবেকার কথা;
তারপর বারবার ফিরে এসে ডানাপালকের উজ্জলতা
ক্ষয় ক'রে তারপর হয়ে গেছে ক্ষয়।
মাছরাঙা মানুষের মতো সূর্য নয়?
কাজ করে কথা ব'লে চিন্তা করে চলেছে মানব;
যদিও সে শ্রেষ্ঠ চিন্তা সারাদিন চিন্তানাশা সাগরের জলে
ডুবে গিয়ে নিঃশব্দতা ছাড়া আর অন্য কিছু বলে?


 সে

  - জীবনানন্দ দাশ

আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে;
বলেছিলো: 'এ নদীর জল
তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল:
সব ক্লান্তি রক্তের থেকে
স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি;
এই নদী তুমি।'

'এর নাম ধানসিঁড়ি বুঝি?'
মাছরাঙাদের বললাম;
গভীর মেয়েটি এসে দিয়েছিলো নাম।
আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি;
জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে
কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।

সময়ের অবিরল শাদা আর কালো
বনানীর বুক থেকে এসে
মাছ আর মন আর মাছরাঙাদের ভালোবেসে
ঢের আগে নারী এক - তবু চোখ ঝলসানো আলো
ভালোবেসে ষোলো আনা নাগরিক যদি
না হয়ে বরং হতো ধানসিঁড়ি নদী।


 সূর্য নক্ষত্র নারী

   - জীবনানন্দ দাশ

তোমার নিকট থেকে সর্বদাই বিদায়ের কথা ছিল
সব চেয়ে আগে; জানি আমি।
সে দিনও তোমার সাথে মুখ-চেনা হয় নাই।
তুমি যে এ পৃথিবীতে রয়ে গেছ
আমাকে বলে নি কেউ।
কোথাও জলকে ঘিরে পৃথিবীর অফুরান জল
রয়ে গেছে -
যে যার নিজের কাজে আছে, এই অনুভবে চ’লে
শিয়রে নিয়ত স্ফীত সূর্যকে চেনে তারা;
আকাশের সপ্রতিভ নক্ষত্রকে চিনে উদীচীর
কোনো জল কী করে অপর জল চিনে নেবে অন্য নির্ঝরের?
তবুও জীবন ছুঁয়ে গেলে তুমি;
আমার চোখের থেকে নিমেষনিহত
সূর্যকে সরায়ে দিয়ে।

স’রে যেত; তবুও আয়ুর দিন ফুরোবার আগে
নব নব সূর্যকে নারীর বদলে
ছেড়ে দেয়? কেন দেব? সকল প্রতীতি উৎসবের
চেয়ে তবু বড় স্থিরতর প্রিয় তুমি; - নিঃসূর্য নির্জন
করে দিতে এলে।
মিলন ও বিদায়ের প্রয়োজনে আমি যদি মিলিত হতাম
তোমার উৎসের সাথে, তবে আমি অন্য সব প্রেমিকের মতো
বিরাট পৃথিবী আর সুবিশাল সময়কে সেবা করে আত্মস্থ হতাম।
তুমি তা জানো না, তবু, আমি জানি, একবার তোমাকে দেখেছি—
পিছনের পটভূমিকায় সময়ের
শেষনাগ ছিল, নেই -বিজ্ঞানের ক্লান্ত নক্ষত্রেরা
নিভে যায় -মানুষ অপরিজ্ঞাত সে অমায়; তবুও তাদের একজন
গভীর মানুষী কেন নিজেকে চেনায়!
আহা, তাকে অন্ধকার অনন্তের মতো আমি জেনে নিয়ে, তবু,
অল্পায়ু রঙিন রৌদ্রে মানবের ইতিহাসে কে না জেনে কোথায় চলেছি!

দুই
চারি দিকে সৃজনের অন্ধকার রয়ে গেছে, নারি,
অবতীর্ণ শরীরের অনুভূতি ছাড়া আরো ভালো
কোথাও দ্বিতীয় সূর্য নেই, যা জ্বালালে
তোমার শরীর সব আলোকিত করে দিয়ে স্পষ্ট করে দেবে কোনো কালে
শরীরে যা রয়ে গেছে।
এইসব ঐশী কাল ভেঙে ফেলে দিয়ে
নতুন সময় গ’ড়ে নিজেকে না গ’ড়ে তবু তুমি
ব্রহ্মাণ্ডের অন্ধকারে একবার জন্মাবার হেতু
অনুভব করেছিল -
জন্ম-জন্মান্তরের মৃত স্মরণের সাঁকো
তোমার হৃদয় স্পর্শ করে ব’লে আজ
আমাকে ইশারাপাত করে গেলে তারই; -
অপার কালের স্রোত না পেলে কী ক’রে তবু, নারি,
তুচ্ছ, খণ্ড, অল্প সময়ের স্বত্ব কাটায়ে অঋনী তোমাকে কাছে পাবে -
তোমার নিবিড় নিজ চোখ এসে নিজের বিষয় নিয়ে যাবে?
সময়ের কক্ষ থেকে দূর কক্ষে চাবি
খুলে ফেলে তুমি অন্য সব মেয়েদের
আত্মঅন্তরঙ্গতার দান
দেখায়ে অনঙ্ককাল ভেঙে গেলে পরে,
যে দেশে নক্ষত্র নেই—কোথাও সময় নেই আর -
আমারও হৃদয় নেই বিভা -
দেখাবে নিজের হাতে -অবশেষে -কী মকরকেতনে প্রতিভা।

তিন

তুমি আছ জেনে আমি অন্ধকার ভালো ভেবে যে অতীত আর
যেই শীত ক্লান্তিহীন কাটায়েছিলাম,
তাই শুধু কাটায়েছি।
কাটায়ে জেনেছি এই-ই শূন্য,তবু হৃদয়ের কাছে ছিল অন্য-কোনো নাম।
অন্তহীন অপেক্ষার চেয়ে তবে ভালো
দ্বীপাতীত লক্ষ্যে অবিরাম চলে যাওয়া।
শোককে স্বীকার ক’রে অবশেষে তবে
নিমেষের শরীরের উজ্জ্বলায় অনন্তের জ্ঞানপাপ মুছে দিতে হবে।
আজ এই ধ্বংসমত্ত অন্ধকার ভেদ ক’রে বিদ্যুতের মতো
তুমি যে শরীর নিয়ে রয়ে গেছ, সেই কথা সময়ের মনে
জানাবার আধার কি একজন পুরুষের নির্জন শরীরে
একটি পালক শুধু -হৃদয়বিহীন সব অপার আলোকবর্ষ আলোকবর্ষ ঘিরে?
অধঃপতিত এই অসময়ে কে-বা সেই উপচার পুরুষমানুষ?—
ভাবি আমি—জানি আমি, তবু
সে কথা আমাকে জানাবার
হৃদয় আমার নেই -
যে-কোনো প্রেমিক আজ এখন আমার
দেহের প্রতিভূ হয়ে নিজের নারীকে নিয়ে পৃথিবীর পথে
একটি মুহূর্তে যদি আমার অনন্ত হয় মহিলার জ্যোতিষ্কজগতে। 


 অবরোধ

   - জীবনানন্দ দাশ
  
বহুদিন আমার এ হৃদয়কে অবরোধ ক’রে রয়ে গেছে;
হেমন্তের স্তব্ধতায় পুনরায় করে অধিকার ।
কোথায় বিদেশে যেন
এক তিল অধিক প্রবীণ এক নীলিমার পারে
তাহাকে দেখিনি আমি ভালো ক’রে -তবু মহিলার
মনন-নিবিড় প্রাণ কখন আমার চোখঠারে
চোখ রেখে ব’লে গিয়েছিল :
‘সময়ের গ্রন্থি সনাতন, তবু সময়ও তা বেঁধে দিতে পারে?’

বিবর্ণ জড়িত এক ঘর;
কী ক’রে প্রাসাদ তাকে বলি আমি?
অনেক ফাটল নোনা আরসোলা কৃকলাস দেয়ালের ՚পর
ফ্রেমের ভিতরে ছবি খেয়ে ফেলে অনুরাধাপুর -ইলোরার;
মাতিসের -সেজানের - পিকাসোর;
অথবা কিসের ছবি? কিসের ছবির হাড়গোড়?

কেবল আধেক ছায়া -
ছায়ায় আশ্চর্য সব বৃত্তের পরিধি রয়ে গেছে ।
কেউ দেখে -কেউ তাহা দেখে নাকো -আমি দেখি নাই।
তবু তার অবলঙ কালো টেবিলের পাশে আধাআধি চাঁদনীর রাতে
‍মনে পড়ে আমিও বসেছি একদিন ।
কোথাকার মহিলা সে? কবেকার? -ভারতী নর্ডিক গ্রিক মুশ্লিম মার্কিন?
অথবা সময় তাকে শনাক্ত করে না আর;
সর্বদাই তাকে ঘিরে আধো-অন্ধকার;
চেয়ে থাকি -তবুও সে পৃথিবীর ভাষা ছেড়ে পরিভাষাহীন।
মনে পড়ে সেখানে উঠোনে এক দেবদারু গাছ ছিল।
তারপর সূর্যালোকে ফিরে এসে মনে হয় এইসব দেবদারু নয়।
সেই খানে তম্বুরার শব্দ ছিল ।
পৃথিবীতে দুন্দুভি বেজে ওঠে -বেজে ওঠে; সুর তান লয়
গান আছে পৃথিবীতে জানি, তবু গানের হৃদয় নেই।
একদিন রাত্রি এসে সকলের ঘুমের ভিতরে
আমাকে একাকী জেনে ডেকে নিল―অন্য এক ব্যবহারে
মাইলটাক দূরে পুরোপুরি।
সবি আছে -খুব কাছে; গোলকধাঁধার পথে ঘুরি
তবুও অনন্ত মাইল তারপর -কোথাও কিছুই নেই ব’লে।
অনেক আগের কথা এইসব -এই
সময় বৃত্তের মতো গোল ভেবে চুরুটের আস্ফোটে জানুহীন, মলিন সমাজ
সেই দিকে অগ্রসর হয় রোজ -একদিন সেই দেশ পাবে ।
সেই নারী নেই আর ভুলে তারা শতাব্দীর অন্ধকার ব্যসনে ফুরাবে ।



নির্জন স্বাক্ষর

  - জীবনানন্দ দাশ

 তুমি তা জান না কিছু, না জানিলে -
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক'রে!
যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তের ঝড়ে,
পথের পাতার মতো তুমিও তখন
আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে?
অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
সেদিন তোমার!
তোমার এ জীবনের ধার
ক্ষয়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই! -
শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে!
আমি ঝরে যাব, তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধরে সেইদিন পৃথিবীর ’পরে -
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে!
রয়েছি সবুজ মাঠে - ঘাসে -
আকাশ ছড়ায়ে আছে নীল হয়ে আকাশে-আকাশে;
জীবনের রঙ তবু ফলানো কি হয়
এইসব ছুঁয়ে ছেনে!—সে এক বিস্ময়
পৃথিবীতে নাই তাহা - আকাশেও নাই তার স্থল -
চেনে নাই তারে অই সমুদ্রের জল!
রাতে রাতে হেঁটে হেঁটে নক্ষত্রের সনে
তারে আমি পাই নাই; কোনো এক মানুষীর মনে!
কোনো এক মানুষের তরে যে জিনিস বেঁচে থাকে হৃদয়ের গভীর গহ্বরে!
নক্ষত্রের চেয়ে আরো নিঃশব্দ আসনে
কোনো এক মানুষের তরে এক মানুষীর মনে!
একবার কথা ক’য়ে দেশ আর দিকের দেবতা
বোবা হয়ে পড়ে থাকে - ভুলে যায় কথা!
যে-আগুন উঠেছিল তাদের চোখের তলে জ্ব’লে
নিভে যায় - ডুবে যায় - তারা যায় স্খ’লে -
নতুন আকাঙ্খা আসে—চলে আসে নতুন সময়—
পুরানো সে নক্ষত্রের দিন শেষ হয়,
নতুনেরা আসিতেছে ব’লে! -
আমার বুকের থেকে তবুও কি পড়িয়াছে স্খলে
কোনো এক মানুষীর তরে
যেই প্রেম জ্বালায়েছি পুরোহিত হয়ে তার বুকের উপরে!
আমি সেই পুরোহিত -সেই পুরোহিত!—
যে নক্ষত্র মরে যায়, তাহার বুকের শীত
লাগিতেছে আমার শরীরে -
যেই তারা জেগে আছে, তার দিকে ফিরে
তুমি আছো জেগে -
যে আকাশ জ্বলিতেছে, তার মতো মনের আবেগে
জেগে আছো -জানিয়াছো তুমি এক নিশ্চয়তা - হয়েছো নিশ্চয়!
হয়ে যায় আকাশের তলে কত আলো -কত আগুনের ক্ষয়;
কতবার বর্তমান হয়ে গেছে ব্যথিত অতীত -
তবুও তোমার বুকে লাগে নাই শীত
যে নক্ষত্র ঝরে যায় তার! যে পৃথিবী জেগে আছে, তার ঘাস -আকাশ তোমার!
জীবনের স্বাদ লয়ে জেগে আছো—তবুও মৃত্যুর ব্যথা দিতে
পার তুমি; তোমার আকাশে তুমি উষ্ণ হয়ে আছো, তবু -
বাহিরের আকাশের শীতে
নক্ষত্রের হইতেছে ক্ষয়,
নক্ষত্রের মতন হৃদয়
পড়িতেছে ঝ’রে -
ক্লান্ত হয়ে -শিশিরের মতো শব্দ ক’রে!
জাননাকো তুমি তার স্বাদ,
তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অবাধ,
জীবন অগাধ!
হেমন্তের ঝড়ে আমি ঝরিব যখন -
পথের পাতার মতো তুমিও তখন
আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে? - অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
সেদিন তোমার!
তোমার আকাশ - আলো - জীবনের ধার
ক্ষয়ে যাবে সেদিন সকল?
আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই! শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে!
আমি চলে যাবো - তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধরে সেই দিন পৃথিবীর ’পরে;—
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক'রে!


সিন্ধুসারস

   - জীবনানন্দ দাশ

 দু-এক মুহূর্ত শুধু রৌদ্রের সিন্ধুর কোলে তুমি আর আমি
হে সিন্ধুসারস,
মালাবার পাহাড়ের কোল ছেড়ে অতি দূর তরঙ্গের জানালায় নামি
নাচিতেছ টারান্‌টেলা - রহস্যের ; আমি এই সমুদ্রের পারে চুপে থামি
চেয়ে দেখি বরফের মতো শাদা রৌদ্র, সবুজ ঘাসের মত প্রাণ
শৈলের গহ্বর থেকে অন্ধকার তরঙ্গেরে করিছে আহ্বান।

জানো কি অনেক যুগ চলে গেছে ? মরে গেছে অনেক নৃপতি ?
অনেক সোনার ধান ঝরে গেছে জানো না কি ? অনেক গহন ক্ষতি

আমাদের ক্লান্ত করে দিয়ে - হারায়েছি আনন্দের গতি;
ইচ্ছা, চিন্তা, স্বপ্ন, ব্যথা, ভবিষ্যৎ, বর্তমান, এই বর্তমান
হৃদয়ে বিরস গান গাহিতেছে আমাদের—বেদনার আমরা সন্তান?
জানি পাখি, শাদা পাখি, মালাবার ফেনার সন্তান,
তুমি পিছে চাহো নাকো, তোমার অতীত নেই, স্মৃতি নেই,
বুকে নেই আকীর্ণ ধূসর
পাণ্ডুলিপি; পৃথিবীর পাখিদের মতো নেই শীতরাতে
ব্যথা আর কুয়াশার ঘর।
যে রক্ত ঝরেছে তারে স্বপ্নে বেঁধে কল্পনার নিঃসঙ্গ প্রভাত
নেই তব; নেই নিন্মভুমি- নেই আনন্দের অন্তরালে
প্রশ্ন আর চিন্তার আঘাত।
স্বপ্ন তুমি দেখ নি তো - পৃথিবীর সব পথ সব সিন্ধু ছেড়ে দিয়ে একা
বিপরীত দ্বীপে দূরে মায়াবীর আরশিতে হয় শুধু দেখা
রূপসীর সাথে এক ; সন্ধ্যার নদির ঢেউয়ে আসন্ন গল্পের মতো রেখা
প্রাণে তার - ম্লান চুল, চোখ তার হিজল বনের মতো কালো ;
একবার স্বপ্নে তারে দেখে ফেলে পৃথিবীর সব স্পষ্ট আলো
নিভে গেছে; যেখানে সোনার মধু ফুরায়েছে, করে না বুনন
মাছি আর ; হলুদ পাতার গন্ধে ভরে ওঠে অবিচল শালিকের মন
মেঘের দুপুর ভাসে - সোনালি চিলের বুক হয় উন্মন
মেঘের দুপুরে, আহা, ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে;
সেখানে আকাশে কেউ নেই আর, নেই আর পৃথিবীর ঘাসে।

তুমি সেই নিস্তব্ধতা চেনো নাকো; অথবা রক্তের পথে
পৃথিবীর ধূলির ভিতরে
জানো নাকো আজও কাঞ্চী বিদিশার মুখশ্রী মাছির মতো ঝরে;
সৌন্দর্য রাখিছে হাত অন্ধকার ক্ষুধার বিবরে;
গভীর নিলাভতম ইচ্ছা চেষ্টা মানুষের - ইন্দ্রধনু ধরিবার ক্লান্ত আয়োজন
হেমন্তের কুয়াশায় ফুরাতেছে অল্পপ্রাণ দিনের মতন।

এই সব জানোনাকো প্রবালপঞ্জর ঘিরে ডানার উল্লাসে;
রৌদ্রে ঝিলমিল করে শাদা ডানা, শাদা ফেনা-শিশুদের পাশে
হেলিওট্রোপের মতো দুপুরের অসীম আকাশে!
ঝিকমিক করে রৌদ্রে বরফের মতো শাদা ডানা,
যদিও এ পৃথিবীর স্বপ্ন চিন্তা সব তার অচেনা অজানা।

চঞ্চল শরের নীড়ে কবে তুমি - জন্ম তুমি নিয়েছিলে কবে,
বিষণ্ণ পৃথিবী ছেড়ে দলে দলে নেমেছিলে সবে
আরব সমুদ্রে, আর চীনের সাগরে -দূর ভারতের সিন্ধুর উৎসবে।
শীতার্ত এ পৃথিবীর আমরণ চেষ্টা ক্লান্তি বিহ্বলতা ছিঁড়ে
নেমেছিলে কবে নীল সমুদ্রের নীড়ে।

ধানের রসের গল্প পৃথিবীর - পৃথিবীর নরম অঘ্রান
পৃথিবীর শঙ্খমালা নারী সেই—আর তার প্রেমিকের ম্লান
নিঃসঙ্গ মুখের রুপ, বিশুস্ক তৃণের মতো প্রাণ,
জানিবে না, কোনোদিন জানিবে না ; কলরব ক’রে উড়ে যায়
শত স্নিগ্ধ সূর্য ওরা শাশ্বত সূর্যের তিব্রতায়।

Tuesday, August 18, 2015

ইউটিলিটি সফটওয়্যার Winutilities


আপনার কম্পিউটার এর জন্য অতি দরকারি ইউটিলিটি সফটওয়্যার Winutilities.



ভিডিওতে দেখুন কিভাবে ব্যবহার করতে হয় ।



 Winutilities প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহঃ 


১.খুব দ্রুততার সাথে কম্পিউটারে কাজ করে
২.যে জান্ক ফাইল গুলো কম্পিউটারের পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয় সেগুলোকে সহজেই মুছে   দিতে পারে
২.উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি স্কেন করে ও ভুল রেজিস্ট্রি মুছে পিসির গতি বৃদ্ধি করে
৩.ডাটা বা ফাইলকে সুরিক্ষিত রাখা যায়,চুরির হাত হতে রক্ষা করা যায়
৪.যে কোন উইন্ডোজ.exe ফাইলকে পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রোটেক্টেড করা যায়
৫. হার্ডডিস্ক ram সহ সকল মেমোরি ইউনিটকে অপটিমাইজ করা যায়
৬.ডুপ্লিকেট ফাইল খুজে বের করে ডিলিট করে ডিস্ক স্পেস বাড়ানো যায়
৭.কম্পিউটারে ইনস্টল থাকা যে কোন প্রোগ্রাম আনইষ্টল করা  করা যায়যেগুলা অনেক সময় ন্ট্রোল প্যানেলের আনইষ্টলারের সাহায্যে করা যায় না
এক নজরে হার্ডওয়্যারের বিস্তারিত জানা যায় ও চেক করা যায়
,গুরোত্বপূর্ণ উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি ব্যাকাপ এবং রিস্টোর করা যায়
১০.কম্পিউটার লগ-অফ, হাইবারনেটের, শাট-ডাউন অথবা স্ট্যান্ডবাই জন্য শিডিউল টাইম সেট করা যায়





Monday, August 17, 2015

পানিকে পানযোগ্য করার বই আবিষ্কার !


পানিকে পানযোগ্য করার বই আবিষ্কার

পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তার জন্য একজন রসায়নবিদ ও একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের যৌথ প্রয়াসে তৈরি করা হয়েছে একটি পানযোগ্য বই। এর প্রতিটি পাতায় রয়েছে সিলভার ন্যানোপার্টিকল বা রুপার অতি ক্ষুদ্র কণার আবরণ, যা দূষিত পানি থেকে সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে। এটি খুব সাশ্রয়ী।স্কুলগামী শিশুদের কথা ভাবার সময় আমরা কল্পনায় দেখতে পাই, তারা খাবারের বাক্স বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা দূষিত পানি নিয়ে যাচ্ছে, এমন কথা আমরা নিশ্চয়ই ভাবতে চাই না। কিন্তু ঘানার টোলন ও কুমবুঙ্গু জেলায় সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপারটাই ঘটছে, জানালেন ইদ্রিস আবদুল আজিজ বোয়ার। তিনি দেশটিতে ওয়াটারইজলাইফ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। ইদ্রিস আরও বলেন, ওই দুই জেলার প্রতি ১০টি শিশুর আটজনই স্কুলে দূষিত পানি পান করে। ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। তৃষ্ণা মেটাতেই তারা দূষিত পানি পান করে। স্বাস্থে্যর কী ক্ষতি হবে, তা ভাবার অবকাশ কোথায়!

Sunday, August 16, 2015

৫০০ বছরের পূরানো মোঘল সম্রাট আকবরের আমলের স্বর্ণখচিত আল কোরআন উদ্ধার !



প্রায় ৫০০ বছর আগের স্বর্ণখচিত কোরআন পাওয়া গেছে করেছে ভারতের মহীশুরে। এই খণ্ডটিতে মোট ৬০৪টি পৃষ্ঠা রয়েছে। যার সবগুলো পৃষ্ঠাই স্বর্ণখচিত। ধারণা করা হচ্ছে, পবিত্র কোরআনের খণ্ডটি মোঘল সম্রাট আকবরের আমলের। সে হিসেবে প্রায় ৫০০ বছর বয়স হবে এই গ্রন্থের। 
     ভারতের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শেখ আলী বলেন, পবিত্র কোরআনের কপিটি তুর্কি জাদুঘরে সংরক্ষিত কোরআনের প্রাচীন কপিটির চেয়েও পুরোনো। তাঁর মতে, ১০৫০ সাল থেকে ১৬০৫ সালের মধ্যে এটি লেখা হয়েছিল। গ্রন্থটি সম্ভবত তুরস্ক কিংবা আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মহীশূরের পুলিশ কর্মকর্তা অভিনব খারে জানান, ‘চোরাকারবারিদের একটি দল প্রাচীন এই গ্রন্থটি পাঁচ কোটি রুপির বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করছিল। তারা দাবি করছিল, কোরআনটি সম্রাট আকবরের। এর সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।ওই চক্রটির মূল হোতার নাম সনাথ। তার কাছেই কোরআনের স্বর্ণখচিত কপিটি ছিল। তার নেতৃত্বে দুর্বৃত্ত দলটি সম্ভাব্য ক্রেতাদের মোবাইলে এই গ্রন্থের ছবি দেখিয়ে তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারা বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে।

Saturday, August 15, 2015

ছোট গল্প “বউ ভাগ্য''



ছোট প্রাণ ছোট ব্যাথা,
ছোট ছোট দুঃখ কথা,
নিতান্তই সহজ সরল।
সহস্র বিস্রিত রাশি,
প্রত্যহ যেতেছে ভাসি,
তার- দু-চারটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা,
ঘটনার ঘনঘটা,
নাহি তত্ব, নাহি উপদেশ।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে,
সাঙ্গ করি মনে হবে,
শেষ হইয়াও হইল-না শেষ।।
…………
বউ ভাগ্য !
...............
মি: আরিয়ান মন্ত্রনালয়ের গুরুত্বপূর্ন সেকশনের দায়িত্বে ছিলেন তার বেতন ছাড়াও উপরি আয় ভাল ছিল। সমাজে কেতা দূরস্ত ভাবে চলা ফেরায় তার কোন সমস্যা হতো না।একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে মি: আরিয়ান মিস মিথিলাকে দেখতে পান।মিস মিথিলা দেখতে খুব সুন্দরী,স্মার্ট, লাস্যময়ী ,মিস মিথিলাকে দেখে মি: আরিয়ান মুগ্ধ হয়ে গেলেন।অনুষ্ঠানে মিস মিথিলা ছিল সকলের মধ্যমণি, তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন সবাই তার রূপের প্রশংসা করছিলেন।তাকে দেখতে অভিজাত শ্রেনীর ললনা বলে মনে হচ্ছিল
মি: আরিয়ান সুন্দরী মিথিলাকে বিয়ের অভিপ্রায় প্রকাশ করলেন।সবাই বললো মি: আরিয়ানের সাথে মিস মিথিলার বিয়ে হলে,সুন্দর মানাবে, তারা সুখী হবেন।
মহা ধূমধামের সাথে মি: আরিয়ানের সাথে মিস মিখিলার বিয়ে হয়ে গেল।বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক নামীদামী লোকজন উপস্থিত ছিলেন সবাই মিথিলার রূপের প্রশংসা করলেন।আমন্ত্রীত গণ্যমান্য অতিথিগণ মি: আরিয়ানের বউ ভাগ্যের তারিফ করলেন

Friday, August 14, 2015

Adsense The People!

Adsense The People!

Introducing the service!
Pride is the root for demise!
The onslaught of passion!
 Possible attempts!

Wednesday, August 12, 2015

Adsense:  Adsense for Livelihood  !Everything leads to theF...

Adsense:  Adsense for Livelihood  !Everything leads to theF...:   Adsense for Livelihood  ! Everything leads to the Formalin leads vegetables Money Leads People come up with the money before the ma...

Monday, August 10, 2015

I was silly to you?

I was silly to you?

I was silly to you?
 So the wise
With regard to fool us into poverty
He was wealthy and wise!
Knowledge is a sinner!?
He does not touch the real sense?
He did not earn happiness, suffering,
He found happiness in heaven earn sins.
The other sinners!
As soon as this poor sinner?
He is rich, powerful and influential,
And some want to beg his mercy !!
Not for happiness,
For our survival.
Where is happiness?
There is no happiness ..
Therefore, there is no person of happiness ..
I am happy because we are going to be found
And he went to look for happiness
Every tyrant in his own country
Oppressor and oppressed,
The oppression of the tyrant
The state will become a tyrant?
So happiness outside ..
Mad ...
Because
  All happy to live with the happiness of the people.

Friday, August 7, 2015

Adsense


Elephant foot poor house !
 গরীবের বাড়ী হাতীর পা!

The name of the white poison milk!

                  The name of the white poison milk! 

Three of our diet, "white poison 'there.
 These include:
Salt,
 Refined sugar
Flour.
The fourth is the name of the poison milk is very nutritious as well.
However, milk is not authentic,
This kind of material is mixed in the milk market,
Of course, the milk-white poison.
Knowing or not knowing a lot of adulterated milk harmful components are mixed.
Mixed with adulterated man have no idea about the loss of life.
 Initially, the buyer can not detect adulteration.
During the large-scale adulteration of milk containers are depicted in the commercial.
 This process reduces the amount of milk and cream are removed.
 The buyer may not understand it, for it is mixed with water.
 Taste, density and viscosity to maintain a more mixed
Formalin,

  Urea,

  Starch,

neutralizar

Chloride,

  skimmed milk powder,

  Sucrose, glucose / dextrose and

  hydrogen peroxide.
Milk producing country in the world is an Indian.
Most of the marketing of adulterated milk.
  Mix the milk detergent harmful to health.
  The market for detergents has been found in the milk of 8 percent.
  Other widely used in the adulteration of the material
Urea,
Starch,
  Glucose and
  Formalin.
All samples were collected in 1791 from the Indian market adulterated samples were found.
Such material can impair the body's various organs.
  Milk may be the cause of death from cancer.
Milk nutritious food.
  But if it is adulterated undoubtedly be characterized as a white poison.
 
-Internet

Adsense(শুভ বিবাহ )




শুভ বিবাহ !
আনন্দের বিবাহ !!
-:আগের জমানা :-
বাপ ঘটক লাগাইয়া ছেড়ির বালা  বিয়ার সম্মন্ধ খুঁজিতে পেরেশান !

ছেড়ি একদা অভিমানে কাইন্দা চোখ ফুলাইয়া বাপ মায়েরে 

কইতো তোমরা আমারে করতে চাও পর !?


Thursday, August 6, 2015

পাগলী !



পাগলী !

আমার দেখা যতোগুলা পাগলী দেখলাম
সবগুলাকে দেখলাম সারাদিন ঘোরে বেড়াচ্ছে
মুখে আবোতাবোল বলছে
যাকে ইচ্ছা তাকে গালিগালাজ করছে
এখানে সেখানে ছুটে যাচ্ছে দোড়ে যাচ্ছে
এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে শহরে গঞ্জে চলে যাচ্ছে..
আশ্চর্যের বিষয় ক্লান্তি ব্যাপারটা এদের মধ্যে অনুপস্থিত পরিলক্ষিত হয়
এদের কোন দায়িত্বশীল চিন্তা নেই বলেই কি ক্লান্তি হীন চলাফেরা ?

প্রশ্ন রইলো যে..
পাগলীরা এতো চঞ্চল আর ক্লান্তিহীন হয় কিভাবে ?

 Madwoman  !

I had seen the madwoman yatogulaThroughout the day I walk down the sabagulakeAccording to the abotabolaWhom are abuseDore is rushing here and thereIn cities and towns away from one village to another ..Strangely missing in the fatigue phenomenon is observed.Because they do not have to worry any responsible shabby movement fatigue?

The question that remains ..Pagalira so restless and tireless, how?




Adsense



অন লাইনে আয়ের উপলক্ষ হলো গুগল এড সেন্স ।
এই এড সেন্স  মাধ্যমে আয় করা যায় ভালো ব্লগ লেখতে পারলে ।
আবার  দেশের নামকরা ব্লগাররা হতাহতের শিকার হচ্ছেন !

ব্লগ লেখতে গেলে লেখা কপি/পেষ্ট করা যাবে না !
ইউনিক লেখা হতে হবে !
এই ইউনিক লেখার জন্য ই কি তারা ধর্মকে বিশেষ করে ইসলাম কে বেচে নিয়েছেন?
অথবা ইসলামবিরোধী ব্লগ লিখায় পশ্চিমারা বেশী পছন্দ করেন ?
কিন্তু তারা ভুলে যান কেন দেশে একটা সমাজ আছে পরিবেশ আছে !
এই সমাজ এই দেশে তাদের ব্লগের লেখা গুলো গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে !
তবুও এমন মর্মান্তিক হত্যা কেন ?
দেশে আইনের শাসন নেই বলে ?





Wednesday, August 5, 2015

নৌকা ভ্রমন



নদী মাতৃক বাংলাদেশে নৌকা ভ্রমন অরামদায়ক।যদিও এতে সময় বেশী ব্যয় হয় । নৌকা ভ্রমন আরাম দায়ক হলেও শতভাগ নিরাপদ নয় । সহসা ঝড় মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় ।যা হৃদয় বিদারক ঘটনার জন্ম দেয়।

The river boat tour comfortable  . time to spend more than maternal. Although it is not a safe comfortable boat tour. .which Heart-rending human life takes a sudden storm which led to the incident.

Tuesday, August 4, 2015

এই সাইটটি এডসেন্স সম্পর্কীত



এই সাইটটি  এডসেন্স সম্পর্কীত ।
সাইটটি প্রতিদিন আপগ্রেট হবে।
সাইটটি এডসেন্স এর টিপস ও ট্রিকস সম্পর্কীত হবে।