Friday, April 22, 2016

।।জাঁহাপনা ঈমানদার ।।



।।জাঁহাপনা ঈমানদার ।।
কৃষক আর্জি জানালেন,-
জাঁহাপনা ঈমানদার !
কাঁদে না আপনার পরা?
ফসলের মাঠ আজ জলাশয়,
শক্ত বাঁধ হলো না কেন মহাশয়?
জাঁহাপনা ঈমানদার !
কে জামিনদার ?’

জাঁহাপনা হুঙ্কার দিলেন,
জলের কাজ জলে করেছে
মাটির বাঁধের তাতে দোষ কি রে ?
প্রশ্ন করিস আমার তরে !
দুঃসাহস তোর, সকলি ডরে !
আল্লাহর ধর্ম আল্লাহ করেছে
তোর কি তাতে যায় আসে !?’

কৃষক হাতজোড় করি কহিলেন,-
মাফ করিবেন সমাজ পতি,
আপনার বিনা নেই যে মোর গতি ।

অতপর মহাশয় ছবক দিলেন,-
ফিরে যা !সদা জপা চাই মোর জয় গান,
তাতেই তোর বাঁচবে জীবন মান

অবশেষে কৃষক আসিলেন ফিরে
মহাশয়ের মহা বানী নিয়ে, ধীরে।
জাহাপনা ঈমানদার !
জয়ের মালা বারংবার !

Thursday, April 7, 2016

পৌরসভার স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং জনগণের সুস্বাস্থ্য!?

পৌরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা পৌরসভার সেবার অন্তভূক্ত।
এক্ষেত্রে পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে পরিচ্ছন্ন শাখার একটি কাজ হলো-
ড্রেন নিয়মিত পরিস্কার করা ।
যাতে ড্রেনের ময়লাগুলো উপচে রাস্তায় চলে না আসে।
 ড্রেন পরিষ্কার করার সময় রাত ১০.০০ টা থেকে  ভোর ৫.০০ টা  পর্যন্ত হওয়া উচিৎ এবং
ড্রেনের ময়লা গুলো উক্ত সময়ের মধ্যে অপসারন করা জরুরী ।
যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয়, জনগণের কোনরূপ অসুবিধা না হয় বা জনস্বাস্থের জন্য হুমকি না হয়।
কিন্তু জনগণের এসকল জনস্বাস্থ্য সম্পর্কীত নিয়মগুলি কি পৌরসভা খেয়াল করেন ? পালন করেন ?
যেমন সুনাম গঞ্জের দিরাই পৌরসভার ড্রেনের ময়লা গুলো তুলা হচ্ছে দিনের বেলা জনগণের চলাচলের মধ্যে এবং
 ড্রেনের ময়লা গুলো রাস্তার পাশে স্তুপিকৃত করে রাখা হচ্ছে,সংগে সংগে অপাসারণ করা হচ্ছে না।
যে ময়লাগুলোতে সবচেয়ে বেশী রোগ জীবনু বাস করে।
কিন্তু রাস্তার পাশে ড্রেনের ময়লা রাথার কারণে দূগন্ধে ভরে যাচ্ছে পরিবেশ ।
অস্বাস্থ্যকর পৌরবাসির চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে ।
বৃষ্টি হচ্ছে,বৃষ্টির পানি ড্রেনের ময়লা রোগজীবানু ছড়িয়ে যাচ্ছে আশে পাশে ।
উম্মুক্ত ভাবে ফেলে রাখা ময়লা গুলো দিনের পর দিন
ড্রেনের ময়লাতে মাছি বসছে ।
সে মাছি উড়ে গিয়ে বসবে সংলগ্ন হোটেলের কোন মানুষের খাবারের প্লেটে।
সে খাবার খেয়ে মানুষ সহজেই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
উ্ন্নয়নের জন্য ড্রেন দেয়া হয় যাতে মল, ময়লা মাটির তল দিয়ে অপসারিত হয়ে যায়।
সে ময়লা যদি জনগণের চলাচলের রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয় ,
তবে কি বলা যায় না এরুপ উন্নয়নের অব্যবস্থাপনা বুমেরাং হয়ে দূর্ভোগ বাড়াচ্ছে জনগণের ?
সরকার বাহাদুর কর্তৃক জনগণকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিপুল পরিমান টাকা ব্যয় করেন ।
জনগণের স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার জন্য বহুল প্রচারণা চালান।

কিন্তু জনগণের স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান গুলো কি এ ব্যাপারে সচেতনতার পরিচয় দিতে পারছেন ?
যদি একটি গুরুত্বপূর্ন স্থানীয় সরকার এর প্রতিষ্ঠান জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
তবে জনগণ কিভাবে স্বাস্থ্য সচেতন হতে পারেন ?

Saturday, April 2, 2016

একটি প্রতিবাদ সভার পরিণতি

এক বনে এক বাঘ বাস করতো।
বাঘটি খুব হিংস্র ও শক্তিশালী ছিল।
বাঘটি যখন তখন নিরীহ পশুদের হত্যা করতো ।
পশুর কিছু রক্ত মাংস খেতো বাকিটা ফেলে রাখত।
বাঘের শিকার করা অবশিষ্ট পুশুর দেহ হায়নারা খেত।
এজন্য বাঘটি সকল পশুদের জন্য ত্রাসের কারণ হলেও হায়নারা বাঘটিকে পছন্দ করতো ।

কারণে অকারণে একর পর এক নিরীহ পশুরা বাঘের হত্যার শিকার হওয়ার প্রেক্ষিতে,
নিরীহ পশুরা অসহায় হয়ে হাতির কাছে এর প্রতিকার চাইল ।
কারণ বনে হাতী তাদের স্বগোত্রীয় তৃণভোজী সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী এবং অকারণে কারো ক্ষতি করে না।
ছাগল বনগরু হরিণ খরগোস ইত্যাদি তৃণভোজী প্রাণিদের অকারণ জীবন হাণী রোধ করার জন্য হাতি প্রতিবাদ সভার আহ্বান করলো ।

যথা সময়ে প্রতিবাদ সভা শুরু হলো ।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধল সভাপতি পদ নিয়ে ।
তৃণভোজী প্রাণীরা হাতিকে প্রতিবাদ সভার সভাপতি হিসাবে দাবি করলো।
কিন্তু হায়নারা সভাপতি হিসাবে বনের রাজা বাঘকেই পদাধিকার বলে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করলো।
হায়নারা শক্তিশালী ও হিংস্র এবং বনের রাজা বাঘকে সভাপতি হিসাবে না মানলে আরো বিপত্তি হতে পারে একথা ভেবে পশুরা হায়নাদের প্রস্তাব মেনে নিল।
হাতি অভিযুক্ত বাঘকে প্রতিবাদ সভার সভাপতি হিসাবে মেনে নিতে পারলো না ।
কিন্তু হাতি দেখতে পেল কেউ আর কোন প্রতিবাদ করছে না।
এমতাবস্থায় হাতি সভাস্থল ত্যাগ করবে কি না চিন্তা করল?
কিন্তু পরক্ষণেই ভাবল হঠাৎ করে সভাস্থল ত্যাগ করা উচিৎ হবে না ,
এবং নিরীহ পশুদের রক্ষার সুযোগ পাবার আশায় হাতি সভাস্থলে রয়ে গেল।

সভা শুরুর প্রারম্ভে নিরীহ তৃণভোজী প্রানীরা তাদের বক্তব্যে বাঘ কর্তৃক তাদের অকারণ জীবন হাণীর করুণ কাহিনী তুলে ধরলো এবং এরুপ অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকার জন্য জোর দাবী করলো।
এরপর হায়নারা বললো যে,
‘কারো খাবারের উপর কারো নিষেধাজ্ঞা করা অন্যায় ও অমানবিক তাছাড়া তিনি বনের রাজা,তার বিরোদ্ধে এমন কথা উচ্চারণ করা সমীচীন নয়।বরং পশুদের সদা সতর্ক হয়ে চলাচল করা উচিৎ।অসতর্ক হওয়া তাদের উচিৎ নয় ।’
হায়না দলপতির বক্তব্যে সকল হায়নারা মনের আনন্দে হাততালি দিল।
হায়নাদের বক্তব্যের পর এবার হাতীর বক্তব্য দেয়ার পালা ।
হাতি তৃনভোজী প্রাণীদের রক্ষার জন্য জ্বালাময়ী বক্তব্য এবং দাবি পেশ করার প্রস্তুতি নিল।
কিন্তু সে সময় এক বন গরু বলে উঠল,
‘বনের রাজা বাঘ হতে তৃণভোজী পশুদের সমীহ সতর্ক হয়ে চলাফেরা করা উচিৎ। এমতাবস্তায় হায়নাদের বক্তব্য সমর্থন যোগ্য।’
গরুর বক্তব্যে হায়নারা সমর্থন করে খুব খুশী হয়ে তুমুল হাত তালি দিয়ে স্বাগত জানাল।
এসময় বাঘকেও খুশী হতে দেখা গেল ।
হায়নাদের হাততালি ও বাঘের খুশীতে গরু ভাবল হায়না ও বাঘ হতে আজ হতে সে নিরাপদ ।
এবং নিজেকে বাঘ ও হায়নাদের পক্ষের একজন ভেবে গর্বিত মনে করলো ।
গরুর বক্তব্যে হাতি খুব বিরক্ত দুঃখিত হলো এবং  বক্তব্য না দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে চলে গেল ।

সবশেষে সভাপতি বাঘ বয়ান করলেন,
আজকের এই প্রতিবাদ সভায় এটাই প্রমানীত হয়েছে যে,আমি পশু হত্যা করতে পারি না।কারণ আমি রাজা।সকল প্রজাদের সুবিধা অসুবিধা দেখা আমার কর্তব্য ।কিন্ত আমাকে খাদ্য গ্রহণ করা হতে বিরত রাখার ষড়যন্ত্র অমানবিক ।পশুদের সতর্ক হয়ে চলা উচিৎ,এটা শুধু আমার বক্তব্য নয় আপনারা দেখেছেন গরু মহাশয় আমার বক্তব্যে একমত ।আর এ বিষয়ে হাতি মহাশয়ের কোন দ্বিমত নেই বলেই তিনি সভাস্থল ত্যাগ করে চলে গেছেন।তাই সভার সিদ্ধান্ত হলো যে,আমি নির্দোষ, আমাকে খাদ্য গ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি করা অনুচিৎ ।অতএব তৃণভোজী পশুদের সতর্ক হয়ে চলাফেরা করা উচিৎ।আজকের প্রতিবাদ সভা এখানেই শেষ করা হলো।
হায়নাদের বিশাল করতালির উৎফুল্লের মধ্যে প্রতিবাদ সভা শেষ হলো।
তৃণভোজী নিরীহ প্রাণীদের প্রতিবাদ সভা কোন কাজে আসল না।

পরদিন বনের প্রান্তে একদল হায়নাকে একটি মৃত ও রক্তাক্ত গরুর দেহ ভক্ষন করতে দেখা গেল।
মৃত গরুটির কন্ঠনালী হিস্র বাঘের থাবায় ছিন্নভিন্ন ছিল।
যার ছিনার মাংস ও কলিজা ইতিপূর্বে আক্রমণকারী বাঘে খেয়ে নিয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল।
একটি ছাগল গাছের ডালে ভয়ার্ত সূরে ভ্যাঁ ভ্যাঁ ডাকছিল।
বাঘ যখন গরুটি শিকার করেছিল ছাগলটি সেটি প্রত্যক্ষ করেছিল ।
ভয়ে পাশের গাছে ডাল বেয়ে গাছে উঠে পরেছিল।
ছাগলের ডাকে অপর একটি গরু আসল।
এই সেই গরুটি যে প্রতিবাদ সভায় বলেছিল  ,
‘বনের রাজা হতে পশুদের সমীহ সতর্ক হয়ে চলাফেরা করা উচিৎ।’
গরুটি নিরাপদ দূরত্ব থেকে দেখতে পেল হায়নারা তার ভাইয়ের দেহ ছিড়ে খুড়ে খাচ্ছে ।
এ দৃশ্য দেখে গরুটির কোন ভাবান্তর হলো না বলে মনে হলো।
সেখানে তৃণভোজী প্রাণীদের প্রচুর উপকরণ থাকলেও কোন হাতি ছিল না।

Saturday, March 26, 2016

হে মহান স্বাধীনতা আপনি কি শুধু সুবিধা লাভকারীর সুন্দর স্লোগান

দিরাই বি এ ডি সি মাঠের স্বাধীনতা দিবস ২০১৬ এর প্যান্ডেল
অনেক জ্ঞানী গুণী ছোট বড় পদধারীদের মুখে স্বাধীনতার মহান বানী শুনা যায় ।
অপরদিকে দেশের গরীব মানুষ জানেন না স্বাধীনতার মানে ।
কারণ তাদের কাছে জীবন মানেই আক্ষেপের।
এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে,
১৯৭১ সালে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ।
কিন্তু দেশের রাজনীতি সব সময় সুবিধাভোগী দলীয় গন্ডিতে বন্ধী হয়ে রয়েছে।
দেশ শাসনে জনগণের কথা বলা হলেও কখনো জনগণের পক্ষের রাজনীতি করা হয় নি।
তাই জনগণ গনতন্ত্রের অর্থ কি তা আজো উপলাদ্ধ করতে পারেননি ,বুঝতে পারেননি।
যদিও গণতন্ত্রের কথা রাষ্ট্র ক্ষমতায় চর্চা করা হয়,প্রচার করা হয় ,কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না,এখনো পর্যন্ত জনগণ গনতন্ত্রের সুফল হতে বঞ্চিত রয়েছেন।গণতন্ত্র এমন একটি বিষয় যেখানে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হয়।এটা শুধু ভোট দিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার মধ্যে সীমাবন্ধ নয়।তবে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে ভোট প্রদানে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা গণতন্ত্রের একটি প্রধাণ শর্ত।বর্তমানের বাংরাদেশে এই শর্তটিও পালন করা হয় না।
আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় বর্তমানে দেশে দুই ধরণের রাজনীতি চালু আছে ।
একদল ক্ষমতাবান ও সুবিধা প্রাপ্ত !
অপর দল ক্ষমতার বাহিরে সুবিধা বঞ্চিত।
স্বভাবতই এই দুই ধরণের রাজনীতিতে জনগণের অংশগ্রহণ সীমিত।
যদিও মুক্তিযুদ্ধে দেশের প্রায় সকল জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

এই দুই ধরনের রাজনীতিতে সহজাত ভাবে নিরুপায় সাধারণ মানুষ বাঁচার তাগিদে সুবিধা অর্জনের পক্ষে আকৃষ্ট হচ্ছেন।কারণ দুই পক্ষের মধ্যে জনগনের জন্য রাজনৈতিক চর্চার অভাব থাকায় শুধু ক্ষমতা কেন্ত্রীক বিরোধিতা বজায় রাখা হচ্ছে, অপর পক্ষ রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে পারছেন না।অর্থাৎ সামগ্রিক বিষয়টি দুই পক্ষের ক্ষমতা কেন্ত্রিক হওয়ায় জনগণের কোন উপকারে লাগছে না।
এ কারণে দিন দিন বাংলাদেশে সুবিধাবাদী রাজনীতির পাল্লা ভারী হচ্ছে।
এই সুবিধাবাদী রাজনীতি শুধু আদালতকে স্পর্শ করতে না পারলেও দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করছে ।
এই কারনে সাধারণ জনগণের অধিকার ক্রমশ: সংকোচিত হয়ে যাচ্ছে ।
পাশাপাশি নেতাদের দেশ ও জনগণের জন্য নীতি ও ত্যাগের রাজনীতি বিলুপ্ত হচ্ছে।
মহান জনদরদী নেতা হওয়ার পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এরূপ ধারাবাহিকতায় বর্তমানের রাজনীতির যে সকল আদর্শবাদী কথা বলা হয় তা জনগণের কোন উপকারে আসছে না।
এ্ই কারণে জনগণের মনে এই ধারণা জন্ম নিতে পারে যে, সে অতীত ইতিহাস শুধু প্রচারণায়,যা তাদের কোন উপকারে লাগে না আর এই সুবিধাবাদী রাজনীতির কারণে অতীতে দেশের মহান নেতাদের হত্যা করা হয়েছে।আর বর্তমানে সেই রকম মহান নেতার প্রচন্ড অভাব রয়েছে এবং সেই মহান নেতাগুলো এতটাই মহান ও বড় ছিলেন যে,সে রকম নেতার আবির্ভাব বাংলাদেশে আর কখনো হবে না বা হতে পারে না।
জনগণের মনে এরকম ধারণার বিকাশ পরোক্ষভাবে সুবিধাবাদী রাজনীতিকেই উৎসাহিত করছে।
ফলে জনপ্রতিনিধিদের জনসেবার পরিবর্তে ক্ষমতা,টাকা অর্জন ও পেশী শক্তিই মুখ্য হয়ে উঠছে।
আর জনগণকে উদাহরণ সৃষ্টি করে বুঝানো হচ্ছে যে,টাকা,ক্ষমতা ও পেশী শক্তি ছাড়া নেতা হওয়া যায় না।
কিন্ত এই সমস্তের অনুশীলন জনগণকে হতাশ করছে এবং মেনে নেয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকছে না।এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণের আত্ম সামাজিক উন্নয়নে বাস্তবিক অর্জনের পথে হতাশাজনক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
যা একটি জাতি গঠনে প্রধান অন্তরায় হিসবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ।
তারই প্রমাণ করতেই যেনো ,জন প্রতিনিধি নির্বাচন কালে সংঘর্ষে মারা যাচ্ছে মানুষ আর এর অশুভ কবল খেকে নিজ দলের মানুষেরও জীবন হানি ঘটছে।
যা একটি দেশের জন্য সত্যি দুঃখ জনক।
তাই এই প্রেক্ষিতে বলা যায়,
হে মহান স্বাধীনতা আপনি কি শুধু সুবিধা লাভকারীর সুন্দর স্লোগান !

Friday, March 25, 2016

সিমে Flexiplan ছাড়াও ইন্টারনেট MB এর মেয়াদ ১ মাস বাড়ান মাত্র ১.১৮ টাকা খরচ করে

সিমে Flexiplan ছাড়াও MB এর মেয়াদ ১ মাস বাড়ান। মাত্র ১.১৮ টাকা খরচ করে।
Flexi plan দিয়ে এখন ৪ টাকা দিয়ে এক মাস মিয়াদ বাড়ানো যায় না্ । তো কি হয়েছে ?
 বাড়িয়ে নিন জিপির মেইন এমবির মেয়াদ ৩০ দিন ।
নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন।

Step-1 |
 প্রথমে নেট ডিএক্টিভ করুনঃ
*5000*0*4*3# অথবা মেসেজ অপশনে
STOP
লিখে 5000 সেন্ড করুন অথবা 5000 এ কল
করে নেট ডিএক্টিভ করেন।
 একটা মেসেজ আসবে।
 মেসেজ আসার পর নিচের ২য় ধাপ ফলো করেন।

Step-2 |
 তারপর ইজিনেট চালু করুন
ফ্রিতেঃ Easy net এক্টিভ করতে ডায়াল
করুন *5000*55# একটা মেসেজ আসবে।
মেসেজ আসার পর নিচের ৩য় ধাপ ফলো
করেন।

Step-3 |
 ডায়াল করে এর পর Social পেক চালু
করেন এক দিনেরটা আজ করুন
*5000*8*1*1*2#। একটা মেসেজ আসবে।
এরপর
*৫৬৬*১০# ডায়াল করে দেখেন এক মাস
বেড়ে গেছে মেয়াদ!

Saturday, March 12, 2016

সিংহ পূরুষ যখন উপাধি



আজকাল নেতার অনুসারীগণ জনসাধারনের কাছে নেতাদের আরো বড় করে  প্রচার ও প্রকাশ করার জন্য ‘সিংহ পূরুষ’ বিশেষণটি প্রয়োগ করা হয় ।
 
যেমন ভাটির বাংলার সিংহ পূরুষ ।

কিন্তু সিংহ একটি হিস্র প্রাণী ।
সিংহ নিরীহ তৃণভোজী প্রানীদের হত্যা করে রক্ত মাং খায় ।
ক্ষুধার্ত সিংহ নিজের বাচ্চাদের খেয়ে ফেলতে দ্বিধা করে না।
অর্থাৎ সিংহ এমন একটি হিংস্র প্রাণী যার হিংস্রতায় কেহ নিরাপদ নয়,এর হিস্রতায় আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ।

যদি তাই সত্য  হয় ,তাহলে নেতার অনুসারীরা নেতাকে ‘সিংহ পূরুষ’ উপাধি বা বিশেষণ প্রচার করে জনসাধারণকে কি বুঝাতে চাহেন ??

Monday, March 7, 2016

আইনস্টাইনের চোখে ধর্ম এবং বিজ্ঞান

আমাদের দেশে শিক্ষার কাছ থেকে বিজ্ঞানকে দূরে ঠেলে রাখার এক আত্মঘাতী প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। দেশে এমনিতেই শিক্ষার হার কম। তার উপর বিজ্ঞান শিক্ষা দিন দিন কমতে কমতে একেবারে তলানীতে এসে ঠেকেছে। শহর কেন্দ্রিক মুষ্টিমেয় কিছু ধনী শিক্ষার্থী ছাড়া বিজ্ঞান নিয়ে কেউ পড়তে চায় না। আর এই ধনীদের বিজ্ঞান পড়ার উদ্দেশ্য ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার হওয়া। কেউ বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য বিজ্ঞান পড়েন না।

বিজ্ঞান শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলে কি হবে। ধর্ম শিক্ষায় আমরা প্রাণপাত করে ফেলি। ধর্ম শিক্ষায় শিক্ষিত করে একজন শিক্ষার্থীকে গোঁড়া ধার্মিক বানিয়ে  ফেলার চেষ্টা করা হয় ।অপরদিকে মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণে আমরা যে  শ্রম ও অর্থ ব্যয় করি তার কানাকড়িও বিজ্ঞানাগার বা গবেষণাগার নির্মাণে ব্যয় করি না। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য তো নয়ই। ধর্ম শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা করা। ধর্ম শিক্ষায়ও বিজ্ঞানকে আনা প্রয়োজন।নিদেনপক্ষে বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলি সবাইকে পাঠদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সোয়াব কামানো কিংবা নাম কামানোর উদ্দেশ্যে ফ্রি এতিমখানা, ফ্রি মাদ্রাসা, ফ্রি মসজিদ করে সারা বাংলাদেশ সয়লাব করে দেই ,কিন্তু একটি ফ্রি বিজ্ঞান স্কুল করতে পারি না।যদিও নবীর বনী বিশ্বাস করি,“জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদুর চীন দেশে যাও!”যদিও আমরা টাকা অর্জনের জন্য মালএশিয়ার বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াই বা সমূদ্রে আত্ম হুতি দেই অমূল্য প্রান।আমাদের দেশটাও যে মালএমিয়ার মতো হতে পারে সেজন্য উপযুক্ত জ্ঞান অর্জনের শিক্ষালয় আকাংখা আশা পোষন করাতে সচেষ্ঠ নই।বর্তমানে জ্ঞান বিজ্ঞানের অর্জনের প্রধান মাধ্যম ইন্টারনেট।কিন্তু ইন্টানেট টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হয়।যা এই গরীব দেশে অধিকাংশ মানুষের পক্ষে ব্যয়বহুল।আমার মতে  ইন্টারনেট ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে একদম ফ্রি করে দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের এক কোটি মাধ্যমিক শিক্ষার্থী যদি বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তি হতে চায় প্রত্যেককে ফ্রি পড়াতে হবে।আর সকল নাকরীকদের ফ্রি ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। প্রতিটি স্কুলে যারা বিজ্ঞান পড়তে চায় তাদের ভর্তুকি দিয়ে পড়িয়ে বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়ে তোলার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
ভূমিকাটি বেশি দীর্ঘ করব না। আজ আমি বিজ্ঞানের এমন একটি সূত্রের কথা বলব যা দ্বারা এ বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
সূত্রটি এই-
E = mc2
(ই ইকুয়াল টু এমসি স্কয়ার)
এখানে E = Energy
m = mass
c২ = Square time of velocity.
আলোর বর্গের গতিতে কোন বস্তু গতিলাভ করলে সে নিজেই একটি শক্তিতে পরিণত হয়। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আলোর গতিতে কোন বস্তু ছুটতে পারবে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আমি কর্পোরেট দৃষ্টিকোণ থেকে বলি-
E = Energy
m = money
c2 = Square time of corporate world.
এবার বিশ্লেষণে আসি। বর্তমান বিশ্বে শক্তি হচ্ছে পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদী ব্যক্তি এবং রাষ্ট্র মানেই শক্তি।
এই শক্তি অর্জন করতে হলে দরকার মানি বা অর্থ। ছলে বলে কৌশলে এই অর্থ অর্জন করতে হবে।
আর সি বা কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড হচ্ছে এই পুঁজির নিয়ন্ত্রণকারী। বর্তমান বিশ্বে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে কর্পোরেট জগত আগ্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে।
আমি শিক্ষার ক্ষেত্রে সূত্রটিকে একটু ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করি-
E = Education
m = manpower
c2 = square time of computer education
শিক্ষাকে যদি একটি বড় শক্তি ধরি তাহলে আমাদের দেশের পুরো জনগোষ্ঠীকে তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। ভবিষ্যতের দুনিয়া হবে  তথ্যসমৃদ্ধ দুনিয়া। এই তথ্য শক্তির সাথে পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা পরাজিত হবে।
ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে তথ্যযুদ্ধ।অর্থাত যে জাতি যতো বেশী তথ্য জানবে সে জাতি জয়ী হবে।
ধরা যাক আমেরিকা পারমাণবিক বোমার ভয় দেখিয়ে বিশ্বে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। এই বোমার ভয়ে বিশ্বের তাবৎ তাবৎ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো আমেরিকাকে ভয় করে চলছে। এই পারমাণবিক বোমাটি আর কিছুই নয়। ই ইকুয়ালটু এমসি স্কয়ারের কারসাজি। এই সূত্র দ্বারা আবিষ্কৃত শক্তির ভয়েই বিশ্ব কুপোকাৎ। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই সূত্রটি বাস্তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৩% সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। লক্ষ্য করুন এখানে কিন্তু ১০০% বলা হয়নি। আরও ০.০০০০০০০০৭% সম্ভাবনা থেকে যায়। আর মহাবিশ্বের কাছে এই রহস্যটুকুই .. সর্বশক্তিমান।

Sunday, March 6, 2016

কাঁচা ডিম কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?

কাঁচা ডিম কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?
অ্যাকশনধর্মী বিদেশি ছবিতে দেখা যায়, রাফ অ্যান্ড টাফ হিরো কিংবা ভিলেন বিয়ারের কৌটোতে কাঁচা ডিম ছেড়ে প্রচণ্ড বিলাসে ঢক-ঢক করে পান করছে। আবার বিশালদেহী কোনো পালোয়ানকে দেখা যায় বুক ডন দেয়ার পর একের পর এক কাঁচা ডিম পরম তৃপ্তিতে মুখে পুরছেন।

এ দৃশ্যগুলো কাঁচা ডিমের শক্তিমত্তা নির্দেশ করার জন্যই নিবেদন করা হয়ে থাকে। কাঁচা ডিম সম্পর্কে উচ্চ ধারণা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে।
কিন্তু সিদ্ধ কিংবা ভাজা ডিমের চেয়ে কাঁচা ডিম বেশি পুষ্টিকর- এটি একটি প্রচলিত ভ্রান্ত বিশ্বাস।

প্রকৃতপক্ষে সত্যি বিষয়টি হলো, কাঁচা ডিম সম্পর্কে এতটা উচ্চমত পোষণ না করাই ভালো। ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হযে কাঁচা ডিম খেলে তা উল্টো স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে।

স্বাস্থ্যহানির কারণ এই যে,
প্রথমত, কাঁচা ডিম রান্না করা ডিমের মত সহজে হজম হয় না। ডিমের সাদা অংশটিতে থাকে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিন। কাঁচা অবস্থায় ডিমের সাদা অংশের মধ্যে পরিপাকবিরোধী ক্ষমতা থাকে, যা উত্তাপে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সিদ্ধ বা ভাজা ডিম সহজে হজম হয়।

দ্বিতীয়ত, কাঁচা ডিম খেলে শরীর বায়োটিন নামক ভিটামিন ‘বি’ গ্রুপের একটি ভিটামিন থেকে বঞ্চিত হয়। এই বায়োটিন ডিমের সাদা অংশে উপস্থিত প্রোটিন, এভিডিন-এর সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় থাকে। এভিডিন-বায়োটিন এর যুক্ত মিশ্রণ পরিপাকতন্ত্রে শোষতি হয় না বা । কিন্তু ডিম সিদ্ধ করলে উত্তাপে এই যুক্ত মিশ্রণটি ভেঙ্গে এভিডিন এবং বায়োটিন পৃথক হয়ে যায় এবং তখন বায়োটিন পৃথকভাবে পরিপাকতন্ত্রে শোষিত হতে পারে।

তৃতীয়ত,গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টরা বলছেন, কাঁচা ডিম খেলে শরীরে বায়োটিনের অভাব হতে পারে। বায়োটিনের অভাবজনিত এই অবস্থার নাম- এগ হোয়াইট ইনজুরি। উদ্ভুত এ অবস্থার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- ত্বকের প্রদাহ, চুলপড়া, ওজন হ্রাস, জিহ্বার রুক্ষতা, বিক্ষিপ্ত চলনভঙ্গী ইত্যাদি।

চতুর্থত ,কাঁচা ডিম নিয়ে সমস্যা আরো আছে। খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটায় এমন ব্যাকটেরিয়ার উপযুক্ত বাসস্থান হচ্ছে কাঁচা ডিম। এ রকম একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম সালমোনেলা, যা ডিমের খোলসে অবস্থিত অতিক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে ডিমের ভিতরে ঢুকে পড়ার ক্ষমতা রাখে। ডিম প্রসবের পর তা কোনো নোংরা, ময়লা মাটি কিংবা হাঁস-মুরগির বিষ্ঠার মধ্যে পড়ে থাকলে এই সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া ডিমের মধ্যে ঢুকে পড়ার সুযোগ পায়। আর সালমোনেলাযুক্ত ডিম খেলে সংক্রমণে হঠাৎ বমি, পেটের পীড়া থেকে শুরু করে টাইফয়েড পর্যন্ত হতে পারে। অথচ ডিম ভালোভাবে রান্না করলে অর্থাৎ ৫-৭মিনিট গরম বা সিদ্ধ করলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু হালকাভাবে গরম করা মিনিট তিনেক এর ওমলেট এবং পোচ করা সালমোনেলা সংক্রমিত ডিমের সালমোনেলা ধ্বংস নাও হতে পারে।

তবে সব ডিমে যেহেতু সালমোনেলা থাকে না, এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। শুধুমাত্র অপরিষ্কার স্থানে পড়ে থাকা ডিমেই এই জীবাণু থাকতে পারে। তাছাড়া পরিচ্ছন্ন স্থানে ডিম পাড়ার ব্যবস্থা থাকলেও এই ঝুঁকি থাকে না। এ কারণে ডিম ধুয়ে রাখাই ভালো।
 কাজেই কাঁচা ডিম নয় ওমলেট, ভাজা কিংবা সিদ্ধ ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যসম্মত।

Thursday, March 3, 2016

নারীদের যে ১০টি বিষয় পুরুষরা বুঝতে পারেন না!

নারীদের যে ১০টি বিষয় পুরুষরা বুঝতে পারেন না!

নারী-পুরুষের মধ্যে প্রেম চীরন্তন।তার পরেও নারী-পুরুষের মধ্যে প্রায়ই দ্বন্দ্ব হয়। নানান কারণে নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যায় না।তবে একটা কথা প্রায় শোনা যায়, নারী নাকি রহস্যময়ী। কিন্তু কেন?

রহস্যময়ী মানে নারী সম্পর্কে বেশ কিছু দিক আছে যা পুরুষ বুঝতেও পারেন না। তাহলে সেগুলো কোন বিষয়? নারীর কি কি বুঝতে পারেন না পুরুষকুল? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই গোপন কথা।
১। একটি জিন্‌স বা টপ কিনতে কেন সাড়ে ৩৩ ঘণ্টা লাগে?

২। এমনিই যদি সুন্দরী, তা হলে এত্তো মেক-আপ করার প্রয়োজন কী?

৩। থেকে থেকেই ‘‘আমাকে কি মোটা লাগছে’’ জানতে চাওয়ার কারণ কী?

৪। কাঁদলেই কেন নাক দিয়ে ফ্যাচ-ফ্যাচ করে জল বেরোয়?

৫। স্নান করতে কী লাগে? জল, সাবান, শ্যাম্পু, তোয়ালে। বাথরুমে তা হলে এত কিছু়র বোতল, প্যাকেট কীসের?

৬। ‘‘ছবি তুলব’’ বললেই কেন হাসি-হাসি মুখে পোজ দিতে হয়? স্বাভাবিক অবস্থায় তো ছবি আরও সুন্দর ও জীবন্ত হয় বলেই শোনা যায়।

৭। সুন্দরী হলে, তার উপরে সাজলে তো সকলেই তাকাবেন। বিশেষত পুরুষকুল। তা হলে পাল্টা কটাক্ষে ‘‘অসভ্য’’ বলা কেন?

৮। বিছানায় বালিশের ডাঁই। কিন্তু টিভি দেখার সময়ে সোফায় এত বালিশ কী করে?

৯। সব সাবান-শ্যাম্পুই নাকি এক !-এমন অভিযোগ করেন হামেশাই। তবু কেন এত ব্র্যান্ডের এত ভ্যারাইটি সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার করা?

১০। রাতে ঘুমনোর সময়ে এত ধরনের ক্রিম ইত্যাদি মাখার প্রয়োজন কী?

- এ ওয়ান নিউজ

Monday, February 29, 2016

লিপ ইয়ারের মজার ইতিহাস জেনে নিন
























লিপ ইয়ারের মজার ইতিহাস জেনে নিন

গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৪ বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত একটি দিন যোগ করে আমরা তাকে অধিবর্ষ বা লিপইয়ার বলি। এর কারণ হিসেবে রয়েছে সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘোরার সময়কাল। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

আমরা হিসাব করি ৩৬৫ দিনে এক বছর অর্থাৎ পৃথিবী সূর্যের চার দিকে একবার ঘুরে আসে ৩৬৫ দিনে। কিন্তু বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড, অর্থাৎ পৃথিবীর এই সময়টুকু লাগে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি বছর আমরা ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময় পিছিয়ে যাচ্ছি হিসেবে না ধরার দরুন। ফলে চার বছর পরে এই বাদ যাওয়া সময়টুকু প্রায় ২৪ ঘণ্টায় পরিণত হয় আর সেই ২৪ ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্যই লিপইয়ারের আবিষ্কার।

বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। কিন্তু অতীতে এটি জানা ছিল না। এতে অতীতে ফসল তোলার সময়সহ নানা কার্যক্রম নির্ধারণে বছরের কোনো ধারাবাহিকতা থাকত না। এ সমস্যাটি প্রাচীন মিশরীয়রা ধরতে পারে। এ কারণে তারা বছরের শেষে কয়েকদিন উৎসব করা শুরু করে। যদিও এতে সমস্যা দূর হয়নি।

রোমানরা এ সমস্যা মোকাবেলায় প্রতি বছরেই অনিয়মিতভাবে দিন যোগ-বিয়োগ করতে থাকে। ফলে মূল বিষয়টি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার এবং তার সহকারী জ্যোতির্বিদ সোসিজেনিস ৩৬৫ দিনে এক বছর হবে বলে নতুন গণনা পদ্ধতি শুরু করেন। ৩৬৫দিনে বছর গণনা করার ফলে বাদ যাওয়া ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময়কে হিসেবে ধরার জন্য ৪ বছর পর পর ৩৬৬ দিনে একটি বছর গণনা করা হবে বলে ঠিক করলেন, সেটাই আজকের এই লিপ ইয়ার।
  সূত্র এ ওয়ান নিউজ

ধর্ষণের শীর্ষে থাকা ১০ দেশ, কোন মুসলিম দেশ নেই

ধর্ষণের শীর্ষে থাকা ১০ দেশ, কোন মুসলিম দেশ নেই
বিশ্বজুড়ে ক্রমশই ধর্ষণ বা নারী নিগ্রহের মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে। উন্নত দেশগুলোতে সেই সব ধর্ষণের খবর নজরে আসলেও অনুন্নত দেশগুলিতে অধিকাংশ ধর্ষণের খবর চাপা পড়ে যায়। সম্মানহানির ভয়ে অনুন্নত দেশে অনেক মহিলাই ধষর্ণ বা যৌ ন নিগ্রহের খবর পুলিশে জানান না। ফলে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ঘটে চলা ধর্ষণের বা নারী নিগ্রহের ঘটনার তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করা বেশ কঠিন। তবু সরকারি এবং বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে আসে তা রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার মতো।
 দেখে নেওয়া যাক ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় শীর্ষে থাকা ১০ দেশের তালিকা।
 ১. দক্ষিণ আফ্রিকা তালিকার শীর্ষে থাকা এই দেশে প্রতিবছর পাঁচ লক্ষ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪০ শতাংশ মহিলা জীবনে একবার ধর্ষিত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী ৯ জন ধর্ষিতার মধ্যে মাত্র এক জন পুলিশে খবর দেন।
 ২. সুইডেন ধর্ষণের ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার পরই রয়েছে সুইডেন। প্রতিলাখে ৫৩.২ শতাংশ মহিলা ধর্ষিত হন। ধর্ষণের ঘটনাও বেড়েছেও লাফিয়ে লাফিয়ে। ১৯৭৫ সালে যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৪২১ জন, সেখানে ২০১৪ সালে ধর্ষণের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৬,৬২০-তে।
 ৩. যুক্তরাষ্ট্র জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যায়ের সমীক্ষা অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি তিন জন মহিলার মধ্যে এক জন তাঁদের জীবনে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। সে দেশে ১৯ শতাংশ মহিলা এবং ২ শতাংশ পুরুষ তাদের জীবনে অন্তত একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
 ৪. ইংল্যান্ড এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী এ দেশে ধর্ষণের সময় শুধু পুরুষের লিঙ্গ ব্যবহার করা হয় না। আঙুল বা অন্য কোনো বস্তু ব্যবহার করে ধর্ষণ করা হয়। ২০১৩ সালে প্রকাশিত হওয়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর ইংল্যান্ড এবং ওয়ালসে ৮৫ হাজার মানুষ ধর্ষিত হন।
 ৫. ভারত জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রতি ২০ মিনিটে একজন নারী ধর্ষিতা হন। অধিকাংশ নিগৃহীতার বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
 ৬. নিউজিল্যান্ড এ দেশের ন্যায় মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রির্পোট অনুযায়ী প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর একজন যৌন হেনস্থার শিকার হন। এই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতি তিন জন বালিকার মধ্যে একজন এবং প্রতি ছয়জন বালকের মধ্যে ১ জন তাদের ১৬ বছর বয়েসের আগেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে।
 ৭. কানাডা  একটি সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কানাডায় প্রতিবছর ৪ লাখের বেশি মানুষ যৌন হেনস্থার শিকার হন। প্রতি চারজন মহিলার মধ্যে অন্তত এক জন তাদের জীবনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ পুলিশের রিপোর্ট করেন। 
৮. অস্ট্রেলিয়া একটি সংবাদমাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি ৬ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ধর্ষণের শিকার হন। ২০১২ সালে ৫১,২০০ জন তাদের ১৮ বছর বয়েসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
 ৯. জিম্বাবুয়ে এ দেশে প্রতি ৯০ মিনিটে একজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন। জিম্বাবুয়ের সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০০ জন এবং দিনে ৬ জন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন।
 ১০. ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড একটি মানবাধিকার সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী ডেনমার্কে ৫২ শতাংশ মহিলা এবং ফিনল্যান্ডে ৩৭ শতাংশ মহিলা ধর্ষণের শিকার হন।

-আমার দেশ

Friday, April 22, 2016

।।জাঁহাপনা ঈমানদার ।।



।।জাঁহাপনা ঈমানদার ।।
কৃষক আর্জি জানালেন,-
জাঁহাপনা ঈমানদার !
কাঁদে না আপনার পরা?
ফসলের মাঠ আজ জলাশয়,
শক্ত বাঁধ হলো না কেন মহাশয়?
জাঁহাপনা ঈমানদার !
কে জামিনদার ?’

জাঁহাপনা হুঙ্কার দিলেন,
জলের কাজ জলে করেছে
মাটির বাঁধের তাতে দোষ কি রে ?
প্রশ্ন করিস আমার তরে !
দুঃসাহস তোর, সকলি ডরে !
আল্লাহর ধর্ম আল্লাহ করেছে
তোর কি তাতে যায় আসে !?’

কৃষক হাতজোড় করি কহিলেন,-
মাফ করিবেন সমাজ পতি,
আপনার বিনা নেই যে মোর গতি ।

অতপর মহাশয় ছবক দিলেন,-
ফিরে যা !সদা জপা চাই মোর জয় গান,
তাতেই তোর বাঁচবে জীবন মান

অবশেষে কৃষক আসিলেন ফিরে
মহাশয়ের মহা বানী নিয়ে, ধীরে।
জাহাপনা ঈমানদার !
জয়ের মালা বারংবার !

Thursday, April 7, 2016

পৌরসভার স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং জনগণের সুস্বাস্থ্য!?

পৌরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা পৌরসভার সেবার অন্তভূক্ত।
এক্ষেত্রে পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে পরিচ্ছন্ন শাখার একটি কাজ হলো-
ড্রেন নিয়মিত পরিস্কার করা ।
যাতে ড্রেনের ময়লাগুলো উপচে রাস্তায় চলে না আসে।
 ড্রেন পরিষ্কার করার সময় রাত ১০.০০ টা থেকে  ভোর ৫.০০ টা  পর্যন্ত হওয়া উচিৎ এবং
ড্রেনের ময়লা গুলো উক্ত সময়ের মধ্যে অপসারন করা জরুরী ।
যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয়, জনগণের কোনরূপ অসুবিধা না হয় বা জনস্বাস্থের জন্য হুমকি না হয়।
কিন্তু জনগণের এসকল জনস্বাস্থ্য সম্পর্কীত নিয়মগুলি কি পৌরসভা খেয়াল করেন ? পালন করেন ?
যেমন সুনাম গঞ্জের দিরাই পৌরসভার ড্রেনের ময়লা গুলো তুলা হচ্ছে দিনের বেলা জনগণের চলাচলের মধ্যে এবং
 ড্রেনের ময়লা গুলো রাস্তার পাশে স্তুপিকৃত করে রাখা হচ্ছে,সংগে সংগে অপাসারণ করা হচ্ছে না।
যে ময়লাগুলোতে সবচেয়ে বেশী রোগ জীবনু বাস করে।
কিন্তু রাস্তার পাশে ড্রেনের ময়লা রাথার কারণে দূগন্ধে ভরে যাচ্ছে পরিবেশ ।
অস্বাস্থ্যকর পৌরবাসির চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে ।
বৃষ্টি হচ্ছে,বৃষ্টির পানি ড্রেনের ময়লা রোগজীবানু ছড়িয়ে যাচ্ছে আশে পাশে ।
উম্মুক্ত ভাবে ফেলে রাখা ময়লা গুলো দিনের পর দিন
ড্রেনের ময়লাতে মাছি বসছে ।
সে মাছি উড়ে গিয়ে বসবে সংলগ্ন হোটেলের কোন মানুষের খাবারের প্লেটে।
সে খাবার খেয়ে মানুষ সহজেই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
উ্ন্নয়নের জন্য ড্রেন দেয়া হয় যাতে মল, ময়লা মাটির তল দিয়ে অপসারিত হয়ে যায়।
সে ময়লা যদি জনগণের চলাচলের রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয় ,
তবে কি বলা যায় না এরুপ উন্নয়নের অব্যবস্থাপনা বুমেরাং হয়ে দূর্ভোগ বাড়াচ্ছে জনগণের ?
সরকার বাহাদুর কর্তৃক জনগণকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিপুল পরিমান টাকা ব্যয় করেন ।
জনগণের স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার জন্য বহুল প্রচারণা চালান।

কিন্তু জনগণের স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান গুলো কি এ ব্যাপারে সচেতনতার পরিচয় দিতে পারছেন ?
যদি একটি গুরুত্বপূর্ন স্থানীয় সরকার এর প্রতিষ্ঠান জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
তবে জনগণ কিভাবে স্বাস্থ্য সচেতন হতে পারেন ?

Saturday, April 2, 2016

একটি প্রতিবাদ সভার পরিণতি

এক বনে এক বাঘ বাস করতো।
বাঘটি খুব হিংস্র ও শক্তিশালী ছিল।
বাঘটি যখন তখন নিরীহ পশুদের হত্যা করতো ।
পশুর কিছু রক্ত মাংস খেতো বাকিটা ফেলে রাখত।
বাঘের শিকার করা অবশিষ্ট পুশুর দেহ হায়নারা খেত।
এজন্য বাঘটি সকল পশুদের জন্য ত্রাসের কারণ হলেও হায়নারা বাঘটিকে পছন্দ করতো ।

কারণে অকারণে একর পর এক নিরীহ পশুরা বাঘের হত্যার শিকার হওয়ার প্রেক্ষিতে,
নিরীহ পশুরা অসহায় হয়ে হাতির কাছে এর প্রতিকার চাইল ।
কারণ বনে হাতী তাদের স্বগোত্রীয় তৃণভোজী সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী এবং অকারণে কারো ক্ষতি করে না।
ছাগল বনগরু হরিণ খরগোস ইত্যাদি তৃণভোজী প্রাণিদের অকারণ জীবন হাণী রোধ করার জন্য হাতি প্রতিবাদ সভার আহ্বান করলো ।

যথা সময়ে প্রতিবাদ সভা শুরু হলো ।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধল সভাপতি পদ নিয়ে ।
তৃণভোজী প্রাণীরা হাতিকে প্রতিবাদ সভার সভাপতি হিসাবে দাবি করলো।
কিন্তু হায়নারা সভাপতি হিসাবে বনের রাজা বাঘকেই পদাধিকার বলে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করলো।
হায়নারা শক্তিশালী ও হিংস্র এবং বনের রাজা বাঘকে সভাপতি হিসাবে না মানলে আরো বিপত্তি হতে পারে একথা ভেবে পশুরা হায়নাদের প্রস্তাব মেনে নিল।
হাতি অভিযুক্ত বাঘকে প্রতিবাদ সভার সভাপতি হিসাবে মেনে নিতে পারলো না ।
কিন্তু হাতি দেখতে পেল কেউ আর কোন প্রতিবাদ করছে না।
এমতাবস্থায় হাতি সভাস্থল ত্যাগ করবে কি না চিন্তা করল?
কিন্তু পরক্ষণেই ভাবল হঠাৎ করে সভাস্থল ত্যাগ করা উচিৎ হবে না ,
এবং নিরীহ পশুদের রক্ষার সুযোগ পাবার আশায় হাতি সভাস্থলে রয়ে গেল।

সভা শুরুর প্রারম্ভে নিরীহ তৃণভোজী প্রানীরা তাদের বক্তব্যে বাঘ কর্তৃক তাদের অকারণ জীবন হাণীর করুণ কাহিনী তুলে ধরলো এবং এরুপ অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকার জন্য জোর দাবী করলো।
এরপর হায়নারা বললো যে,
‘কারো খাবারের উপর কারো নিষেধাজ্ঞা করা অন্যায় ও অমানবিক তাছাড়া তিনি বনের রাজা,তার বিরোদ্ধে এমন কথা উচ্চারণ করা সমীচীন নয়।বরং পশুদের সদা সতর্ক হয়ে চলাচল করা উচিৎ।অসতর্ক হওয়া তাদের উচিৎ নয় ।’
হায়না দলপতির বক্তব্যে সকল হায়নারা মনের আনন্দে হাততালি দিল।
হায়নাদের বক্তব্যের পর এবার হাতীর বক্তব্য দেয়ার পালা ।
হাতি তৃনভোজী প্রাণীদের রক্ষার জন্য জ্বালাময়ী বক্তব্য এবং দাবি পেশ করার প্রস্তুতি নিল।
কিন্তু সে সময় এক বন গরু বলে উঠল,
‘বনের রাজা বাঘ হতে তৃণভোজী পশুদের সমীহ সতর্ক হয়ে চলাফেরা করা উচিৎ। এমতাবস্তায় হায়নাদের বক্তব্য সমর্থন যোগ্য।’
গরুর বক্তব্যে হায়নারা সমর্থন করে খুব খুশী হয়ে তুমুল হাত তালি দিয়ে স্বাগত জানাল।
এসময় বাঘকেও খুশী হতে দেখা গেল ।
হায়নাদের হাততালি ও বাঘের খুশীতে গরু ভাবল হায়না ও বাঘ হতে আজ হতে সে নিরাপদ ।
এবং নিজেকে বাঘ ও হায়নাদের পক্ষের একজন ভেবে গর্বিত মনে করলো ।
গরুর বক্তব্যে হাতি খুব বিরক্ত দুঃখিত হলো এবং  বক্তব্য না দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে চলে গেল ।

সবশেষে সভাপতি বাঘ বয়ান করলেন,
আজকের এই প্রতিবাদ সভায় এটাই প্রমানীত হয়েছে যে,আমি পশু হত্যা করতে পারি না।কারণ আমি রাজা।সকল প্রজাদের সুবিধা অসুবিধা দেখা আমার কর্তব্য ।কিন্ত আমাকে খাদ্য গ্রহণ করা হতে বিরত রাখার ষড়যন্ত্র অমানবিক ।পশুদের সতর্ক হয়ে চলা উচিৎ,এটা শুধু আমার বক্তব্য নয় আপনারা দেখেছেন গরু মহাশয় আমার বক্তব্যে একমত ।আর এ বিষয়ে হাতি মহাশয়ের কোন দ্বিমত নেই বলেই তিনি সভাস্থল ত্যাগ করে চলে গেছেন।তাই সভার সিদ্ধান্ত হলো যে,আমি নির্দোষ, আমাকে খাদ্য গ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি করা অনুচিৎ ।অতএব তৃণভোজী পশুদের সতর্ক হয়ে চলাফেরা করা উচিৎ।আজকের প্রতিবাদ সভা এখানেই শেষ করা হলো।
হায়নাদের বিশাল করতালির উৎফুল্লের মধ্যে প্রতিবাদ সভা শেষ হলো।
তৃণভোজী নিরীহ প্রাণীদের প্রতিবাদ সভা কোন কাজে আসল না।

পরদিন বনের প্রান্তে একদল হায়নাকে একটি মৃত ও রক্তাক্ত গরুর দেহ ভক্ষন করতে দেখা গেল।
মৃত গরুটির কন্ঠনালী হিস্র বাঘের থাবায় ছিন্নভিন্ন ছিল।
যার ছিনার মাংস ও কলিজা ইতিপূর্বে আক্রমণকারী বাঘে খেয়ে নিয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল।
একটি ছাগল গাছের ডালে ভয়ার্ত সূরে ভ্যাঁ ভ্যাঁ ডাকছিল।
বাঘ যখন গরুটি শিকার করেছিল ছাগলটি সেটি প্রত্যক্ষ করেছিল ।
ভয়ে পাশের গাছে ডাল বেয়ে গাছে উঠে পরেছিল।
ছাগলের ডাকে অপর একটি গরু আসল।
এই সেই গরুটি যে প্রতিবাদ সভায় বলেছিল  ,
‘বনের রাজা হতে পশুদের সমীহ সতর্ক হয়ে চলাফেরা করা উচিৎ।’
গরুটি নিরাপদ দূরত্ব থেকে দেখতে পেল হায়নারা তার ভাইয়ের দেহ ছিড়ে খুড়ে খাচ্ছে ।
এ দৃশ্য দেখে গরুটির কোন ভাবান্তর হলো না বলে মনে হলো।
সেখানে তৃণভোজী প্রাণীদের প্রচুর উপকরণ থাকলেও কোন হাতি ছিল না।

Saturday, March 26, 2016

হে মহান স্বাধীনতা আপনি কি শুধু সুবিধা লাভকারীর সুন্দর স্লোগান

দিরাই বি এ ডি সি মাঠের স্বাধীনতা দিবস ২০১৬ এর প্যান্ডেল
অনেক জ্ঞানী গুণী ছোট বড় পদধারীদের মুখে স্বাধীনতার মহান বানী শুনা যায় ।
অপরদিকে দেশের গরীব মানুষ জানেন না স্বাধীনতার মানে ।
কারণ তাদের কাছে জীবন মানেই আক্ষেপের।
এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে,
১৯৭১ সালে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ।
কিন্তু দেশের রাজনীতি সব সময় সুবিধাভোগী দলীয় গন্ডিতে বন্ধী হয়ে রয়েছে।
দেশ শাসনে জনগণের কথা বলা হলেও কখনো জনগণের পক্ষের রাজনীতি করা হয় নি।
তাই জনগণ গনতন্ত্রের অর্থ কি তা আজো উপলাদ্ধ করতে পারেননি ,বুঝতে পারেননি।
যদিও গণতন্ত্রের কথা রাষ্ট্র ক্ষমতায় চর্চা করা হয়,প্রচার করা হয় ,কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না,এখনো পর্যন্ত জনগণ গনতন্ত্রের সুফল হতে বঞ্চিত রয়েছেন।গণতন্ত্র এমন একটি বিষয় যেখানে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হয়।এটা শুধু ভোট দিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার মধ্যে সীমাবন্ধ নয়।তবে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে ভোট প্রদানে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা গণতন্ত্রের একটি প্রধাণ শর্ত।বর্তমানের বাংরাদেশে এই শর্তটিও পালন করা হয় না।
আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় বর্তমানে দেশে দুই ধরণের রাজনীতি চালু আছে ।
একদল ক্ষমতাবান ও সুবিধা প্রাপ্ত !
অপর দল ক্ষমতার বাহিরে সুবিধা বঞ্চিত।
স্বভাবতই এই দুই ধরণের রাজনীতিতে জনগণের অংশগ্রহণ সীমিত।
যদিও মুক্তিযুদ্ধে দেশের প্রায় সকল জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

এই দুই ধরনের রাজনীতিতে সহজাত ভাবে নিরুপায় সাধারণ মানুষ বাঁচার তাগিদে সুবিধা অর্জনের পক্ষে আকৃষ্ট হচ্ছেন।কারণ দুই পক্ষের মধ্যে জনগনের জন্য রাজনৈতিক চর্চার অভাব থাকায় শুধু ক্ষমতা কেন্ত্রীক বিরোধিতা বজায় রাখা হচ্ছে, অপর পক্ষ রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে পারছেন না।অর্থাৎ সামগ্রিক বিষয়টি দুই পক্ষের ক্ষমতা কেন্ত্রিক হওয়ায় জনগণের কোন উপকারে লাগছে না।
এ কারণে দিন দিন বাংলাদেশে সুবিধাবাদী রাজনীতির পাল্লা ভারী হচ্ছে।
এই সুবিধাবাদী রাজনীতি শুধু আদালতকে স্পর্শ করতে না পারলেও দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করছে ।
এই কারনে সাধারণ জনগণের অধিকার ক্রমশ: সংকোচিত হয়ে যাচ্ছে ।
পাশাপাশি নেতাদের দেশ ও জনগণের জন্য নীতি ও ত্যাগের রাজনীতি বিলুপ্ত হচ্ছে।
মহান জনদরদী নেতা হওয়ার পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এরূপ ধারাবাহিকতায় বর্তমানের রাজনীতির যে সকল আদর্শবাদী কথা বলা হয় তা জনগণের কোন উপকারে আসছে না।
এ্ই কারণে জনগণের মনে এই ধারণা জন্ম নিতে পারে যে, সে অতীত ইতিহাস শুধু প্রচারণায়,যা তাদের কোন উপকারে লাগে না আর এই সুবিধাবাদী রাজনীতির কারণে অতীতে দেশের মহান নেতাদের হত্যা করা হয়েছে।আর বর্তমানে সেই রকম মহান নেতার প্রচন্ড অভাব রয়েছে এবং সেই মহান নেতাগুলো এতটাই মহান ও বড় ছিলেন যে,সে রকম নেতার আবির্ভাব বাংলাদেশে আর কখনো হবে না বা হতে পারে না।
জনগণের মনে এরকম ধারণার বিকাশ পরোক্ষভাবে সুবিধাবাদী রাজনীতিকেই উৎসাহিত করছে।
ফলে জনপ্রতিনিধিদের জনসেবার পরিবর্তে ক্ষমতা,টাকা অর্জন ও পেশী শক্তিই মুখ্য হয়ে উঠছে।
আর জনগণকে উদাহরণ সৃষ্টি করে বুঝানো হচ্ছে যে,টাকা,ক্ষমতা ও পেশী শক্তি ছাড়া নেতা হওয়া যায় না।
কিন্ত এই সমস্তের অনুশীলন জনগণকে হতাশ করছে এবং মেনে নেয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকছে না।এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণের আত্ম সামাজিক উন্নয়নে বাস্তবিক অর্জনের পথে হতাশাজনক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
যা একটি জাতি গঠনে প্রধান অন্তরায় হিসবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ।
তারই প্রমাণ করতেই যেনো ,জন প্রতিনিধি নির্বাচন কালে সংঘর্ষে মারা যাচ্ছে মানুষ আর এর অশুভ কবল খেকে নিজ দলের মানুষেরও জীবন হানি ঘটছে।
যা একটি দেশের জন্য সত্যি দুঃখ জনক।
তাই এই প্রেক্ষিতে বলা যায়,
হে মহান স্বাধীনতা আপনি কি শুধু সুবিধা লাভকারীর সুন্দর স্লোগান !

Friday, March 25, 2016

সিমে Flexiplan ছাড়াও ইন্টারনেট MB এর মেয়াদ ১ মাস বাড়ান মাত্র ১.১৮ টাকা খরচ করে

সিমে Flexiplan ছাড়াও MB এর মেয়াদ ১ মাস বাড়ান। মাত্র ১.১৮ টাকা খরচ করে।
Flexi plan দিয়ে এখন ৪ টাকা দিয়ে এক মাস মিয়াদ বাড়ানো যায় না্ । তো কি হয়েছে ?
 বাড়িয়ে নিন জিপির মেইন এমবির মেয়াদ ৩০ দিন ।
নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন।

Step-1 |
 প্রথমে নেট ডিএক্টিভ করুনঃ
*5000*0*4*3# অথবা মেসেজ অপশনে
STOP
লিখে 5000 সেন্ড করুন অথবা 5000 এ কল
করে নেট ডিএক্টিভ করেন।
 একটা মেসেজ আসবে।
 মেসেজ আসার পর নিচের ২য় ধাপ ফলো করেন।

Step-2 |
 তারপর ইজিনেট চালু করুন
ফ্রিতেঃ Easy net এক্টিভ করতে ডায়াল
করুন *5000*55# একটা মেসেজ আসবে।
মেসেজ আসার পর নিচের ৩য় ধাপ ফলো
করেন।

Step-3 |
 ডায়াল করে এর পর Social পেক চালু
করেন এক দিনেরটা আজ করুন
*5000*8*1*1*2#। একটা মেসেজ আসবে।
এরপর
*৫৬৬*১০# ডায়াল করে দেখেন এক মাস
বেড়ে গেছে মেয়াদ!

Saturday, March 12, 2016

সিংহ পূরুষ যখন উপাধি



আজকাল নেতার অনুসারীগণ জনসাধারনের কাছে নেতাদের আরো বড় করে  প্রচার ও প্রকাশ করার জন্য ‘সিংহ পূরুষ’ বিশেষণটি প্রয়োগ করা হয় ।
 
যেমন ভাটির বাংলার সিংহ পূরুষ ।

কিন্তু সিংহ একটি হিস্র প্রাণী ।
সিংহ নিরীহ তৃণভোজী প্রানীদের হত্যা করে রক্ত মাং খায় ।
ক্ষুধার্ত সিংহ নিজের বাচ্চাদের খেয়ে ফেলতে দ্বিধা করে না।
অর্থাৎ সিংহ এমন একটি হিংস্র প্রাণী যার হিংস্রতায় কেহ নিরাপদ নয়,এর হিস্রতায় আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ।

যদি তাই সত্য  হয় ,তাহলে নেতার অনুসারীরা নেতাকে ‘সিংহ পূরুষ’ উপাধি বা বিশেষণ প্রচার করে জনসাধারণকে কি বুঝাতে চাহেন ??

Monday, March 7, 2016

আইনস্টাইনের চোখে ধর্ম এবং বিজ্ঞান

আমাদের দেশে শিক্ষার কাছ থেকে বিজ্ঞানকে দূরে ঠেলে রাখার এক আত্মঘাতী প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। দেশে এমনিতেই শিক্ষার হার কম। তার উপর বিজ্ঞান শিক্ষা দিন দিন কমতে কমতে একেবারে তলানীতে এসে ঠেকেছে। শহর কেন্দ্রিক মুষ্টিমেয় কিছু ধনী শিক্ষার্থী ছাড়া বিজ্ঞান নিয়ে কেউ পড়তে চায় না। আর এই ধনীদের বিজ্ঞান পড়ার উদ্দেশ্য ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার হওয়া। কেউ বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য বিজ্ঞান পড়েন না।

বিজ্ঞান শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলে কি হবে। ধর্ম শিক্ষায় আমরা প্রাণপাত করে ফেলি। ধর্ম শিক্ষায় শিক্ষিত করে একজন শিক্ষার্থীকে গোঁড়া ধার্মিক বানিয়ে  ফেলার চেষ্টা করা হয় ।অপরদিকে মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণে আমরা যে  শ্রম ও অর্থ ব্যয় করি তার কানাকড়িও বিজ্ঞানাগার বা গবেষণাগার নির্মাণে ব্যয় করি না। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য তো নয়ই। ধর্ম শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা করা। ধর্ম শিক্ষায়ও বিজ্ঞানকে আনা প্রয়োজন।নিদেনপক্ষে বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলি সবাইকে পাঠদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সোয়াব কামানো কিংবা নাম কামানোর উদ্দেশ্যে ফ্রি এতিমখানা, ফ্রি মাদ্রাসা, ফ্রি মসজিদ করে সারা বাংলাদেশ সয়লাব করে দেই ,কিন্তু একটি ফ্রি বিজ্ঞান স্কুল করতে পারি না।যদিও নবীর বনী বিশ্বাস করি,“জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদুর চীন দেশে যাও!”যদিও আমরা টাকা অর্জনের জন্য মালএশিয়ার বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াই বা সমূদ্রে আত্ম হুতি দেই অমূল্য প্রান।আমাদের দেশটাও যে মালএমিয়ার মতো হতে পারে সেজন্য উপযুক্ত জ্ঞান অর্জনের শিক্ষালয় আকাংখা আশা পোষন করাতে সচেষ্ঠ নই।বর্তমানে জ্ঞান বিজ্ঞানের অর্জনের প্রধান মাধ্যম ইন্টারনেট।কিন্তু ইন্টানেট টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হয়।যা এই গরীব দেশে অধিকাংশ মানুষের পক্ষে ব্যয়বহুল।আমার মতে  ইন্টারনেট ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে একদম ফ্রি করে দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের এক কোটি মাধ্যমিক শিক্ষার্থী যদি বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তি হতে চায় প্রত্যেককে ফ্রি পড়াতে হবে।আর সকল নাকরীকদের ফ্রি ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। প্রতিটি স্কুলে যারা বিজ্ঞান পড়তে চায় তাদের ভর্তুকি দিয়ে পড়িয়ে বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়ে তোলার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
ভূমিকাটি বেশি দীর্ঘ করব না। আজ আমি বিজ্ঞানের এমন একটি সূত্রের কথা বলব যা দ্বারা এ বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
সূত্রটি এই-
E = mc2
(ই ইকুয়াল টু এমসি স্কয়ার)
এখানে E = Energy
m = mass
c২ = Square time of velocity.
আলোর বর্গের গতিতে কোন বস্তু গতিলাভ করলে সে নিজেই একটি শক্তিতে পরিণত হয়। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আলোর গতিতে কোন বস্তু ছুটতে পারবে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আমি কর্পোরেট দৃষ্টিকোণ থেকে বলি-
E = Energy
m = money
c2 = Square time of corporate world.
এবার বিশ্লেষণে আসি। বর্তমান বিশ্বে শক্তি হচ্ছে পুঁজিবাদ। পুঁজিবাদী ব্যক্তি এবং রাষ্ট্র মানেই শক্তি।
এই শক্তি অর্জন করতে হলে দরকার মানি বা অর্থ। ছলে বলে কৌশলে এই অর্থ অর্জন করতে হবে।
আর সি বা কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড হচ্ছে এই পুঁজির নিয়ন্ত্রণকারী। বর্তমান বিশ্বে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে কর্পোরেট জগত আগ্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে।
আমি শিক্ষার ক্ষেত্রে সূত্রটিকে একটু ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করি-
E = Education
m = manpower
c2 = square time of computer education
শিক্ষাকে যদি একটি বড় শক্তি ধরি তাহলে আমাদের দেশের পুরো জনগোষ্ঠীকে তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। ভবিষ্যতের দুনিয়া হবে  তথ্যসমৃদ্ধ দুনিয়া। এই তথ্য শক্তির সাথে পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা পরাজিত হবে।
ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে তথ্যযুদ্ধ।অর্থাত যে জাতি যতো বেশী তথ্য জানবে সে জাতি জয়ী হবে।
ধরা যাক আমেরিকা পারমাণবিক বোমার ভয় দেখিয়ে বিশ্বে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। এই বোমার ভয়ে বিশ্বের তাবৎ তাবৎ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো আমেরিকাকে ভয় করে চলছে। এই পারমাণবিক বোমাটি আর কিছুই নয়। ই ইকুয়ালটু এমসি স্কয়ারের কারসাজি। এই সূত্র দ্বারা আবিষ্কৃত শক্তির ভয়েই বিশ্ব কুপোকাৎ। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই সূত্রটি বাস্তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৩% সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। লক্ষ্য করুন এখানে কিন্তু ১০০% বলা হয়নি। আরও ০.০০০০০০০০৭% সম্ভাবনা থেকে যায়। আর মহাবিশ্বের কাছে এই রহস্যটুকুই .. সর্বশক্তিমান।

Sunday, March 6, 2016

কাঁচা ডিম কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?

কাঁচা ডিম কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?
অ্যাকশনধর্মী বিদেশি ছবিতে দেখা যায়, রাফ অ্যান্ড টাফ হিরো কিংবা ভিলেন বিয়ারের কৌটোতে কাঁচা ডিম ছেড়ে প্রচণ্ড বিলাসে ঢক-ঢক করে পান করছে। আবার বিশালদেহী কোনো পালোয়ানকে দেখা যায় বুক ডন দেয়ার পর একের পর এক কাঁচা ডিম পরম তৃপ্তিতে মুখে পুরছেন।

এ দৃশ্যগুলো কাঁচা ডিমের শক্তিমত্তা নির্দেশ করার জন্যই নিবেদন করা হয়ে থাকে। কাঁচা ডিম সম্পর্কে উচ্চ ধারণা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে।
কিন্তু সিদ্ধ কিংবা ভাজা ডিমের চেয়ে কাঁচা ডিম বেশি পুষ্টিকর- এটি একটি প্রচলিত ভ্রান্ত বিশ্বাস।

প্রকৃতপক্ষে সত্যি বিষয়টি হলো, কাঁচা ডিম সম্পর্কে এতটা উচ্চমত পোষণ না করাই ভালো। ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হযে কাঁচা ডিম খেলে তা উল্টো স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে।

স্বাস্থ্যহানির কারণ এই যে,
প্রথমত, কাঁচা ডিম রান্না করা ডিমের মত সহজে হজম হয় না। ডিমের সাদা অংশটিতে থাকে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিন। কাঁচা অবস্থায় ডিমের সাদা অংশের মধ্যে পরিপাকবিরোধী ক্ষমতা থাকে, যা উত্তাপে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সিদ্ধ বা ভাজা ডিম সহজে হজম হয়।

দ্বিতীয়ত, কাঁচা ডিম খেলে শরীর বায়োটিন নামক ভিটামিন ‘বি’ গ্রুপের একটি ভিটামিন থেকে বঞ্চিত হয়। এই বায়োটিন ডিমের সাদা অংশে উপস্থিত প্রোটিন, এভিডিন-এর সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় থাকে। এভিডিন-বায়োটিন এর যুক্ত মিশ্রণ পরিপাকতন্ত্রে শোষতি হয় না বা । কিন্তু ডিম সিদ্ধ করলে উত্তাপে এই যুক্ত মিশ্রণটি ভেঙ্গে এভিডিন এবং বায়োটিন পৃথক হয়ে যায় এবং তখন বায়োটিন পৃথকভাবে পরিপাকতন্ত্রে শোষিত হতে পারে।

তৃতীয়ত,গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টরা বলছেন, কাঁচা ডিম খেলে শরীরে বায়োটিনের অভাব হতে পারে। বায়োটিনের অভাবজনিত এই অবস্থার নাম- এগ হোয়াইট ইনজুরি। উদ্ভুত এ অবস্থার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- ত্বকের প্রদাহ, চুলপড়া, ওজন হ্রাস, জিহ্বার রুক্ষতা, বিক্ষিপ্ত চলনভঙ্গী ইত্যাদি।

চতুর্থত ,কাঁচা ডিম নিয়ে সমস্যা আরো আছে। খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটায় এমন ব্যাকটেরিয়ার উপযুক্ত বাসস্থান হচ্ছে কাঁচা ডিম। এ রকম একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম সালমোনেলা, যা ডিমের খোলসে অবস্থিত অতিক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে ডিমের ভিতরে ঢুকে পড়ার ক্ষমতা রাখে। ডিম প্রসবের পর তা কোনো নোংরা, ময়লা মাটি কিংবা হাঁস-মুরগির বিষ্ঠার মধ্যে পড়ে থাকলে এই সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া ডিমের মধ্যে ঢুকে পড়ার সুযোগ পায়। আর সালমোনেলাযুক্ত ডিম খেলে সংক্রমণে হঠাৎ বমি, পেটের পীড়া থেকে শুরু করে টাইফয়েড পর্যন্ত হতে পারে। অথচ ডিম ভালোভাবে রান্না করলে অর্থাৎ ৫-৭মিনিট গরম বা সিদ্ধ করলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু হালকাভাবে গরম করা মিনিট তিনেক এর ওমলেট এবং পোচ করা সালমোনেলা সংক্রমিত ডিমের সালমোনেলা ধ্বংস নাও হতে পারে।

তবে সব ডিমে যেহেতু সালমোনেলা থাকে না, এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। শুধুমাত্র অপরিষ্কার স্থানে পড়ে থাকা ডিমেই এই জীবাণু থাকতে পারে। তাছাড়া পরিচ্ছন্ন স্থানে ডিম পাড়ার ব্যবস্থা থাকলেও এই ঝুঁকি থাকে না। এ কারণে ডিম ধুয়ে রাখাই ভালো।
 কাজেই কাঁচা ডিম নয় ওমলেট, ভাজা কিংবা সিদ্ধ ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যসম্মত।

Thursday, March 3, 2016

নারীদের যে ১০টি বিষয় পুরুষরা বুঝতে পারেন না!

নারীদের যে ১০টি বিষয় পুরুষরা বুঝতে পারেন না!

নারী-পুরুষের মধ্যে প্রেম চীরন্তন।তার পরেও নারী-পুরুষের মধ্যে প্রায়ই দ্বন্দ্ব হয়। নানান কারণে নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যায় না।তবে একটা কথা প্রায় শোনা যায়, নারী নাকি রহস্যময়ী। কিন্তু কেন?

রহস্যময়ী মানে নারী সম্পর্কে বেশ কিছু দিক আছে যা পুরুষ বুঝতেও পারেন না। তাহলে সেগুলো কোন বিষয়? নারীর কি কি বুঝতে পারেন না পুরুষকুল? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই গোপন কথা।
১। একটি জিন্‌স বা টপ কিনতে কেন সাড়ে ৩৩ ঘণ্টা লাগে?

২। এমনিই যদি সুন্দরী, তা হলে এত্তো মেক-আপ করার প্রয়োজন কী?

৩। থেকে থেকেই ‘‘আমাকে কি মোটা লাগছে’’ জানতে চাওয়ার কারণ কী?

৪। কাঁদলেই কেন নাক দিয়ে ফ্যাচ-ফ্যাচ করে জল বেরোয়?

৫। স্নান করতে কী লাগে? জল, সাবান, শ্যাম্পু, তোয়ালে। বাথরুমে তা হলে এত কিছু়র বোতল, প্যাকেট কীসের?

৬। ‘‘ছবি তুলব’’ বললেই কেন হাসি-হাসি মুখে পোজ দিতে হয়? স্বাভাবিক অবস্থায় তো ছবি আরও সুন্দর ও জীবন্ত হয় বলেই শোনা যায়।

৭। সুন্দরী হলে, তার উপরে সাজলে তো সকলেই তাকাবেন। বিশেষত পুরুষকুল। তা হলে পাল্টা কটাক্ষে ‘‘অসভ্য’’ বলা কেন?

৮। বিছানায় বালিশের ডাঁই। কিন্তু টিভি দেখার সময়ে সোফায় এত বালিশ কী করে?

৯। সব সাবান-শ্যাম্পুই নাকি এক !-এমন অভিযোগ করেন হামেশাই। তবু কেন এত ব্র্যান্ডের এত ভ্যারাইটি সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার করা?

১০। রাতে ঘুমনোর সময়ে এত ধরনের ক্রিম ইত্যাদি মাখার প্রয়োজন কী?

- এ ওয়ান নিউজ

Monday, February 29, 2016

লিপ ইয়ারের মজার ইতিহাস জেনে নিন
























লিপ ইয়ারের মজার ইতিহাস জেনে নিন

গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৪ বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত একটি দিন যোগ করে আমরা তাকে অধিবর্ষ বা লিপইয়ার বলি। এর কারণ হিসেবে রয়েছে সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘোরার সময়কাল। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

আমরা হিসাব করি ৩৬৫ দিনে এক বছর অর্থাৎ পৃথিবী সূর্যের চার দিকে একবার ঘুরে আসে ৩৬৫ দিনে। কিন্তু বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড, অর্থাৎ পৃথিবীর এই সময়টুকু লাগে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি বছর আমরা ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময় পিছিয়ে যাচ্ছি হিসেবে না ধরার দরুন। ফলে চার বছর পরে এই বাদ যাওয়া সময়টুকু প্রায় ২৪ ঘণ্টায় পরিণত হয় আর সেই ২৪ ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্যই লিপইয়ারের আবিষ্কার।

বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। কিন্তু অতীতে এটি জানা ছিল না। এতে অতীতে ফসল তোলার সময়সহ নানা কার্যক্রম নির্ধারণে বছরের কোনো ধারাবাহিকতা থাকত না। এ সমস্যাটি প্রাচীন মিশরীয়রা ধরতে পারে। এ কারণে তারা বছরের শেষে কয়েকদিন উৎসব করা শুরু করে। যদিও এতে সমস্যা দূর হয়নি।

রোমানরা এ সমস্যা মোকাবেলায় প্রতি বছরেই অনিয়মিতভাবে দিন যোগ-বিয়োগ করতে থাকে। ফলে মূল বিষয়টি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার এবং তার সহকারী জ্যোতির্বিদ সোসিজেনিস ৩৬৫ দিনে এক বছর হবে বলে নতুন গণনা পদ্ধতি শুরু করেন। ৩৬৫দিনে বছর গণনা করার ফলে বাদ যাওয়া ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময়কে হিসেবে ধরার জন্য ৪ বছর পর পর ৩৬৬ দিনে একটি বছর গণনা করা হবে বলে ঠিক করলেন, সেটাই আজকের এই লিপ ইয়ার।
  সূত্র এ ওয়ান নিউজ

ধর্ষণের শীর্ষে থাকা ১০ দেশ, কোন মুসলিম দেশ নেই

ধর্ষণের শীর্ষে থাকা ১০ দেশ, কোন মুসলিম দেশ নেই
বিশ্বজুড়ে ক্রমশই ধর্ষণ বা নারী নিগ্রহের মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে। উন্নত দেশগুলোতে সেই সব ধর্ষণের খবর নজরে আসলেও অনুন্নত দেশগুলিতে অধিকাংশ ধর্ষণের খবর চাপা পড়ে যায়। সম্মানহানির ভয়ে অনুন্নত দেশে অনেক মহিলাই ধষর্ণ বা যৌ ন নিগ্রহের খবর পুলিশে জানান না। ফলে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ঘটে চলা ধর্ষণের বা নারী নিগ্রহের ঘটনার তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করা বেশ কঠিন। তবু সরকারি এবং বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে আসে তা রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার মতো।
 দেখে নেওয়া যাক ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় শীর্ষে থাকা ১০ দেশের তালিকা।
 ১. দক্ষিণ আফ্রিকা তালিকার শীর্ষে থাকা এই দেশে প্রতিবছর পাঁচ লক্ষ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪০ শতাংশ মহিলা জীবনে একবার ধর্ষিত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী ৯ জন ধর্ষিতার মধ্যে মাত্র এক জন পুলিশে খবর দেন।
 ২. সুইডেন ধর্ষণের ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার পরই রয়েছে সুইডেন। প্রতিলাখে ৫৩.২ শতাংশ মহিলা ধর্ষিত হন। ধর্ষণের ঘটনাও বেড়েছেও লাফিয়ে লাফিয়ে। ১৯৭৫ সালে যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৪২১ জন, সেখানে ২০১৪ সালে ধর্ষণের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৬,৬২০-তে।
 ৩. যুক্তরাষ্ট্র জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যায়ের সমীক্ষা অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি তিন জন মহিলার মধ্যে এক জন তাঁদের জীবনে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। সে দেশে ১৯ শতাংশ মহিলা এবং ২ শতাংশ পুরুষ তাদের জীবনে অন্তত একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
 ৪. ইংল্যান্ড এক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী এ দেশে ধর্ষণের সময় শুধু পুরুষের লিঙ্গ ব্যবহার করা হয় না। আঙুল বা অন্য কোনো বস্তু ব্যবহার করে ধর্ষণ করা হয়। ২০১৩ সালে প্রকাশিত হওয়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর ইংল্যান্ড এবং ওয়ালসে ৮৫ হাজার মানুষ ধর্ষিত হন।
 ৫. ভারত জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রতি ২০ মিনিটে একজন নারী ধর্ষিতা হন। অধিকাংশ নিগৃহীতার বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
 ৬. নিউজিল্যান্ড এ দেশের ন্যায় মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রির্পোট অনুযায়ী প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর একজন যৌন হেনস্থার শিকার হন। এই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতি তিন জন বালিকার মধ্যে একজন এবং প্রতি ছয়জন বালকের মধ্যে ১ জন তাদের ১৬ বছর বয়েসের আগেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে।
 ৭. কানাডা  একটি সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কানাডায় প্রতিবছর ৪ লাখের বেশি মানুষ যৌন হেনস্থার শিকার হন। প্রতি চারজন মহিলার মধ্যে অন্তত এক জন তাদের জীবনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ পুলিশের রিপোর্ট করেন। 
৮. অস্ট্রেলিয়া একটি সংবাদমাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি ৬ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ধর্ষণের শিকার হন। ২০১২ সালে ৫১,২০০ জন তাদের ১৮ বছর বয়েসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
 ৯. জিম্বাবুয়ে এ দেশে প্রতি ৯০ মিনিটে একজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন। জিম্বাবুয়ের সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০০ জন এবং দিনে ৬ জন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন।
 ১০. ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড একটি মানবাধিকার সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী ডেনমার্কে ৫২ শতাংশ মহিলা এবং ফিনল্যান্ডে ৩৭ শতাংশ মহিলা ধর্ষণের শিকার হন।

-আমার দেশ