মৃত্যু
হতে
পারে,যে কোন দিন,
যে
কোন
সময়
মনে
হলো
অজানা
কোন
দেশে
চলে
এসেছি।
পরিচিত
কয়েকজনকে দেখলাম
নিজেদের মধ্যে
আলাপ
চারিতায় মশগুল।
আশ্চর্য ! বৃদ্ধ
যে
তাকে
এখানে
যুবক
দেখাচ্ছে।একটি চোখ
কানা
ছিল
উনার।এখন দুটি
চোখই
ভাল
এবং
যুবক
তিনি।
এমনকি
আমার
সেই
ক্লাস
ফোরের
আট
নয়
বছরের
সহপাটী
বন্ধুটিও এখানে
যুবক!
সবাই
সুস্বাস্থের যুবা
বয়সের
হলেও
মুখের
আদলে
চিনতে
ভুল
হচ্ছে
না।
এই
যে
উপস্থিত মধ্যবয়সী আমার
সহকর্মী,এখানে
হাস্যেজ্জ্বল সুখী
যুবক
তিনি।
জিজ্ঞেস করলাম,‘আপনারা কেমন আছেন।’
অদ্ভুত
সমস্বরে উত্তর
এলো,‘আমরা যেমন থাকতে
চেয়েছি,তেমন ভাল আছি।’
উত্তরটা রহস্যজনক মনে
হলেও
উনারা
যে
ভাল
আছেন
এটুকু
বুঝতে
পারলাম।
হঠাৎ
একজন
বললেন,‘আসেন ভাই আমাদের
সাথে
যোগ
দিন।’
বললাম,‘আমি এ পরিবেশে অভ্যস্ত নই
।’
পরিবেশটি ছিল
উন্নত
নির্মল
পবিত্র
এবং
আরাধ্য।
তিনি
আশ্চর্য হয়ে
বললেন,
-‘আপনি কি
এর
চেয়ে
ভাল
পরিবেশ
পেয়েছেন?’
-‘তা নয়,আমি সাধারণ পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ বোধ
করি।এই
অতি
পবিত্র
পরিবেশে অস্বস্থি বোধ
করছি
।’
হঠাৎ
বাল্য
বন্ধুটি একটু
হেসে
বললো,‘আরে তিনি তো
আরো
কিছুদিন বাঁচবেন।’
এখানে
সবাই
যুবা
এবং
আপনি
বলে
সম্বোধন করা
যেনো
নিয়ম।
তার
কথায়
অন্যরাও হেসে
উঠলেন
।
তাদের
এই
অদ্ভুদ
রহস্যের যুক্তিহীন হাস্যরসের কোন
কারণ
বুঝতে
না
পেরে
বোকার
মতো
স্তব্দ
হয়ে
রইলাম।
হঠাৎ
করে
স্মরণ
হলো
যেনো
,এই
যে
যুবক
বাল্য
বন্ধুটির কথা।
তিনি
ঝড়ে
ছিড়ে
যাওয়া
বিদ্যুতের তারে
পৃষ্ট
হয়ে
মারা
গিয়েছিলেন সেই
চতুর্থশ্রেনীতে অধ্যায়নের সময়
।সে
কাহিনীতো বহু
বছর
আগের
!
আর
যে
কলিগটি
কয়েকদিন আগে
মারা
গেছেন
কিডনী
রোগে,
চীর
যুবকবেশে সুস্থ
সবল
তিনিও
যে
এখানে
উপবিষ্ট !সুখী
,সন্তেষ্টি ও
পরিতৃপ্তির হাসি
লেগে
রয়েছে
তার
চেহারা
মুবারকে।’
হঠাৎ
উপলব্দি হলো
যেনো
আরে
এখানে
উপস্থিত সবাই
যে
মৃত
।
কিন্তু
এখানে
জীবিত
এবং
সুখী
ও
সন্তেষ্টিতে আছেন
তাঁরা
।
এ
কোন
দেশ
!
অদ্ভুত!!
মৃত
সব
জীবিত
!
আমি
মৃত
নাকি
জীবিত
!
ভয়
পেযে
গেলাম
।
ঘুম
ভেঙ্গে
গেল
।
স্বপ্ন
দেখছিলাম !
কানে
তখনো
বাজছিল
মৃত
বাল্য
বন্ধুটির উক্তি,
‘আরে তিনি
তো
আরো
কিছুদিন বাঁচবেন।’
ভাবলাম
মৃত্যু
নিকটেও
হতে
পারে,যে কোন দিন,
যে
কোন
সময়।