Thursday, October 15, 2015

একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ

একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ

 (বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী)

খাজা আলী অামজাদ মাহবুব

       আজকে যে কম্পিউটারটা সারাতে নিয়ে এলেন সেটার সি পি ইউ স্লটটা ছিল এলোমেলো।জিজ্ঞেস করে জানা গেল সি পি ইউ স্লট পরিস্কার করতে গিয়ে এমন হয়েছে ।যার জন্য কম্পিউটার চলছে না ।রিষ্টার্ট হয়ে যাচ্ছে বার বার।অবাক কান্ড সি পি ইউ স্লট কেউ ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে !অদ্ভূত ব্যাপার!

        এখন এই অতি সুক্ষ সি পি ইউ স্লট কিভাবে ঠিক করা যায় তা নিয়ে ভাবনায় পড়লেন স্যামসেদ।
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন বেশ কিছু পিন এলোমেলো হয়ে গেছে আর কিছু পিনের প্রান্ত উপড়ে উপরে চলে এসেছে ।যা ম্যানুয়ালী রিপ্লেজ করা সম্ভবপর নয়।
কি করা যায় ভাবতে গিয়ে মনে পড়লো।
ন্যানো টেকলজির পিঁপড়ে দিয়ে সম্ভব কিনা চিন্তা করে দেখলেন তিনি।
 দেখা যাক চেষ্টা করে।ভাবলেন স্যামসেদ।

      পিঁপড়ে গুলো তার বন্ধু রাব্বী উপহার হিসাবে দিয়েছিল গত সপ্তাহে।সিদ্ধান্ত  মোতাবেক কাজে নেমে পড়লেন স্যামসেদ।দশটি পিঁপড়া।অবিকল সত্যিকার পিঁপড়ের মতো।এগুলো পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ করা হয় একটি বিশেষ বেগুনী রংয়ের লেজার রশ্মির রিমোট টর্চ দিয়ে।পিঁপড়া গুলো বের করলেন বিশেষ বোতল থেকে।চকটকে স্টিল আর সোলার উপাদান দিয়ে তৈরী পিঁপড়া গুলোর রং কালো।সচল হলো বিভিন্ন রংয়ের আলো বের হয় এদের শরীর থেকে।একেক রংয়ের একেক অর্থ।ঝক ঝকে সাদা টাইলস মেঝেতে রাখলেন পিঁপড়ে গুলো ।লেজার টর্চের একটি নাচের প্রোগ্রাম সেট করে সবুজ বোতাম টিপে পিঁপড়ে গুলোর উপড় বেগুনী লেজার রশ্মি ফেললেন।যেনো হঠাত করে ঘুমন্ত পিঁপড়ে গুলো জেগে উঠলো ,নানার রং পল্টিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নাচতে নাচতে হেলে দূলে ছন্দময় ভাবে চলতে লাগলো।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে পিঁপড়ের নাচ দেখতে থাকলেন স্যামসেদ ।যেনো তিনি একটি পিঁপড়ে হয়ে পিঁপড়াদের সাথেই নাচছেন।নাচের সাথে অজানা কোন মোহময় সূরও শুনা যাচ্ছে পিঁপড়া দলটি থেকে।বড় শ্রুতিমধুর সে সূর।মনোরম দৃশ্য ।আবেশে শ্রান্তিময় ঘুম পেয়ে যায়।নাচটা বড় ফানি ও বেশ মজার ।তার মধ্যে একটি পিঁপড়া যেনো নাচে দক্ষ ,মনে হলো অন্যগুলো সেটাকেই অনুস্মরণ করছে।লিডার পিঁপড়া,মনে মনে নাম দিলেন স্যামসেদ।হঠাত মনে হলো যেনো আসল পিঁপড়ে দল বেঁধে নাচছে পিঁপড়ের দলে তিনিও একজন।বড়ই অদ্ভুদ অনুভূতি!কিছু সময় পর কালো পিঁপড়ে গুলো সবুজ হয়ে গেলো অর্থাত তাদের প্রতি নির্দেশিত প্রোগ্রামটি সফল ভাবে শেষ করেছে পিঁপড়ের দল ।অটোমেটিক বোতলে চলে আসলো পিঁপড়ে গুলো ।সেকানেই পড়ে রইলো যেনো মৃত কতোগুলো পিঁপড়ে সুন্দর এত বোতলে পড়ে রয়েছে।

       টর্চটি খুললেন স্যামসাদ।ভিতরের মেমোরি কার্ডটা বের করলেন।মেমোরি রিডারে ডুকিয়ে কম্পিউটারে অপেন করলেন।দেখতে পেলেন সেখানে নতুন কোন ভিডিও প্রোগ্রাম ইনষ্টল করার স্পেস নেই ।দুটি প্রগ্রাম কাট পেষ্ট করে কম্পিউটারে রাখলেন।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভিডিও প্রোগ্রামের ফর্মেট বের করলেন।এইচ টি এম এল এবং ফ্লাশ এর সংমিশ্রণে তৈরী নতুন আবিষ্কৃত  ভিডিও ফর্মেট।এই ফর্মেটের ভিডিও ফর্মেটের বিশেষত্ব হলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ প্রয়োগ করা যায়।হাই রেজোলেশনের ক্যামেরা দিয়ে সি পি ইউ স্লটের উপড় উজ্বল ফলাস লাইট ফেলে  ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দুটি ভিডিও করলেন।প্রথমটি হলো একটি ভাল মাদার বোর্ডের সি পি ইউ এর ভিডিও আর দ্বিতীয়টি এই এলো মেলো হয়ে যাওয়া নষ্ট সি পি ইউ এর ভিডিও ।ভিডিও দুটি টর্চের প্রোগ্রাম ফর্মেটের অনুসারে রূপান্তরিত করলেন স্যামসেদ।
দুটি ভিডিওর সংযোগ স্থলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকোড লেখলেন- “যদি প্রথম ভিডিও সঠিক হয়;তবে দ্বিতীয় ভিডিও সঠিক নয়।অর্থাত প্রথসটি ভাল দ্বিতীয়টি নষ্ট।অতএব,দ্বিতীয়টি মেরামত করে প্রথমটির মতো ভাল করতে হবে।” এবার ভিডিও প্রোগ্রামটি মেমোরি কার্ডে কপি পেষ্ট করলেন।মেমেরী কার্ডটি কার্ড রিডার হতে বের করে এনে টর্চে সেট করলেন।
              পিঁপড়ে গুলোকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সি পি ইউ স্লটে রাখলেন।টর্চে নতুন ইনষ্টলকৃত প্রোগ্রামটি সেট করে পিঁপড়ে গুলোর উপর বেগুনী রেজার রশ্মি ফেললেন।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে দেখতে পেলেন পিঁপড়ে গুলো সি পি ইউ স্লট মেরামতের কাজে লেগে পড়েছে।সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।পিঁপড়েদের সাধারণত নয় গুন বেশী শক্তি থাকে ,এই রোবোট পিঁপড়ে গুলোর যেনো আঠারো গুনের চেয়ে বেশী শক্তি!কিছুক্ষন পর দশটি পিঁপড়ে  বোতলে ফিরে আসলো্।এদের মধ্যে সাতটি পিঁপড়ে সবুজ,অর্থাত এদের কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।দুটি পিঁপড়ে হলুদ,এদের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে।আর একটি পিঁপড়ে লাল,অর্থাত পিঁপড়েটি কাজটি সফল ভাবে করতে পারেনি।স্যামসাদ পূনরায় আগের মতো নির্দেশ দিলেন ।এবার নয়টি পিঁপড়ে সবুজ একটি পিঁপড়ে লাল ।মাদার বের্ডের সমস্যাটা কোথায় ?তিনি মাদার বোর্ডটিকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে  দেখতে পেলেন সবকিছু ঠিক আছে,শুধু একটি পিনের একটি পায়ের অংশ এ্ক বা দুই মাইক্রো মিলিমিটার ফাঁকা যা মাদার বোর্ডে সংযুক্ত হয়নি।হয়তো পিনের সে অংশটা ভেংগে আলাদা হয়ে গেছে।তাই পিঁপড়েটা মেরামত করতে সক্ষম হচ্ছে না।সেটা এতো সুক্ষ কাজ যে ম্যানুয়ালী করা অসম্ভব।

  রোবোট পিঁপড়েদের আবার নির্দেশ দেয় হলো ।এবার একটি অদ্ভুদ ঘটনার সম্মুখিন হয়ে স্যামসাদ হতবাক হয়ে গেলেন।দেখলেন দুইবার ব্যর্থ লাল সিগনালের পিঁপড়াটা তার শরীরের একটি পায়ের ধাতব অংশ গলিয়ে পিনের ফাঁকা স্থানটি ভরাট করে দিয়ে পিনটিকে মেইন বোর্ডের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছে।এর ফলে মেইনবোর্ডটি মেরামত হয়ে গেলেও পিঁপড়েটি পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। অন্য পিঁপড়ে গুলো ধরাধরি করে পঙ্গু পিঁপড়েটিকে নিয়ে এসেছে।এবার দশটি পিঁপড়েই সবুজ।
      স্যামসাদ আরো হতভম্ভ হয়ে গেলেন এই আবিষ্কার করে যে,পঙ্গু পিপড়েটাই দলনেতা।যে সবচেয়ে কঠিন কাজটার দায়িত্ব নিয়েছিল এবং দেহের অংশ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও কাজটি ব্যর্থ হতে দেয়নি।কোম্পানী বলেছে এই রোবোট পিঁপড়ে গুলো ইন্টেলিজেন্ট।কিন্তু এগুলো যে এতোটা ইন্টেলিজেন্ট ভাবতেই পারছেন না স্যামসাদ ।পিঁপড়ে গুলোর নির্মাতা কম্পানীও কি এমনিটি ভাবতে পেরেছিল!?মনে হয় না!

            এখন পিঁপড়ে গুলো আগের মতো নাচে না ।দল নেতা নাচতে পারে না।দলনেতার নাচ অনুস্মরণ করতে পারে না পিঁপড়ে গুলো।দল নেতাকে ঘিরে লাফাতে থাকে ।যেনো তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে,তার কাছে জানতে চাইছে নাচের নির্দেশনা ।

        পিঁপড়ে নেতা যেনো শিখেয়ে দিল –‘নেতাদের আত্ম ত্যাগেই কর্মের সত্যিকারের সফলতা।’

Wednesday, October 14, 2015

Fishermen catch fish in the river


পল্লী স্মৃতি - সুফিয়া কামাল

পল্লী স্মৃতি
সুফিয়া কামাল 

বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি পল্লী ময়ের কোল,
ঝাউশাখে যেথা বনলতা বাঁধি হরষে খেয়েছি দোল
কুলের কাটার আঘাত লইয়া কাঁচা পাকা কুল খেয়ে,
অমৃতের স্বাদ যেন লভিয়াছি গাঁয়ের দুলালী মেয়ে
পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশীতে বিষম খেয়ে,
আরো উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।
চৈত্র নিশির চাঁদিমায় বসি' শুনিয়াছি রূপকথা,
মনে বাজিয়াছে সুয়ো দুয়োরাণী দুখিনি মায়ের ব্যথা।
তবু বলিয়াছি মার গলা ধরে, "মাগো, সেই কথা বল,
রাজার দুলালে পাষাণ করিতে ডাইনী করে কি ছল!
সাতশ' সাপের পাহারা কাটায়ে পাতালবাসিনী মেয়ে,
রাজার ছেলেরে বাঁচায়ে কি করে পৌঁছিল দেশে যেয়ে।"
কল্পপূরীর স্বপনের কাঠি বুলাইয়া শিশু চোখে
তন্দ্রদোলায় লয়ে যেত মোরে কোথা দূর ঘুমলোকে
ঘুম হতে জেগে বৈশাখী ঝড়ে কুড়ায়েছি ঝরা আম
খেলার সাথীরা কোথা আজ তারা? ভুলিয়াও গেছি নাম।
নববর্ষার জলে অবগাহি কভু পুলকিত মনে
গান গাহিয়াছি মল্লার রাগে বাদলের ধারা সনে;
শিশির সিক্ত শেফালী ফুলের ঘন সৌরভে মাতি'
শারদ প্রভাতে সখীগন সাথে আনিয়াছি মালা গাঁথি'।
পল্লী নদীর জলে ভাসাইয়া মোচার খেলার তরী,
কাঁদিয়া ফিরেছি সাঁঝের আলোতে পুতুল বিদায় করি'।
আগামী দিনের আশা-ভরসার কত না মধুর ছবি
ফুঁটিয়া উঠেছে আঁখির পাতায় ডুবেছে যখন রবি।


heart cloud

Courtesy - heart cloud

আন্দালুসিয়ায় ইবনে বতুতা Ibn Battuta at the Gibraltar

 
 ইবনে বতুতার রোমাঞ্চকর অভিযান

আন্দালুসিয়ায় ইবনে বতুতা

সুলতানের সহচর্যে কিছুদিন থেকে পিতা মাতার কবর জিয়ারতের জন্য তানজা শহরে এলাম।কবর জিয়ারত শেষে আত্মীয় স্বজনের সাথে কিছুদিন কাটিয়ে সাবতাহ শহরে পৌঁছলাম।সাবতাহ শহরে এসে অসুখে পড়লাম।মাস তিনেক পর সুস্থ হয়ে ভাবলাম আমারতো এখন শক্তি সামর্থ্য আছে ।জেহাদে যা্ওয়া কর্তব্য।তখন আন্দালুসিয়ার সুলতানের সাথে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানদের প্রায়ই যুদ্ধ বিগ্রহ লেগে থাকে।ভাবলাম এইসব যুদ্ধে আমিও অংশ নিতে পারি।তাই আন্দালুসিয়া যাওয়ার নিয়ত করে সাবাতাহ থেকে একটি জাহাজে চড়ে জবলুকতারিক (জিব্রাল্টার)এসে পৌঁছলাম।আমার এই সফরটা ছিল ষষ্ঠ আলকোলস এর এর মৃত্যেুর পর।রোমের এই অধিপতি জিব্রাল্টার অবরোধ করে রেখেছিলেন।কিন্তু বিজয় লাভের আগেই কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
জিব্রাল্টার ছোট অথচ সুন্দর শহর।এখানে বিশিষ্ট ব্যক্তি খতিব আবু জাকারিয়া রুনদাই ও কাজী ইসা বারবারির সাথে দেখা হলো।কাজী তাঁর বাড়ীতে আমার থাকার ব্যবস্থা করলেন।জিব্রাল্টারে আমাদের সুলতান আনানের সহায়তায় বেশ কিছু ভবন নির্মীত হয়েছে।সেগুলো ঘুরে ফিরে দেখলাম।জিব্রাল্টরি কয়েকদিন থেকে গেলাম রোনদাহ।আন্দালুসিয়ায় মোসলমানদের সবচেয়ে শক্তিশলিী ঘাঁটি হলো এই রোনদাহ।এখানে একটি বিশাল দুর্গ আছে।শহরের অধিনায়ক আব্দুল রাব্বি সোলায়মান বিন দাউদ আসকারি।কাজী ছিলেন আমার চাচাত ভাই ফকিহ আব্দুর কাশেম মুহাম্মদ বিন বতুতা।আমি বর্তমান কাজী আবুল হাজ্জাজ ইউসুফের বাড়ীতে মেহমান হলাম।
রোনদাই শহরের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর।বাগ-বাগিচায় পূর্ণ।চারপাশে সবুজের সমারোহ।আবহাওয়াও মনোরম আরামদায়ক।এখানে পাঁচদিন কাটিয়ে গেলাম মারবালা শহরে।রোনদাই থেকে মারবালা পর্যন্ত পথটা পাহাড়ী এবং দুর্গম।এখানে এসে দেখলাম একদল সোওয়ারি মারবালার দিকে যাচ্ছে।আমিও তাদের সাথে যাওয়ার জন্য পিছু পিছু রওয়ানা হলাম।ওদের থেকে আমি অনেক আগে চল এলাম।মারবালার এলাকা পার হয়ে সোহাইল এলাকায় এসে একটি খাদে এক ঘোড়াকে পড়ে থাকতে দেখলাম।তারপর দেখলাম একটি মাছের কুড়িও মাটিতে পড়ে আছে।এতে আমার সন্দেহ হলো সামনে নিশ্চই কোন অঘটন ঘটেছে।এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ারও দেখতে পেলাম।এই টাওয়ারে সতর্ক প্রহরী থাকেন।দূর থেকে দুশমনদের কোন আলামত পেলে সতর্ক সংকেত দেন।আমি বিপদের আভাস পেয়ে পিছিয়ে এসে সাথীদের সাথে মিলিত হলাম।ওখানে সোহাইল দুর্গের অধিনায়কও প্রহরীরদের নিয়ে এসেছিলেন।জানা গেল দুমমনরা চারটি নৌকা করে ওখানে এসেছিল।ওয়াচ টাউয়ারের প্রহরী তখন সেখানে না থাকায় আগে থেকেই সতর্ক সংকেত দিতে পারেননি।মারবালা থেকে বারো জন সওয়ারি ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন।দুশমনরা অতর্কিতে তাদের হামলা করে এক জনকে হত্যা করে এবং দশ জনকে বন্দী করে নিয়ে যায় ।এক জন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।এছাড়া একজন জেলেও ওদের হাতে নিহত হয়।যে মাছের কুড়িটি পড়ে থাকতে দেখেছি সেটি ওই জেলেরই ।
সেদিন সোহাইল দুর্গেই আমরা রাত কাটালাম।পরদিন দুর্গের অধিনায়ক পাহারা দিয়ে আমাদেরকে মালাকা শহরে পৌঁছে দিলেন।আন্দালুসিয়ার এক সুন্দর শহর এই মালাকা।শহরটি সমুদ্রতীরে অবস্থিত।এখানকার ফলমূলের খ্যাতি বিশ্বজোড়া।প্রচুর আঙুর জন্মে এখানে।বাজারে প্রতি আট রতল আঙুর এক দিরহামে বিক্রী হয়।মালাকার ইয়াকুতি আনার দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ আনার।এগুলো বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রফতানী হয়,এছাড়া আনজির ও বাদামও এখানে প্রচুর জন্মে।মালাকার আরেকটি রপ্তানী পণ্য হলো বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণ পাত্র।বিদেশে এগুলো রপ্তানী হয়।মালাকার মসজিদ অত্যন্ত সুন্দর এবং কমলা বাগানে সজ্জিত।
শহরে এসে দেখলাম কাজী আবু আবদুল্লাহ বিন আবু জাফর শহরের গণ্যমান্য লোকদের নিয়ে মজলিশে চাঁদা উঠাচ্ছেন।জিজ্ঞেস করে জানতে পাররাম কাফেরদের হাত থেকে পূর্বোল্লেখিত মুসলমান বন্দীদের মুক্তিপনের টাকা উঠানো হচ্ছে।খ্রিষ্টানরা প্রায়ই সুযোগ পেয়ে অতর্কিতে হামলা করে অসহায় মুসলিম পথচারীদের ধরে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে।
মালাকার খতিব আবু আবদুল্লাহ সাহেলীর বাড়ীতে মেহমান হয়ে কিছুদিন থেকে আমরা বাল্লাকা শহরে এলাম।মালাকা থেকে এর দূরত্ব চব্বিশ মাইল।মালাকার মতো এখানেও আনজির আঙুর প্রচুর জন্মে।এখানকার মসজিদটিও সুন্দর।
বাল্লাকা থেকে এলাম আরেক শহর হাম্মাহতে্।এটিও সুন্দর তবে আকারে ছোট।শহর থেকে মাইল খানেক তফাতে একটি নদীর তীরে অদ্ভুত আকৃতির একটি মসজিদ আছে।এখানে গরম পানির প্রস্রবণ আছে।এর পাশে দুটি রেষ্ট রুম।একটি পূরুষদের জন্য আরেকটি নারীদের জন্য।গরম পানি দিয়ে এখানে ওজু গোসল করা যায়।
কর্টেসী-মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ


Crossing the river ran!



 Bangladesh.
District Sunamganj hill in a river.

The name of this river.

There is beneath the mud of the river.

Sand with small stones.

This race is crossing the river in autumn!

 সুনামগঞ্জের পাহাড়ী একটি নদী।
নাম তার চলতি নদী ।
নদীর তলদেশে কাদা নেই।
আছে ছোট ছোট নুরী পাথর বালুকায়ময়।
হেমন্ত কালে নদীটি এভাবেই দৌড়ে পার হওয়া যায়!

MORNING - Kazi Nazrul Islam-প্রভাতী - কাজী নজরুল ইসলাম


 

প্রভাতী 
- কাজী নজরুল ইসলাম
ভোর হলো দোর খোলো
খুকুমণি ওঠ রে!
ডাকে জুঁই শাখে
ফুল খুকি ছোটরে!
রবি মামা দেয় হামা
গায়ে রাঙা জামা ,
দারোয়ান গায় গান
শোন , রামা হৈ!'
ত্যাজি নীড় করে ভিড়
ওড়ে পাখি আকাশে
এন্তার গান তার
ভাসে ভোর বাতাসে
চুলবুল বুলবুল
শিস্ দেয় পুষ্পে,
এইবার এইবার
খুকুমণি উঠবে!
খুলি হাল তুলি পাল
তরী চললো,
এইবার এইবার
খুকু চোখ খুললো
আলসে নয় সে
ওঠে রোজ সকালে
রোজ তাই চাঁদা ভাই
টিপ দেয় কপালে
উঠলো ছুটলো ওই
খোকা খুকি সব,
''উঠেছে আগে কে''
শোনো কলরব
নাই রাত মুখ হাত
ধোও, খুকু জাগো রে!
জয়গানে ভগবানে
তুষি' বর মাগো রে


Of the morning

- Kazi Nazrul Islam

Open the door in the morning
Kiddie-ray Rise!
The call Jasmine Branch

At a run flowers girl!
Sun  gives Creep

On the red shirt,
Porter Guy Music
Hear that, Rama rip! '

giving up home crowd
Birds fly in the sky
Bangla songs to her
Dawn floats in the air.
Bulbul bird Chulbul
Ear flower garden,

Now this time
Kiddie will Arise !

PAL skull puff up
The boat went,
Now this time
baby girl eyes opened.

He is idling
In the morning
Every contribution is Brother
Forehead to the tip.
The run was
All kiddy lass,
'' Who is'
Listen to the clamor.
The night is hand to mouth
Wash, baby girl rays Awake!

Victory song in God
Prayers "Some sought to worship.

Tuesday, October 13, 2015

Jenn Iove

সৌজন্যে -Jenn Iove

Kazla sister - Jatindra Mohan Bagchi কাজলা দিদি - যতীন্দ্র মোহন বাগচী

Kazla sister 

- Jatindra Mohan Bagchi 
 

The bamboo garden is the moon on the head,
My mama the riddle  Kazla sister where's?
Pool side lemon under thank light bundles
The smell of the flowers are up to sleep alone
My mama the riddle  Kazla sister  where's?
Why is the mother of the day the sister, who is not called;
For sister why cry face covered with a quilt?
When I came to eat the food, the sister of the call,
Why is the mother of the house next door sister did not come?
I cry why you are silently?
Mother, tell me where my sister has gone? When will she come?
Tomorrow will be my new home, get married doll!
The sister went out like, if I went to hide
So how can you lonely voice in the house,
Neither me nor elder sister is present how would be fun.
Bhui campas is full sheully plant floor,
Do not step in when mama bring water from the pond.
Bulbuli bird hides between the pomegranate tree,
You do not rule out the mother, pluck the pomegranate -
Sister and when you hear, say what mother!
The bamboo garden is the moon on the head,
This time  mama,  Where's my  Kazla  sister ?
Lemon bush thickets along the pond-side calls of crickets'
The smell of the flowers do not sleep, so I'm up
The night my mama Where's  Kazla  sister?

কমলা ফুলি

কমলাফুলি কমলাফুলি,কমলালেবুর ফুল
কমলাফুলির বিয়ে হবে কানে মোতির দুল
কমলাফুলির বিয়ে দেখতে যাবে
ফলার খাবে চন্দনা আর টিয়ে,
কোথায় থাকো কমলাফুলি ?
‘সিলেট আমার ঘর’
টিয়ে বলে দেখতে যাব পাখায় দিয়ে ভর।

হাটিমা টিম টিম

হাটিমা টিম টিম
তারা মাঠে পাড়ে ডিম
তাদের খাড়া দুটি শিং
তারা হাটিমা টিম টিম ।

পিঁপড়া খেয়ে বেঁচে ছিলেন ছয় দিন ! Six days survived by eating ants!

ছয় দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক ব্যক্তিকে আজ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার দুর্গম এক মরু এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কালো পিঁপড়া খেয়ে ছয় দিন বেঁচে ছিলেন ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির (৬২) নাম রেগ ফগারডি। তিনি ৭ অক্টোবর শিকারের উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ফগারডির খোঁজ না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে। নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তাঁকে পাওয়া যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা অ্যান্ডি গ্রেটউড বলেন, ফগারডির কাছে কোনো পানি ছিল না। তিনি কালো পিঁপড়া খাচ্ছিলেন। এভাবেই তিনি বেঁচে ছিলেন ছয় দিন।জায়গাটি ছিল দুর্গম এবং মরুভূমিসম। প্রচণ্ড রকমের অস্বস্থিকর  তপ্ত। সেখানে কোন মানুষেরর পক্ষে পানি ছাড়া ছয়দিন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
 উদ্ধারের সময় নিখোঁজ  ফগারডি  মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন।পানির অভাবে পিপাসায় তার  মতিভ্রমও হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ, বসছেন, কথা বলছেন।



Djilda-G


Sunamganj from Sylhet travel


Scholars is the story of the fox. But here scholar cat!

শিয়াল পন্ডিত হয় ।কিন্তু এখানে বিড়াল পন্ডিত!সৌজন্যে
Courtesy-Frida-Caka

Monday, October 12, 2015

খুকি ও কাঠবেড়ালি -কাজী নজরুল ইসলাম

কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও-
ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক,
খাও একা পাও যেথায় যেটুক!
বাতাবি-নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস পাটুস চাও?
ছোঁচা তুমি! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার! যাও!
কাঠবেড়ালি! বাঁদরীমুখী! মারবো ছুঁড়ে কিল?
দেখবি তবে? রাঙাদাকে ডাকবো? দেবে ঢিল!
পেয়ারা দেবে? যা তুই ওঁচা!
তাই তোর নাকটি বোঁচা!
হুতমো-চোখী! গাপুস গুপুস
একলাই খাও হাপুস হুপুস!
পেটে তোমার পিলে হবে! কুড়ি কুষ্টি মুখে!
হেই ভগবান! একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুকে!
ইস! খেয়ো না মস্তপানা ঐ সে পাকাটাও!
আমিও খুবই পেয়ারা খাই যে! একটি আমায় দাও!
কাঠবেড়ালি! তুমি আমার ছোড়দি’ হবে? বৌদি হবে? হুঁ!
রাঙা দিদি? তবে একটা পেয়ারা দাও না! উঃ!
এ রাম! তুমি ন্যাংটা পুঁটো?
ফ্রকটা নেবে? জামা দুটো?
আর খেয়ো না পেয়ার তবে,
বাতাবি-নেবুও ছাড়তে হবে!
দাঁত দেখিয়ে দিচ্ছ ছুট? অ’মা দেখে যাও!
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

অবৈধ প্রেম ! নারীরা কেন পরকীয়ায় জডিয়ে পড়েন ?

অবৈধ প্রেম বা পরকীয়ার বিষয়ে বিবাহিত মহিলারাও পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে নেই। গবেষণায় প্রমাণিত হলো এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বামীর থেকে পূর্ণ যৌন তৃপ্তি না পেলেও তাঁরা মোটেও বিবাহবিচ্ছেদের পথ মাড়ান না। বরং পরকীয়ার সম্পর্কে অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে নিজের শারীরিক চাহিদা মিটিয়ে নিতে চান। বিবাহিত মধ্যবয়স্কা মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা একটুই বেশিই হয় সে কথা বলেছেন গবেষকরা। জীবনের মধ্যগগনে এসে প্রিয় পুরুষের কাছে ধরে রাখতে চান নিজের পূর্ণ আকর্ষণ। কিন্তু স্বামী যদি তাঁর দিকে মন না দেন, বা শয্যায় চাহিদা না পূরণ করতে পারেন তখনই পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন মহিলারা।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ উইনচেস্টারের পুরুষত্ব ও সেক্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এরিক অ্যান্ডারসন জানাচ্ছেন, ‘বিয়ে করে পরিতৃপ্ত ও শয্যায় পূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া দুটো সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা বিষয়। তিনে গভেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন যে, ৩০-৪৫ বছরের মহিলারা আরও বেশী রোম্যান্টিক এবং উত্তেজনাময় যৌন জীবনের জন্যই অবৈধ প্রেমে বা পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন।মি: এরিক অ্যান্ডারসন ৩০-৪৫ বছরের ১০০ জনেরও বেশি বিবাহিত মহিলাদের নিয়ে তাঁর গবেষণা চালিয়েছেন এবং এমন ফলাফল পেয়েছেন। অ্যাশলে ম্যাডিসন ডট কম নামে একটি পরকীয়া প্রেম-সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এসমস্ত মহিলাদের কথোপকথন টেপ-বন্দি করা হয়েছিল।কথাবার্তা বিশ্লেষন করেন গভেষকরা। তার পরই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা।

গবেষণায় ৬৫ শতাংশেরও বেশি মহিলা পরপুরুষে অবৈধ প্রেম বা পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেছেন যৌন অতৃপ্তির কারণে। তাদের চাহিদা আরও উত্তেজনাময় ও কাঙ্খিত ছিল আবেগমথিত সেক্স। পাশাপাশি তাঁরা এও স্বীকার করেছেন, তার জন্য নতুন বিয়ে করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অ্যান্ডারসন বলছেন, বিয়ের কিছু বছর পর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্ক আকর্ষনহীন ও ফিকে হতে শুরু করে। কিন্তু মহিলারা ফের বিয়ে করে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান না।মি: অ্যান্ডারসন দাবি, এই গবেষণার বিষয়ের মূল সারাংশ কখনই বিবাহিত মহিলাদের অসম্মান করা নয়। বরং কি কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায় তার একটি কারণ খুজতে গিয়ে এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া গিয়েছে ।


Deportation to place their trust in the bamboo bridge


কীনব্রীজ সিলেট


Thursday, October 15, 2015

একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ

একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ

 (বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী)

খাজা আলী অামজাদ মাহবুব

       আজকে যে কম্পিউটারটা সারাতে নিয়ে এলেন সেটার সি পি ইউ স্লটটা ছিল এলোমেলো।জিজ্ঞেস করে জানা গেল সি পি ইউ স্লট পরিস্কার করতে গিয়ে এমন হয়েছে ।যার জন্য কম্পিউটার চলছে না ।রিষ্টার্ট হয়ে যাচ্ছে বার বার।অবাক কান্ড সি পি ইউ স্লট কেউ ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে !অদ্ভূত ব্যাপার!

        এখন এই অতি সুক্ষ সি পি ইউ স্লট কিভাবে ঠিক করা যায় তা নিয়ে ভাবনায় পড়লেন স্যামসেদ।
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন বেশ কিছু পিন এলোমেলো হয়ে গেছে আর কিছু পিনের প্রান্ত উপড়ে উপরে চলে এসেছে ।যা ম্যানুয়ালী রিপ্লেজ করা সম্ভবপর নয়।
কি করা যায় ভাবতে গিয়ে মনে পড়লো।
ন্যানো টেকলজির পিঁপড়ে দিয়ে সম্ভব কিনা চিন্তা করে দেখলেন তিনি।
 দেখা যাক চেষ্টা করে।ভাবলেন স্যামসেদ।

      পিঁপড়ে গুলো তার বন্ধু রাব্বী উপহার হিসাবে দিয়েছিল গত সপ্তাহে।সিদ্ধান্ত  মোতাবেক কাজে নেমে পড়লেন স্যামসেদ।দশটি পিঁপড়া।অবিকল সত্যিকার পিঁপড়ের মতো।এগুলো পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ করা হয় একটি বিশেষ বেগুনী রংয়ের লেজার রশ্মির রিমোট টর্চ দিয়ে।পিঁপড়া গুলো বের করলেন বিশেষ বোতল থেকে।চকটকে স্টিল আর সোলার উপাদান দিয়ে তৈরী পিঁপড়া গুলোর রং কালো।সচল হলো বিভিন্ন রংয়ের আলো বের হয় এদের শরীর থেকে।একেক রংয়ের একেক অর্থ।ঝক ঝকে সাদা টাইলস মেঝেতে রাখলেন পিঁপড়ে গুলো ।লেজার টর্চের একটি নাচের প্রোগ্রাম সেট করে সবুজ বোতাম টিপে পিঁপড়ে গুলোর উপড় বেগুনী লেজার রশ্মি ফেললেন।যেনো হঠাত করে ঘুমন্ত পিঁপড়ে গুলো জেগে উঠলো ,নানার রং পল্টিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নাচতে নাচতে হেলে দূলে ছন্দময় ভাবে চলতে লাগলো।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে পিঁপড়ের নাচ দেখতে থাকলেন স্যামসেদ ।যেনো তিনি একটি পিঁপড়ে হয়ে পিঁপড়াদের সাথেই নাচছেন।নাচের সাথে অজানা কোন মোহময় সূরও শুনা যাচ্ছে পিঁপড়া দলটি থেকে।বড় শ্রুতিমধুর সে সূর।মনোরম দৃশ্য ।আবেশে শ্রান্তিময় ঘুম পেয়ে যায়।নাচটা বড় ফানি ও বেশ মজার ।তার মধ্যে একটি পিঁপড়া যেনো নাচে দক্ষ ,মনে হলো অন্যগুলো সেটাকেই অনুস্মরণ করছে।লিডার পিঁপড়া,মনে মনে নাম দিলেন স্যামসেদ।হঠাত মনে হলো যেনো আসল পিঁপড়ে দল বেঁধে নাচছে পিঁপড়ের দলে তিনিও একজন।বড়ই অদ্ভুদ অনুভূতি!কিছু সময় পর কালো পিঁপড়ে গুলো সবুজ হয়ে গেলো অর্থাত তাদের প্রতি নির্দেশিত প্রোগ্রামটি সফল ভাবে শেষ করেছে পিঁপড়ের দল ।অটোমেটিক বোতলে চলে আসলো পিঁপড়ে গুলো ।সেকানেই পড়ে রইলো যেনো মৃত কতোগুলো পিঁপড়ে সুন্দর এত বোতলে পড়ে রয়েছে।

       টর্চটি খুললেন স্যামসাদ।ভিতরের মেমোরি কার্ডটা বের করলেন।মেমোরি রিডারে ডুকিয়ে কম্পিউটারে অপেন করলেন।দেখতে পেলেন সেখানে নতুন কোন ভিডিও প্রোগ্রাম ইনষ্টল করার স্পেস নেই ।দুটি প্রগ্রাম কাট পেষ্ট করে কম্পিউটারে রাখলেন।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভিডিও প্রোগ্রামের ফর্মেট বের করলেন।এইচ টি এম এল এবং ফ্লাশ এর সংমিশ্রণে তৈরী নতুন আবিষ্কৃত  ভিডিও ফর্মেট।এই ফর্মেটের ভিডিও ফর্মেটের বিশেষত্ব হলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ প্রয়োগ করা যায়।হাই রেজোলেশনের ক্যামেরা দিয়ে সি পি ইউ স্লটের উপড় উজ্বল ফলাস লাইট ফেলে  ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দুটি ভিডিও করলেন।প্রথমটি হলো একটি ভাল মাদার বোর্ডের সি পি ইউ এর ভিডিও আর দ্বিতীয়টি এই এলো মেলো হয়ে যাওয়া নষ্ট সি পি ইউ এর ভিডিও ।ভিডিও দুটি টর্চের প্রোগ্রাম ফর্মেটের অনুসারে রূপান্তরিত করলেন স্যামসেদ।
দুটি ভিডিওর সংযোগ স্থলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকোড লেখলেন- “যদি প্রথম ভিডিও সঠিক হয়;তবে দ্বিতীয় ভিডিও সঠিক নয়।অর্থাত প্রথসটি ভাল দ্বিতীয়টি নষ্ট।অতএব,দ্বিতীয়টি মেরামত করে প্রথমটির মতো ভাল করতে হবে।” এবার ভিডিও প্রোগ্রামটি মেমোরি কার্ডে কপি পেষ্ট করলেন।মেমেরী কার্ডটি কার্ড রিডার হতে বের করে এনে টর্চে সেট করলেন।
              পিঁপড়ে গুলোকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সি পি ইউ স্লটে রাখলেন।টর্চে নতুন ইনষ্টলকৃত প্রোগ্রামটি সেট করে পিঁপড়ে গুলোর উপর বেগুনী রেজার রশ্মি ফেললেন।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে দেখতে পেলেন পিঁপড়ে গুলো সি পি ইউ স্লট মেরামতের কাজে লেগে পড়েছে।সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।পিঁপড়েদের সাধারণত নয় গুন বেশী শক্তি থাকে ,এই রোবোট পিঁপড়ে গুলোর যেনো আঠারো গুনের চেয়ে বেশী শক্তি!কিছুক্ষন পর দশটি পিঁপড়ে  বোতলে ফিরে আসলো্।এদের মধ্যে সাতটি পিঁপড়ে সবুজ,অর্থাত এদের কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।দুটি পিঁপড়ে হলুদ,এদের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে।আর একটি পিঁপড়ে লাল,অর্থাত পিঁপড়েটি কাজটি সফল ভাবে করতে পারেনি।স্যামসাদ পূনরায় আগের মতো নির্দেশ দিলেন ।এবার নয়টি পিঁপড়ে সবুজ একটি পিঁপড়ে লাল ।মাদার বের্ডের সমস্যাটা কোথায় ?তিনি মাদার বোর্ডটিকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে  দেখতে পেলেন সবকিছু ঠিক আছে,শুধু একটি পিনের একটি পায়ের অংশ এ্ক বা দুই মাইক্রো মিলিমিটার ফাঁকা যা মাদার বোর্ডে সংযুক্ত হয়নি।হয়তো পিনের সে অংশটা ভেংগে আলাদা হয়ে গেছে।তাই পিঁপড়েটা মেরামত করতে সক্ষম হচ্ছে না।সেটা এতো সুক্ষ কাজ যে ম্যানুয়ালী করা অসম্ভব।

  রোবোট পিঁপড়েদের আবার নির্দেশ দেয় হলো ।এবার একটি অদ্ভুদ ঘটনার সম্মুখিন হয়ে স্যামসাদ হতবাক হয়ে গেলেন।দেখলেন দুইবার ব্যর্থ লাল সিগনালের পিঁপড়াটা তার শরীরের একটি পায়ের ধাতব অংশ গলিয়ে পিনের ফাঁকা স্থানটি ভরাট করে দিয়ে পিনটিকে মেইন বোর্ডের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছে।এর ফলে মেইনবোর্ডটি মেরামত হয়ে গেলেও পিঁপড়েটি পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। অন্য পিঁপড়ে গুলো ধরাধরি করে পঙ্গু পিঁপড়েটিকে নিয়ে এসেছে।এবার দশটি পিঁপড়েই সবুজ।
      স্যামসাদ আরো হতভম্ভ হয়ে গেলেন এই আবিষ্কার করে যে,পঙ্গু পিপড়েটাই দলনেতা।যে সবচেয়ে কঠিন কাজটার দায়িত্ব নিয়েছিল এবং দেহের অংশ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও কাজটি ব্যর্থ হতে দেয়নি।কোম্পানী বলেছে এই রোবোট পিঁপড়ে গুলো ইন্টেলিজেন্ট।কিন্তু এগুলো যে এতোটা ইন্টেলিজেন্ট ভাবতেই পারছেন না স্যামসাদ ।পিঁপড়ে গুলোর নির্মাতা কম্পানীও কি এমনিটি ভাবতে পেরেছিল!?মনে হয় না!

            এখন পিঁপড়ে গুলো আগের মতো নাচে না ।দল নেতা নাচতে পারে না।দলনেতার নাচ অনুস্মরণ করতে পারে না পিঁপড়ে গুলো।দল নেতাকে ঘিরে লাফাতে থাকে ।যেনো তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে,তার কাছে জানতে চাইছে নাচের নির্দেশনা ।

        পিঁপড়ে নেতা যেনো শিখেয়ে দিল –‘নেতাদের আত্ম ত্যাগেই কর্মের সত্যিকারের সফলতা।’

Wednesday, October 14, 2015

Fishermen catch fish in the river


পল্লী স্মৃতি - সুফিয়া কামাল

পল্লী স্মৃতি
সুফিয়া কামাল 

বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি পল্লী ময়ের কোল,
ঝাউশাখে যেথা বনলতা বাঁধি হরষে খেয়েছি দোল
কুলের কাটার আঘাত লইয়া কাঁচা পাকা কুল খেয়ে,
অমৃতের স্বাদ যেন লভিয়াছি গাঁয়ের দুলালী মেয়ে
পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশীতে বিষম খেয়ে,
আরো উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।
চৈত্র নিশির চাঁদিমায় বসি' শুনিয়াছি রূপকথা,
মনে বাজিয়াছে সুয়ো দুয়োরাণী দুখিনি মায়ের ব্যথা।
তবু বলিয়াছি মার গলা ধরে, "মাগো, সেই কথা বল,
রাজার দুলালে পাষাণ করিতে ডাইনী করে কি ছল!
সাতশ' সাপের পাহারা কাটায়ে পাতালবাসিনী মেয়ে,
রাজার ছেলেরে বাঁচায়ে কি করে পৌঁছিল দেশে যেয়ে।"
কল্পপূরীর স্বপনের কাঠি বুলাইয়া শিশু চোখে
তন্দ্রদোলায় লয়ে যেত মোরে কোথা দূর ঘুমলোকে
ঘুম হতে জেগে বৈশাখী ঝড়ে কুড়ায়েছি ঝরা আম
খেলার সাথীরা কোথা আজ তারা? ভুলিয়াও গেছি নাম।
নববর্ষার জলে অবগাহি কভু পুলকিত মনে
গান গাহিয়াছি মল্লার রাগে বাদলের ধারা সনে;
শিশির সিক্ত শেফালী ফুলের ঘন সৌরভে মাতি'
শারদ প্রভাতে সখীগন সাথে আনিয়াছি মালা গাঁথি'।
পল্লী নদীর জলে ভাসাইয়া মোচার খেলার তরী,
কাঁদিয়া ফিরেছি সাঁঝের আলোতে পুতুল বিদায় করি'।
আগামী দিনের আশা-ভরসার কত না মধুর ছবি
ফুঁটিয়া উঠেছে আঁখির পাতায় ডুবেছে যখন রবি।


heart cloud

Courtesy - heart cloud

আন্দালুসিয়ায় ইবনে বতুতা Ibn Battuta at the Gibraltar

 
 ইবনে বতুতার রোমাঞ্চকর অভিযান

আন্দালুসিয়ায় ইবনে বতুতা

সুলতানের সহচর্যে কিছুদিন থেকে পিতা মাতার কবর জিয়ারতের জন্য তানজা শহরে এলাম।কবর জিয়ারত শেষে আত্মীয় স্বজনের সাথে কিছুদিন কাটিয়ে সাবতাহ শহরে পৌঁছলাম।সাবতাহ শহরে এসে অসুখে পড়লাম।মাস তিনেক পর সুস্থ হয়ে ভাবলাম আমারতো এখন শক্তি সামর্থ্য আছে ।জেহাদে যা্ওয়া কর্তব্য।তখন আন্দালুসিয়ার সুলতানের সাথে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানদের প্রায়ই যুদ্ধ বিগ্রহ লেগে থাকে।ভাবলাম এইসব যুদ্ধে আমিও অংশ নিতে পারি।তাই আন্দালুসিয়া যাওয়ার নিয়ত করে সাবাতাহ থেকে একটি জাহাজে চড়ে জবলুকতারিক (জিব্রাল্টার)এসে পৌঁছলাম।আমার এই সফরটা ছিল ষষ্ঠ আলকোলস এর এর মৃত্যেুর পর।রোমের এই অধিপতি জিব্রাল্টার অবরোধ করে রেখেছিলেন।কিন্তু বিজয় লাভের আগেই কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
জিব্রাল্টার ছোট অথচ সুন্দর শহর।এখানে বিশিষ্ট ব্যক্তি খতিব আবু জাকারিয়া রুনদাই ও কাজী ইসা বারবারির সাথে দেখা হলো।কাজী তাঁর বাড়ীতে আমার থাকার ব্যবস্থা করলেন।জিব্রাল্টারে আমাদের সুলতান আনানের সহায়তায় বেশ কিছু ভবন নির্মীত হয়েছে।সেগুলো ঘুরে ফিরে দেখলাম।জিব্রাল্টরি কয়েকদিন থেকে গেলাম রোনদাহ।আন্দালুসিয়ায় মোসলমানদের সবচেয়ে শক্তিশলিী ঘাঁটি হলো এই রোনদাহ।এখানে একটি বিশাল দুর্গ আছে।শহরের অধিনায়ক আব্দুল রাব্বি সোলায়মান বিন দাউদ আসকারি।কাজী ছিলেন আমার চাচাত ভাই ফকিহ আব্দুর কাশেম মুহাম্মদ বিন বতুতা।আমি বর্তমান কাজী আবুল হাজ্জাজ ইউসুফের বাড়ীতে মেহমান হলাম।
রোনদাই শহরের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর।বাগ-বাগিচায় পূর্ণ।চারপাশে সবুজের সমারোহ।আবহাওয়াও মনোরম আরামদায়ক।এখানে পাঁচদিন কাটিয়ে গেলাম মারবালা শহরে।রোনদাই থেকে মারবালা পর্যন্ত পথটা পাহাড়ী এবং দুর্গম।এখানে এসে দেখলাম একদল সোওয়ারি মারবালার দিকে যাচ্ছে।আমিও তাদের সাথে যাওয়ার জন্য পিছু পিছু রওয়ানা হলাম।ওদের থেকে আমি অনেক আগে চল এলাম।মারবালার এলাকা পার হয়ে সোহাইল এলাকায় এসে একটি খাদে এক ঘোড়াকে পড়ে থাকতে দেখলাম।তারপর দেখলাম একটি মাছের কুড়িও মাটিতে পড়ে আছে।এতে আমার সন্দেহ হলো সামনে নিশ্চই কোন অঘটন ঘটেছে।এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ারও দেখতে পেলাম।এই টাওয়ারে সতর্ক প্রহরী থাকেন।দূর থেকে দুশমনদের কোন আলামত পেলে সতর্ক সংকেত দেন।আমি বিপদের আভাস পেয়ে পিছিয়ে এসে সাথীদের সাথে মিলিত হলাম।ওখানে সোহাইল দুর্গের অধিনায়কও প্রহরীরদের নিয়ে এসেছিলেন।জানা গেল দুমমনরা চারটি নৌকা করে ওখানে এসেছিল।ওয়াচ টাউয়ারের প্রহরী তখন সেখানে না থাকায় আগে থেকেই সতর্ক সংকেত দিতে পারেননি।মারবালা থেকে বারো জন সওয়ারি ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন।দুশমনরা অতর্কিতে তাদের হামলা করে এক জনকে হত্যা করে এবং দশ জনকে বন্দী করে নিয়ে যায় ।এক জন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।এছাড়া একজন জেলেও ওদের হাতে নিহত হয়।যে মাছের কুড়িটি পড়ে থাকতে দেখেছি সেটি ওই জেলেরই ।
সেদিন সোহাইল দুর্গেই আমরা রাত কাটালাম।পরদিন দুর্গের অধিনায়ক পাহারা দিয়ে আমাদেরকে মালাকা শহরে পৌঁছে দিলেন।আন্দালুসিয়ার এক সুন্দর শহর এই মালাকা।শহরটি সমুদ্রতীরে অবস্থিত।এখানকার ফলমূলের খ্যাতি বিশ্বজোড়া।প্রচুর আঙুর জন্মে এখানে।বাজারে প্রতি আট রতল আঙুর এক দিরহামে বিক্রী হয়।মালাকার ইয়াকুতি আনার দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ আনার।এগুলো বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রফতানী হয়,এছাড়া আনজির ও বাদামও এখানে প্রচুর জন্মে।মালাকার আরেকটি রপ্তানী পণ্য হলো বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণ পাত্র।বিদেশে এগুলো রপ্তানী হয়।মালাকার মসজিদ অত্যন্ত সুন্দর এবং কমলা বাগানে সজ্জিত।
শহরে এসে দেখলাম কাজী আবু আবদুল্লাহ বিন আবু জাফর শহরের গণ্যমান্য লোকদের নিয়ে মজলিশে চাঁদা উঠাচ্ছেন।জিজ্ঞেস করে জানতে পাররাম কাফেরদের হাত থেকে পূর্বোল্লেখিত মুসলমান বন্দীদের মুক্তিপনের টাকা উঠানো হচ্ছে।খ্রিষ্টানরা প্রায়ই সুযোগ পেয়ে অতর্কিতে হামলা করে অসহায় মুসলিম পথচারীদের ধরে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে।
মালাকার খতিব আবু আবদুল্লাহ সাহেলীর বাড়ীতে মেহমান হয়ে কিছুদিন থেকে আমরা বাল্লাকা শহরে এলাম।মালাকা থেকে এর দূরত্ব চব্বিশ মাইল।মালাকার মতো এখানেও আনজির আঙুর প্রচুর জন্মে।এখানকার মসজিদটিও সুন্দর।
বাল্লাকা থেকে এলাম আরেক শহর হাম্মাহতে্।এটিও সুন্দর তবে আকারে ছোট।শহর থেকে মাইল খানেক তফাতে একটি নদীর তীরে অদ্ভুত আকৃতির একটি মসজিদ আছে।এখানে গরম পানির প্রস্রবণ আছে।এর পাশে দুটি রেষ্ট রুম।একটি পূরুষদের জন্য আরেকটি নারীদের জন্য।গরম পানি দিয়ে এখানে ওজু গোসল করা যায়।
কর্টেসী-মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ


Crossing the river ran!



 Bangladesh.
District Sunamganj hill in a river.

The name of this river.

There is beneath the mud of the river.

Sand with small stones.

This race is crossing the river in autumn!

 সুনামগঞ্জের পাহাড়ী একটি নদী।
নাম তার চলতি নদী ।
নদীর তলদেশে কাদা নেই।
আছে ছোট ছোট নুরী পাথর বালুকায়ময়।
হেমন্ত কালে নদীটি এভাবেই দৌড়ে পার হওয়া যায়!

MORNING - Kazi Nazrul Islam-প্রভাতী - কাজী নজরুল ইসলাম


 

প্রভাতী 
- কাজী নজরুল ইসলাম
ভোর হলো দোর খোলো
খুকুমণি ওঠ রে!
ডাকে জুঁই শাখে
ফুল খুকি ছোটরে!
রবি মামা দেয় হামা
গায়ে রাঙা জামা ,
দারোয়ান গায় গান
শোন , রামা হৈ!'
ত্যাজি নীড় করে ভিড়
ওড়ে পাখি আকাশে
এন্তার গান তার
ভাসে ভোর বাতাসে
চুলবুল বুলবুল
শিস্ দেয় পুষ্পে,
এইবার এইবার
খুকুমণি উঠবে!
খুলি হাল তুলি পাল
তরী চললো,
এইবার এইবার
খুকু চোখ খুললো
আলসে নয় সে
ওঠে রোজ সকালে
রোজ তাই চাঁদা ভাই
টিপ দেয় কপালে
উঠলো ছুটলো ওই
খোকা খুকি সব,
''উঠেছে আগে কে''
শোনো কলরব
নাই রাত মুখ হাত
ধোও, খুকু জাগো রে!
জয়গানে ভগবানে
তুষি' বর মাগো রে


Of the morning

- Kazi Nazrul Islam

Open the door in the morning
Kiddie-ray Rise!
The call Jasmine Branch

At a run flowers girl!
Sun  gives Creep

On the red shirt,
Porter Guy Music
Hear that, Rama rip! '

giving up home crowd
Birds fly in the sky
Bangla songs to her
Dawn floats in the air.
Bulbul bird Chulbul
Ear flower garden,

Now this time
Kiddie will Arise !

PAL skull puff up
The boat went,
Now this time
baby girl eyes opened.

He is idling
In the morning
Every contribution is Brother
Forehead to the tip.
The run was
All kiddy lass,
'' Who is'
Listen to the clamor.
The night is hand to mouth
Wash, baby girl rays Awake!

Victory song in God
Prayers "Some sought to worship.

Tuesday, October 13, 2015

Jenn Iove

সৌজন্যে -Jenn Iove

Kazla sister - Jatindra Mohan Bagchi কাজলা দিদি - যতীন্দ্র মোহন বাগচী

Kazla sister 

- Jatindra Mohan Bagchi 
 

The bamboo garden is the moon on the head,
My mama the riddle  Kazla sister where's?
Pool side lemon under thank light bundles
The smell of the flowers are up to sleep alone
My mama the riddle  Kazla sister  where's?
Why is the mother of the day the sister, who is not called;
For sister why cry face covered with a quilt?
When I came to eat the food, the sister of the call,
Why is the mother of the house next door sister did not come?
I cry why you are silently?
Mother, tell me where my sister has gone? When will she come?
Tomorrow will be my new home, get married doll!
The sister went out like, if I went to hide
So how can you lonely voice in the house,
Neither me nor elder sister is present how would be fun.
Bhui campas is full sheully plant floor,
Do not step in when mama bring water from the pond.
Bulbuli bird hides between the pomegranate tree,
You do not rule out the mother, pluck the pomegranate -
Sister and when you hear, say what mother!
The bamboo garden is the moon on the head,
This time  mama,  Where's my  Kazla  sister ?
Lemon bush thickets along the pond-side calls of crickets'
The smell of the flowers do not sleep, so I'm up
The night my mama Where's  Kazla  sister?

কমলা ফুলি

কমলাফুলি কমলাফুলি,কমলালেবুর ফুল
কমলাফুলির বিয়ে হবে কানে মোতির দুল
কমলাফুলির বিয়ে দেখতে যাবে
ফলার খাবে চন্দনা আর টিয়ে,
কোথায় থাকো কমলাফুলি ?
‘সিলেট আমার ঘর’
টিয়ে বলে দেখতে যাব পাখায় দিয়ে ভর।

হাটিমা টিম টিম

হাটিমা টিম টিম
তারা মাঠে পাড়ে ডিম
তাদের খাড়া দুটি শিং
তারা হাটিমা টিম টিম ।

পিঁপড়া খেয়ে বেঁচে ছিলেন ছয় দিন ! Six days survived by eating ants!

ছয় দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক ব্যক্তিকে আজ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার দুর্গম এক মরু এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কালো পিঁপড়া খেয়ে ছয় দিন বেঁচে ছিলেন ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির (৬২) নাম রেগ ফগারডি। তিনি ৭ অক্টোবর শিকারের উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ফগারডির খোঁজ না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে। নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তাঁকে পাওয়া যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা অ্যান্ডি গ্রেটউড বলেন, ফগারডির কাছে কোনো পানি ছিল না। তিনি কালো পিঁপড়া খাচ্ছিলেন। এভাবেই তিনি বেঁচে ছিলেন ছয় দিন।জায়গাটি ছিল দুর্গম এবং মরুভূমিসম। প্রচণ্ড রকমের অস্বস্থিকর  তপ্ত। সেখানে কোন মানুষেরর পক্ষে পানি ছাড়া ছয়দিন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
 উদ্ধারের সময় নিখোঁজ  ফগারডি  মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন।পানির অভাবে পিপাসায় তার  মতিভ্রমও হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ, বসছেন, কথা বলছেন।



Djilda-G


Sunamganj from Sylhet travel


Scholars is the story of the fox. But here scholar cat!

শিয়াল পন্ডিত হয় ।কিন্তু এখানে বিড়াল পন্ডিত!সৌজন্যে
Courtesy-Frida-Caka

Monday, October 12, 2015

খুকি ও কাঠবেড়ালি -কাজী নজরুল ইসলাম

কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও-
ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক,
খাও একা পাও যেথায় যেটুক!
বাতাবি-নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস পাটুস চাও?
ছোঁচা তুমি! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার! যাও!
কাঠবেড়ালি! বাঁদরীমুখী! মারবো ছুঁড়ে কিল?
দেখবি তবে? রাঙাদাকে ডাকবো? দেবে ঢিল!
পেয়ারা দেবে? যা তুই ওঁচা!
তাই তোর নাকটি বোঁচা!
হুতমো-চোখী! গাপুস গুপুস
একলাই খাও হাপুস হুপুস!
পেটে তোমার পিলে হবে! কুড়ি কুষ্টি মুখে!
হেই ভগবান! একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুকে!
ইস! খেয়ো না মস্তপানা ঐ সে পাকাটাও!
আমিও খুবই পেয়ারা খাই যে! একটি আমায় দাও!
কাঠবেড়ালি! তুমি আমার ছোড়দি’ হবে? বৌদি হবে? হুঁ!
রাঙা দিদি? তবে একটা পেয়ারা দাও না! উঃ!
এ রাম! তুমি ন্যাংটা পুঁটো?
ফ্রকটা নেবে? জামা দুটো?
আর খেয়ো না পেয়ার তবে,
বাতাবি-নেবুও ছাড়তে হবে!
দাঁত দেখিয়ে দিচ্ছ ছুট? অ’মা দেখে যাও!
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

অবৈধ প্রেম ! নারীরা কেন পরকীয়ায় জডিয়ে পড়েন ?

অবৈধ প্রেম বা পরকীয়ার বিষয়ে বিবাহিত মহিলারাও পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে নেই। গবেষণায় প্রমাণিত হলো এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বামীর থেকে পূর্ণ যৌন তৃপ্তি না পেলেও তাঁরা মোটেও বিবাহবিচ্ছেদের পথ মাড়ান না। বরং পরকীয়ার সম্পর্কে অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে নিজের শারীরিক চাহিদা মিটিয়ে নিতে চান। বিবাহিত মধ্যবয়স্কা মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা একটুই বেশিই হয় সে কথা বলেছেন গবেষকরা। জীবনের মধ্যগগনে এসে প্রিয় পুরুষের কাছে ধরে রাখতে চান নিজের পূর্ণ আকর্ষণ। কিন্তু স্বামী যদি তাঁর দিকে মন না দেন, বা শয্যায় চাহিদা না পূরণ করতে পারেন তখনই পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন মহিলারা।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ উইনচেস্টারের পুরুষত্ব ও সেক্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এরিক অ্যান্ডারসন জানাচ্ছেন, ‘বিয়ে করে পরিতৃপ্ত ও শয্যায় পূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া দুটো সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা বিষয়। তিনে গভেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন যে, ৩০-৪৫ বছরের মহিলারা আরও বেশী রোম্যান্টিক এবং উত্তেজনাময় যৌন জীবনের জন্যই অবৈধ প্রেমে বা পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন।মি: এরিক অ্যান্ডারসন ৩০-৪৫ বছরের ১০০ জনেরও বেশি বিবাহিত মহিলাদের নিয়ে তাঁর গবেষণা চালিয়েছেন এবং এমন ফলাফল পেয়েছেন। অ্যাশলে ম্যাডিসন ডট কম নামে একটি পরকীয়া প্রেম-সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এসমস্ত মহিলাদের কথোপকথন টেপ-বন্দি করা হয়েছিল।কথাবার্তা বিশ্লেষন করেন গভেষকরা। তার পরই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা।

গবেষণায় ৬৫ শতাংশেরও বেশি মহিলা পরপুরুষে অবৈধ প্রেম বা পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেছেন যৌন অতৃপ্তির কারণে। তাদের চাহিদা আরও উত্তেজনাময় ও কাঙ্খিত ছিল আবেগমথিত সেক্স। পাশাপাশি তাঁরা এও স্বীকার করেছেন, তার জন্য নতুন বিয়ে করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অ্যান্ডারসন বলছেন, বিয়ের কিছু বছর পর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্ক আকর্ষনহীন ও ফিকে হতে শুরু করে। কিন্তু মহিলারা ফের বিয়ে করে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান না।মি: অ্যান্ডারসন দাবি, এই গবেষণার বিষয়ের মূল সারাংশ কখনই বিবাহিত মহিলাদের অসম্মান করা নয়। বরং কি কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায় তার একটি কারণ খুজতে গিয়ে এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া গিয়েছে ।


Deportation to place their trust in the bamboo bridge


কীনব্রীজ সিলেট