If you do not mind, I want to live with the protection! If you do not mind,would have to say ! If you do not mind, like the freedom of mass media ! If you do not mind, like the right to vote!
If you do not mind, like the government ! If you do not mind, road safety!
If you do not mind, would like to study!
Cancer does not agree elephants. But the organism has more cells. It is a surprise to scientists, forest elephants and the people they do not like the health care system. But they are not cancer. Now, scientists think, There is no way to prevent cancer in the body of the elephant. They are at the start of the study. Scientists have already begun to take the research forward. American University's pediatric oncologist Dr. iutaha. Joshua Shiphman the cell has been compared to an elephant with human cells. It has been shown that these huge creatures cancer cells copy genes are additional 20. The genes that repair damaged cells. Sensing the presence of such material, even if it causes cancer cells to kill the potential of this gene. However, the excess of the p53 genes in cancer has made the elephant can not force it. The strong role of the cancer away. The researchers said, For larger animals, cancer is seen to be very low. The small size of the spread of cancer in humans or animals, and more. The p53 genes are more powerful because of the presence of cancer. After the birth of his body, the fullness of the p53 genes do not have a special reason. In this syndrome, Lee-Phramoni. The cancer may increase the chance of an attack. Shiphman and his fellow researchers examined, What kind of elephant in the cells react to radiation. The reactions of human cells was tested. All cells that are likely to be affected by the disease, they destroy themselves. This is twice the rate of human cells and cells of an elephant waiting. Because human cells do not contain this feature happen by selecting the cell and bind to cancer grain.
তাতারদের এলাকা ছাড়িয়ে আরো উত্তরে রয়েছে এক রহস্যময় জগত।লোকজনের কাছে এ এলাকা ভুতুরে রাজ্য বলে পরিচিত।সমগ্র অঞ্চল কঠিন বরফে ঢাকা।কোথাও গাছপালা বা জনবসতি চোখে পড়ে না।দিনের পর দিন পথ পাড়ি দিয়েও ভুতুরে রাজ্যের কোন সুনিদৃষ্ট ঠিক-ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায় না।তারপরও যাযাবর কিছু মানুষ ঔই এলাকায় বাস করেন।আসলে ওরা কোন ধরনের মানুষ তারও সঠিক পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।বরফের রাজ্যে বিচরণকারী এই ভুতুরে রাজ্যের যাযাবর গোষ্টির সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষগুলোর মাঝে মধ্যে যোগাযোগ ঘটে নিছক বানিজ্যের খাতিরে।ভুতুরে রাজ্যের এই বাসিন্দারা বিভিন্ন প্রকার লোমশ প্রাণী শিকার করে তাদের চামড়া বিক্রী করেন।তাদের এই বাণিজ্য কোন টাকা পয়সার মাধ্যমে হয় না।দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সামগ্রী দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে উত্তরের এই এলাকায় নিয়ে আসেন।ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য সামগ্রী কোন খোলা জায়গায় ফেলে রেখে তাঁবুর বিতরে গিয়ে রাত কাটান ।পরদিন ওনাদের ফেলে আসা পণ্য সামগ্রীর নিদৃষ্ঠ জায়গায় গিয়ে দেখেন ওই সব পণ্যের বদলে ওখানে শ্বেত ভালুক,মেরু শিয়াল,নেকড়ে ও অন্যান্য লোমশ মেরু প্রানীর মৃত দেহ রাখা হয়েছে।অর্থাত ভুতুরে রাজ্যের বাসিন্দারা এইসব প্রাণী দিয়ে ব্যবসায়ীদের পন্য সামগ্রী কিনে নিয়েছেন।আর যদি ব্যবসায়ী দেখেন যে,তাদের পণ্য সামগ্রীর তুলনায় ঔই সব প্রানীদের চামড়ার মূল্য কম হবে তখন ওরা ঐ প্রাণীগুলো গ্রহণ না করে যথাস্থানেই ফেলে রাখেন।তাঁবুতে আরোও একদিন অপেক্ষা করেন।পরদিন সকালে উঠে আবার নিদৃষ্ট জায়গায় গিয়ে দেখেন গতকালের মৃত দেহগুলোর সঙ্গে আরোও কিছু লোমশ প্রাণীর মৃতদেহ যোগ হয়েছে।উত্তরের ভুতুরে রাজ্যের এই বাসিন্দারা বুঝতে পারেন প্রথমে ওরা যে কটা মৃত দেহ দিয়েছিল তা’ ব্যবসায়ীদের পণ্যের মূল্যের চেয়ে কম ছিল বলে ব্যবস্য়ীরা গ্রহণ করেননি।তাই পরদিন আরো কিছু মৃতদেহ এনে ওরা এই দরদাম ঠিক করে দেন।উত্তরের ভুতুরে রাজ্যের এই বাসিন্দাদের বিকি-কিনি চলে এভাবে নিরবে নিভৃতে,ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে কোন দেখা স্বাক্ষাত ছাড়াই।ব্যবসায়ীরা এসব প্রানীগুলোর চামড়াগুলো ছিলে দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ে আসেন এবং শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে বিক্রী করেন। এসব লোমশ চামড়ার তৈরী পোশাক অনেক দামে বিক্রী হয়।চীন দেশের আমির ওমরাদের কাছে এই সব পোশাক খুব আদরনীয়।ইরান ও ইরাকের বড় লোকেরাও এই ধরণের পোশাক পছন্দ করেন।এই সব লোমশ চামড়া গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামী হলে এ্যারামিনের চামড়া,এদের লোম ধবধবে সাদা এবং সবচেয়ে মোলায়েম।কৃষ্ণ শিয়ালের চামড়াও(স্যাবল) দামী তবে এ্যারামিনের চেয়ে কম দামী।স্যাবলের একটা বৈশিষ্ট্য হলো এই চামড়ার লোমে উকুন থাকতে পারে না।
কর্টেসী-মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ
আজ দুজনার দুটি পথ -হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
আজ দুজনার দুটি পথ
ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে
তোমার ও পথ আলোয় ভরানো জানি
আমার এ পথ আঁধারে আছে যে ঢেকে
সেই শপথের মালা খুলে
আমারে গেছো যে ভুলে
তোমারেই তবু দেখি বারে বারে
আজ শুধু দূরে থেকে
আমার এ পথ আঁধারে আছে যে ঢেকে
আমার এ কূল ছাড়ি
তব বিস্মরণের খেয়া ভরা পালে
অকূলে দিয়েছি পাড়ি
আজ যত বার দ্বীপ জ্বালি
আলো নয় পাই কালি
এ বেদনা তবু সহি হাসিমুখে
নিজেকে লুকায়ে রেখে
আমার এ পথ আঁধারে আছে যে ঢেকে
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
Ma's curved in two directions
The light and the way you know it steamed
The way that I covered in darkness
Mala opened the oath
Forget me that tree
But again and again I thee
Today, just away
The way that I covered in darkness
I left the shore
Forgetting ferry filled with thy flock
Go to the extreme
Today the Bar Island fire
Do not light ink
Still in pain with a smile signature
Leaving himself aside
The way that I covered in darkness
নৌকা বাইচ বাইচ শব্দটি ফারসি যার অর্থ বাজি বা খেলা। নৌকার দাঁড় টানার কসরত ও নৌকা চালনার কৌশল দ্বারা জয়লাভের উদ্দেশ্যে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় দূরত্ব হয় ৬৫০ মিটার। প্রতিটি নৌকায় ৭, ২৫, ৫০ বা ১০০ জন মাঝি বা বৈঠাচালক থাকতে পারে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বাইচ প্রচলিত আছে স্মরণাতীত কাল থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নদ-নদীর উপস্থিতি প্রবল এবং নৌকা বাইচ এদেশের লোকালয় ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ফসল। নৌ-শিল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় বন্দর ও বাজার গড়ে ওঠে, গড়ে ওঠে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নৌকারিগর ও নৌ-শিল্পী। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নৌকার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। ঢাকা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ ইত্যাদি এলাকায় বাইচের জন্য ব্যবহূত হয় সাধারণত কোশা ধরনের নৌকা। এর গঠন সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট হয়। এর সামনের ও পিছনের অংশ একেবারে সোজা। এটি দেশিয় শাল, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি গাছের কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। টাঙ্গাইল ও পাবনা জেলায় নৌকা বাইচে সরু ও লম্বা দ্রুতগতিসম্পন্ন ছিপ জাতীয় নৌকা ব্যবহূত হয়। এর গঠনও সাধারণত সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট, তবে এর পিছনের দিকটা নদীর পানি থেকে প্রায় ৫ ফুট উঁচু ও সামনের দিকটা পানির সাথে মিলানো থাকে। এর সামনের ও পিছনের মাথায় চুমকির দ্বারা বিভিন্ন রকমের কারুকার্য করা হয়। এটিও শাল, গর্জন, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আজমিরিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে বাইচের জন্য সারেঙ্গি নৌকা ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট লম্বা হয় এবং এর প্রস্থ একটু বেশি (৫ থেকে ৬ ফুট) হয়ে থাকে। এগুলির সামনের ও পিছনের দিকটা হাঁসের মুখের মতো চ্যাপ্টা এবং পানি থেকে ২-৩ ফুট উঁচু থাকে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলার নিম্নাঞ্চল ও সন্দ্বীপে বাইচের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় সাম্পান। এটির গঠন জাহাজের মতো। ঢাকা ও ফরিদপুরে ব্যবহূত হয় গয়না নৌকা। এগুলির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ ফুট এবং মাঝখানটা ৮-৯ ফুট প্রশস্ত। গয়না নৌকার সামনের দিক পানি থেকে ৩ ফুট উঁচু এবং পিছনের দিক ৪-৫ ফুট উঁচু। মুসলিম যুগের নবাব-বাদশাহগণ নৌকা বাইচের আয়োজন করতেন। অনেক নবাব বা বাদশাহদের জল বা নৌ বাহিনীর দ্বারা নৌকা বাইচ উৎসবের গোড়াপত্তন হয়। পূর্ববঙ্গের ভাটি অঞ্চলে প্রশাসনিক অন্যতম উপায় ছিল নৌশক্তি। বাংলার বারো ভুঁইয়ারা নৌবলে বলিয়ান হয়ে মুগলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। মগ ও হার্মাদ জলদস্যুদের দমন করতেও নৌশক্তি ব্যবহূত হয়েছে। এদের রণবহরে দীর্ঘ আকৃতির ‘ছিপ’ নৌকা থাকত। বর্তমান যুগে সাধারণ নৌকাকেন্দ্রিক ঐ রকম নৌবিহার বা নৌবাহিনী না থাকলেও নৌশক্তির প্রতিযোগিতামূলক আনন্দোৎসব আজও নৌকা বাইচ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে বিরাজমান। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নৌকা বাইচ বিভিন্ন নামে পরিচিত। ড্রাগন বোট রেস, সোয়ান বোট রেস, রোয়িং বোট রেস, কেনীয় ও কাইয়াক বোট রেস ইত্যাদি নামে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নৌকা বাইচ সাধারণত ভাদ্র-আশ্বিন মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এক সুরে নৌকার প্রতিযোগীরা গান গায় এবং এসব গানের কথায় থাকে প্রায়শ আল্লাহ বা ঈশ্বর ও প্রকৃতির কাছে সাহস সংগ্রহের আবেদন। নৌকার গতি অনুসারে অনেকে নৌকার সুন্দর সুন্দর নাম রাখেন, যেমন ঝড়ের পাখি, পঙ্খিরাজ, সাইমুন, তুফান মেল, ময়ূরপঙ্খি, অগ্রদূত, দীপরাজ, সোনার তরী ইত্যাদি। নৌকায় ওঠার আগে সবাই পাক-পবিত্র হয়ে একই রঙের রুমাল মাথায় বেঁধে গায়ে গেঞ্জি পরে নেন। দাঁড়িয়ে বৈঠা চালানোর মাঝিরা থাকেন পিছনে, মধ্যে থাকেন নৌকার নির্দেশক। ঢোল-করতাল নিয়ে বাদক আর গায়েনরা নৌকার মধ্যে বসে তালে তালে মাঝিদের উৎসাহ যোগান। বাংলাদেশে নৌকা বাইচের সংগঠন ও উন্নয়নের জন্য ১৯৭৪ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশন। এই ফেডারেশন সনাতন নৌকা বাইচ ও রোয়িং-এর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এই ফেডারেশন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রোয়িং ফেডারেশনের সদস্য। দেশিয় নৌকা বাইচকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছরই অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, এছাড়াও ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আমি চিরদুর্দম, দূর্বিনীত, নৃশংস, মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস! আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর, আমি দূর্বার, আমি ভেঙে করি সব চুরমার! আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল! আমি মানি না কো কোন আইন, আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন! আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!
বল বীর- চির-উন্নত মম শির!
আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বীর, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দেই তিন দোল্; আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা! আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরীত্রির; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির অধীর।
বল বীর- আমি চির-উন্নত শির!
আমি চির-দূরন্ত দুর্মদ আমি দূর্দম মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম্ হ্যায় হর্দম্ ভরপুর্ মদ। আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি, আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি। আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান, আমি অবসান, নিশাবসান।
আমি ঈন্দ্রাণী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ তূর্য; আমি কৃষ্ণ-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির। আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।
বল বীর- চির-উন্নত মম শির!
আমি সন্ন্যাসী, সুর সৈনিক, আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক। আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কূর্ণিশ। আমি বজ্র, আমি ঈষাণ-বিষানে ওঙ্কার, আমি ইস্রাফিলের শৃঙ্গার মহা-হুঙ্কার, আমি পিনাক-পাণির ডমরু ত্রিশুল, ধর্মরাজের দন্ড, আমি চক্র-মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড! আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য, আমি দাবানল-দাহ, দহন করিব বিশ্ব। আমি প্রাণ-খোলা হাসি উল্লাস, -আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস আমি মহাপ্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস! আমি কভু প্রশান্ত, কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী, আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী! আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছাস, আমি বারিধির মহাকল্লোল, আমি উজ্জ্বল, আমি প্রোজ্জ্বল, আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল ঊর্মির হিন্দোল-দোল!-
আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি, আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!
আমি উন্মন, মন-উদাসীর, আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর। আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের, আমি অবমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয় লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের আমি অভিমানী চির ক্ষূব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যাথা সূনিবিড়, চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর থর থর প্রথম পরশ কুমারীর! আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখন, আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তাঁর কাঁকণ-চুড়ির কন্-কন্। আমি চির শিশু, চির কিশোর, আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচর কাঁচুলি নিচোর! আমি উত্তর-বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া, আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া। আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়াছবি! আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি, এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ! আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!
আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন চিতে চেতন, আমি বিশ্বতোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন। ছুটি ঝড়ের মতন করতালী দিয়া স্বর্গ মর্ত্য-করতলে, তাজী বোর্রাক্ আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে! আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নেয়াদ্রী, বাড়ব বহ্নি, কালানল, আমি পাতালে মাতাল, অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল! আমি তড়িতে চড়িয়া, উড়ে চলি জোড় তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ, আমি ত্রাস সঞ্চারি’ ভুবনে সহসা, সঞ্চারি ভূমিকম্প।
আমি দেবশিশু, আমি চঞ্চল, আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল! আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী, মহা-সিন্ধু উতলা ঘুম্ঘুম্ ঘুম্ চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝ্ঝুম মম বাঁশরীর তানে পাশরি’। আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।
আমি রুষে উঠি’ ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া, ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোযখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া! আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!
আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা, কভু ধরনীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল ধ্বংস ধন্যা- আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা! আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি, আমি ধূমকেতু জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী! আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী, আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!
আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়, আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়! আমি মানব দানব দেবতার ভয়, বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়, জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য, আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ-পাতাল মর্ত্য! আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!! আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!
আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার! আমি হল বলরাম-স্কন্ধে, আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধিন বিশ্ব অবহেলে, নব সৃষ্টির মহানন্দে
মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না- অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত।
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন, আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন! আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন! আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!
আমি চির-বিদ্রোহী বীর- বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!
Proclaim, Hero, proclaim: I raise my head high! Before me bows down the Himalayan peaks!
Proclaim, Hero, proclaim: rending through the sky, surpassing the moon, the sun, the planets, the stars, piercing through the earth, the heavens, the cosmos and the Almighty's throne, have I risen I, the eternal wonder of the Creator of the universe. The furious Shiva shines on my forehead like a royal medallion of victory! Proclaim, Hero, proclaim: My head is ever held high!
I'm ever indomitable, arrogant and cruel, I'm the Dance-king of the Day of the Doom, I'm the cyclone, the destruction! I'm the great terror, I'm the curse of the world. I'm unstoppable, I smash everything into pieces! I'm unruly and lawless. I crush under my feet all the bonds, rules and disciplines! I don't obey any laws. I sink cargo-laden boats I'm the torpedo, I'm the dreadful floating mine. I'm the destructive Dhurjati, the sudden tempest of the summer. I'm the Rebel, the Rebel son of the Creator of the universe!
Proclaim, Hero, proclaim: My head is ever held high!
I'm the tempest, I'm the cyclone, I destroy everything I find in my path. I'm the dance-loving rhythm, I dance to my own beats. I'm the delight of a life of freedom. I'm Hambeer, Chhayanat, Hindol. I move like a flash of lightning with turns and twists. I swing, I leap and frolic! I do whatever my heart desires. I embrace my enemy and wrestle with death. I'm untamed, I'm the tempest! I'm pestilence, dread to the earth, I'm the terminator of all reigns of terror, I'm ever full of burning restlessness.
Proclaim, Hero, proclaim: My head is ever held high!
I'm ever uncontrollable, irrepressible. My cup of elixir is always full. I'm the sacrificial fire, I'm Yamadagni, the keeper of the sacrificial fire. I'm the sacrifice, I'm the priest,
I'm the fire itself. I'm creation, I'm destruction, I'm habitation, I'm the cremation ground. I'm the end, the end of night. I'm the son of Indrani, with the moon in my hand and the sun on my forehead. In one hand I hold the bamboo flute, in the other, a trumpet of war. I'm Shiva's blued-hued throat from drinking poison from the ocean of pain. I'm Byomkesh, the Ganges flows freely through my matted locks.
Proclaim, Hero, proclaim: My head is ever held high!
I'm the ascetic, the minstrel, I'm the prince, my royal garb embarasses even the most ostentatious. I'm Bedouin, I'm Chenghis, I salute none but myself! I'm thunder, I'm the OM sound of Ishan's horn. I'm the mighty call of Israfil's trumpet. I'm Pinakapani's hourglass drum, trident, the sceptre of the Lord of Justice. I'm the Chakra and the Great Conch, I'm the primordial sound of the Gong! I'm the furious Durbasa, the disciple of Vishwamitra. I'm the fury of fire, to burn this earth to ashes. I'm the ecstatic laughter, terrifying the creation. I'm the eclipse of the twelve suns on the Day of the Doom. Sometimes calm, sometimes wild, I'm the youth of new blood I humble even the fate's pride! I'm the violent gust of a wind storm, the roar of the ocean. I'm bright, effulgent. I'm the murmur of over-flowing water, Hindol dance of rolling waves!
I'm the unbridled hair of a maiden, the fire in her eyes. I'm the budding romance of a girl of sixteen I'm the state of bliss! I'm the madness of the recluse, I'm the sigh of grief of a widow, I'm the anguish of the dejected, I'm the suffering of the homeless, I'm the pain of the humiliated, I'm the afflicted heart of the lovesick. I'm the trembling passion of the first kiss, the fleeting glance of the secret lover. I'm the love of a restless girl, the jingling music of her bangles! I'm the eternal child, the eternal adolescent, I'm the bashfulness of a village girl's budding youth. I'm the northern breeze, the southern breeze, the callous eastwind. I'm the minstrel's song, the music of his flute and lyre. I'm the unquenched summer thirst, the scorching rays of the sun. I'm the softly flowing desert spring and the green oasis!
In ecstatic joy, in madness, I've suddenly realized myself all the barriers have crumbled away! I'm the rise, I'm the fall, I'm the consciousness in the unconscious mind. I'm the flag of triumph at the gate of the universe the triumph of humanity!
Like a tempest I traverse the heaven and earth riding Uchchaishraba and the mighty Borrak. I'm the burning volcano in the bosom of the earth, the wildest commotion of the subterranean ocean of fire. I ride on lightning and panic the world with earthquakes! I clasp the hood of the Snake-king and the fiery wing of the angel Gabriel. I'm the child-divine restless and defiant. With my teeth I tear apart the skirt of Mother Earth!
I'm Orpheus' flute. I calm the restless ocean and bring lethean sleep to the fevered world with a kiss of my melody. I'm the flute in the hands of Shyam. When I fly into a rage and traverse the vast sky, the fires of Seven Hells and the hell of hells, Habia, tremble in fear and die. I'm the messenger of revolt across the earth and the sky.
I'm the mighty flood. Sometimes I bring blessings to the earth, at other times, cause colossal damage. I wrestle away the maidens two from Vishnu's bosom! I'm injustice, I'm a meteor, I'm Saturn, I'm a blazing comet, a venomous cobra! I'm the headless Chandi, I'm the warlord Ranada. Sitting amidst the fire of hell I smile like an innocent flower! I'm made of clay, I'm the embodiment of the Soul. I'm imperishable, inexhaustible, immortal. I intimidate the humans, demons and gods. I'm ever-unconquerable. I'm the God of gods, the supreme humanity, traversing the heaven and earth!
I'm mad, I'm mad! I have realized myself, all the barriers have crumbled away!!
I'm Parashuram's merciless axe. I'll rid the world of all the war mongers and bring peace. I'm the plough on Balaram's shoulders. I'll uproot this subjugated world in the joy of recreating it. Weary of battles, I, the Great Rebel, shall rest in peace only when the anguished cry of the oppressed shall no longer reverberate in the sky and the air, and the tyrant's bloody sword will no longer rattle in battlefields. Only then shall I, the Rebel, rest in peace.
I'm the Rebel Bhrigu, I'll stamp my footprints on the chest of god sleeping away indifferently, whimsically, while the creation is suffering. I'm the Rebel Bhrigu, I'll stamp my footprints I'll tear apart the chest of the whimsical god!
I'm the eternal Rebel, I have risen beyond this world, alone, with my head ever held high!
সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করুন Save From Net Helper সফটওয়্যার দিয়ে!
ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড সাধারণত করা যায় না।
যারা একটু এক্সপার্ট তারা কোন সফটওয়্যার ছাড়াই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউনলোড লোড করতে পারেন।
কিন্তু সমস্যা হয় নতুনদের।
নতুনদেরও ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করাতে সমস্যা হবে না,এই লেখা অনুস্মরণ করে কাজ করতে পারলে।
ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করতে হলে একটি সফটওয়্যার Save From Net Helper কম্পিউটারে ইষ্টল করে নিলে
সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করতে পারবেন।
এই লিংক SaveFromNetHelper ৭৭০কেবির সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ।
তারপর আপনার কম্পিউটারের নেট কানেকশন থাকা অবস্থায় ডাউনলোডকৃত সফটওয়্যারটি সেটাপ দিন ।
সফটওয়্যারটির সার্ভার হতে কিছু সময়ের মধ্যে আপনার কম্পিউটারে ইনষ্টল হবে।
এখন ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিওতে একটি সবুজ রংয়ের তীর চিহ্ন দেখতে পাবেন।
সেখানে ক্লিক করে সহজেই ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন।
মাসুদ রানা সিরিজের বই পড়তে প্রায় সকলেই ভালবাসেন ।
মাসুদ রানা সিরিজের বই pdf ভার্সনের বই নিচের নিংকে পাবেন।
তার আগে মাসুদ রানা সম্পর্কে কিছু জেনে নিন ।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট একটি কাল্পনীক কাহিনী-চরিত্র মাসুদ রানা। ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার বইয়ের ভাবানুবাদ বা ছায়া অবলম্বনে রচিত মাসুদ রানা। মাসুদ রানার চরিত্রটিকে মূলত ইয়ান ফ্লেমিংয়ের (Ian Fleming) সৃষ্ট জেমস বন্ড (James Bond) চরিত্রটির বাঙালি সংস্করণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
মাসুদ রানা সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর, এবং কাল্পনিক সংস্থা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর সদস্য, এবং তাঁর সাংকেতিক নাম MR-9। এছাড়া রানা এজেন্সি নামক একটি গোয়েন্দা সংস্থাও রানা পরিচালনা করে থাকে।
মাসুদ রানার সহায়ক চরিত্রে প্রথমেই মেজর জেনারেল রাহাত খানের নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের প্রধান। তাঁরই তত্বাবধানে রানা নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া তার কাজে সহায়তা করে থাকে সোহেল, সলিল, সোহানা, রূপা, গিলটি মিয়া প্রমুখ চরিত্রও।
মাসুদ রানার অধিকাংশ কাহিনীই বিভিন্ন বিদেশী লেখকের বই থেকে ধার করা। এলিস্ট্যার ম্যাকলীন (Alistair MacLean), রবার্ট লুডলাম (Robert Ludlum), জেমস হেডলী চেয (James Headley Chase), উইলবার স্মিথ (Wilber Smith), ক্লাইভ কাসলার(clive cussler), ফ্রেডরিক ফরসাইথ(frederick forsyth)-সহ বহু বিদেশী, বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্যিকের লেখা কাহিনী থেকে ধার করে মাসুদ রানার কাহিনী লেখা হয়।
কখনও কোনো বই বিদেশী কোনো একক বই থেকেই অনুবাদ করা হয়, আবার কখনও একাধিক বই মিলিয়ে লেখা হয়।
মাসুদ রানা'র নামকরণ করা হয় দুজন বাস্তব মানুষের নামের অংশ মিলিয়ে। কাজী আনোয়ার হোসেন তাঁর স্ত্রী, আধুনিক সংগীতশিল্পী ফরিদা ইয়াসমীনের সাথে পরামর্শ করে নামটি নির্বাচন করেন। এপ্রসঙ্গে স্বয়ং কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন ।
“ আমাদের দুজনেরই বন্ধু স্বনামধন্য গীতিকার মাসুদ করিমের 'মাসুদ' আর আমার ছেলেবেলার হিরো (নায়ক) ইতিহাসে পড়া মেবারের রাজপুত রাজা রানা প্রতাপ সিংহ থেকে 'রানা' নিয়ে নাম হলো মাসুদ রানা। ”
মাসুদ রানা চরিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় মাসুদ রানা সিরিজের ‘বিস্মরণ’ অবলম্বনে, ১৯৭৩ সালে। আর ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। পরিচালনায় ছিলেন মাসুদ পারভেজ তথা পরবর্তীকালের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল রানা।
খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত করছে মানুষদের
শ্রমিক সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল বলছে, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক ‘নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত’ কাজের মাধ্যমে চাকরিজীবী বা শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
শ্রমিকদের কাজের জন্য যেসব ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে অনেকেই তা পায়না।
সংগঠনটি বলছে, এর মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে। আর এই প্রবণতা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বাড়ছে।
ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের রায় রমেশচন্দ্র বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বঞ্চনার ঘটনা ঘটছে । অনেকে বারো বছর, চৌদ্দ বছর, পনেরো বছর ধরে এভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু স্থায়ী হচ্ছেন না। ফলে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রমিকের আইনানুগ নিয়োগপত্র, চাকরির স্থায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা, গ্রাচুইটি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া দরকার। কিন্তু মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে বিশ্বব্যাপী খণ্ডকালীন বা আউট সোর্সিং এর নামে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে।’
মূলত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে মালিক পক্ষ কিংবা নিয়োগদাতাদের লাভ করার মানসিকতাই এর কারণ বলে তিনি জানান।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেক্টরেই চুক্তিভিত্তিক কিংবা খণ্ডকালীন নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এই কাজগুলোকে Precarious work বা নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ বলা হয়ে থাকে।
এই ‘নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ’ বন্ধের দাবিতে আজ একটি কর্মসূচি পালন করছে ইন্ডাস্ট্রিঅল।
Cancer does not agree elephants. But the organism has more cells. It is a surprise to scientists, forest elephants and the people they do not like the health care system. But they are not cancer. Now, scientists think, There is no way to prevent cancer in the body of the elephant. They are at the start of the study. Scientists have already begun to take the research forward. American University's pediatric oncologist Dr. iutaha. Joshua Shiphman the cell has been compared to an elephant with human cells. It has been shown that these huge creatures cancer cells copy genes are additional 20. The genes that repair damaged cells. Sensing the presence of such material, even if it causes cancer cells to kill the potential of this gene. However, the excess of the p53 genes in cancer has made the elephant can not force it. The strong role of the cancer away. The researchers said, For larger animals, cancer is seen to be very low. The small size of the spread of cancer in humans or animals, and more. The p53 genes are more powerful because of the presence of cancer. After the birth of his body, the fullness of the p53 genes do not have a special reason. In this syndrome, Lee-Phramoni. The cancer may increase the chance of an attack. Shiphman and his fellow researchers examined, What kind of elephant in the cells react to radiation. The reactions of human cells was tested. All cells that are likely to be affected by the disease, they destroy themselves. This is twice the rate of human cells and cells of an elephant waiting. Because human cells do not contain this feature happen by selecting the cell and bind to cancer grain.
তাতারদের এলাকা ছাড়িয়ে আরো উত্তরে রয়েছে এক রহস্যময় জগত।লোকজনের কাছে এ এলাকা ভুতুরে রাজ্য বলে পরিচিত।সমগ্র অঞ্চল কঠিন বরফে ঢাকা।কোথাও গাছপালা বা জনবসতি চোখে পড়ে না।দিনের পর দিন পথ পাড়ি দিয়েও ভুতুরে রাজ্যের কোন সুনিদৃষ্ট ঠিক-ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায় না।তারপরও যাযাবর কিছু মানুষ ঔই এলাকায় বাস করেন।আসলে ওরা কোন ধরনের মানুষ তারও সঠিক পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।বরফের রাজ্যে বিচরণকারী এই ভুতুরে রাজ্যের যাযাবর গোষ্টির সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষগুলোর মাঝে মধ্যে যোগাযোগ ঘটে নিছক বানিজ্যের খাতিরে।ভুতুরে রাজ্যের এই বাসিন্দারা বিভিন্ন প্রকার লোমশ প্রাণী শিকার করে তাদের চামড়া বিক্রী করেন।তাদের এই বাণিজ্য কোন টাকা পয়সার মাধ্যমে হয় না।দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সামগ্রী দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে উত্তরের এই এলাকায় নিয়ে আসেন।ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য সামগ্রী কোন খোলা জায়গায় ফেলে রেখে তাঁবুর বিতরে গিয়ে রাত কাটান ।পরদিন ওনাদের ফেলে আসা পণ্য সামগ্রীর নিদৃষ্ঠ জায়গায় গিয়ে দেখেন ওই সব পণ্যের বদলে ওখানে শ্বেত ভালুক,মেরু শিয়াল,নেকড়ে ও অন্যান্য লোমশ মেরু প্রানীর মৃত দেহ রাখা হয়েছে।অর্থাত ভুতুরে রাজ্যের বাসিন্দারা এইসব প্রাণী দিয়ে ব্যবসায়ীদের পন্য সামগ্রী কিনে নিয়েছেন।আর যদি ব্যবসায়ী দেখেন যে,তাদের পণ্য সামগ্রীর তুলনায় ঔই সব প্রানীদের চামড়ার মূল্য কম হবে তখন ওরা ঐ প্রাণীগুলো গ্রহণ না করে যথাস্থানেই ফেলে রাখেন।তাঁবুতে আরোও একদিন অপেক্ষা করেন।পরদিন সকালে উঠে আবার নিদৃষ্ট জায়গায় গিয়ে দেখেন গতকালের মৃত দেহগুলোর সঙ্গে আরোও কিছু লোমশ প্রাণীর মৃতদেহ যোগ হয়েছে।উত্তরের ভুতুরে রাজ্যের এই বাসিন্দারা বুঝতে পারেন প্রথমে ওরা যে কটা মৃত দেহ দিয়েছিল তা’ ব্যবসায়ীদের পণ্যের মূল্যের চেয়ে কম ছিল বলে ব্যবস্য়ীরা গ্রহণ করেননি।তাই পরদিন আরো কিছু মৃতদেহ এনে ওরা এই দরদাম ঠিক করে দেন।উত্তরের ভুতুরে রাজ্যের এই বাসিন্দাদের বিকি-কিনি চলে এভাবে নিরবে নিভৃতে,ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে কোন দেখা স্বাক্ষাত ছাড়াই।ব্যবসায়ীরা এসব প্রানীগুলোর চামড়াগুলো ছিলে দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ে আসেন এবং শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে বিক্রী করেন। এসব লোমশ চামড়ার তৈরী পোশাক অনেক দামে বিক্রী হয়।চীন দেশের আমির ওমরাদের কাছে এই সব পোশাক খুব আদরনীয়।ইরান ও ইরাকের বড় লোকেরাও এই ধরণের পোশাক পছন্দ করেন।এই সব লোমশ চামড়া গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামী হলে এ্যারামিনের চামড়া,এদের লোম ধবধবে সাদা এবং সবচেয়ে মোলায়েম।কৃষ্ণ শিয়ালের চামড়াও(স্যাবল) দামী তবে এ্যারামিনের চেয়ে কম দামী।স্যাবলের একটা বৈশিষ্ট্য হলো এই চামড়ার লোমে উকুন থাকতে পারে না।
কর্টেসী-মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ
আজ দুজনার দুটি পথ -হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
আজ দুজনার দুটি পথ
ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে
তোমার ও পথ আলোয় ভরানো জানি
আমার এ পথ আঁধারে আছে যে ঢেকে
সেই শপথের মালা খুলে
আমারে গেছো যে ভুলে
তোমারেই তবু দেখি বারে বারে
আজ শুধু দূরে থেকে
আমার এ পথ আঁধারে আছে যে ঢেকে
আমার এ কূল ছাড়ি
তব বিস্মরণের খেয়া ভরা পালে
অকূলে দিয়েছি পাড়ি
আজ যত বার দ্বীপ জ্বালি
আলো নয় পাই কালি
এ বেদনা তবু সহি হাসিমুখে
নিজেকে লুকায়ে রেখে
আমার এ পথ আঁধারে আছে যে ঢেকে
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
Ma's curved in two directions
The light and the way you know it steamed
The way that I covered in darkness
Mala opened the oath
Forget me that tree
But again and again I thee
Today, just away
The way that I covered in darkness
I left the shore
Forgetting ferry filled with thy flock
Go to the extreme
Today the Bar Island fire
Do not light ink
Still in pain with a smile signature
Leaving himself aside
The way that I covered in darkness
নৌকা বাইচ বাইচ শব্দটি ফারসি যার অর্থ বাজি বা খেলা। নৌকার দাঁড় টানার কসরত ও নৌকা চালনার কৌশল দ্বারা জয়লাভের উদ্দেশ্যে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় দূরত্ব হয় ৬৫০ মিটার। প্রতিটি নৌকায় ৭, ২৫, ৫০ বা ১০০ জন মাঝি বা বৈঠাচালক থাকতে পারে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা বাইচ প্রচলিত আছে স্মরণাতীত কাল থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নদ-নদীর উপস্থিতি প্রবল এবং নৌকা বাইচ এদেশের লোকালয় ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ফসল। নৌ-শিল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় বন্দর ও বাজার গড়ে ওঠে, গড়ে ওঠে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নৌকারিগর ও নৌ-শিল্পী। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নৌকার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। ঢাকা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ ইত্যাদি এলাকায় বাইচের জন্য ব্যবহূত হয় সাধারণত কোশা ধরনের নৌকা। এর গঠন সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট হয়। এর সামনের ও পিছনের অংশ একেবারে সোজা। এটি দেশিয় শাল, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি গাছের কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। টাঙ্গাইল ও পাবনা জেলায় নৌকা বাইচে সরু ও লম্বা দ্রুতগতিসম্পন্ন ছিপ জাতীয় নৌকা ব্যবহূত হয়। এর গঠনও সাধারণত সরু এবং এটি লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট, তবে এর পিছনের দিকটা নদীর পানি থেকে প্রায় ৫ ফুট উঁচু ও সামনের দিকটা পানির সাথে মিলানো থাকে। এর সামনের ও পিছনের মাথায় চুমকির দ্বারা বিভিন্ন রকমের কারুকার্য করা হয়। এটিও শাল, গর্জন, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আজমিরিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে বাইচের জন্য সারেঙ্গি নৌকা ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট লম্বা হয় এবং এর প্রস্থ একটু বেশি (৫ থেকে ৬ ফুট) হয়ে থাকে। এগুলির সামনের ও পিছনের দিকটা হাঁসের মুখের মতো চ্যাপ্টা এবং পানি থেকে ২-৩ ফুট উঁচু থাকে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলার নিম্নাঞ্চল ও সন্দ্বীপে বাইচের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় সাম্পান। এটির গঠন জাহাজের মতো। ঢাকা ও ফরিদপুরে ব্যবহূত হয় গয়না নৌকা। এগুলির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ ফুট এবং মাঝখানটা ৮-৯ ফুট প্রশস্ত। গয়না নৌকার সামনের দিক পানি থেকে ৩ ফুট উঁচু এবং পিছনের দিক ৪-৫ ফুট উঁচু। মুসলিম যুগের নবাব-বাদশাহগণ নৌকা বাইচের আয়োজন করতেন। অনেক নবাব বা বাদশাহদের জল বা নৌ বাহিনীর দ্বারা নৌকা বাইচ উৎসবের গোড়াপত্তন হয়। পূর্ববঙ্গের ভাটি অঞ্চলে প্রশাসনিক অন্যতম উপায় ছিল নৌশক্তি। বাংলার বারো ভুঁইয়ারা নৌবলে বলিয়ান হয়ে মুগলদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। মগ ও হার্মাদ জলদস্যুদের দমন করতেও নৌশক্তি ব্যবহূত হয়েছে। এদের রণবহরে দীর্ঘ আকৃতির ‘ছিপ’ নৌকা থাকত। বর্তমান যুগে সাধারণ নৌকাকেন্দ্রিক ঐ রকম নৌবিহার বা নৌবাহিনী না থাকলেও নৌশক্তির প্রতিযোগিতামূলক আনন্দোৎসব আজও নৌকা বাইচ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে বিরাজমান। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নৌকা বাইচ বিভিন্ন নামে পরিচিত। ড্রাগন বোট রেস, সোয়ান বোট রেস, রোয়িং বোট রেস, কেনীয় ও কাইয়াক বোট রেস ইত্যাদি নামে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নৌকা বাইচ সাধারণত ভাদ্র-আশ্বিন মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এক সুরে নৌকার প্রতিযোগীরা গান গায় এবং এসব গানের কথায় থাকে প্রায়শ আল্লাহ বা ঈশ্বর ও প্রকৃতির কাছে সাহস সংগ্রহের আবেদন। নৌকার গতি অনুসারে অনেকে নৌকার সুন্দর সুন্দর নাম রাখেন, যেমন ঝড়ের পাখি, পঙ্খিরাজ, সাইমুন, তুফান মেল, ময়ূরপঙ্খি, অগ্রদূত, দীপরাজ, সোনার তরী ইত্যাদি। নৌকায় ওঠার আগে সবাই পাক-পবিত্র হয়ে একই রঙের রুমাল মাথায় বেঁধে গায়ে গেঞ্জি পরে নেন। দাঁড়িয়ে বৈঠা চালানোর মাঝিরা থাকেন পিছনে, মধ্যে থাকেন নৌকার নির্দেশক। ঢোল-করতাল নিয়ে বাদক আর গায়েনরা নৌকার মধ্যে বসে তালে তালে মাঝিদের উৎসাহ যোগান। বাংলাদেশে নৌকা বাইচের সংগঠন ও উন্নয়নের জন্য ১৯৭৪ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশন। এই ফেডারেশন সনাতন নৌকা বাইচ ও রোয়িং-এর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এই ফেডারেশন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রোয়িং ফেডারেশনের সদস্য। দেশিয় নৌকা বাইচকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছরই অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, এছাড়াও ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আমি চিরদুর্দম, দূর্বিনীত, নৃশংস, মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস! আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর, আমি দূর্বার, আমি ভেঙে করি সব চুরমার! আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল! আমি মানি না কো কোন আইন, আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন! আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!
বল বীর- চির-উন্নত মম শির!
আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বীর, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দেই তিন দোল্; আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা! আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরীত্রির; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির অধীর।
বল বীর- আমি চির-উন্নত শির!
আমি চির-দূরন্ত দুর্মদ আমি দূর্দম মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম্ হ্যায় হর্দম্ ভরপুর্ মদ। আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি, আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি। আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান, আমি অবসান, নিশাবসান।
আমি ঈন্দ্রাণী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ তূর্য; আমি কৃষ্ণ-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির। আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।
বল বীর- চির-উন্নত মম শির!
আমি সন্ন্যাসী, সুর সৈনিক, আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক। আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কূর্ণিশ। আমি বজ্র, আমি ঈষাণ-বিষানে ওঙ্কার, আমি ইস্রাফিলের শৃঙ্গার মহা-হুঙ্কার, আমি পিনাক-পাণির ডমরু ত্রিশুল, ধর্মরাজের দন্ড, আমি চক্র-মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড! আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য, আমি দাবানল-দাহ, দহন করিব বিশ্ব। আমি প্রাণ-খোলা হাসি উল্লাস, -আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস আমি মহাপ্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস! আমি কভু প্রশান্ত, কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী, আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী! আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছাস, আমি বারিধির মহাকল্লোল, আমি উজ্জ্বল, আমি প্রোজ্জ্বল, আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল ঊর্মির হিন্দোল-দোল!-
আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি, আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!
আমি উন্মন, মন-উদাসীর, আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর। আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের, আমি অবমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয় লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের আমি অভিমানী চির ক্ষূব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যাথা সূনিবিড়, চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর থর থর প্রথম পরশ কুমারীর! আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখন, আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তাঁর কাঁকণ-চুড়ির কন্-কন্। আমি চির শিশু, চির কিশোর, আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচর কাঁচুলি নিচোর! আমি উত্তর-বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া, আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া। আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়াছবি! আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি, এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ! আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!
আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন চিতে চেতন, আমি বিশ্বতোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন। ছুটি ঝড়ের মতন করতালী দিয়া স্বর্গ মর্ত্য-করতলে, তাজী বোর্রাক্ আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে! আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নেয়াদ্রী, বাড়ব বহ্নি, কালানল, আমি পাতালে মাতাল, অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল! আমি তড়িতে চড়িয়া, উড়ে চলি জোড় তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ, আমি ত্রাস সঞ্চারি’ ভুবনে সহসা, সঞ্চারি ভূমিকম্প।
আমি দেবশিশু, আমি চঞ্চল, আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল! আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী, মহা-সিন্ধু উতলা ঘুম্ঘুম্ ঘুম্ চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝ্ঝুম মম বাঁশরীর তানে পাশরি’। আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।
আমি রুষে উঠি’ ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া, ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোযখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া! আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!
আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা, কভু ধরনীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল ধ্বংস ধন্যা- আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা! আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি, আমি ধূমকেতু জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী! আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী, আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!
আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়, আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়! আমি মানব দানব দেবতার ভয়, বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়, জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য, আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ-পাতাল মর্ত্য! আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!! আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!
আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার! আমি হল বলরাম-স্কন্ধে, আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধিন বিশ্ব অবহেলে, নব সৃষ্টির মহানন্দে
মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না- অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত।
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন, আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন! আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন! আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!
আমি চির-বিদ্রোহী বীর- বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!
Proclaim, Hero, proclaim: I raise my head high! Before me bows down the Himalayan peaks!
Proclaim, Hero, proclaim: rending through the sky, surpassing the moon, the sun, the planets, the stars, piercing through the earth, the heavens, the cosmos and the Almighty's throne, have I risen I, the eternal wonder of the Creator of the universe. The furious Shiva shines on my forehead like a royal medallion of victory! Proclaim, Hero, proclaim: My head is ever held high!
I'm ever indomitable, arrogant and cruel, I'm the Dance-king of the Day of the Doom, I'm the cyclone, the destruction! I'm the great terror, I'm the curse of the world. I'm unstoppable, I smash everything into pieces! I'm unruly and lawless. I crush under my feet all the bonds, rules and disciplines! I don't obey any laws. I sink cargo-laden boats I'm the torpedo, I'm the dreadful floating mine. I'm the destructive Dhurjati, the sudden tempest of the summer. I'm the Rebel, the Rebel son of the Creator of the universe!
Proclaim, Hero, proclaim: My head is ever held high!
I'm the tempest, I'm the cyclone, I destroy everything I find in my path. I'm the dance-loving rhythm, I dance to my own beats. I'm the delight of a life of freedom. I'm Hambeer, Chhayanat, Hindol. I move like a flash of lightning with turns and twists. I swing, I leap and frolic! I do whatever my heart desires. I embrace my enemy and wrestle with death. I'm untamed, I'm the tempest! I'm pestilence, dread to the earth, I'm the terminator of all reigns of terror, I'm ever full of burning restlessness.
Proclaim, Hero, proclaim: My head is ever held high!
I'm ever uncontrollable, irrepressible. My cup of elixir is always full. I'm the sacrificial fire, I'm Yamadagni, the keeper of the sacrificial fire. I'm the sacrifice, I'm the priest,
I'm the fire itself. I'm creation, I'm destruction, I'm habitation, I'm the cremation ground. I'm the end, the end of night. I'm the son of Indrani, with the moon in my hand and the sun on my forehead. In one hand I hold the bamboo flute, in the other, a trumpet of war. I'm Shiva's blued-hued throat from drinking poison from the ocean of pain. I'm Byomkesh, the Ganges flows freely through my matted locks.
Proclaim, Hero, proclaim: My head is ever held high!
I'm the ascetic, the minstrel, I'm the prince, my royal garb embarasses even the most ostentatious. I'm Bedouin, I'm Chenghis, I salute none but myself! I'm thunder, I'm the OM sound of Ishan's horn. I'm the mighty call of Israfil's trumpet. I'm Pinakapani's hourglass drum, trident, the sceptre of the Lord of Justice. I'm the Chakra and the Great Conch, I'm the primordial sound of the Gong! I'm the furious Durbasa, the disciple of Vishwamitra. I'm the fury of fire, to burn this earth to ashes. I'm the ecstatic laughter, terrifying the creation. I'm the eclipse of the twelve suns on the Day of the Doom. Sometimes calm, sometimes wild, I'm the youth of new blood I humble even the fate's pride! I'm the violent gust of a wind storm, the roar of the ocean. I'm bright, effulgent. I'm the murmur of over-flowing water, Hindol dance of rolling waves!
I'm the unbridled hair of a maiden, the fire in her eyes. I'm the budding romance of a girl of sixteen I'm the state of bliss! I'm the madness of the recluse, I'm the sigh of grief of a widow, I'm the anguish of the dejected, I'm the suffering of the homeless, I'm the pain of the humiliated, I'm the afflicted heart of the lovesick. I'm the trembling passion of the first kiss, the fleeting glance of the secret lover. I'm the love of a restless girl, the jingling music of her bangles! I'm the eternal child, the eternal adolescent, I'm the bashfulness of a village girl's budding youth. I'm the northern breeze, the southern breeze, the callous eastwind. I'm the minstrel's song, the music of his flute and lyre. I'm the unquenched summer thirst, the scorching rays of the sun. I'm the softly flowing desert spring and the green oasis!
In ecstatic joy, in madness, I've suddenly realized myself all the barriers have crumbled away! I'm the rise, I'm the fall, I'm the consciousness in the unconscious mind. I'm the flag of triumph at the gate of the universe the triumph of humanity!
Like a tempest I traverse the heaven and earth riding Uchchaishraba and the mighty Borrak. I'm the burning volcano in the bosom of the earth, the wildest commotion of the subterranean ocean of fire. I ride on lightning and panic the world with earthquakes! I clasp the hood of the Snake-king and the fiery wing of the angel Gabriel. I'm the child-divine restless and defiant. With my teeth I tear apart the skirt of Mother Earth!
I'm Orpheus' flute. I calm the restless ocean and bring lethean sleep to the fevered world with a kiss of my melody. I'm the flute in the hands of Shyam. When I fly into a rage and traverse the vast sky, the fires of Seven Hells and the hell of hells, Habia, tremble in fear and die. I'm the messenger of revolt across the earth and the sky.
I'm the mighty flood. Sometimes I bring blessings to the earth, at other times, cause colossal damage. I wrestle away the maidens two from Vishnu's bosom! I'm injustice, I'm a meteor, I'm Saturn, I'm a blazing comet, a venomous cobra! I'm the headless Chandi, I'm the warlord Ranada. Sitting amidst the fire of hell I smile like an innocent flower! I'm made of clay, I'm the embodiment of the Soul. I'm imperishable, inexhaustible, immortal. I intimidate the humans, demons and gods. I'm ever-unconquerable. I'm the God of gods, the supreme humanity, traversing the heaven and earth!
I'm mad, I'm mad! I have realized myself, all the barriers have crumbled away!!
I'm Parashuram's merciless axe. I'll rid the world of all the war mongers and bring peace. I'm the plough on Balaram's shoulders. I'll uproot this subjugated world in the joy of recreating it. Weary of battles, I, the Great Rebel, shall rest in peace only when the anguished cry of the oppressed shall no longer reverberate in the sky and the air, and the tyrant's bloody sword will no longer rattle in battlefields. Only then shall I, the Rebel, rest in peace.
I'm the Rebel Bhrigu, I'll stamp my footprints on the chest of god sleeping away indifferently, whimsically, while the creation is suffering. I'm the Rebel Bhrigu, I'll stamp my footprints I'll tear apart the chest of the whimsical god!
I'm the eternal Rebel, I have risen beyond this world, alone, with my head ever held high!
সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করুন Save From Net Helper সফটওয়্যার দিয়ে!
ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড সাধারণত করা যায় না।
যারা একটু এক্সপার্ট তারা কোন সফটওয়্যার ছাড়াই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউনলোড লোড করতে পারেন।
কিন্তু সমস্যা হয় নতুনদের।
নতুনদেরও ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করাতে সমস্যা হবে না,এই লেখা অনুস্মরণ করে কাজ করতে পারলে।
ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করতে হলে একটি সফটওয়্যার Save From Net Helper কম্পিউটারে ইষ্টল করে নিলে
সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করতে পারবেন।
এই লিংক SaveFromNetHelper ৭৭০কেবির সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ।
তারপর আপনার কম্পিউটারের নেট কানেকশন থাকা অবস্থায় ডাউনলোডকৃত সফটওয়্যারটি সেটাপ দিন ।
সফটওয়্যারটির সার্ভার হতে কিছু সময়ের মধ্যে আপনার কম্পিউটারে ইনষ্টল হবে।
এখন ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিওতে একটি সবুজ রংয়ের তীর চিহ্ন দেখতে পাবেন।
সেখানে ক্লিক করে সহজেই ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন।
মাসুদ রানা সিরিজের বই পড়তে প্রায় সকলেই ভালবাসেন ।
মাসুদ রানা সিরিজের বই pdf ভার্সনের বই নিচের নিংকে পাবেন।
তার আগে মাসুদ রানা সম্পর্কে কিছু জেনে নিন ।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট একটি কাল্পনীক কাহিনী-চরিত্র মাসুদ রানা। ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার বইয়ের ভাবানুবাদ বা ছায়া অবলম্বনে রচিত মাসুদ রানা। মাসুদ রানার চরিত্রটিকে মূলত ইয়ান ফ্লেমিংয়ের (Ian Fleming) সৃষ্ট জেমস বন্ড (James Bond) চরিত্রটির বাঙালি সংস্করণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
মাসুদ রানা সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর, এবং কাল্পনিক সংস্থা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর সদস্য, এবং তাঁর সাংকেতিক নাম MR-9। এছাড়া রানা এজেন্সি নামক একটি গোয়েন্দা সংস্থাও রানা পরিচালনা করে থাকে।
মাসুদ রানার সহায়ক চরিত্রে প্রথমেই মেজর জেনারেল রাহাত খানের নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের প্রধান। তাঁরই তত্বাবধানে রানা নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া তার কাজে সহায়তা করে থাকে সোহেল, সলিল, সোহানা, রূপা, গিলটি মিয়া প্রমুখ চরিত্রও।
মাসুদ রানার অধিকাংশ কাহিনীই বিভিন্ন বিদেশী লেখকের বই থেকে ধার করা। এলিস্ট্যার ম্যাকলীন (Alistair MacLean), রবার্ট লুডলাম (Robert Ludlum), জেমস হেডলী চেয (James Headley Chase), উইলবার স্মিথ (Wilber Smith), ক্লাইভ কাসলার(clive cussler), ফ্রেডরিক ফরসাইথ(frederick forsyth)-সহ বহু বিদেশী, বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্যিকের লেখা কাহিনী থেকে ধার করে মাসুদ রানার কাহিনী লেখা হয়।
কখনও কোনো বই বিদেশী কোনো একক বই থেকেই অনুবাদ করা হয়, আবার কখনও একাধিক বই মিলিয়ে লেখা হয়।
মাসুদ রানা'র নামকরণ করা হয় দুজন বাস্তব মানুষের নামের অংশ মিলিয়ে। কাজী আনোয়ার হোসেন তাঁর স্ত্রী, আধুনিক সংগীতশিল্পী ফরিদা ইয়াসমীনের সাথে পরামর্শ করে নামটি নির্বাচন করেন। এপ্রসঙ্গে স্বয়ং কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন ।
“ আমাদের দুজনেরই বন্ধু স্বনামধন্য গীতিকার মাসুদ করিমের 'মাসুদ' আর আমার ছেলেবেলার হিরো (নায়ক) ইতিহাসে পড়া মেবারের রাজপুত রাজা রানা প্রতাপ সিংহ থেকে 'রানা' নিয়ে নাম হলো মাসুদ রানা। ”
মাসুদ রানা চরিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় মাসুদ রানা সিরিজের ‘বিস্মরণ’ অবলম্বনে, ১৯৭৩ সালে। আর ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। পরিচালনায় ছিলেন মাসুদ পারভেজ তথা পরবর্তীকালের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল রানা।
খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত করছে মানুষদের
শ্রমিক সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল বলছে, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক ‘নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত’ কাজের মাধ্যমে চাকরিজীবী বা শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
শ্রমিকদের কাজের জন্য যেসব ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে অনেকেই তা পায়না।
সংগঠনটি বলছে, এর মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে। আর এই প্রবণতা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বাড়ছে।
ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের রায় রমেশচন্দ্র বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বঞ্চনার ঘটনা ঘটছে । অনেকে বারো বছর, চৌদ্দ বছর, পনেরো বছর ধরে এভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু স্থায়ী হচ্ছেন না। ফলে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রমিকের আইনানুগ নিয়োগপত্র, চাকরির স্থায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা, গ্রাচুইটি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া দরকার। কিন্তু মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে বিশ্বব্যাপী খণ্ডকালীন বা আউট সোর্সিং এর নামে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে।’
মূলত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে মালিক পক্ষ কিংবা নিয়োগদাতাদের লাভ করার মানসিকতাই এর কারণ বলে তিনি জানান।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেক্টরেই চুক্তিভিত্তিক কিংবা খণ্ডকালীন নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এই কাজগুলোকে Precarious work বা নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ বলা হয়ে থাকে।
এই ‘নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ’ বন্ধের দাবিতে আজ একটি কর্মসূচি পালন করছে ইন্ডাস্ট্রিঅল।