Myanmar Rohingya women and children life ...
- Nasima Banu name.Age twenties.
Myanmar's Muslim minority was born in the family.
Kutupala 30 thousand Rohingya live in makeshift camps in Bangladesh.
Nasima're there now.
Nasima the torture of my people were in Burma, so we have come to Bangladesh.
In our family, it was such that the Myanmar government, undue pressure was on us because we are Muslims.
Myanmar had some property for us to make a living.
Bangladesh recently come back from the army under the pretext of giving shelter to a man they accused my father.
We did not give shelter to any Bangladeshis.
Before emigrate from Bangladesh to Burma, when a man was sent to prison.
So take care of them, were given shelter illegal.
But the allegations against him are false.
They took my father and beat him to a military camp.
Seven days later they sent us his blood soaked clothes.
They told him to kill his father.
We got stranded there without a father.
So we gave them all the cattle and poultry markets.
I sent the money from the sale of military camps.
Then they gave the money to leave his father.
A few days later, my brother attacked some people in the Buddhist community.
He was fatally wounded.
Brother injured was no treatment, died after serving much trouble.
Dad was very upset when I grow up physically.
I am resolved to secure the country.
The Burmese government does not allow us to marry.
Dad told me to leave the country.
He was one of our relatives.
He was disabled and beggars.
He agreed to take care of me.
We go to Bangladesh
We hired a boat to the river bank.
That was a very risky and dangerous.
On the other side of the border forces and put them in the river.
They asked for bribe money for relinquishing one hundred apiece.
But all of us together, just like a hundred rupees.
A member of the BDR said, "then we have to leave this woman.
But my relatives refused to leave me.
They looked argument, she will not go on without us.
If they were then.
We gave up.
Nasima also said,
"I already had a sister country, but did not know his address. Cox came and we started to walk around the town in the hands of a beggar's dish.
Sometimes they took pity for the survival of some rice and some money were in.
Then I met with a man who is my sister knew that.
She was the sister of Alikadam.
One day, my sister's husband came and took me to him. "
Sister and I stayed for two years.
Farm workers were working.
Life was fairly good.
I was able to get married.
A few days later gave birth to a son.
One day the police came five days after the birth of the child.
The police came without any advance news.
Then we were eating dinner.
They arrest my husband and sister's husband was arrested by the Burmese men
And took them out to the truck.
They killed my husband and sister husband the Burmese siege and took them out to the truck.
I told the police that much pleading,
A few days ago I was a child.
We can not live without her.
To leave her husband fell on the feet.
Please do not include them.
Said Rohingyas can not expect any mercy.
I told them, but they took me.
They took me to a car up and took him to the Naf river.
A fishing boat came to shore and saw the signs.
S New Border and threatened to beat him up, the boatman refused to take us across the river.
We have arrived at the other side Myanmar,
Boatman said,
Nasaka forces shot he saw some of the Rohingyas.
He gave us a path to walk, how to upstream and
The secret must be entered.
We hamtalama night.
When dawn came, we banradese.
We started to walk all night.
When dawn came, we moved to the country Bangladesh.
The baby in my lap when I noticed something unusual.
There are still without any movement.
Flabby body like a puppet is quite cold.
When our feet, knees, my son died, I did not realize it.
Breast protection for the child to feel safe walking simply aiming to save.
My companions river's edge with soft hands and a small hole dug in the mud.
We buried there.
Fear of being caught in the religion of Islam could not wait to be there for my child Janazah.
Even the pain of losing a child, I wanted to burst out of my chest I could not cry sound.
-We Came up over a wide area.
I shook hand, pointing to a moving car.
The driver of the vehicle in order to save our lives have a lot of appeal. Come with us to go from there to somewhere else said,
But, like the driver was nothing more than a scarf on my head.
The driver of the vehicle in order to save our lives have a lot of appeal. Come with us to go from there to somewhere else said,
But, like the driver was nothing more than a scarf on my head.
Car driver kutupala camp heard the name before.
So said, the Rohingya are safe there.
Katupala camp and met her husband.
"Kutupala 'camp came after a week in search of her husband that he would be out.
Should not it be in the day.
Her husband was gone.
Where is the old man, I have no idea about this.
You'll find out that I did not recognize him in the streets.
Katupala camp could not be identified in any of the camps only a few days that will help them.
I now go to the forest every day.
We sell firewood in the market.
No, but if you can collect some gigs.
If you do not do it fast.
This whole week I ate only three meals.
Child: Oh man, I'm alone.
Family members of those ten, twelve,
No jotano their mouth is much worse than me.
Death was much better for me than this life.
Bangla
মিয়ানমার রোহিঙ্গা মহিলা ও শিশুর জীবন ...
- নাম নাসিমা বানু।বয়স বিশের কোঠায়।
মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘু পরিবারে তার জন্ম।
বাংলাদেশের কুতুপাল অস্থায়ী শিবিরে ৩০ হাজারের মত রোহিঙ্গার বসবাস।
নাসিমা এখন সেখানেই থাকেন।
নাসিমা জানান,
বার্মাতে আমার আপনজনদের এবং মুসলমান লোকদের নির্যাতন করা হতো, তাই আমরা বাংলাদেশে চলে এসেছি।
আমাদের পরিবারের বিষয়টি ছিল এ রকম যে,আমরা মুসলিম বলে আমাদের উপর মায়ানমার সরকারের অযৌক্তিক চাপ ছিল।
মায়ানমারে জীবন চালানোর জন্য আমাদের কিছু সম্পত্তি ছিল।
একদিন সেনাবাহিনী বাংলাদেশ থেকে সদ্য ফিরে আসা কোন লোককে আশ্রয় দেয়ার অজুহাতে আমার বাবাকে অভিযুক্ত করলো।
আমরা কোন বাংলাদেশীকে আশ্রয় দেইনি।
পূর্বে দেশান্তরী হওয়া বাংলাদেশ হতে কোন লোক বার্মায় ফিরে গেলে তাকে জেলে পাঠানো হতো।
তাই তাদের দেখাশোনা করা, আশ্রয় দেয়া ছিল বেআইনী।
কিন্তু বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ওরা আমার বাবাকে একটি সেনা শিবিরে ধরে নিয়ে গেল ও খুব মারধর করল।
সাতদিন পর ওরা বাবার রক্ত ভেজা জামা-কাপড় আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিল।
ওরা জানাল বাবাকে মেরে ফেলা হবে।
বাবা ছাড়া সেখানে আমরা অসহায় অবস্থায় পড়লাম।
তাই আমরা আমাদের সব গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী বাজারে বিক্রি করে দিলাম।
বিক্রয়লব্ধ টাকা সেনা শিবিরে পাঠিয়ে দিলাম।
টাকা পেয়ে তারপর ওরা বাবাকে ছেড়ে দিল।
এর কিছুদিন পর আমার ভাইকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোক আক্রমণ করল।
সে মারাত্মকভাবে আহত হল।
আহত ভাইটি সুচিকিতসা না পেয়ে অনেক কষ্ট ভোগের পর মারা গেল।
আমি শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে শুরু করলে বাবা খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলেন।
সিদ্ধান্ত নিলেন আমি মিয়ানমারে নিরাপদ নই।
কারণ, বর্মী সরকার আমাদের বিয়ে করতে দেয় না।
তাই বাবা আমাকে বাংলাদেশে চলে যেতে বললেন।
আমাদের একজন আত্মীয় ছিলেন।
তিনি ছিলেন প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক।
তিনি আমার দেখাশোনা করতে রাজি হলেন।
‘আমরা বাংলাদেশে যাবার জন্য একটা নদী পাড় হবার জন্য নৌকা ভাড়া করলাম।
ব্যাপারটি ছিল খুব ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক।
নদীর অপর তীরে বাংলাদেশের বিজিবি বাহিনী আমাদের আটকে দিল।
ওরা আমাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য জনপ্রতি একশত টাকা করে ঘুষ চাইল।
কিন্তু তখন আমাদের সবার মিলে মাত্র একশত টাকার মত ছিল।
বিডিআর বাহিনীর একজন সদস্য বলল, ‘তাহলে এই মেয়েকে আমাদের কাছে ছেড়ে যেতে হবে।
কিন্তু আমার আত্মীয় স্বজনরা আমাকে ছেড়ে যেতে রাজি হল না।
ওরা যুক্তি দেখালো, আমাদের সাহায্য ছাড়া মেয়েটি চলতে পারবে না।
তারপর ওদের দয়া হল।
আমাদের ছেড়ে দিল।
নাসিমা আরো বলল,
‘আগে থেকেই আমার এক বোন বাংলাদেশে ছিল, কিন্তু তার ঠিকানা আমাদের জানা ছিল না। আমরা কক্সবাজার চলে এলাম ও ভিক্ষুকের থালা হাতে শহরে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম।
কোন কোন সময় লোকেরা বেঁচে থাকার জন্য দয়া পরবশ হয়ে আমাদের কিছু চাল ও কয়েকটি টাকা দিত।
তারপর এমন একজন লোকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হল, যে আমার বোনকে চিনত।
সে বোন আলীকদম নামক স্থানে থাকত।
একদিন আমার বোনের স্বামী এসে আমাকে তার কাছে নিয়ে গেল।'
বোনের সেখানে আমি দুই বছর ছিলাম।
কৃষি শ্রমিকের কাজ করতাম।
জীবন মোটামুটি ভালই ছিল।
আমি বিয়ে করতে সক্ষম হলাম।
কিছুদিন পর একটি সন্তানও জন্ম দিলাম।
শিশুটির জন্মের পাঁচদিন পর একদিন পুলিশ আসল।
পুলিশ কোন আগাম সংবাদ না দিয়েই এসেছিল।
আমরা তখন রাতের খাবার খাচ্ছিলাম।
ওরা আমার স্বামী ও বোনের জামাইসহ সকল বর্মীদের ঘেরাও করে ফেলল ও তাদের ট্রাকে উঠিয়ে নিল।
আমি পুলিশকে অনেক অনুনয় বিনয় করে বললাম,
আমার কয়েকদিন আগে একটি সন্তান হয়েছে।
স্বামীকে ছাড়া আমরা বাঁচতে পারব না।
স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য পায়ের উপর পড়লাম।
তাদের দয়া হল না।
বলল, রোহিঙ্গারা কোন দয়া আশা করতে পারে না।
আমি তাদের বললাম, তবে ওরা যেন আমাকেও নিয়ে যায়।
তারা আমাকে একটি লরীতে উঠিয়ে নিল ও নাফ নদীর কাছে নিয়ে গেল।
একটি মাছ ধরার নৌকা দেখতে পেয়ে হাতের ইশারায় কূলে আনল।
বিজিবি মাঝিকে মারধর করার হুমকি দিল, সে যদি আমাদের নদীর ওপারে নিয়ে যেতে অস্বীকার করে।
-আমরা যখন ওপারে মায়নমারে পৌঁছালাম,
মাঝি বলল,
সে নাসাকা বাহিনীকে কিছু রোহিঙ্গাদের গুলি করতে দেখেছে।
সে আমাদের পথ বাতলে দিল কেমন করে নদীর উজানে হেঁটে যেতে হবে এবং
বাংলাদেশে গোপনে প্রবেশ করতে হবে।
আমরা সারারাত ধরে হাঁটলাম।
ভোরের আলো দেখা দিলে আমরা বাংলাদেশে চলে এলাম।
এমন সময় আমার কোলের শিশুর মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক অবস্থা লক্ষ্য করলাম।
কোন রকম নড়াচড়া ছাড়া স্থির হয়ে আছে।
পুতুলের মত তুলতুলে শরীরটা বেশ ঠান্ডা হয়ে গেছে।
আমাদের চলার পথে কখন আমার সন্তানটি কোলেই মারা গেছে, তা আমি অনুভব করতে পারিনি।
সন্তানকে তার মায়ের বুকের আশ্রয়ে নিরাপদ মনে করেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে কেবল হেঁটেই চলেছি।
আমার সহযাত্রীরা নদী তীরের নরম কাদায় হাত দিয়ে একটা ছোট গর্ত খুঁড়ল।
সেখানেই বুকের ধনকে কবর দিলাম।
ধরা পড়ার ভয়ে ইসলাম ধর্মমতে শিশুর জানাযা পড়ার জন্য সেখানে অপেক্ষা করতে পারলাম না।
এমনকি সন্তান হারানোর বেদনায় আমার বুক ফেটে যেতে চাইলেও আমি শব্দ করে কাঁদতে পারলাম না।
-আমরা একটা প্রশস্ত সড়কের উপর উঠে এলাম।
চলন্ত একটি জীপকে হাত নেড়ে ইশারা করলাম।
গাড়ি চালকের কাছে আমাদের জীবন রক্ষা করার জন্য অনেক অনুনয়-বিনয় করলাম। সেখান থেকে জলদি অন্য কোথাও আমাদের নিয়ে যেতে বললাম,
বস্তুতঃ চালককে দেয়ার মত আমার মাথার ওড়নাটি ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
চালক কুতুপাল; শিবিরের নাম আগেই শুনেছিল।
তাই বলল, রোহিঙ্গারা সেখানে নিরাপদে আছে।
কতুপাল শিবিরে এসে স্বামীর দেখা পেলাম।
‘কুতুপাল' শিবিরে আসার সপ্তাহখানেক পর স্বামী বলল যে তাকে কাজের সন্ধানে বের হতে হবে।
এভাবে বসে থাকলে তো দিন চলবে না।
স্বামী চলে গেল।
স্বামী কোথায় আছে, এ ব্যাপারে আমার কোন ধারণা নেই।
পথঘাটও চেনা নাই যে আমি তাকে খুঁজে বের করব।
কতুপাল শিবিরে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে কারো পরিচয় নেয়াও সম্ভব হয়নি যে তাদের সাহায্য নেব।
আমি এখন প্রতিদিন জঙ্গলে যাই।
জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করি।
যদি কিছু সংগ্রহ করতে পারি তবে আহার যোগাড় হয়।
আর না হলে উপোস থাকি।
এই পুরো সপ্তাহে আমি কেবল তিন বেলা খেয়েছি।
স্বামী-সন্তান হারা আমি একা আছি।
যাদের পরিবারের সদস্য দশ-বারো জন,
তাদের মুখের আহার জোটানো আমার চেয়ে অনেক খারাপ।
এমন জীবনের চেয়ে আমার জন্য মৃত্যু অনেক ভাল ছিল।
No comments:
Post a Comment