ইবনে বতুতার রোমঞ্চকর অভিযান
চীনের শিকল পরা গোলামের কথা!
চীন দেশীয় এই খানছার চতুর্থ অংশে বয়ে গেছে তিনটি নহর।এদের মধ্যে রয়েছে তিনটি শাখা নদী।ছোট ছোট নৌকা চলাচল করে নদী গুলোতে।জনগণ তাদের প্রয়োজনীয় সদাইপাতি ও কয়লা জাতীয় জ্বালানী পাথর আনা নেওয়া করে।এই নদীতে অনেক বিলাসী বিনোদন নৌকাও চলাচল করতে দেখলাম।
খানছার এই অংশের মাঝখানে রয়েছে বিশাল এক দূর্গ।এখানে কাজ করে হাজার হাজার দক্ষ কারিগর।কারিগররা এখানে শূল্যবান কাপড় বোনে আর যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরী করে।আমির কুরতাইয়ের কাছে শুনেছি এই দূর্গে এক হাজার ছয়শত ওস্তাদ কারিগর রয়েছে।প্রত্যেকের অধীনে আবার তিন বা চার জন করে শিক্ষানবীশ কাজ করছে।এরা সবাই খানের গোলামদের অন্তর্ভূক্ত ।তাদের পায়ে লোহার শিকল পরানো।এরা শহরের বাজারগুলোতে যেতে পারে, তবে শহরের ফটকের বাহিরে যাওয়ার অনুমতি নেই।প্রতিদিন একশো দলে বাগ হয়ে এদেরকে আমির কুরতাইয়ের সামনে হাজিরা দিতে হয়।
নিয়ম হলো দশ বছর কাজ করার পর গোলামদের পা হতে শিকল খুলে দেয়া হয় তাদের স্বাধীনতা দেয়া হয় তারা চীনের যে কোন যায়গায় মুক্ত জীবন যাপন করতে পারবেন।তবে খানের সাম্রাজ্যের বাহিরে যেতে পারবেন না।অথবা ইচ্ছে থাকলে আগের কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবেন,পায়ে শিকল না পরেই এজন্য তারা অতিরিক্ত বেতন ভাতা পাবেন।এভাবে এসব গোলামদের বয়স যখন পঞ্চাশ বছর হবে তখন তাদের অন্য কোন কাজও করতে হয় না।তখন সরকারী তহবিল হতে উপযুক্ত অবসর ভাতা দেয়া হয়।
এছাড়া রাজ্যের অন্যান্য কর্মচারীরার পঞ্চাশ বছর হলে অবসর নেন এবং সরকার হতে উপযুক্ত ভাতা পান।ষাট বছর বয়স হলে তাঁদেরকে সকল প্রকার আইনী শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া হয়।তখন তাঁদেরকে শিশুর মতো নিষ্পাপ গণ্য করা হয়।চীনে এই ধরণের বয়স্ক লোকেরা খুবিই সম্মানীত।তাঁদেরকে জনসাধারণ‘আতা’ বা পিতা বলে সম্বোধন করেন।
চীনের শিকল পরা গোলামের কথা!
চীন দেশীয় এই খানছার চতুর্থ অংশে বয়ে গেছে তিনটি নহর।এদের মধ্যে রয়েছে তিনটি শাখা নদী।ছোট ছোট নৌকা চলাচল করে নদী গুলোতে।জনগণ তাদের প্রয়োজনীয় সদাইপাতি ও কয়লা জাতীয় জ্বালানী পাথর আনা নেওয়া করে।এই নদীতে অনেক বিলাসী বিনোদন নৌকাও চলাচল করতে দেখলাম।
খানছার এই অংশের মাঝখানে রয়েছে বিশাল এক দূর্গ।এখানে কাজ করে হাজার হাজার দক্ষ কারিগর।কারিগররা এখানে শূল্যবান কাপড় বোনে আর যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরী করে।আমির কুরতাইয়ের কাছে শুনেছি এই দূর্গে এক হাজার ছয়শত ওস্তাদ কারিগর রয়েছে।প্রত্যেকের অধীনে আবার তিন বা চার জন করে শিক্ষানবীশ কাজ করছে।এরা সবাই খানের গোলামদের অন্তর্ভূক্ত ।তাদের পায়ে লোহার শিকল পরানো।এরা শহরের বাজারগুলোতে যেতে পারে, তবে শহরের ফটকের বাহিরে যাওয়ার অনুমতি নেই।প্রতিদিন একশো দলে বাগ হয়ে এদেরকে আমির কুরতাইয়ের সামনে হাজিরা দিতে হয়।
নিয়ম হলো দশ বছর কাজ করার পর গোলামদের পা হতে শিকল খুলে দেয়া হয় তাদের স্বাধীনতা দেয়া হয় তারা চীনের যে কোন যায়গায় মুক্ত জীবন যাপন করতে পারবেন।তবে খানের সাম্রাজ্যের বাহিরে যেতে পারবেন না।অথবা ইচ্ছে থাকলে আগের কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবেন,পায়ে শিকল না পরেই এজন্য তারা অতিরিক্ত বেতন ভাতা পাবেন।এভাবে এসব গোলামদের বয়স যখন পঞ্চাশ বছর হবে তখন তাদের অন্য কোন কাজও করতে হয় না।তখন সরকারী তহবিল হতে উপযুক্ত অবসর ভাতা দেয়া হয়।
এছাড়া রাজ্যের অন্যান্য কর্মচারীরার পঞ্চাশ বছর হলে অবসর নেন এবং সরকার হতে উপযুক্ত ভাতা পান।ষাট বছর বয়স হলে তাঁদেরকে সকল প্রকার আইনী শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া হয়।তখন তাঁদেরকে শিশুর মতো নিষ্পাপ গণ্য করা হয়।চীনে এই ধরণের বয়স্ক লোকেরা খুবিই সম্মানীত।তাঁদেরকে জনসাধারণ‘আতা’ বা পিতা বলে সম্বোধন করেন।
No comments:
Post a Comment