বউ চুরি করার উৎসব বা প্রতিযোগিতা
বউ চুরি করারও যে উৎসব বা প্রতিযোগিতা হতে পারে, তা বোধ করি অনেকেই জানেন না। পৃথিবীর বহু প্রাচীন আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম ওদাবে, তারা বউ চুরি করার উৎসব বা প্রতিযোগিতার
আয়োজন করে। ওই আদিবাসী গোষ্ঠী বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় এ উৎসবটির আয়োজন করে। তবে যদি ভেবে থাকেন এই উৎসবটির উদ্দেশ্য নারীর পক্ষে নয়।বরং আদিবাসী গোত্রের পুরুষদের বহুগামিতাকে উতসাহ বা ঠেলে দেয়ার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই আদিবাসী ওদাবে গোষ্টি মুসলিম হলেও তাদের আদি রীতি এখনো পালন করে।
ক্যামেরুন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাঁদ এবং নাইজেরিয়াতে মূলত এই মুসলিম আদিবাসী গোষ্ঠীটির বসবাস। ওদাবে গোষ্ঠীর জন্য বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এই দুই মাসে তপ্ত মরুর বুকে নেমে আসে বর্ষার ধারা, আর এই বর্ষাকে যৌনতা দিয়ে উপভোগ করার জন্যই ‘বউ চুরি’ উৎসব শুরু হয়। এ সময় মূলত পুরো গোত্রের সব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ‘গেরেউল’ (ওদাবে গোত্রের সঙ্গমের দেবতা) পালনের জন্য সমবেত হন।
গোত্রের পরিবারগুলো সারা বছর মরুভূমির বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করলেও বছরের এ সময়টাতে তারা একত্রিত হন। যুগ যুগ ধরেই তাদের মধ্যে এই ঐতিহ্য বহমান রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে কখন, কোথায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তা খুব গোপনে সংরক্ষণ করা হয়। গোত্রের প্রধানরাই কেবল এ উৎসবের দিন-তারিখ জানেন এবং তারা তাদের অধীনস্থদের নিয়ে সেই দিনক্ষণ অনুযায়ীই রওনা দেন এবং নিদৃষ্ট গোপন স্থানে উতসব পালন করেন। মরুভূমির বুকে গোটা রাত ধরে চলে নৃত্য-গীত এবং বাদ্য বাজনা।
পুরুষদের এ নৃত্য-গীত আবার তিন জন নারী বিচারকের সামনে পালন করা হয়। এটা অবশ্য করা হয় সমাজে পুরুষদের শক্তিমত্তা ও পারদর্শিতা বিচার করার জন্য। ওদাবে গোত্রের পুরুষরা এ উৎসবে যোগদানের আগে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা সময় নেন নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য। বিচিত্র রংয়ে নিজেদের সাজিয়ে এবং একজন নারীর মন পাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার তার সবকিছু করেন তারা। একেবারে শেষের দিকে তারা নিজেদের মাথায় পাখির পালক গুঁজে নারীদের সামনে দাঁড়ান। দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষদের মধ্য থেকে নারীরা তাদের পছন্দের পুরুষটিকে বেছে নেন উৎসবের জন্য। এ উৎসবের দিনে গোত্রের অবিবাহিত নারীরাও কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে। এ নিয়ে সমাজের মধ্যে নেই কোনো বিধি-নিষেধ।
শুধু তাই নয়, এ উৎসব থেকে যদি কোনো স্ত্রী আরো একটি পুরুষকেও বিয়ে করতে চান, তাকে সে স্বাধীনতাও দেয়া হয়। কিন্তু বউ চুরি করার উৎসবে পুরুষদের বেলায় তা হওয়ার নয়। বিয়ে করার স্বাধীনতা এ গোত্রে কেবল নারীদেরই দেয়া হয়।
বউ চুরি করারও যে উৎসব বা প্রতিযোগিতা হতে পারে, তা বোধ করি অনেকেই জানেন না। পৃথিবীর বহু প্রাচীন আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম ওদাবে, তারা বউ চুরি করার উৎসব বা প্রতিযোগিতার
আয়োজন করে। ওই আদিবাসী গোষ্ঠী বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় এ উৎসবটির আয়োজন করে। তবে যদি ভেবে থাকেন এই উৎসবটির উদ্দেশ্য নারীর পক্ষে নয়।বরং আদিবাসী গোত্রের পুরুষদের বহুগামিতাকে উতসাহ বা ঠেলে দেয়ার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই আদিবাসী ওদাবে গোষ্টি মুসলিম হলেও তাদের আদি রীতি এখনো পালন করে।
ক্যামেরুন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাঁদ এবং নাইজেরিয়াতে মূলত এই মুসলিম আদিবাসী গোষ্ঠীটির বসবাস। ওদাবে গোষ্ঠীর জন্য বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এই দুই মাসে তপ্ত মরুর বুকে নেমে আসে বর্ষার ধারা, আর এই বর্ষাকে যৌনতা দিয়ে উপভোগ করার জন্যই ‘বউ চুরি’ উৎসব শুরু হয়। এ সময় মূলত পুরো গোত্রের সব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ‘গেরেউল’ (ওদাবে গোত্রের সঙ্গমের দেবতা) পালনের জন্য সমবেত হন।
গোত্রের পরিবারগুলো সারা বছর মরুভূমির বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করলেও বছরের এ সময়টাতে তারা একত্রিত হন। যুগ যুগ ধরেই তাদের মধ্যে এই ঐতিহ্য বহমান রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে কখন, কোথায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তা খুব গোপনে সংরক্ষণ করা হয়। গোত্রের প্রধানরাই কেবল এ উৎসবের দিন-তারিখ জানেন এবং তারা তাদের অধীনস্থদের নিয়ে সেই দিনক্ষণ অনুযায়ীই রওনা দেন এবং নিদৃষ্ট গোপন স্থানে উতসব পালন করেন। মরুভূমির বুকে গোটা রাত ধরে চলে নৃত্য-গীত এবং বাদ্য বাজনা।
পুরুষদের এ নৃত্য-গীত আবার তিন জন নারী বিচারকের সামনে পালন করা হয়। এটা অবশ্য করা হয় সমাজে পুরুষদের শক্তিমত্তা ও পারদর্শিতা বিচার করার জন্য। ওদাবে গোত্রের পুরুষরা এ উৎসবে যোগদানের আগে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা সময় নেন নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য। বিচিত্র রংয়ে নিজেদের সাজিয়ে এবং একজন নারীর মন পাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার তার সবকিছু করেন তারা। একেবারে শেষের দিকে তারা নিজেদের মাথায় পাখির পালক গুঁজে নারীদের সামনে দাঁড়ান। দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষদের মধ্য থেকে নারীরা তাদের পছন্দের পুরুষটিকে বেছে নেন উৎসবের জন্য। এ উৎসবের দিনে গোত্রের অবিবাহিত নারীরাও কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে। এ নিয়ে সমাজের মধ্যে নেই কোনো বিধি-নিষেধ।
শুধু তাই নয়, এ উৎসব থেকে যদি কোনো স্ত্রী আরো একটি পুরুষকেও বিয়ে করতে চান, তাকে সে স্বাধীনতাও দেয়া হয়। কিন্তু বউ চুরি করার উৎসবে পুরুষদের বেলায় তা হওয়ার নয়। বিয়ে করার স্বাধীনতা এ গোত্রে কেবল নারীদেরই দেয়া হয়।
No comments:
Post a Comment