Saturday, December 5, 2015

শয়তানের ঘোড়া … একটু কি হাসবেন না ?

শয়তানের ঘোড়া … একটু কি হাসবেন না ?

শয়তান অত্যান্ত মর্মাহত , দুঃখিত এবং ভীষণ অপমানিত । এই বাংলাদেশের মানুষ তাকে মোটেই ভয় পায়না , ইজ্জত করেনা , এরা কিছু হলেই এদের শিশু কিশোর দের শয়তান বলে ডাকে । ঊঠতি বয়সের ছুকড়ি গুলি মুচকি হেঁসে ছোকড়া গুলিকে শয়তান বলে ডাকে । ভাগ্যিস ছোকড়া গুলি ছুকড়ি গুলিকে শয়তানী বলে ডাকেনা ; তাহলে শয়তান পূজারীদের কাছে যা একটু মান ইজ্জৎ আছে তাও থাকতোনা ।কিন্তু আদতে আমার কোন দাম নেই এদের কাছে.. ভাবে শয়তান।

শয়তান মনে মনে বলে ; আমি আযাযিল , খুতুবাতিসশয়তান ,আগুনের তৈরী, অসীম ক্ষমতা ধর , চোখের পলকে পৃথিবীর এ প্রান্ত ও প্রান্ত করি , মানুষের শিরায় শিরায় ভ্রমন করি । এই বাংলার মানুষ একটু বেশী ধর্মভীরু নয়তো কবেই এদের বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে মারতাম । এরা এতো ধর্মভীরু যে ইসলামের জন্মভূমির লোকেরাও এতো ধর্মভীরু নয় ।কিসের বলে এমন ভেবে কুল কিনারা পায় না শয়তান!

যাই হউক এঁদের শায়েস্তা করতে হবে ভাবে শয়তান।
 শয়তান একদিন ব্যথাতুর হৃদয়ে বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাচ্ছিল ; দেখলো তিনটা ছেলে একটা নুতন অজানা খেলা খেলছে । শয়তান ভাবলো একটু দাঁড়ায়ে দেখি খেলাটা , এই খেলা দিয়ে নুতন কোন শয়তানি যদি বের করা যায় । শয়্তান ঘোড়ার রূপ নিয়ে ছেলেদের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে লাগলো ।
 ছেলেদের একজন হটাৎ ঘোড়া দেখে বললো ,-‘ওই চল আজকে ঘোড়া দৌড়াইব , ঘোড়ায় চড়বো ।কী কালা শয়তানের মতো ঘোড়া !’
 শয়তান মনে মনে মুচকি হেঁসে মনে মনে বলললো- ‘আয় চড় ; আজকে তোদের একদিন কি আমার একদিন ; তোদেরকে আকাশে তুলে নিচে ছুড়ে ফেলে দেবো , তাতে আমার অপমানের কিছুটা হলেও লাঘব হবে ।’
 এবার দ্বিতীয় ছেলেটি বলল,- ‘ওই! ঘোড়ার উপর দুই জনের বেশী তো বসা যাবেনা , কিন্তু আমরা যে তিন জন ?’
 অপেক্ষাকৃত ছোট তৃতীয় ছেলেটি বললো-, ‘এইডা কোন সমস্যা অইলো ? সামনে দেকছোশ কয়ডা বাঁশের টুকরা পইড়া রইছে ? মোডা বাঁশডা শয়তান ঘোড়াডার পাছায় ভইরা দিলে ওইডার উফর একজন বইবার পারমু । ’
একথা সুনে শয়তান চমকে উঠলো , বিড় বিড় করে বললো কোটি কোটি বছর এই বিশ্বে ব্রহ্মাণ্ডে শয়তানি করে গেছি , এরকম শয়তানি তো আমার মাথায় কখোনো আসেনি । এই বাংলাদেশের পিচ্চি গুলি আমার চেয়েও বড় শয়তান , এখান থেকে পালিয়ে যাওয়াই উত্তম ।
 ...হা হা হা , হি হি হি , খ্যাঁক খ্যাঁক খ্যাঁক ।
...... মাহবুবুল আলম ।
(সম্পাদিত)

No comments:

Post a Comment

Saturday, December 5, 2015

শয়তানের ঘোড়া … একটু কি হাসবেন না ?

শয়তানের ঘোড়া … একটু কি হাসবেন না ?

শয়তান অত্যান্ত মর্মাহত , দুঃখিত এবং ভীষণ অপমানিত । এই বাংলাদেশের মানুষ তাকে মোটেই ভয় পায়না , ইজ্জত করেনা , এরা কিছু হলেই এদের শিশু কিশোর দের শয়তান বলে ডাকে । ঊঠতি বয়সের ছুকড়ি গুলি মুচকি হেঁসে ছোকড়া গুলিকে শয়তান বলে ডাকে । ভাগ্যিস ছোকড়া গুলি ছুকড়ি গুলিকে শয়তানী বলে ডাকেনা ; তাহলে শয়তান পূজারীদের কাছে যা একটু মান ইজ্জৎ আছে তাও থাকতোনা ।কিন্তু আদতে আমার কোন দাম নেই এদের কাছে.. ভাবে শয়তান।

শয়তান মনে মনে বলে ; আমি আযাযিল , খুতুবাতিসশয়তান ,আগুনের তৈরী, অসীম ক্ষমতা ধর , চোখের পলকে পৃথিবীর এ প্রান্ত ও প্রান্ত করি , মানুষের শিরায় শিরায় ভ্রমন করি । এই বাংলার মানুষ একটু বেশী ধর্মভীরু নয়তো কবেই এদের বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে মারতাম । এরা এতো ধর্মভীরু যে ইসলামের জন্মভূমির লোকেরাও এতো ধর্মভীরু নয় ।কিসের বলে এমন ভেবে কুল কিনারা পায় না শয়তান!

যাই হউক এঁদের শায়েস্তা করতে হবে ভাবে শয়তান।
 শয়তান একদিন ব্যথাতুর হৃদয়ে বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাচ্ছিল ; দেখলো তিনটা ছেলে একটা নুতন অজানা খেলা খেলছে । শয়তান ভাবলো একটু দাঁড়ায়ে দেখি খেলাটা , এই খেলা দিয়ে নুতন কোন শয়তানি যদি বের করা যায় । শয়্তান ঘোড়ার রূপ নিয়ে ছেলেদের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে লাগলো ।
 ছেলেদের একজন হটাৎ ঘোড়া দেখে বললো ,-‘ওই চল আজকে ঘোড়া দৌড়াইব , ঘোড়ায় চড়বো ।কী কালা শয়তানের মতো ঘোড়া !’
 শয়তান মনে মনে মুচকি হেঁসে মনে মনে বলললো- ‘আয় চড় ; আজকে তোদের একদিন কি আমার একদিন ; তোদেরকে আকাশে তুলে নিচে ছুড়ে ফেলে দেবো , তাতে আমার অপমানের কিছুটা হলেও লাঘব হবে ।’
 এবার দ্বিতীয় ছেলেটি বলল,- ‘ওই! ঘোড়ার উপর দুই জনের বেশী তো বসা যাবেনা , কিন্তু আমরা যে তিন জন ?’
 অপেক্ষাকৃত ছোট তৃতীয় ছেলেটি বললো-, ‘এইডা কোন সমস্যা অইলো ? সামনে দেকছোশ কয়ডা বাঁশের টুকরা পইড়া রইছে ? মোডা বাঁশডা শয়তান ঘোড়াডার পাছায় ভইরা দিলে ওইডার উফর একজন বইবার পারমু । ’
একথা সুনে শয়তান চমকে উঠলো , বিড় বিড় করে বললো কোটি কোটি বছর এই বিশ্বে ব্রহ্মাণ্ডে শয়তানি করে গেছি , এরকম শয়তানি তো আমার মাথায় কখোনো আসেনি । এই বাংলাদেশের পিচ্চি গুলি আমার চেয়েও বড় শয়তান , এখান থেকে পালিয়ে যাওয়াই উত্তম ।
 ...হা হা হা , হি হি হি , খ্যাঁক খ্যাঁক খ্যাঁক ।
...... মাহবুবুল আলম ।
(সম্পাদিত)

No comments:

Post a Comment