If you do not mind, I want to live with the protection! If you do not mind,would have to say ! If you do not mind, like the freedom of mass media ! If you do not mind, like the right to vote! If you do not mind, like the government ! If you do not mind, road safety! If you do not mind, would like to study!
Saturday, October 17, 2015
কালিদাস পন্ডিতের ধাঁধাঁ -বাজার থেকে এলো সাহেব কোট প্যান্ট পরে, প্যান্ট খোলার পর চোখে পানি ঝড়ে।
কালিদাস পন্ডিতের ধাঁধাঁ
১।বাজার থেকে এলো সাহেব কোট প্যান্ট পরে,প্যান্ট খোলার পর চোখে পানি ঝড়ে।
২।যৌবনে যুবতি বুড়া কালে লাল
নেংটা হয়ে বাজারে যায়, জিবে আসে জল!
৩।এক গাছে বহু ফল গা কাঁটা কাঁটা
পাকিলে ছাড়াও যদি,হাতে লাগে আঠা!
৪।উপরে চুনকাম করা ভিতরে লাল ঝোল
না বলতে পারলে তোমার মাথায় গন্ডগোল!
৫।বাকলে আনে দড়ি,পাতায় তরকারী
খড়িতে লা কড়ীর যোগান এটা খুব দরকারী
উত্তর মিলিয়ে দেখুন হয় কি না:-
১।পিঁয়াজ ২।তেঁতুল ৩।কাঁঠাল ৪।ডিম
৫।পাটগাছ
লেবেলসমূহ:
কালিদাস পন্ডিতের ধাঁধাঁ Pundits Keep Kalidas
House in a village in Bangladesh
লেবেলসমূহ:
আমার প্রিয় বাংলাদেশ - My favorite Bangladesh
Beautiful Bird
লেবেলসমূহ:
সুন্দর গিফ পিকচার Beautiful GIF picture
Picnic - Gulam Mustafa বনভোজন -গোলাম মোস্তফা
Picnic
Gulam Mustafa
Nuru, pusi, Ayesha, Shafi said everyone
Mango gardens on the floor as they laughed.
Surfeit amateur cook cooks have fallen,
This is the month of April at noon there is no sleep.
The advantage of getting their parents are asleep,
Today naughty girl matched waist picnic.
Everyone is sitting on a huge organized today,
Today, they are all busy invited to the feast.
Some Butt at some turmeric rice cooks,
Someone remembered that the hand was burnt to ashes.
Although without their being cooked by fire,
But the two eyes filled with smoke weep.
Some cooks plov korma, try some of the salt,
Again and again, society or killed unnecessarily.
Which is the end of cooking, distributor of the Nuru,
If everyone consumed at the start line.
The dust and the mud on the sand korma-polaw,
Everyone took for granted, interviewed excessively sweet.
Suddenly I came to the read,
Children ran all hehehe laughing.
লেবেলসমূহ:
ছন্দ কবিতা Rhyme
Friday, October 16, 2015
হার্ড ডিক্সের সমস্যার সমাধানে সাত কাহন Hard disk problems
হার্ডডিক্স হলো কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ ষ্টোরেজ ডিভাইস।এই ডিভাইসে অপারেটিং সিষ্টেম সহ দরকারী ফাইল, তথ্য ,ডকুমেন্ট ইত্যাদি রক্ষিত থাকে ।যদিও অন লাইনে গুগল ড্রাইভে দরকারী ডকুমেন্ট গুলো নিরাপদে রাখা যায়।কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করেন না।এর প্রধাণ কারন অজ্ঞতা আর দ্বিতীয় প্রধাণ কারণ ইন্টারনেট প্যাকেজের মাত্রাতিরিক্ত মূল্য।
যেহেতু হার্ডডিক্সে আপনার মূল্যমান ডাটা গুলো রক্ষিত থাকে সেহেতু হার্ডাডক্স রক্ষাণাবেক্ষণ করা অতীব জরুরী ।হার্ডডিক্স রক্ষানাবেক্ষণের জন্য নিম্নের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন।
• নিয়মিত হার্ডডিক্স স্কেন করুন ।
যদি আপনার ইউ পি এস না থাকে আর চালু অবস্থায় কারেন্ট চলে যায়
তবে কম্পিউটার চালু করার প্রথমেই স্কেন ডিক্স চালিয়ে হার্ডডিক্স স্কেন করুন।
• নিয়মিত ডিক্স ডিফ্রাগ করুন।
• এজন্য উইন ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
এতে আপনার হার্ডডিক্স নষ্ট হবার সম্ভবনা থাকবে না।হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর পড়বে না।দীর্ঘকাল আপনার ডাটা গুলো সুরক্ষিত থাকবে।কম্পিউটার চলবে দ্রুত গতিতে।
হার্ডডিক্স এ কপি , ডিলিট করা যায় ক্ষেত্র বিশেষে পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার বার।এছাড়া ভাইরাস জনিত কারণে সি ড্রাইভ ফর্মেট করে পূনরায় উইন্ডোজ ইনষ্টল করার প্রয়োজন হয়।এই কপি ডিলিট বা ফর্মেট বেশী বেশী করার কারণে হার্ডডিক্সের রান টাইম স্লো হয়ে যতে পারে।ফলে সার্বিকভাবে কম্পিউটারের বুট টাইম দীর্ঘতর হয় বা কম্পিইটার স্লো হয়ে যায়।এর থেকে পরিত্রানের সহজ উপায় হলো এই যে, –
• সফটয়্যার গুলো ডিফল্ট হিসাবে সি ড্রাইভে ইনষ্টল না করে অন্য ড্রাইভ যেমন ডি ড্রাইভে ইনষ্টল করা।এজন্য সফটওয়্যার ইনষ্টলের সময় ডি ড্রাইভে সে সফওয়্যারের নামে একটি ফোল্ডার ক্রিয়েট করে,কাষ্টম ইষ্টল হিসেবে ক্রিয়েট করা ফোল্ডারটি সিলেক্ট করে নিয়ে ডি ড্রাইভে যে কোন সফটওয়্যার ইনষ্টল করা যাবে।
• উইন্ডোজ রিফ্রেস করা।
উইন্ডোজে ভাইরাস আক্রান্ত হলে,কোন সফটওয়্যার ঠিক মতো রান না করলে,সর্বোপরি অপারেটিং সিষ্টেম স্লো হয়ে গেলে।সি ড্রাইভ ফরমেট করে উইন্ডোজ ইষ্টল করা হয়।কিন্তু হার্ডডিক্সের সি ড্রাইভ ফর্মেট না করে উইন্ডোজ রিফ্রেস করে হার্ডডিক্স ফর্মেট এড়ানো যায়।হার্ডডিক্স ফর্মেট না করে উইন্ডোজ রিফ্রেস করা একটি উত্তম পন্থা ।এতে হার্ডডিক্স অযথা ফর্মেট করতে হয় না বলে,হার্ড ডিক্সের উপর চাপ কম পড়ে ।ফলে হার্ডডিক্স দীর্ঘস্থায়ী হয়।কম্পিউটার স্লো হয় না।উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পূর্বে ইনষ্টল করা প্রোগ্রাম গুলো কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে আনইষ্টল করে নিতে হবে।কারণ উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পর কিছু প্রোগ্রাম কাজ করবে না।কিন্তু সি ড্রাইভে প্রোগ্রামগুলোর লিংক রয়ে যাবে ।এজন্য আনইষ্টল করা প্রয়োজন।উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পর পূনরায় প্রয়োজন মতো ইনষ্টল করে নেয়া যাবে।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে উইন্ডোজ রিফ্রেসে অন্যান্য পার্টিশনের ডাটার কোন লস বা পরিবর্তন হবে না বা ডাটা গুলো আগের মতো সুরক্ষিত থাকবে।
উইন্ডোজ ৮ রিফ্রেস করার পদ্ধতি-
• কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে সফটওয়্যার গুলো আনইনষ্টল করুন।
• সিডি/ডিভিডি ড্রাইভে পূর্বের ইনষ্টলকৃত অপারেটিং সিস্টেমের ডিভিডি রমটি প্রবেশ করান।
• কম্পিউটার রিষ্টার্ট করুন।
• কী বোর্ডের স্পেস বার চেপে ডিভিডি রম হতে অপারেটিং সিষ্টেম বুট করুন।
• Windows Setup উইন্ডোর Next এ ক্লিক করুন ।
• Repair your Computer এ ক্লিক করুন।
• Trouble Shoot এ ক্লিক করুন ।
• Refresh your Pc তে ক্লিক করুন।
কিছু সময় নিয়ে১% হতে ১০০% উইন্ডোজ রিফ্রেস হবে।এবার দেখুন কম্পিউটার অনেক ফাষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সতর্কতা- যদি আপনার ডটিা গুলোর ব্যাকাপ না থাকে তবে Reset your Pc তে ক্লিক করবেন না।কম্পিইটারের ডাটা মুছে যাবে বা লস হয়ে যেতে পারে।
একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
যদি কম্পিউটারে বা হার্ডডিক্সে অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল করতে ব্যর্থ হন, তবে বার বার চেষ্টা করবেন না।কারণ এর ফলে আপনার হার্ডডিক্স এর MBR সমস্যা হতে পারে। এমবিআর মানে মাস্টার বুট রেকর্ড। হার্ডডিস্কের কোন পার্টিশনের কোথায় বুট সেক্টর আছে সেটা দেখানোর জন্যে হার্ডডিস্কের একেবারে প্রথম ট্র্যাকের প্রথম সেক্টরে (প্রায় ৫১২ বাইট) কিছু তথ্য থাকে। এটাই এমবিআর। MBR সমস্যা সমাধান না করতে পারলে হার্ডডিক্স ইনেক্টিভ হয়ে যেতে পারে চীরতরে। MBR এর সমাধানের পদ্ধতি নিচে দেয়া হয়েছে।
হার্ডডিক্সের রান টাইম স্লো বা রেসপন্স ক্ষীণ হলে অপারেটিং সিষ্টেম ইস্টল হতে বাঁধা গ্রস্থ হয় ।এরূপ হার্ডডিক্সটিকে শতভাগ কর্যক্ষম করা প্রয়োজন হতে পারে।এজন্য প্রয়োজন HDD Generator সফটয়্যারটি ।
HDD Generator সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিক্স কার্যক্ষম করার পদ্ধতি-
• একটি সচল কমিাপউটারে HDD Generator ডাউনলোড করুন।
• সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করুন।
• কম্পিউটারটি শাটডাউন করে অচল হার্ডডিক্সটি সংযুক্ত করে চালু করুন।
• HDD Generator সফটওয়্যার দিয়ে অচল হার্ডডিক্সটি স্কেন করুন।
• কোন ডাটা লস না হয়েই ,হার্ডডিক্সটি সচল হবে ।এখন হার্ডডিক্সটি আগের মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
উইন্ডোজ অচল হয়ে গিয়েছে ।বার বার উইন্ডোজ ইনষ্টল করার চেষ্টা করেছেন।উইন্ডোজ ইনষ্টলের সময় হঠাত করে কারেন্ট চলে গিয়েছে।পরবর্তীতে উইন্ডোজ ইনষ্টল করা যাচ্ছে না।নিরুপায় হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন সকল ডাটা লস করে হলেও হার্ডডিক্সটিকে সচল করার জন্য নতুন করে পার্টিশন করবেন ।কিন্তু পার্টিশন করা যাচ্ছে না।পার্টিশন ম্যাজিক বা এফ ডিক্স কমান্ড প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।কোন পার্টিশনের সফটওয়্যার কাজ করছে না।তবে জানবেন হার্ডডিক্সটির MBR সমস্যা হয়েছে। MBR সমস্যার সমাধান না হলে হার্ডডিক্সে কোন কাজ করতে পারবেন না।হার্ডডিক্সটেকে কার্যক্ষম কনতে হলে MBR সমস্যা সমাধান করতে হবে।এক্ষেত্রে হার্ডডিক্সটি বায়োস কর্তৃক ডিটেক্ট হয় কি না তা জানা প্রয়োজন।জানার জন্য কম্পিউটার ষ্টার্ট করে অপারেটিং সিষ্টেম লোডের প্রক্রিয়ার আগে কী বোর্ডের F2 অথবা DEL কী চেপে BIOS এ প্রবেশ করুন । BIOS কানেকশনে যদি আপনার হার্ডডিক্সটি প্রদর্শিত হয়।তবে হার্ডডিক্সটি ব্যবহার উপযোগী করতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনার একমাত্র উদ্ধারকারী হতে পারে Windows 2000 এর বুটেবল সিডি । হার্ড ডিক্সটি সচল কার্যক্ষম করার জন্য নিম্নের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন ।
• Windows 2000 এর বুটেবল সিডিটি ডিভিডি রমে প্রবেশ করান ।
• উইনন্ডোজ ২০০০ এর সিডি থেকে কম্পিউটার বুট করুন।
• F3 চেপে পার্টিশন ডিলিট করে বের হয়ে আসুন।
• এখন Windows98 এর সিডি দিয়ে কস্পিউটার বুট করে Fdisk কমান্ড দিয়ে পার্টিশন করুন।
• হাই লেবেল ফর্মেট করুন।এটা উইন্ডোজ ইনষ্টলের পরেও করা যায়।
• তবে C:\ ড্রাইভ এক্টিভ করতে ভুলে যাবেন না।
• বেরিয়ে এসে আপনার পছন্দ মতো যে কোন উইন্ডোজ ভার্সন ইনষ্টল করুন।
Windows 2000 ও Windows98 বুটেবল সিডি ফেলনা নয় বরং প্রয়েজনীয়।যেমনটি লোকে বলে,‘ পুরানো চাল ভাতে বাড়ে!’
আর যদি আপনার হার্ডডিক্সটি বেশ পুরাতন হয় ।কোন কমান্ড নিতে বিলম্ব করে বা কমান্ড প্রয়োগ করা যায় না।তবে আপনার হার্ডডিক্সটি লো লেবেল ফর্মেট করা প্রয়োজন হতে পারে।
লো লেবেল ফর্মেটের জন্য নিচের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন।
• কোন সচল কম্পিউটারে লো লেবেল ফরমেট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ।
• সফওয়্যারটি ইনষ্টল করুন।
• কম্পিউটারটি শাট ডাউন করে হার্ডডিক্সটি সংযুক্ত করুন।
• লো লেবেল সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিক্সটি লো লেবেল ফর্মেট করুন।
• পর্টিশন ম্যাজিক বা উইন্ডোজের বুটেবল সিডি দিয়ে প্রয়োজন মতো পর্টিশন করুন ও হাইলেবেল ফর্মেট করে নিন।
• এখন হার্ডডিক্সটি অপারেটিং সিষ্টেমের জন্য ১০০% প্রস্তুত।
• যদি ডাউনলোডকৃত সফওয়্যারগুলো জিপ করা থাকে। তবে আনজিপ করুন 7-Zip সফটওয়্যার দিয়ে ।
আর যদি আপনার হার্ডডিক্সটি বায়োস Basic Input/Output System সেটিংয়ে প্রদর্শিত না হয় ! তবে জানবেন হার্ডডিক্সটি পাল্টানোর সময় হয়ে গেছে।
যেহেতু হার্ডডিক্সে আপনার মূল্যমান ডাটা গুলো রক্ষিত থাকে সেহেতু হার্ডাডক্স রক্ষাণাবেক্ষণ করা অতীব জরুরী ।হার্ডডিক্স রক্ষানাবেক্ষণের জন্য নিম্নের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন।
• নিয়মিত হার্ডডিক্স স্কেন করুন ।
যদি আপনার ইউ পি এস না থাকে আর চালু অবস্থায় কারেন্ট চলে যায়
তবে কম্পিউটার চালু করার প্রথমেই স্কেন ডিক্স চালিয়ে হার্ডডিক্স স্কেন করুন।
• নিয়মিত ডিক্স ডিফ্রাগ করুন।
• এজন্য উইন ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
এতে আপনার হার্ডডিক্স নষ্ট হবার সম্ভবনা থাকবে না।হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর পড়বে না।দীর্ঘকাল আপনার ডাটা গুলো সুরক্ষিত থাকবে।কম্পিউটার চলবে দ্রুত গতিতে।
হার্ডডিক্স এ কপি , ডিলিট করা যায় ক্ষেত্র বিশেষে পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার বার।এছাড়া ভাইরাস জনিত কারণে সি ড্রাইভ ফর্মেট করে পূনরায় উইন্ডোজ ইনষ্টল করার প্রয়োজন হয়।এই কপি ডিলিট বা ফর্মেট বেশী বেশী করার কারণে হার্ডডিক্সের রান টাইম স্লো হয়ে যতে পারে।ফলে সার্বিকভাবে কম্পিউটারের বুট টাইম দীর্ঘতর হয় বা কম্পিইটার স্লো হয়ে যায়।এর থেকে পরিত্রানের সহজ উপায় হলো এই যে, –
• সফটয়্যার গুলো ডিফল্ট হিসাবে সি ড্রাইভে ইনষ্টল না করে অন্য ড্রাইভ যেমন ডি ড্রাইভে ইনষ্টল করা।এজন্য সফটওয়্যার ইনষ্টলের সময় ডি ড্রাইভে সে সফওয়্যারের নামে একটি ফোল্ডার ক্রিয়েট করে,কাষ্টম ইষ্টল হিসেবে ক্রিয়েট করা ফোল্ডারটি সিলেক্ট করে নিয়ে ডি ড্রাইভে যে কোন সফটওয়্যার ইনষ্টল করা যাবে।
• উইন্ডোজ রিফ্রেস করা।
উইন্ডোজে ভাইরাস আক্রান্ত হলে,কোন সফটওয়্যার ঠিক মতো রান না করলে,সর্বোপরি অপারেটিং সিষ্টেম স্লো হয়ে গেলে।সি ড্রাইভ ফরমেট করে উইন্ডোজ ইষ্টল করা হয়।কিন্তু হার্ডডিক্সের সি ড্রাইভ ফর্মেট না করে উইন্ডোজ রিফ্রেস করে হার্ডডিক্স ফর্মেট এড়ানো যায়।হার্ডডিক্স ফর্মেট না করে উইন্ডোজ রিফ্রেস করা একটি উত্তম পন্থা ।এতে হার্ডডিক্স অযথা ফর্মেট করতে হয় না বলে,হার্ড ডিক্সের উপর চাপ কম পড়ে ।ফলে হার্ডডিক্স দীর্ঘস্থায়ী হয়।কম্পিউটার স্লো হয় না।উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পূর্বে ইনষ্টল করা প্রোগ্রাম গুলো কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে আনইষ্টল করে নিতে হবে।কারণ উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পর কিছু প্রোগ্রাম কাজ করবে না।কিন্তু সি ড্রাইভে প্রোগ্রামগুলোর লিংক রয়ে যাবে ।এজন্য আনইষ্টল করা প্রয়োজন।উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পর পূনরায় প্রয়োজন মতো ইনষ্টল করে নেয়া যাবে।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে উইন্ডোজ রিফ্রেসে অন্যান্য পার্টিশনের ডাটার কোন লস বা পরিবর্তন হবে না বা ডাটা গুলো আগের মতো সুরক্ষিত থাকবে।
উইন্ডোজ ৮ রিফ্রেস করার পদ্ধতি-
• কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে সফটওয়্যার গুলো আনইনষ্টল করুন।
• সিডি/ডিভিডি ড্রাইভে পূর্বের ইনষ্টলকৃত অপারেটিং সিস্টেমের ডিভিডি রমটি প্রবেশ করান।
• কম্পিউটার রিষ্টার্ট করুন।
• কী বোর্ডের স্পেস বার চেপে ডিভিডি রম হতে অপারেটিং সিষ্টেম বুট করুন।
• Windows Setup উইন্ডোর Next এ ক্লিক করুন ।
• Repair your Computer এ ক্লিক করুন।
• Trouble Shoot এ ক্লিক করুন ।
• Refresh your Pc তে ক্লিক করুন।
কিছু সময় নিয়ে১% হতে ১০০% উইন্ডোজ রিফ্রেস হবে।এবার দেখুন কম্পিউটার অনেক ফাষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সতর্কতা- যদি আপনার ডটিা গুলোর ব্যাকাপ না থাকে তবে Reset your Pc তে ক্লিক করবেন না।কম্পিইটারের ডাটা মুছে যাবে বা লস হয়ে যেতে পারে।
একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
যদি কম্পিউটারে বা হার্ডডিক্সে অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল করতে ব্যর্থ হন, তবে বার বার চেষ্টা করবেন না।কারণ এর ফলে আপনার হার্ডডিক্স এর MBR সমস্যা হতে পারে। এমবিআর মানে মাস্টার বুট রেকর্ড। হার্ডডিস্কের কোন পার্টিশনের কোথায় বুট সেক্টর আছে সেটা দেখানোর জন্যে হার্ডডিস্কের একেবারে প্রথম ট্র্যাকের প্রথম সেক্টরে (প্রায় ৫১২ বাইট) কিছু তথ্য থাকে। এটাই এমবিআর। MBR সমস্যা সমাধান না করতে পারলে হার্ডডিক্স ইনেক্টিভ হয়ে যেতে পারে চীরতরে। MBR এর সমাধানের পদ্ধতি নিচে দেয়া হয়েছে।
হার্ডডিক্সের রান টাইম স্লো বা রেসপন্স ক্ষীণ হলে অপারেটিং সিষ্টেম ইস্টল হতে বাঁধা গ্রস্থ হয় ।এরূপ হার্ডডিক্সটিকে শতভাগ কর্যক্ষম করা প্রয়োজন হতে পারে।এজন্য প্রয়োজন HDD Generator সফটয়্যারটি ।
HDD Generator সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিক্স কার্যক্ষম করার পদ্ধতি-
• একটি সচল কমিাপউটারে HDD Generator ডাউনলোড করুন।
• সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করুন।
• কম্পিউটারটি শাটডাউন করে অচল হার্ডডিক্সটি সংযুক্ত করে চালু করুন।
• HDD Generator সফটওয়্যার দিয়ে অচল হার্ডডিক্সটি স্কেন করুন।
• কোন ডাটা লস না হয়েই ,হার্ডডিক্সটি সচল হবে ।এখন হার্ডডিক্সটি আগের মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
উইন্ডোজ অচল হয়ে গিয়েছে ।বার বার উইন্ডোজ ইনষ্টল করার চেষ্টা করেছেন।উইন্ডোজ ইনষ্টলের সময় হঠাত করে কারেন্ট চলে গিয়েছে।পরবর্তীতে উইন্ডোজ ইনষ্টল করা যাচ্ছে না।নিরুপায় হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন সকল ডাটা লস করে হলেও হার্ডডিক্সটিকে সচল করার জন্য নতুন করে পার্টিশন করবেন ।কিন্তু পার্টিশন করা যাচ্ছে না।পার্টিশন ম্যাজিক বা এফ ডিক্স কমান্ড প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।কোন পার্টিশনের সফটওয়্যার কাজ করছে না।তবে জানবেন হার্ডডিক্সটির MBR সমস্যা হয়েছে। MBR সমস্যার সমাধান না হলে হার্ডডিক্সে কোন কাজ করতে পারবেন না।হার্ডডিক্সটেকে কার্যক্ষম কনতে হলে MBR সমস্যা সমাধান করতে হবে।এক্ষেত্রে হার্ডডিক্সটি বায়োস কর্তৃক ডিটেক্ট হয় কি না তা জানা প্রয়োজন।জানার জন্য কম্পিউটার ষ্টার্ট করে অপারেটিং সিষ্টেম লোডের প্রক্রিয়ার আগে কী বোর্ডের F2 অথবা DEL কী চেপে BIOS এ প্রবেশ করুন । BIOS কানেকশনে যদি আপনার হার্ডডিক্সটি প্রদর্শিত হয়।তবে হার্ডডিক্সটি ব্যবহার উপযোগী করতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনার একমাত্র উদ্ধারকারী হতে পারে Windows 2000 এর বুটেবল সিডি । হার্ড ডিক্সটি সচল কার্যক্ষম করার জন্য নিম্নের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন ।
• Windows 2000 এর বুটেবল সিডিটি ডিভিডি রমে প্রবেশ করান ।
• উইনন্ডোজ ২০০০ এর সিডি থেকে কম্পিউটার বুট করুন।
• F3 চেপে পার্টিশন ডিলিট করে বের হয়ে আসুন।
• এখন Windows98 এর সিডি দিয়ে কস্পিউটার বুট করে Fdisk কমান্ড দিয়ে পার্টিশন করুন।
• হাই লেবেল ফর্মেট করুন।এটা উইন্ডোজ ইনষ্টলের পরেও করা যায়।
• তবে C:\ ড্রাইভ এক্টিভ করতে ভুলে যাবেন না।
• বেরিয়ে এসে আপনার পছন্দ মতো যে কোন উইন্ডোজ ভার্সন ইনষ্টল করুন।
Windows 2000 ও Windows98 বুটেবল সিডি ফেলনা নয় বরং প্রয়েজনীয়।যেমনটি লোকে বলে,‘ পুরানো চাল ভাতে বাড়ে!’
আর যদি আপনার হার্ডডিক্সটি বেশ পুরাতন হয় ।কোন কমান্ড নিতে বিলম্ব করে বা কমান্ড প্রয়োগ করা যায় না।তবে আপনার হার্ডডিক্সটি লো লেবেল ফর্মেট করা প্রয়োজন হতে পারে।
লো লেবেল ফর্মেটের জন্য নিচের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন।
• কোন সচল কম্পিউটারে লো লেবেল ফরমেট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ।
• সফওয়্যারটি ইনষ্টল করুন।
• কম্পিউটারটি শাট ডাউন করে হার্ডডিক্সটি সংযুক্ত করুন।
• লো লেবেল সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিক্সটি লো লেবেল ফর্মেট করুন।
• পর্টিশন ম্যাজিক বা উইন্ডোজের বুটেবল সিডি দিয়ে প্রয়োজন মতো পর্টিশন করুন ও হাইলেবেল ফর্মেট করে নিন।
• এখন হার্ডডিক্সটি অপারেটিং সিষ্টেমের জন্য ১০০% প্রস্তুত।
• যদি ডাউনলোডকৃত সফওয়্যারগুলো জিপ করা থাকে। তবে আনজিপ করুন 7-Zip সফটওয়্যার দিয়ে ।
আর যদি আপনার হার্ডডিক্সটি বায়োস Basic Input/Output System সেটিংয়ে প্রদর্শিত না হয় ! তবে জানবেন হার্ডডিক্সটি পাল্টানোর সময় হয়ে গেছে।
লেবেলসমূহ:
Information and Technology
Kiddy Sleeping laid Neighborhood Cool
লেবেলসমূহ:
ছবিতে ছড়া গান- Rhyme photos
Thursday, October 15, 2015
Rare wooden cargo ship
লেবেলসমূহ:
শখের ছবি-Hobby's picture
বউ চুরি করার উৎসব - Wife stealing Christmas
বউ চুরি করার উৎসব বা প্রতিযোগিতা
বউ চুরি করারও যে উৎসব বা প্রতিযোগিতা হতে পারে, তা বোধ করি অনেকেই জানেন না। পৃথিবীর বহু প্রাচীন আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম ওদাবে, তারা বউ চুরি করার উৎসব বা প্রতিযোগিতার
আয়োজন করে। ওই আদিবাসী গোষ্ঠী বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় এ উৎসবটির আয়োজন করে। তবে যদি ভেবে থাকেন এই উৎসবটির উদ্দেশ্য নারীর পক্ষে নয়।বরং আদিবাসী গোত্রের পুরুষদের বহুগামিতাকে উতসাহ বা ঠেলে দেয়ার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই আদিবাসী ওদাবে গোষ্টি মুসলিম হলেও তাদের আদি রীতি এখনো পালন করে।
ক্যামেরুন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাঁদ এবং নাইজেরিয়াতে মূলত এই মুসলিম আদিবাসী গোষ্ঠীটির বসবাস। ওদাবে গোষ্ঠীর জন্য বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এই দুই মাসে তপ্ত মরুর বুকে নেমে আসে বর্ষার ধারা, আর এই বর্ষাকে যৌনতা দিয়ে উপভোগ করার জন্যই ‘বউ চুরি’ উৎসব শুরু হয়। এ সময় মূলত পুরো গোত্রের সব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ‘গেরেউল’ (ওদাবে গোত্রের সঙ্গমের দেবতা) পালনের জন্য সমবেত হন।
গোত্রের পরিবারগুলো সারা বছর মরুভূমির বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করলেও বছরের এ সময়টাতে তারা একত্রিত হন। যুগ যুগ ধরেই তাদের মধ্যে এই ঐতিহ্য বহমান রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে কখন, কোথায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তা খুব গোপনে সংরক্ষণ করা হয়। গোত্রের প্রধানরাই কেবল এ উৎসবের দিন-তারিখ জানেন এবং তারা তাদের অধীনস্থদের নিয়ে সেই দিনক্ষণ অনুযায়ীই রওনা দেন এবং নিদৃষ্ট গোপন স্থানে উতসব পালন করেন। মরুভূমির বুকে গোটা রাত ধরে চলে নৃত্য-গীত এবং বাদ্য বাজনা।
পুরুষদের এ নৃত্য-গীত আবার তিন জন নারী বিচারকের সামনে পালন করা হয়। এটা অবশ্য করা হয় সমাজে পুরুষদের শক্তিমত্তা ও পারদর্শিতা বিচার করার জন্য। ওদাবে গোত্রের পুরুষরা এ উৎসবে যোগদানের আগে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা সময় নেন নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য। বিচিত্র রংয়ে নিজেদের সাজিয়ে এবং একজন নারীর মন পাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার তার সবকিছু করেন তারা। একেবারে শেষের দিকে তারা নিজেদের মাথায় পাখির পালক গুঁজে নারীদের সামনে দাঁড়ান। দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষদের মধ্য থেকে নারীরা তাদের পছন্দের পুরুষটিকে বেছে নেন উৎসবের জন্য। এ উৎসবের দিনে গোত্রের অবিবাহিত নারীরাও কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে। এ নিয়ে সমাজের মধ্যে নেই কোনো বিধি-নিষেধ।
শুধু তাই নয়, এ উৎসব থেকে যদি কোনো স্ত্রী আরো একটি পুরুষকেও বিয়ে করতে চান, তাকে সে স্বাধীনতাও দেয়া হয়। কিন্তু বউ চুরি করার উৎসবে পুরুষদের বেলায় তা হওয়ার নয়। বিয়ে করার স্বাধীনতা এ গোত্রে কেবল নারীদেরই দেয়া হয়।
বউ চুরি করারও যে উৎসব বা প্রতিযোগিতা হতে পারে, তা বোধ করি অনেকেই জানেন না। পৃথিবীর বহু প্রাচীন আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম ওদাবে, তারা বউ চুরি করার উৎসব বা প্রতিযোগিতার
আয়োজন করে। ওই আদিবাসী গোষ্ঠী বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় এ উৎসবটির আয়োজন করে। তবে যদি ভেবে থাকেন এই উৎসবটির উদ্দেশ্য নারীর পক্ষে নয়।বরং আদিবাসী গোত্রের পুরুষদের বহুগামিতাকে উতসাহ বা ঠেলে দেয়ার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই আদিবাসী ওদাবে গোষ্টি মুসলিম হলেও তাদের আদি রীতি এখনো পালন করে।
ক্যামেরুন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাঁদ এবং নাইজেরিয়াতে মূলত এই মুসলিম আদিবাসী গোষ্ঠীটির বসবাস। ওদাবে গোষ্ঠীর জন্য বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এই দুই মাসে তপ্ত মরুর বুকে নেমে আসে বর্ষার ধারা, আর এই বর্ষাকে যৌনতা দিয়ে উপভোগ করার জন্যই ‘বউ চুরি’ উৎসব শুরু হয়। এ সময় মূলত পুরো গোত্রের সব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ‘গেরেউল’ (ওদাবে গোত্রের সঙ্গমের দেবতা) পালনের জন্য সমবেত হন।
গোত্রের পরিবারগুলো সারা বছর মরুভূমির বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করলেও বছরের এ সময়টাতে তারা একত্রিত হন। যুগ যুগ ধরেই তাদের মধ্যে এই ঐতিহ্য বহমান রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে কখন, কোথায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তা খুব গোপনে সংরক্ষণ করা হয়। গোত্রের প্রধানরাই কেবল এ উৎসবের দিন-তারিখ জানেন এবং তারা তাদের অধীনস্থদের নিয়ে সেই দিনক্ষণ অনুযায়ীই রওনা দেন এবং নিদৃষ্ট গোপন স্থানে উতসব পালন করেন। মরুভূমির বুকে গোটা রাত ধরে চলে নৃত্য-গীত এবং বাদ্য বাজনা।
পুরুষদের এ নৃত্য-গীত আবার তিন জন নারী বিচারকের সামনে পালন করা হয়। এটা অবশ্য করা হয় সমাজে পুরুষদের শক্তিমত্তা ও পারদর্শিতা বিচার করার জন্য। ওদাবে গোত্রের পুরুষরা এ উৎসবে যোগদানের আগে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা সময় নেন নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য। বিচিত্র রংয়ে নিজেদের সাজিয়ে এবং একজন নারীর মন পাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার তার সবকিছু করেন তারা। একেবারে শেষের দিকে তারা নিজেদের মাথায় পাখির পালক গুঁজে নারীদের সামনে দাঁড়ান। দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষদের মধ্য থেকে নারীরা তাদের পছন্দের পুরুষটিকে বেছে নেন উৎসবের জন্য। এ উৎসবের দিনে গোত্রের অবিবাহিত নারীরাও কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে। এ নিয়ে সমাজের মধ্যে নেই কোনো বিধি-নিষেধ।
শুধু তাই নয়, এ উৎসব থেকে যদি কোনো স্ত্রী আরো একটি পুরুষকেও বিয়ে করতে চান, তাকে সে স্বাধীনতাও দেয়া হয়। কিন্তু বউ চুরি করার উৎসবে পুরুষদের বেলায় তা হওয়ার নয়। বিয়ে করার স্বাধীনতা এ গোত্রে কেবল নারীদেরই দেয়া হয়।
Evenings Boat Tour
লেবেলসমূহ:
শখের ছবি-Hobby's picture
একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ
একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ
(বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী)
খাজা আলী অামজাদ মাহবুব
আজকে যে কম্পিউটারটা সারাতে নিয়ে এলেন সেটার সি পি ইউ স্লটটা ছিল এলোমেলো।জিজ্ঞেস করে জানা গেল সি পি ইউ স্লট পরিস্কার করতে গিয়ে এমন হয়েছে ।যার জন্য কম্পিউটার চলছে না ।রিষ্টার্ট হয়ে যাচ্ছে বার বার।অবাক কান্ড সি পি ইউ স্লট কেউ ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে !অদ্ভূত ব্যাপার!এখন এই অতি সুক্ষ সি পি ইউ স্লট কিভাবে ঠিক করা যায় তা নিয়ে ভাবনায় পড়লেন স্যামসেদ।
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন বেশ কিছু পিন এলোমেলো হয়ে গেছে আর কিছু পিনের প্রান্ত উপড়ে উপরে চলে এসেছে ।যা ম্যানুয়ালী রিপ্লেজ করা সম্ভবপর নয়।
কি করা যায় ভাবতে গিয়ে মনে পড়লো।
ন্যানো টেকলজির পিঁপড়ে দিয়ে সম্ভব কিনা চিন্তা করে দেখলেন তিনি।
দেখা যাক চেষ্টা করে।ভাবলেন স্যামসেদ।
পিঁপড়ে গুলো তার বন্ধু রাব্বী উপহার হিসাবে দিয়েছিল গত সপ্তাহে।সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজে নেমে পড়লেন স্যামসেদ।দশটি পিঁপড়া।অবিকল সত্যিকার পিঁপড়ের মতো।এগুলো পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ করা হয় একটি বিশেষ বেগুনী রংয়ের লেজার রশ্মির রিমোট টর্চ দিয়ে।পিঁপড়া গুলো বের করলেন বিশেষ বোতল থেকে।চকটকে স্টিল আর সোলার উপাদান দিয়ে তৈরী পিঁপড়া গুলোর রং কালো।সচল হলো বিভিন্ন রংয়ের আলো বের হয় এদের শরীর থেকে।একেক রংয়ের একেক অর্থ।ঝক ঝকে সাদা টাইলস মেঝেতে রাখলেন পিঁপড়ে গুলো ।লেজার টর্চের একটি নাচের প্রোগ্রাম সেট করে সবুজ বোতাম টিপে পিঁপড়ে গুলোর উপড় বেগুনী লেজার রশ্মি ফেললেন।যেনো হঠাত করে ঘুমন্ত পিঁপড়ে গুলো জেগে উঠলো ,নানার রং পল্টিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নাচতে নাচতে হেলে দূলে ছন্দময় ভাবে চলতে লাগলো।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে পিঁপড়ের নাচ দেখতে থাকলেন স্যামসেদ ।যেনো তিনি একটি পিঁপড়ে হয়ে পিঁপড়াদের সাথেই নাচছেন।নাচের সাথে অজানা কোন মোহময় সূরও শুনা যাচ্ছে পিঁপড়া দলটি থেকে।বড় শ্রুতিমধুর সে সূর।মনোরম দৃশ্য ।আবেশে শ্রান্তিময় ঘুম পেয়ে যায়।নাচটা বড় ফানি ও বেশ মজার ।তার মধ্যে একটি পিঁপড়া যেনো নাচে দক্ষ ,মনে হলো অন্যগুলো সেটাকেই অনুস্মরণ করছে।লিডার পিঁপড়া,মনে মনে নাম দিলেন স্যামসেদ।হঠাত মনে হলো যেনো আসল পিঁপড়ে দল বেঁধে নাচছে পিঁপড়ের দলে তিনিও একজন।বড়ই অদ্ভুদ অনুভূতি!কিছু সময় পর কালো পিঁপড়ে গুলো সবুজ হয়ে গেলো অর্থাত তাদের প্রতি নির্দেশিত প্রোগ্রামটি সফল ভাবে শেষ করেছে পিঁপড়ের দল ।অটোমেটিক বোতলে চলে আসলো পিঁপড়ে গুলো ।সেকানেই পড়ে রইলো যেনো মৃত কতোগুলো পিঁপড়ে সুন্দর এত বোতলে পড়ে রয়েছে।
টর্চটি খুললেন স্যামসাদ।ভিতরের মেমোরি কার্ডটা বের করলেন।মেমোরি রিডারে ডুকিয়ে কম্পিউটারে অপেন করলেন।দেখতে পেলেন সেখানে নতুন কোন ভিডিও প্রোগ্রাম ইনষ্টল করার স্পেস নেই ।দুটি প্রগ্রাম কাট পেষ্ট করে কম্পিউটারে রাখলেন।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভিডিও প্রোগ্রামের ফর্মেট বের করলেন।এইচ টি এম এল এবং ফ্লাশ এর সংমিশ্রণে তৈরী নতুন আবিষ্কৃত ভিডিও ফর্মেট।এই ফর্মেটের ভিডিও ফর্মেটের বিশেষত্ব হলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ প্রয়োগ করা যায়।হাই রেজোলেশনের ক্যামেরা দিয়ে সি পি ইউ স্লটের উপড় উজ্বল ফলাস লাইট ফেলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দুটি ভিডিও করলেন।প্রথমটি হলো একটি ভাল মাদার বোর্ডের সি পি ইউ এর ভিডিও আর দ্বিতীয়টি এই এলো মেলো হয়ে যাওয়া নষ্ট সি পি ইউ এর ভিডিও ।ভিডিও দুটি টর্চের প্রোগ্রাম ফর্মেটের অনুসারে রূপান্তরিত করলেন স্যামসেদ।
দুটি ভিডিওর সংযোগ স্থলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকোড লেখলেন- “যদি প্রথম ভিডিও সঠিক হয়;তবে দ্বিতীয় ভিডিও সঠিক নয়।অর্থাত প্রথসটি ভাল দ্বিতীয়টি নষ্ট।অতএব,দ্বিতীয়টি মেরামত করে প্রথমটির মতো ভাল করতে হবে।” এবার ভিডিও প্রোগ্রামটি মেমোরি কার্ডে কপি পেষ্ট করলেন।মেমেরী কার্ডটি কার্ড রিডার হতে বের করে এনে টর্চে সেট করলেন।
পিঁপড়ে গুলোকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সি পি ইউ স্লটে রাখলেন।টর্চে নতুন ইনষ্টলকৃত প্রোগ্রামটি সেট করে পিঁপড়ে গুলোর উপর বেগুনী রেজার রশ্মি ফেললেন।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে দেখতে পেলেন পিঁপড়ে গুলো সি পি ইউ স্লট মেরামতের কাজে লেগে পড়েছে।সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।পিঁপড়েদের সাধারণত নয় গুন বেশী শক্তি থাকে ,এই রোবোট পিঁপড়ে গুলোর যেনো আঠারো গুনের চেয়ে বেশী শক্তি!কিছুক্ষন পর দশটি পিঁপড়ে বোতলে ফিরে আসলো্।এদের মধ্যে সাতটি পিঁপড়ে সবুজ,অর্থাত এদের কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।দুটি পিঁপড়ে হলুদ,এদের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে।আর একটি পিঁপড়ে লাল,অর্থাত পিঁপড়েটি কাজটি সফল ভাবে করতে পারেনি।স্যামসাদ পূনরায় আগের মতো নির্দেশ দিলেন ।এবার নয়টি পিঁপড়ে সবুজ একটি পিঁপড়ে লাল ।মাদার বের্ডের সমস্যাটা কোথায় ?তিনি মাদার বোর্ডটিকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে দেখতে পেলেন সবকিছু ঠিক আছে,শুধু একটি পিনের একটি পায়ের অংশ এ্ক বা দুই মাইক্রো মিলিমিটার ফাঁকা যা মাদার বোর্ডে সংযুক্ত হয়নি।হয়তো পিনের সে অংশটা ভেংগে আলাদা হয়ে গেছে।তাই পিঁপড়েটা মেরামত করতে সক্ষম হচ্ছে না।সেটা এতো সুক্ষ কাজ যে ম্যানুয়ালী করা অসম্ভব।
রোবোট পিঁপড়েদের আবার নির্দেশ দেয় হলো ।এবার একটি অদ্ভুদ ঘটনার সম্মুখিন হয়ে স্যামসাদ হতবাক হয়ে গেলেন।দেখলেন দুইবার ব্যর্থ লাল সিগনালের পিঁপড়াটা তার শরীরের একটি পায়ের ধাতব অংশ গলিয়ে পিনের ফাঁকা স্থানটি ভরাট করে দিয়ে পিনটিকে মেইন বোর্ডের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছে।এর ফলে মেইনবোর্ডটি মেরামত হয়ে গেলেও পিঁপড়েটি পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। অন্য পিঁপড়ে গুলো ধরাধরি করে পঙ্গু পিঁপড়েটিকে নিয়ে এসেছে।এবার দশটি পিঁপড়েই সবুজ।
স্যামসাদ আরো হতভম্ভ হয়ে গেলেন এই আবিষ্কার করে যে,পঙ্গু পিপড়েটাই দলনেতা।যে সবচেয়ে কঠিন কাজটার দায়িত্ব নিয়েছিল এবং দেহের অংশ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও কাজটি ব্যর্থ হতে দেয়নি।কোম্পানী বলেছে এই রোবোট পিঁপড়ে গুলো ইন্টেলিজেন্ট।কিন্তু এগুলো যে এতোটা ইন্টেলিজেন্ট ভাবতেই পারছেন না স্যামসাদ ।পিঁপড়ে গুলোর নির্মাতা কম্পানীও কি এমনিটি ভাবতে পেরেছিল!?মনে হয় না!
এখন পিঁপড়ে গুলো আগের মতো নাচে না ।দল নেতা নাচতে পারে না।দলনেতার নাচ অনুস্মরণ করতে পারে না পিঁপড়ে গুলো।দল নেতাকে ঘিরে লাফাতে থাকে ।যেনো তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে,তার কাছে জানতে চাইছে নাচের নির্দেশনা ।
পিঁপড়ে নেতা যেনো শিখেয়ে দিল –‘নেতাদের আত্ম ত্যাগেই কর্মের সত্যিকারের সফলতা।’
লেবেলসমূহ:
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী-Science Fiction
Wednesday, October 14, 2015
পল্লী স্মৃতি - সুফিয়া কামাল
পল্লী স্মৃতি
সুফিয়া কামাল
বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি পল্লী ময়ের কোল,
ঝাউশাখে যেথা বনলতা বাঁধি হরষে খেয়েছি দোল
কুলের কাটার আঘাত লইয়া কাঁচা পাকা কুল খেয়ে,
অমৃতের স্বাদ যেন লভিয়াছি গাঁয়ের দুলালী মেয়ে
পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশীতে বিষম খেয়ে,
আরো উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।
চৈত্র নিশির চাঁদিমায় বসি' শুনিয়াছি রূপকথা,
মনে বাজিয়াছে সুয়ো দুয়োরাণী দুখিনি মায়ের ব্যথা।
তবু বলিয়াছি মার গলা ধরে, "মাগো, সেই কথা বল,
রাজার দুলালে পাষাণ করিতে ডাইনী করে কি ছল!
সাতশ' সাপের পাহারা কাটায়ে পাতালবাসিনী মেয়ে,
রাজার ছেলেরে বাঁচায়ে কি করে পৌঁছিল দেশে যেয়ে।"
কল্পপূরীর স্বপনের কাঠি বুলাইয়া শিশু চোখে
তন্দ্রদোলায় লয়ে যেত মোরে কোথা দূর ঘুমলোকে
ঘুম হতে জেগে বৈশাখী ঝড়ে কুড়ায়েছি ঝরা আম
খেলার সাথীরা কোথা আজ তারা? ভুলিয়াও গেছি নাম।
নববর্ষার জলে অবগাহি কভু পুলকিত মনে
গান গাহিয়াছি মল্লার রাগে বাদলের ধারা সনে;
শিশির সিক্ত শেফালী ফুলের ঘন সৌরভে মাতি'
শারদ প্রভাতে সখীগন সাথে আনিয়াছি মালা গাঁথি'।
পল্লী নদীর জলে ভাসাইয়া মোচার খেলার তরী,
কাঁদিয়া ফিরেছি সাঁঝের আলোতে পুতুল বিদায় করি'।
আগামী দিনের আশা-ভরসার কত না মধুর ছবি
ফুঁটিয়া উঠেছে আঁখির পাতায় ডুবেছে যখন রবি।
লেবেলসমূহ:
ছন্দ কবিতা Rhyme
heart cloud
লেবেলসমূহ:
PICTURE COLLECTIONS
আন্দালুসিয়ায় ইবনে বতুতা Ibn Battuta at the Gibraltar
ইবনে বতুতার রোমাঞ্চকর অভিযান
আন্দালুসিয়ায় ইবনে বতুতা
সুলতানের সহচর্যে কিছুদিন থেকে পিতা মাতার কবর জিয়ারতের জন্য তানজা শহরে এলাম।কবর জিয়ারত শেষে আত্মীয় স্বজনের সাথে কিছুদিন কাটিয়ে সাবতাহ শহরে পৌঁছলাম।সাবতাহ শহরে এসে অসুখে পড়লাম।মাস তিনেক পর সুস্থ হয়ে ভাবলাম আমারতো এখন শক্তি সামর্থ্য আছে ।জেহাদে যা্ওয়া কর্তব্য।তখন আন্দালুসিয়ার সুলতানের সাথে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানদের প্রায়ই যুদ্ধ বিগ্রহ লেগে থাকে।ভাবলাম এইসব যুদ্ধে আমিও অংশ নিতে পারি।তাই আন্দালুসিয়া যাওয়ার নিয়ত করে সাবাতাহ থেকে একটি জাহাজে চড়ে জবলুকতারিক (জিব্রাল্টার)এসে পৌঁছলাম।আমার এই সফরটা ছিল ষষ্ঠ আলকোলস এর এর মৃত্যেুর পর।রোমের এই অধিপতি জিব্রাল্টার অবরোধ করে রেখেছিলেন।কিন্তু বিজয় লাভের আগেই কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।জিব্রাল্টার ছোট অথচ সুন্দর শহর।এখানে বিশিষ্ট ব্যক্তি খতিব আবু জাকারিয়া রুনদাই ও কাজী ইসা বারবারির সাথে দেখা হলো।কাজী তাঁর বাড়ীতে আমার থাকার ব্যবস্থা করলেন।জিব্রাল্টারে আমাদের সুলতান আনানের সহায়তায় বেশ কিছু ভবন নির্মীত হয়েছে।সেগুলো ঘুরে ফিরে দেখলাম।জিব্রাল্টরি কয়েকদিন থেকে গেলাম রোনদাহ।আন্দালুসিয়ায় মোসলমানদের সবচেয়ে শক্তিশলিী ঘাঁটি হলো এই রোনদাহ।এখানে একটি বিশাল দুর্গ আছে।শহরের অধিনায়ক আব্দুল রাব্বি সোলায়মান বিন দাউদ আসকারি।কাজী ছিলেন আমার চাচাত ভাই ফকিহ আব্দুর কাশেম মুহাম্মদ বিন বতুতা।আমি বর্তমান কাজী আবুল হাজ্জাজ ইউসুফের বাড়ীতে মেহমান হলাম।
রোনদাই শহরের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর।বাগ-বাগিচায় পূর্ণ।চারপাশে সবুজের সমারোহ।আবহাওয়াও মনোরম আরামদায়ক।এখানে পাঁচদিন কাটিয়ে গেলাম মারবালা শহরে।রোনদাই থেকে মারবালা পর্যন্ত পথটা পাহাড়ী এবং দুর্গম।এখানে এসে দেখলাম একদল সোওয়ারি মারবালার দিকে যাচ্ছে।আমিও তাদের সাথে যাওয়ার জন্য পিছু পিছু রওয়ানা হলাম।ওদের থেকে আমি অনেক আগে চল এলাম।মারবালার এলাকা পার হয়ে সোহাইল এলাকায় এসে একটি খাদে এক ঘোড়াকে পড়ে থাকতে দেখলাম।তারপর দেখলাম একটি মাছের কুড়িও মাটিতে পড়ে আছে।এতে আমার সন্দেহ হলো সামনে নিশ্চই কোন অঘটন ঘটেছে।এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ারও দেখতে পেলাম।এই টাওয়ারে সতর্ক প্রহরী থাকেন।দূর থেকে দুশমনদের কোন আলামত পেলে সতর্ক সংকেত দেন।আমি বিপদের আভাস পেয়ে পিছিয়ে এসে সাথীদের সাথে মিলিত হলাম।ওখানে সোহাইল দুর্গের অধিনায়কও প্রহরীরদের নিয়ে এসেছিলেন।জানা গেল দুমমনরা চারটি নৌকা করে ওখানে এসেছিল।ওয়াচ টাউয়ারের প্রহরী তখন সেখানে না থাকায় আগে থেকেই সতর্ক সংকেত দিতে পারেননি।মারবালা থেকে বারো জন সওয়ারি ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন।দুশমনরা অতর্কিতে তাদের হামলা করে এক জনকে হত্যা করে এবং দশ জনকে বন্দী করে নিয়ে যায় ।এক জন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।এছাড়া একজন জেলেও ওদের হাতে নিহত হয়।যে মাছের কুড়িটি পড়ে থাকতে দেখেছি সেটি ওই জেলেরই ।
সেদিন সোহাইল দুর্গেই আমরা রাত কাটালাম।পরদিন দুর্গের অধিনায়ক পাহারা দিয়ে আমাদেরকে মালাকা শহরে পৌঁছে দিলেন।আন্দালুসিয়ার এক সুন্দর শহর এই মালাকা।শহরটি সমুদ্রতীরে অবস্থিত।এখানকার ফলমূলের খ্যাতি বিশ্বজোড়া।প্রচুর আঙুর জন্মে এখানে।বাজারে প্রতি আট রতল আঙুর এক দিরহামে বিক্রী হয়।মালাকার ইয়াকুতি আনার দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ আনার।এগুলো বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রফতানী হয়,এছাড়া আনজির ও বাদামও এখানে প্রচুর জন্মে।মালাকার আরেকটি রপ্তানী পণ্য হলো বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণ পাত্র।বিদেশে এগুলো রপ্তানী হয়।মালাকার মসজিদ অত্যন্ত সুন্দর এবং কমলা বাগানে সজ্জিত।
শহরে এসে দেখলাম কাজী আবু আবদুল্লাহ বিন আবু জাফর শহরের গণ্যমান্য লোকদের নিয়ে মজলিশে চাঁদা উঠাচ্ছেন।জিজ্ঞেস করে জানতে পাররাম কাফেরদের হাত থেকে পূর্বোল্লেখিত মুসলমান বন্দীদের মুক্তিপনের টাকা উঠানো হচ্ছে।খ্রিষ্টানরা প্রায়ই সুযোগ পেয়ে অতর্কিতে হামলা করে অসহায় মুসলিম পথচারীদের ধরে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে।
মালাকার খতিব আবু আবদুল্লাহ সাহেলীর বাড়ীতে মেহমান হয়ে কিছুদিন থেকে আমরা বাল্লাকা শহরে এলাম।মালাকা থেকে এর দূরত্ব চব্বিশ মাইল।মালাকার মতো এখানেও আনজির আঙুর প্রচুর জন্মে।এখানকার মসজিদটিও সুন্দর।
বাল্লাকা থেকে এলাম আরেক শহর হাম্মাহতে্।এটিও সুন্দর তবে আকারে ছোট।শহর থেকে মাইল খানেক তফাতে একটি নদীর তীরে অদ্ভুত আকৃতির একটি মসজিদ আছে।এখানে গরম পানির প্রস্রবণ আছে।এর পাশে দুটি রেষ্ট রুম।একটি পূরুষদের জন্য আরেকটি নারীদের জন্য।গরম পানি দিয়ে এখানে ওজু গোসল করা যায়।
কর্টেসী-মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ
Crossing the river ran!
Bangladesh.
District Sunamganj hill in a river.
The name of this river.
There is beneath the mud of the river.
Sand with small stones.
This race is crossing the river in autumn!
সুনামগঞ্জের পাহাড়ী একটি নদী।
নাম তার চলতি নদী ।
নদীর তলদেশে কাদা নেই।
আছে ছোট ছোট নুরী পাথর বালুকায়ময়।
হেমন্ত কালে নদীটি এভাবেই দৌড়ে পার হওয়া যায়!
লেবেলসমূহ:
শখের ছবি-Hobby's picture
Subscribe to:
Posts (Atom)
Saturday, October 17, 2015
কালিদাস পন্ডিতের ধাঁধাঁ -বাজার থেকে এলো সাহেব কোট প্যান্ট পরে, প্যান্ট খোলার পর চোখে পানি ঝড়ে।
কালিদাস পন্ডিতের ধাঁধাঁ
১।বাজার থেকে এলো সাহেব কোট প্যান্ট পরে,প্যান্ট খোলার পর চোখে পানি ঝড়ে।
২।যৌবনে যুবতি বুড়া কালে লাল
নেংটা হয়ে বাজারে যায়, জিবে আসে জল!
৩।এক গাছে বহু ফল গা কাঁটা কাঁটা
পাকিলে ছাড়াও যদি,হাতে লাগে আঠা!
৪।উপরে চুনকাম করা ভিতরে লাল ঝোল
না বলতে পারলে তোমার মাথায় গন্ডগোল!
৫।বাকলে আনে দড়ি,পাতায় তরকারী
খড়িতে লা কড়ীর যোগান এটা খুব দরকারী
উত্তর মিলিয়ে দেখুন হয় কি না:-
১।পিঁয়াজ ২।তেঁতুল ৩।কাঁঠাল ৪।ডিম
৫।পাটগাছ
Picnic - Gulam Mustafa বনভোজন -গোলাম মোস্তফা
Picnic
Gulam Mustafa
Nuru, pusi, Ayesha, Shafi said everyone
Mango gardens on the floor as they laughed.
Surfeit amateur cook cooks have fallen,
This is the month of April at noon there is no sleep.
The advantage of getting their parents are asleep,
Today naughty girl matched waist picnic.
Everyone is sitting on a huge organized today,
Today, they are all busy invited to the feast.
Some Butt at some turmeric rice cooks,
Someone remembered that the hand was burnt to ashes.
Although without their being cooked by fire,
But the two eyes filled with smoke weep.
Some cooks plov korma, try some of the salt,
Again and again, society or killed unnecessarily.
Which is the end of cooking, distributor of the Nuru,
If everyone consumed at the start line.
The dust and the mud on the sand korma-polaw,
Everyone took for granted, interviewed excessively sweet.
Suddenly I came to the read,
Children ran all hehehe laughing.
Friday, October 16, 2015
হার্ড ডিক্সের সমস্যার সমাধানে সাত কাহন Hard disk problems
হার্ডডিক্স হলো কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ ষ্টোরেজ ডিভাইস।এই ডিভাইসে অপারেটিং সিষ্টেম সহ দরকারী ফাইল, তথ্য ,ডকুমেন্ট ইত্যাদি রক্ষিত থাকে ।যদিও অন লাইনে গুগল ড্রাইভে দরকারী ডকুমেন্ট গুলো নিরাপদে রাখা যায়।কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করেন না।এর প্রধাণ কারন অজ্ঞতা আর দ্বিতীয় প্রধাণ কারণ ইন্টারনেট প্যাকেজের মাত্রাতিরিক্ত মূল্য।
যেহেতু হার্ডডিক্সে আপনার মূল্যমান ডাটা গুলো রক্ষিত থাকে সেহেতু হার্ডাডক্স রক্ষাণাবেক্ষণ করা অতীব জরুরী ।হার্ডডিক্স রক্ষানাবেক্ষণের জন্য নিম্নের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন।
• নিয়মিত হার্ডডিক্স স্কেন করুন ।
যদি আপনার ইউ পি এস না থাকে আর চালু অবস্থায় কারেন্ট চলে যায়
তবে কম্পিউটার চালু করার প্রথমেই স্কেন ডিক্স চালিয়ে হার্ডডিক্স স্কেন করুন।
• নিয়মিত ডিক্স ডিফ্রাগ করুন।
• এজন্য উইন ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
এতে আপনার হার্ডডিক্স নষ্ট হবার সম্ভবনা থাকবে না।হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর পড়বে না।দীর্ঘকাল আপনার ডাটা গুলো সুরক্ষিত থাকবে।কম্পিউটার চলবে দ্রুত গতিতে।
হার্ডডিক্স এ কপি , ডিলিট করা যায় ক্ষেত্র বিশেষে পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার বার।এছাড়া ভাইরাস জনিত কারণে সি ড্রাইভ ফর্মেট করে পূনরায় উইন্ডোজ ইনষ্টল করার প্রয়োজন হয়।এই কপি ডিলিট বা ফর্মেট বেশী বেশী করার কারণে হার্ডডিক্সের রান টাইম স্লো হয়ে যতে পারে।ফলে সার্বিকভাবে কম্পিউটারের বুট টাইম দীর্ঘতর হয় বা কম্পিইটার স্লো হয়ে যায়।এর থেকে পরিত্রানের সহজ উপায় হলো এই যে, –
• সফটয়্যার গুলো ডিফল্ট হিসাবে সি ড্রাইভে ইনষ্টল না করে অন্য ড্রাইভ যেমন ডি ড্রাইভে ইনষ্টল করা।এজন্য সফটওয়্যার ইনষ্টলের সময় ডি ড্রাইভে সে সফওয়্যারের নামে একটি ফোল্ডার ক্রিয়েট করে,কাষ্টম ইষ্টল হিসেবে ক্রিয়েট করা ফোল্ডারটি সিলেক্ট করে নিয়ে ডি ড্রাইভে যে কোন সফটওয়্যার ইনষ্টল করা যাবে।
• উইন্ডোজ রিফ্রেস করা।
উইন্ডোজে ভাইরাস আক্রান্ত হলে,কোন সফটওয়্যার ঠিক মতো রান না করলে,সর্বোপরি অপারেটিং সিষ্টেম স্লো হয়ে গেলে।সি ড্রাইভ ফরমেট করে উইন্ডোজ ইষ্টল করা হয়।কিন্তু হার্ডডিক্সের সি ড্রাইভ ফর্মেট না করে উইন্ডোজ রিফ্রেস করে হার্ডডিক্স ফর্মেট এড়ানো যায়।হার্ডডিক্স ফর্মেট না করে উইন্ডোজ রিফ্রেস করা একটি উত্তম পন্থা ।এতে হার্ডডিক্স অযথা ফর্মেট করতে হয় না বলে,হার্ড ডিক্সের উপর চাপ কম পড়ে ।ফলে হার্ডডিক্স দীর্ঘস্থায়ী হয়।কম্পিউটার স্লো হয় না।উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পূর্বে ইনষ্টল করা প্রোগ্রাম গুলো কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে আনইষ্টল করে নিতে হবে।কারণ উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পর কিছু প্রোগ্রাম কাজ করবে না।কিন্তু সি ড্রাইভে প্রোগ্রামগুলোর লিংক রয়ে যাবে ।এজন্য আনইষ্টল করা প্রয়োজন।উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পর পূনরায় প্রয়োজন মতো ইনষ্টল করে নেয়া যাবে।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে উইন্ডোজ রিফ্রেসে অন্যান্য পার্টিশনের ডাটার কোন লস বা পরিবর্তন হবে না বা ডাটা গুলো আগের মতো সুরক্ষিত থাকবে।
উইন্ডোজ ৮ রিফ্রেস করার পদ্ধতি-
• কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে সফটওয়্যার গুলো আনইনষ্টল করুন।
• সিডি/ডিভিডি ড্রাইভে পূর্বের ইনষ্টলকৃত অপারেটিং সিস্টেমের ডিভিডি রমটি প্রবেশ করান।
• কম্পিউটার রিষ্টার্ট করুন।
• কী বোর্ডের স্পেস বার চেপে ডিভিডি রম হতে অপারেটিং সিষ্টেম বুট করুন।
• Windows Setup উইন্ডোর Next এ ক্লিক করুন ।
• Repair your Computer এ ক্লিক করুন।
• Trouble Shoot এ ক্লিক করুন ।
• Refresh your Pc তে ক্লিক করুন।
কিছু সময় নিয়ে১% হতে ১০০% উইন্ডোজ রিফ্রেস হবে।এবার দেখুন কম্পিউটার অনেক ফাষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সতর্কতা- যদি আপনার ডটিা গুলোর ব্যাকাপ না থাকে তবে Reset your Pc তে ক্লিক করবেন না।কম্পিইটারের ডাটা মুছে যাবে বা লস হয়ে যেতে পারে।
একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
যদি কম্পিউটারে বা হার্ডডিক্সে অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল করতে ব্যর্থ হন, তবে বার বার চেষ্টা করবেন না।কারণ এর ফলে আপনার হার্ডডিক্স এর MBR সমস্যা হতে পারে। এমবিআর মানে মাস্টার বুট রেকর্ড। হার্ডডিস্কের কোন পার্টিশনের কোথায় বুট সেক্টর আছে সেটা দেখানোর জন্যে হার্ডডিস্কের একেবারে প্রথম ট্র্যাকের প্রথম সেক্টরে (প্রায় ৫১২ বাইট) কিছু তথ্য থাকে। এটাই এমবিআর। MBR সমস্যা সমাধান না করতে পারলে হার্ডডিক্স ইনেক্টিভ হয়ে যেতে পারে চীরতরে। MBR এর সমাধানের পদ্ধতি নিচে দেয়া হয়েছে।
হার্ডডিক্সের রান টাইম স্লো বা রেসপন্স ক্ষীণ হলে অপারেটিং সিষ্টেম ইস্টল হতে বাঁধা গ্রস্থ হয় ।এরূপ হার্ডডিক্সটিকে শতভাগ কর্যক্ষম করা প্রয়োজন হতে পারে।এজন্য প্রয়োজন HDD Generator সফটয়্যারটি ।
HDD Generator সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিক্স কার্যক্ষম করার পদ্ধতি-
• একটি সচল কমিাপউটারে HDD Generator ডাউনলোড করুন।
• সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করুন।
• কম্পিউটারটি শাটডাউন করে অচল হার্ডডিক্সটি সংযুক্ত করে চালু করুন।
• HDD Generator সফটওয়্যার দিয়ে অচল হার্ডডিক্সটি স্কেন করুন।
• কোন ডাটা লস না হয়েই ,হার্ডডিক্সটি সচল হবে ।এখন হার্ডডিক্সটি আগের মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
উইন্ডোজ অচল হয়ে গিয়েছে ।বার বার উইন্ডোজ ইনষ্টল করার চেষ্টা করেছেন।উইন্ডোজ ইনষ্টলের সময় হঠাত করে কারেন্ট চলে গিয়েছে।পরবর্তীতে উইন্ডোজ ইনষ্টল করা যাচ্ছে না।নিরুপায় হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন সকল ডাটা লস করে হলেও হার্ডডিক্সটিকে সচল করার জন্য নতুন করে পার্টিশন করবেন ।কিন্তু পার্টিশন করা যাচ্ছে না।পার্টিশন ম্যাজিক বা এফ ডিক্স কমান্ড প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।কোন পার্টিশনের সফটওয়্যার কাজ করছে না।তবে জানবেন হার্ডডিক্সটির MBR সমস্যা হয়েছে। MBR সমস্যার সমাধান না হলে হার্ডডিক্সে কোন কাজ করতে পারবেন না।হার্ডডিক্সটেকে কার্যক্ষম কনতে হলে MBR সমস্যা সমাধান করতে হবে।এক্ষেত্রে হার্ডডিক্সটি বায়োস কর্তৃক ডিটেক্ট হয় কি না তা জানা প্রয়োজন।জানার জন্য কম্পিউটার ষ্টার্ট করে অপারেটিং সিষ্টেম লোডের প্রক্রিয়ার আগে কী বোর্ডের F2 অথবা DEL কী চেপে BIOS এ প্রবেশ করুন । BIOS কানেকশনে যদি আপনার হার্ডডিক্সটি প্রদর্শিত হয়।তবে হার্ডডিক্সটি ব্যবহার উপযোগী করতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনার একমাত্র উদ্ধারকারী হতে পারে Windows 2000 এর বুটেবল সিডি । হার্ড ডিক্সটি সচল কার্যক্ষম করার জন্য নিম্নের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন ।
• Windows 2000 এর বুটেবল সিডিটি ডিভিডি রমে প্রবেশ করান ।
• উইনন্ডোজ ২০০০ এর সিডি থেকে কম্পিউটার বুট করুন।
• F3 চেপে পার্টিশন ডিলিট করে বের হয়ে আসুন।
• এখন Windows98 এর সিডি দিয়ে কস্পিউটার বুট করে Fdisk কমান্ড দিয়ে পার্টিশন করুন।
• হাই লেবেল ফর্মেট করুন।এটা উইন্ডোজ ইনষ্টলের পরেও করা যায়।
• তবে C:\ ড্রাইভ এক্টিভ করতে ভুলে যাবেন না।
• বেরিয়ে এসে আপনার পছন্দ মতো যে কোন উইন্ডোজ ভার্সন ইনষ্টল করুন।
Windows 2000 ও Windows98 বুটেবল সিডি ফেলনা নয় বরং প্রয়েজনীয়।যেমনটি লোকে বলে,‘ পুরানো চাল ভাতে বাড়ে!’
আর যদি আপনার হার্ডডিক্সটি বেশ পুরাতন হয় ।কোন কমান্ড নিতে বিলম্ব করে বা কমান্ড প্রয়োগ করা যায় না।তবে আপনার হার্ডডিক্সটি লো লেবেল ফর্মেট করা প্রয়োজন হতে পারে।
লো লেবেল ফর্মেটের জন্য নিচের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন।
• কোন সচল কম্পিউটারে লো লেবেল ফরমেট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ।
• সফওয়্যারটি ইনষ্টল করুন।
• কম্পিউটারটি শাট ডাউন করে হার্ডডিক্সটি সংযুক্ত করুন।
• লো লেবেল সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিক্সটি লো লেবেল ফর্মেট করুন।
• পর্টিশন ম্যাজিক বা উইন্ডোজের বুটেবল সিডি দিয়ে প্রয়োজন মতো পর্টিশন করুন ও হাইলেবেল ফর্মেট করে নিন।
• এখন হার্ডডিক্সটি অপারেটিং সিষ্টেমের জন্য ১০০% প্রস্তুত।
• যদি ডাউনলোডকৃত সফওয়্যারগুলো জিপ করা থাকে। তবে আনজিপ করুন 7-Zip সফটওয়্যার দিয়ে ।
আর যদি আপনার হার্ডডিক্সটি বায়োস Basic Input/Output System সেটিংয়ে প্রদর্শিত না হয় ! তবে জানবেন হার্ডডিক্সটি পাল্টানোর সময় হয়ে গেছে।
যেহেতু হার্ডডিক্সে আপনার মূল্যমান ডাটা গুলো রক্ষিত থাকে সেহেতু হার্ডাডক্স রক্ষাণাবেক্ষণ করা অতীব জরুরী ।হার্ডডিক্স রক্ষানাবেক্ষণের জন্য নিম্নের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন।
• নিয়মিত হার্ডডিক্স স্কেন করুন ।
যদি আপনার ইউ পি এস না থাকে আর চালু অবস্থায় কারেন্ট চলে যায়
তবে কম্পিউটার চালু করার প্রথমেই স্কেন ডিক্স চালিয়ে হার্ডডিক্স স্কেন করুন।
• নিয়মিত ডিক্স ডিফ্রাগ করুন।
• এজন্য উইন ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
এতে আপনার হার্ডডিক্স নষ্ট হবার সম্ভবনা থাকবে না।হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর পড়বে না।দীর্ঘকাল আপনার ডাটা গুলো সুরক্ষিত থাকবে।কম্পিউটার চলবে দ্রুত গতিতে।
হার্ডডিক্স এ কপি , ডিলিট করা যায় ক্ষেত্র বিশেষে পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার বার।এছাড়া ভাইরাস জনিত কারণে সি ড্রাইভ ফর্মেট করে পূনরায় উইন্ডোজ ইনষ্টল করার প্রয়োজন হয়।এই কপি ডিলিট বা ফর্মেট বেশী বেশী করার কারণে হার্ডডিক্সের রান টাইম স্লো হয়ে যতে পারে।ফলে সার্বিকভাবে কম্পিউটারের বুট টাইম দীর্ঘতর হয় বা কম্পিইটার স্লো হয়ে যায়।এর থেকে পরিত্রানের সহজ উপায় হলো এই যে, –
• সফটয়্যার গুলো ডিফল্ট হিসাবে সি ড্রাইভে ইনষ্টল না করে অন্য ড্রাইভ যেমন ডি ড্রাইভে ইনষ্টল করা।এজন্য সফটওয়্যার ইনষ্টলের সময় ডি ড্রাইভে সে সফওয়্যারের নামে একটি ফোল্ডার ক্রিয়েট করে,কাষ্টম ইষ্টল হিসেবে ক্রিয়েট করা ফোল্ডারটি সিলেক্ট করে নিয়ে ডি ড্রাইভে যে কোন সফটওয়্যার ইনষ্টল করা যাবে।
• উইন্ডোজ রিফ্রেস করা।
উইন্ডোজে ভাইরাস আক্রান্ত হলে,কোন সফটওয়্যার ঠিক মতো রান না করলে,সর্বোপরি অপারেটিং সিষ্টেম স্লো হয়ে গেলে।সি ড্রাইভ ফরমেট করে উইন্ডোজ ইষ্টল করা হয়।কিন্তু হার্ডডিক্সের সি ড্রাইভ ফর্মেট না করে উইন্ডোজ রিফ্রেস করে হার্ডডিক্স ফর্মেট এড়ানো যায়।হার্ডডিক্স ফর্মেট না করে উইন্ডোজ রিফ্রেস করা একটি উত্তম পন্থা ।এতে হার্ডডিক্স অযথা ফর্মেট করতে হয় না বলে,হার্ড ডিক্সের উপর চাপ কম পড়ে ।ফলে হার্ডডিক্স দীর্ঘস্থায়ী হয়।কম্পিউটার স্লো হয় না।উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পূর্বে ইনষ্টল করা প্রোগ্রাম গুলো কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে আনইষ্টল করে নিতে হবে।কারণ উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পর কিছু প্রোগ্রাম কাজ করবে না।কিন্তু সি ড্রাইভে প্রোগ্রামগুলোর লিংক রয়ে যাবে ।এজন্য আনইষ্টল করা প্রয়োজন।উইন্ডোজ রিফ্রেস করার পর পূনরায় প্রয়োজন মতো ইনষ্টল করে নেয়া যাবে।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে উইন্ডোজ রিফ্রেসে অন্যান্য পার্টিশনের ডাটার কোন লস বা পরিবর্তন হবে না বা ডাটা গুলো আগের মতো সুরক্ষিত থাকবে।
উইন্ডোজ ৮ রিফ্রেস করার পদ্ধতি-
• কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে সফটওয়্যার গুলো আনইনষ্টল করুন।
• সিডি/ডিভিডি ড্রাইভে পূর্বের ইনষ্টলকৃত অপারেটিং সিস্টেমের ডিভিডি রমটি প্রবেশ করান।
• কম্পিউটার রিষ্টার্ট করুন।
• কী বোর্ডের স্পেস বার চেপে ডিভিডি রম হতে অপারেটিং সিষ্টেম বুট করুন।
• Windows Setup উইন্ডোর Next এ ক্লিক করুন ।
• Repair your Computer এ ক্লিক করুন।
• Trouble Shoot এ ক্লিক করুন ।
• Refresh your Pc তে ক্লিক করুন।
কিছু সময় নিয়ে১% হতে ১০০% উইন্ডোজ রিফ্রেস হবে।এবার দেখুন কম্পিউটার অনেক ফাষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সতর্কতা- যদি আপনার ডটিা গুলোর ব্যাকাপ না থাকে তবে Reset your Pc তে ক্লিক করবেন না।কম্পিইটারের ডাটা মুছে যাবে বা লস হয়ে যেতে পারে।
একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
যদি কম্পিউটারে বা হার্ডডিক্সে অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল করতে ব্যর্থ হন, তবে বার বার চেষ্টা করবেন না।কারণ এর ফলে আপনার হার্ডডিক্স এর MBR সমস্যা হতে পারে। এমবিআর মানে মাস্টার বুট রেকর্ড। হার্ডডিস্কের কোন পার্টিশনের কোথায় বুট সেক্টর আছে সেটা দেখানোর জন্যে হার্ডডিস্কের একেবারে প্রথম ট্র্যাকের প্রথম সেক্টরে (প্রায় ৫১২ বাইট) কিছু তথ্য থাকে। এটাই এমবিআর। MBR সমস্যা সমাধান না করতে পারলে হার্ডডিক্স ইনেক্টিভ হয়ে যেতে পারে চীরতরে। MBR এর সমাধানের পদ্ধতি নিচে দেয়া হয়েছে।
হার্ডডিক্সের রান টাইম স্লো বা রেসপন্স ক্ষীণ হলে অপারেটিং সিষ্টেম ইস্টল হতে বাঁধা গ্রস্থ হয় ।এরূপ হার্ডডিক্সটিকে শতভাগ কর্যক্ষম করা প্রয়োজন হতে পারে।এজন্য প্রয়োজন HDD Generator সফটয়্যারটি ।
HDD Generator সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিক্স কার্যক্ষম করার পদ্ধতি-
• একটি সচল কমিাপউটারে HDD Generator ডাউনলোড করুন।
• সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করুন।
• কম্পিউটারটি শাটডাউন করে অচল হার্ডডিক্সটি সংযুক্ত করে চালু করুন।
• HDD Generator সফটওয়্যার দিয়ে অচল হার্ডডিক্সটি স্কেন করুন।
• কোন ডাটা লস না হয়েই ,হার্ডডিক্সটি সচল হবে ।এখন হার্ডডিক্সটি আগের মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
উইন্ডোজ অচল হয়ে গিয়েছে ।বার বার উইন্ডোজ ইনষ্টল করার চেষ্টা করেছেন।উইন্ডোজ ইনষ্টলের সময় হঠাত করে কারেন্ট চলে গিয়েছে।পরবর্তীতে উইন্ডোজ ইনষ্টল করা যাচ্ছে না।নিরুপায় হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন সকল ডাটা লস করে হলেও হার্ডডিক্সটিকে সচল করার জন্য নতুন করে পার্টিশন করবেন ।কিন্তু পার্টিশন করা যাচ্ছে না।পার্টিশন ম্যাজিক বা এফ ডিক্স কমান্ড প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।কোন পার্টিশনের সফটওয়্যার কাজ করছে না।তবে জানবেন হার্ডডিক্সটির MBR সমস্যা হয়েছে। MBR সমস্যার সমাধান না হলে হার্ডডিক্সে কোন কাজ করতে পারবেন না।হার্ডডিক্সটেকে কার্যক্ষম কনতে হলে MBR সমস্যা সমাধান করতে হবে।এক্ষেত্রে হার্ডডিক্সটি বায়োস কর্তৃক ডিটেক্ট হয় কি না তা জানা প্রয়োজন।জানার জন্য কম্পিউটার ষ্টার্ট করে অপারেটিং সিষ্টেম লোডের প্রক্রিয়ার আগে কী বোর্ডের F2 অথবা DEL কী চেপে BIOS এ প্রবেশ করুন । BIOS কানেকশনে যদি আপনার হার্ডডিক্সটি প্রদর্শিত হয়।তবে হার্ডডিক্সটি ব্যবহার উপযোগী করতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনার একমাত্র উদ্ধারকারী হতে পারে Windows 2000 এর বুটেবল সিডি । হার্ড ডিক্সটি সচল কার্যক্ষম করার জন্য নিম্নের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন ।
• Windows 2000 এর বুটেবল সিডিটি ডিভিডি রমে প্রবেশ করান ।
• উইনন্ডোজ ২০০০ এর সিডি থেকে কম্পিউটার বুট করুন।
• F3 চেপে পার্টিশন ডিলিট করে বের হয়ে আসুন।
• এখন Windows98 এর সিডি দিয়ে কস্পিউটার বুট করে Fdisk কমান্ড দিয়ে পার্টিশন করুন।
• হাই লেবেল ফর্মেট করুন।এটা উইন্ডোজ ইনষ্টলের পরেও করা যায়।
• তবে C:\ ড্রাইভ এক্টিভ করতে ভুলে যাবেন না।
• বেরিয়ে এসে আপনার পছন্দ মতো যে কোন উইন্ডোজ ভার্সন ইনষ্টল করুন।
Windows 2000 ও Windows98 বুটেবল সিডি ফেলনা নয় বরং প্রয়েজনীয়।যেমনটি লোকে বলে,‘ পুরানো চাল ভাতে বাড়ে!’
আর যদি আপনার হার্ডডিক্সটি বেশ পুরাতন হয় ।কোন কমান্ড নিতে বিলম্ব করে বা কমান্ড প্রয়োগ করা যায় না।তবে আপনার হার্ডডিক্সটি লো লেবেল ফর্মেট করা প্রয়োজন হতে পারে।
লো লেবেল ফর্মেটের জন্য নিচের পদ্ধতি অনুস্মরণ করুন।
• কোন সচল কম্পিউটারে লো লেবেল ফরমেট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ।
• সফওয়্যারটি ইনষ্টল করুন।
• কম্পিউটারটি শাট ডাউন করে হার্ডডিক্সটি সংযুক্ত করুন।
• লো লেবেল সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডডিক্সটি লো লেবেল ফর্মেট করুন।
• পর্টিশন ম্যাজিক বা উইন্ডোজের বুটেবল সিডি দিয়ে প্রয়োজন মতো পর্টিশন করুন ও হাইলেবেল ফর্মেট করে নিন।
• এখন হার্ডডিক্সটি অপারেটিং সিষ্টেমের জন্য ১০০% প্রস্তুত।
• যদি ডাউনলোডকৃত সফওয়্যারগুলো জিপ করা থাকে। তবে আনজিপ করুন 7-Zip সফটওয়্যার দিয়ে ।
আর যদি আপনার হার্ডডিক্সটি বায়োস Basic Input/Output System সেটিংয়ে প্রদর্শিত না হয় ! তবে জানবেন হার্ডডিক্সটি পাল্টানোর সময় হয়ে গেছে।
Thursday, October 15, 2015
বউ চুরি করার উৎসব - Wife stealing Christmas
বউ চুরি করার উৎসব বা প্রতিযোগিতা
বউ চুরি করারও যে উৎসব বা প্রতিযোগিতা হতে পারে, তা বোধ করি অনেকেই জানেন না। পৃথিবীর বহু প্রাচীন আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম ওদাবে, তারা বউ চুরি করার উৎসব বা প্রতিযোগিতার
আয়োজন করে। ওই আদিবাসী গোষ্ঠী বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় এ উৎসবটির আয়োজন করে। তবে যদি ভেবে থাকেন এই উৎসবটির উদ্দেশ্য নারীর পক্ষে নয়।বরং আদিবাসী গোত্রের পুরুষদের বহুগামিতাকে উতসাহ বা ঠেলে দেয়ার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই আদিবাসী ওদাবে গোষ্টি মুসলিম হলেও তাদের আদি রীতি এখনো পালন করে।
ক্যামেরুন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাঁদ এবং নাইজেরিয়াতে মূলত এই মুসলিম আদিবাসী গোষ্ঠীটির বসবাস। ওদাবে গোষ্ঠীর জন্য বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এই দুই মাসে তপ্ত মরুর বুকে নেমে আসে বর্ষার ধারা, আর এই বর্ষাকে যৌনতা দিয়ে উপভোগ করার জন্যই ‘বউ চুরি’ উৎসব শুরু হয়। এ সময় মূলত পুরো গোত্রের সব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ‘গেরেউল’ (ওদাবে গোত্রের সঙ্গমের দেবতা) পালনের জন্য সমবেত হন।
গোত্রের পরিবারগুলো সারা বছর মরুভূমির বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করলেও বছরের এ সময়টাতে তারা একত্রিত হন। যুগ যুগ ধরেই তাদের মধ্যে এই ঐতিহ্য বহমান রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে কখন, কোথায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তা খুব গোপনে সংরক্ষণ করা হয়। গোত্রের প্রধানরাই কেবল এ উৎসবের দিন-তারিখ জানেন এবং তারা তাদের অধীনস্থদের নিয়ে সেই দিনক্ষণ অনুযায়ীই রওনা দেন এবং নিদৃষ্ট গোপন স্থানে উতসব পালন করেন। মরুভূমির বুকে গোটা রাত ধরে চলে নৃত্য-গীত এবং বাদ্য বাজনা।
পুরুষদের এ নৃত্য-গীত আবার তিন জন নারী বিচারকের সামনে পালন করা হয়। এটা অবশ্য করা হয় সমাজে পুরুষদের শক্তিমত্তা ও পারদর্শিতা বিচার করার জন্য। ওদাবে গোত্রের পুরুষরা এ উৎসবে যোগদানের আগে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা সময় নেন নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য। বিচিত্র রংয়ে নিজেদের সাজিয়ে এবং একজন নারীর মন পাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার তার সবকিছু করেন তারা। একেবারে শেষের দিকে তারা নিজেদের মাথায় পাখির পালক গুঁজে নারীদের সামনে দাঁড়ান। দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষদের মধ্য থেকে নারীরা তাদের পছন্দের পুরুষটিকে বেছে নেন উৎসবের জন্য। এ উৎসবের দিনে গোত্রের অবিবাহিত নারীরাও কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে। এ নিয়ে সমাজের মধ্যে নেই কোনো বিধি-নিষেধ।
শুধু তাই নয়, এ উৎসব থেকে যদি কোনো স্ত্রী আরো একটি পুরুষকেও বিয়ে করতে চান, তাকে সে স্বাধীনতাও দেয়া হয়। কিন্তু বউ চুরি করার উৎসবে পুরুষদের বেলায় তা হওয়ার নয়। বিয়ে করার স্বাধীনতা এ গোত্রে কেবল নারীদেরই দেয়া হয়।
বউ চুরি করারও যে উৎসব বা প্রতিযোগিতা হতে পারে, তা বোধ করি অনেকেই জানেন না। পৃথিবীর বহু প্রাচীন আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম ওদাবে, তারা বউ চুরি করার উৎসব বা প্রতিযোগিতার
আয়োজন করে। ওই আদিবাসী গোষ্ঠী বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় এ উৎসবটির আয়োজন করে। তবে যদি ভেবে থাকেন এই উৎসবটির উদ্দেশ্য নারীর পক্ষে নয়।বরং আদিবাসী গোত্রের পুরুষদের বহুগামিতাকে উতসাহ বা ঠেলে দেয়ার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই আদিবাসী ওদাবে গোষ্টি মুসলিম হলেও তাদের আদি রীতি এখনো পালন করে।
ক্যামেরুন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাঁদ এবং নাইজেরিয়াতে মূলত এই মুসলিম আদিবাসী গোষ্ঠীটির বসবাস। ওদাবে গোষ্ঠীর জন্য বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এই দুই মাসে তপ্ত মরুর বুকে নেমে আসে বর্ষার ধারা, আর এই বর্ষাকে যৌনতা দিয়ে উপভোগ করার জন্যই ‘বউ চুরি’ উৎসব শুরু হয়। এ সময় মূলত পুরো গোত্রের সব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ‘গেরেউল’ (ওদাবে গোত্রের সঙ্গমের দেবতা) পালনের জন্য সমবেত হন।
গোত্রের পরিবারগুলো সারা বছর মরুভূমির বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করলেও বছরের এ সময়টাতে তারা একত্রিত হন। যুগ যুগ ধরেই তাদের মধ্যে এই ঐতিহ্য বহমান রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে কখন, কোথায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তা খুব গোপনে সংরক্ষণ করা হয়। গোত্রের প্রধানরাই কেবল এ উৎসবের দিন-তারিখ জানেন এবং তারা তাদের অধীনস্থদের নিয়ে সেই দিনক্ষণ অনুযায়ীই রওনা দেন এবং নিদৃষ্ট গোপন স্থানে উতসব পালন করেন। মরুভূমির বুকে গোটা রাত ধরে চলে নৃত্য-গীত এবং বাদ্য বাজনা।
পুরুষদের এ নৃত্য-গীত আবার তিন জন নারী বিচারকের সামনে পালন করা হয়। এটা অবশ্য করা হয় সমাজে পুরুষদের শক্তিমত্তা ও পারদর্শিতা বিচার করার জন্য। ওদাবে গোত্রের পুরুষরা এ উৎসবে যোগদানের আগে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা সময় নেন নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য। বিচিত্র রংয়ে নিজেদের সাজিয়ে এবং একজন নারীর মন পাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার তার সবকিছু করেন তারা। একেবারে শেষের দিকে তারা নিজেদের মাথায় পাখির পালক গুঁজে নারীদের সামনে দাঁড়ান। দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষদের মধ্য থেকে নারীরা তাদের পছন্দের পুরুষটিকে বেছে নেন উৎসবের জন্য। এ উৎসবের দিনে গোত্রের অবিবাহিত নারীরাও কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে। এ নিয়ে সমাজের মধ্যে নেই কোনো বিধি-নিষেধ।
শুধু তাই নয়, এ উৎসব থেকে যদি কোনো স্ত্রী আরো একটি পুরুষকেও বিয়ে করতে চান, তাকে সে স্বাধীনতাও দেয়া হয়। কিন্তু বউ চুরি করার উৎসবে পুরুষদের বেলায় তা হওয়ার নয়। বিয়ে করার স্বাধীনতা এ গোত্রে কেবল নারীদেরই দেয়া হয়।
একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ
একটি পিঁপড়ে নেতার আত্ম ত্যাগ
(বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী)
খাজা আলী অামজাদ মাহবুব
আজকে যে কম্পিউটারটা সারাতে নিয়ে এলেন সেটার সি পি ইউ স্লটটা ছিল এলোমেলো।জিজ্ঞেস করে জানা গেল সি পি ইউ স্লট পরিস্কার করতে গিয়ে এমন হয়েছে ।যার জন্য কম্পিউটার চলছে না ।রিষ্টার্ট হয়ে যাচ্ছে বার বার।অবাক কান্ড সি পি ইউ স্লট কেউ ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে !অদ্ভূত ব্যাপার!এখন এই অতি সুক্ষ সি পি ইউ স্লট কিভাবে ঠিক করা যায় তা নিয়ে ভাবনায় পড়লেন স্যামসেদ।
অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন বেশ কিছু পিন এলোমেলো হয়ে গেছে আর কিছু পিনের প্রান্ত উপড়ে উপরে চলে এসেছে ।যা ম্যানুয়ালী রিপ্লেজ করা সম্ভবপর নয়।
কি করা যায় ভাবতে গিয়ে মনে পড়লো।
ন্যানো টেকলজির পিঁপড়ে দিয়ে সম্ভব কিনা চিন্তা করে দেখলেন তিনি।
দেখা যাক চেষ্টা করে।ভাবলেন স্যামসেদ।
পিঁপড়ে গুলো তার বন্ধু রাব্বী উপহার হিসাবে দিয়েছিল গত সপ্তাহে।সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজে নেমে পড়লেন স্যামসেদ।দশটি পিঁপড়া।অবিকল সত্যিকার পিঁপড়ের মতো।এগুলো পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ করা হয় একটি বিশেষ বেগুনী রংয়ের লেজার রশ্মির রিমোট টর্চ দিয়ে।পিঁপড়া গুলো বের করলেন বিশেষ বোতল থেকে।চকটকে স্টিল আর সোলার উপাদান দিয়ে তৈরী পিঁপড়া গুলোর রং কালো।সচল হলো বিভিন্ন রংয়ের আলো বের হয় এদের শরীর থেকে।একেক রংয়ের একেক অর্থ।ঝক ঝকে সাদা টাইলস মেঝেতে রাখলেন পিঁপড়ে গুলো ।লেজার টর্চের একটি নাচের প্রোগ্রাম সেট করে সবুজ বোতাম টিপে পিঁপড়ে গুলোর উপড় বেগুনী লেজার রশ্মি ফেললেন।যেনো হঠাত করে ঘুমন্ত পিঁপড়ে গুলো জেগে উঠলো ,নানার রং পল্টিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নাচতে নাচতে হেলে দূলে ছন্দময় ভাবে চলতে লাগলো।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে পিঁপড়ের নাচ দেখতে থাকলেন স্যামসেদ ।যেনো তিনি একটি পিঁপড়ে হয়ে পিঁপড়াদের সাথেই নাচছেন।নাচের সাথে অজানা কোন মোহময় সূরও শুনা যাচ্ছে পিঁপড়া দলটি থেকে।বড় শ্রুতিমধুর সে সূর।মনোরম দৃশ্য ।আবেশে শ্রান্তিময় ঘুম পেয়ে যায়।নাচটা বড় ফানি ও বেশ মজার ।তার মধ্যে একটি পিঁপড়া যেনো নাচে দক্ষ ,মনে হলো অন্যগুলো সেটাকেই অনুস্মরণ করছে।লিডার পিঁপড়া,মনে মনে নাম দিলেন স্যামসেদ।হঠাত মনে হলো যেনো আসল পিঁপড়ে দল বেঁধে নাচছে পিঁপড়ের দলে তিনিও একজন।বড়ই অদ্ভুদ অনুভূতি!কিছু সময় পর কালো পিঁপড়ে গুলো সবুজ হয়ে গেলো অর্থাত তাদের প্রতি নির্দেশিত প্রোগ্রামটি সফল ভাবে শেষ করেছে পিঁপড়ের দল ।অটোমেটিক বোতলে চলে আসলো পিঁপড়ে গুলো ।সেকানেই পড়ে রইলো যেনো মৃত কতোগুলো পিঁপড়ে সুন্দর এত বোতলে পড়ে রয়েছে।
টর্চটি খুললেন স্যামসাদ।ভিতরের মেমোরি কার্ডটা বের করলেন।মেমোরি রিডারে ডুকিয়ে কম্পিউটারে অপেন করলেন।দেখতে পেলেন সেখানে নতুন কোন ভিডিও প্রোগ্রাম ইনষ্টল করার স্পেস নেই ।দুটি প্রগ্রাম কাট পেষ্ট করে কম্পিউটারে রাখলেন।পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভিডিও প্রোগ্রামের ফর্মেট বের করলেন।এইচ টি এম এল এবং ফ্লাশ এর সংমিশ্রণে তৈরী নতুন আবিষ্কৃত ভিডিও ফর্মেট।এই ফর্মেটের ভিডিও ফর্মেটের বিশেষত্ব হলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ প্রয়োগ করা যায়।হাই রেজোলেশনের ক্যামেরা দিয়ে সি পি ইউ স্লটের উপড় উজ্বল ফলাস লাইট ফেলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দুটি ভিডিও করলেন।প্রথমটি হলো একটি ভাল মাদার বোর্ডের সি পি ইউ এর ভিডিও আর দ্বিতীয়টি এই এলো মেলো হয়ে যাওয়া নষ্ট সি পি ইউ এর ভিডিও ।ভিডিও দুটি টর্চের প্রোগ্রাম ফর্মেটের অনুসারে রূপান্তরিত করলেন স্যামসেদ।
দুটি ভিডিওর সংযোগ স্থলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকোড লেখলেন- “যদি প্রথম ভিডিও সঠিক হয়;তবে দ্বিতীয় ভিডিও সঠিক নয়।অর্থাত প্রথসটি ভাল দ্বিতীয়টি নষ্ট।অতএব,দ্বিতীয়টি মেরামত করে প্রথমটির মতো ভাল করতে হবে।” এবার ভিডিও প্রোগ্রামটি মেমোরি কার্ডে কপি পেষ্ট করলেন।মেমেরী কার্ডটি কার্ড রিডার হতে বের করে এনে টর্চে সেট করলেন।
পিঁপড়ে গুলোকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সি পি ইউ স্লটে রাখলেন।টর্চে নতুন ইনষ্টলকৃত প্রোগ্রামটি সেট করে পিঁপড়ে গুলোর উপর বেগুনী রেজার রশ্মি ফেললেন।বিশেষ থ্রিডি চশমা দিয়ে দেখতে পেলেন পিঁপড়ে গুলো সি পি ইউ স্লট মেরামতের কাজে লেগে পড়েছে।সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।পিঁপড়েদের সাধারণত নয় গুন বেশী শক্তি থাকে ,এই রোবোট পিঁপড়ে গুলোর যেনো আঠারো গুনের চেয়ে বেশী শক্তি!কিছুক্ষন পর দশটি পিঁপড়ে বোতলে ফিরে আসলো্।এদের মধ্যে সাতটি পিঁপড়ে সবুজ,অর্থাত এদের কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।দুটি পিঁপড়ে হলুদ,এদের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে।আর একটি পিঁপড়ে লাল,অর্থাত পিঁপড়েটি কাজটি সফল ভাবে করতে পারেনি।স্যামসাদ পূনরায় আগের মতো নির্দেশ দিলেন ।এবার নয়টি পিঁপড়ে সবুজ একটি পিঁপড়ে লাল ।মাদার বের্ডের সমস্যাটা কোথায় ?তিনি মাদার বোর্ডটিকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে দেখতে পেলেন সবকিছু ঠিক আছে,শুধু একটি পিনের একটি পায়ের অংশ এ্ক বা দুই মাইক্রো মিলিমিটার ফাঁকা যা মাদার বোর্ডে সংযুক্ত হয়নি।হয়তো পিনের সে অংশটা ভেংগে আলাদা হয়ে গেছে।তাই পিঁপড়েটা মেরামত করতে সক্ষম হচ্ছে না।সেটা এতো সুক্ষ কাজ যে ম্যানুয়ালী করা অসম্ভব।
রোবোট পিঁপড়েদের আবার নির্দেশ দেয় হলো ।এবার একটি অদ্ভুদ ঘটনার সম্মুখিন হয়ে স্যামসাদ হতবাক হয়ে গেলেন।দেখলেন দুইবার ব্যর্থ লাল সিগনালের পিঁপড়াটা তার শরীরের একটি পায়ের ধাতব অংশ গলিয়ে পিনের ফাঁকা স্থানটি ভরাট করে দিয়ে পিনটিকে মেইন বোর্ডের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছে।এর ফলে মেইনবোর্ডটি মেরামত হয়ে গেলেও পিঁপড়েটি পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। অন্য পিঁপড়ে গুলো ধরাধরি করে পঙ্গু পিঁপড়েটিকে নিয়ে এসেছে।এবার দশটি পিঁপড়েই সবুজ।
স্যামসাদ আরো হতভম্ভ হয়ে গেলেন এই আবিষ্কার করে যে,পঙ্গু পিপড়েটাই দলনেতা।যে সবচেয়ে কঠিন কাজটার দায়িত্ব নিয়েছিল এবং দেহের অংশ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও কাজটি ব্যর্থ হতে দেয়নি।কোম্পানী বলেছে এই রোবোট পিঁপড়ে গুলো ইন্টেলিজেন্ট।কিন্তু এগুলো যে এতোটা ইন্টেলিজেন্ট ভাবতেই পারছেন না স্যামসাদ ।পিঁপড়ে গুলোর নির্মাতা কম্পানীও কি এমনিটি ভাবতে পেরেছিল!?মনে হয় না!
এখন পিঁপড়ে গুলো আগের মতো নাচে না ।দল নেতা নাচতে পারে না।দলনেতার নাচ অনুস্মরণ করতে পারে না পিঁপড়ে গুলো।দল নেতাকে ঘিরে লাফাতে থাকে ।যেনো তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে,তার কাছে জানতে চাইছে নাচের নির্দেশনা ।
পিঁপড়ে নেতা যেনো শিখেয়ে দিল –‘নেতাদের আত্ম ত্যাগেই কর্মের সত্যিকারের সফলতা।’
Wednesday, October 14, 2015
পল্লী স্মৃতি - সুফিয়া কামাল
পল্লী স্মৃতি
সুফিয়া কামাল
বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি পল্লী ময়ের কোল,
ঝাউশাখে যেথা বনলতা বাঁধি হরষে খেয়েছি দোল
কুলের কাটার আঘাত লইয়া কাঁচা পাকা কুল খেয়ে,
অমৃতের স্বাদ যেন লভিয়াছি গাঁয়ের দুলালী মেয়ে
পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশীতে বিষম খেয়ে,
আরো উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।
চৈত্র নিশির চাঁদিমায় বসি' শুনিয়াছি রূপকথা,
মনে বাজিয়াছে সুয়ো দুয়োরাণী দুখিনি মায়ের ব্যথা।
তবু বলিয়াছি মার গলা ধরে, "মাগো, সেই কথা বল,
রাজার দুলালে পাষাণ করিতে ডাইনী করে কি ছল!
সাতশ' সাপের পাহারা কাটায়ে পাতালবাসিনী মেয়ে,
রাজার ছেলেরে বাঁচায়ে কি করে পৌঁছিল দেশে যেয়ে।"
কল্পপূরীর স্বপনের কাঠি বুলাইয়া শিশু চোখে
তন্দ্রদোলায় লয়ে যেত মোরে কোথা দূর ঘুমলোকে
ঘুম হতে জেগে বৈশাখী ঝড়ে কুড়ায়েছি ঝরা আম
খেলার সাথীরা কোথা আজ তারা? ভুলিয়াও গেছি নাম।
নববর্ষার জলে অবগাহি কভু পুলকিত মনে
গান গাহিয়াছি মল্লার রাগে বাদলের ধারা সনে;
শিশির সিক্ত শেফালী ফুলের ঘন সৌরভে মাতি'
শারদ প্রভাতে সখীগন সাথে আনিয়াছি মালা গাঁথি'।
পল্লী নদীর জলে ভাসাইয়া মোচার খেলার তরী,
কাঁদিয়া ফিরেছি সাঁঝের আলোতে পুতুল বিদায় করি'।
আগামী দিনের আশা-ভরসার কত না মধুর ছবি
ফুঁটিয়া উঠেছে আঁখির পাতায় ডুবেছে যখন রবি।
আন্দালুসিয়ায় ইবনে বতুতা Ibn Battuta at the Gibraltar
ইবনে বতুতার রোমাঞ্চকর অভিযান
আন্দালুসিয়ায় ইবনে বতুতা
সুলতানের সহচর্যে কিছুদিন থেকে পিতা মাতার কবর জিয়ারতের জন্য তানজা শহরে এলাম।কবর জিয়ারত শেষে আত্মীয় স্বজনের সাথে কিছুদিন কাটিয়ে সাবতাহ শহরে পৌঁছলাম।সাবতাহ শহরে এসে অসুখে পড়লাম।মাস তিনেক পর সুস্থ হয়ে ভাবলাম আমারতো এখন শক্তি সামর্থ্য আছে ।জেহাদে যা্ওয়া কর্তব্য।তখন আন্দালুসিয়ার সুলতানের সাথে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানদের প্রায়ই যুদ্ধ বিগ্রহ লেগে থাকে।ভাবলাম এইসব যুদ্ধে আমিও অংশ নিতে পারি।তাই আন্দালুসিয়া যাওয়ার নিয়ত করে সাবাতাহ থেকে একটি জাহাজে চড়ে জবলুকতারিক (জিব্রাল্টার)এসে পৌঁছলাম।আমার এই সফরটা ছিল ষষ্ঠ আলকোলস এর এর মৃত্যেুর পর।রোমের এই অধিপতি জিব্রাল্টার অবরোধ করে রেখেছিলেন।কিন্তু বিজয় লাভের আগেই কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।জিব্রাল্টার ছোট অথচ সুন্দর শহর।এখানে বিশিষ্ট ব্যক্তি খতিব আবু জাকারিয়া রুনদাই ও কাজী ইসা বারবারির সাথে দেখা হলো।কাজী তাঁর বাড়ীতে আমার থাকার ব্যবস্থা করলেন।জিব্রাল্টারে আমাদের সুলতান আনানের সহায়তায় বেশ কিছু ভবন নির্মীত হয়েছে।সেগুলো ঘুরে ফিরে দেখলাম।জিব্রাল্টরি কয়েকদিন থেকে গেলাম রোনদাহ।আন্দালুসিয়ায় মোসলমানদের সবচেয়ে শক্তিশলিী ঘাঁটি হলো এই রোনদাহ।এখানে একটি বিশাল দুর্গ আছে।শহরের অধিনায়ক আব্দুল রাব্বি সোলায়মান বিন দাউদ আসকারি।কাজী ছিলেন আমার চাচাত ভাই ফকিহ আব্দুর কাশেম মুহাম্মদ বিন বতুতা।আমি বর্তমান কাজী আবুল হাজ্জাজ ইউসুফের বাড়ীতে মেহমান হলাম।
রোনদাই শহরের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর।বাগ-বাগিচায় পূর্ণ।চারপাশে সবুজের সমারোহ।আবহাওয়াও মনোরম আরামদায়ক।এখানে পাঁচদিন কাটিয়ে গেলাম মারবালা শহরে।রোনদাই থেকে মারবালা পর্যন্ত পথটা পাহাড়ী এবং দুর্গম।এখানে এসে দেখলাম একদল সোওয়ারি মারবালার দিকে যাচ্ছে।আমিও তাদের সাথে যাওয়ার জন্য পিছু পিছু রওয়ানা হলাম।ওদের থেকে আমি অনেক আগে চল এলাম।মারবালার এলাকা পার হয়ে সোহাইল এলাকায় এসে একটি খাদে এক ঘোড়াকে পড়ে থাকতে দেখলাম।তারপর দেখলাম একটি মাছের কুড়িও মাটিতে পড়ে আছে।এতে আমার সন্দেহ হলো সামনে নিশ্চই কোন অঘটন ঘটেছে।এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ারও দেখতে পেলাম।এই টাওয়ারে সতর্ক প্রহরী থাকেন।দূর থেকে দুশমনদের কোন আলামত পেলে সতর্ক সংকেত দেন।আমি বিপদের আভাস পেয়ে পিছিয়ে এসে সাথীদের সাথে মিলিত হলাম।ওখানে সোহাইল দুর্গের অধিনায়কও প্রহরীরদের নিয়ে এসেছিলেন।জানা গেল দুমমনরা চারটি নৌকা করে ওখানে এসেছিল।ওয়াচ টাউয়ারের প্রহরী তখন সেখানে না থাকায় আগে থেকেই সতর্ক সংকেত দিতে পারেননি।মারবালা থেকে বারো জন সওয়ারি ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন।দুশমনরা অতর্কিতে তাদের হামলা করে এক জনকে হত্যা করে এবং দশ জনকে বন্দী করে নিয়ে যায় ।এক জন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।এছাড়া একজন জেলেও ওদের হাতে নিহত হয়।যে মাছের কুড়িটি পড়ে থাকতে দেখেছি সেটি ওই জেলেরই ।
সেদিন সোহাইল দুর্গেই আমরা রাত কাটালাম।পরদিন দুর্গের অধিনায়ক পাহারা দিয়ে আমাদেরকে মালাকা শহরে পৌঁছে দিলেন।আন্দালুসিয়ার এক সুন্দর শহর এই মালাকা।শহরটি সমুদ্রতীরে অবস্থিত।এখানকার ফলমূলের খ্যাতি বিশ্বজোড়া।প্রচুর আঙুর জন্মে এখানে।বাজারে প্রতি আট রতল আঙুর এক দিরহামে বিক্রী হয়।মালাকার ইয়াকুতি আনার দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ আনার।এগুলো বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রফতানী হয়,এছাড়া আনজির ও বাদামও এখানে প্রচুর জন্মে।মালাকার আরেকটি রপ্তানী পণ্য হলো বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণ পাত্র।বিদেশে এগুলো রপ্তানী হয়।মালাকার মসজিদ অত্যন্ত সুন্দর এবং কমলা বাগানে সজ্জিত।
শহরে এসে দেখলাম কাজী আবু আবদুল্লাহ বিন আবু জাফর শহরের গণ্যমান্য লোকদের নিয়ে মজলিশে চাঁদা উঠাচ্ছেন।জিজ্ঞেস করে জানতে পাররাম কাফেরদের হাত থেকে পূর্বোল্লেখিত মুসলমান বন্দীদের মুক্তিপনের টাকা উঠানো হচ্ছে।খ্রিষ্টানরা প্রায়ই সুযোগ পেয়ে অতর্কিতে হামলা করে অসহায় মুসলিম পথচারীদের ধরে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে।
মালাকার খতিব আবু আবদুল্লাহ সাহেলীর বাড়ীতে মেহমান হয়ে কিছুদিন থেকে আমরা বাল্লাকা শহরে এলাম।মালাকা থেকে এর দূরত্ব চব্বিশ মাইল।মালাকার মতো এখানেও আনজির আঙুর প্রচুর জন্মে।এখানকার মসজিদটিও সুন্দর।
বাল্লাকা থেকে এলাম আরেক শহর হাম্মাহতে্।এটিও সুন্দর তবে আকারে ছোট।শহর থেকে মাইল খানেক তফাতে একটি নদীর তীরে অদ্ভুত আকৃতির একটি মসজিদ আছে।এখানে গরম পানির প্রস্রবণ আছে।এর পাশে দুটি রেষ্ট রুম।একটি পূরুষদের জন্য আরেকটি নারীদের জন্য।গরম পানি দিয়ে এখানে ওজু গোসল করা যায়।
কর্টেসী-মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ
Crossing the river ran!
Bangladesh.
District Sunamganj hill in a river.
The name of this river.
There is beneath the mud of the river.
Sand with small stones.
This race is crossing the river in autumn!
সুনামগঞ্জের পাহাড়ী একটি নদী।
নাম তার চলতি নদী ।
নদীর তলদেশে কাদা নেই।
আছে ছোট ছোট নুরী পাথর বালুকায়ময়।
হেমন্ত কালে নদীটি এভাবেই দৌড়ে পার হওয়া যায়!
Subscribe to:
Posts (Atom)