Thursday, October 8, 2015

কবিতা ‘ বিদ্রোহী ‘- কাজী নজরুল ইসলাম



বিদ্রোহী-

কাজী নজরুল ইসলাম


বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-

বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির!

আমি চিরদুর্দম, দূর্বিনীত, নৃশংস,
মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,
আমি দূর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!

বল বীর-
চির-উন্নত মম শির!

আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।
আমি হাম্বীর, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,
আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’
ফিং দিয়া দেই তিন দোল্;
আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল।
আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’,
করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!
আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরীত্রির;
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির অধীর।

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির!

আমি চির-দূরন্ত দুর্মদ
আমি দূর্দম মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম্ হ্যায় হর্দম্ ভরপুর্ মদ।
আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,
আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।
আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,
আমি অবসান, নিশাবসান।

আমি ঈন্দ্রাণী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ তূর্য;
আমি কৃষ্ণ-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির।
আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।

বল বীর-
চির-উন্নত মম শির!

আমি সন্ন্যাসী, সুর সৈনিক,
আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক।
আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস,
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কূর্ণিশ।
আমি বজ্র, আমি ঈষাণ-বিষানে ওঙ্কার,
আমি ইস্রাফিলের শৃঙ্গার মহা-হুঙ্কার,
আমি পিনাক-পাণির ডমরু ত্রিশুল, ধর্মরাজের দন্ড,
আমি চক্র-মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড!
আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য,
আমি দাবানল-দাহ, দহন করিব বিশ্ব।
আমি প্রাণ-খোলা হাসি উল্লাস, -আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস
আমি মহাপ্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস!
আমি কভু প্রশান্ত, কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,
আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী!
আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছাস, আমি বারিধির মহাকল্লোল,
আমি উজ্জ্বল, আমি প্রোজ্জ্বল,
আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল ঊর্মির হিন্দোল-দোল!-

আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি,
আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!

আমি উন্মন, মন-উদাসীর,
আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর।
আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয় লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের
আমি অভিমানী চির ক্ষূব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যাথা সূনিবিড়,
চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর থর থর প্রথম পরশ কুমারীর!
আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তাঁর কাঁকণ-চুড়ির কন্-কন্।
আমি চির শিশু, চির কিশোর,
আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচর কাঁচুলি নিচোর!
আমি উত্তর-বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া,
আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া।
আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি
আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়াছবি!
আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি, এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ!
আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!

আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন চিতে চেতন,
আমি বিশ্বতোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন।
ছুটি ঝড়ের মতন করতালী দিয়া
স্বর্গ মর্ত্য-করতলে,
তাজী বোর্রাক্ আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার
হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে!
আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নেয়াদ্রী, বাড়ব বহ্নি, কালানল,
আমি পাতালে মাতাল, অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল!
আমি তড়িতে চড়িয়া, উড়ে চলি জোড় তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ,
আমি ত্রাস সঞ্চারি’ ভুবনে সহসা, সঞ্চারি ভূমিকম্প।

ধরি বাসুকির ফণা জাপটি’-
ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি’।

আমি দেবশিশু, আমি চঞ্চল,
আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল!
আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,
মহা-সিন্ধু উতলা ঘুম্ঘুম্
ঘুম্ চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝ্ঝুম
মম বাঁশরীর তানে পাশরি’।
আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।

আমি রুষে উঠি’ ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,
ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোযখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!
আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!

আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,
কভু ধরনীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল ধ্বংস ধন্যা-
আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!
আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,
আমি ধূমকেতু জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী!
আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,
আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!

আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়,
আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়!
আমি মানব দানব দেবতার ভয়,
বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়,
জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,
আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ-পাতাল মর্ত্য!
আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!!
আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!

আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার
নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!
আমি হল বলরাম-স্কন্ধে,
আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধিন বিশ্ব অবহেলে, নব সৃষ্টির মহানন্দে

মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না-
অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!

আমি চির-বিদ্রোহী বীর-
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!


Proclaim, Hero,
proclaim: I raise my head high!
Before me bows down the Himalayan peaks!

Proclaim, Hero,
proclaim: rending through the sky,
surpassing the moon, the sun,
the planets, the stars,
piercing through the earth,
the heavens, the cosmos
and the Almighty's throne,
have I risen I, the eternal wonder
of the Creator of the universe.
The furious Shiva shines on my forehead
like a royal medallion of victory!
Proclaim, Hero,
proclaim: My head is ever held high!

I'm ever indomitable, arrogant and cruel,
I'm the Dance-king of the Day of the Doom,
I'm the cyclone, the destruction!
I'm the great terror, I'm the curse of the world.
I'm unstoppable,
I smash everything into pieces!
I'm unruly and lawless.
I crush under my feet
all the bonds, rules and disciplines!
I don't obey any laws.
I sink cargo-laden boats I'm the torpedo,
I'm the dreadful floating mine.
I'm the destructive Dhurjati,
the sudden tempest of the summer.
I'm the Rebel, the Rebel son
of the Creator of the universe!

Proclaim, Hero,
proclaim: My head is ever held high!

I'm the tempest, I'm the cyclone,
I destroy everything I find in my path.
I'm the dance-loving rhythm,
I dance to my own beats.
I'm the delight of a life of freedom.
I'm Hambeer, Chhayanat, Hindol.
I move like a flash of lightning
with turns and twists.
I swing, I leap and frolic!
I do whatever my heart desires.
I embrace my enemy and wrestle with death.
I'm untamed, I'm the tempest!
I'm pestilence, dread to the earth,
I'm the terminator of all reigns of terror,
I'm ever full of burning restlessness.

Proclaim, Hero,
proclaim: My head is ever held high!

I'm ever uncontrollable, irrepressible.
My cup of elixir is always full.
I'm the sacrificial fire,
I'm Yamadagni, the keeper
of the sacrificial fire.
I'm the sacrifice, I'm the priest,

I'm the fire itself.
I'm creation, I'm destruction,
I'm habitation, I'm the cremation ground.
I'm the end, the end of night.
I'm the son of Indrani,
with the moon in my hand and the sun on my forehead.
In one hand I hold the bamboo flute,
in the other, a trumpet of war.
I'm Shiva's blued-hued throat
from drinking poison from the ocean of pain.
I'm Byomkesh, the Ganges flows freely
through my matted locks.

Proclaim, Hero,
proclaim: My head is ever held high!

I'm the ascetic, the minstrel,
I'm the prince, my royal garb embarasses
even the most ostentatious.
I'm Bedouin, I'm Chenghis,
I salute none but myself!
I'm thunder,
I'm the OM sound of Ishan's horn.
I'm the mighty call of Israfil's trumpet.
I'm Pinakapani's hourglass drum, trident,
the sceptre of the Lord of Justice.
I'm the Chakra and the Great Conch,
I'm the primordial sound of the Gong!
I'm the furious Durbasa, the disciple
of Vishwamitra.
I'm the fury of fire, to burn this earth to ashes.
I'm the ecstatic laughter, terrifying the creation.
I'm the eclipse of the twelve suns
on the Day of the Doom.
Sometimes calm, sometimes wild,
I'm the youth of new blood
I humble even the fate's pride!
I'm the violent gust of a wind storm,
the roar of the ocean.
I'm bright, effulgent.
I'm the murmur of over-flowing water,
Hindol dance of rolling waves!

I'm the unbridled hair of a maiden,
the fire in her eyes.
I'm the budding romance of a girl of sixteen
I'm the state of bliss!
I'm the madness of the recluse,
I'm the sigh of grief of a widow,
I'm the anguish of the dejected,
I'm the suffering of the homeless,
I'm the pain of the humiliated,
I'm the afflicted heart of the lovesick.
I'm the trembling passion of the first kiss,
the fleeting glance of the secret lover.
I'm the love of a restless girl,
the jingling music of her bangles!
I'm the eternal child, the eternal adolescent,
I'm the bashfulness of a village girl's budding youth.
I'm the northern breeze, the southern breeze,
the callous eastwind.
I'm the minstrel's song,
the music of his flute and lyre.
I'm the unquenched summer thirst,
the scorching rays of the sun.
I'm the softly flowing desert spring
and the green oasis!

In ecstatic joy, in madness,
I've suddenly realized myself
all the barriers have crumbled away!
I'm the rise, I'm the fall,
I'm the consciousness in the unconscious mind.
I'm the flag of triumph at the gate
of the universe
the triumph of humanity!

Like a tempest
I traverse the heaven and earth
riding Uchchaishraba and the mighty Borrak.
I'm the burning volcano in the bosom of the earth,
the wildest commotion of the subterranean ocean of fire.
I ride on lightning
and panic the world with earthquakes!
I clasp the hood of the Snake-king
and the fiery wing of the angel Gabriel.
I'm the child-divine restless and defiant.
With my teeth I tear apart
the skirt of Mother Earth!

I'm Orpheus' flute.
I calm the restless ocean
and bring lethean sleep to the fevered world
with a kiss of my melody.
I'm the flute in the hands of Shyam.
When I fly into a rage and traverse the vast sky,
the fires of Seven Hells and the hell of hells, Habia,
tremble in fear and die.
I'm the messenger of revolt
across the earth and the sky.

I'm the mighty flood.
Sometimes I bring blessings to the earth,
at other times, cause colossal damage.
I wrestle away the maidens two
from Vishnu's bosom!
I'm injustice, I'm a meteor, I'm Saturn,
I'm a blazing comet, a venomous cobra!
I'm the headless Chandi,
I'm the warlord Ranada.
Sitting amidst the fire of hell
I smile like an innocent flower!
I'm made of clay, I'm the embodiment of the Soul.
I'm imperishable, inexhaustible, immortal.
I intimidate the humans, demons and gods.
I'm ever-unconquerable.
I'm the God of gods, the supreme humanity,
traversing the heaven and earth!

I'm mad, I'm mad!
I have realized myself,
all the barriers have crumbled away!!

I'm Parashuram's merciless axe.
I'll rid the world of all the war mongers
and bring peace.
I'm the plough on Balaram's shoulders.
I'll uproot this subjugated world
in the joy of recreating it.
Weary of battles, I, the Great Rebel,
shall rest in peace only when
the anguished cry of the oppressed
shall no longer reverberate in the sky and the air,
and the tyrant's bloody sword
will no longer rattle in battlefields.
Only then shall I, the Rebel,
rest in peace.

I'm the Rebel Bhrigu,
I'll stamp my footprints on the chest of god
sleeping away indifferently, whimsically,
while the creation is suffering.
I'm the Rebel Bhrigu,
I'll stamp my footprints
I'll tear apart the chest of the whimsical god!

I'm the eternal Rebel,
I have risen beyond this world, alone,
with my head ever held high!

মিকি মাউস কার্টুন Mickey mouse clubhouse-Mickey mouse cartoon


Wednesday, October 7, 2015

সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করুন

সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করুন Save From Net Helper সফটওয়্যার দিয়ে!
ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড সাধারণত করা যায় না।
যারা একটু এক্সপার্ট তারা কোন সফটওয়্যার ছাড়াই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউনলোড লোড করতে পারেন।
কিন্তু সমস্যা হয় নতুনদের।
নতুনদেরও ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করাতে  সমস্যা হবে না,এই লেখা  অনুস্মরণ করে কাজ করতে পারলে।

ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করতে হলে একটি সফটওয়্যার Save From Net Helper কম্পিউটারে ইষ্টল করে নিলে
সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করতে পারবেন।
এই লিংক SaveFromNetHelper  ৭৭০কেবির সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ।
তারপর আপনার কম্পিউটারের নেট কানেকশন থাকা অবস্থায় ডাউনলোডকৃত সফটওয়্যারটি সেটাপ দিন ।
সফটওয়্যারটির সার্ভার হতে কিছু সময়ের মধ্যে আপনার কম্পিউটারে ইনষ্টল হবে।
এখন ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিওতে একটি সবুজ রংয়ের তীর চিহ্ন দেখতে পাবেন।
সেখানে ক্লিক করে সহজেই ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন।

মাসুদ রানা সিরিজের বই pdf ভার্সনের বই

মাসুদ রানা সিরিজের বই pdf ভার্সনের বই

মাসুদ রানা সিরিজের বই পড়তে প্রায় সকলেই ভালবাসেন ।
মাসুদ রানা সিরিজের বই pdf ভার্সনের বই নিচের নিংকে পাবেন।
তার আগে মাসুদ রানা সম্পর্কে কিছু জেনে নিন ।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট একটি কাল্পনীক কাহিনী-চরিত্র মাসুদ রানা। ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার বইয়ের ভাবানুবাদ বা ছায়া অবলম্বনে রচিত মাসুদ রানা। মাসুদ রানার চরিত্রটিকে মূলত ইয়ান ফ্লেমিংয়ের (Ian Fleming) সৃষ্ট জেমস বন্ড (James Bond) চরিত্রটির বাঙালি সংস্করণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
মাসুদ রানা সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর, এবং কাল্পনিক সংস্থা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর সদস্য, এবং তাঁর সাংকেতিক নাম MR-9। এছাড়া রানা এজেন্সি নামক একটি গোয়েন্দা সংস্থাও রানা পরিচালনা করে থাকে।
মাসুদ রানার সহায়ক চরিত্রে প্রথমেই মেজর জেনারেল রাহাত খানের নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের প্রধান। তাঁরই তত্বাবধানে রানা নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া তার কাজে সহায়তা করে থাকে সোহেল, সলিল, সোহানা, রূপা, গিলটি মিয়া প্রমুখ চরিত্রও।

মাসুদ রানার অধিকাংশ কাহিনীই বিভিন্ন বিদেশী লেখকের বই থেকে ধার করা। এলিস্ট্যার ম্যাকলীন (Alistair MacLean), রবার্ট লুডলাম (Robert Ludlum), জেমস হেডলী চেয (James Headley Chase), উইলবার স্মিথ (Wilber Smith), ক্লাইভ কাসলার(clive cussler), ফ্রেডরিক ফরসাইথ(frederick forsyth)-সহ বহু বিদেশী, বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্যিকের লেখা কাহিনী থেকে ধার করে মাসুদ রানার কাহিনী লেখা হয়।

কখনও কোনো বই বিদেশী কোনো একক বই থেকেই অনুবাদ করা হয়, আবার কখনও একাধিক বই মিলিয়ে লেখা হয়।
মাসুদ রানা'র নামকরণ করা হয় দুজন বাস্তব মানুষের নামের অংশ মিলিয়ে। কাজী আনোয়ার হোসেন তাঁর স্ত্রী, আধুনিক সংগীতশিল্পী ফরিদা ইয়াসমীনের সাথে পরামর্শ করে নামটি নির্বাচন করেন। এপ্রসঙ্গে স্বয়ং কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন । 
“ আমাদের দুজনেরই বন্ধু স্বনামধন্য গীতিকার মাসুদ করিমের 'মাসুদ' আর আমার ছেলেবেলার হিরো (নায়ক) ইতিহাসে পড়া মেবারের রাজপুত রাজা রানা প্রতাপ সিংহ থেকে 'রানা' নিয়ে নাম হলো মাসুদ রানা। ”
মাসুদ রানা চরিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় মাসুদ রানা সিরিজের ‘বিস্মরণ’ অবলম্বনে, ১৯৭৩ সালে। আর ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। পরিচালনায় ছিলেন মাসুদ পারভেজ তথা পরবর্তীকালের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল রানা।

মাসুদ রানা pdf ভার্সনের বই পাবেন এখানে 

সূত্র-ইন্টারনেট

রোমিও ও জুলিয়েট Romeo And Juliet 1976 Part1 & Part2

Part1

                                           
  Part 2 


খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত হচ্ছে

খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত করছে মানুষদের

                    শ্রমিক সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল বলছে, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক ‘নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত’ কাজের মাধ্যমে চাকরিজীবী বা শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
                    শ্রমিকদের কাজের জন্য যেসব ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে অনেকেই তা পায়না।
                     সংগঠনটি বলছে, এর মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে। আর এই প্রবণতা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বাড়ছে।
                     ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের রায় রমেশচন্দ্র বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বঞ্চনার ঘটনা ঘটছে । অনেকে বারো বছর, চৌদ্দ বছর, পনেরো বছর ধরে এভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু স্থায়ী হচ্ছেন না। ফলে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
                   তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রমিকের আইনানুগ নিয়োগপত্র, চাকরির স্থায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা, গ্রাচুইটি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া দরকার। কিন্তু মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে বিশ্বব্যাপী খণ্ডকালীন বা আউট সোর্সিং এর নামে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে।’
মূলত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে মালিক পক্ষ কিংবা নিয়োগদাতাদের লাভ করার মানসিকতাই এর কারণ বলে তিনি জানান।
                    বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেক্টরেই চুক্তিভিত্তিক কিংবা খণ্ডকালীন নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এই কাজগুলোকে Precarious work বা নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ বলা হয়ে থাকে।
এই ‘নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ’ বন্ধের দাবিতে আজ একটি কর্মসূচি পালন করছে ইন্ডাস্ট্রিঅল।

সূত্র: বিবিসি

’সীমানা পেরিয়ে’- পূর্ণদৈর্ঘ বাংলা ছায়াছবি Simana Periye-Full Length Bangla Movie


মালির পথে - ইবনে বতুতার রোমাঞ্চকর অভিযান

মালির পথে

ইবনে বতুতার রোমাঞ্চকর অভিযান  

আইওয়ালাতানে থাকতে আর ভাল লাগছে না।ভাবলাম দেশে ফিরে যাব।কিন্ত পরে চিন্তা করলাম এদের রাজধানী না দেখে গেলে কেমন হয় !তাই মালি সফরের প্রস্তুতি নিলাম আইওয়ালাতান থেকে মালির দূরত্ব দ্রুত গতিতে গেলে চব্বিশ দিনের পথ।বিশাল এক মরুভূমি পাড়ি দিতে হবে।আমি একজন পথ প্রদর্শক ভাড়া করে রওয়ানা হলাম।আমার সাথে আরোও তিন জন ছিলেন।একটি বন এলাকা দিয়ে আমরা চলেছি।বড় বড় গাছের সারির ভেতর দিয়ে পথ চলে গিয়েছে।গাছগুলোর কান্ড বিশালাকায়।কোন কোন গাছের ডালপালা এতা বিস্তৃত যে একটি গাছের ছায়াতেই একটি কাফেলার সবাই বিশ্রাম নিতে পারে।কোন কোন গাছে কোন পাতা নেই।কিন্তু কান্ড এতো বিশাল যে এর ছায়াতেই মুসাফিররা বিশ্রাম নিতে পারে।এই এলাকার এক লোকের গাছ দেখলাম কান্ড বিশালাকায় ,বোতলাকৃতির এবং ভিতরে ফাঁপা।সেই ফাঁপা স্থানে বৃষ্টির পানি জমা থাকে।যেন একটি পানির কূপ!মুসাফিররা গাছের কান্ড ফুটো করে সেই পানি পান করতে পারে।আবার কোন কোন গাছের ফাঁপা অংশে মৌমাছিরা মৌচাক তৈরী করে।ওখান থেকে প্রচুর মধু পা্ওয়া যায়।এক জায়গায় আমি দেখলাম এক গাছের ফাঁপা অংশের বিশাল ফাটলে এক তাঁতী তার তাঁত দিয়ে ভেতরে বসে আরামে বসে বুনন কাজ করছে।এই দৃশ্য দেখে আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম।আইওয়ালাতান ও মালির মধ্যবর্তী এলাকার জঙ্গলে বিভিন্ন রকমের ফল মূলের গাছ জন্মে।এখানে আপেল,নাশপাতি,খুবানী,শাফতালু গাছের মতো গাছ দেখা যায়।কিন্তু আসলে এগুলো অন্য গাছ।এ এলাকায় খরবুজার মতো এক জাতের ফল উতপন্ন হয়।পাকলে ফেটে যায় এবং ভিতবে আঠার মতো পদার্থ পা্ওয়া যায়।এই ফলগুলো রান্না করে খাওয়া হয়।বাজারেও বিক্রী হয়।মাটির নীচে শিমের বিচির মতো একধরনের শষ্য জন্মে।এগুলোকে ভেজে খাওয়া যায়।নাশপাতির মতো দেখতে গারতি নামে এক জাতের ফল জন্মে।যা খেতে অত্যন্ত মিষ্টি।এর বিচি থেকে তেলও পাওয়া যায়।এই তেল ভাজা,রান্না,চেরাগ জ্বালানো,গায়ে মাখা এবং এক জাতের মাটির সাথে মিশিয়ে পুটিন বানানোর কাজেও ব্যবহৃত হয়।এই তেল এই এলাকায় প্রচুর উতপন্ন হয়।লাউয়ের খোলের ভিতর বিভিন্ন শহরে নিয়ে যাওয়া হয়।এখানে বিশালাকৃতি লাউয়ের খোল শুকিয়ে পাত্র বানানো হয়। যা একটি বড় কলসির সমান হয়।এই এলাকায় সফরের সময় মুসাফিররা নিজেদের মালপত্র,খাবার দাবার বা টাকা পয়সা সাথে নেয় না।টাকা পয়সার বদলে নিয়ে যায় লবণের টুকরো আর সীসার অলংকার।সীসার তৈরী অলংকারকে বলা হয় নাজম।এছাড়া বিভিন্ন সুগন্ধি দ্রব্যও নিয়ে যাওয়া হয়।মুসাফিরদের কাফেলা কোন গ্রামে গিয়ে পৌঁছলে কৃষ্ণাঙ্গ রমণীরা ভূট্টা,চাল,দুধ,মুরগী,বরবটি,শিমের আটা,সরষের মতো দেখতে দানাদার শষ্য ফুনি প্রভৃতি নিয়ে আসেন।লবন,সীসার অলংকার ও সুগন্ধী দ্রব্যের বিনিময়ে এগুলো মুসাফিররা পছন্দ মতো কিনে নেন।

দশ দিন পর আমরা জাগনী নামে এক জনপদে এসে পৌঁছলাম।এখানে সাগবাগো সম্প্রদায়ের বসবাস।এরা কৃষ্ণাঙ্গ এবং আবাজিয়া।খারেজী মাজহাবের অনুসারী।এখানে মালেকি মাজহাবের লোকজনকে তুরি বলা হয় ।জাগরী থেকে আমরা পৌছালাম নাইজার নদীতে।মালি সম্রাজ্যের প্রধান নদী এই নাইজার।এই নদীর তীরে বিভিন্ন শহর গড়ে উঠেছে আমরা নাইজার তীরবর্তী কারসাখু কাবারাহ হয়ে জাগাহ পৌঁছলাম।কারবাহ ও জাগাহ দুইটি এলাকার দুজন রাজা শাসন করেন ।দুই জনেই মালির সুলতানের অধীন।জাগাহর কৃষ্ণাঙ্গরা প্রচীনকাল থেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।এরা অত্যন্ত পরহেজগার এবং বিদ্যুতসাহী।জাগাহ থেকে নাইজার নদী এখান দিয়ে ঘুরে তুমবুকত ও কাউকাউ হয়ে মুলিতে পৌঁছেছে।মুলিতে লিমি উপউপজাতীয়দের বসবাস। এই এলাকা হলো মালি সম্রাজ্যের শেষ সীমা।নাইজার নদী এখান থেকে ঘুরে ইউফি শহরে পৌঁছেছে।এই এলাকা থেকে শুরু হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ কাফেরদের এলাকা।এখানকার রাজাকে কৃষ্ণাঙ্গ কাফেরদের সবচেয়ে বড় রাজা হিসাবে গণ্য করা হয়।শ্বেতকায়রা এই এলাকায় যায় না।কারণ গেলেই কৃষ্ণাঙ্গ কাফেররা হামলা করে ওদেরকে কতল করে ফেলে ।

ইউফি থেকে নাইজার নদী লোবা এলাকায় প্রবাহিত হয়েছে।এই এলাকার জনগণ খ্রিষ্টান। এরপর নাইজার নদী পৌঁছেছে দুনকুলা শহরে।এটি কৃষ্ণঙ্গদের সবচেয়ে বড় শহর।এখানকার সুলতানের নাম ইবনে কানজুদ্দিন।মিশরের সুলতান মালেক নাসেরের সময় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন ।এরপর নাইজার জানাদিল এলাকায় এসে সাগরে মিশেছে ।


কর্টেসী-মোহাম্মদ মামুনূর রশীদ

Tuesday, October 6, 2015

Total Recall (টোটাল রিকল) American science fiction action Full Movies HD 1080p


মনে হয় একদিন - জীবনানন্দ দাশ

 জীবনানন্দ দাশ


মনে হয় একদিন আকাশে শুকতারা দেখিব না আর ;
দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন
নিভে যায়  দেখিব না আর আমি এই পরিচিত বাঁশবন ,
শুঁকনো বাঁশের পাতা ছাওয়া মাটি হয়ে যাবে গভীর আঁধার
আমার চোখের কাছে  লক্ষী পূর্ণিমার রাতে সে কবে আবার
পেঁচা ডাকে জোছনায়  হিজলের বাকা ডাল করে গুঞ্জরন ;
সারা রাত কিশোরীর লাল পাড় চাঁদে ভাসে – হাতের কাঁকন
বেজে ওঠে : বুঝিব না গঙ্গাজল ,নারকোলনাড়ুগুলো তার
জানি না সে কারে দেবে  জানি না সে চিনি আর সাদা তালশাঁস
হাতে লয়ে পলাশের দিকে চেয়ে দুয়ারে দাড়ায়ে রবে কি না
আবার কাহার সাথে ভালবাসা হবে তার  আমি তা জানি না;
মৃত্যুরে কে মনে রাখে ?কীর্তিনাশা খুঁড়ে খুঁড়ে চলে বারো মাস
নতুন ডাঙার দিকে –পিছনের অবিরল মৃত চর বিনা
দিন তার কেটে যায়  শুকতারা নিভে গেলে কাঁদে কি আকাশ ?


১৯৪৬-৪৭

 -জীবনানন্দ দাশ

 দিনের আলোয় অই চারি দিকে মানুষের অস্পষ্ট ব্যাস্ততা:
পথে-ঘাটে ট্রাক ট্রামলাইনে ফুটপাতে;
কোথায় পরের বাড়ি এখুনি নিলেম হবে—মনে হয়,
জলের মতন দামে।
সকলকে ফাঁকি দিয়ে স্বর্গে পৌঁছুবে
সকলের আগে সকলেই তাই।
অনেকেরই ঊর্ধশ্বাসে যেতে হয়, তবু
নিলেমের ঘরবাড়ি আসবাব—অথবা যা নিলেমের নয়
সে সব জিনিস
বহুকে বঞ্চিত ক’রে দু জন কি একজন কিনে নিতে পারে।
পৃথিবীতে সুদ খাটে: সকলের জন্যে নয়।
অনির্বচনীয় হুণ্ডি একজন দু জনের হাতে।
পৃথিবীর এইসব উঁচু লোকদের দাবি এসে
সবই নেয়, নারীকেও নিয়ে যায়।
বাকি সব মানুষেরা অন্ধকারে হেমন্তের অবিরল পাতার মতন
কোথাও নদীর পানে উড়ে যেতে চায়,
অথবা মাটির দিকে—পৃথিবীর কোনো পুনঃপ্রবাহের বীজের ভিতরে
মিশে গিয়ে। পৃথিবীতে ঢের জন্ম নষ্ট হয়ে গেছে জেনে, তবু
আবার সূর্যের গন্ধে ফিরে এসে ধুলো ঘাস কুসুমের অমৃতত্বে
কবে পরিচিত জল, আলো আধো অধিকারিণীকে অধিকার করে নিতে হবে:
ভেবে তারা অন্ধকারে লীন হয়ে যায়।
লীন হয়ে গেলে তারা তখন তো—মৃত।
মৃতেরা এ পৃথিবীতে ফেরে না কখনও
মৃতেরা কোথাও নেই; আছে?
কোনো কোনো অঘ্রানের পথে পায়চারি-করা শান্ত মানুষের
হৃদয়ের পথে ছাড়া মৃতেরা কোথাও নেই বলে মনে হয়;
তা হলে মৃত্যুর আগে আলো অন্ন আকাশ নারীকে
কিছুটা সুস্থিরভাবে পেলে ভালো হত।
বাংলার লক্ষ গ্রাম নিরাশায় আলোহীনতায় ডুবে নিস্তব্ধ নিস্তেল।
সূর্য অস্তে চলে গেলে কেমন সুকেশী অন্ধকার
খোঁপা বেঁধে নিতে আসে—কিন্তু কার হাতে?
আলুলায়িত হয়ে চেয়ে থাকে—কিন্তু কার তরে?
হাত নেই—কোথাও মানুষ নেই; বাংলার লক্ষ গ্রামরাত্রি একদিন
আলপনার, পটের ছবির মতো সুহাস্যা, পটলচেরা চোখের মানুষী
হতে পেরেছিল প্রায়; নিভে গেছে সব।
এইখানে নবান্নের ঘ্রাণ ওরা সেদিনও পেয়েছে;
নতুন চালের রসে রৌদ্রে কতো কাক
এ-পাড়ার বড়ো...ও-পাড়ার দুলে বোয়েদের
ডাকশাঁখে উড়ে এসে সুধা খেয়ে যেত;
এখন টুঁ শব্দ নেই সেই সব কাকপাখিদেরও;
মানুষের হাড় খুলি মানুষের গণনার সংখ্যাধীন নয়;
সময়ের হাতে অন্তহীন।
ওখানে চাঁদের রাতে প্রান্তরে চাষার নাচ হত
ধানের অদ্ভুত রস খেয়ে ফেলে মাঝি-বাগ্‌দির
ঈশ্বরী মেয়ের সাথে
বিবাহের কিছু আগে-বিবাহের কিছু পরে-সন্তানের জন্মাবার আগে।
সে সব সন্তান আজ এ যুগের কুরাষ্ট্রের মূঢ়
ক্লান্ত লোকসমাজের ভীড়ে চাপা পড়ে
মৃতপ্রায়; আজকের এই সব গ্রাম্য সন্ততির
প্রপিতামহের দল হেসে খেলে ভালোবেসে-অন্ধকারে জমিদারদের
চিরস্থায়ী ব্যাবস্থাকে চড়কের গাছে তুলে ঘুমায়ে গিয়েছে।
ওরা খুব বেশি ভালো ছিল না; তবুও
আজকের মন্বন্তর দাঙ্গা দুঃখ নিরক্ষরতায়
অন্ধ শতচ্ছিন্ন গ্রাম্য প্রাণীদের চেয়ে
পৃথক আর-এক স্পষ্ট জগতের অধিবাসী ছিল।
আজকে অস্পষ্ট সব? ভালো করে কথা ভাবা এখন কঠিন;
অন্ধকারে অর্ধসত্য সকলকে জানিয়ে দেবার
নিয়ম এখন আছে; তারপর একা অন্ধকারে
বাকি সত্য আঁচ করে নেওয়ার রেওয়াজ
রয়ে গেছে; সকলেই আড়চোখে সকলকে দেখে।
সৃষ্টির মনের কথা মনে হয়—দ্বেষ।
সৃষ্টির মনের কথা: আমাদেরই আন্তরিকতাতে
আমাদেরই সন্দেহের ছায়াপাত টেনে এনে ব্যাথা
খুঁজে আনা। প্রকৃতির পাহাড়ে পাথরে সমুচ্ছল
ঝর্নার জল দেখে তারপর হৃদয়ে তাকিয়ে
দেখেছি প্রথম জল নিহত প্রাণীর রক্তে লাল
হয়ে আছে ব’লে বাঘ হরিণের পিছু আজও ধায়;
মানুষ মেরেছি আমি—তার রক্তে আমার শরীর
ভরে গেছে; পৃথিবীর পথে এই নিহত ভ্রাতার
ভাই আমি; আমাকে সে কনিষ্ঠের মতো জেনে তবু
হৃদয়ে কঠিন হয়ে বধ করে গেল, আমি রক্তাক্ত নদীর
কল্লোলের কাছে শুয়ে অগ্রজপ্রতিম বিমূঢ়কে
বধ করে ঘুমাতেছি—তাহার অপরিসর বুকের ভিতরে
মুখ রেখে মনে হয় জীবনের স্নেহশীল ব্রতী
সকলকে আলো দেবে মনে করে অগ্রসর হয়ে
তবুও কোথাও কোনো আলো নেই বলে ঘুমাতেছে।
ঘুমাতেছে।
যদি ডাকি রক্তের নদীর থেকে কল্লোলিত হয়ে
বলে যাবে কাছে এসে, 'ইয়াসিন আমি,
হানিফ মহম্মদ মকবুল করিম আজিজ—
আর তুমি?' আমার বুকের 'পরে হাত রেখে মৃত মুখ থেকে
চোখ তুলে শুধাবে সে—রক্তনদী উদ্বেলিত হয়ে
ব’লে যাবে, 'গগন, বিপিন, শশী,পাথুরেঘাটার;
মানিকতলার, শ্যামবাজারের, গ্যালিফ স্ট্রীটের, এন্টালির-'
কোথাকার কেবা জানে; জীবনের ইতর শ্রেণীর
মানুষ তো এরা সব; ছেঁড়া জুতো পায়ে
বাজারের পোকাকাটা জিনিসের কেনাকাটা করে;
সৃষ্টির অপরিক্লান্ত চারণার বেগে
এইসব প্রাণকণা জেগেছিল—বিকেলের সূর্যের রশ্মিতে
সহসা সুন্দর বলে মনে হয়েছিল কোনো উজ্জ্বল চোখের
মনীষী লোকের কাছে এই সব অণুর মতন
উদ্ভাসিত পৃথিবীর উপেক্ষিত জীবনগুলোকে।
সূর্যের আলোর ঢলে রোমাঞ্চিত রেণুর শরীরে
রেণুর সংঘর্ষে যেই শব্দ জেগে ওঠে
সেখানে তার অনুপম কণ্ঠের সংগীতে
কথা বলে; কাকে বলে? ইয়াসিন মকবুল শশী
সহসা নিকটে এসে কোনো-কিছু বলবার আগে
আধ-খণ্ড অনন্তের অন্তরের থেকে যেন ঢের
কথা বলে গিয়েছিল; তবু—
অনন্ত তো খণ্ড নয়; তাই সেই স্বপ্ন, কাজ, কথা
অখণ্ডে অনন্তে অন্তর্হিত হয়ে গেছে;
কেউ নেই, কিছু নেই-সূর্য নিভে গেছে।
এ যুগে এখন ঢের কম আলো সব দিকে, তবে।
আমরা এ পৃথিবীর বহুদিনকার
কথা কাজ ব্যাথা ভুল সংকল্প চিন্তার
মর্যাদায় গড়া কাহিনীর মূল্য নিংড়ে এখন
সঞ্চয় করেছি বাক্য শব্দ ভাষা অনুপম বাচনের রীতি।
মানুষের ভাষা তবু অনুভূতিদেশ থেকে আলো
না পেলে নিছক ক্রিয়া; বিশেষণ; এলোমেলো নিরাশ্রয় শব্দের কঙ্কাল
জ্ঞানের নিকট থেকে ঢের দূরে থাকে।
অনেক বিদ্যার দান উত্তরাধিকারে পেয়ে তবু
আমাদের এই শতকের
বিজ্ঞান তো সংকলিত জিনিসের ভিড় শুধু—বেড়ে যায় শুধু;
তবুও কোথাও তার প্রাণ নেই বলে অর্থময়
জ্ঞান নেই আজ এই পৃথিবীতে; জ্ঞানের বিহনে প্রেম নেই।
এ-যুগে কোথাও কোনো আলো—কোনো কান্তিময় আলো
চোখের সুমুখে নেই যাত্রিকের; নেই তো নিঃসৃত অন্ধকার
রাত্রির মায়ের মতো: মানুষের বিহ্বল দেহের
সব দোষ প্রক্ষালিত করে দেয়—মানুষের মানুষের বিহ্বল আত্মাকে
লোকসমাগমহীন একান্তের অন্ধকারে অন্তঃশীল ক’রে
তাকে আর শুধায় না—অতীতের শুধানো
প্রশ্নের উত্তর চায় না আর—শুধু শব্দহীন মৃত্যুহীন
অন্ধকারে ঘিরে রাখে, সব অপরাধ ক্লান্তি ভয় ভুল পাপ
বীতকাম হয় যাতে—এ জীবন ধীরে ধীরে বীতশোক হয়,
স্নিগ্ধতা হৃদয়ে জাগে; যেন দিকচিহ্নময় সমুদ্রের পারে
কয়েকটি দেবদারুগাছের ভিতরে অবলীন
বাতাসের প্রিয়কণ্ঠ কাছে আসে—মানুষের রক্তাক্ত আত্মায়
সে-হাওয়া অনবচ্ছিন্ন সুগমের—মানুষের জীবন নির্মল।
আজ এই পৃথিবীতে এমন মহানুভব ব্যাপ্ত অন্ধকার
নেই আর? সুবাতাস গভীরতা পবিত্রতা নেই?
তবুও মানুষ অন্ধ দুর্দশার থেকে স্নিগ্ধ আঁধারের দিকে
অন্ধকার হ’তে তার নবীন নগরী গ্রাম উৎসবের পানে
যে অনবনমনে চলেছে আজও—তার হৃদয়ের
ভুলের পাপের উৎস অতিক্রম ক’রে চেতনার
বলয়ের নিজ গুণ রয়ে গেছে বলে মনে হয়।

বোধ

  -জীবনানন্দ দাশ

 আলো-অন্ধকারে যাই - মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, - কোন্‌ এক বোধ কাজ করে!
স্বপ্ন নয় - শান্তি নয়―ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ হয়, - পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা - প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়!

সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে!
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে
সহজ লোকের মতো! তাদের মতন ভাষা কথা
কে বলিতে পারে আর! - কোনো নিশ্চয়তা
কে জানিতে পারে আর? - শরীরের স্বাদ
কে বুঝিতে চায় আর? - প্রাণের আহ্লাদ
সকল লোকের মতো কে পাবে আবার!
সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর
স্বাদ কই! - ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে,
শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,
শরীরে জলের গন্ধ মেখে,
উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে
চাষার মতন প্রাণ পেয়ে
কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর ՚পরে?
স্বপ্ন নয়, - শান্তি নয়,―কোন্‌ এক বোধ কাজ করে
মাথার ভিতরে!

পথে চ’লে পারে - পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে;
মড়ার খুলির মতো ধ’রে
আছাড় মারিতে চাই,জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারিপাশে!
তবু সে চোখের চারিপাশে!
তবু সে বুকের চারিপাশে!
আমি চলি,সাথে সাথে সেও চলে আসে!
আমি থামি, -
সেও থেমে যায়;
সকল লোকের মাঝে ব’সে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার চোখেই শুধু বাধা?
জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে
সন্তানের মতো হয়ে, -
সন্তানের জন্ম দিতে দিতে
যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়,
কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়
যাহাদের ; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজক্ষেতে আসিতেছে চ’লে
জন্ম দেবে - জন্ম দেবে ব’লে;
তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি?―তাহাদের মন
আমার মনের মতো না কি? -
তবু কেন এমন একাকী?
তবু আমি এমন একাকী!
হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল?
বাল্‌টিতে টানিনি কি জল?
কাস্তে হাতে কতবার যাইনি কি মাঠে?
মেছোদের মতো আমি কত নদী ঘাটে
ঘুরিয়াছি;
পুকুরের পানা শ্যালা - আঁশটে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে
গিয়েছে জড়ায়ে;
 - এইসব স্বাদ;
 - এ সব পেয়েছি আমি;―বাতাসের মতন অবাধ
বয়েছে জীবন,
নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন
একদিন;
এইসব সাধ
জানিয়াছি একদিন, - অবাধ - অগাধ;
চ’লে গেছি ইহাদের ছেড়ে; -
ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;
আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে,
ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে - যখন ডেকেছি বারে-বারে
ভালোবেসে তারে;
তবুও সাধনা ছিল একদিন, - এই ভালোবাসা;
আমি তার উপেক্ষার ভাষা
আমি তার ঘৃণার আক্রোশ
অবহেলা ক’রে গেছি; যে নক্ষত্র - নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা ভুলিয়া গেছি;
তবু এই ভালোবাসা - ধুলো আর কাদা -।

মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয় - প্রেম নয় - কোনো এক বোধ কাজ করে।
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে :
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?
কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!
মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন!
শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন!

এই বোধ - শুধু এই স্বাদ
পায় সে কি অগাধ - অগাধ!
পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ
চায় না সে? - করেছে শপথ
দেখিবে সে মানুষের মুখ?
দেখিবে সে মানুষীর মুখ?
দেখিবে সে শিশুদের মুখ?
চোখে কালোশিরার অসুখ,
কানে যেই বধিরতা আছে,
যেই কুঁজ - গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে
নষ্ট শসা - পচা চালকুমড়ার ছাঁচে,
যে সব হৃদয়ে ফলিয়াছে
- সেই সব।


ঘাস

  -জীবনানন্দ দাশ

 কচি লেবুপাতার মত নরম সবুজ আলোয়
পৃথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;
কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস–তেমনি সুঘ্রাণ–
হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিচ্ছে।
আমারও ইচ্ছা করে এই ঘাসের ঘ্রাণ হরিৎ মদের মতো
গেলাসে গেলাসে পান করি,
এই ঘাসের শরীর ছানি–চোখে চোখ ঘষি,
ঘাসের পাখনায় আমার পালক,
ঘাসের ভিতর ঘাস হয়ে জন্মাই কোনো এক নিবিড় ঘাস–মাতার
শরীরের সুস্বাদ অন্ধকার থেকে নেমে।


নিরালোক

   -জীবনানন্দ দাশ

 একবার নক্ষত্রের দিকে চাই – একবার প্রান্তরের দিকে
আমি অনিমিখে।
ধানের ক্ষেতের গন্ধ মুছে গেছে কবে
জীবনের থেকে যেন; প্রান্তরের মতন নীরবে
বিচ্ছিন্ন খড়ের বোঝা বুকে নিয়ে ঘুম পায় তার;
নক্ষত্রেরা বাতি জ্বেলে–জ্বেলে–জ্বেলে– ‘নিভে গেলে- নিভে গেলে?’
বলে তারে জাগায় আবার;
জাগায় আবার।
বিচ্ছিন্ন খড়ের বোঝা বুকে নিয়ে- বুকে নিয়ে ঘুম পায় তার;
ঘুম পায় তার।

অনেক নক্ষত্রে ভরে গেছে সন্ধ্যার আকাশ– এই রাতের আকাশ;
এইখানে ফাল্গুনের ছায়া মাখা ঘাসে শুয়ে আছি;
এখন মরণ ভাল,– শরীরে লাগিয়া রবে এই সব ঘাস;
অনেক নক্ষত্র রবে চিরকাল যেন কাছাকাছি।
কে যেন উঠিল হেঁচে,– হামিদের মরখুটে কানা ঘোড়া বুঝি!
সারা দিন গাড়ি টানা হল ঢের,– ছুটি পেয়ে জ্যোৎস্নায় নিজ মনে খেয়ে যায় ঘাস;
যেন কোনো ব্যথা নাই পৃথিবীতে,– আমি কেন তবে মৃত্যু খুঁজি?
‘কেন মৃত্যু খোঁজো তুমি?’– চাপা ঠোঁটে বলে কৌতুকী আকাশ।

ঝাউফুলে ঘাস ভরে– এখানে ঝাউয়ের নীচে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে;
কাশ আর চোরকাঁটা ছেড়ে দিয়ে ফড়িং চলিয়া গেছে ঘরে।
সন্ধ্যার নক্ষত্র, তুমি বলো দেখি কোন্‌ পথে কোন্‌ ঘরে যাব!
কোথায় উদ্যম নাই, কোথায় আবেগ নাই,- চিন্তা স্বপ্ন ভুলে গিয়ে শান্তি আমি পাব?

রাতের নক্ষত্র, তুমি বলো দেখি কোন্‌ পথে যাব ?
‘তোমারই নিজের ঘরে চলে যাও’– বলিল নক্ষত্র চুপে হেসে–
‘অথবা ঘাসের ‘পরে শুয়ে থাকো আমার মুখের রূপ ঠায় ভালবেসে;
অথবা তাকায়ে দেখো গোরুর গাড়িটি ধীরে চলে যায় অন্ধকারে
সোনালি খড়ের বোঝা বুকে;
পিছে তার সাপের খোলস, নালা, খলখল অন্ধকার – শান্তি তার রয়েছে সমুখে
চলে যায় চুপ-চুপে সোনালি খড়ের বোঝা বুকে–
যদিও মরেছে ঢের গন্ধর্ব, কিন্নর, যক্ষ, - তবু তার মৃত্যু নাই মুখে।‘

 আবার আসিব ফিরে

- জীবনানন্দ দাশ

আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে - এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় - হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।
হয়তো বা হাঁস হবো - কিশোরীর - ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলঙ্গীর ঢেউ এ ভেজা বাংলারি সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।
হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।
হয়তো শুনিবে এক লক্ষীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে।
হয়তো খৈয়ের ধান সরাতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে।
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদাছেঁড়া পালে
ডিঙ্গা বায় - রাঙ্গা মেঘে সাঁতরায়েঅন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে,
দেখিবে ধবল বক; আমারে পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।

 এই সব দিনরাত্রি

- জীবনানন্দ দাশ


মনে হয় এর চেয়ে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া ভালো।
এইখানে
পৃথিবীর এই ক্লান্ত এ অশান্ত কিনারা দেশে
এখানে আশ্চর্য সব মানুষ রয়েছে।
তাদের সম্রাট নেই, সেনাপতি নেই;
তাদের হৃদয়ে কোনো সভাপতি নেই;
শরীর বিবশ হলে অবশেষে ট্রেড-ইউনিয়নের
কংগ্রেসের মতো কোনো আশা-হতাশার
কোলাহল নেই।

অনেক শ্রমিক আছে এইখানে।
আরো ঢের লোক আছে
সঠিক শ্রমিক নয় তারা।
স্বাভাবিক মধ্যশ্রেণী নিম্নশ্রেণী মধ্যবিত্ত শ্রেনীর পরিধি থেকে ঝ’রে
এরা তবু মৃত নয়; অন্তবিহীন কাল মৃতবৎ ঘোরে।
নামগুলো কুশ্রী নয়, পৃথিবীর চেনা-জানা নাম এই সব।
আমরা অনেক দিন এ-সব নামের সাথে পরিচিত; তবু,
গৃহ নীড় নির্দেশ সকলই হারায়ে ফেলে ওরা
জানে না কোথায় গেলে মানুষের সমাজের পারিশ্রমিকের
মতন নির্দিষ্ট কোনো শ্রমের বিধান পাওয়া যাবে;
জানে না কোথায় গেলে জল তেল খাদ্য পাওয়া যাবে;
অথবা কোথায় মুক্ত পরিচ্ছন্ন বাতাসের সিন্ধুতীর আছে।

মেডিকেল ক্যাম্বেলের বেলগাছিয়ার
যাদবপুরের বেড কাঁচড়াপাড়ার বেড সব মিলে কতগুলো সব?
ওরা নয়ে—সহসা ওদের হয়ে আমি
কাউকে শুধায়ে কোনো ঠিকমতো জবাব পাইনি।
বেড আছে, বেশি নেইে—সকলের প্রয়োজনে নেই।
যাদের আস্তানা ঘর তল্পিতল্পা নেই
হাসপাতালের বেড হয়তো তাদের তরে নয়।
বটতলা মুচিপাড়া তালতলা জোড়াসাঁকোে—আরো ঢের ব্যার্থ অন্ধকারে
যারা ফুটপাত ধ’রে অথবা ট্রআমের লাইন মাড়িয়ে চলছে
তাদের আকাশ কোন্‌ দিকে?
জানু ভেঙে পড়ে গেলে হাত কিছুক্ষন আশাশীল
হয়ে কিছু চায়ে—কিছু খোঁজে;
এ ছাড়া আকাশ আর নেই।
তাদের আকাশ সর্বদাই ফুটপাতে;
মাঝে মাঝে এম্বুলেন্‌স্‌ গাড়ির ভিতরে
রণক্লান্ত নাবিকেরা ঘরে
ফিরে আসে
যেন এক অসীম আকাশে।

এ-রকম ভাবে চ’লে দিন যদি রাত হয়, রাত যদি হয়ে যায় দিন,
পদচিহ্নময় পথ হয় যদি দিকচিহ্নহীন,
কেবলই পাথুরেঘাটা নিমতলা চিৎপুরে—
খালের এপার-ওপার রাজাবাজারের অস্পষ্ট নির্দেশে
হাঘরে হাভাতেদের তবে
অনেক বেডের প্রয়োজন;
বিশ্রামের প্রয়োজন আছে;
বিচিত্র মৃত্যুর আগে শান্তির কিছুটা প্রয়োজন।
হাসপাতালের জন্য যাদের অমূল্য দাদন,
কিংবা যারা মরণের আগে মৃতদের
জাতিধর্ম নির্বিচারে সকলকেে—সব তুচ্ছতম আর্তকেও
শরীরের সান্ত্বনা এনে দিতে চায়,
কিংবা যারা এইসব মৃত্যু রোধ করে এক সাহসী পৃথিবী
সুবাতাস সমুজ্জ্বল সমাজ চেয়েছেে—
তাদের ও তাদের প্রতিভা প্রেম সংকল্পকে ধন্যবাদ দিয়ে
মানুষকে ধন্যবাদ দিয়ে যেতে হয়।
মানুষের অনিঃশেষ কাজ চিন্তা কথা
রক্তের নদীর মতো ভেসে গেলে, তারপর, তবু, এক অমূল্য মুগ্ধতা
অধিকার করে নিয়ে ক্রমেই নির্মল হতে পারে।

ইতিহাস অর্ধসত্যে কামাচ্ছন্ন এখনো কালের কিনারায়;
তবুও মানুষ এই জীবনকে ভালোবাসে; মানুষের মন
জানে জীবনের মানে : সকলের ভালো ক’রে জীবনযাপন।
কিন্তু সেই শুভ রাষ্ট্র ঢের দূরে আজ।
চারি দিকে বিকলাঙ্গ অন্ধ ভিড়ে—অলীক প্রয়াণ।
মন্বন্তর শেষ হলে পুনরায় নব মন্বন্তর;
যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে নতুন যুদ্ধের নান্দীরোল;
মানুষের লালসার শেষ নেই;
উত্তেজনা ছাড়া কোনো দিন ঋতু ক্ষণ
অবৈধ সংগম ছাড়া সুখ
অপরের সুখ ম্লান করে দেওয়া ছাড়া প্রিয় সাধ নেই।
কেবলই আসন থেকে বড়ো, নবতর
সিংহাসনে যাওয়া ছাড়া গতি নেই কোনো।
মানুষের দুঃখ কষ্ট মিথ্যা নিষ্ফলতা বেড়ে যায়।

মনে পড়ে কবে এক রাত্রির স্বপ্নের ভিতরে
শুনেছি একটি কুষ্ঠকলঙ্কিত নারী
কেমন আশ্চর্য গান গায়;
বোবা কালা পাগল মিনসে এক অপরূপ বেহালা বাজায়;
গানের ঝংকারে যেন সে এক একান্ত শ্যাম দেবদারুগাছে
রাত্রির বর্ণের মতো কালো কালো শিকারী বেড়াল
প্রেম নিবেদন করে আলোর রঙের মতো অগণন পাখিদের কাছে;
ঝর্‌ ঝর্‌ ঝর্‌
সারারাত শ্রাবণের নির্গলিত ক্লেদরক্ত বৃষ্টির ভিতর
এ পৃথিবী ঘুম স্বপ্ন রুদ্ধশ্বাস
শঠতা রিরংসা মৃত্যু নিয়ে
কেমন প্রদত্ত কালো গণিকার উল্লোল সংগীতে
মুখের ব্যাদান সাধ দুর্দান্ত গণিকালয়ে—নরক শ্মশান হল সব।
জেগে উঠে আমাদের আজকের পৃথিবীকে এ-রকম ভাবে অনুভব
আমিও করেছি রোজ সকালের আলোর ভিতরে
বিকেলে-রাত্রির পথে হেঁটে;
দেখেছি রাজনীগন্ধা নারীর শরীর অন্ন মুখে দিতে গিয়ে
আমরা অঙ্গার রক্ত: শতাব্দীর অন্তহীন আগুনের ভিতরে দাঁড়িয়ে।

এ আগুন এত রক্ত মধ্যযুগ দেখেছে কখনও?
তবুও সকল কাল শতাব্দীকে হিসেব নিকেশ করে আজ
শুভ কাজ সূচনার আগে এই পৃথিবীর মানবহৃদয়
স্নিগ্ধ হয়-বীতশোক হয়?
মানুষের সব গুণ শান্ত নীলিমার মতো ভালো?
দীনতা: অন্তিম গুণ, অন্তহীন নক্ষত্রের আলো।

 সময় সেতু পথে

 - জীবনানন্দ দাশ

 ভোরের বেলায় মাঠ প্রান্তর নীলকন্ঠ পাখি,
দুপুরবেলার আকাশে নীল পাহাড় নীলিমা,
সারাটি দিন মীনরৌদ্রমুখর জলের স্বর, -
অনবসিত বাহির-ঘরের ঘরণীর এই সীমা।
তবুও রৌদ্র সাগরে নিভে গেল;
বলে গেল : ‘অনেক মানুষ মরে গেছে'; ‘অনেক নারীরা কি
তাদের সাথে হারিয়ে গেছে?’ - বলতে গেলাম আমি;
উঁচু গাছের ধূসর হাড়ে চাঁদ না কি সে পাখি
বাতাস আকাশ নক্ষত্র নীড় খুঁজে
বসে আছে এই প্রকৃতির পলকে নিবড়ি হয়ে;
পুরুষনারী হারিয়ে গেছে শষ্প নদীর অমনোনিবেশে,
অমেয় সুসময়ের মতো রয়েছে হৃদয়ে ।

 যতিহীন

 - জীবনানন্দ দাশ

 বিকেলবেলা গড়িয়ে গেলে অনেক মেঘের ভিড়
কয়েক ফলা দীর্ঘতম সূর্যকিরণ বুকে
জাগিয়ে তুলে হলুদ নীল কমলা রঙের আলোয়
জ্বলে উঠে ঝরে গেল অন্ধকারের মুখে।
যুবারা সব যে যার ঢেউয়ে -
মেয়েরা সব যে যার প্রিয়ের সাথে
কোথায় আছে জানি না তো;
কোথায় সমাজ অর্থনীতি? - স্বর্গগামী সিড়ি
ভেঙে গিয়ে পায়ের নিচে রক্তনদীর মতো, -
মানব ক্রমপরিণতির পথে লিঙ্গশরীরী
হয়ে কি আজ চারি দিকে গণনাহীন ধুসর দেয়ালে
ছড়িয়ে আছে যে যার দ্বৈপসাগর দখল ক’রে!
পুরাণপুরুষ, গণমানুষ, নারীপুরুষ, মানবতা, অসংখ্য বিপ্লব
অর্থবিহীন হয়ে গেলে―তবু আরেক নবীনতর ভোরে
সার্থকতা পাওয়া যাবে ভেবে মানুষ সঞ্চারিত হয়ে
পথে পথে সবের শুভ নিকেতনের সমাজ বানিয়ে
তবুও কেবল দ্বীপ বানাল যে যার নিজের অবক্ষয়ের জলে।
প্রাচীন কথা নতুন ক’রে এই পৃথিবীর অনন্ত বোনভায়ে।
ভাবছে একা একা ব’সে
যুদ্ধ রক্ত রিরংসা ভয় কলরোলের ফাঁকে:
আমাদের এই আকাশ সাগর আঁধার আলোয় আজ
যে দোর কঠিন; নেই মনে হয়; - সে দ্বার খুলে দিয়ে
যেতে হবে আবার আলোয় অসার আলোর ব্যসন ছাড়িয়ে।

 অনেক নদীর জল

 - জীবনানন্দ দাশ

 অনেক নদীর জল উবে গেছে  -
ঘর বাড়ি সাঁকো ভেঙে গেল;
সে-সব সময় ভেদ ক’রে ফেলে আজ
কারা তবু কাছে চলে এল ।
যে সূর্য অয়নে নেই কোনো দিন,
- মনে তাকে দেখা যেত যদি -
যে নারী দেখে নি কেউ — ছ-সাতটি তারার তিমিরে
হৃদয়ে এসেছে সেই নদী ।
তুমি কথা বল - আমি জীবন-মৃত্যুর শব্দ শুনি :
সকালে শিশিরকণা যে-রকম ঘাসে
অচিরে মরণশীল হয়ে তবু সূর্যে আবার
মৃত্যু মুখে নিয়ে পরদিন ফিরে আসে।
জন্মতারকার ডাকে বারবার পৃথিবীতে ফিরে এসে আমি
দেখেছি তোমার চোখে একই ছায়া পড়ে :
সে কি প্রেম? অন্ধকার? - ঘাস ঘুম মৃত্যু প্রকৃতির
অন্ধ চলাচলের ভিতরে ।
স্থির হয়ে আছে মন; মনে হয় তবু
সে ধ্রুব গতির বেগে চলে,
মহা-মহা রজনীর ব্রহ্মান্ডকে ধরে;
সৃষ্টির গভীর গভীর হংসী প্রেম
নেমেছে  -এসেছে আজ রক্তের ভিতরে ।
‘এখানে পৃথিবী আর নেই - ’
ব’লে তারা পৃথিবীর জনকল্যাণেই
বিদায় নিয়েছে হিংসা ক্লান্তির পানে;
কল্যাণ কল্যাণ; এই রাত্রির গভীরতর মানে।
শান্তি এই আজ;
এইখানে স্মৃতি;
এখানে বিস্মৃতি তবু; প্রেম
ক্রমায়াত আঁধারকে আলোকিত করার প্রমিতি ।


চারিদিকে প্রকৃতির

  - জীবনানন্দ দাশ

 চারিদিকে প্রকৃতির ক্ষমতা নিজের মতো ছড়ায়ে রয়েছে।
সূর্য আর সূর্যের বনিতা তপতী—
মনে হয় ইহাদের প্রেম
মনে ক’রে নিতে গেলে, চুপে
তিমিরবিদারী রীতি হয়ে এরা আসে
আজ নয়—কোনো এক আগামী আকাশে।
অন্নের ঋণ,বিমলিন স্মৃতি সব
বন্দরবস্তির পথে কোনো এক দিন
নিমেষের রহস্যের মতো ভুলে গিয়ে
নদীর নারীর কথা—আরো প্রদীপ্তির কথা সব
সহসা চকিত হয়ে ভেবে নিতে গেলে বুঝি কেউ
হৃদয়কে ঘিরে রাখে, দিতে চায় একা আকাশের
আশেপাশে অহেতুক ভাঙা শাদা মেঘের মতন।
তবুও নারীর নাম ঢের দূরে আজ,
ঢের দূরে মেঘ;
সারাদিন নিলেমের কালিমার খারিজের কাজে মিশে থেকে
ছুটি নিতে ভালোবেসে ফেলে যদি মন
ছুটি দিতে চায় না বিবেক।
মাঝে মাঝে বাহিরের অন্তহীন প্রসারের
থেকে মানুষের চোখে-পড়া-না-পড়া সে কোনো স্বভাবের
সুর এসে মানবের প্রাণে
কোনো এক মানে পেতে চায়:
যে-পৃথিবী শুভ হতে গিয়ে হেরে গেছে সেই ব্যর্থতার মানে।
চারিদিকে কলকাতা টোকিয়ো দিল্লী মস্কৌ অতলান্তিকের কলরব,
সরবরাহের ভোর,
অনুপম ভোরাইয়ের গান;
অগণন মানুষের সময় ও রক্তের যোগান
ভাঙে গড়ে ঘর বাড়ি মরুভূমি চাঁদ
রক্ত হাড় বসার বন্দর জেটি ডক;
প্রীতি নেই—পেতে গেলে হৃদয়ের শান্তি স্বর্গের
প্রথম দুয়ারে এসে মুখরিত ক’রে তোলে মোহিনী নরক।
আমাদের এ পৃথিবী যতদূর উন্নত হয়েছে
ততদূর মানুষের বিবেক সফল।
সে চেতনা পিরামিডে পেপিরাসে-প্রিন্টিং-প্রেসে ব্যাপ্ত হয়ে
তবুও অধিক আধুনিকতর চরিত্রের বল।
শাদাসিদে মনে হয় সে সব ফসল:
পায়ের চলার পথে দিন আর রাত্রির মতন—
তবুও এদের গতি স্নিগ্ধ নিয়ন্ত্রিত ক’রে বার বার উত্তরসমাজ
ঈষৎ অনন্যসাধারণ।

স্বপ্ন

   - জীবনানন্দ দাশ

 পান্ডুলিপি কাছে রেখে ধূসর দীপের কাছে আমি
নিস্তব্ধ ছিলাম ব'সে;
শিশির পড়িতেছিলো ধীরে-ধীরে খ'সে;
নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি

উড়ে গেলো কুয়াশায়,  - কুয়াশার থেকে দূর-কুয়াশায় আরো।
তাহারি পাখার হাওয়া প্রদীপ নিভায়ে গেলো বুঝি?
অন্ধকার হাৎড়ায়ে ধীরে-ধীরে দেশলাই খুঁজি;
যখন জ্বালিব আলো কার মুখ দেখা যাবে বলিতে কি পারো?

কার মুখ? —আমলকী শাখার পিছনে
শিঙের মত বাঁকা নীল চাঁদ একদিন দেখেছিলো তাহা;
এ-ধূসর পান্ডুলিপি একদিন দেখেছিলো, আহা,
সে-মুখ ধূসরতম আজ এই পৃথিবীর মনে।

তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,
পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,
মানুষ র'বে না আর, র'বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ
সেই মুখ আর আমি র'বো সেই স্বপ্নের ভিতরে।

 সূর্যতামসী


   - জীবনানন্দ দাশ

কোথাও পাখির শব্দ শুনি;
কোনো দিকে সমুদ্রের সুর;
কোথাও ভোরের বেলা র'য়ে গেছে - তবে।
অগণন মানুষের মৃত্যু হ'লে - অন্ধকারে জীবিত ও মৃতের হৃদয়
বিস্মিতের মতো চেয়ে আছে;
এ কোন সিন্ধুর সুর:
মরণের - জীবনের?
এ কি ভোর?
অনন্ত রাত্রির মতো মনে হয় তবু।
একটি রাত্রির ব্যথা সয়ে -
সময় কি অবশেষে এ-রকম ভোরবেলা হয়ে
আগামী রাতের কালপুরুষের শস্য বুকে ক'রে জেগে ওঠে?
কোথাও ডানার শব্দ শুনি;
কোন দিকে সমুদ্রের সুর -
দক্ষিণের দিকে,
উত্তরের দিকে,
পশ্চিমের পানে?

সৃজনের ভয়াবহ মানে;
তবু জীবনের বসন্তের মতন কল্যাণে
সূর্যালোকিত সব সিন্ধু-পাখিদের শব্দ শুনি;
ভোরের বদলে তবু সেইখানে রাত্রি করোজ্জ্বল
ভিয়েনা, টোকিও, রোম, মিউনিখ - তুমি?
সার্থবাহ, সার্থবাহ, ওইদিকে নীল
সমুদ্রের পরিবর্তে আটলাণ্টিক চার্টার নিখিল মরুভূমি!
বিলীন হয় না মায়ামৃগ - নিত্য দিকদর্শিন;
যা জেনেছে - যা শেখেনি -
সেই মহাশ্মশানের গর্ভাঙ্কে ধূপের মত জ্ব'লে
জাগে না কি হে জীবন - হে সাগর -
শকুন্ত-ক্রান্তির কলরোলে।

  একটি নক্ষত্র আসে


  - জীবনানন্দ দাশ

একটি নক্ষত্র আসে; তারপর একা পায়ে চ'লে
ঝাউয়ের কিনার ঘেঁষে হেমন্তের তারাভরা রাতে
সে আসবে মনে হয়; - আমার দুয়ার অন্ধকারে
কখন খুলেছে তার সপ্রতিভ হাতে!
হঠাৎ কখন সন্ধ্যা মেয়েটির হাতের আঘাতে
সকল সমুদ্র সূর্য সত্বর তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাত্রি হতে পারে
সে এসে এগিয়ে দেয়;
শিয়রে আকাশ দূর দিকে
উজ্জ্বল ও নিরুজ্জ্বল নক্ষত্র গ্রহের আলোড়নে
অঘ্রানের রাত্রি হয়;
এ-রকম হিরন্ময় রাত্রি ইতিহাস ছাড়া আর কিছু রেখেছে কি মনে।

শেষ ট্রাম মুছে গেছে, শেষ শব্দ, কলকাতা এখন
জীবনের জগতের প্রকৃতির অন্তিম নিশীথ;
চারিদিকে ঘর বাড়ি পোড়ো-সাঁকো সমাধির ভিড়;
সে অনেক ক্লান্তি ক্ষয় অবিনশ্বর পথে ফিরে
যেন ঢের মহাসাগরের থেকে এসেছে নারীর
পুরোনো হৃদয় নব নিবিড় শরীরে।

  হায় চিল


   - জীবনানন্দ দাশ

হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে-উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!
তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে!
পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে
বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!
হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর উড়ে-উড়ে কেঁদো নাকো ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!

  স্বভাব

    - জীবনানন্দ দাশ

 যদিও আমার চোখে ঢের নদী ছিলো একদিন
পুনরায় আমাদের দেশে ভোর হ'লে,
তবুও একটি নদী দেখা যেতো শুধু তারপর;
কেবল একটি নারী কুয়াশা ফুরোলে
নদীর রেখার পার লক্ষ্য ক'রে চলে;
সূর্যের সমস্ত গোল সোনার ভিতরে
মানুষের শরীরের স্থিরতর মর্যাদার মতো
তার সেই মূর্তি এসে পড়ে।
সূর্যের সম্পূর্ণ বড় বিভোর পরিধি
যেন তার নিজের জিনিস।
এতদিন পরে সেইসব ফিরে পেতে
সময়ের কাছে যদি করি সুপারিশ
তা'হলে সে স্মৃতি দেবে সহিষ্ণু আলোয়
দু-একটি হেমন্তের রাত্রির প্রথম প্রহরে;
যদিও লক্ষ লোক পৃথিবীতে আজ
আচ্ছন্ন মাছির মত মরে -
তবুও একটি নারী 'ভোরের নদীর
জলের ভিতরে জল চিরদিন সূর্যের আলোয় গড়াবে'
এ রকম দু-চারটে ভয়াবহ স্বাভাবিক কথা
ভেবে শেষ হ'য়ে গেছে একদিন সাধারণভাবে।

মহানগরী খানছা -ইবনে বতুতার রোমঞ্চকর অভিযান

ইবনে বতুতার  রোমঞ্চকর অভিযান

মহানগরী খানছা

চীনের কালান থেকে চৌদ্দ দিন পর জয়তুনে ফিরে আসলাম।শুনলাম খানের ফরমান এসে পৌঁছেছে ।ফরমানে আমাদেরকে রাজকীয় মেহমান হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং নদী পথে বা সড়ক পথে যেখান দিয়ে খুশী খানবালিপে যেতে পারব।চীনের বিখ্যাত আবেহায়াত নদী পথেই যাব ঠিক করলাম।
আমাদের যাত্রার জন্য খানের পক্ষ থেকে রাজকীয় নৌকা সজ্জিত করা হলো।প্রয়োজনীয় লোকজনও সাখে দেয়া হলো ।শাহী মেহমান হিসাবে আমরা যাত্রা করলাম এবং দশ দিন পর গাঞ্জালফু নামে এক শহরে এসে পৌঁছলাম।শহরটি বেশ বড় এবং চারটি দূর্গ দ্বারা বেষ্টীত।
গাঞ্জালফুতে পনেরো দিন থেকে আবার আমরা রওয়ানা হলাম এবং নদীপথে চার দিন পর‘বাইওয়াম কুতলু’পৌঁছলাম এরং সেখান থেকে আরোও সতেরো দিন পর খানচা হ্যাংচৌ শহরে এসে পৌঁছলাম।
দুনিয়াতে যতো শহর দেখেছি তার মধ্যে সবচেয়ে বড় শহর হলো এই খানচা হ্যাংচৌ শহর।শহরটি ঘুরে আসতে তিনি দিন লাগে।চীনের অন্যান্য শহরের মতো এখানেও ঘরবাড়ীর সাথে বাগ-বাগিচা রয়েছে।আসলে ছয়টি উপশহর মিলে খানছা মহানগরী গড়ে উঠেছে ।প্রতিটি উপশহর আলাদা আলাদা দূর্গদ্বারা বেষ্টিত।
শহরে পৌঁছে দেখলাম ওখানকার কাজী ফখরদ্দীন ও শেখুল ইসলাম সহকারে খানছার বিশিষ্ট ব্যক্তি ওসমান বিন আরফান মিশরীয় বংশের সন্তানদের নিয়ে ঢোল তবলা ও বাঁশি  বাঁজিয়ে সাদা নিশান উড়িয়ে এসে আমাদের স্বাগত জানালেন।শহরের আমীরও স্বাগত জানালেন।শহরের আমীরও আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে দলবল নিয়ে এলেন।
খানছার ছয়টি উপশহরই আবার একটি বড় দূর্গ দ্বারা ঘেরা।প্রথম উপশহরে প্রহরীরা বসবাস করে।কাজীর কাছে শুনলাম এই প্রহরীদের সংখ্যা প্রায় বারো হাজার।এখানে পৌঁছতে আমাদের রাত হয়ে যায়।তাই প্রহরীদের অধিনায়কের বাড়ীতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
পরদিন আমরা  দ্বিতীয় শহরে গেলাম।এখানকার ইহুদী দরজা দিয়ে এই উপশহরে প্রবেশ করলাম।এই শহরে ইহুদী খিষ্টান সূর্যপূজারী তুর্কীরা বসবাস করে।রাতে এখানকার আমীরের বাড়ীতে আমরা মেহমান হলাম।পরদিন তৃতীয় উপশহরে ডুকলাম।এটি মুসলমানদের এলাকা।এখানে অনেক বাজার ও কয়েকটি মসজিদও রয়েছে।আমরা যখন প্রবেশ করি তখন মোয়াজ্জিনরা যোহরের আযান দিচ্ছিল।এই শহরের  মিশরীয় খানদানের ওসমান নামের এক লোকের বাড়ীতে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হলো।এখানে পনেরো দিন ছিলাম।প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন বাড়ীতে দাওয়াত করা হয়েছে ।এখানে থাকতেই প্রতিদিন ঘোড়ায় চড়ে আমি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছি।।

Monday, October 5, 2015

Tom and Jerry Beach টম এন্ড জেরী


ভারতীয় ছায়াছবির হিন্দি জনপ্রিয় গান


নেপাল এর গান


ভূটানের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে একটি ভূটানী গান।


চীনের শিকল পরা গোলাম -ইবনে বতুতা

ইবনে বতুতার রোমঞ্চকর অভিযান
 চীনের শিকল পরা গোলামের কথা!

চীন দেশীয় এই খানছার চতুর্থ অংশে বয়ে গেছে তিনটি নহর।এদের মধ্যে রয়েছে তিনটি শাখা নদী।ছোট ছোট নৌকা চলাচল করে নদী গুলোতে।জনগণ তাদের প্রয়োজনীয় সদাইপাতি ও কয়লা জাতীয় জ্বালানী  পাথর আনা নেওয়া করে।এই নদীতে অনেক বিলাসী বিনোদন নৌকাও চলাচল করতে দেখলাম।
খানছার এই অংশের মাঝখানে রয়েছে বিশাল এক দূর্গ।এখানে কাজ করে হাজার হাজার দক্ষ কারিগর।কারিগররা এখানে শূল্যবান কাপড় বোনে আর যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরী করে।আমির কুরতাইয়ের কাছে শুনেছি এই দূর্গে এক হাজার ছয়শত ওস্তাদ কারিগর রয়েছে।প্রত্যেকের অধীনে আবার তিন বা চার জন করে শিক্ষানবীশ কাজ করছে।এরা সবাই খানের গোলামদের অন্তর্ভূক্ত ।তাদের পায়ে লোহার শিকল পরানো।এরা শহরের বাজারগুলোতে যেতে পারে, তবে শহরের ফটকের বাহিরে যাওয়ার অনুমতি নেই।প্রতিদিন একশো দলে বাগ হয়ে এদেরকে আমির কুরতাইয়ের সামনে হাজিরা দিতে হয়।
নিয়ম হলো দশ বছর কাজ করার পর গোলামদের পা হতে শিকল খুলে দেয়া হয় তাদের স্বাধীনতা দেয়া হয় তারা চীনের যে কোন যায়গায় মুক্ত জীবন যাপন করতে পারবেন।তবে খানের সাম্রাজ্যের বাহিরে যেতে পারবেন না।অথবা ইচ্ছে থাকলে আগের কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবেন,পায়ে শিকল না পরেই এজন্য তারা অতিরিক্ত বেতন ভাতা পাবেন।এভাবে এসব গোলামদের বয়স যখন পঞ্চাশ বছর হবে তখন তাদের অন্য কোন কাজও করতে হয় না।তখন সরকারী তহবিল হতে উপযুক্ত অবসর ভাতা দেয়া হয়।
এছাড়া রাজ্যের অন্যান্য কর্মচারীরার পঞ্চাশ বছর হলে অবসর নেন এবং সরকার হতে উপযুক্ত ভাতা পান।ষাট বছর বয়স হলে তাঁদেরকে সকল প্রকার আইনী শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া হয়।তখন তাঁদেরকে শিশুর মতো নিষ্পাপ গণ্য করা হয়।চীনে এই ধরণের বয়স্ক লোকেরা খুবিই সম্মানীত।তাঁদেরকে জনসাধারণ‘আতা’ বা পিতা বলে সম্বোধন করেন।

ট্রেন -শামসুর রাহমান


Saturday, October 3, 2015

প্রেমের সময় বয়স

প্রেমের সময় বয়স

জীবনে সবাই কারো না কারো প্রেমে পড়েন। অনেকের ভাগ্যে এমনও হয়, কাউকে দারুণ ভালোবেসেও তাকে বোঝাতেই পারেন না মনের কথা। কাউকে পছন্দ হয়ে গেলে তার মনোযোগ কেড়ে নেওয়াটা জরুরি হয়ে ওঠে। প্রেম নিবেদনকে তৃপ্তিদায়ক ও সর্বাধিক উপভোগ্য করতে হলে আবেগের প্রদর্শন ও সুযোগের সদ্ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. কেলি তার গবেষণায় বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা অর্পণ সফল করতে হলে সময়জ্ঞানটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
গবেষনায় প্রকাশ পেয়েছে, মানবদেহ পরিচালিত হয় ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ দ্বারা। সূর্যের আলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে আমাদের দেহ এই ছন্দ মেনে চলে। ঘুম এবং যৌনতার সঠিক সময় বের করতে পারলে উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক তৃপ্তি মিলতে পারে। বয়সের সঙ্গেও সার্কাডিয়ান রিদম বদলাতে থাকে। এসব বিষয়ের সঠিক সমন্বয় করতে হয়। বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, বয়সের সঙ্গে প্রেম নিবেদনের সঠিক সময়ের কথা।
.বিশের কোঠায় যাদের বয়স, দিনের যেকোনো সময় তাদের দেহ যৌন চাহিদা অনুভব করতে পারে। ড. কেলি বলেন, এ বয়সীরা যেকোনো সময় সঙ্গী-সঙ্গিনীর সাথে অন্তরঙ্গ হতে পারেন। এ বয়সীরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাত ১টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ায় সর্বাধিক উপকার পাবেন।
.ত্রিশের কোঠা প্রেম ও সেক্স করার স্বর্ণসময়। সূর্যের আলো দেহে টেসস্টোটেরন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। এ বয়সীদের দেহঘড়ি তাদের সকালে জাগিয়ে তোলে। তাদের রাত ৮টার দিকে ডিনার সেরে ফেলা ভালো। মধ্যরাত তাদের বিছানায় যাওয়ার সেরা সময়।
.চল্লিশের কোঠায় যারা আছেন, তাদের জন্যে প্রেম নিবেদনের সেরা সময় রাত ১০টা ২০ মিনিট। গোটা দিন পেরিয়ে এ সময়টাতেই দেহে সর্বাধিক পরিমাণ অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে দেহ অনেক শান্ত ও স্থিত হয়ে আসে। মধ্যরাতের আগেই তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে পারে। ঘুম থেকে ওঠার আদর্শ সময় হবে সকাল ৭টা ৫০ মিনিট।
.পঞ্চাশের কোঠায় বিকেলেই সেক্স সবচেয়ে উপভোগ্য হতে পারে। সকালের ব্যস্ত সময় শুরু হওয়ার জন্যে এ বয়সীদের রাত সাড়ে ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত।
.ষাট বছরে যারা পা রেখেছেন তাদের জন্যে রাত ৮টা উত্তেজনাকর মুহূর্ত হতে পারে। এ বয়সে রাত ১০টার দিকে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এটি ঘুমকে গভীর করে। তাই তাদের সাড়ে ৬টার দিকে ডিনারের কাজ সেরে ফেলা উত্তম।
.সত্তর বছর বয়সে সেক্স মানুষকে তৃপ্তিদায়ক ঘুম ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে পারে। এ বয়সীরা ঘুমের মাঝে বার বার জেগে যেতে পারেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিছানায় গা এলিয়ে দিতে হবে। এদের সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাস্তা করা উচিত। দুপুর শুরু হতেই লাঞ্চ করাটা স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো।

- এ ওয়ান নিউজ

Adobe Photoshop দিয়ে ছবি রিসাইজ করা

ওয়েব পেজ দ্রুত লোড করার পদ্ধতি এবং  Adobe Photoshop দিয়ে ছবি রিসাইজ করা।
সকলকে সালাম ও সুভেচ্ছা।আশা করি ভাল আাছেন।
আপনার একটি ওয়েব পেজ আছে।আপনি আপনার লেখার গুনগত মানে সন্তোষ্ট হল্ওে ভিজিটর তেমন আপনার ওয়েব পেজে বা আপনার ব্লগে তেমন আসেন না ।তার একমাত্র কারণ হতে পারে আপনার ওয়েব পেজটি দ্রুত লোড হয় না।এমতাবস্থায় আপনার ওয়েব পেজটির স্পিড কেমন তা জানতে হলে Google page Speed এ চেক করুন।যদি আপনার ওয়েব পেজটি স্লো হয় বা সমস্যা দেখায় ,তবে নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় এডিট করে আপনার ওয়েব পেজটিকে দ্রুত করতে পারবেন।

ওয়েবপেজ দ্রুত লোড না হওয়ার আরেকটি প্রধাণ কারণ ছবি রিসাইজ না করে পোষ্ট করা। Adobe Photoshop দিয়ে ছবি  সহজেই  রিসাইজ করা যায় ।
 Adobe Photoshop দিয়ে কিভাবে ছবি রিসাইজ করা যায় ?
তা জানতে হলে ভিডিওটি দেখুন ।

আশা করি এখন বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ।

Another main cause of the webpage does not load quickly resize images to the post. You can easily resize photos with Adobe Photoshop. With Adobe Photoshop to resize?
Watch the video to find out how.


I hope you understand now.
Thanks.

Friday, October 2, 2015

লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস Free Antivirus

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের জানাব কিভাবে লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস(Free Antivirus) নেট হতে সংগ্রহ করা যায়।

সকল কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টি ভাইরাস(Free Antivirus) প্রয়োজন হয়।
এছাড়া কাম্পউটার চালনায় অন্যান্য লেটেষ্ট ভার্সন  প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারও প্রয়োজন হয়।নতুন ব্যবহারকারীরা অনেকের কাছে ওয়েব সাইট ঘেটে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি খুঁজে পেতে সমস্যা হয় বা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।
যদি সহজেই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি পাওয়া যায় তাহলো তো খুব ভাল হয়।
তাই আজকে আপনাদেরকে কিভাবে সহজেই লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস(Free Antivirus) সহ অন্যান্য সফটওয়্যার পওয়া যায় ,তার উপায় বাতলে দিব।
এখন নিম্নের নিদেশনা অনুস্মরণ করুন।তাহলে সহজেই আপনি অাপনার কাঙ্খিত লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস (Free Antivirus) অথবা প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি পাবেন।
প্রথমে এখানে ক্লিক করুন।
নিচের ছবির মতো প্রদর্শিত হবে।



অাপনার কাঙ্খিত লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস (Free Antivirus) অথবা প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি পাবেন।

সফটওয়্যারের সিরিয়াল কী বা সফটওয়্যারটি কিভাবে ফুল ভার্সন  করা যায় তা জানতে হলে এখানে ক্লিক করুন।
ধন্যবাদ।।

কান্ডারী হুশিয়ার! – কাজী নজরুল ইসলাম Kandari warned! - Kazi Nazrul Islam


দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!
দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।
তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্তর সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।
অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃ মুক্তিপন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার
গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যাজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!
কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।
ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!


Kandari warned! - Kazi Nazrul Islam


Giri impassable, Deep-desert, ocean dustara

Will langhite night-night, warn the passengers!

Duliteche vegetable, phuliteche water, bhuliteche Waterman Way,

Chimriyache Pal, who shall be on the helm, there is himmat?

If you are a young man hamkiche advancing the future.

The heavy storm, will have to travel, to take the boat over.

Whale night matrmantri santrira careful!

Age-era campaign ghosiyache accumulated pain.

Seethe up Huff denied accumulated in the chest,

These will take you on the way, to the right.

Mariche helpless race to the bottom, do not know santarana

Kandari! Today dekhiba ransom your mother.

They Hindu or Muslim? The jijnase any ideas?

Kandari! Ball, dubiche people, children, my mother,

Giri crisis, cowardly passengers garajaya lightning guru,

The backward path as passengers wonders today!

Kandari! You have forgotten the way? What tyajibe middle path?

The dash, but would have been right, that mahabhara niyacha!

Kandari! Thy before the wilderness of Plassey,

Clive's bloody red horizon of the yetha hanjar!

Oh dubiyache the Ganges, India Shut up!

The company raniya punarbara udibe amaderi murderous.

Who was sentenced to death on stage to sing the joy of life,

Damrayeche they come invisibly, what would sacrifice

Test today, race or caste shall relief?

Duliteche boat, phuliteche water kandari warned!

Thursday, October 1, 2015

Wife gift to a friend বন্ধুকে বউ উপহার

Wife gift to a friend
Farman Ali, the two wives of Maulvi kulaura prthimapasara.
Masuk dear friend Mia's wife left the house and gone Affair involved.
Farman Ali was a friend of trouble, trouble.
 So sorry to ease his friend's wife gave one to a friend.
 Farman Ali, a resident of a slum in the nursery owner manachara karmadha Union (52) and kulaura municipality of jayapasa Masuk Mia (37) days from the deep friendly relationship between.
Masuk Mia's wife, three daughters and a son a few days ago, the love affair with the drawn-in boyfriend fled.

Farman Ali, the wife of his friend struck a responsive chord, Friend grief sad Farman Ali. Farman Ali, the wife of the house. He was pleased with the wife is a gift to a friend. Such a desire, as he implemented.

Rabirabajarastha prthimapasa union office on Tuesday night, Dr. Farman Ali nuretuna his second wife, Begum (3) is not divorced. 0 of 4 witnesses after he and a friend set Masuk Kabir Mia nuretuna money to marry the queen.

Masuk with new wife Mia has jayapasastha home.
Masuk Mia manatalaya domicile in Habiganj. The rickshaw driver by profession.




বন্ধুকে বউ উপহার !
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশার ফরমান আলীর নিজের ঘরে রয়েছে  দুজন স্ত্রী। আর প্রিয়তম বন্ধু মাসুক মিয়ার  স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে ঘর ছেড়েছে।
বন্ধুর কষ্টে সহমর্মিত ফরমান আলী । তাই বন্ধুর দুঃখ লাঘবে নিজের এক বউকে তুলে দিলেন বন্ধুর হাতে।

 কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া বস্তির বাসিন্দা নার্সারি মালিক ফরমান আলী ওরফে বৈজ্ঞানিক (৫২) ও কুলাউড়া পৌরসভার জয়পাশা এলাকার মাসুক মিয়া (৩৭)-এর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
কিছুদিন আগে মাসুক মিয়ার স্ত্রী তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে পরকীয়া প্রেমের টানে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়।

আর বন্ধুর বউয়ের এ বিষয়টি ফরমান আলীর মনে দাগ কাটে,বন্ধুর দু:খিত হয় ফরমান আলী। ফরমান আলীর ঘরে দুই বউ । তিনি মনস্থ করলেন এক বউকে উপহারস্বরূপ বন্ধুকে দিয়ে দেবেন। যেমন ইচ্ছা, তেমনি বাস্তবায়নও করলেন তিনি।

গত মঙ্গলবার রাতে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজারস্থ কাজী অফিসে গিয়ে ফরমান আলী তার ২য় স্ত্রী নূরেতুন বেগম (৩২) কে তালাক দেন। পরে তিনিসহ ৪ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ২০ হাজার টাকা কাবিন ধার্য করে বন্ধু মাসুক মিয়ার সঙ্গে নূরেতুন বেগমের বিয়ে দিয়ে দেন।

নতুন বউকে নিয়ে মাসুক মিয়া তার জয়পাশাস্থ বাড়িতে উঠেছেন। মাসুক মিয়ার স্থায়ী নিবাস হবিগঞ্জের মনতলায়। পেশায় তিনি রিকশাচালক।



Google Online Security Blog: HTTPS support coming to Blogspot

Google Online Security Blog: HTTPS support coming to Blogspot

Pigeon speech bak bakum -বাক বাকুম পায়রা

Pigeon speech bak bakum
With the tire
Tomorrow harness bride
Sedan will be with gold.
 Sedan to the village Wien-
 Six carriers foot three .
 Pigeon speech sound bakum bak
 Three carriers bald head.
 Bak bakum kum bak kum!
Six carriers could sleep .
Stopped them, shouting orders
  Pigeon speech sound bakum bak
 Six bearer is stumbling
Where pigeons can fly?

Wednesday, September 30, 2015

দিন যায় কথা থাকে Din Jay Kotha Thake



দিন যায় কথা থাকে
Din Jay Kotha Thake

দিন যায় কথা থাকে
সে যে কথা দিয়ে রাখলো না
চলে যাবার আগে ভাবলো না
সেকথা লেখা আছে বুকে।
সে কথা নয়নে আগুন-আল্পনা আঁকে
স্মৃতির পাপিয়া “চোখ গেলো” বলে ডাকে
সে জ্বালা-যন্ত্রণা কাউকে বোলবো না,
বলবো আছি কী যে সুখে।।
মনপাখি তুই থাকরে খাঁচায় বন্দী,
আমি তো করেছি দুঃখের সঙ্গে সন্ধি।
কি আছে পাওনা, তার কাছে দেনা
যাক সে হিসাব চুকে।।

 শিল্পীঃ সুবীর নন্দী,কনকচাঁপা ও কিশোর
  বছরঃ১৯৭৯

If the day of the
He's not that bad with words
No thought had gone before
The keeper's chest.
Tonight he draws fire-Alpana
In memory of the Nightingale "was eye" call       
He is one of bolabo not irritated,
What I am happy to say that ..
You Thackeray manapakhi cage,
I've already come to terms with grief.
What owe a debt to him
He said he Chuke account ..

  Singer- Subir Nandi, kanakacampa
and Kishor

তোমার লাগিয়া রে সদাই প্রাণ আমার কান্দে রে

তোমার লাগিয়া রে
সদাই প্রাণ আমার কান্দে বন্ধুরে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
নিদয় নিঠুর রে বন্ধু
তুই তো কূল নাসা।
(আমায়) ফাঁকি দিয়ে ফেলে গেলি রে বন্ধু।
না পুড়াইলি আশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
আগে যদি জানতাম রে বন্ধু
তোর বাড়ি নৈরাশা।
(ও তুই) না জেনে পীড়িতের রীতি রে বন্ধু।
ঘটাইলি দুর্দশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
হৃদয় চিড়িয়া রে দিতাম হৃদয়তে বাসা।
(আমি) তোমায় দেখে স্বাধ মিটাইতাম রে বন্ধু।
খেলতাম প্রেমের পাশা রে বন্ধু
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।

শিল্পীঃ আব্দুল আলীম ,নীনা হামিদ ও রিমি
সুরকারঃ পাওয়া যায় নি
গীতিকারঃকানাই লাল সেন
পল্লীগীতি
Your stick Ray
My soul is always bandhure kande
Kalia Ray soul friend ..
Ray nidaya nithura friend
You are NASA shore.
(Me) out of the stall friend Ray m.
Do not expect a friend Ray puraili
Kalia Ray soul friend ..
Before you knew rays friend
Gloominess your home.
(And you) have not ridden friend Ray genre.
Ray ghataili teen friend
Kalia Ray soul friend ..
Ray heart would hrdayate trip home.
(I) at you mitaitama sbadha friend Ray.
Love played dice rays friend
Kalia Ray soul friend ..

Silpih Abdul Alim, nina Hamid and Rimi
Surakarah found
Gitikarahkanai red Sen
Folk song

Invitation Jasim Uddin- পল্লী কবি পল্লী কবি জসীমউদ্দীন এর কবিতা ‘নিমন্ত্রণ’

Invitation

Jasim Uddin
 
Can you brother - with my will, our small village,

Flourished in the shade of the trees on the forest op apathetic;

I felt sorry for Maya jarajari

More gehakhani are ornaments,

Bukete mother, sister and feet, dear brother, chaya,

Can you brother - with my will, our small village,

Small gamokhani small river runs through admire side,

Black water near his eye majiyache whoever crow;

Boat tied to the brink of the water

Let the news sprawl;

Binasuti wreath gathiche nitui side with citizens;

Right away aniche tatera two curved trap.

You can be my brother, the small village that Kajol,

Let's banana forest intimately; Taya has shut it.

Headphones accelerates pathway sutaya

Pathikere aniche far away,

Forest air, shade, shall hold Taya,

Bukakhani give his full understanding, compassion and mercy!

You can be my brother - the soft grass of the plate

Cambana aim adharakhanite layo niralate table.

Telakuca - Trailer neck, sleeves

Take a lump filled bucolic fringe,

Hethaya aye, you're feeling wild birds,

You see your body rankhani their legs.

If you go into our village, I'm with

He went to the other side of the river with a boat pier.

The field is called to shepherd

Do you give in to the Teleport

Kuriiya continually build our buildings caught in the daytime,

Forget the fake city truly build our city.

If you go - there you see in pea vine,

Beans and lima beans - hands down there with baraile up.

If he is to you - all kuraye

Poraye poraye straw fire,

And as gemdho eat - farmers called invitation,

Bilaiba it up and laughed and laughed, the two up.

If you go - kuraye water lilies, very - very large,

A person who has seen the build wreath,

Karen will not, if you want

Well, it does not give it,

Malatire you lay down, but he's tough,

Paraba evil guys and take by force;

Even going back to the house, the mother wants to bakite,

Some of the seed so that the plan can be happy with him!

Red aloyane up dungcake

Will be bound by the

If you want to get up or not getting a gift from his mind,

I will tell - will bring many Taya kalike matarera spinach.

Get up very early to be doing, suyyi Before,

Karen kabi do not belong to anybody words dekhis feet
Can you brother - with my will, our small village,

Flourished in the shade of the trees on the forest op apathetic;

are involved in tender compassion
My body is full of love

The love of a mother, sister and brother's affection

Can you brother - with my will, our small village,

The small village- small river runs through admire side,

Black water has her beautiful eyes like a crow;
Boat tied to the brink of the water

Let the news sprawl;

There is constant communication with citizens beyond;
There are two main indiscriminate hanging banyan tree

Will you come to my brother, the small beautiful village,


Let's banana forest intimately; There are so shut up.

For small bucolic road traffic

Pedestrians pass away,

Breeze forest, trees, shadow, hold that,

His heart will be filled with thought, compassion and mercy!
You can be my brother - the soft grass of the plate

The aim scratched isolation kiss lip.

Telakuca - Trailer neck, sleeves

Take a lump filled bucolic fringe,

Here you're in love with the wild birds,
See you dressed them in your skin color.
If you go into our village, I'm with

He went to the other side of the river with a boat pier.

The field is called to shepherd

Do you give in to the Teleport

Stoning build our building up throughout the day,

Forget the fake city truly build our city.

If you go - there you see in pea vine,

Beans and lima beans - Ever Increasing hands full down there.
If he is to you - are all gathering

The straw fire burn,

And eat the bacon - called farmers invitation,
We are happy to give it up handfuls of the two.
If you - to collect water lilies, very - very large,

A person who has seen the build wreath,

Karen will not, if you want

Well, it does not give it,

You lay down the pearl, but tough,

And laying the evil guys can take by force;
If you go back home in the evening, if the mother wants to give orders to,
Some of the seed so that the plan can be happy with him!

Red church will gather dungcake

Will be bound by the

If you want to get up or not getting a gift from his mind,

I'll talk to - tomorrow, he will bring a lot of pea plants.
Will wake up very early, before the sun rises,
Do not tell anyone, not one word of warning, leg raises

Rail road full of small bass

Danakine fish to wriggle;

Is given in the middle of the water before stopping the build of mud
Before anyone will know all the fish we caught.
At noon, some mud, and the fish,

I will come back home to sew clothes.

O face - Ray Burns Mother monkey.

Slang - cuddle with mom guilt,

How long will I hear my mother's backside .Give brother;

Would you brother, our village, where lush green trees.

Would you brother, our small village with my Iggy.

Dark forest - the forest-op has given the illusion of compassion.

Flourished in the shade of the trees in the forest

Oh my childhood hiding!

Today, the - I'll get all out,

Would you brother, our little guy with my Iggy.

Will take you back in our self-lid dense forest
Abide not hiding out, the man did not say nothing

Go pick a flower of the field,

Will not be able to recognize the way;

Would asleep in bed when the body is lazy evening,

I have to find the village, call out your name.

Tuesday, September 29, 2015

ইরানের দুই বছরের বিস্ময় বালক

ইরানের দুই বছরের  বিস্ময় বালক

ইরানের বাবল শহরের আরাত হোসেনের বয়স মাত্র দুই বছর। এই বয়সে শিশুরা  ঠিকমতো কথাই বলতে পারে না।সেখানে আরাত শারীরিক অসম্ভব কসরত দেখিয়ে রীতিমতো বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন।
বয়সের তুলনায় তার শারিরীক কসরত অবাক করার মতো । ইরানের মাজানদারান প্রদেশের বাবল শহরে বাস করেন আরাতের পরিবার। ডিগবাজি, ইটের দেয়াল বেয়ে ওপরে ওঠা কিংবা দুই হাত মাটিতে ভর দিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে রাখা সহ নানা কসরত দেখাতে বেশ পারদর্শী আরাত। কঠিন সব ব্যায়ামের কৌশল দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই শিশু। ইতোমধ্যে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকেও ডাক এসেছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি চ্যানেলে দেখিয়েছেন তার শারীরিক কসরত।পেয়ে গেছে তারকা খ্যাতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দুই বছরের আরাতের ফলোয়াড় সংখ্যা ১৯ হাজারের কোটায়। ছেলের এই বিস্ময়জনক কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অবাক বাবা মোহাম্মদ ও মা ফাতেমা। ছেলেকে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি বলে তারা জানান। বলেন, খেলার ছলেই নয় মাস বয়সে আরাতের মধ্যে ব্যায়ামের আগ্রহ তৈরি হয়। এর পর প্রতিদিন প্রায় ২০ মিনিট ব্যায়াম করতে শুরু করে সে।

বাবা মোহাম্মদ বলেন, একদিন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পর ছেলে তার দুই হাতের আঙুল মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে এবং পা মাটি থেকে ওপরে ভাসিয়ে রাখে। সেদিন প্রথম আমি আরাতের শক্তি ও সক্ষমতা বুঝতে পারি।
শিশু আরাতের প্রিয় খেলাতে পরিণত হয়েছে শরীরচর্চা। সে সাধারণত একটানা ১০ মিনিটের মতো ব্যায়াম করতে পারে। তার প্রিয় খেলা হলো পেছন দিক থেকে ডিগবাজি দেওয়া।
বাসার সব জায়গায়ই শরীরচর্চা করছে আরাত। খাট, চেয়ার, টেবিলে বসে কিংবা টেলিভিশন ও বাসার চৌকাঠে উঠে দেখাতে থাকে ছোট্ট শরীরের কসরত। বাবার আসা খেলাধুলায় একদিন অপ্রতিরোধ্য হবে আরাত।

Floating Restaurant Surma River Cruise, Sylhet, Bangladesh

There is also a launch floating in the river. The launch night becomes colored. The scenic view of the large-scale launch attracted the attention of everyone. It is a floating restaurant.
There Restaurant 250 people sitting together in a room, conference room, VIP room and six modern bathrooms and air conditioning systems are the two Bed room. River cruise in Sylhet, the restaurant has introduced an institution. Restaurant name 'Surma River Cruise.

The three-storey restaurant is on the ground under water. This business class restaurant. This includes more than 50 people, seminar facilities dining together. The name of the second-floor Riverview. 120 people will be able to sit down together to breakfast. The top floor has been given the name of 'Open Sky'. The floor is open air seating as well as the family cabin.
Every day at 4pm, 7pm and night at 8 pm will leave from Camdanighata Surma restaurant. Surma River and a half hours at the same place again roam the passengers will be let down. Fare is Rs 699 to 299 Depending on class. Passengers with tickets free and fast food. The fast-food restaurant as they desired, and they were able to buy Indian-Bengali and Chinese food. Birthday, floating restaurant on-marriage ceremony social events will be available for rent.

 সুরমা নদীতে ভাসমান একটি লঞ্চ ।রাতের আধাঁরে মোহনীয়  রঙ্গিন হয়ে উঠে।
আলোক মালার মনোরম দৃশ্য সবার মনোযোগ আকৃষ্ট করে । লঞ্চটি  একটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট।

লঞ্চটিতে আছে কনফারেন্স রুম, ভিআইপি রুমে একসাথে ২৫০ জন মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে এই লঞ্চে ।
ছয়টি আধুনিক বাথরুম এবং এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেম ।দুটি বেড রুম আছে এই ভাসমান রেঁস্তোরায়.
এর  নাম সিলেট রিভার ক্রুজ।রেস্টুরেন্ট এর নাম 'সুরমা নদী ক্রুজ।

তিন তলা ভাসমান রেঁস্তোরার নিচের তলা থাকে পানির তলে ।
এখানে ৫০  জনেরও বেশি লোক একসঙ্গে ডাইনিং করার সুবিধা আছে ।আছে  সেমিনার করার সুবিধা ।
 দ্বিতীয় তলার নাম রিভারভিউ । ১২০ জন মানুষের ব্রেকফাস্ট একসঙ্গে করার ব্যবস্থা রয়েছে ।
 উপরের তলায় 'খোলা আকাশ' । খোলা বাতাসে আসনবিন্যাস সেইসাথে পরিবারিক কেবিনের ব্যবস্থা আছে ।

বিকাল 8 টা সন্ধ্যা ৭ টা এবং রাত ৮টায় প্রতিদিন ,সুরমা রেঁস্তোরা নদীতে ভেসে চলতে থাকে ।
 ভাড়া২৯৯ টাকা হতে ৬৯৯ টাকা। টিকিটের সাথে ফ্রি ফাস্ট ফুড দেয়া হয়।
 অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পছন্দ মতো ভারতীয় বাঙালি এবং চীনা খাদ্য কিনে খাওয়া যায়।
 জন্মদিন,  বিয়ের অনুষ্ঠান ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য লঞ্চটি ভাড়া নেয়া যায় ।

মামার বাড়ি ,জসীম উদ্দিন


মামার বাড়ি
জসীম উদ্দিন


আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা,
ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।
মামার বাড়ি পদ্মপুকুর
গলায় গলায় জল,
এপার হতে ওপার গিয়ে
নাচে ঢেউয়ের দল।
দিনে সেথায় ঘুমিয়ে থাকে
লাল শালুকের ফুল,
রাতের বেলা চাঁদের সনে
হেসে না পায় কূল।
আম-কাঁঠালের বনের ধারে
মামা-বাড়ির ঘর,
আকাশ হতে জোছনা-কুসুম
ঝরে মাথার ‘পর।
রাতের বেলা জোনাক জ্বলে
বাঁশ-বাগানের ছায়,
শিমুল গাছের শাখায় বসে
ভোরের পাখি গায়।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের শাখায় উঠি
রঙিন করি মুখ।
কাঁদি-ভরা খেজুর গাছে
পাকা খেজুর দোলে
ছেলেমেয়ে, আয় ছুটে যাই
মামার দেশে চলে।

ঈদুল আজহা গায়ে আতরের সুগন্ধ পাক পবিত্র ! আর বাতাসে ভেসে আসে দুর্গন্ধ নাপাক অপবিত্র!

ঈদুল আজহা গায়ে আতরের সুগন্ধ  পাক পবিত্র !আর বাতাসে ভেসে আসে দুর্গন্ধ নাপাক অপবিত্র!

ঈদুল আজহা ।
একটি পবিত্র দিন,আনন্দের দিন।এই পবিত্রতা দেহ মন থেকে ছড়িয়ে পরে আকাশে বাতাসে,সৃষ্টি কতর্দার দরবারে ।সকালে ঘুম থেকে উঠেই পরম পবিত্র সত্তার স্মরণে পবিত্রতা দিয়ে শুরু হয় ।গোসল করে পাক পবিত্র হয়ে ।পাক পবিত্র কাপড় পরিধান করা।পবিত্র সুগন্ধী আতর লাগিয়ে ঈদগাহ বা মসজিদে গিয়ে পবিত্রতার সাথে নামাজ আদায় করা হয় ।এই পবিত্র ঈদের দিনে মানুসের দেহ মন আকাশ বাতাস সবকিছু নির্মল হয়ে উঠে।মোসলমানরা অাল্লাহর নামে পশু কোরবানী করেন ।
তারপর সেই পশুর কিছু অংশ বিলিয়ে দেয়া হয় গরীবদের মাঝে।ধনীদের আঙ্গিনা হতে গোস্ত চলে যায় গরীবদের রান্না ঘরে।আল্লাহর অপার মহিমার অংশীদার হন গরীবরা।
রান্না করে তৃপ্তির সাথে আহার করেন সকল মোসলমানেরা।হাজার শুকুর গুজার করেন আল্লাহর ।

কিন্তু কোরবানী দেয়া পশুর রক্ত উচ্ছিষ্ট মাংস ঠিক মতো মাটিতে পুঁতে না রাখার করণে ছড়িয়ে পরে দুর্গদ্ধ্ ।আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পরে অপবিত্রতা ।সে দুর্গন্ধের অপবিত্রতা কোরবানী দেয়া ধনী লোকের আঙ্গিনা হতে ছড়িয়ে পরে গরীবদের আঙ্গিনা পর্যন্ত।পথে ঘাটে রাস্তায় ছড়িয়ে পরে।অসুস্থ করে তোলে মানুষের মন।আর  বাযূ দোষনের দূগন্ধের অপবিত্রতায় বসবাস করে মানুষ ।নিমিশেই পবিত্র কোরবানীর আনন্দ রুপান্তরিত হয় অসুস্থ দুর্গন্ধে ।শুধু মাত্র কিছু সংখ্যক মানুষের সামান্য সচেতনতা অভাব ও দায়িত্বশীলতার অবহেলার কারণে।

সুগন্ধ পবিত্রতার অংশ,পরম নেকী অর্জনের সহায়ক।
দুর্গন্ধ অপবিত্রতার অংশ।দুর্গন্ধের অপর নাম পাপ ।
কিছু ধনী ব্যক্তি অনেক টাকা খরচ করে সুন্দর বাড়ী বানিয়েছেন ।
দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায় !
কিন্তু সে সুন্দর বাড়ী হতে ভেসে আসছে দূর্গন্ধ।
তখন বাড়ীটাকে ভাল লাগে না।বাড়ী ওয়ারার প্রতি বিরূপ ধারণা জন্মে।
মনে হয় সুন্দর বাড়ী হতে দূগন্ধের পাপী আত্মারা বের হয়ে আসছে।
সুগন্ধের বাতাসেরা ফরিয়াদ জানাতে চলে গেছে সৃষ্টিকর্তার কাছে।
পশু কোরবানী ম্লান করে দেয় দুগন্ধ ভরে যাওয়া বাতাস।
তাই কোরবানীর রক্ত উচ্ছিষ্ট হাড় মাংস এমন ভাবে মাটিতে পুঁতে ফেলা উাচত।যাতে দূগন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশকে অবিত্র করে না ফেলে।আর  এই রকম অপবিত্রতার জন্য নিজেদের মর্যদা যেনো ক্ষুন্ন না হয়ে যায়।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অনুশীলন করুন ।তাতেই বুদ্ধি পেতে পারে মানুষ ও সমাজের মর্যদা।অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয় ।আর প্রমানীত হয় সেমাজের মানুষ যথেষ্ট উন্নত নয়।
অন্য সমাজের মানুষ তাঁদের সম্পর্কে ভালো ধারণা নাও করতে পারে।
কাজেই উন্নত মানুষের পরিচয় দিতে পরিবেশ রাখুন নির্মল।
কারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই ঈমানের অঙ্গ ।

করনীয়-
১.কোরবানির  পশু জবেহ শেষে তার রক্ত ও  উচ্ছিষ্ট মাংস হাড়  অপসারণ করা।
২.কোরবানীর স্থানটিতে প্রয়োজনীয় পানি ঢেলে ভাল করে ধৌত করা ।
৩.পশুর রক্ত ও  উচ্ছিষ্ট মাংস হাড় মাটিতে গর্ত করে চাপা দেয়া।
৪.গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক, যেমন—ফাম-৩০ ইত্যাদি দেওয়া ।
যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় ।
৫. শিয়াল/কুকুর মাটি খুঁড়ে রক্ত ছড়াতে বা খেতে না পারে সেজন্য গর্তটি ভালমতো বন্ধ করে দেয়া।
৬.মাটিচাপার ওপরে কিছু মোটা তুষ ছিটিয়ে দিলে শেয়াল বা কুকুর মাটি গর্ত করে ময়লা তুলতে পারবে না।

করনীয় গুলো না করলে কি হতে পারে :-

১.পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে,
২.চর্মজাতীয় রোগ উৎপত্তি হয়ে মানবদেহে বা পশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে।
৩.কিছু ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি হয়ে খাদ্যের সঙ্গে মিশে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
৪.সমাজ উন্নত সমাজ বলে পরিচিতি লাভ করবে না।


দুগন্ধ ছড়িয়ে  আপনি ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিতি অর্জন করতে পারবেন না।
মোসলমান পরিচিতি হিসাবে অপর ধর্মের লোকদের কাছে বিরুপ ধারনা সৃষ্টি  হতে পারে।
সমাজও হবে অস্বাস্থ্যকর ।
যার জন্য সমাজের বাসিন্দা হিসাবে আপনি দায় এড়াতে পারেন না।
যা কোন মতেই কাম্য হতে পারে না।

অতএব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাথুন।
অশেষ সোয়াবের ভাগীদার হোন ।

Monday, September 28, 2015

Bangladesh - George Harrison

My friend came to me, with sadness in his eyes
He told me that he wanted help
Before his country dies
Although I couldn’t feel the pain, I knew I had to try
Now I’m asking all of you
To help us save some lives
Bangla Desh, Bangla Desh
Where so many people are dying fast
And it sure looks like a mess
I’ve never seen such distress
Now won’t you lend your hand and understand
Relieve the people of Bangla Desh
Bangla Desh, Bangla Desh
Such a great disaster – I don’t understand
But it sure looks like a mess
I’ve never known such distress
Now please don’t turn away, I want to hear you say
Relieve the people of Bangla Desh
Relieve Bangla Desh
Bangla Desh, Bangla Desh
Now it may seem so far from where we all are
It’s something we can’t neglect
It’s something I can’t neglect
Now won’t you give some bread to get the starving fed
We’ve got to relieve Bangla Desh
Relieve the people of Bangla Desh
We’ve got to relieve Bangla Desh
Relieve the people of Bangla Desh


Thursday, October 8, 2015

কবিতা ‘ বিদ্রোহী ‘- কাজী নজরুল ইসলাম



বিদ্রোহী-

কাজী নজরুল ইসলাম


বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-

বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির!

আমি চিরদুর্দম, দূর্বিনীত, নৃশংস,
মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,
আমি দূর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!

বল বীর-
চির-উন্নত মম শির!

আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।
আমি হাম্বীর, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,
আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’
ফিং দিয়া দেই তিন দোল্;
আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল।
আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’,
করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!
আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরীত্রির;
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির অধীর।

বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির!

আমি চির-দূরন্ত দুর্মদ
আমি দূর্দম মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম্ হ্যায় হর্দম্ ভরপুর্ মদ।
আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,
আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।
আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,
আমি অবসান, নিশাবসান।

আমি ঈন্দ্রাণী-সুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ তূর্য;
আমি কৃষ্ণ-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির।
আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।

বল বীর-
চির-উন্নত মম শির!

আমি সন্ন্যাসী, সুর সৈনিক,
আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক।
আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস,
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কূর্ণিশ।
আমি বজ্র, আমি ঈষাণ-বিষানে ওঙ্কার,
আমি ইস্রাফিলের শৃঙ্গার মহা-হুঙ্কার,
আমি পিনাক-পাণির ডমরু ত্রিশুল, ধর্মরাজের দন্ড,
আমি চক্র-মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড!
আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য,
আমি দাবানল-দাহ, দহন করিব বিশ্ব।
আমি প্রাণ-খোলা হাসি উল্লাস, -আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস
আমি মহাপ্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস!
আমি কভু প্রশান্ত, কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,
আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী!
আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছাস, আমি বারিধির মহাকল্লোল,
আমি উজ্জ্বল, আমি প্রোজ্জ্বল,
আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল ঊর্মির হিন্দোল-দোল!-

আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি,
আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!

আমি উন্মন, মন-উদাসীর,
আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর।
আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয় লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের
আমি অভিমানী চির ক্ষূব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যাথা সূনিবিড়,
চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর থর থর প্রথম পরশ কুমারীর!
আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তাঁর কাঁকণ-চুড়ির কন্-কন্।
আমি চির শিশু, চির কিশোর,
আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচর কাঁচুলি নিচোর!
আমি উত্তর-বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া,
আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া।
আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি
আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়াছবি!
আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি, এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ!
আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!

আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন চিতে চেতন,
আমি বিশ্বতোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়-কেতন।
ছুটি ঝড়ের মতন করতালী দিয়া
স্বর্গ মর্ত্য-করতলে,
তাজী বোর্রাক্ আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার
হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে!
আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নেয়াদ্রী, বাড়ব বহ্নি, কালানল,
আমি পাতালে মাতাল, অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল!
আমি তড়িতে চড়িয়া, উড়ে চলি জোড় তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ,
আমি ত্রাস সঞ্চারি’ ভুবনে সহসা, সঞ্চারি ভূমিকম্প।

ধরি বাসুকির ফণা জাপটি’-
ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি’।

আমি দেবশিশু, আমি চঞ্চল,
আমি ধৃষ্ট, আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল!
আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,
মহা-সিন্ধু উতলা ঘুম্ঘুম্
ঘুম্ চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝ্ঝুম
মম বাঁশরীর তানে পাশরি’।
আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।

আমি রুষে উঠি’ ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,
ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোযখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!
আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!

আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,
কভু ধরনীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল ধ্বংস ধন্যা-
আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!
আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,
আমি ধূমকেতু জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী!
আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,
আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!

আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়,
আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়!
আমি মানব দানব দেবতার ভয়,
বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়,
জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,
আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ-পাতাল মর্ত্য!
আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!!
আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!

আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার
নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!
আমি হল বলরাম-স্কন্ধে,
আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধিন বিশ্ব অবহেলে, নব সৃষ্টির মহানন্দে

মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না-
অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!

আমি চির-বিদ্রোহী বীর-
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!


Proclaim, Hero,
proclaim: I raise my head high!
Before me bows down the Himalayan peaks!

Proclaim, Hero,
proclaim: rending through the sky,
surpassing the moon, the sun,
the planets, the stars,
piercing through the earth,
the heavens, the cosmos
and the Almighty's throne,
have I risen I, the eternal wonder
of the Creator of the universe.
The furious Shiva shines on my forehead
like a royal medallion of victory!
Proclaim, Hero,
proclaim: My head is ever held high!

I'm ever indomitable, arrogant and cruel,
I'm the Dance-king of the Day of the Doom,
I'm the cyclone, the destruction!
I'm the great terror, I'm the curse of the world.
I'm unstoppable,
I smash everything into pieces!
I'm unruly and lawless.
I crush under my feet
all the bonds, rules and disciplines!
I don't obey any laws.
I sink cargo-laden boats I'm the torpedo,
I'm the dreadful floating mine.
I'm the destructive Dhurjati,
the sudden tempest of the summer.
I'm the Rebel, the Rebel son
of the Creator of the universe!

Proclaim, Hero,
proclaim: My head is ever held high!

I'm the tempest, I'm the cyclone,
I destroy everything I find in my path.
I'm the dance-loving rhythm,
I dance to my own beats.
I'm the delight of a life of freedom.
I'm Hambeer, Chhayanat, Hindol.
I move like a flash of lightning
with turns and twists.
I swing, I leap and frolic!
I do whatever my heart desires.
I embrace my enemy and wrestle with death.
I'm untamed, I'm the tempest!
I'm pestilence, dread to the earth,
I'm the terminator of all reigns of terror,
I'm ever full of burning restlessness.

Proclaim, Hero,
proclaim: My head is ever held high!

I'm ever uncontrollable, irrepressible.
My cup of elixir is always full.
I'm the sacrificial fire,
I'm Yamadagni, the keeper
of the sacrificial fire.
I'm the sacrifice, I'm the priest,

I'm the fire itself.
I'm creation, I'm destruction,
I'm habitation, I'm the cremation ground.
I'm the end, the end of night.
I'm the son of Indrani,
with the moon in my hand and the sun on my forehead.
In one hand I hold the bamboo flute,
in the other, a trumpet of war.
I'm Shiva's blued-hued throat
from drinking poison from the ocean of pain.
I'm Byomkesh, the Ganges flows freely
through my matted locks.

Proclaim, Hero,
proclaim: My head is ever held high!

I'm the ascetic, the minstrel,
I'm the prince, my royal garb embarasses
even the most ostentatious.
I'm Bedouin, I'm Chenghis,
I salute none but myself!
I'm thunder,
I'm the OM sound of Ishan's horn.
I'm the mighty call of Israfil's trumpet.
I'm Pinakapani's hourglass drum, trident,
the sceptre of the Lord of Justice.
I'm the Chakra and the Great Conch,
I'm the primordial sound of the Gong!
I'm the furious Durbasa, the disciple
of Vishwamitra.
I'm the fury of fire, to burn this earth to ashes.
I'm the ecstatic laughter, terrifying the creation.
I'm the eclipse of the twelve suns
on the Day of the Doom.
Sometimes calm, sometimes wild,
I'm the youth of new blood
I humble even the fate's pride!
I'm the violent gust of a wind storm,
the roar of the ocean.
I'm bright, effulgent.
I'm the murmur of over-flowing water,
Hindol dance of rolling waves!

I'm the unbridled hair of a maiden,
the fire in her eyes.
I'm the budding romance of a girl of sixteen
I'm the state of bliss!
I'm the madness of the recluse,
I'm the sigh of grief of a widow,
I'm the anguish of the dejected,
I'm the suffering of the homeless,
I'm the pain of the humiliated,
I'm the afflicted heart of the lovesick.
I'm the trembling passion of the first kiss,
the fleeting glance of the secret lover.
I'm the love of a restless girl,
the jingling music of her bangles!
I'm the eternal child, the eternal adolescent,
I'm the bashfulness of a village girl's budding youth.
I'm the northern breeze, the southern breeze,
the callous eastwind.
I'm the minstrel's song,
the music of his flute and lyre.
I'm the unquenched summer thirst,
the scorching rays of the sun.
I'm the softly flowing desert spring
and the green oasis!

In ecstatic joy, in madness,
I've suddenly realized myself
all the barriers have crumbled away!
I'm the rise, I'm the fall,
I'm the consciousness in the unconscious mind.
I'm the flag of triumph at the gate
of the universe
the triumph of humanity!

Like a tempest
I traverse the heaven and earth
riding Uchchaishraba and the mighty Borrak.
I'm the burning volcano in the bosom of the earth,
the wildest commotion of the subterranean ocean of fire.
I ride on lightning
and panic the world with earthquakes!
I clasp the hood of the Snake-king
and the fiery wing of the angel Gabriel.
I'm the child-divine restless and defiant.
With my teeth I tear apart
the skirt of Mother Earth!

I'm Orpheus' flute.
I calm the restless ocean
and bring lethean sleep to the fevered world
with a kiss of my melody.
I'm the flute in the hands of Shyam.
When I fly into a rage and traverse the vast sky,
the fires of Seven Hells and the hell of hells, Habia,
tremble in fear and die.
I'm the messenger of revolt
across the earth and the sky.

I'm the mighty flood.
Sometimes I bring blessings to the earth,
at other times, cause colossal damage.
I wrestle away the maidens two
from Vishnu's bosom!
I'm injustice, I'm a meteor, I'm Saturn,
I'm a blazing comet, a venomous cobra!
I'm the headless Chandi,
I'm the warlord Ranada.
Sitting amidst the fire of hell
I smile like an innocent flower!
I'm made of clay, I'm the embodiment of the Soul.
I'm imperishable, inexhaustible, immortal.
I intimidate the humans, demons and gods.
I'm ever-unconquerable.
I'm the God of gods, the supreme humanity,
traversing the heaven and earth!

I'm mad, I'm mad!
I have realized myself,
all the barriers have crumbled away!!

I'm Parashuram's merciless axe.
I'll rid the world of all the war mongers
and bring peace.
I'm the plough on Balaram's shoulders.
I'll uproot this subjugated world
in the joy of recreating it.
Weary of battles, I, the Great Rebel,
shall rest in peace only when
the anguished cry of the oppressed
shall no longer reverberate in the sky and the air,
and the tyrant's bloody sword
will no longer rattle in battlefields.
Only then shall I, the Rebel,
rest in peace.

I'm the Rebel Bhrigu,
I'll stamp my footprints on the chest of god
sleeping away indifferently, whimsically,
while the creation is suffering.
I'm the Rebel Bhrigu,
I'll stamp my footprints
I'll tear apart the chest of the whimsical god!

I'm the eternal Rebel,
I have risen beyond this world, alone,
with my head ever held high!

মিকি মাউস কার্টুন Mickey mouse clubhouse-Mickey mouse cartoon


Wednesday, October 7, 2015

সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করুন

সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করুন Save From Net Helper সফটওয়্যার দিয়ে!
ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড সাধারণত করা যায় না।
যারা একটু এক্সপার্ট তারা কোন সফটওয়্যার ছাড়াই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউনলোড লোড করতে পারেন।
কিন্তু সমস্যা হয় নতুনদের।
নতুনদেরও ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করাতে  সমস্যা হবে না,এই লেখা  অনুস্মরণ করে কাজ করতে পারলে।

ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করতে হলে একটি সফটওয়্যার Save From Net Helper কম্পিউটারে ইষ্টল করে নিলে
সহজেই ইউটিউব ফেসবুক হতে ভিডিও ডাউন লোড করতে পারবেন।
এই লিংক SaveFromNetHelper  ৭৭০কেবির সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ।
তারপর আপনার কম্পিউটারের নেট কানেকশন থাকা অবস্থায় ডাউনলোডকৃত সফটওয়্যারটি সেটাপ দিন ।
সফটওয়্যারটির সার্ভার হতে কিছু সময়ের মধ্যে আপনার কম্পিউটারে ইনষ্টল হবে।
এখন ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিওতে একটি সবুজ রংয়ের তীর চিহ্ন দেখতে পাবেন।
সেখানে ক্লিক করে সহজেই ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন।

মাসুদ রানা সিরিজের বই pdf ভার্সনের বই

মাসুদ রানা সিরিজের বই pdf ভার্সনের বই

মাসুদ রানা সিরিজের বই পড়তে প্রায় সকলেই ভালবাসেন ।
মাসুদ রানা সিরিজের বই pdf ভার্সনের বই নিচের নিংকে পাবেন।
তার আগে মাসুদ রানা সম্পর্কে কিছু জেনে নিন ।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট একটি কাল্পনীক কাহিনী-চরিত্র মাসুদ রানা। ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার বইয়ের ভাবানুবাদ বা ছায়া অবলম্বনে রচিত মাসুদ রানা। মাসুদ রানার চরিত্রটিকে মূলত ইয়ান ফ্লেমিংয়ের (Ian Fleming) সৃষ্ট জেমস বন্ড (James Bond) চরিত্রটির বাঙালি সংস্করণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
মাসুদ রানা সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর, এবং কাল্পনিক সংস্থা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর সদস্য, এবং তাঁর সাংকেতিক নাম MR-9। এছাড়া রানা এজেন্সি নামক একটি গোয়েন্দা সংস্থাও রানা পরিচালনা করে থাকে।
মাসুদ রানার সহায়ক চরিত্রে প্রথমেই মেজর জেনারেল রাহাত খানের নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের প্রধান। তাঁরই তত্বাবধানে রানা নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া তার কাজে সহায়তা করে থাকে সোহেল, সলিল, সোহানা, রূপা, গিলটি মিয়া প্রমুখ চরিত্রও।

মাসুদ রানার অধিকাংশ কাহিনীই বিভিন্ন বিদেশী লেখকের বই থেকে ধার করা। এলিস্ট্যার ম্যাকলীন (Alistair MacLean), রবার্ট লুডলাম (Robert Ludlum), জেমস হেডলী চেয (James Headley Chase), উইলবার স্মিথ (Wilber Smith), ক্লাইভ কাসলার(clive cussler), ফ্রেডরিক ফরসাইথ(frederick forsyth)-সহ বহু বিদেশী, বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্যিকের লেখা কাহিনী থেকে ধার করে মাসুদ রানার কাহিনী লেখা হয়।

কখনও কোনো বই বিদেশী কোনো একক বই থেকেই অনুবাদ করা হয়, আবার কখনও একাধিক বই মিলিয়ে লেখা হয়।
মাসুদ রানা'র নামকরণ করা হয় দুজন বাস্তব মানুষের নামের অংশ মিলিয়ে। কাজী আনোয়ার হোসেন তাঁর স্ত্রী, আধুনিক সংগীতশিল্পী ফরিদা ইয়াসমীনের সাথে পরামর্শ করে নামটি নির্বাচন করেন। এপ্রসঙ্গে স্বয়ং কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন । 
“ আমাদের দুজনেরই বন্ধু স্বনামধন্য গীতিকার মাসুদ করিমের 'মাসুদ' আর আমার ছেলেবেলার হিরো (নায়ক) ইতিহাসে পড়া মেবারের রাজপুত রাজা রানা প্রতাপ সিংহ থেকে 'রানা' নিয়ে নাম হলো মাসুদ রানা। ”
মাসুদ রানা চরিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় মাসুদ রানা সিরিজের ‘বিস্মরণ’ অবলম্বনে, ১৯৭৩ সালে। আর ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। পরিচালনায় ছিলেন মাসুদ পারভেজ তথা পরবর্তীকালের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল রানা।

মাসুদ রানা pdf ভার্সনের বই পাবেন এখানে 

সূত্র-ইন্টারনেট

রোমিও ও জুলিয়েট Romeo And Juliet 1976 Part1 & Part2

Part1

                                           
  Part 2 


খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত হচ্ছে

খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক চাকুরী ‘আধুনিক দাসত্বে’ পরিণত করছে মানুষদের

                    শ্রমিক সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল বলছে, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক ‘নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত’ কাজের মাধ্যমে চাকরিজীবী বা শ্রমিক তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
                    শ্রমিকদের কাজের জন্য যেসব ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে অনেকেই তা পায়না।
                     সংগঠনটি বলছে, এর মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে। আর এই প্রবণতা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বাড়ছে।
                     ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের রায় রমেশচন্দ্র বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বঞ্চনার ঘটনা ঘটছে । অনেকে বারো বছর, চৌদ্দ বছর, পনেরো বছর ধরে এভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু স্থায়ী হচ্ছেন না। ফলে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
                   তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রমিকের আইনানুগ নিয়োগপত্র, চাকরির স্থায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা, গ্রাচুইটি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া দরকার। কিন্তু মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে বিশ্বব্যাপী খণ্ডকালীন বা আউট সোর্সিং এর নামে শ্রমিকদেরকে আধুনিক দাসে পরিণত করা হচ্ছে।’
মূলত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে মালিক পক্ষ কিংবা নিয়োগদাতাদের লাভ করার মানসিকতাই এর কারণ বলে তিনি জানান।
                    বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেক্টরেই চুক্তিভিত্তিক কিংবা খণ্ডকালীন নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এই কাজগুলোকে Precarious work বা নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ বলা হয়ে থাকে।
এই ‘নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত কাজ’ বন্ধের দাবিতে আজ একটি কর্মসূচি পালন করছে ইন্ডাস্ট্রিঅল।

সূত্র: বিবিসি

’সীমানা পেরিয়ে’- পূর্ণদৈর্ঘ বাংলা ছায়াছবি Simana Periye-Full Length Bangla Movie


মালির পথে - ইবনে বতুতার রোমাঞ্চকর অভিযান

মালির পথে

ইবনে বতুতার রোমাঞ্চকর অভিযান  

আইওয়ালাতানে থাকতে আর ভাল লাগছে না।ভাবলাম দেশে ফিরে যাব।কিন্ত পরে চিন্তা করলাম এদের রাজধানী না দেখে গেলে কেমন হয় !তাই মালি সফরের প্রস্তুতি নিলাম আইওয়ালাতান থেকে মালির দূরত্ব দ্রুত গতিতে গেলে চব্বিশ দিনের পথ।বিশাল এক মরুভূমি পাড়ি দিতে হবে।আমি একজন পথ প্রদর্শক ভাড়া করে রওয়ানা হলাম।আমার সাথে আরোও তিন জন ছিলেন।একটি বন এলাকা দিয়ে আমরা চলেছি।বড় বড় গাছের সারির ভেতর দিয়ে পথ চলে গিয়েছে।গাছগুলোর কান্ড বিশালাকায়।কোন কোন গাছের ডালপালা এতা বিস্তৃত যে একটি গাছের ছায়াতেই একটি কাফেলার সবাই বিশ্রাম নিতে পারে।কোন কোন গাছে কোন পাতা নেই।কিন্তু কান্ড এতো বিশাল যে এর ছায়াতেই মুসাফিররা বিশ্রাম নিতে পারে।এই এলাকার এক লোকের গাছ দেখলাম কান্ড বিশালাকায় ,বোতলাকৃতির এবং ভিতরে ফাঁপা।সেই ফাঁপা স্থানে বৃষ্টির পানি জমা থাকে।যেন একটি পানির কূপ!মুসাফিররা গাছের কান্ড ফুটো করে সেই পানি পান করতে পারে।আবার কোন কোন গাছের ফাঁপা অংশে মৌমাছিরা মৌচাক তৈরী করে।ওখান থেকে প্রচুর মধু পা্ওয়া যায়।এক জায়গায় আমি দেখলাম এক গাছের ফাঁপা অংশের বিশাল ফাটলে এক তাঁতী তার তাঁত দিয়ে ভেতরে বসে আরামে বসে বুনন কাজ করছে।এই দৃশ্য দেখে আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম।আইওয়ালাতান ও মালির মধ্যবর্তী এলাকার জঙ্গলে বিভিন্ন রকমের ফল মূলের গাছ জন্মে।এখানে আপেল,নাশপাতি,খুবানী,শাফতালু গাছের মতো গাছ দেখা যায়।কিন্তু আসলে এগুলো অন্য গাছ।এ এলাকায় খরবুজার মতো এক জাতের ফল উতপন্ন হয়।পাকলে ফেটে যায় এবং ভিতবে আঠার মতো পদার্থ পা্ওয়া যায়।এই ফলগুলো রান্না করে খাওয়া হয়।বাজারেও বিক্রী হয়।মাটির নীচে শিমের বিচির মতো একধরনের শষ্য জন্মে।এগুলোকে ভেজে খাওয়া যায়।নাশপাতির মতো দেখতে গারতি নামে এক জাতের ফল জন্মে।যা খেতে অত্যন্ত মিষ্টি।এর বিচি থেকে তেলও পাওয়া যায়।এই তেল ভাজা,রান্না,চেরাগ জ্বালানো,গায়ে মাখা এবং এক জাতের মাটির সাথে মিশিয়ে পুটিন বানানোর কাজেও ব্যবহৃত হয়।এই তেল এই এলাকায় প্রচুর উতপন্ন হয়।লাউয়ের খোলের ভিতর বিভিন্ন শহরে নিয়ে যাওয়া হয়।এখানে বিশালাকৃতি লাউয়ের খোল শুকিয়ে পাত্র বানানো হয়। যা একটি বড় কলসির সমান হয়।এই এলাকায় সফরের সময় মুসাফিররা নিজেদের মালপত্র,খাবার দাবার বা টাকা পয়সা সাথে নেয় না।টাকা পয়সার বদলে নিয়ে যায় লবণের টুকরো আর সীসার অলংকার।সীসার তৈরী অলংকারকে বলা হয় নাজম।এছাড়া বিভিন্ন সুগন্ধি দ্রব্যও নিয়ে যাওয়া হয়।মুসাফিরদের কাফেলা কোন গ্রামে গিয়ে পৌঁছলে কৃষ্ণাঙ্গ রমণীরা ভূট্টা,চাল,দুধ,মুরগী,বরবটি,শিমের আটা,সরষের মতো দেখতে দানাদার শষ্য ফুনি প্রভৃতি নিয়ে আসেন।লবন,সীসার অলংকার ও সুগন্ধী দ্রব্যের বিনিময়ে এগুলো মুসাফিররা পছন্দ মতো কিনে নেন।

দশ দিন পর আমরা জাগনী নামে এক জনপদে এসে পৌঁছলাম।এখানে সাগবাগো সম্প্রদায়ের বসবাস।এরা কৃষ্ণাঙ্গ এবং আবাজিয়া।খারেজী মাজহাবের অনুসারী।এখানে মালেকি মাজহাবের লোকজনকে তুরি বলা হয় ।জাগরী থেকে আমরা পৌছালাম নাইজার নদীতে।মালি সম্রাজ্যের প্রধান নদী এই নাইজার।এই নদীর তীরে বিভিন্ন শহর গড়ে উঠেছে আমরা নাইজার তীরবর্তী কারসাখু কাবারাহ হয়ে জাগাহ পৌঁছলাম।কারবাহ ও জাগাহ দুইটি এলাকার দুজন রাজা শাসন করেন ।দুই জনেই মালির সুলতানের অধীন।জাগাহর কৃষ্ণাঙ্গরা প্রচীনকাল থেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।এরা অত্যন্ত পরহেজগার এবং বিদ্যুতসাহী।জাগাহ থেকে নাইজার নদী এখান দিয়ে ঘুরে তুমবুকত ও কাউকাউ হয়ে মুলিতে পৌঁছেছে।মুলিতে লিমি উপউপজাতীয়দের বসবাস। এই এলাকা হলো মালি সম্রাজ্যের শেষ সীমা।নাইজার নদী এখান থেকে ঘুরে ইউফি শহরে পৌঁছেছে।এই এলাকা থেকে শুরু হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ কাফেরদের এলাকা।এখানকার রাজাকে কৃষ্ণাঙ্গ কাফেরদের সবচেয়ে বড় রাজা হিসাবে গণ্য করা হয়।শ্বেতকায়রা এই এলাকায় যায় না।কারণ গেলেই কৃষ্ণাঙ্গ কাফেররা হামলা করে ওদেরকে কতল করে ফেলে ।

ইউফি থেকে নাইজার নদী লোবা এলাকায় প্রবাহিত হয়েছে।এই এলাকার জনগণ খ্রিষ্টান। এরপর নাইজার নদী পৌঁছেছে দুনকুলা শহরে।এটি কৃষ্ণঙ্গদের সবচেয়ে বড় শহর।এখানকার সুলতানের নাম ইবনে কানজুদ্দিন।মিশরের সুলতান মালেক নাসেরের সময় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন ।এরপর নাইজার জানাদিল এলাকায় এসে সাগরে মিশেছে ।


কর্টেসী-মোহাম্মদ মামুনূর রশীদ

Tuesday, October 6, 2015

Total Recall (টোটাল রিকল) American science fiction action Full Movies HD 1080p


মনে হয় একদিন - জীবনানন্দ দাশ

 জীবনানন্দ দাশ


মনে হয় একদিন আকাশে শুকতারা দেখিব না আর ;
দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন
নিভে যায়  দেখিব না আর আমি এই পরিচিত বাঁশবন ,
শুঁকনো বাঁশের পাতা ছাওয়া মাটি হয়ে যাবে গভীর আঁধার
আমার চোখের কাছে  লক্ষী পূর্ণিমার রাতে সে কবে আবার
পেঁচা ডাকে জোছনায়  হিজলের বাকা ডাল করে গুঞ্জরন ;
সারা রাত কিশোরীর লাল পাড় চাঁদে ভাসে – হাতের কাঁকন
বেজে ওঠে : বুঝিব না গঙ্গাজল ,নারকোলনাড়ুগুলো তার
জানি না সে কারে দেবে  জানি না সে চিনি আর সাদা তালশাঁস
হাতে লয়ে পলাশের দিকে চেয়ে দুয়ারে দাড়ায়ে রবে কি না
আবার কাহার সাথে ভালবাসা হবে তার  আমি তা জানি না;
মৃত্যুরে কে মনে রাখে ?কীর্তিনাশা খুঁড়ে খুঁড়ে চলে বারো মাস
নতুন ডাঙার দিকে –পিছনের অবিরল মৃত চর বিনা
দিন তার কেটে যায়  শুকতারা নিভে গেলে কাঁদে কি আকাশ ?


১৯৪৬-৪৭

 -জীবনানন্দ দাশ

 দিনের আলোয় অই চারি দিকে মানুষের অস্পষ্ট ব্যাস্ততা:
পথে-ঘাটে ট্রাক ট্রামলাইনে ফুটপাতে;
কোথায় পরের বাড়ি এখুনি নিলেম হবে—মনে হয়,
জলের মতন দামে।
সকলকে ফাঁকি দিয়ে স্বর্গে পৌঁছুবে
সকলের আগে সকলেই তাই।
অনেকেরই ঊর্ধশ্বাসে যেতে হয়, তবু
নিলেমের ঘরবাড়ি আসবাব—অথবা যা নিলেমের নয়
সে সব জিনিস
বহুকে বঞ্চিত ক’রে দু জন কি একজন কিনে নিতে পারে।
পৃথিবীতে সুদ খাটে: সকলের জন্যে নয়।
অনির্বচনীয় হুণ্ডি একজন দু জনের হাতে।
পৃথিবীর এইসব উঁচু লোকদের দাবি এসে
সবই নেয়, নারীকেও নিয়ে যায়।
বাকি সব মানুষেরা অন্ধকারে হেমন্তের অবিরল পাতার মতন
কোথাও নদীর পানে উড়ে যেতে চায়,
অথবা মাটির দিকে—পৃথিবীর কোনো পুনঃপ্রবাহের বীজের ভিতরে
মিশে গিয়ে। পৃথিবীতে ঢের জন্ম নষ্ট হয়ে গেছে জেনে, তবু
আবার সূর্যের গন্ধে ফিরে এসে ধুলো ঘাস কুসুমের অমৃতত্বে
কবে পরিচিত জল, আলো আধো অধিকারিণীকে অধিকার করে নিতে হবে:
ভেবে তারা অন্ধকারে লীন হয়ে যায়।
লীন হয়ে গেলে তারা তখন তো—মৃত।
মৃতেরা এ পৃথিবীতে ফেরে না কখনও
মৃতেরা কোথাও নেই; আছে?
কোনো কোনো অঘ্রানের পথে পায়চারি-করা শান্ত মানুষের
হৃদয়ের পথে ছাড়া মৃতেরা কোথাও নেই বলে মনে হয়;
তা হলে মৃত্যুর আগে আলো অন্ন আকাশ নারীকে
কিছুটা সুস্থিরভাবে পেলে ভালো হত।
বাংলার লক্ষ গ্রাম নিরাশায় আলোহীনতায় ডুবে নিস্তব্ধ নিস্তেল।
সূর্য অস্তে চলে গেলে কেমন সুকেশী অন্ধকার
খোঁপা বেঁধে নিতে আসে—কিন্তু কার হাতে?
আলুলায়িত হয়ে চেয়ে থাকে—কিন্তু কার তরে?
হাত নেই—কোথাও মানুষ নেই; বাংলার লক্ষ গ্রামরাত্রি একদিন
আলপনার, পটের ছবির মতো সুহাস্যা, পটলচেরা চোখের মানুষী
হতে পেরেছিল প্রায়; নিভে গেছে সব।
এইখানে নবান্নের ঘ্রাণ ওরা সেদিনও পেয়েছে;
নতুন চালের রসে রৌদ্রে কতো কাক
এ-পাড়ার বড়ো...ও-পাড়ার দুলে বোয়েদের
ডাকশাঁখে উড়ে এসে সুধা খেয়ে যেত;
এখন টুঁ শব্দ নেই সেই সব কাকপাখিদেরও;
মানুষের হাড় খুলি মানুষের গণনার সংখ্যাধীন নয়;
সময়ের হাতে অন্তহীন।
ওখানে চাঁদের রাতে প্রান্তরে চাষার নাচ হত
ধানের অদ্ভুত রস খেয়ে ফেলে মাঝি-বাগ্‌দির
ঈশ্বরী মেয়ের সাথে
বিবাহের কিছু আগে-বিবাহের কিছু পরে-সন্তানের জন্মাবার আগে।
সে সব সন্তান আজ এ যুগের কুরাষ্ট্রের মূঢ়
ক্লান্ত লোকসমাজের ভীড়ে চাপা পড়ে
মৃতপ্রায়; আজকের এই সব গ্রাম্য সন্ততির
প্রপিতামহের দল হেসে খেলে ভালোবেসে-অন্ধকারে জমিদারদের
চিরস্থায়ী ব্যাবস্থাকে চড়কের গাছে তুলে ঘুমায়ে গিয়েছে।
ওরা খুব বেশি ভালো ছিল না; তবুও
আজকের মন্বন্তর দাঙ্গা দুঃখ নিরক্ষরতায়
অন্ধ শতচ্ছিন্ন গ্রাম্য প্রাণীদের চেয়ে
পৃথক আর-এক স্পষ্ট জগতের অধিবাসী ছিল।
আজকে অস্পষ্ট সব? ভালো করে কথা ভাবা এখন কঠিন;
অন্ধকারে অর্ধসত্য সকলকে জানিয়ে দেবার
নিয়ম এখন আছে; তারপর একা অন্ধকারে
বাকি সত্য আঁচ করে নেওয়ার রেওয়াজ
রয়ে গেছে; সকলেই আড়চোখে সকলকে দেখে।
সৃষ্টির মনের কথা মনে হয়—দ্বেষ।
সৃষ্টির মনের কথা: আমাদেরই আন্তরিকতাতে
আমাদেরই সন্দেহের ছায়াপাত টেনে এনে ব্যাথা
খুঁজে আনা। প্রকৃতির পাহাড়ে পাথরে সমুচ্ছল
ঝর্নার জল দেখে তারপর হৃদয়ে তাকিয়ে
দেখেছি প্রথম জল নিহত প্রাণীর রক্তে লাল
হয়ে আছে ব’লে বাঘ হরিণের পিছু আজও ধায়;
মানুষ মেরেছি আমি—তার রক্তে আমার শরীর
ভরে গেছে; পৃথিবীর পথে এই নিহত ভ্রাতার
ভাই আমি; আমাকে সে কনিষ্ঠের মতো জেনে তবু
হৃদয়ে কঠিন হয়ে বধ করে গেল, আমি রক্তাক্ত নদীর
কল্লোলের কাছে শুয়ে অগ্রজপ্রতিম বিমূঢ়কে
বধ করে ঘুমাতেছি—তাহার অপরিসর বুকের ভিতরে
মুখ রেখে মনে হয় জীবনের স্নেহশীল ব্রতী
সকলকে আলো দেবে মনে করে অগ্রসর হয়ে
তবুও কোথাও কোনো আলো নেই বলে ঘুমাতেছে।
ঘুমাতেছে।
যদি ডাকি রক্তের নদীর থেকে কল্লোলিত হয়ে
বলে যাবে কাছে এসে, 'ইয়াসিন আমি,
হানিফ মহম্মদ মকবুল করিম আজিজ—
আর তুমি?' আমার বুকের 'পরে হাত রেখে মৃত মুখ থেকে
চোখ তুলে শুধাবে সে—রক্তনদী উদ্বেলিত হয়ে
ব’লে যাবে, 'গগন, বিপিন, শশী,পাথুরেঘাটার;
মানিকতলার, শ্যামবাজারের, গ্যালিফ স্ট্রীটের, এন্টালির-'
কোথাকার কেবা জানে; জীবনের ইতর শ্রেণীর
মানুষ তো এরা সব; ছেঁড়া জুতো পায়ে
বাজারের পোকাকাটা জিনিসের কেনাকাটা করে;
সৃষ্টির অপরিক্লান্ত চারণার বেগে
এইসব প্রাণকণা জেগেছিল—বিকেলের সূর্যের রশ্মিতে
সহসা সুন্দর বলে মনে হয়েছিল কোনো উজ্জ্বল চোখের
মনীষী লোকের কাছে এই সব অণুর মতন
উদ্ভাসিত পৃথিবীর উপেক্ষিত জীবনগুলোকে।
সূর্যের আলোর ঢলে রোমাঞ্চিত রেণুর শরীরে
রেণুর সংঘর্ষে যেই শব্দ জেগে ওঠে
সেখানে তার অনুপম কণ্ঠের সংগীতে
কথা বলে; কাকে বলে? ইয়াসিন মকবুল শশী
সহসা নিকটে এসে কোনো-কিছু বলবার আগে
আধ-খণ্ড অনন্তের অন্তরের থেকে যেন ঢের
কথা বলে গিয়েছিল; তবু—
অনন্ত তো খণ্ড নয়; তাই সেই স্বপ্ন, কাজ, কথা
অখণ্ডে অনন্তে অন্তর্হিত হয়ে গেছে;
কেউ নেই, কিছু নেই-সূর্য নিভে গেছে।
এ যুগে এখন ঢের কম আলো সব দিকে, তবে।
আমরা এ পৃথিবীর বহুদিনকার
কথা কাজ ব্যাথা ভুল সংকল্প চিন্তার
মর্যাদায় গড়া কাহিনীর মূল্য নিংড়ে এখন
সঞ্চয় করেছি বাক্য শব্দ ভাষা অনুপম বাচনের রীতি।
মানুষের ভাষা তবু অনুভূতিদেশ থেকে আলো
না পেলে নিছক ক্রিয়া; বিশেষণ; এলোমেলো নিরাশ্রয় শব্দের কঙ্কাল
জ্ঞানের নিকট থেকে ঢের দূরে থাকে।
অনেক বিদ্যার দান উত্তরাধিকারে পেয়ে তবু
আমাদের এই শতকের
বিজ্ঞান তো সংকলিত জিনিসের ভিড় শুধু—বেড়ে যায় শুধু;
তবুও কোথাও তার প্রাণ নেই বলে অর্থময়
জ্ঞান নেই আজ এই পৃথিবীতে; জ্ঞানের বিহনে প্রেম নেই।
এ-যুগে কোথাও কোনো আলো—কোনো কান্তিময় আলো
চোখের সুমুখে নেই যাত্রিকের; নেই তো নিঃসৃত অন্ধকার
রাত্রির মায়ের মতো: মানুষের বিহ্বল দেহের
সব দোষ প্রক্ষালিত করে দেয়—মানুষের মানুষের বিহ্বল আত্মাকে
লোকসমাগমহীন একান্তের অন্ধকারে অন্তঃশীল ক’রে
তাকে আর শুধায় না—অতীতের শুধানো
প্রশ্নের উত্তর চায় না আর—শুধু শব্দহীন মৃত্যুহীন
অন্ধকারে ঘিরে রাখে, সব অপরাধ ক্লান্তি ভয় ভুল পাপ
বীতকাম হয় যাতে—এ জীবন ধীরে ধীরে বীতশোক হয়,
স্নিগ্ধতা হৃদয়ে জাগে; যেন দিকচিহ্নময় সমুদ্রের পারে
কয়েকটি দেবদারুগাছের ভিতরে অবলীন
বাতাসের প্রিয়কণ্ঠ কাছে আসে—মানুষের রক্তাক্ত আত্মায়
সে-হাওয়া অনবচ্ছিন্ন সুগমের—মানুষের জীবন নির্মল।
আজ এই পৃথিবীতে এমন মহানুভব ব্যাপ্ত অন্ধকার
নেই আর? সুবাতাস গভীরতা পবিত্রতা নেই?
তবুও মানুষ অন্ধ দুর্দশার থেকে স্নিগ্ধ আঁধারের দিকে
অন্ধকার হ’তে তার নবীন নগরী গ্রাম উৎসবের পানে
যে অনবনমনে চলেছে আজও—তার হৃদয়ের
ভুলের পাপের উৎস অতিক্রম ক’রে চেতনার
বলয়ের নিজ গুণ রয়ে গেছে বলে মনে হয়।

বোধ

  -জীবনানন্দ দাশ

 আলো-অন্ধকারে যাই - মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, - কোন্‌ এক বোধ কাজ করে!
স্বপ্ন নয় - শান্তি নয়―ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ হয়, - পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা - প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়!

সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে!
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে
সহজ লোকের মতো! তাদের মতন ভাষা কথা
কে বলিতে পারে আর! - কোনো নিশ্চয়তা
কে জানিতে পারে আর? - শরীরের স্বাদ
কে বুঝিতে চায় আর? - প্রাণের আহ্লাদ
সকল লোকের মতো কে পাবে আবার!
সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর
স্বাদ কই! - ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে,
শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,
শরীরে জলের গন্ধ মেখে,
উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে
চাষার মতন প্রাণ পেয়ে
কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর ՚পরে?
স্বপ্ন নয়, - শান্তি নয়,―কোন্‌ এক বোধ কাজ করে
মাথার ভিতরে!

পথে চ’লে পারে - পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে;
মড়ার খুলির মতো ধ’রে
আছাড় মারিতে চাই,জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারিপাশে!
তবু সে চোখের চারিপাশে!
তবু সে বুকের চারিপাশে!
আমি চলি,সাথে সাথে সেও চলে আসে!
আমি থামি, -
সেও থেমে যায়;
সকল লোকের মাঝে ব’সে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার চোখেই শুধু বাধা?
জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে
সন্তানের মতো হয়ে, -
সন্তানের জন্ম দিতে দিতে
যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়,
কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়
যাহাদের ; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজক্ষেতে আসিতেছে চ’লে
জন্ম দেবে - জন্ম দেবে ব’লে;
তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি?―তাহাদের মন
আমার মনের মতো না কি? -
তবু কেন এমন একাকী?
তবু আমি এমন একাকী!
হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল?
বাল্‌টিতে টানিনি কি জল?
কাস্তে হাতে কতবার যাইনি কি মাঠে?
মেছোদের মতো আমি কত নদী ঘাটে
ঘুরিয়াছি;
পুকুরের পানা শ্যালা - আঁশটে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে
গিয়েছে জড়ায়ে;
 - এইসব স্বাদ;
 - এ সব পেয়েছি আমি;―বাতাসের মতন অবাধ
বয়েছে জীবন,
নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন
একদিন;
এইসব সাধ
জানিয়াছি একদিন, - অবাধ - অগাধ;
চ’লে গেছি ইহাদের ছেড়ে; -
ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;
আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে,
ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে - যখন ডেকেছি বারে-বারে
ভালোবেসে তারে;
তবুও সাধনা ছিল একদিন, - এই ভালোবাসা;
আমি তার উপেক্ষার ভাষা
আমি তার ঘৃণার আক্রোশ
অবহেলা ক’রে গেছি; যে নক্ষত্র - নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা ভুলিয়া গেছি;
তবু এই ভালোবাসা - ধুলো আর কাদা -।

মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয় - প্রেম নয় - কোনো এক বোধ কাজ করে।
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে :
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?
কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!
মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন!
শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন!

এই বোধ - শুধু এই স্বাদ
পায় সে কি অগাধ - অগাধ!
পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ
চায় না সে? - করেছে শপথ
দেখিবে সে মানুষের মুখ?
দেখিবে সে মানুষীর মুখ?
দেখিবে সে শিশুদের মুখ?
চোখে কালোশিরার অসুখ,
কানে যেই বধিরতা আছে,
যেই কুঁজ - গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে
নষ্ট শসা - পচা চালকুমড়ার ছাঁচে,
যে সব হৃদয়ে ফলিয়াছে
- সেই সব।


ঘাস

  -জীবনানন্দ দাশ

 কচি লেবুপাতার মত নরম সবুজ আলোয়
পৃথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;
কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস–তেমনি সুঘ্রাণ–
হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিচ্ছে।
আমারও ইচ্ছা করে এই ঘাসের ঘ্রাণ হরিৎ মদের মতো
গেলাসে গেলাসে পান করি,
এই ঘাসের শরীর ছানি–চোখে চোখ ঘষি,
ঘাসের পাখনায় আমার পালক,
ঘাসের ভিতর ঘাস হয়ে জন্মাই কোনো এক নিবিড় ঘাস–মাতার
শরীরের সুস্বাদ অন্ধকার থেকে নেমে।


নিরালোক

   -জীবনানন্দ দাশ

 একবার নক্ষত্রের দিকে চাই – একবার প্রান্তরের দিকে
আমি অনিমিখে।
ধানের ক্ষেতের গন্ধ মুছে গেছে কবে
জীবনের থেকে যেন; প্রান্তরের মতন নীরবে
বিচ্ছিন্ন খড়ের বোঝা বুকে নিয়ে ঘুম পায় তার;
নক্ষত্রেরা বাতি জ্বেলে–জ্বেলে–জ্বেলে– ‘নিভে গেলে- নিভে গেলে?’
বলে তারে জাগায় আবার;
জাগায় আবার।
বিচ্ছিন্ন খড়ের বোঝা বুকে নিয়ে- বুকে নিয়ে ঘুম পায় তার;
ঘুম পায় তার।

অনেক নক্ষত্রে ভরে গেছে সন্ধ্যার আকাশ– এই রাতের আকাশ;
এইখানে ফাল্গুনের ছায়া মাখা ঘাসে শুয়ে আছি;
এখন মরণ ভাল,– শরীরে লাগিয়া রবে এই সব ঘাস;
অনেক নক্ষত্র রবে চিরকাল যেন কাছাকাছি।
কে যেন উঠিল হেঁচে,– হামিদের মরখুটে কানা ঘোড়া বুঝি!
সারা দিন গাড়ি টানা হল ঢের,– ছুটি পেয়ে জ্যোৎস্নায় নিজ মনে খেয়ে যায় ঘাস;
যেন কোনো ব্যথা নাই পৃথিবীতে,– আমি কেন তবে মৃত্যু খুঁজি?
‘কেন মৃত্যু খোঁজো তুমি?’– চাপা ঠোঁটে বলে কৌতুকী আকাশ।

ঝাউফুলে ঘাস ভরে– এখানে ঝাউয়ের নীচে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে;
কাশ আর চোরকাঁটা ছেড়ে দিয়ে ফড়িং চলিয়া গেছে ঘরে।
সন্ধ্যার নক্ষত্র, তুমি বলো দেখি কোন্‌ পথে কোন্‌ ঘরে যাব!
কোথায় উদ্যম নাই, কোথায় আবেগ নাই,- চিন্তা স্বপ্ন ভুলে গিয়ে শান্তি আমি পাব?

রাতের নক্ষত্র, তুমি বলো দেখি কোন্‌ পথে যাব ?
‘তোমারই নিজের ঘরে চলে যাও’– বলিল নক্ষত্র চুপে হেসে–
‘অথবা ঘাসের ‘পরে শুয়ে থাকো আমার মুখের রূপ ঠায় ভালবেসে;
অথবা তাকায়ে দেখো গোরুর গাড়িটি ধীরে চলে যায় অন্ধকারে
সোনালি খড়ের বোঝা বুকে;
পিছে তার সাপের খোলস, নালা, খলখল অন্ধকার – শান্তি তার রয়েছে সমুখে
চলে যায় চুপ-চুপে সোনালি খড়ের বোঝা বুকে–
যদিও মরেছে ঢের গন্ধর্ব, কিন্নর, যক্ষ, - তবু তার মৃত্যু নাই মুখে।‘

 আবার আসিব ফিরে

- জীবনানন্দ দাশ

আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে - এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় - হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।
হয়তো বা হাঁস হবো - কিশোরীর - ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলঙ্গীর ঢেউ এ ভেজা বাংলারি সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।
হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।
হয়তো শুনিবে এক লক্ষীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে।
হয়তো খৈয়ের ধান সরাতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে।
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদাছেঁড়া পালে
ডিঙ্গা বায় - রাঙ্গা মেঘে সাঁতরায়েঅন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে,
দেখিবে ধবল বক; আমারে পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।

 এই সব দিনরাত্রি

- জীবনানন্দ দাশ


মনে হয় এর চেয়ে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া ভালো।
এইখানে
পৃথিবীর এই ক্লান্ত এ অশান্ত কিনারা দেশে
এখানে আশ্চর্য সব মানুষ রয়েছে।
তাদের সম্রাট নেই, সেনাপতি নেই;
তাদের হৃদয়ে কোনো সভাপতি নেই;
শরীর বিবশ হলে অবশেষে ট্রেড-ইউনিয়নের
কংগ্রেসের মতো কোনো আশা-হতাশার
কোলাহল নেই।

অনেক শ্রমিক আছে এইখানে।
আরো ঢের লোক আছে
সঠিক শ্রমিক নয় তারা।
স্বাভাবিক মধ্যশ্রেণী নিম্নশ্রেণী মধ্যবিত্ত শ্রেনীর পরিধি থেকে ঝ’রে
এরা তবু মৃত নয়; অন্তবিহীন কাল মৃতবৎ ঘোরে।
নামগুলো কুশ্রী নয়, পৃথিবীর চেনা-জানা নাম এই সব।
আমরা অনেক দিন এ-সব নামের সাথে পরিচিত; তবু,
গৃহ নীড় নির্দেশ সকলই হারায়ে ফেলে ওরা
জানে না কোথায় গেলে মানুষের সমাজের পারিশ্রমিকের
মতন নির্দিষ্ট কোনো শ্রমের বিধান পাওয়া যাবে;
জানে না কোথায় গেলে জল তেল খাদ্য পাওয়া যাবে;
অথবা কোথায় মুক্ত পরিচ্ছন্ন বাতাসের সিন্ধুতীর আছে।

মেডিকেল ক্যাম্বেলের বেলগাছিয়ার
যাদবপুরের বেড কাঁচড়াপাড়ার বেড সব মিলে কতগুলো সব?
ওরা নয়ে—সহসা ওদের হয়ে আমি
কাউকে শুধায়ে কোনো ঠিকমতো জবাব পাইনি।
বেড আছে, বেশি নেইে—সকলের প্রয়োজনে নেই।
যাদের আস্তানা ঘর তল্পিতল্পা নেই
হাসপাতালের বেড হয়তো তাদের তরে নয়।
বটতলা মুচিপাড়া তালতলা জোড়াসাঁকোে—আরো ঢের ব্যার্থ অন্ধকারে
যারা ফুটপাত ধ’রে অথবা ট্রআমের লাইন মাড়িয়ে চলছে
তাদের আকাশ কোন্‌ দিকে?
জানু ভেঙে পড়ে গেলে হাত কিছুক্ষন আশাশীল
হয়ে কিছু চায়ে—কিছু খোঁজে;
এ ছাড়া আকাশ আর নেই।
তাদের আকাশ সর্বদাই ফুটপাতে;
মাঝে মাঝে এম্বুলেন্‌স্‌ গাড়ির ভিতরে
রণক্লান্ত নাবিকেরা ঘরে
ফিরে আসে
যেন এক অসীম আকাশে।

এ-রকম ভাবে চ’লে দিন যদি রাত হয়, রাত যদি হয়ে যায় দিন,
পদচিহ্নময় পথ হয় যদি দিকচিহ্নহীন,
কেবলই পাথুরেঘাটা নিমতলা চিৎপুরে—
খালের এপার-ওপার রাজাবাজারের অস্পষ্ট নির্দেশে
হাঘরে হাভাতেদের তবে
অনেক বেডের প্রয়োজন;
বিশ্রামের প্রয়োজন আছে;
বিচিত্র মৃত্যুর আগে শান্তির কিছুটা প্রয়োজন।
হাসপাতালের জন্য যাদের অমূল্য দাদন,
কিংবা যারা মরণের আগে মৃতদের
জাতিধর্ম নির্বিচারে সকলকেে—সব তুচ্ছতম আর্তকেও
শরীরের সান্ত্বনা এনে দিতে চায়,
কিংবা যারা এইসব মৃত্যু রোধ করে এক সাহসী পৃথিবী
সুবাতাস সমুজ্জ্বল সমাজ চেয়েছেে—
তাদের ও তাদের প্রতিভা প্রেম সংকল্পকে ধন্যবাদ দিয়ে
মানুষকে ধন্যবাদ দিয়ে যেতে হয়।
মানুষের অনিঃশেষ কাজ চিন্তা কথা
রক্তের নদীর মতো ভেসে গেলে, তারপর, তবু, এক অমূল্য মুগ্ধতা
অধিকার করে নিয়ে ক্রমেই নির্মল হতে পারে।

ইতিহাস অর্ধসত্যে কামাচ্ছন্ন এখনো কালের কিনারায়;
তবুও মানুষ এই জীবনকে ভালোবাসে; মানুষের মন
জানে জীবনের মানে : সকলের ভালো ক’রে জীবনযাপন।
কিন্তু সেই শুভ রাষ্ট্র ঢের দূরে আজ।
চারি দিকে বিকলাঙ্গ অন্ধ ভিড়ে—অলীক প্রয়াণ।
মন্বন্তর শেষ হলে পুনরায় নব মন্বন্তর;
যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে নতুন যুদ্ধের নান্দীরোল;
মানুষের লালসার শেষ নেই;
উত্তেজনা ছাড়া কোনো দিন ঋতু ক্ষণ
অবৈধ সংগম ছাড়া সুখ
অপরের সুখ ম্লান করে দেওয়া ছাড়া প্রিয় সাধ নেই।
কেবলই আসন থেকে বড়ো, নবতর
সিংহাসনে যাওয়া ছাড়া গতি নেই কোনো।
মানুষের দুঃখ কষ্ট মিথ্যা নিষ্ফলতা বেড়ে যায়।

মনে পড়ে কবে এক রাত্রির স্বপ্নের ভিতরে
শুনেছি একটি কুষ্ঠকলঙ্কিত নারী
কেমন আশ্চর্য গান গায়;
বোবা কালা পাগল মিনসে এক অপরূপ বেহালা বাজায়;
গানের ঝংকারে যেন সে এক একান্ত শ্যাম দেবদারুগাছে
রাত্রির বর্ণের মতো কালো কালো শিকারী বেড়াল
প্রেম নিবেদন করে আলোর রঙের মতো অগণন পাখিদের কাছে;
ঝর্‌ ঝর্‌ ঝর্‌
সারারাত শ্রাবণের নির্গলিত ক্লেদরক্ত বৃষ্টির ভিতর
এ পৃথিবী ঘুম স্বপ্ন রুদ্ধশ্বাস
শঠতা রিরংসা মৃত্যু নিয়ে
কেমন প্রদত্ত কালো গণিকার উল্লোল সংগীতে
মুখের ব্যাদান সাধ দুর্দান্ত গণিকালয়ে—নরক শ্মশান হল সব।
জেগে উঠে আমাদের আজকের পৃথিবীকে এ-রকম ভাবে অনুভব
আমিও করেছি রোজ সকালের আলোর ভিতরে
বিকেলে-রাত্রির পথে হেঁটে;
দেখেছি রাজনীগন্ধা নারীর শরীর অন্ন মুখে দিতে গিয়ে
আমরা অঙ্গার রক্ত: শতাব্দীর অন্তহীন আগুনের ভিতরে দাঁড়িয়ে।

এ আগুন এত রক্ত মধ্যযুগ দেখেছে কখনও?
তবুও সকল কাল শতাব্দীকে হিসেব নিকেশ করে আজ
শুভ কাজ সূচনার আগে এই পৃথিবীর মানবহৃদয়
স্নিগ্ধ হয়-বীতশোক হয়?
মানুষের সব গুণ শান্ত নীলিমার মতো ভালো?
দীনতা: অন্তিম গুণ, অন্তহীন নক্ষত্রের আলো।

 সময় সেতু পথে

 - জীবনানন্দ দাশ

 ভোরের বেলায় মাঠ প্রান্তর নীলকন্ঠ পাখি,
দুপুরবেলার আকাশে নীল পাহাড় নীলিমা,
সারাটি দিন মীনরৌদ্রমুখর জলের স্বর, -
অনবসিত বাহির-ঘরের ঘরণীর এই সীমা।
তবুও রৌদ্র সাগরে নিভে গেল;
বলে গেল : ‘অনেক মানুষ মরে গেছে'; ‘অনেক নারীরা কি
তাদের সাথে হারিয়ে গেছে?’ - বলতে গেলাম আমি;
উঁচু গাছের ধূসর হাড়ে চাঁদ না কি সে পাখি
বাতাস আকাশ নক্ষত্র নীড় খুঁজে
বসে আছে এই প্রকৃতির পলকে নিবড়ি হয়ে;
পুরুষনারী হারিয়ে গেছে শষ্প নদীর অমনোনিবেশে,
অমেয় সুসময়ের মতো রয়েছে হৃদয়ে ।

 যতিহীন

 - জীবনানন্দ দাশ

 বিকেলবেলা গড়িয়ে গেলে অনেক মেঘের ভিড়
কয়েক ফলা দীর্ঘতম সূর্যকিরণ বুকে
জাগিয়ে তুলে হলুদ নীল কমলা রঙের আলোয়
জ্বলে উঠে ঝরে গেল অন্ধকারের মুখে।
যুবারা সব যে যার ঢেউয়ে -
মেয়েরা সব যে যার প্রিয়ের সাথে
কোথায় আছে জানি না তো;
কোথায় সমাজ অর্থনীতি? - স্বর্গগামী সিড়ি
ভেঙে গিয়ে পায়ের নিচে রক্তনদীর মতো, -
মানব ক্রমপরিণতির পথে লিঙ্গশরীরী
হয়ে কি আজ চারি দিকে গণনাহীন ধুসর দেয়ালে
ছড়িয়ে আছে যে যার দ্বৈপসাগর দখল ক’রে!
পুরাণপুরুষ, গণমানুষ, নারীপুরুষ, মানবতা, অসংখ্য বিপ্লব
অর্থবিহীন হয়ে গেলে―তবু আরেক নবীনতর ভোরে
সার্থকতা পাওয়া যাবে ভেবে মানুষ সঞ্চারিত হয়ে
পথে পথে সবের শুভ নিকেতনের সমাজ বানিয়ে
তবুও কেবল দ্বীপ বানাল যে যার নিজের অবক্ষয়ের জলে।
প্রাচীন কথা নতুন ক’রে এই পৃথিবীর অনন্ত বোনভায়ে।
ভাবছে একা একা ব’সে
যুদ্ধ রক্ত রিরংসা ভয় কলরোলের ফাঁকে:
আমাদের এই আকাশ সাগর আঁধার আলোয় আজ
যে দোর কঠিন; নেই মনে হয়; - সে দ্বার খুলে দিয়ে
যেতে হবে আবার আলোয় অসার আলোর ব্যসন ছাড়িয়ে।

 অনেক নদীর জল

 - জীবনানন্দ দাশ

 অনেক নদীর জল উবে গেছে  -
ঘর বাড়ি সাঁকো ভেঙে গেল;
সে-সব সময় ভেদ ক’রে ফেলে আজ
কারা তবু কাছে চলে এল ।
যে সূর্য অয়নে নেই কোনো দিন,
- মনে তাকে দেখা যেত যদি -
যে নারী দেখে নি কেউ — ছ-সাতটি তারার তিমিরে
হৃদয়ে এসেছে সেই নদী ।
তুমি কথা বল - আমি জীবন-মৃত্যুর শব্দ শুনি :
সকালে শিশিরকণা যে-রকম ঘাসে
অচিরে মরণশীল হয়ে তবু সূর্যে আবার
মৃত্যু মুখে নিয়ে পরদিন ফিরে আসে।
জন্মতারকার ডাকে বারবার পৃথিবীতে ফিরে এসে আমি
দেখেছি তোমার চোখে একই ছায়া পড়ে :
সে কি প্রেম? অন্ধকার? - ঘাস ঘুম মৃত্যু প্রকৃতির
অন্ধ চলাচলের ভিতরে ।
স্থির হয়ে আছে মন; মনে হয় তবু
সে ধ্রুব গতির বেগে চলে,
মহা-মহা রজনীর ব্রহ্মান্ডকে ধরে;
সৃষ্টির গভীর গভীর হংসী প্রেম
নেমেছে  -এসেছে আজ রক্তের ভিতরে ।
‘এখানে পৃথিবী আর নেই - ’
ব’লে তারা পৃথিবীর জনকল্যাণেই
বিদায় নিয়েছে হিংসা ক্লান্তির পানে;
কল্যাণ কল্যাণ; এই রাত্রির গভীরতর মানে।
শান্তি এই আজ;
এইখানে স্মৃতি;
এখানে বিস্মৃতি তবু; প্রেম
ক্রমায়াত আঁধারকে আলোকিত করার প্রমিতি ।


চারিদিকে প্রকৃতির

  - জীবনানন্দ দাশ

 চারিদিকে প্রকৃতির ক্ষমতা নিজের মতো ছড়ায়ে রয়েছে।
সূর্য আর সূর্যের বনিতা তপতী—
মনে হয় ইহাদের প্রেম
মনে ক’রে নিতে গেলে, চুপে
তিমিরবিদারী রীতি হয়ে এরা আসে
আজ নয়—কোনো এক আগামী আকাশে।
অন্নের ঋণ,বিমলিন স্মৃতি সব
বন্দরবস্তির পথে কোনো এক দিন
নিমেষের রহস্যের মতো ভুলে গিয়ে
নদীর নারীর কথা—আরো প্রদীপ্তির কথা সব
সহসা চকিত হয়ে ভেবে নিতে গেলে বুঝি কেউ
হৃদয়কে ঘিরে রাখে, দিতে চায় একা আকাশের
আশেপাশে অহেতুক ভাঙা শাদা মেঘের মতন।
তবুও নারীর নাম ঢের দূরে আজ,
ঢের দূরে মেঘ;
সারাদিন নিলেমের কালিমার খারিজের কাজে মিশে থেকে
ছুটি নিতে ভালোবেসে ফেলে যদি মন
ছুটি দিতে চায় না বিবেক।
মাঝে মাঝে বাহিরের অন্তহীন প্রসারের
থেকে মানুষের চোখে-পড়া-না-পড়া সে কোনো স্বভাবের
সুর এসে মানবের প্রাণে
কোনো এক মানে পেতে চায়:
যে-পৃথিবী শুভ হতে গিয়ে হেরে গেছে সেই ব্যর্থতার মানে।
চারিদিকে কলকাতা টোকিয়ো দিল্লী মস্কৌ অতলান্তিকের কলরব,
সরবরাহের ভোর,
অনুপম ভোরাইয়ের গান;
অগণন মানুষের সময় ও রক্তের যোগান
ভাঙে গড়ে ঘর বাড়ি মরুভূমি চাঁদ
রক্ত হাড় বসার বন্দর জেটি ডক;
প্রীতি নেই—পেতে গেলে হৃদয়ের শান্তি স্বর্গের
প্রথম দুয়ারে এসে মুখরিত ক’রে তোলে মোহিনী নরক।
আমাদের এ পৃথিবী যতদূর উন্নত হয়েছে
ততদূর মানুষের বিবেক সফল।
সে চেতনা পিরামিডে পেপিরাসে-প্রিন্টিং-প্রেসে ব্যাপ্ত হয়ে
তবুও অধিক আধুনিকতর চরিত্রের বল।
শাদাসিদে মনে হয় সে সব ফসল:
পায়ের চলার পথে দিন আর রাত্রির মতন—
তবুও এদের গতি স্নিগ্ধ নিয়ন্ত্রিত ক’রে বার বার উত্তরসমাজ
ঈষৎ অনন্যসাধারণ।

স্বপ্ন

   - জীবনানন্দ দাশ

 পান্ডুলিপি কাছে রেখে ধূসর দীপের কাছে আমি
নিস্তব্ধ ছিলাম ব'সে;
শিশির পড়িতেছিলো ধীরে-ধীরে খ'সে;
নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি

উড়ে গেলো কুয়াশায়,  - কুয়াশার থেকে দূর-কুয়াশায় আরো।
তাহারি পাখার হাওয়া প্রদীপ নিভায়ে গেলো বুঝি?
অন্ধকার হাৎড়ায়ে ধীরে-ধীরে দেশলাই খুঁজি;
যখন জ্বালিব আলো কার মুখ দেখা যাবে বলিতে কি পারো?

কার মুখ? —আমলকী শাখার পিছনে
শিঙের মত বাঁকা নীল চাঁদ একদিন দেখেছিলো তাহা;
এ-ধূসর পান্ডুলিপি একদিন দেখেছিলো, আহা,
সে-মুখ ধূসরতম আজ এই পৃথিবীর মনে।

তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,
পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,
মানুষ র'বে না আর, র'বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ
সেই মুখ আর আমি র'বো সেই স্বপ্নের ভিতরে।

 সূর্যতামসী


   - জীবনানন্দ দাশ

কোথাও পাখির শব্দ শুনি;
কোনো দিকে সমুদ্রের সুর;
কোথাও ভোরের বেলা র'য়ে গেছে - তবে।
অগণন মানুষের মৃত্যু হ'লে - অন্ধকারে জীবিত ও মৃতের হৃদয়
বিস্মিতের মতো চেয়ে আছে;
এ কোন সিন্ধুর সুর:
মরণের - জীবনের?
এ কি ভোর?
অনন্ত রাত্রির মতো মনে হয় তবু।
একটি রাত্রির ব্যথা সয়ে -
সময় কি অবশেষে এ-রকম ভোরবেলা হয়ে
আগামী রাতের কালপুরুষের শস্য বুকে ক'রে জেগে ওঠে?
কোথাও ডানার শব্দ শুনি;
কোন দিকে সমুদ্রের সুর -
দক্ষিণের দিকে,
উত্তরের দিকে,
পশ্চিমের পানে?

সৃজনের ভয়াবহ মানে;
তবু জীবনের বসন্তের মতন কল্যাণে
সূর্যালোকিত সব সিন্ধু-পাখিদের শব্দ শুনি;
ভোরের বদলে তবু সেইখানে রাত্রি করোজ্জ্বল
ভিয়েনা, টোকিও, রোম, মিউনিখ - তুমি?
সার্থবাহ, সার্থবাহ, ওইদিকে নীল
সমুদ্রের পরিবর্তে আটলাণ্টিক চার্টার নিখিল মরুভূমি!
বিলীন হয় না মায়ামৃগ - নিত্য দিকদর্শিন;
যা জেনেছে - যা শেখেনি -
সেই মহাশ্মশানের গর্ভাঙ্কে ধূপের মত জ্ব'লে
জাগে না কি হে জীবন - হে সাগর -
শকুন্ত-ক্রান্তির কলরোলে।

  একটি নক্ষত্র আসে


  - জীবনানন্দ দাশ

একটি নক্ষত্র আসে; তারপর একা পায়ে চ'লে
ঝাউয়ের কিনার ঘেঁষে হেমন্তের তারাভরা রাতে
সে আসবে মনে হয়; - আমার দুয়ার অন্ধকারে
কখন খুলেছে তার সপ্রতিভ হাতে!
হঠাৎ কখন সন্ধ্যা মেয়েটির হাতের আঘাতে
সকল সমুদ্র সূর্য সত্বর তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাত্রি হতে পারে
সে এসে এগিয়ে দেয়;
শিয়রে আকাশ দূর দিকে
উজ্জ্বল ও নিরুজ্জ্বল নক্ষত্র গ্রহের আলোড়নে
অঘ্রানের রাত্রি হয়;
এ-রকম হিরন্ময় রাত্রি ইতিহাস ছাড়া আর কিছু রেখেছে কি মনে।

শেষ ট্রাম মুছে গেছে, শেষ শব্দ, কলকাতা এখন
জীবনের জগতের প্রকৃতির অন্তিম নিশীথ;
চারিদিকে ঘর বাড়ি পোড়ো-সাঁকো সমাধির ভিড়;
সে অনেক ক্লান্তি ক্ষয় অবিনশ্বর পথে ফিরে
যেন ঢের মহাসাগরের থেকে এসেছে নারীর
পুরোনো হৃদয় নব নিবিড় শরীরে।

  হায় চিল


   - জীবনানন্দ দাশ

হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে-উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!
তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে!
পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে
বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!
হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর উড়ে-উড়ে কেঁদো নাকো ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!

  স্বভাব

    - জীবনানন্দ দাশ

 যদিও আমার চোখে ঢের নদী ছিলো একদিন
পুনরায় আমাদের দেশে ভোর হ'লে,
তবুও একটি নদী দেখা যেতো শুধু তারপর;
কেবল একটি নারী কুয়াশা ফুরোলে
নদীর রেখার পার লক্ষ্য ক'রে চলে;
সূর্যের সমস্ত গোল সোনার ভিতরে
মানুষের শরীরের স্থিরতর মর্যাদার মতো
তার সেই মূর্তি এসে পড়ে।
সূর্যের সম্পূর্ণ বড় বিভোর পরিধি
যেন তার নিজের জিনিস।
এতদিন পরে সেইসব ফিরে পেতে
সময়ের কাছে যদি করি সুপারিশ
তা'হলে সে স্মৃতি দেবে সহিষ্ণু আলোয়
দু-একটি হেমন্তের রাত্রির প্রথম প্রহরে;
যদিও লক্ষ লোক পৃথিবীতে আজ
আচ্ছন্ন মাছির মত মরে -
তবুও একটি নারী 'ভোরের নদীর
জলের ভিতরে জল চিরদিন সূর্যের আলোয় গড়াবে'
এ রকম দু-চারটে ভয়াবহ স্বাভাবিক কথা
ভেবে শেষ হ'য়ে গেছে একদিন সাধারণভাবে।

মহানগরী খানছা -ইবনে বতুতার রোমঞ্চকর অভিযান

ইবনে বতুতার  রোমঞ্চকর অভিযান

মহানগরী খানছা

চীনের কালান থেকে চৌদ্দ দিন পর জয়তুনে ফিরে আসলাম।শুনলাম খানের ফরমান এসে পৌঁছেছে ।ফরমানে আমাদেরকে রাজকীয় মেহমান হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং নদী পথে বা সড়ক পথে যেখান দিয়ে খুশী খানবালিপে যেতে পারব।চীনের বিখ্যাত আবেহায়াত নদী পথেই যাব ঠিক করলাম।
আমাদের যাত্রার জন্য খানের পক্ষ থেকে রাজকীয় নৌকা সজ্জিত করা হলো।প্রয়োজনীয় লোকজনও সাখে দেয়া হলো ।শাহী মেহমান হিসাবে আমরা যাত্রা করলাম এবং দশ দিন পর গাঞ্জালফু নামে এক শহরে এসে পৌঁছলাম।শহরটি বেশ বড় এবং চারটি দূর্গ দ্বারা বেষ্টীত।
গাঞ্জালফুতে পনেরো দিন থেকে আবার আমরা রওয়ানা হলাম এবং নদীপথে চার দিন পর‘বাইওয়াম কুতলু’পৌঁছলাম এরং সেখান থেকে আরোও সতেরো দিন পর খানচা হ্যাংচৌ শহরে এসে পৌঁছলাম।
দুনিয়াতে যতো শহর দেখেছি তার মধ্যে সবচেয়ে বড় শহর হলো এই খানচা হ্যাংচৌ শহর।শহরটি ঘুরে আসতে তিনি দিন লাগে।চীনের অন্যান্য শহরের মতো এখানেও ঘরবাড়ীর সাথে বাগ-বাগিচা রয়েছে।আসলে ছয়টি উপশহর মিলে খানছা মহানগরী গড়ে উঠেছে ।প্রতিটি উপশহর আলাদা আলাদা দূর্গদ্বারা বেষ্টিত।
শহরে পৌঁছে দেখলাম ওখানকার কাজী ফখরদ্দীন ও শেখুল ইসলাম সহকারে খানছার বিশিষ্ট ব্যক্তি ওসমান বিন আরফান মিশরীয় বংশের সন্তানদের নিয়ে ঢোল তবলা ও বাঁশি  বাঁজিয়ে সাদা নিশান উড়িয়ে এসে আমাদের স্বাগত জানালেন।শহরের আমীরও স্বাগত জানালেন।শহরের আমীরও আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে দলবল নিয়ে এলেন।
খানছার ছয়টি উপশহরই আবার একটি বড় দূর্গ দ্বারা ঘেরা।প্রথম উপশহরে প্রহরীরা বসবাস করে।কাজীর কাছে শুনলাম এই প্রহরীদের সংখ্যা প্রায় বারো হাজার।এখানে পৌঁছতে আমাদের রাত হয়ে যায়।তাই প্রহরীদের অধিনায়কের বাড়ীতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
পরদিন আমরা  দ্বিতীয় শহরে গেলাম।এখানকার ইহুদী দরজা দিয়ে এই উপশহরে প্রবেশ করলাম।এই শহরে ইহুদী খিষ্টান সূর্যপূজারী তুর্কীরা বসবাস করে।রাতে এখানকার আমীরের বাড়ীতে আমরা মেহমান হলাম।পরদিন তৃতীয় উপশহরে ডুকলাম।এটি মুসলমানদের এলাকা।এখানে অনেক বাজার ও কয়েকটি মসজিদও রয়েছে।আমরা যখন প্রবেশ করি তখন মোয়াজ্জিনরা যোহরের আযান দিচ্ছিল।এই শহরের  মিশরীয় খানদানের ওসমান নামের এক লোকের বাড়ীতে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হলো।এখানে পনেরো দিন ছিলাম।প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন বাড়ীতে দাওয়াত করা হয়েছে ।এখানে থাকতেই প্রতিদিন ঘোড়ায় চড়ে আমি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছি।।

Monday, October 5, 2015

Tom and Jerry Beach টম এন্ড জেরী


ভারতীয় ছায়াছবির হিন্দি জনপ্রিয় গান


নেপাল এর গান


ভূটানের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে একটি ভূটানী গান।


চীনের শিকল পরা গোলাম -ইবনে বতুতা

ইবনে বতুতার রোমঞ্চকর অভিযান
 চীনের শিকল পরা গোলামের কথা!

চীন দেশীয় এই খানছার চতুর্থ অংশে বয়ে গেছে তিনটি নহর।এদের মধ্যে রয়েছে তিনটি শাখা নদী।ছোট ছোট নৌকা চলাচল করে নদী গুলোতে।জনগণ তাদের প্রয়োজনীয় সদাইপাতি ও কয়লা জাতীয় জ্বালানী  পাথর আনা নেওয়া করে।এই নদীতে অনেক বিলাসী বিনোদন নৌকাও চলাচল করতে দেখলাম।
খানছার এই অংশের মাঝখানে রয়েছে বিশাল এক দূর্গ।এখানে কাজ করে হাজার হাজার দক্ষ কারিগর।কারিগররা এখানে শূল্যবান কাপড় বোনে আর যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরী করে।আমির কুরতাইয়ের কাছে শুনেছি এই দূর্গে এক হাজার ছয়শত ওস্তাদ কারিগর রয়েছে।প্রত্যেকের অধীনে আবার তিন বা চার জন করে শিক্ষানবীশ কাজ করছে।এরা সবাই খানের গোলামদের অন্তর্ভূক্ত ।তাদের পায়ে লোহার শিকল পরানো।এরা শহরের বাজারগুলোতে যেতে পারে, তবে শহরের ফটকের বাহিরে যাওয়ার অনুমতি নেই।প্রতিদিন একশো দলে বাগ হয়ে এদেরকে আমির কুরতাইয়ের সামনে হাজিরা দিতে হয়।
নিয়ম হলো দশ বছর কাজ করার পর গোলামদের পা হতে শিকল খুলে দেয়া হয় তাদের স্বাধীনতা দেয়া হয় তারা চীনের যে কোন যায়গায় মুক্ত জীবন যাপন করতে পারবেন।তবে খানের সাম্রাজ্যের বাহিরে যেতে পারবেন না।অথবা ইচ্ছে থাকলে আগের কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবেন,পায়ে শিকল না পরেই এজন্য তারা অতিরিক্ত বেতন ভাতা পাবেন।এভাবে এসব গোলামদের বয়স যখন পঞ্চাশ বছর হবে তখন তাদের অন্য কোন কাজও করতে হয় না।তখন সরকারী তহবিল হতে উপযুক্ত অবসর ভাতা দেয়া হয়।
এছাড়া রাজ্যের অন্যান্য কর্মচারীরার পঞ্চাশ বছর হলে অবসর নেন এবং সরকার হতে উপযুক্ত ভাতা পান।ষাট বছর বয়স হলে তাঁদেরকে সকল প্রকার আইনী শাস্তি থেকে রেহাই দেয়া হয়।তখন তাঁদেরকে শিশুর মতো নিষ্পাপ গণ্য করা হয়।চীনে এই ধরণের বয়স্ক লোকেরা খুবিই সম্মানীত।তাঁদেরকে জনসাধারণ‘আতা’ বা পিতা বলে সম্বোধন করেন।

ট্রেন -শামসুর রাহমান


Saturday, October 3, 2015

প্রেমের সময় বয়স

প্রেমের সময় বয়স

জীবনে সবাই কারো না কারো প্রেমে পড়েন। অনেকের ভাগ্যে এমনও হয়, কাউকে দারুণ ভালোবেসেও তাকে বোঝাতেই পারেন না মনের কথা। কাউকে পছন্দ হয়ে গেলে তার মনোযোগ কেড়ে নেওয়াটা জরুরি হয়ে ওঠে। প্রেম নিবেদনকে তৃপ্তিদায়ক ও সর্বাধিক উপভোগ্য করতে হলে আবেগের প্রদর্শন ও সুযোগের সদ্ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. কেলি তার গবেষণায় বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা অর্পণ সফল করতে হলে সময়জ্ঞানটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
গবেষনায় প্রকাশ পেয়েছে, মানবদেহ পরিচালিত হয় ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ দ্বারা। সূর্যের আলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে আমাদের দেহ এই ছন্দ মেনে চলে। ঘুম এবং যৌনতার সঠিক সময় বের করতে পারলে উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক তৃপ্তি মিলতে পারে। বয়সের সঙ্গেও সার্কাডিয়ান রিদম বদলাতে থাকে। এসব বিষয়ের সঠিক সমন্বয় করতে হয়। বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, বয়সের সঙ্গে প্রেম নিবেদনের সঠিক সময়ের কথা।
.বিশের কোঠায় যাদের বয়স, দিনের যেকোনো সময় তাদের দেহ যৌন চাহিদা অনুভব করতে পারে। ড. কেলি বলেন, এ বয়সীরা যেকোনো সময় সঙ্গী-সঙ্গিনীর সাথে অন্তরঙ্গ হতে পারেন। এ বয়সীরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাত ১টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ায় সর্বাধিক উপকার পাবেন।
.ত্রিশের কোঠা প্রেম ও সেক্স করার স্বর্ণসময়। সূর্যের আলো দেহে টেসস্টোটেরন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। এ বয়সীদের দেহঘড়ি তাদের সকালে জাগিয়ে তোলে। তাদের রাত ৮টার দিকে ডিনার সেরে ফেলা ভালো। মধ্যরাত তাদের বিছানায় যাওয়ার সেরা সময়।
.চল্লিশের কোঠায় যারা আছেন, তাদের জন্যে প্রেম নিবেদনের সেরা সময় রাত ১০টা ২০ মিনিট। গোটা দিন পেরিয়ে এ সময়টাতেই দেহে সর্বাধিক পরিমাণ অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে দেহ অনেক শান্ত ও স্থিত হয়ে আসে। মধ্যরাতের আগেই তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে পারে। ঘুম থেকে ওঠার আদর্শ সময় হবে সকাল ৭টা ৫০ মিনিট।
.পঞ্চাশের কোঠায় বিকেলেই সেক্স সবচেয়ে উপভোগ্য হতে পারে। সকালের ব্যস্ত সময় শুরু হওয়ার জন্যে এ বয়সীদের রাত সাড়ে ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত।
.ষাট বছরে যারা পা রেখেছেন তাদের জন্যে রাত ৮টা উত্তেজনাকর মুহূর্ত হতে পারে। এ বয়সে রাত ১০টার দিকে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এটি ঘুমকে গভীর করে। তাই তাদের সাড়ে ৬টার দিকে ডিনারের কাজ সেরে ফেলা উত্তম।
.সত্তর বছর বয়সে সেক্স মানুষকে তৃপ্তিদায়ক ঘুম ও বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে পারে। এ বয়সীরা ঘুমের মাঝে বার বার জেগে যেতে পারেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিছানায় গা এলিয়ে দিতে হবে। এদের সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাস্তা করা উচিত। দুপুর শুরু হতেই লাঞ্চ করাটা স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো।

- এ ওয়ান নিউজ

Adobe Photoshop দিয়ে ছবি রিসাইজ করা

ওয়েব পেজ দ্রুত লোড করার পদ্ধতি এবং  Adobe Photoshop দিয়ে ছবি রিসাইজ করা।
সকলকে সালাম ও সুভেচ্ছা।আশা করি ভাল আাছেন।
আপনার একটি ওয়েব পেজ আছে।আপনি আপনার লেখার গুনগত মানে সন্তোষ্ট হল্ওে ভিজিটর তেমন আপনার ওয়েব পেজে বা আপনার ব্লগে তেমন আসেন না ।তার একমাত্র কারণ হতে পারে আপনার ওয়েব পেজটি দ্রুত লোড হয় না।এমতাবস্থায় আপনার ওয়েব পেজটির স্পিড কেমন তা জানতে হলে Google page Speed এ চেক করুন।যদি আপনার ওয়েব পেজটি স্লো হয় বা সমস্যা দেখায় ,তবে নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় এডিট করে আপনার ওয়েব পেজটিকে দ্রুত করতে পারবেন।

ওয়েবপেজ দ্রুত লোড না হওয়ার আরেকটি প্রধাণ কারণ ছবি রিসাইজ না করে পোষ্ট করা। Adobe Photoshop দিয়ে ছবি  সহজেই  রিসাইজ করা যায় ।
 Adobe Photoshop দিয়ে কিভাবে ছবি রিসাইজ করা যায় ?
তা জানতে হলে ভিডিওটি দেখুন ।

আশা করি এখন বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ।

Another main cause of the webpage does not load quickly resize images to the post. You can easily resize photos with Adobe Photoshop. With Adobe Photoshop to resize?
Watch the video to find out how.


I hope you understand now.
Thanks.

Friday, October 2, 2015

লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস Free Antivirus

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের জানাব কিভাবে লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস(Free Antivirus) নেট হতে সংগ্রহ করা যায়।

সকল কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টি ভাইরাস(Free Antivirus) প্রয়োজন হয়।
এছাড়া কাম্পউটার চালনায় অন্যান্য লেটেষ্ট ভার্সন  প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারও প্রয়োজন হয়।নতুন ব্যবহারকারীরা অনেকের কাছে ওয়েব সাইট ঘেটে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি খুঁজে পেতে সমস্যা হয় বা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।
যদি সহজেই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি পাওয়া যায় তাহলো তো খুব ভাল হয়।
তাই আজকে আপনাদেরকে কিভাবে সহজেই লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস(Free Antivirus) সহ অন্যান্য সফটওয়্যার পওয়া যায় ,তার উপায় বাতলে দিব।
এখন নিম্নের নিদেশনা অনুস্মরণ করুন।তাহলে সহজেই আপনি অাপনার কাঙ্খিত লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস (Free Antivirus) অথবা প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি পাবেন।
প্রথমে এখানে ক্লিক করুন।
নিচের ছবির মতো প্রদর্শিত হবে।



অাপনার কাঙ্খিত লেটেষ্ট ভার্সন ফ্রি এন্টিভাইরাস (Free Antivirus) অথবা প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি পাবেন।

সফটওয়্যারের সিরিয়াল কী বা সফটওয়্যারটি কিভাবে ফুল ভার্সন  করা যায় তা জানতে হলে এখানে ক্লিক করুন।
ধন্যবাদ।।

কান্ডারী হুশিয়ার! – কাজী নজরুল ইসলাম Kandari warned! - Kazi Nazrul Islam


দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!
দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।
তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্তর সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।
অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃ মুক্তিপন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার
গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যাজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!
কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।
ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!


Kandari warned! - Kazi Nazrul Islam


Giri impassable, Deep-desert, ocean dustara

Will langhite night-night, warn the passengers!

Duliteche vegetable, phuliteche water, bhuliteche Waterman Way,

Chimriyache Pal, who shall be on the helm, there is himmat?

If you are a young man hamkiche advancing the future.

The heavy storm, will have to travel, to take the boat over.

Whale night matrmantri santrira careful!

Age-era campaign ghosiyache accumulated pain.

Seethe up Huff denied accumulated in the chest,

These will take you on the way, to the right.

Mariche helpless race to the bottom, do not know santarana

Kandari! Today dekhiba ransom your mother.

They Hindu or Muslim? The jijnase any ideas?

Kandari! Ball, dubiche people, children, my mother,

Giri crisis, cowardly passengers garajaya lightning guru,

The backward path as passengers wonders today!

Kandari! You have forgotten the way? What tyajibe middle path?

The dash, but would have been right, that mahabhara niyacha!

Kandari! Thy before the wilderness of Plassey,

Clive's bloody red horizon of the yetha hanjar!

Oh dubiyache the Ganges, India Shut up!

The company raniya punarbara udibe amaderi murderous.

Who was sentenced to death on stage to sing the joy of life,

Damrayeche they come invisibly, what would sacrifice

Test today, race or caste shall relief?

Duliteche boat, phuliteche water kandari warned!

Thursday, October 1, 2015

Wife gift to a friend বন্ধুকে বউ উপহার

Wife gift to a friend
Farman Ali, the two wives of Maulvi kulaura prthimapasara.
Masuk dear friend Mia's wife left the house and gone Affair involved.
Farman Ali was a friend of trouble, trouble.
 So sorry to ease his friend's wife gave one to a friend.
 Farman Ali, a resident of a slum in the nursery owner manachara karmadha Union (52) and kulaura municipality of jayapasa Masuk Mia (37) days from the deep friendly relationship between.
Masuk Mia's wife, three daughters and a son a few days ago, the love affair with the drawn-in boyfriend fled.

Farman Ali, the wife of his friend struck a responsive chord, Friend grief sad Farman Ali. Farman Ali, the wife of the house. He was pleased with the wife is a gift to a friend. Such a desire, as he implemented.

Rabirabajarastha prthimapasa union office on Tuesday night, Dr. Farman Ali nuretuna his second wife, Begum (3) is not divorced. 0 of 4 witnesses after he and a friend set Masuk Kabir Mia nuretuna money to marry the queen.

Masuk with new wife Mia has jayapasastha home.
Masuk Mia manatalaya domicile in Habiganj. The rickshaw driver by profession.




বন্ধুকে বউ উপহার !
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশার ফরমান আলীর নিজের ঘরে রয়েছে  দুজন স্ত্রী। আর প্রিয়তম বন্ধু মাসুক মিয়ার  স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে ঘর ছেড়েছে।
বন্ধুর কষ্টে সহমর্মিত ফরমান আলী । তাই বন্ধুর দুঃখ লাঘবে নিজের এক বউকে তুলে দিলেন বন্ধুর হাতে।

 কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া বস্তির বাসিন্দা নার্সারি মালিক ফরমান আলী ওরফে বৈজ্ঞানিক (৫২) ও কুলাউড়া পৌরসভার জয়পাশা এলাকার মাসুক মিয়া (৩৭)-এর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
কিছুদিন আগে মাসুক মিয়ার স্ত্রী তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে পরকীয়া প্রেমের টানে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়।

আর বন্ধুর বউয়ের এ বিষয়টি ফরমান আলীর মনে দাগ কাটে,বন্ধুর দু:খিত হয় ফরমান আলী। ফরমান আলীর ঘরে দুই বউ । তিনি মনস্থ করলেন এক বউকে উপহারস্বরূপ বন্ধুকে দিয়ে দেবেন। যেমন ইচ্ছা, তেমনি বাস্তবায়নও করলেন তিনি।

গত মঙ্গলবার রাতে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজারস্থ কাজী অফিসে গিয়ে ফরমান আলী তার ২য় স্ত্রী নূরেতুন বেগম (৩২) কে তালাক দেন। পরে তিনিসহ ৪ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ২০ হাজার টাকা কাবিন ধার্য করে বন্ধু মাসুক মিয়ার সঙ্গে নূরেতুন বেগমের বিয়ে দিয়ে দেন।

নতুন বউকে নিয়ে মাসুক মিয়া তার জয়পাশাস্থ বাড়িতে উঠেছেন। মাসুক মিয়ার স্থায়ী নিবাস হবিগঞ্জের মনতলায়। পেশায় তিনি রিকশাচালক।



Google Online Security Blog: HTTPS support coming to Blogspot

Google Online Security Blog: HTTPS support coming to Blogspot

Pigeon speech bak bakum -বাক বাকুম পায়রা

Pigeon speech bak bakum
With the tire
Tomorrow harness bride
Sedan will be with gold.
 Sedan to the village Wien-
 Six carriers foot three .
 Pigeon speech sound bakum bak
 Three carriers bald head.
 Bak bakum kum bak kum!
Six carriers could sleep .
Stopped them, shouting orders
  Pigeon speech sound bakum bak
 Six bearer is stumbling
Where pigeons can fly?

Wednesday, September 30, 2015

দিন যায় কথা থাকে Din Jay Kotha Thake



দিন যায় কথা থাকে
Din Jay Kotha Thake

দিন যায় কথা থাকে
সে যে কথা দিয়ে রাখলো না
চলে যাবার আগে ভাবলো না
সেকথা লেখা আছে বুকে।
সে কথা নয়নে আগুন-আল্পনা আঁকে
স্মৃতির পাপিয়া “চোখ গেলো” বলে ডাকে
সে জ্বালা-যন্ত্রণা কাউকে বোলবো না,
বলবো আছি কী যে সুখে।।
মনপাখি তুই থাকরে খাঁচায় বন্দী,
আমি তো করেছি দুঃখের সঙ্গে সন্ধি।
কি আছে পাওনা, তার কাছে দেনা
যাক সে হিসাব চুকে।।

 শিল্পীঃ সুবীর নন্দী,কনকচাঁপা ও কিশোর
  বছরঃ১৯৭৯

If the day of the
He's not that bad with words
No thought had gone before
The keeper's chest.
Tonight he draws fire-Alpana
In memory of the Nightingale "was eye" call       
He is one of bolabo not irritated,
What I am happy to say that ..
You Thackeray manapakhi cage,
I've already come to terms with grief.
What owe a debt to him
He said he Chuke account ..

  Singer- Subir Nandi, kanakacampa
and Kishor

তোমার লাগিয়া রে সদাই প্রাণ আমার কান্দে রে

তোমার লাগিয়া রে
সদাই প্রাণ আমার কান্দে বন্ধুরে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
নিদয় নিঠুর রে বন্ধু
তুই তো কূল নাসা।
(আমায়) ফাঁকি দিয়ে ফেলে গেলি রে বন্ধু।
না পুড়াইলি আশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
আগে যদি জানতাম রে বন্ধু
তোর বাড়ি নৈরাশা।
(ও তুই) না জেনে পীড়িতের রীতি রে বন্ধু।
ঘটাইলি দুর্দশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।
হৃদয় চিড়িয়া রে দিতাম হৃদয়তে বাসা।
(আমি) তোমায় দেখে স্বাধ মিটাইতাম রে বন্ধু।
খেলতাম প্রেমের পাশা রে বন্ধু
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।

শিল্পীঃ আব্দুল আলীম ,নীনা হামিদ ও রিমি
সুরকারঃ পাওয়া যায় নি
গীতিকারঃকানাই লাল সেন
পল্লীগীতি
Your stick Ray
My soul is always bandhure kande
Kalia Ray soul friend ..
Ray nidaya nithura friend
You are NASA shore.
(Me) out of the stall friend Ray m.
Do not expect a friend Ray puraili
Kalia Ray soul friend ..
Before you knew rays friend
Gloominess your home.
(And you) have not ridden friend Ray genre.
Ray ghataili teen friend
Kalia Ray soul friend ..
Ray heart would hrdayate trip home.
(I) at you mitaitama sbadha friend Ray.
Love played dice rays friend
Kalia Ray soul friend ..

Silpih Abdul Alim, nina Hamid and Rimi
Surakarah found
Gitikarahkanai red Sen
Folk song

Invitation Jasim Uddin- পল্লী কবি পল্লী কবি জসীমউদ্দীন এর কবিতা ‘নিমন্ত্রণ’

Invitation

Jasim Uddin
 
Can you brother - with my will, our small village,

Flourished in the shade of the trees on the forest op apathetic;

I felt sorry for Maya jarajari

More gehakhani are ornaments,

Bukete mother, sister and feet, dear brother, chaya,

Can you brother - with my will, our small village,

Small gamokhani small river runs through admire side,

Black water near his eye majiyache whoever crow;

Boat tied to the brink of the water

Let the news sprawl;

Binasuti wreath gathiche nitui side with citizens;

Right away aniche tatera two curved trap.

You can be my brother, the small village that Kajol,

Let's banana forest intimately; Taya has shut it.

Headphones accelerates pathway sutaya

Pathikere aniche far away,

Forest air, shade, shall hold Taya,

Bukakhani give his full understanding, compassion and mercy!

You can be my brother - the soft grass of the plate

Cambana aim adharakhanite layo niralate table.

Telakuca - Trailer neck, sleeves

Take a lump filled bucolic fringe,

Hethaya aye, you're feeling wild birds,

You see your body rankhani their legs.

If you go into our village, I'm with

He went to the other side of the river with a boat pier.

The field is called to shepherd

Do you give in to the Teleport

Kuriiya continually build our buildings caught in the daytime,

Forget the fake city truly build our city.

If you go - there you see in pea vine,

Beans and lima beans - hands down there with baraile up.

If he is to you - all kuraye

Poraye poraye straw fire,

And as gemdho eat - farmers called invitation,

Bilaiba it up and laughed and laughed, the two up.

If you go - kuraye water lilies, very - very large,

A person who has seen the build wreath,

Karen will not, if you want

Well, it does not give it,

Malatire you lay down, but he's tough,

Paraba evil guys and take by force;

Even going back to the house, the mother wants to bakite,

Some of the seed so that the plan can be happy with him!

Red aloyane up dungcake

Will be bound by the

If you want to get up or not getting a gift from his mind,

I will tell - will bring many Taya kalike matarera spinach.

Get up very early to be doing, suyyi Before,

Karen kabi do not belong to anybody words dekhis feet
Can you brother - with my will, our small village,

Flourished in the shade of the trees on the forest op apathetic;

are involved in tender compassion
My body is full of love

The love of a mother, sister and brother's affection

Can you brother - with my will, our small village,

The small village- small river runs through admire side,

Black water has her beautiful eyes like a crow;
Boat tied to the brink of the water

Let the news sprawl;

There is constant communication with citizens beyond;
There are two main indiscriminate hanging banyan tree

Will you come to my brother, the small beautiful village,


Let's banana forest intimately; There are so shut up.

For small bucolic road traffic

Pedestrians pass away,

Breeze forest, trees, shadow, hold that,

His heart will be filled with thought, compassion and mercy!
You can be my brother - the soft grass of the plate

The aim scratched isolation kiss lip.

Telakuca - Trailer neck, sleeves

Take a lump filled bucolic fringe,

Here you're in love with the wild birds,
See you dressed them in your skin color.
If you go into our village, I'm with

He went to the other side of the river with a boat pier.

The field is called to shepherd

Do you give in to the Teleport

Stoning build our building up throughout the day,

Forget the fake city truly build our city.

If you go - there you see in pea vine,

Beans and lima beans - Ever Increasing hands full down there.
If he is to you - are all gathering

The straw fire burn,

And eat the bacon - called farmers invitation,
We are happy to give it up handfuls of the two.
If you - to collect water lilies, very - very large,

A person who has seen the build wreath,

Karen will not, if you want

Well, it does not give it,

You lay down the pearl, but tough,

And laying the evil guys can take by force;
If you go back home in the evening, if the mother wants to give orders to,
Some of the seed so that the plan can be happy with him!

Red church will gather dungcake

Will be bound by the

If you want to get up or not getting a gift from his mind,

I'll talk to - tomorrow, he will bring a lot of pea plants.
Will wake up very early, before the sun rises,
Do not tell anyone, not one word of warning, leg raises

Rail road full of small bass

Danakine fish to wriggle;

Is given in the middle of the water before stopping the build of mud
Before anyone will know all the fish we caught.
At noon, some mud, and the fish,

I will come back home to sew clothes.

O face - Ray Burns Mother monkey.

Slang - cuddle with mom guilt,

How long will I hear my mother's backside .Give brother;

Would you brother, our village, where lush green trees.

Would you brother, our small village with my Iggy.

Dark forest - the forest-op has given the illusion of compassion.

Flourished in the shade of the trees in the forest

Oh my childhood hiding!

Today, the - I'll get all out,

Would you brother, our little guy with my Iggy.

Will take you back in our self-lid dense forest
Abide not hiding out, the man did not say nothing

Go pick a flower of the field,

Will not be able to recognize the way;

Would asleep in bed when the body is lazy evening,

I have to find the village, call out your name.

Tuesday, September 29, 2015

ইরানের দুই বছরের বিস্ময় বালক

ইরানের দুই বছরের  বিস্ময় বালক

ইরানের বাবল শহরের আরাত হোসেনের বয়স মাত্র দুই বছর। এই বয়সে শিশুরা  ঠিকমতো কথাই বলতে পারে না।সেখানে আরাত শারীরিক অসম্ভব কসরত দেখিয়ে রীতিমতো বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন।
বয়সের তুলনায় তার শারিরীক কসরত অবাক করার মতো । ইরানের মাজানদারান প্রদেশের বাবল শহরে বাস করেন আরাতের পরিবার। ডিগবাজি, ইটের দেয়াল বেয়ে ওপরে ওঠা কিংবা দুই হাত মাটিতে ভর দিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে রাখা সহ নানা কসরত দেখাতে বেশ পারদর্শী আরাত। কঠিন সব ব্যায়ামের কৌশল দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই শিশু। ইতোমধ্যে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকেও ডাক এসেছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি চ্যানেলে দেখিয়েছেন তার শারীরিক কসরত।পেয়ে গেছে তারকা খ্যাতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দুই বছরের আরাতের ফলোয়াড় সংখ্যা ১৯ হাজারের কোটায়। ছেলের এই বিস্ময়জনক কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অবাক বাবা মোহাম্মদ ও মা ফাতেমা। ছেলেকে কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি বলে তারা জানান। বলেন, খেলার ছলেই নয় মাস বয়সে আরাতের মধ্যে ব্যায়ামের আগ্রহ তৈরি হয়। এর পর প্রতিদিন প্রায় ২০ মিনিট ব্যায়াম করতে শুরু করে সে।

বাবা মোহাম্মদ বলেন, একদিন কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পর ছেলে তার দুই হাতের আঙুল মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে এবং পা মাটি থেকে ওপরে ভাসিয়ে রাখে। সেদিন প্রথম আমি আরাতের শক্তি ও সক্ষমতা বুঝতে পারি।
শিশু আরাতের প্রিয় খেলাতে পরিণত হয়েছে শরীরচর্চা। সে সাধারণত একটানা ১০ মিনিটের মতো ব্যায়াম করতে পারে। তার প্রিয় খেলা হলো পেছন দিক থেকে ডিগবাজি দেওয়া।
বাসার সব জায়গায়ই শরীরচর্চা করছে আরাত। খাট, চেয়ার, টেবিলে বসে কিংবা টেলিভিশন ও বাসার চৌকাঠে উঠে দেখাতে থাকে ছোট্ট শরীরের কসরত। বাবার আসা খেলাধুলায় একদিন অপ্রতিরোধ্য হবে আরাত।

Floating Restaurant Surma River Cruise, Sylhet, Bangladesh

There is also a launch floating in the river. The launch night becomes colored. The scenic view of the large-scale launch attracted the attention of everyone. It is a floating restaurant.
There Restaurant 250 people sitting together in a room, conference room, VIP room and six modern bathrooms and air conditioning systems are the two Bed room. River cruise in Sylhet, the restaurant has introduced an institution. Restaurant name 'Surma River Cruise.

The three-storey restaurant is on the ground under water. This business class restaurant. This includes more than 50 people, seminar facilities dining together. The name of the second-floor Riverview. 120 people will be able to sit down together to breakfast. The top floor has been given the name of 'Open Sky'. The floor is open air seating as well as the family cabin.
Every day at 4pm, 7pm and night at 8 pm will leave from Camdanighata Surma restaurant. Surma River and a half hours at the same place again roam the passengers will be let down. Fare is Rs 699 to 299 Depending on class. Passengers with tickets free and fast food. The fast-food restaurant as they desired, and they were able to buy Indian-Bengali and Chinese food. Birthday, floating restaurant on-marriage ceremony social events will be available for rent.

 সুরমা নদীতে ভাসমান একটি লঞ্চ ।রাতের আধাঁরে মোহনীয়  রঙ্গিন হয়ে উঠে।
আলোক মালার মনোরম দৃশ্য সবার মনোযোগ আকৃষ্ট করে । লঞ্চটি  একটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট।

লঞ্চটিতে আছে কনফারেন্স রুম, ভিআইপি রুমে একসাথে ২৫০ জন মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে এই লঞ্চে ।
ছয়টি আধুনিক বাথরুম এবং এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেম ।দুটি বেড রুম আছে এই ভাসমান রেঁস্তোরায়.
এর  নাম সিলেট রিভার ক্রুজ।রেস্টুরেন্ট এর নাম 'সুরমা নদী ক্রুজ।

তিন তলা ভাসমান রেঁস্তোরার নিচের তলা থাকে পানির তলে ।
এখানে ৫০  জনেরও বেশি লোক একসঙ্গে ডাইনিং করার সুবিধা আছে ।আছে  সেমিনার করার সুবিধা ।
 দ্বিতীয় তলার নাম রিভারভিউ । ১২০ জন মানুষের ব্রেকফাস্ট একসঙ্গে করার ব্যবস্থা রয়েছে ।
 উপরের তলায় 'খোলা আকাশ' । খোলা বাতাসে আসনবিন্যাস সেইসাথে পরিবারিক কেবিনের ব্যবস্থা আছে ।

বিকাল 8 টা সন্ধ্যা ৭ টা এবং রাত ৮টায় প্রতিদিন ,সুরমা রেঁস্তোরা নদীতে ভেসে চলতে থাকে ।
 ভাড়া২৯৯ টাকা হতে ৬৯৯ টাকা। টিকিটের সাথে ফ্রি ফাস্ট ফুড দেয়া হয়।
 অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পছন্দ মতো ভারতীয় বাঙালি এবং চীনা খাদ্য কিনে খাওয়া যায়।
 জন্মদিন,  বিয়ের অনুষ্ঠান ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য লঞ্চটি ভাড়া নেয়া যায় ।

মামার বাড়ি ,জসীম উদ্দিন


মামার বাড়ি
জসীম উদ্দিন


আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা,
ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।
মামার বাড়ি পদ্মপুকুর
গলায় গলায় জল,
এপার হতে ওপার গিয়ে
নাচে ঢেউয়ের দল।
দিনে সেথায় ঘুমিয়ে থাকে
লাল শালুকের ফুল,
রাতের বেলা চাঁদের সনে
হেসে না পায় কূল।
আম-কাঁঠালের বনের ধারে
মামা-বাড়ির ঘর,
আকাশ হতে জোছনা-কুসুম
ঝরে মাথার ‘পর।
রাতের বেলা জোনাক জ্বলে
বাঁশ-বাগানের ছায়,
শিমুল গাছের শাখায় বসে
ভোরের পাখি গায়।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের শাখায় উঠি
রঙিন করি মুখ।
কাঁদি-ভরা খেজুর গাছে
পাকা খেজুর দোলে
ছেলেমেয়ে, আয় ছুটে যাই
মামার দেশে চলে।

ঈদুল আজহা গায়ে আতরের সুগন্ধ পাক পবিত্র ! আর বাতাসে ভেসে আসে দুর্গন্ধ নাপাক অপবিত্র!

ঈদুল আজহা গায়ে আতরের সুগন্ধ  পাক পবিত্র !আর বাতাসে ভেসে আসে দুর্গন্ধ নাপাক অপবিত্র!

ঈদুল আজহা ।
একটি পবিত্র দিন,আনন্দের দিন।এই পবিত্রতা দেহ মন থেকে ছড়িয়ে পরে আকাশে বাতাসে,সৃষ্টি কতর্দার দরবারে ।সকালে ঘুম থেকে উঠেই পরম পবিত্র সত্তার স্মরণে পবিত্রতা দিয়ে শুরু হয় ।গোসল করে পাক পবিত্র হয়ে ।পাক পবিত্র কাপড় পরিধান করা।পবিত্র সুগন্ধী আতর লাগিয়ে ঈদগাহ বা মসজিদে গিয়ে পবিত্রতার সাথে নামাজ আদায় করা হয় ।এই পবিত্র ঈদের দিনে মানুসের দেহ মন আকাশ বাতাস সবকিছু নির্মল হয়ে উঠে।মোসলমানরা অাল্লাহর নামে পশু কোরবানী করেন ।
তারপর সেই পশুর কিছু অংশ বিলিয়ে দেয়া হয় গরীবদের মাঝে।ধনীদের আঙ্গিনা হতে গোস্ত চলে যায় গরীবদের রান্না ঘরে।আল্লাহর অপার মহিমার অংশীদার হন গরীবরা।
রান্না করে তৃপ্তির সাথে আহার করেন সকল মোসলমানেরা।হাজার শুকুর গুজার করেন আল্লাহর ।

কিন্তু কোরবানী দেয়া পশুর রক্ত উচ্ছিষ্ট মাংস ঠিক মতো মাটিতে পুঁতে না রাখার করণে ছড়িয়ে পরে দুর্গদ্ধ্ ।আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পরে অপবিত্রতা ।সে দুর্গন্ধের অপবিত্রতা কোরবানী দেয়া ধনী লোকের আঙ্গিনা হতে ছড়িয়ে পরে গরীবদের আঙ্গিনা পর্যন্ত।পথে ঘাটে রাস্তায় ছড়িয়ে পরে।অসুস্থ করে তোলে মানুষের মন।আর  বাযূ দোষনের দূগন্ধের অপবিত্রতায় বসবাস করে মানুষ ।নিমিশেই পবিত্র কোরবানীর আনন্দ রুপান্তরিত হয় অসুস্থ দুর্গন্ধে ।শুধু মাত্র কিছু সংখ্যক মানুষের সামান্য সচেতনতা অভাব ও দায়িত্বশীলতার অবহেলার কারণে।

সুগন্ধ পবিত্রতার অংশ,পরম নেকী অর্জনের সহায়ক।
দুর্গন্ধ অপবিত্রতার অংশ।দুর্গন্ধের অপর নাম পাপ ।
কিছু ধনী ব্যক্তি অনেক টাকা খরচ করে সুন্দর বাড়ী বানিয়েছেন ।
দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায় !
কিন্তু সে সুন্দর বাড়ী হতে ভেসে আসছে দূর্গন্ধ।
তখন বাড়ীটাকে ভাল লাগে না।বাড়ী ওয়ারার প্রতি বিরূপ ধারণা জন্মে।
মনে হয় সুন্দর বাড়ী হতে দূগন্ধের পাপী আত্মারা বের হয়ে আসছে।
সুগন্ধের বাতাসেরা ফরিয়াদ জানাতে চলে গেছে সৃষ্টিকর্তার কাছে।
পশু কোরবানী ম্লান করে দেয় দুগন্ধ ভরে যাওয়া বাতাস।
তাই কোরবানীর রক্ত উচ্ছিষ্ট হাড় মাংস এমন ভাবে মাটিতে পুঁতে ফেলা উাচত।যাতে দূগন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশকে অবিত্র করে না ফেলে।আর  এই রকম অপবিত্রতার জন্য নিজেদের মর্যদা যেনো ক্ষুন্ন না হয়ে যায়।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অনুশীলন করুন ।তাতেই বুদ্ধি পেতে পারে মানুষ ও সমাজের মর্যদা।অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয় ।আর প্রমানীত হয় সেমাজের মানুষ যথেষ্ট উন্নত নয়।
অন্য সমাজের মানুষ তাঁদের সম্পর্কে ভালো ধারণা নাও করতে পারে।
কাজেই উন্নত মানুষের পরিচয় দিতে পরিবেশ রাখুন নির্মল।
কারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই ঈমানের অঙ্গ ।

করনীয়-
১.কোরবানির  পশু জবেহ শেষে তার রক্ত ও  উচ্ছিষ্ট মাংস হাড়  অপসারণ করা।
২.কোরবানীর স্থানটিতে প্রয়োজনীয় পানি ঢেলে ভাল করে ধৌত করা ।
৩.পশুর রক্ত ও  উচ্ছিষ্ট মাংস হাড় মাটিতে গর্ত করে চাপা দেয়া।
৪.গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক, যেমন—ফাম-৩০ ইত্যাদি দেওয়া ।
যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় ।
৫. শিয়াল/কুকুর মাটি খুঁড়ে রক্ত ছড়াতে বা খেতে না পারে সেজন্য গর্তটি ভালমতো বন্ধ করে দেয়া।
৬.মাটিচাপার ওপরে কিছু মোটা তুষ ছিটিয়ে দিলে শেয়াল বা কুকুর মাটি গর্ত করে ময়লা তুলতে পারবে না।

করনীয় গুলো না করলে কি হতে পারে :-

১.পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে,
২.চর্মজাতীয় রোগ উৎপত্তি হয়ে মানবদেহে বা পশুর শরীরে সংক্রমিত হতে পারে।
৩.কিছু ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি হয়ে খাদ্যের সঙ্গে মিশে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
৪.সমাজ উন্নত সমাজ বলে পরিচিতি লাভ করবে না।


দুগন্ধ ছড়িয়ে  আপনি ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিতি অর্জন করতে পারবেন না।
মোসলমান পরিচিতি হিসাবে অপর ধর্মের লোকদের কাছে বিরুপ ধারনা সৃষ্টি  হতে পারে।
সমাজও হবে অস্বাস্থ্যকর ।
যার জন্য সমাজের বাসিন্দা হিসাবে আপনি দায় এড়াতে পারেন না।
যা কোন মতেই কাম্য হতে পারে না।

অতএব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাথুন।
অশেষ সোয়াবের ভাগীদার হোন ।

Monday, September 28, 2015

Bangladesh - George Harrison

My friend came to me, with sadness in his eyes
He told me that he wanted help
Before his country dies
Although I couldn’t feel the pain, I knew I had to try
Now I’m asking all of you
To help us save some lives
Bangla Desh, Bangla Desh
Where so many people are dying fast
And it sure looks like a mess
I’ve never seen such distress
Now won’t you lend your hand and understand
Relieve the people of Bangla Desh
Bangla Desh, Bangla Desh
Such a great disaster – I don’t understand
But it sure looks like a mess
I’ve never known such distress
Now please don’t turn away, I want to hear you say
Relieve the people of Bangla Desh
Relieve Bangla Desh
Bangla Desh, Bangla Desh
Now it may seem so far from where we all are
It’s something we can’t neglect
It’s something I can’t neglect
Now won’t you give some bread to get the starving fed
We’ve got to relieve Bangla Desh
Relieve the people of Bangla Desh
We’ve got to relieve Bangla Desh
Relieve the people of Bangla Desh